প্রিয়াঙ্গন #পার্ট_২৯ জাওয়াদ জামী জামী

0
300

#প্রিয়াঙ্গন
#পার্ট_২৯
জাওয়াদ জামী জামী

” চাচি, চলুন খেয়ে নিন। আপনি দুপুরেও খাননি। আবার এত রাত পর্যন্ত না খেয়ে আছেন। আপনার শরীর খারাপ করবে। ” কুহু ভয়ে ভয়ে নায়লা আঞ্জুমের রুমে এসে তাকে খেতে ডাকল।

” মজা নিচ্ছ? আমার অপমানে খুব শান্তি পেয়েছ? হাভাতের দল, লজ্জা করেনা আমার বাবার বাড়িতে থেকেই আমাকে জ্ঞান দিতে? বেরিয়ে যাও আমার রুম থেকে। ” খেঁকিয়ে উঠল নায়লা আঞ্জুম।

কুহু অশ্রুসজল চোখে মাথা নত করে দাঁড়িয়ে থাকল। তাহমিদ বাসায় নেই, চাচাও নেই। চাচাকে ফোন দিয়ে জানতে পারল, তিনি বাসা দেখছেন। তার ফিরতে দেরি হবে। রিশা আর নিশো দুপুরের ঘটনার পর থেকে মন খারাপ করে আছে। নায়লা আঞ্জুম খায়নি, সেজন্য কুহু আর রাজিয়া খালাও না খেয়ে আছে। ও রিশা, নিশোকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে কিছুক্ষণ আগে খাইয়ে দিয়েছে।

” আমাকে গালি দেয়ার অনেক সুযোগ পাবেন, চাচি। কিন্তু এখন আপনার খাওয়া জরুরী। চাচাও বলেছে আপনাকে খেয়ে নিতে। ”

” তোমার চাচা আসলে তাকে বেশি করে খেতে দিও। আজ তার খুশির দিন। আমাকে অপদস্ত করতে পেরে সে নিশ্চয়ই খুশি হয়েছে। তাই তাকে আমার খাবারটুকুও দিও। সে খুশিতে খেয়ে নিবে। ”

কুহু বুঝল চাচির সাথে কথা বলে কোন লাভ নেই। এখানে থাকলেই ওকে আরও কথা শুনতে হবে। তাই আর ও রুমে দাঁড়ায়না। আজ রাতে ওর আর খাওয়া হবেনা।

রাত বারোটার কিছু আগে রায়হান আহমেদ বাসায় আসলেন। কুহু চাচাকে দেখে এগিয়ে এসে খাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে, তিনি জানান খেয়ে এসেছেন। তাই কুহু নিজের রুমে চলে যায়। এরপর ও আর রাজিয়া খালা মিলে তাহমিদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সাড়ে বারোটা নাগাদ খালা ঘুমিয়ে পরলে, কুহু অপেক্ষা করছে তাহমিদের জন্য।

একটার দিকে কলিংবেলের আওয়াজ পেয়ে কুহু দরজা খুলতে যায়।

” দশ মিনিট পর ছাদে এস। ” তাহমিদ সোজা রুমে চলে যায়। ও কুহুর প্রত্যুত্তরের অপেক্ষা করলনা।

কুহু কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ও ভেবে পায়না মানুষটা এমন কেন। মাঝেমধ্যে মনে হয় তাকে হয়তো কুহু চিনতে পেরেছে। আবার মাঝেমধ্যে মনে হয় লোকটা অচেনা কেউ। আজও তার মন পড়া হয়ে উঠলনা কুহুর।

দশ মিনিট পর ছাদে এসে দাঁড়ায় কুহু। তাহমিদ রেলিংএ হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কুহু চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। ও কোন কথা খুঁজে পায়না।

” তোমার চাচির কি অবস্থা? মনে তো হয়না সে আজ খেয়েছে। আর নিশ্চয়ই তুমিও খাওনি? সে আবার নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা৷ মানুষ। ” তাহমিদের গলায় চাপা রাগ প্রকাশ পাচ্ছে।

” চাচি কিন্তু আপনার খালামনি হয়। আমার আগে থেকেও তার সাথে আপনার সম্পর্ক। ” কুহু মুখ ভার করে বলল।

” সেই সম্পর্ক চুকাতে পারলে আমার থেকে বেশি খুশি কেউ হতোনা। কিন্তু আমি হতভাগ্য একজন, এমন এক সম্পর্কের বেড়াজালে আটকা পরেছি, যেখান থেকে বেরিয়ে আসার কোন পথ নেই। ” তাহমিদের চোখে টলমল করছে অশ্রুবিন্দু।

” রাতে খেয়েছেন কিছু? নাকি দেবদাস হয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন? ”

” তোমাকে কে বলেছে আমি দেবদাস! আমি হলাম গিয়ে প্রেমিক পুরুষ। অল টাইম ফুল ফর্মে থাকি। আমাকে দেবদাস বলে দুনিয়ার প্রেমিক সকলকে কষ্ট দিওনা। প্রেমিকরা দেবদাস হতে নয়, প্রেমিকাদের হিয়ার অধিপতি হয়ে তাদের হৃদকোঠরে আধিপত্য করতে চায়। ”

তাহমিদের কথা শুনে কুহু নীরবে হাসল। ও উসখুস করছে। তাহমিদকে কিছু বলতে চায়, কিন্তু সাহসে কুলাচ্ছেনা। কথাগুলো কিভাবে বলবে সেটা ভাবতেই ওর ঘাম ছুটে যাচ্ছে।

” আজকে নানিমা অনেক খুশি হয়েছে। তিনি দুপুর থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত একবারও তার ছেলেকে কাছ ছাড়া করেননি। নানিমার মুখ থেকে হাসি যেন সরছিলইনা। ”

” সবার মা তো আর আমার মা’য়ের মত নয়। নানিমা গত আট বছর ছেলের জন্য প্রতিনিয়ত কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু তারই মেয়ে হয়ে মিথিলা আরজুমান্দ উনিশ বছর যাবৎ ছেলেকে ভুলে ছিল। একই দুনিয়ায় কত রকম মানুষ। কতইনা তাদের রূপ-রং। কত তাদের ছলা কলা। ”

তাহমিদ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। ওর চোখ বেয়ে গড়িয়ে পরল কয়েক ফোঁটা তরল। যার প্রতিটি বিন্দুতে লুকিয়ে রয়েছে শত শত হাহাকার আর দীর্ঘশ্বাস। চোখের পানি লুকাতে তাহমিদ উল্টো ঘুরল। কিন্তু তার আগেই কুহু দেখে নিয়েছে সেই অশ্রুকনাদের। তাহমিদের চোখের পানি ওর বুকের গহীনে আঘাত করল। খোলসের আবরনে ঢেকে রাখা মানুষটাকে দেখে ভেঙে পরছে ওর ধৈর্যের বাঁধ।

” আপনি কিন্তু এখনো আমার কথার উত্তর দেননি। নাকি আমার কথার জবাব দিতে আপনার ভালো লাগেনা। ” কুহু কপট রাগে বলল। ও তাহমিদের মন ভালো করার চেষ্টা করছে।

কুহুর কথা শুনে তাহমিদ ভ্যাবাচ্যাকা খায়। ও মনে করতে পারছেনা কুহুর কোন কথার উত্তর দেয়নি। ও ঠোঁট কামড়ে চিন্তা করছে। অনেকক্ষন ভাবার পরও বেচারা বুঝতেই পারলোনা ওর অপরাধ কোথায়। বাধ্য হয়েই কুহুকে জিজ্ঞেস করল,

” তোমার কোন প্রশ্নের উত্তর দেইনি আমি! এক্সকিউজ মি, তুমি কি আমাকে আদৌ কোন প্রশ্ন করেছিলে! তুমি দেখছি দিনকে দিন বড্ড সেয়ানা হচ্ছ! শোন মেয়ে, আমার সাথে সেয়ানা গিরি করে পার পাবেনা। তুমি বুনো ওল হলে, আমি কিন্তু বাঘা তেঁতুল। ”

” অযথাই আমাকে অপবাদ দেবেননা। আমি আপনাকে খাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম। আপনি এখন পর্যন্ত উত্তর দেননি। ”

কুহুর গোমড়ামুখ দেখে তাহমিদ হাসল।

” সজলের বাসায় গিয়েছিলাম। মায়া না খেয়ে আসতেই দিলনা। শোন, যেকারনে তোমাকে ডেকেছি। আমি কালকেই ঢাকা ফিরছি। ঠিক দুইদিন পর আমি এস্তোনিয়া যাচ্ছি। সেখানকার তার্টু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা কোর্সের জন্য ডাক পেয়েছি। দুইমাস থাকতে হবে সেখানে।দুইমাস পর দেশে এসে তোমাকে সারপ্রাইজ দেব। ততদিন তুমি সাবধানে থেক। তালুকদার সাহেব খুব তারাতারি বাসা ঠিক করে ফেলবেন। আমিও তার সাথে গিয়ে কয়েকটা বাসা দেখেছি।”

” কালকেই চলে যাবেন! ”

” হুম। তবে তারাতারি ফিরব। এটা নিয়ে রুমে যাও। খালাও নিশ্চয়ই খায়নি। তাকে ঘুম থেকে তুলে, দু’জন একসাথে খেয়ে নিবে। এতক্ষণে খাবার ঠান্ডা হয়ে গেছে। গরম করে নিও। এখন রুমে যাও। অনেক রাত হয়ে গেছে। ” তাহমিদ কুহুর হাতে খাবারের প্যাকেট দিল।

কুহু হাত বাড়িয়ে প্যাকেট নিল। কিন্তু কোন কথা বললনা। ওর বুকটা ভারি হয়ে গেছে। মানুষটা আসতে কি না আসতেই চলে যাবে। অথচ কতদিন পর রাজশাহী এসেছে।

কুহু কিছু না বলে চুপচাপ নিচে চলে যায়।

পরদিন সকালে তাহমিদ ঢাকা রওনা দেয়। রায়হান আহমেদ অফিসে চলে গেছেন। সৈকত আহমেদ তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বেশিরভাগ সময় ফাতিমা খানমের রুমে কাটাচ্ছে। অনেকদিন পর সে তার মা’কে ফিরে পেয়েছে। কিন্তু নায়লা আঞ্জুম রুম থেকে একবারও বের হয়নি। না সে তার ভাইয়ের সাথে কথা বলেছে , না তার স্ত্রী-সন্তানদের সাথে কথা বলেছে। সে বাসায় খায়নি। খাবার অর্ডার দিয়েছিল। সেই খাবারই সন্তানদের নিয়ে খেয়েছে। সৈকত আহমেদ তার সাথে কথা বলতে গেলেই, সে তার ভাইকে রুম থেকে বের করে দিয়েছে কয়েকবার।

কুহু বিপদে পরেছে। ওকে দেখলেই নায়লা আঞ্জুম খেঁকিয়ে উঠছে। নানা ধরনের কথা বলছে। কুহু আর সহ্য করতে পারছেনা। গতরাতে সে তাহমিদকে জানাতে চেয়েছে, ও আলাদা বাসা নিতে চায়। কিন্তু তাহমিদের মুখের দিকে তাকিয়ে আর সাহস করে উঠতে পারেনি।

কুহু বিকেলে কোচিং-এ গিয়ে সেখানকার কয়েকজন শিক্ষককে আরেকবার করে একটা বাসা দেখার কথা বলে দেয়। তারাও জানায় কুহুর জন্য একটা নিরাপদ বাসা খুঁজে দেবে। তবে একজন শিক্ষিকা জানায়, তার ফুপুর বাসায় দুই রুমের একটা ফ্ল্যাট ফাঁকা আছে। ফুপুর ছেলেমেয়েরা সবাই দেশের বাহিরে থাকে। বৃদ্ধা ছয়তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় একটা ফ্ল্যাটে থাকেন। বাকি পাঁচতলা ভাড়া দেয়া হয়েছে। বৃদ্ধা কথা বলার কোন সঙ্গী পাননা। তার স্বামী কয়েক বছর আগে মা’রা গেছেন। তাই তিনি ফাঁকা দুই রুম ভাড়া দিয়ে গল্প করার একটা সঙ্গী চান। তিনি এ-ও বলেছেন, নামমাত্র টাকায় তিনি ফ্ল্যাটটা ভাড়া দেবেন। কুহু সব শুনে কোচিং শেষে সেই বাসায় গিয়ে বৃদ্ধার সাথে কথা বলেছে।

সন্ধ্যায় রায়হান আহমেদ বাসায় এসে জানালেন, তিনি একটা ফ্ল্যাট পছন্দ করেছেন। আগামীকাল থেকেই তারা ফ্ল্যাট গোছাতে শুরু করবেন। তিনি কুহুকে ডেকে সব গোছগাছ হরতে বললেন। এবার আর নায়লা আঞ্জুম নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলনা। সে নিজের সমস্ত রাগ, জেদ ঢেলে দেয় কুহু৷ ওপরে।

” খুব বাড় বেড়েছে তোমার? আমার কাছ থেকে না শুনেই তুমি বাসা দেখেছ! এতবড় সাহস তুমি কোথায় থেকে পেয়েছ? তোমার নতুন বাসায় তুমিই যেও। আমি এই বাসা ছেড়ে কোথাও যাবনা। তোমার যেখানে খুশি তুমি সেখানে যাও। ”

” ঠিক আছে, তুমি না গেলে যেওনা। আমি আমার ছেলেমেয়েদের নিয়ে নতুন ফ্ল্যাটে উঠব। তোমার অহংকার নিয়ে তুমি থাক। আমাদের জীবনে তোমার কোন প্রয়োজন নেই। কুহু মা, তুই গিয়ে গোছগাছ করে নে। এই মহিলাকে ছাড়াও আমাদের চলবে। ”

” হ্যাঁ, এখনতো ঐ হাভাতে, ফকিন্নিই তোমার সব। যেদিন থেকে তোমার ভাই ম’রে’ছে সেদিন থেকেই যেন ওরা তোমার আপন হয়ে গেছে। আর যখন তোমার ভাবি ম’র’ল তখন এই হাভাতে দুটো তোমার আপন হয়ে গেল? এখন এই হাভাতেদের ছাড়া তোমার চলছেইনা? কিসের এত দরদ? যার যেখানে স্থান, তাকে সেখানেই রাখতে হয়। তুমি পায়ের জুতাকে মাথায় তুলছ। ভুলে যেওনা আমি তোমার স্ত্রী। আমি চাইলেই নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে তোমাকে চৌদ্দ শিকের ভাত খাওয়াতে পারি। তাই যা করার ভেবেচিন্তে করবে। ”

নায়লা আঞ্জুমের করা আজকের অপমান কুহু কিছুতেই সহ্য করতে পারলনা। ওর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। কিন্তু ও মুখ খোলার আগেই রায়হান আহমেদের গলা শুনতে পায়।

” খবরদার নায়লা, আমার ভাই-ভাবী কিংবা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে কোন কথা তুমি বলবেনা। তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা। তোমার মত স্ত্রী’কে আমার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে আমি তোমাকে ডিভোর্স দেব। তোমার…

রায়হান আহমেদ কথা শেষ করতে পারলেননা। তার আগেই কুহু কথা বলল।

” চিন্তা করবেননা চাচি, আমি কালকেই সৃজনকে নিয়ে এই বাসা থেকে বেরিয়ে যাব। এই হাভাতেদের মুখ আপনার আর দেখতে হবেনা। আপনি বরং মন দিয়ে সংসার করবেন। চাচা, তুমি আমাদের জন্য কেন নিজের সংসারে অশান্তি ডেকে নিয়ে আসছ! আমি আজই একটা বাসা দেখেছি। তবে কোন কথা দিইনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে কথা দিলেই ভালো হত। আমি এক্ষুনি বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলব। কাল সকালেই সৃজনকে নিয়ে এখান থেকে চলে যাব। ”

” কুহু মা, এসব তুই কি বলছিস? তুই কোথাও যাবিনা। তুই আমার সাথে আমাদের নতুন ফ্ল্যাটে উঠবি। দেখি কে তোকে আটকায়। ”

” না চাচা, তা আর হয়না। আমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আর যাইহোক নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে আমি তোমার সাথে নতুন বাসায় যাবনা । আমাদের বাবা-মা নেই বলে কি যে কেউ আমাদের পায়ে মাড়াবে? এটা আমি কখনোই হতে দেবনা। এছাড়াও অনেক আগেই আমি এখান থেকে বেরিয়ে যেতাম। শুধু তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে মাটি কামড়ে পরে ছিলাম। কিন্তু আর নয়। আমি রাজশাহীতে থেকেই সৃজনকে পড়াশোনা করাব আর নিজেও পড়ব। চিন্তা করোনা, এখন দুইটা কোচিং-এ পড়াচ্ছি। সামনে অন্য কোথাও কাজ নিব। আর বাবার যে কয়টা টাকা আছে, সব মিলিয়ে আমাদের দুই ভাইবোনের ভালোই চলে যাবে। তুমি আর আমাদের আটকাবেনা প্লিজ। আমাদের জন্য দোয়া করবে। ” কুহু আর সেখানে দাঁড়ায়না। দৃঢ় পায়ে রুমের দিকে হেঁটে যায়।

এতক্ষণ রাজিয়া খালা রুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে সব শুনছিলেন। তিনি সৈকত আহমেদের ছেলের জন্য নুডলস বানিয়ে এনেছিলেন। সৈকত আহমেদের রুমে যাওয়ার সময় কথাগুলো তার কানে যায়।

কুহুর এমন সিদ্ধান্ত শুনে খালার চোখে পানি জমেছে। তিনি তাহমিদকে কি বলবেন? এখন যদি এসব কথা তাহমিদের কানে যায়, সে আবারও রাজশাহী ফিরে আসবে। তুলকালাম কান্ড বাঁধিয়ে দেবে। হয়তো তার আর বিদেশ যাওয়াই হবেনা। অনেক কিছু ভেবে খালা এখনই তাহমিদকে কিছু না বলার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে কুহুর সাথে আলোচনা করতে হবে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here