#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_১৪
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
হালকা হাওয়ায় গাছের ডালপালা হেলেদুলে পড়ছে। শীতে সমস্ত শরীর জমে আসছে। মুনতাসিমের সমস্ত শরীর অবশ হয়ে গিয়েছে। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছে। ঘড়ির কাঁটায় রাত বারোটা বাজে। মেহেভীন জানালার কাছে আসতেই স্তব্ধ হয়ে গেল। মানুষটার এত কিসের জেদ! মেহেভীনের ভিষণ খারাপ লাগতে লাগলো। সে ছাতা হাতে নিয়ে নিচে চলে গেল। মুনতাসিম আঁখিযুগল বন্ধ করে কাঁপছিল। তখনই অনুভব করল বৃষ্টি তাকে স্পর্শ করছে না। আহত দৃষ্টিতে আঁখিযুগল উপরে দৃষ্টিপাত করল। পাশে কারো উপস্থিতি অনুভব করল। মানুষটাকে চিনতে এক সেকেন্ড সময় নিল না মুনতাসিম। আঁখিযুগল অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে, গম্ভীর কণ্ঠে জবাব দিল,
–এখানে কেন এসেছেন? বৃষ্টির পানি আপনার শরীরে সইবে না। ঠান্ডা লেগে যাবে।
–আপনি নিজ গৃহে ফিরে যান।
–আমি যাব না আপনার সমস্যা কোথায়?
–আমার সমস্যা আছে। একটা মানুষ আমার জন্য নিজেকে কষ্ট দিবে। সেটা আমি সহ্য করতে পারব না। আমার ভিষণ খারাপ লাগবে। আমার কথা শুনুন গৃহে ফিরে চলুন।
–আপনার কথা কেন শুনব!
মেহেভীন জবাব দিল না। মুহূর্তের মধ্যে শীতল পরিবেশটা উত্তপ্ত হয়ে গেল। মেহেভীন ছাতাটা নিজের হাত থেকে ফেলে দিল। বৃষ্টির পানিগুলো মেহেভীনকে ভিজিয়ে দিতে শুরু করছে। মুনতাসিম হতভম্ব হয়ে গেল! যেখানে রাগ দেখানোর কথা তার। সেখানে মেহেভীন ক্ষমা করে তার অভিমান ভাঙিয়ে দিবে। মেয়ে তা না করে উল্টো রাগ করে বসল! দু’টি প্রেমিক হৃদয় বৃষ্টির পানির সাথে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। হৃদয় বলছে কাছে টেনে নাও। শরীর যেন দু’টি প্রেমিক হৃদয়ের মাঝে বাঁধা সাধছে। দু’জনকে এক না করার শপথ গ্রহণ করেছে। মেহেভীন ঠান্ডায় কাবু হয়ে আসছে। পুরো শরীর পাথরের ন্যায় অবশ হয়ে আসছে। সে মলিন কণ্ঠে জবাব দিল,
–আমি আপনাকে ক্ষমা করেছি। এবার গৃহে ফিরে চলুন। ঠান্ডায় বোধহয় জমে মা’রা যাব। আমি আপনার জেদের কাছে হার মেনে নিয়েছি।
–এত অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে গেলেন ম্যাডাম? আপনার মনের জোড় এত স্বল্প! এভাবে কাউকে ধরে রাখতে পারবেন না। ভেতর থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠুন। না হলে সবাই আপনাকে ভিষণ বাজে ভাবে আঘাত করবে। এত সহজে আমি যাব না। ঠান্ডায় এতক্ষণ কষ্ট করলাম। এত পরিশ্রম করলাম। সেই পরিশ্রমের ফল না নিয়ে কিভাবে যাব বলুন? মুনতাসিমের কথায় মেহেভীনের হৃদয় ভয়ংকর ভাবে কেঁপে উঠল। আশেপাশে তাকিয়ে দেখল। বৃষ্টির জন্য একটা কাক পাখিও দেখা যাচ্ছে না। ফল স্বরুপ মুনতাসিম কি চাইছে তার কাছে? যদি কোনো নিষিদ্ধ কিছু চেয়ে বসে। ভয়ে শক্তিহীন হয়ে পড়ছে মেহেভীন। মেহেভীনের মনের কথা বুঝতে পেরে মুনতাসিম ইচ্ছে করে, মেহেভীনের কাছে এগিয়ে আসলো। মেহেভীন একটু দূরে সরে গেল। মুনতাসিমের ভিষণ হাসি পাচ্ছে। তবুও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে শীতল কণ্ঠে বলল,
–আপনি চুপ করে গেলেন যে ম্যাডাম। আমাকে আমার পরিশ্রমের ফল দিবেন না। মুনতাসিমের শীতল কণ্ঠে বলা কথা গুলো মেহেভীনের হৃদয় স্পর্শ করে গেল। ভেতরে অস্থিরতার ঝড় বইতে শুরু করল। মস্তিষ্কে এসে হানা দিয়েছে এক ঝাঁক ভয়। পানির শব্দ ছাড়া আশেপাশে কোনো শব্দ কর্ণকুহরে আসছে না। মেহেভীন মুখশ্রী মলিন করে বলল,
–কি চাই আপনার? কথা গুলো বলার সময় গলা ধরে আসছিল। শব্দগুলোও যেন আজ ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে। মুনতাসিমের ভিষণ ঠান্ডা লাগছিল। আর কিছুক্ষণ থাকলে বোধহয় সেন্সলেস হয়ে যাবে। সে আর বেশি কথা বলতে পারল না। হাসোজ্জল মুখশ্রী করে জবাব দিল,
–এই আমাকে এত শাস্তি দিলেন। তার বিনিময়ে আমাকে এখন খিচুড়ি আর গরুর মাংস রান্না করে খাওয়াবেন। এই বৃষ্টির সময় খিচুড়ি আর গরুর মাংস জমে যাবে। সাথে আপনি থাকলে কোনো কথাই নেই। মুনতাসিমের কথায় মেহেভীন আঁখিযুগল মেলে মুনতাসিমের দিকে দৃষ্টিপাত করল। মানুষটার প্রতি আরো একবার মুগ্ধ হলো সে। যতদিন যাচ্ছে মানুষটার প্রতি মুগ্ধতা ততই বেড়ে যাচ্ছে। একটা মানুষ এতটা অসাধারণ কিভাবে হতে পারে! মুনতাসিমের দৃষ্টি অন্য দিকে বিদ্যমান। বৃষ্টির পানিতে ভিজে মেহেভীনের জামা শরীরের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। মুনতাসিমের জায়গায় অন্য কেউ হলে, নিশ্চই এত সুন্দর সুযোগ হাতছাড়া করত না।
–চোখ দিয়ে আমাকে পরে খাবেন। আগে আমাকে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ান। ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে যাচ্ছি। শুনেছি মেয়েদের আইসক্রিম নাকি খুব প্রিয়। আমাকে জমিয়ে বরফ বানিয়ে খাওয়ার ইচ্ছে আছে নাকি। যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে সেই ইচ্ছে টাকে ঝেড়ে ফেলে দিন। আমাকে খিচুড়ি খাওয়ার সুযোগ করে দিন। মুনতাসিমের কথায় মেহেভীন ভিষণ লজ্জা পেল। মানুষটা কিভাবে বুঝল সে তার দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে! সব সময় মানুষ টাকে দেখতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় সে । মেহেভীন বিলম্ব করল না। দ্রুত গৃহের মধ্যে চলে গেল। মুনতাসিম ও মেহেভীনের পেছনে পেছনে চলে আসলো। কক্ষে এসে ফ্রেশ হয়ে কম্বলের মধ্যে নিজেকে আড়াল করে নিল। তবুও শীত যেন কমতে চাইছে না। তখন জেদ করে হিরোগিরি দেখাতে গিয়ে, এখন শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে। জ্বর ভালো মতোই আসবে মনে হচ্ছে। তাতে মুনতাসিমের কোনো যায় আসে না। নিজের প্রেয়সী রাগ ভাঙাতে সক্ষম হয়েছে। এখানেই তার সকল কষ্ট সার্থক হয়েছে। মুনতাসিম একটু পরে মেহেভীনের গৃহের কাছে এসে কলিং বেল দিল। মেহেভীন দরজা খুলে বলল,
–আমি খিচুড়ি রান্না করতে পারি না। আমার বাসায় গরুর মাংস ও নেই। কালকে আসার সময় আপনার জন্য খিচুড়ি নিয়ে আসব। এবার নিজের গৃহে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
–আপনি কিন্তু আমাকে ঠকাচ্ছেন ম্যাডাম। আপনার সাথে আমার এমন কথা ছিল না। আপনি যদি আমাকে এখন খিচুড়ি রান্না করে না খাওয়ান। তাহলে আমি সারারাত আপনার দরজা বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকব। আপনার বাসায় মাংস নেই। সে কথা আপনি আমাকে আগে বলবেন না। আমার বাসায় গরুর মাংস আছে। আপনি একটু অপেক্ষা করুন। আমি এখনই নিয়ে আসছি। মেহেভীন আহত দৃষ্টিতে মুনতাসিমের দিকে দৃষ্টিপাত করল। সে এত রাতে রান্না করতে চাইছে না। সেজন্য মুনতাসিমকে মিথ্যা কথা বলল। কিন্তু মুনতাসিম তো নাছোড়বান্দা জোঁকের মতো আঁটকে ধরেছে। মেহেভীন ফিসফিস করে বলল,
–আস্তে কথা বলুন চিৎকার চেঁচামেচি করবেন না। মানুষ শুনলে কি বলবে। আমরা বাসায় দু’জন মেয়ে মানুষ থাকি। কেউ দেখে ফেললে আমাদের খারাপ ভাববে। আপনি কাল সকালে আসবেন। আমি আপনাকে রান্না করে খাওয়াব।
–আপনি সকালে অফিসে চলে যান। সারাদিনে আপনার দেখা মিলে না। আপনি দরজা খোলা রাখুন। আমি বেশি সময় নিব না। খেয়েই চলে যাব। আপনি প্লিজ রাগ করবেন না। আপনাকে কথা দিলাম। আজকের পর দীর্ঘসময় আপনাকে বিরক্ত করব না। তখন আপনি শান্তিতে থাকবেন। কথা গুলো কর্ণে আসতেই মেহেভীনের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল। হঠাৎ করে মানুষটা এমন কথা বলল কেন! মেহেভীন যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। কোনো কথা না বলে মুনতাসিমকে ভেতরে প্রবেশ করতে বলল। মুনতাসিমের মুখশ্রীতে বিশ্ব জয়ের হাসি। মেহেভীন রুপাকে ডেকে নিল। রুপা মেহেভীনের সাথে সাহায্য করছে। এই ছেলেটার সবকিছু রুপার অসহ্য লাগে। শুধু মাত্র মেহেভীনের জন্য কিছু বলতে পারছে না।
ঘড়ির কাঁটায় রাত তিনটা বেজে পনেরো মিনিট। মেহেভীন নিজ হাতে মুনতাসিমের প্লেটে খাবার বেড়ে দিচ্ছে। আজ রান্না করতে গিয়ে মেহেভীনের ভিষণ আনন্দ লাগছে। সে আগেও কত রান্না করেছে। কই আগে তো এমন আনন্দ অনুভব করেনি। বেশ যত্ন নিয়ে রান্নাটা করেছে সে। রান্না করে ভিষণ তৃপ্তিও পেয়েছে মেহেভীন। আচমকা মুনতাসিমের আঁখিযুগল রক্তিম বর্ন হয়ে আসতে শুরু করেছে। কতদিন পরে এতটা যত্ন নিয়ে কেউ তাকে খাবার বেড়ে খাওয়াচ্ছে। তার মা চলে যাবার পরে, সে কবে এতটা যত্নে খাবার গ্রহণ করেছে। তা তার জানা নেই। মুনতাসিম আহত কণ্ঠে বলল,
–আপনি আমার পাশে একটু বসবেন ম্যাডাম। এতটুকুও বিরক্ত করব না। আপনি শুধু আমার পাশে বসে খাবেন। কথা গুলো মাদকের মতো শোনালো। মেহেভীন নাকচ করার সাহস পেল না। নিঃশব্দে মুনতাসিমের পাশে বসলো। রুপা গিয়ে মেহেভীনের পায়ে বসলো। মুনতাসিম খাবার মুখ দিল। মেহেভীন অধীর আগ্রহে মুনতাসিমের দিকে চেয়ে আছে। খাবার কেমন হয়েছে জানার জন্য উতলা হয়ে আছে। মুনতাসিম খেয়ে মুখশ্রী কুঁচকে নিল। তা দেখে মেহেভীনের মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেল। মুনতাসিম গভীর ভাবে মেহেভীনের দিকে তাকিয়ে বলল,
–সত্যি করে বলুন তো খাবারটা কি আপনি রান্না করেছেন? নাকি বাহিরে থেকে অর্ডার করে নিয়ে আসছেন। মুনতাসিমের কথায় বিরক্তিতে মুখশ্রী কুঁচকে এল মেহেভীনের। সে তার জন্য এত কষ্ট করে রান্না করল। আর মুনতাসিম তার রান্না নিয়ে মজা করছে। অভিমানে মুখশ্রী ঘুরিয়ে নিল। রাগান্বিত হয়ে জবাব দিল,
–আপনি রাত করে আমার সাথে মজা করছেন। এই মধ্যরাতে আমার জন্য কে দোকান খুলে বসে আছে? তার ওপরে হয়েছে বৃষ্টি। চারদিকে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে আছে। আপনি তাড়াতাড়ি খেয়ে নিজ গৃহে ফিরে যান।
–আপনি রেগে যাচ্ছেন কেন? আপনার রান্না ভিষণ সুন্দর হয়েছে। সব খিচুড়ি আর মাংস আমি একাই খাব। আপনারা এতটুকুও খাবেন না। খাবার টেবিলে থেকে দূরে সরুন।
–আপনার পেটে কি দানব ধরেছে। এতগুলো খাবার সব একা খাবেন।
–আপনার চোখে কি দানব ধরেছে। এতবড় মানুষকে চোখ দিয়ে একা খিলে খান। মেহেভীন স্তব্ধ হয়ে গেল। বিস্ময় নয়নে মুনতাসিমের দিকে দৃষ্টি করে আছে। রুপার সামনে তাকে ছোট না করলেই হতো না। মনটা বিষাদে পরিপূর্ণ হয়ে গেল। পরিবেশ জুড়ে নিস্তব্ধতা রাজত্ব করছে। মুনতাসিম দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,
–আমার শেষ একটা কথা রাখবেন ম্যাডাম। আমি আপনাকে একবার নিজ হাতে খাইয়ে দিতে চাই। আপনি না করবেন না। দু’লোকমা খাবার আমার হাতে থেকে আহার করুন। আমি ভিষণ আনন্দিত হব। এক সেকেন্ডের জন্য বিরক্ত করব না।
–ভেতরে প্রবেশ করার আগে কি বলেছিলেন মনে আছে?
–বিড়াল যদি বলে আমি মাছ খাব না। আপনি বিশ্বাস করবেন?
–না।
–কেনো?
–কারন এটা বিশ্বাস করা কখনোই সম্ভব না।
–তাহলে আমি আপনাকে বললাম। আমি আপনাকে বিরক্ত করব না। এটা কেনো বিশ্বাস করলেন? মেহেভীন একরাশ হতাশা ভরা দৃষ্টি নিয়ে মুনতাসিমের দিকে তাকিয়ে আছে। রুপা দু’জনের কান্ড দেখে মুখ চেপে হাসছে। মুনতাসিম মেহেভীনের সামনে খাবার ধরল। মেহেভীন বিনাবাক্য খেয়ে নিল। কি অপরুপ সেই মুহূর্ত! যার পুরুষ যত যত্নশীল তার নারী ততই ভাগ্যবান। এই মুহূর্তে এই কথাটাই মেহেভীনের মস্তিষ্কে বিচরন করছে। মুনতাসিম খেয়ে চলে গেল। যাবার আগে মেহেভীনের সাথে ভালো করে কথাও বলল না। শুধু এতটুকু বলে গেল। ভালো থাকবেন। নিজের খেয়াল রাখবেন। আপনি মানুষটা আমার ভিষণ শখের। আপনার কিছু হয়ে গেলে, আমি ভিষণ বাজে ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হব। কথা গুলো বলে বিলম্ব করেনি। দ্রুত পায়ে স্থান ত্যাগ করেছে। শেষের কথা গুলো মেহেভীনের হৃদয় ছিদ্র করে বের হয়ে যাচ্ছিল। অজানা কারনে ভেতরটা হাহাকার করে উঠছে। মনটা বিষাদে ছেয়ে যাচ্ছে। মন খারাপ গ্রাস করে ফেলছে তাকে। বুকটা ভারি হয়ে আসছিল। এই বুঝি মানুষটাকে আর দেখা হবে না। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কক্ষে চলে গেল মেহেভীন।
মুনতাসিম নেই আর পাঁচ দিন হলো। মানুষটাকে দেখার জন্য হৃদয়টা ভিষণ ভাবে অস্থির হয়ে আছে। সুযোগ পেলেই মানুষ টাকে সে খুঁজেছে। শহরের অলি-গলিও বাদ রাখেনি। মানুষটা বোধহয় এই শহরে নেই। প্রতিদিন দিনের মতো নিয়ম করে খোলা জানালার দক্ষিণের পাশে আঁখিযুগল স্থির হয়ে থাকে। এই বুঝে কেউ এসে বলবে। এভাবে চোখ দিয়ে আমার সর্বশান করবেন না ম্যাডাম। আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারব না। প্রতিদিন সকালে কেউ তার জন্য অপেক্ষা করে না। এতদিন যার জ্বালাতন সহ্য করতে না পেরে, তাকে দূরে যেতে বলতো। আজ সেই মানুষটা তার ছায়ার পাশেও আসে না। মানুষটাকে ছাড়া ভিষণ অসহায় বোধ করছে মেহেভীন। ভেতরটা শূন্যতায় ভরে উঠেছে। অশ্রুকণা গুলো চোখের কার্নিশে এসেও থেমে যাচ্ছে। আজকাল বুকের ব্যথাটা ভিষণ বেড়েছে। সে কি অসহনীয় যন্ত্রনা করে। বুকটা খাঁ খাঁ করছে। ছুটে চলে যেতে ইচ্ছে করছে মানুষটার কাছে। গভীরভাবে আলিঙ্গন করে বলতে ইচ্ছে করছে। আমাকে এত মায়ায় বেঁধে কোথায় পালিয়েছিলেন। আপনাকে ছাড়া ভিষণ অসহায় আমি। আপনার শূন্যতা আমাকে ভিষণ ভাবে পোড়াচ্ছে। আপনি ফিরে আসুন আমার না হওয়া মহারাজ। আমাকে প্রতিটি প্রহরে প্রহরে বিরক্ত করুন। আমি আপনাকে কিছু বলব না। আমার আপনি হলেই হবে। আমার আর কিছু চাই না। আপনি ফিরে আসুন।
চলবে…..
(১ হাজার রেসপন্স হলে পরবর্তী পর্ব কালকে পাবেন। ডিসেম্বরের তিন তারিখে আমার জন্মদিন। আমার তোমাদের কাছে একটা জিনিস চাওয়ার আছে। তোমাদের ইচ্ছে হলে পূর্ণ করে দিও। না হলে জোড় নেই। ইচ্ছেটা হলো আমার জন্মদিনের আগেই তোমরা আমার পেজে বিশ হাজার ফলোয়ার বানিয়ে দাও। একদিনে দিতে বলছি না। এক মাস সময় আছে। তোমরা পেজে বেশি বেশি করে ইনভাইট কর। আমার ফলোয়ার বাড়াতে সাহায্য কর। যদিও আমি জানি বিশ হাজার ফলোয়ার হয়ে যাবে। তবুও কেন জানি একটু আগে দেখতে ইচ্ছে করছে। কেউ আবার চাপ নিও না। জোড় নেই বাপু। খুশি মনে দিলেই খুশি। সবাই রেসপন্স করবে। একটু গঠন মূলক মন্তব্য করবে। তা না হলে বুঝব কি করে গল্পে ঠিক লেখছি না ভুল। বেশি বেশি রেসপন্স কর আর পরবর্তী পর্ব দ্রুত লুফে নাও। শব্দসংখ্যাঃ১৭৮৫)