#দোলনচাঁপার_সুবাস
#পর্বঃ২১
#লেখনীতে- তাসফিয়া হাসান তুরফা
বেশ কিছুক্ষণ ধরে পারভীন বেগম থম মেরে বসে আছেন। বলা চলে অনেকটা পলকহীন ভাবে চেয়ে আছেন দোলার দিকে। যে আপাতত নিঃশব্দে কাঁদতে ব্যস্ত। দু-একবার ওড়না দিয়ে চোখ মুছসে শুধু। ওর কান্না থামতেই পারভীন বেগম মেয়ের উদ্দেশ্যে বললেন,
—তুই যা বলছিস ভেবেচিন্তে বলছিস তো?
দোলা মাথা তুলে তাকায় মায়ের দিকে। ভাঙা গলায় ভ্রু কুচকে শুধায়,
—কি বলতে চাইছো, মা?
—বলছি তুই কি শিওর সেদিন রাতে রাকিবই তোর রুমে ঢুকেছিলো? নাকি ওটা অন্ধকারের মাঝে তোর চোখের ভুল?
মায়ের কথায় কিছুক্ষণ কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে দোলা! অবাক চোখে চেয়ে রয় কতক্ষণ। তবে কি মা ওকে অবিশ্বাস করছে? নিজের মেয়ের মুখের কথার চেয়ে ভাইয়ের ছেলেকে বেশি বিশ্বাস করছে? উনি কি দোলাকে চিনেন না?
অপমান বোধে মেয়েটার মুখ শক্ত হয়। চোখ-মুখের থমথমে করে তীক্ষ্ণ গলায় মায়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে,
বিস্ময় না ঢেকে দোলা সরাসরি প্রশ্ন করে,
—তুমি কি আমায় অবিশ্বাস করছো? নিজের আপন মেয়ের চেয়ে কি ভাইপো বেশি ভরসাযোগ্য হয়ে গেলো তোমার কাছে?
পারভীন বেগম হতাশার সাথে শ্বাস ফেলেন। তিনি যে দোলাকে অবিশ্বাস করেন ব্যাপারটা এমন নয়। বরং তিনি কোনোপ্রকার নিশ্চয়তা ছাড়া ভাই-ভাবির কাছে যেতে চাননা বলেই দোলাকে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্নটা করেছিলেন। কিন্তু কপাল! তার নাক উঁচু মেয়ে এটুকুতেই অপমানিত বোধ করলো!
—আমি তোকে অবিশ্বাস করিনা, দোলন। আমি জানি তুই কেমন মেয়ে। কোনো কারণ ছাড়া মানুষের উপর কখনো দোষ দিসনা, আর এরকম অপবাদ তো মোটেও দিবিনা!
—তবে কেন আমায় প্রশ্ন করে সময় নষ্ট করছো? মামা-মামীর সাথে দ্রুত কথা বলো আর এ বিয়েটা ভেঙে দাও না, মা!
মায়ের কথায় আশ্বস্ত হয়ে দোলা মিনতি করে। মেয়ের মিনতি শুনে পারভীন বেগম বললেন,
—তোকে প্রশ্ন করার একটাই কারণ। তোর যেমন মনে হলো আমি তোর উপর বিশ্বাস করছিনা, তেমনটা তোর মামা-মামীর কাছেও তো মনে হতে পারে তাই না? এত বড় কথা এভাবেই তো আর কাউকে বলা যায়না! ভাইসাহেব যদি আমাকে বলে রাকিবের অপরাধের প্রমাণ দিতে তবে আমি কি বলবো? এজন্যই জিজ্ঞেস করছিলাম, তোর কোনো প্রমাণ আছে রাকিব তোদের রুমে এসেছিলো ওইদিন রাতে?
এবার মায়ের উদ্দেশ্য দোলার বোধগম্য হয়। মায়ের বিচক্ষণতা ধরতে পেরে সে নিজের নির্বুদ্ধিতার উপর ক্ষিপ্ত হয়। আসলেই তো মা ঠিকই বলেছেন। কোনো মা-বাবাই নিজেদের সন্তানের সম্বন্ধে এমন অপবাদ সহ্য করবেনা। স্বাভাবিক ভাবেই সবাই প্রমান চাবে। এক্ষেত্রে পারভীন বেগম নেহাতই ভুল কিছু বলেননি। তবে এখন কি হবে? দোলার চোখ ছলছল করে উঠে। মায়ের দিক চেয়ে বলে,
—আমার কাছে তো কোনো প্রমাণ নেই, মা। শুধু এটুকুই জানি সেদিন ঘুম ভেঙে উঠার পর অন্ধকারের মাঝেই রাকিবকে আমার দিকে…
আর কথাটুকু গলাতেই আটকে যায় দোলার। ঘৃণায় বাকিটুকু বের হতে পারেনা মুখ থেকে। পারভীন বেগম মেয়ের দিকে অসহায়ের ন্যায় চেয়ে থাকেন। ক্রন্দনরত দোলার দিক চেয়ে ভাবতে থাকেন কি করবেন। যদিও তিনি কখনো কল্পনাও করেননি যে রাকিব এমন ছেলে হবে কিন্তু তিনি জানেন তার মেয়ের কথায় ভুল নেই। দোলা যেহেতু এভাবে বলছে তার মানে অবশ্যই কিছু হয়েছে। দোলা কান্না থামিয়ে মায়ের হাত ঝাকিয়ে বললো,
—মা, মামা-মামী তো আমায় ভীষণ স্নেহ করেন। তোমার মতো তারাও তো ছোট থেকে আমায় চিনেন। তুমি প্লিজ একটু বুঝাও তাদের নয়তো কিছু একটা বলো যেটা বললে এ বিয়েটা অন্তত ভেঙে যায়। হাতজোড় করছি তোমার…
—দোলা! থাম এবার। অনেক শুনেছি তোর কথা। আ,আমায় একটু শান্তিমতো ভাবতে দে কি করা যায়। এসব বিষয়ে তো আর হুট করেই কাউকে কিছু জানানো যায়না আর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়না। বিয়ে ঠিক হয়েছে বলেই যে কালকেই বিয়ে হচ্ছে তোর এমনটা তো আর নয়! আমি দেখছি কি করা যায়। বেশি চিন্তা করিস না, তোর শরীরটা খারাপ হয়ে যাবে আবার। রুমে যেয়ে একটু ঘুমা!
—কিন্তু মা, তুমি সত্যিই এ বিয়ে ভাংবে তো বলো?
—আবার ওই কথা? আমি বলছি না রুমে যেতে? মায়ের উপর বিশ্বাস নেই তোর? এখন কি শিমুল-মিনির মতো তোকেও ধমক দিয়ে রুমে পাঠাতে হবে নাকি?
এবার আর মায়ের কথা অমান্য করেনা দোলা। দু’হাতে চোখ মুছে চুপচাপ রুমের বাইরে চলে যায়। দোলা বের হতেই পারভীন বেগম সশব্দে দরজা লাগিয়ে দেন। সেদিক থেকে পেছন ফিরতেই দোলা দেখলো, দুই ভাইবোন সামনে দাঁড়িয়ে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। দোলা কিছুটা বিব্রত ভাবে ওদের চেয়ে নিজের রুমে চলে গেলো। ওর পিছু পিছু শিমুল কামিনিও চলে এলো। দোলা কিছু বলছেনা দেখা অবশেষে নিরবতা ভেঙে কামিনি নিজেই বললো,
—তোমার বিয়ের কথা চলছে, দোলাপু?
দোলা এবারো মুখে কলুপ এটে বসে থাকলো। এ ব্যাপারে কথা বলতে আর ভালো লাগছেনা ওর। ওকে এভাবে নিশ্চলভাবে চুপচাপ থাকতে দেখে যা বুঝার দুই ভাইবোনে বুঝে ফেললো। অতঃপর হতাশাময় দীর্ঘশ্বাস ফেললো। শিমুল কামিনির উদ্দেশ্যে বললো,
—দেখছো মিনিপু, বলেছিলাম না মামা-মামি কারও বিয়ের কথা বলছিলো আম্মুর সাথে। সেদিন রুমে বাইরে কান পেতে এটুকু শুনতে পেরেছিলাম? ওটা দোলাপুর বিয়ের কথাই চলছিলো! তুমি তো বিশ্বাস করলেনা আমার কথা!
কামিনি মাথা এদিক-ওদিক নাড়ায়। সে ভেবেছিলো শিমুল বানিয়ে বলছে তাই বিশ্বাস করেনি ওর কথা, এখন দেখছে ওর ভাইয়ের কথাই ঠিক। কিন্তু শেষমেশ কিনা সেই রাকিবের সাথে? বলাবাহুল্য, ছোটবেলা থেকেই কামিনির রাকিবকে একদমই পছন্দ না। ওকে বরাবরই ভীষণ ছ্যাচড়া বলে ওর মনে হতো তাই কোনোদিন ভালো করে কথাও বলেনি সে ওর সাথে। এজন্য দোলাকেও মানা করেছিলো ওর সাথে ভালোভাবে কথা না বলতে। কিন্তু, দোলা তো দোলা-ই! সে দেখা হলে সরলভাবে হাসিমুখে কথাবার্তা বলতো রাকিবের সাথে, এতেই বেহায়াটার মন মজে গেছে হয়তো! এত মেয়ের সাথে ইটিস-পিটিস করে কিনা শেষমেশ ওর ভোলাভালা বোনের সাথেই বেয়াদবটা বিয়ে করতে চাইছে?
কামিনির বেজায় রাগ হয়। সে রাগ নিয়েই নিজমনে বকে গেলো,
—ওই ভ্যা’দাই’ম্মা রাকিবের সাথে তোমার বিয়ের কথা চলছে? ছি! আমার ভাবতেও বমি আসছে। ওকে দেখলেই তো আমার স্যান্ডেল খুলে মারতে মন চায়। ওকে বিয়ে করিয়োনা, দোলাপু। আমি বাড়ি ছেড়ে দিবো তবু ওই খচ্চর রাকিবকে দুলাভাই ডাকতে পারবোনা!
বোনের কথায় দোলা চোখ বুজে শ্বাস ছাড়ে। এর মাঝে শিমুল বলে,
—আমিও মিনিপুর সাথে একমত। আমরা ওকে দুলাভাই হিসেবে মানিনা। আপু তুমি মা-কে বলো এ বিয়ে ভেঙে। আমরা এ বিয়ে হতে দেবোনা!
ভাই-বোনের কথায় শত মন খারাপের মাঝেও মন কিছুটা হালকা লাগে দোলার। এটলিস্ট ওর পরিবার ওকে বুঝছে, ওকে সাপোর্ট করছে! এটাই বা কতজন পায়? কামিনি ও শিমুলের হাত ধরে সে বলে,
—আমার যা বলার ছিলো মা-কে বলে দিয়েছি। টেনশন হচ্ছে কিন্তু সবটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি। এখন দেখা যাক কি হয়! তাছাড়াও, তোরা সবাই পাশে থাকলে আমার আর কি লাগবে?
সবাই মাথা নাড়লেও মনে মনে দুঃশ্চিন্তার রেশ কাটলোনা কারও। দোলনচাঁপার পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের বিষাদময় সন্ধ্যা কাটলো সেদিন!
______________________
তিনদিন পরের কথা। রোজকার ন্যায় নিশীথ বাসা থেকে বের হচ্ছে পড়াশুনা শেষে। আজকে ভার্সিটিও গিয়েছিলো সে একটা কাজে। ফলস্বরূপ, বন্ধুদের কারও সাথে কথা বলার সুযোগটুকুও পায়নি সারাদিন। বেরোবার আগে নিশীথ সোফায় বসে শ্যু-লেইস বাধছিলো একমনে, এমন সময় সুহাস ওদের বাসায় ঢুকে উদাস মুখে। ছোট এই চাচাতো ভাই বরাবর নিশীথের খুব আদরের। সুহাস একটু চাপা স্বভাবের হওয়ায় বাড়ির অন্যদের থেকে নিশীথ এর সাথে ওর খাতিরটাও তাই একটু বেশিই! কিন্তু আজকে সুহাস যেন ওকে দেখেও দেখলোনা। একধ্যানে ডাইনিং এ চলে গেলো পানি খেতে। নিশীথ খানিকটা অবাক হলো। ওর কি হয়েছে এমন?
ভাইয়ের কাছে গিয়ে স্বভাবসুলভ ভাবে ওর মাথায় এক চাটি মেরে নিশীথ শুধালো,
—কিরে চশমিশ, আজকে এ সময় তুই বাসায় যে? খেলতে যাবিনা?
সুহাস কিছু বললোনা। শুধু হাসলো সামান্য। নিশীথ আবারো বিস্মিত হলো। ওকে টেনে এনে সোফায় বসিয়ে ওর পাশে বসে বললো,
—কি হয়েছে বল তো? তোকে এরকম অফ লাগছে কেন? মন খারাপ?
—না, ভাইয়া।
—ভাইয়াও বলছিস আবার ভাইয়ের থেকে লুকিয়েও রাখছিস! এসব কে শিখিয়েছে তোকে, হু? ভালোই ভালোই জিজ্ঞেস করছি বলে দে কি হয়েছে। নয়তো মেরে ত’ক্তা বানাবো। তবু তোর মুখে শুনেই ছাড়বো! তুই তো চিনিসই আমায় নাকি?
সুহাস একবার মুখ তুলে নিশীথের দিকে তাকালো। যাকে দেখতে ভীষণ সিরিয়াস লাগছে! সুহাস বেশ ভালো করেই চিনে নিশীথকে। একবার যখন জিজ্ঞেস করেছে তখন শুনেই ছাড়বে কি হয়েছে! তাই গোলগোল চশমাটা ঠিক করে দুঃখী অথচ বেশ সিরিয়াস ভাবে বললো,
—পরীক্ষার মার্কস দিয়েছে, ভাইয়া। একটুর জন্য টপ করতে পারিনি ক্লাসে। আদিবা মেয়েটা আমার চেয়ে ২ নাম্বার বেশি পেয়ে ফার্স্ট হয়েছে! আমার মান-সম্মান টাই আর থাকলোনা!
নিশীথ কিছুক্ষণের জন্য থম মেরে চেয়ে রইলো সুহাসের দিকে। ছেলেটা ছোট থেকেই অনেক গম্ভীর এবং সবকিছু নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস সে জানে, তাই বলে এ সামান্য কারণে এত মন খারাপ কেউ করে? অথচ সে তো ভেবেছিলো কত কি না হয়ে গেছে!
নিজের মাথা চাপড়ে সুহাসের মাথায় আরেকটা চাটি মেরে সে বললো,
—ওরে আমার বিদ্যাসাগর! থাম এবার! এ সামান্য কারণে তোর মন খারাপ আর আমি ভাবলাম তোর ব্রেকাপ হয়ে গেছে যেরকম মুখ করে রেখেছিলি!
নিশীথের কথা যেন সুহাসের খুব একটা পছন্দ হলোনা। সে বিরক্তিকর চাহনিতে চেয়ে গা ঝেড়ে বললো,
—ছি! ওসব গার্লফ্রেন্ড তোমার থাকতে পারে, ভাইয়া। আমার ওসবের জন্য টাইম নেই! নেক্সট ইয়ার অলিম্পিয়াড এ যাবো, প্রিপারেশন নিয়েই কুল পাচ্ছিনা! আই হ্যাভ টু উইন!
নিশীথ আবারো মাথা নাড়লো ওর কথায়। এ ছেলেকে কিছু বলেও লাভ নেই। ওর গাড়ির চাকা ঘুরেফিরে ওর পড়াশোনাতেই আটকাবে! তবু প্রসঙ্গ বদলাতে মুখে বললো,
—এসব বাদ দে। তুই খেলতে যাবিনা? তোর পার্টনার কোথায়? শিমুল? ও আসেনি আজ?
শিমুলের কথায় সুহাসের মুখ আবার উদাস হয়ে গেলো। নিশীথের দিকে চেয়ে বললো,
—শিমুল তো শুধু আজকেই নয়, বেশ ক’দিন ধরেই খেলতে আসছেনা, ভাইয়া। ওর বাড়িতে নাকি কিছু ঝামেলা চলছে!
নিশীথ এর ফোনে কল আসায় সে ফোন কেটে বেরোতে নিচ্ছিলো। যেতে যেতে সুহাসের উদ্দেশ্যে বললো,
—তাই নাকি? কি ঝামেলা তোকে বলেছে? তোরা ছোট মানুষ। তোরা আবার পরিবারের ঝামেলার কি বুঝিস? বাইরে যাবি? আয় আমার সাথে তবে!
সুহাস মাথা নাড়লো। ভাইয়ের পিছু পিছু যেতে যেতে বললো,
—আমিও তাই ভাবছিলাম। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম ম্যাটারটা আসলেই বেশ সিরিয়াস।
—কি এমন বল তবে?
—ওর বড়বোনের নাকি বিয়ের কথা চলছে, ভাইয়া। ওই যে গত সপ্তাহে আমাদের বাড়িতে এক আপু এসেছিলো না ওকে নিতে? ওই আপুর বিয়ে! এসব নিয়েই ঝামেলা চলছে শুনলাম!
সুহাসের কথায় নিশীথের চলতে থাকা কদম হুট করেই থেমে গেলো। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছু মুহুর্তের জন্য সে নিজেও থমকে গেলো! বলছে কি সুহাস! ওর দোলনচাঁপার বিয়ে ঠিক হয়েছে? কিন্তু কবে? কার সাথে? সে এ ব্যাপারে জানলোনা কেন?
তবে কি এ কারণেই দোলা এখনো ওর প্রস্তাবের কোনো জবাব দিলোনা? ওর থেকে বিষয়টা গোপন রাখার জন্য? মুষ্টিবদ্ধ হাতে নিশীথ আচমকা অনুভব করে ওর এতক্ষণের ফুরফুরে মেজাজটা কর্পূরের ন্যায় হাওয়ায় উবে গেলো! এর পরিবর্তে ক্রোধের শিখাগুলো মন-মস্তিষ্ক পুরোপুরি দখল করে নিলো!
#চলবে
দেরি হবার কারণ আগেই জানিয়েছিলাম। আমি বার্ষিক ছুটিতে পরিবারের সাথে ঘুরতে এসেছি গ্রামে। আত্মীয়দের মাঝে এমনিতেই ফোন হাতে নেওয়ার সময় পাওয়া যায়না, সেখানে লেখার সময় বের করা আরও কষ্টকর। আশা রাখছি বুঝবেন। তবু এর ফাঁকে সময় পেলে অবশ্যই চেষ্টা করবো তাড়াতাড়ি দেবার।
পর্ব কেমন লেগেছে জানাবেন।