প্রিয়াঙ্গন #পার্ট_২৬ জাওয়াদ জামী জামী

0
319

#প্রিয়াঙ্গন
#পার্ট_২৬
জাওয়াদ জামী জামী

কোচিং-এ ঢোকার সময় ছোট চাচাকে দেখে অবাক হয়ে গেছে কুহু। সাইদ আহমেদ কোচিং-এর গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। কুহু চাচাকে দেখে খুশিতে কেঁদে ফেলল। চাচার সামনে দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করল,

” আসসালামু আলাইকুম, চাচা। তুমি এখানে? কেমন আছো তুমি? ”

” ওয়ালাইকুমুসসালাম। আমি ভালো আছি, মা। তুই কেমন আছিস? আর সৃজন ওর কি খবর? ”

” আমরা ভালো আছি, চাচা। কিন্তু তুমি বাসায় না গিয়ে এখানে এসেছ কেন? চাচি, সাদমান আর সিহা কেমন আছে? ”

” ওরা সবাই ভালো আছে। আমি ব্যাংকের কাজে রাজশাহী এসেছিলাম। তারাতারি কাজ শেষ হওয়ায় ভাবলাম তোদের সাথে দেখা করে যাই। বাসায় গেলে দেরি হয়ে যাবে, তাই এখানেই আসলাম। ”

কুহু বুঝল ওর চাচা ঐ বাসায় যেতে চায়না। তাই এমন বাহানা দিচ্ছেন।

সাইদ আহমেদ বেশ কিছুক্ষণ কুহুর সাথে কথা বললেন। তিনি সৃজনের সাথে দেখা করতে ওর কোচিং-এ যাবেন। তারপর তিনি গ্রামে ফিরবেন। যাবার আগে তিনি কুহুর হাতে কয়েকটা প্যাকেট দিলেন। তিনি ছেলেমেয়েদের জন্য ফলমূল এনেছেন। কুহু হাসিমুখে প্যাকেটগুলো হাতে নেয়। এরপর তিনি কুহুকে টাকা দিতে গেলেই, কুহু নিমরাজি হয়ে মানা করে দেয়। কিন্তু সাইদ আহমেদ ভাতিজীর কোন কথাই শুনলেননা। তিনি জোর করে কুহুর হাতে পাঁচ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে বিদায় নিলেন। তার গন্তব্য এখন সৃজনের কোচিং।

কুহু নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছে আবার নিজের পড়াশোনাও মন দিয়ে করছে। মাঝেমধ্যেই নায়লা আঞ্জুম ওকে দু-চার কথা শুনিয়ে দেয়। কুহু কোন প্রত্যুত্তর না করে নীরবে চোখ ঝরায়।

আরও কিছুদিন কেটে যায়। আর চারদিন পরই কুহুর অ্যাডমিশন। ও কোমড় বেঁধে পড়াশোনা করছে। খালা ওকে রান্নাঘরে যেতে দিচ্ছেনননা কয়েকদিন আগে থেকেই। তাই কুহু পড়াশোনার যথেষ্ট সময় পাচ্ছে। তাহমিদও নিয়মিত ওর সাথে ফোনে কথা বলছে। বড় ফুপু, ছোট চাচা প্রতিদিনই ফোন করে ওদের খোঁজ নেয়। কিন্তু কুহু আশ্চর্য হয়ে যায়, এতদিনে একবারও ছোট ফুপু ওদের কোনও খোঁজ নেয়নি! কুহু দু-একবার তাকে ফোন দিয়েছে, কিন্তু সে রিসিভ করেনি। কুহু ভাবে যখন ওর বাবা সুস্থ ছিল, ওদের পারিবারিক অবস্থা ভালো ছিল, তখন ছোট ফুপু ঠিকই ওদের খোঁজ নিত। বাবাও তাকে দুহাত ভরে জিনিসপত্র দিত। ওদের দুই ভাইবোনকেও ছোট ফুপু কতকিছু দিত। আজ কুহু সম্পর্কের সমীকরণ বুঝতে শিখেছে। ও বুঝে গেছে, স্বার্থপরেরা সম্পর্ক বলতে শুধু টাকাকেই বুঝে। টাকা আর অর্থ সম্পদকেই তারা প্রাধান্য দেয়। তাদের কাছে টাকা, অর্থসম্পদই সম্পর্কের চাবিকাঠি। এসব ভাবলে কুহুর হাসি পায়। কত সহজে মানুষ তাদের আসল রূপ দেখিয়ে দেয়!

তাহমিদ বারবার কুহুকে অভয় দিচ্ছে। কুহু অ্যাডমিশন নিয়ে বেশ চিন্তায়ই আছে। তাহমিদের সান্তনা বাণী ওকে স্থিরতা এনে দিতে পারছেনা।

ফজরের নামাজ আদায় করে বই নিয়ে বসেছে কুহু। আজকে থেকে অ্যাডমিশন শুরু। চিন্তায় ওর বুক শুকিয়ে আসছে। কিছুক্ষণ পড়ে বই বন্ধ করে, বিছানায় শরীর এলিয়ে দেয়। ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসছে। একটু ঘুমাতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু এখন ওর ঘুমালে চলবেনা। আবার বই হাতে নিতেই ওর ফোন বেজে উঠল। স্ক্রীনে তাকিয়ে ওর মুখে হাসি ফুটে উঠল।

” আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন? ”

” ওয়ালাইকুমুসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তোমার অবস্থা কি? বেশি চিন্তা হচ্ছে? ” তাহমিদ ঘুম জড়ানো গলায় জিজ্ঞেস করল।

” হুম। ”

” চিন্তার কিছুই নেই। দেখবে ভালোভাবে উৎরে যাবে। মনকে এখন চিন্তামুক্ত রাখ। প্রথমে এক কাপ কড়া লিকারের চা পান কর। তবে অবশ্যই খালি পেটে নয়। আগে হালকা কিছু খেয়ে নিবে। ভার্সিটিতে তুমি কি একা যাবে? নাকি তালুকদার সাহেব তোমার সাথে যাবে? ”

” চাচা যাবে আমার সাথে। ”

” এখন আর কোন কথা নয়। তুমি খালার কাছে যাও। আমি কিছুক্ষণ পর আবার ফোন দেব। ”

তাহমিদ ফোন কাটতেই রাজিয়া খালা ট্রে-তে করে একটা সেদ্ধ ডিম, কয়েক টুকরা আপেল আর এক কাপ ধূমায়িত চা নিয়ে রুমে হাজির হলেন। খালার কান্ড দেখে কুহুর চোখ কপালে উঠল। এই মানুষটা ওর জন্য যা করছে তা নিজের আত্মীয়রাও করেনা। তিনি নিজের টাকা খরচ করে ডিম এনেছেন, দুধ কিনছেন। এসব শুধু তিনি কুহুর জন্য করছেন। কুহু এসব খেতে না চাইলেও তিনি প্রতিদিন এসব জোর করে কুহুকে খাওয়াচ্ছেন।

বাসা থেকে বের হওয়ার আগে তাহমিদ আরেকবার ফোন করল। কুহু রিসিভ করতেই ওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তাহমিদ কথা বলল,

” টেনশন ফ্রি থাকবে। মনে রাখবে, আজ থেকে তুমি তোমার স্বপ্ন পূরণের পথে পা বাড়াচ্ছ। আজকে সিঁড়ির প্রথম ধাপে পা রাখবে তুমি। যা তোমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রথম ধাপের অর্জনই তোমাকে শেষ অব্দি নিয়ে যাবে। পৌঁছে দেবে সিঁড়ির শেষ ধাপে। যেখান থেকে তুমি অনায়াসেই তোমার স্বপ্নকে ছুঁতে পারবে। মনে থাকবে? ”

তাহমিদের কথা শুনে কুহুর মনে সাহস সঞ্চার হয়। এই মানুষটা ওকে কতভাবে সাহস দিচ্ছে ভাবতেই ওর ভালো লাগছে। এমন একটা মানুষের স্বপ্ন দেখে সব মেয়েরাই।

” এই যে মেয়ে, কোথায় হারালে? ”

তাহমিদের ডাকে চমকে উঠে কুহু। চিন্তার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসে। মৃদু হেসে কোমল স্বরে বলল,

” বাসায়ই আছি। কোথাও হারাইনি। আপনার কথা মাথায় রাখব। কোন টেনশন করবনা। ”

” গুড গার্ল। এবার বেরিয়ে পর। নইলে দেরি হয়ে যাবে। বেস্ট অফ লাক। ”

” ধন্যবাদ। ”

কুহু ফোন কেটে রুম থেকে বেরিয়ে আসে।

কুহু ড্রয়িংরুমে বসে অঝোরে কাঁদছে। ওর পাশে খালা হাসিমুখে বসে আছেন। রায়হান আহমেদ ফোনে ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বলছেন। সাইদ আহমেদের সাথে কথা শেষ করে তিনি ফোন করলেন বড় বোনকে।

রিশা, সৃজন, নিশো কুহুর সামনের সোফায় বসে মনযোগ দিয়ে ওর কান্না দেখছে। সৃজন ভাবছে, আপু বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে তবুও কাঁদছে কেন! নিশোও একই কথা ভাবছে।

” মাগো, এবার কান্না থামা। এভাবে কাঁদলে চলবে? আজকে তোর আনন্দ করার সময়। কত কষ্ট করেছিস এতদিন। আজ আর কাঁদিসনা, মা। ” রায়হান আহমেদ সস্নেহে কুহুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।

” ও মা, এবার চোখ মুইছা লও। এম্নে কাঁন্দেনা। তুমি গিয়া তোমার নানিমারে খুশির সংবাদ দিয়া আসো। সে শুইনা খুব খুশি হইব। ”

” কুহুপু, তুমি কেমিস্ট্রিতে পড়বে! ওয়াও। কনগ্রেচুলেশনস আপু। তুমি পেরেছ। এবার কান্না থামিয়ে আমাদের নিয়ে বাহিরে চল। আজকে আমরা চার ভাইবোন মিলে ফুচকা খাব। তোমার কোন বারণই শুনবনা। এক্ষুণি চল। ”

রিশা কুহুকে টেনে তুলল। আজকে কুহু ওদেরকে না করলনা। তৈরী হয়ে ভাইবোনদের নিয়ে বাহিরে বেরিয়ে গেল।

কুহু অস্থির চিত্তে পায়চারী করছে। সৃজন ঘুমিয়েছে। খালাও নিচে বিছানায় শুয়ে গভীর ঘুমে মগ্ন। কুহু ওর হাতে থাকা ফোনের বারবার তাকাচ্ছে। আজ সারাদিন মানুষটা ওকে ফোন করেনি। কুহু তাকে কখনোই ফোন করেনা। সে কখন ক্লাসে থাকে কিংবা কাজে ব্যস্ত থাকে, তা কুহু কিছুই জানেনা। তাই ও তাহমিদকে ফোন করে বিরক্ত করেনা। কিন্তু আজকে কুহুর মন কোন বারণ মানছেনা। বারবার তাকে ফোন করতে ইচ্ছে করছে। মনকে বশ মানাতে না পেরে রাত এগারোটা দশে ও তাহমিদকে ফোন করল। কিন্তু ওর মন খারাপ করে দিয়ে দুইবার বাজতেই ফোন কেটে যায়।

অবশেষে কুহুর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফোন বাজল রাত বারোটা পঁচিশে। কুহু তখনও ফোন হাতে নিয়ে বসে ছিল। একবার ফোন বাজতেই কুহু রিসিভ করল। আর সাথে সাথেই ওকে তাহমিদের খোঁ’চা’র সম্মুখীন হতে হলো।

” কি ব্যাপার, ফোন হাতে নিয়েই বসে ছিলে নাকি! আজকাল বুঝি ফোনই তোমার ধ্যান জ্ঞান হয়েছে? নাকি আমার সাথে কথা বলার তর সইছিলনা? ”

কুহু আজ তাহমিদের কোন খোঁ’চা গায়ে মাখলনা। সে সরাসরি তাহমিদকে জিজ্ঞেস করল,

” আমার রেজাল্ট দিয়েছে। আপনি শুনেছেন? ”

” নাহ্। তুমি কি আমাকে বলেছ যে আমি শুনব। ” তাহমিদ অকপটে মিথ্যা বলল। অথচ ও আগেই কুহুর রেজাল্ট জেনেছে।

” আপনি সারাদিন ব্যস্ত থাকেন, তাই আমি ফোন দেইনি। আমি আপনাকে বিরক্ত করতে চাইনি। ” কুহু ম্লান গলায় বলল।

” কনগ্রেচুলেশন, ফিউচার কেমিস্ট। তুমি সিঁড়ির প্রথম ধাপ পেরিয়ে দ্বিতীয় ধাপে সফলভাবে পদার্পন করেছ। আশা করব সামনে এভাবেই সিঁড়ির প্রতিটা ধাপ দৃঢ় পদক্ষেপে পেরিয়ে যাবে। ”

” আপনি জানেন, আমি কেমিস্ট্রিতে চান্স পেয়েছি! তবে যে বললেন, জানেননা? ” কুহুর গলায় বিস্ময় খেলে যায়।

” আমি আরও অনেক কিছুই জানি। এখানেও তুমি সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছ। আরেকবার শুভকামনা রইল তোমার জন্য। ”

কুহু তাহমিদের কথা শুনে হাসল।

ভর্তির ঝামেলা মিটিয়ে কুহু চাচার কাছে বায়না করল গ্রামে যাওয়ার। রায়হান আহমেদও রাজি হলেন। তবে তিনি এখন গ্রামে যেতে পারবেননা। তাই নিজের গাড়িতে করে সৃজন আর কুহুকে গ্রামে পাঠিয়ে দিলেন। তার আগে অবশ্য তিনি বড় বোনকে ফোন করে গ্রামে যেতে বলেছেন। সোহানী পারভিনের স্বামী আগের থেকে সুস্থ থাকায়, তিনিও ভাইয়ের ফোন পেয়ে দেরি না করে গ্রামে চলে যান।

গাড়ি থেকে নেমে কুহু তাকিয়ে থাকল তার অতি প্রিয় বাড়িটার দিকে। এই যে ওর প্রিয় অঙ্গন। যেখানে কেটেছে ওর শৈশব, কৈশোর। এখানেই একসময় রচিত হয়েছে কত সুখ-দুঃখের স্মৃতি। এই প্রিয়াঙ্গনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে কত মায়া, ভালোবাসা। আজ কতদিন পর ও পা রাখছে ওর এই ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকা প্রিয়াঙ্গনে।

সোহানী পারভিন কুহুকে দেখে দৌড়ে আসলেন। জড়িয়ে ধরে চুমু খেলেন কুহুর চোখেমুখে। সৃজনও বাদ গেলনা।

তিনদিন গ্রামে কেটে যায়। সাইদ আহমেদ প্রতিদিন কুহুদের সাথে দেখা করেছেন। তিনি বাজার করে দিয়েছেন বোনের কাছে। শিরিন এই কয়দিনে একবারও এদিকে পা মাড়ায়নি। কুহু গিয়েছিল তার সাথে দেখা করতে। কিন্তু শিরিন তেমন একটা আগ্রহ দেখায়নি। সে এক প্রকার অবহেলাই করেছে ওকে। তাই কুহুও আর তাকে বিরক্ত করতে ও বাড়িতে যায়নি।

প্রায় তিনমাসের বেশি সময় পর তাহমিদ রাজশাহী এসেছে। ও জানত কুহুরা গ্রামে গেছে। তাই বাসায় ওদেরকে না দেখে অবাক হয়না। ও বাসায় ঢুকে রাজিয়া খালার সাথে কথা বলে নিজের রুমে যায়।

” ভাইয়া, তুমি কখন এসেছ? ” রিশা স্কুল থেকে এসে তাহমিদকে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল।

” দুই ঘন্টা আগে এসেছি। তোর কি অবস্থা? পড়াশোনা কেমন চলছে? এসএসসি পরীক্ষার তো আর দেরি নেই। নিশো আসবে কখন? ”

” আমার পড়াশোনা ভালোই চলছে। নিশোর আসতে দেরি হবে। জানো ভাইয়া, আমরা কাল গ্রামে যাচ্ছি। সেখানে এবার গিয়ে দুইদিন থাকব। তুমি যখন এসেছ, এবার কিন্তু আমাদের সাথে তোমাকে গ্রামে যেতে হবে। তোমার কোন কথাই শুনবনা। ” তাহমিদ রিশার কথার উত্তর না দিয়ে নানিমার কাছে যায়।

পরদিন রায়হান আহমেদের জোড়াজুড়িতে তাহমিদকে তাদের সাথে গ্রামে যেতে হল। তাহমিদের মনটা আজ বেশ ফুরফুরে হয়ে আছে। কতদিন পর সে তার শ্যামাঙ্গীনিকে দেখবে। কতদিন ও মেয়েটার চোখের গভীরতায় হারায়না। মেয়েটার হাসির ঝংকারে হৃদয় ভেজায়না। আজ ওর বহুদিনের পিপাসিত নয়ন তৃষ্ণা মেটাবে তার শ্যামাঙ্গীনিকে দেখে। ওর শুকনো হিয়ায় এক পশলা বৃষ্টি নামবে তার শ্যামাঙ্গীনিকে দেখে।

গাড়ির শব্দ পেয়ে সৃজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কুহু ফুপুর সাথে রান্নাঘরে ছিল। সে-ও গাড়ির শব্দ পেয়ে ওড়নায় হাত মুছতে মুছতে গেইটের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। আর সাথে সাথেই ও থমকে যায় সামনে দাঁড়ানো মানুষটাকে দেখে। কতদিন পর তাকে দেখছে। অফ হোয়াইট টি-শার্ট আর কালো জিন্স পরিহিত সুদর্শন যুবকটি ওর দিকেই নিনির্মেষ চেয়ে রয়েছে। তার চোখে একরাশ মুগ্ধতা। কিছুক্ষণের জন্য কুহুর হৃৎস্পন্দন থেমে যায়। শরীর-মন জুড়ে দোলা দেয় মৃদুমন্দ মলয়। সুশীতল মলয়ে প্রনয়ের ঘ্রান স্পষ্ট।
ধুকপুক বুকে কুহু এগিয়ে যায় গাড়ির দিকে। সামনের মানুষটা নয়ন বিচরণ করছে ওর মুখাবয়বে। কুহুর ভয় হচ্ছে, এই বুঝি চাচার সামনে ধরা পরে যায়। কিন্তু ওর নয়নও যেন আজ বাঁধা মানছেনা। বারবার দেখতে চাচ্ছে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সুপুরুষকে। যেন কতদিন ওর আঁখিদ্বয়ে তাকে না দেখার তৃষ্ণা।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here