হৃদয়_সায়রে_প্রণয়ের_ছন্দ|২০| #শার্লিন_হাসান

0
490

#হৃদয়_সায়রে_প্রণয়ের_ছন্দ|২০|
#শার্লিন_হাসান

এরই মাঝে বেশ কয়েকদিন কেটে যায়। সেরিনের ও এক্সাম শেষ হয়। আগামী কালকে সে কুমিল্লা যাচ্ছে। যদিও এখন কেউই নেই তাঁদের বাড়ীতে। সবাই সবার জায়গায়। তবুও সেরিন ভীষণ এক্সাইটেড তার পরিবারের কাছে যাবে।
ঢাকা শহরে এসে অল্পদিনে কয়েকজন বন্ধু পেয়েছে সেরিন। তবে আদ্রিতা মেয়েটা একটু বেশী কাছের হয়ে গেছে। সেরিন জেনেছে তার গ্রামের বাড়ী ও কুমিল্লা।

সেরিন নিজের টুকটাক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যাগে গুছিয়ে নেয়। তবে বাড়ীতে তার সবই আছে। মাহী এসেছে সন্ধ্যায়। আগামী কালকে সেরিনকে নিয়ে কুমিল্লায় যাবে।

যদিও তাঁদের ভাই বোনের সন্ধ্যাটা আড্ডা গল্পে শেষ হয়েছে। শশীর এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানের সব ঘটনা এ টু জেড শুনে নিয়েছে সেরিন। যদিও তার আফসোস নেই না থাকায়।

*******

সন্ধ্যায় শুভ্র চিঠি সমূহ ভাজ করে যত্ন সহকারে রাখে। লাস্ট চিঠিটার পরের চিঠিগুলো হযবরল তাই শুভ্র সেগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। এরপরের চিঠিগুলো সে ছুঁয়েও দেখেনি তবে নজরে এসেছে চিঠি নিয়ম করে আসতো। শুভ্রর মনে হয় কেউ এসবে বা হাত ঢুকাতে চেয়েছিলো। কিন্তু সে তো জানে না শুভ্র ঠিক কতটা চালাক।

তখন আবার আর্থ আসে শুভ্রর রুমে। শুভ্রকে চিঠি নিয়ে পড়ে থাকতে দেখে সে বলে,
‘চিঠি, চিঠি আর চিঠি তা বাবহর আম্মুকে পেলে তো?’

‘আগামী কালকে পাবো আশা করি।’

আন্দাজি কথাটা বলেছে শুভ্র। আর্থ ও মজার ছলে নিয়েছে কথাটা। তবে সে শুভ্রকে বিয়ের জন্য রাকী করাতে এসেছে। তাহলে আগামী কালকে তারা তার বাবার বন্ধুর মেয়েকে দেখতে যাবে। শুভ্র আর না করেনি! সেও বলেছে আগামী কালকেই যাবে। আর্থ ও খুশি হয়ে প্রস্থান করলো। শুভ্র বুঝেছে সেরিনকে সে যতই নিজের করতে চাইলে তার থেকে দ্বিগুণ দূরত্ব তৈরী হচ্ছে। সেরিন তার হবে না! কিন্তু সেরিন চলে যাওয়ার পর শুভ্রর খারাপ লেগেছিলো। সেদিন টিসি দিয়েছিলো সেরিন হাসিমুখে শুভ্রর রুম ত্যাগ করলেও শুভ্রর মোটেও ভালো লাগেনি। মেয়েটা এতো খুশি কেন তার থেকে পালানোর জন্য? শুভ্র এখনো সেরিনের পেজ ফলো করে। বেশী ভিডিও না আপ দিলেও যা দেয় সেটাই দেখে। তাতেই জেনো শুভ্রর ভালো লাগা কাজ করে।

কাজের লোক থাকা সত্ত্বেও আজকাল রাতের খাবারের দায়িত্ব জান্নাতুল ফেরদৌস নেন। ব্যপারটা সুলতানা খানমের কাছে কেমন জেনো লাগে। রাতে ল্যাপটপ রেখে তিনি কিচেনে যান। তখন জান্নাত সালাদ কাটছিলো চুরি দিয়ে। সুলতানা খানমকে দেখে বলেন,
“কিছু বলবে?”

“আজকাল তুমি রান্নাবান্না নিয়ে বেশী মাথা ঘামাচ্ছো না?”

“হুম ঘামাচ্ছি কারণ আমি বড় বউ। আমার দায়িত্ব বেশী।”

“উঁহু! তুমি বড় নও। বড় একজন ছিলো তার অনুপস্থিতিতোও তাকেই আমরা বড় মানবো। বলো যে বড় ভাবীর দায়িত্বটা তোমার উপর পড়েছে। তবে যাই বলো তার মতো কিছুই হচ্ছে না।”

“সুলতানা…..”

“যেটা সত্য সেটাই বললাম। আসলেই ভাবী কার এক্সিডেন্টো মা’রা গিয়েছিলো?”

“তোহ কী? তুমি কী বুঝাতে চাইছো তাকে আমি মে”রেছি?”

“না সেটা না। তবে তার অভিনয় কিন্তু দারুণ ছিলো। সে নিত্যান্ত একজন ভালো মানুষ ছিলো সেজন্যই তার পেছনে এতো শত্রু পড়েছিলো।”

“ভালো মানুষের পেছনে শত্রু থাকে এটাই স্বাভাবিক।”

সুলতানা খানম আর কথা না-বাড়িয়ে চলে আসেন। বাকীরাও আস্তে,আস্তে নিচে আসছে ডিনারের জন্য। দশটায় সবাই ডিনারের জন্য বসে পড়ে। আগামী কালকে তারা শুভ্রর জন্য মেয়ে দেখতে যাবে। এটাই ফিক্সড করা হয়েছে।

শুভ্র ও সবার সাথে হাসিখুশি ভাবে কথা বলে রুমে এসেছে। মেয়ে পছন্দ হলেও বিয়েটা করবে না শুভ্র। সবার জ্বালা যন্ত্রণায় মত দিয়েছে। কী জানি! যদি তার বাবার কথা বা সন্মানের কথা ভেবে বিয়েটা করে নিতে হয়।

********

পরের দিন সকালে সেরিন মাহী কুমিল্লার উদ্দেশ্য রওনা হয়। তিন ঘন্টার ট্রেন জার্নি করে তারা দাউদকান্দি আসে। সেখান থেকে সোজা পাটওয়ারী বাড়ীতে। বাড়ীর পথেই চৌধুরী বাড়ী সাথে “মিসবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী হাইস্কুল এন্ড কলেজ” যেটা শুভ্রদের। সেরিন সেদিকটায় চোখ ভোলায়। তবে ইন্টারেস্টিং কিছুই দেখেনি। বারোটার দিকে পাটওয়ারী বাড়ীতে আসে তারা। সেরিনকে দেখে শশী জেনো খুশিতে আটখানা। সে তো প্রায় বিশ মিনিটের মতো সেরিনকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। একে,একে সেরিন সবার সাথে দেখা করে। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নেয় সেরিন। বড্ড মায়া হয় নিজের সাজানো রুমটার জন্য! তবুও মায়া ত্যাগ করাই উত্তম।

চৌধুরী পরিবারের সবাই এসেছে মিনিস্টার আয়ান মালিথার ‘মালিথা’ ভিলাতে। চৌধুরী পরিবারকে সুন্দর ভাবে আপ্পায়ন করা হয়। আয়ান মালিথার স্ত্রী তিথির সাথে জান্নাতুল ফেরদৌসের ভাব আগে থেকেই। এখন তাঁদের সম্পর্ক আরো প্রগাঢ় হবে ভাবতে ভীষণ খুশি জান্নাতুল ফেরদৌস। বলা যায় তারাও ছোট বেলার বেস্টফ্রেন্ড ছিলেন।

শুভ্র বসে আয়ান মালিথার সাথে কথা বলছে। ভদ্রলোকের সাথে কথা বলে শুভ্রর ভালো লাগলো। কে জানে তার মেয়েটা কেমন হয়?

ভাবনা গুচ্ছ একদিকে তুলে রেখে শুভ্র সটান হয়ে বসে। এই মূহুর্তে কনেকে আনা হবে। মেরুন কালারের থ্রিপিস পড়া সুন্দরী সুশীলা কন্যা। মুখে নেই তেমন কোন প্রসাধনী। আয়ান মালিথার একমাত্র মেয়ে আর্শিয়া মালিথা। সবাইকে সালাম দিতে জান্নাতুল নিজের পাশে তাকে বসালেন। তিনি খুশি আটখনাার বদলে ষোলো খানা হয়ে নিজের হাতপর রিংটা দেরী না করে আর্শিয়ার হাতে পড়িয়ে দিলেন। তার কাজে বাকীরাও কিছুটা হতভম্ব। শুভ্রর তো রাগ উঠে যায়। তবুও নিজেকে কন্ট্রোল রাখে। বাকীরা হাবার মতো তাকিয়ে আছে।

আর্শিয়াকে দেখাদেখি হলে কিছুই বলেনা চৌধুরী পরিবার। আয়মান চৌধুরী আরফিন চৌধুরীকে দমিয়ে রেখে নিজে সবার উদ্দেশ্য বলেন,
“শুভ্র যা বলে তাই হবে। বিয়েটা ওর, অর্ধাঙ্গিনী ওর হবে। আমাদের পছন্দের বা মতের কোন প্রশ্নই উঠে না এখানে।”

সবাই আয়মান চৌধুরীর কথাটা পছন্দ করলেও জান্নাতুল পছন্দ করলেন না। আয়মান চৌধুরী কী ইনডিরেক্টলি বুঝাতে চেয়েছে বিয়েটা হবে না। আর উনি নিজের শখের আংটিটা খোয়ালেন?

সেদিনের মতো মালিথা ভিলা থেকে বিদায় নিয়ে চৌধুরী পরিবার চলে আসেন।

*******

পরেরদিন সকালে শুভ্র রেডি হয়ে বেড়িয়ে যায় কুমিল্লার উদ্দেশ্য। সিহান পাটওয়ারীকে সে একান্ত ডেকেছে। তার ডাকে সায় না দিয়ে থাকতে পারলেন না সিহান পাটওয়ারী। তিনিও কুমিল্লার উদ্দেশ্য রওনা হোন।

নিদ্দিষ্ট সময়ে শুভ্রর দেওয়া ঠিকানায় আসেন তিনি। তার পেছন দিয়ে শুভ্র আসে। শুভ্র কফি অর্ডা দিয়ে চোখের চশমাটা খোলে। সিহান পাটওয়ারীর মুষ্টিবদ্ধ হাতে হাত রেখে শুভ্র বলে,

‘আংকেল আমি পার্সোনাল ভাবে আপনায় ডেকেছি। তবে আমি আমার লাইফ স্টাইল, ব্যাকগ্রাউন্ড, পার্সোনালিটি নিয়ে কিছু বলতে চাইনা। ছেলে হিসাবে একটা রিকুয়েষ্ট করবো। যেটা আমার জায়গায় আমার হয়ে আমার বাবা করলে আপনি ফেলতে পারতেন না।”

“বলো কী রিকুয়েষ্ট? ”

“সেরিনকে আমি বিয়ে করতে চাই। আমি জানি আপনারা সবাই অক্ষরের জন্য অপেক্ষা করছেন। বাট অক্ষরের আগে আমি ওকে চেয়েছি।”

“কিন্তু আমি আমার মেয়েকে বিয়ে দেবো না এখন। অক্ষরের কাছেও না।”

“আমার কাছেও না?”

“দেখো সেরিন অনেক ছোট। মাত্র আঠারো তে পা রেখেছে। এখনি যদি বিয়ে দিয়ে দেই তো ওর স্বপ্ন আশা সবই তো অপূর্ণ?”

“আমি জানি ওর স্বপ্ন একদিন মাইক হাতে গান গাইবে। ওর একটা পরিচয় হবে। তবে সত্যি বলতে যদি টিচার হিসাবে বলেন ওর স্বপ্নটাকে আমি এপ্রিসিয়েট করি। আমিও ওকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি একদিন ও হাতে মাইক ধরে গান গাইবে। হাজারো মানুষের মুখে ওর নাম থাকবে। আংকেল আমি ওকে হেল্প করবো এজ এ হাসবেন্ড হিসাবেও,টিচার হিসাবেও।”

“কিন্তু….”

“কোন কিন্তু না আংকেল। চিন্তা করবেন না আপনার মেয়কে আমি ফুলের মতো সাজিয়ে আনবো ফুলের মতো করেই রাখবো। আমি শুভ্র! হ্যাঁ এই শুভ্র কথা দিচ্ছে আপনার মেয়ের স্বপ্ন পূরণ থেকে শুরু করে সমস্তটার দায়িত্ব সুন্দর ভাবে পালন করবে। একদিন আপনার মেয়ে আপনাকে জড়িয়ে ধরে প্রাউড ফিল করে বলবে, ‘বাবা আমি আমার স্বপ্ন ছুঁতে পেরেছি।’ আর বেশী কিছু বলতে চাইনা আপনায়।”

“ঠিক আছে। রাজী হলাম আমি। তবে ভেবো না আমার মেয়ের দায়িত্ব নিচ্ছো বলে বা লোভ। আমার সামর্থ্য আছে ওকে ওর স্বপ্নে পৌঁছে দেওয়া। তবে তোমাকে বাড়ী থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে আর তুমি সেরিনকে চাচ্ছো। আমি জানি তুমি ভীষণ ভালো একটা ছেলে। সেজন্য ভরসা পেলাম। তোমার কথাটা পেলতে পারলাম না।”

“তাহলে বিয়েটা কবে হচ্ছে?”

“সাহিনূর আমার বোন কখনোই বিয়েটা হতে দিবে না। আর আমি চাই হুট করে একদিন তোমরা আসো আর বিয়েটা হোক। যাতে সবাই সারপ্রাইজড হয়ে যায়।”

“আমি চাই সেরিন নিজেও যাতে বিষয়টা না জানে এখন।”

“জানবে না তোমার আর আমার মাঝেই থাকবে।”

সেদিনের মতো তারা কথাবার্তা বলে বেড়িয়ে পড়ে।

*******
সন্ধ্যায় পাটওয়ারী বাড়ীতে আসে অক্ষর। মূলত সেরিনকে দেখার জন্যই। অনেক অপেক্ষার পর সেরিনের দর্শন পায় অক্ষর। খুশিতে আটখানা সে। সেরিনকে দেখেই বলে,
“কেমন আছো বউ?”

“ভালো।”

সেরিনের ভালো লাগেনি কথাটা। ‘বউ’ শব্দটা শুধু মাত্র একজনের মুখ থেকেই সে শুনতে চেয়েছে। কিন্তু তার তো হেলদোল নেই সেসবে। অক্ষরকে বেশী পাত্তা দেয়নি সেরিন। তবে সে জেনো আঠার মতো লেগেছিলো।

বেলকনিতে বসে ডায়েরি লিখছে সেরিন। ছোট,ছোট পৃষ্ঠায় লিখছে কিছু। একটা বড় অভিমান বার্তা কারোর জন্য। লেখা শেষে রুমে চলে আসে। ফোনে এলার্ম সেট করে শুয়ে পড়ে সে। আদ্রিতার মেসেজ আসে। মেয়েটা নাকী কুমিল্লায় এসেছে। সেরিন আদ্রিতার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে। নেট ওফ করে ঘুমিয়ে পড়ে।

*******

নামাজ আদায় করে কফিটা শেষ করে শুভ্র কলেজের কাছের দীঘির পাড়ে যায়। সেখানে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে এদিকটায় আসতে দেখে দপ্তরি এসেছে। তখন সাতটা বাজে! কলেজ প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করছে তারা। শুভ্র তার অফিসকক্ষে যায়। নিজেকে দেওয়ালের একপাশের লুকিয়ে নেয়। আজকেও নিশ্চয়ই অপরিচিতা আসবে চিঠি দিতে। যেহেতু সেরিনের সাথে বিয়েটা হবে সেহেতু একটু চিঠির মালিককে দেখার ইচ্ছে হলো।

অপরিচিতা ওরনাটা ভালো ভাবে মাথায় পেছিয়ে মুখটা ঢেকে গেট দিয়ে প্রবেশ করে। দ্রুত পায়ে অফিসকক্ষের বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়ে। বাকীরা তো বাইরে ভেতরে কেউই নেই। ত্রস্ত পায়ে দোতালায় যেতে দেখলো একজন করিডোর দিয়ে আসছে। নিজেকে কিছুটা আড়াল করে নেয় সে। তবে অন্য একজনের সামনে পড়লে সমস্যা ছিলো না। সেই দপ্তরি জানে সে যে আসে।

সাবধানতার সাথে শুভ্রর রুমের দিকে যায় অপরিচিতা।শুভ্রর রুমের দরজা খোলা। সেদিকটায় যাবে নাকী চিঠি গুলো করিডোরে রাখা বেঞ্চের কোণে রাখবে ভাবছে। পরক্ষণে ভাবলো অন্য কেউ যদি চিঠিগুলো ফেলে দেয়। তাই তো সে সিসি ক্যামেরার দিকে একনজর তাকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। টেবিলের উপর চিঠিগুলো রেখে পা বাড়াতে তার ওরনায় টান পড়ে যায়। আচমকা এমন হতে ভয় পেয়ে যায় সে। মুখ থেকে মাথা থেকে ওরনা সরে গিয়েছে তার। চুলগুলো এলোমেলো! শুভ্র মুচকি হেসে ওরনাটা বাবুর আম্মুকে বউ সাজানোর মতো করে গোমটা তুলে দেয়।

“হুম! একজনের প্রেমেই ভালো ভাবে পড়লাম। চঞ্চল মেয়েটার এতো গুণ এতো বুদ্ধি কোথা থেকে আসলো? যাই হোক তুমি পাশ করেছো।”

“ইয়ে না মানে বাবুর আব্বু এভাবে কেউ ভয় দেখায়?”

শুভ্র হাসে। তার হাসিটা স্নিগ্ধ লাগছে। মনে হয় সে প্রচুর খুশি। একহাতে আজকের চিঠিগুলো নেয় শুভ্র। দু’টো চিঠি এসেছে। একটর উপর অভিমান বার্তা লেখা শুভ্র সেটাই আগে খুলে দেখলো।
চিঠিটা,
অভিমান বার্তা:
‘বাবু আব্বু’
জানেন? বাবুর আম্মু মানে আমি একটা হার্টলেস মেয়ে মানুষ। সহজে কাউকে মনে বসাই না। যদি বলে ছেলে মানুষদের ইগনোরের কথা আমার মনে হয় আমি প্রথম হবো। না কোন ছেলে ফ্রেন্ড আছে, না ছেলে কাজিনের সাথে তেমন ভাব। বাট একজন ছেলে ছিলো যাকে প্রথম বার দেখে আমি তার এট্টিটিউডে ফিদা হয়ে যাই।………

#চলবে

(বাকীটা আগামী কালকে! ইন্টারেস্টিং কিছু আছে। যদি এই পার্টে ভালো রেসপন্স পাই বা ২কে+ লাইক উঠে তাহলে আগামী কালকে দিনে আমি পরবর্তী পার্ট লিখে দেবো। আমার ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে হলেও লিখে দেবো। এখন বাবুর আম্মুটা শুভ্রর কাছে পরিষ্কার আগামী কালকে সবার কাছে। এনি ওয়ে বিয়ের অগ্রীম দাওয়াত। কেউ বকা দিবা। তোমাদের কথা রাখছি কিন্তু।😏🤍)

আমার গ্রুপ লিংক, ( জয়েন হওয়ার অনুরোধ রইলো)

https://facebook.com/groups/582123563029858/

চলমান পার্টের লিংক,
https://www.facebook.com/100077548442342/posts/392493130012299/?app=fbl

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here