চক্ষে_আমার_তৃষ্ণা #ইয়ানুর_আক্তার_ইনায়া #পর্ব-৩৬

0
533

#চক্ষে_আমার_তৃষ্ণা
#ইয়ানুর_আক্তার_ইনায়া
#পর্ব-৩৬
১১৩.
তোমার ভালোবাসা ছাড়া আমার জীবন অসম্পূর্ণ থাকবে।তোমার নিঃশর্ত ভালবাসা এবং যত্ন দিয়ে আমায় প্রাণবন্ত করে তোলে।শুভ জন্মদিন আমার আদূরনী।জম্মদিনে উইশটা করতে দেড়ি হয়ে গেলো।পরেরবার সবার আগেই আমি তোমায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবো।

পুতুল চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে অর্পণ তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।পুতুল আগের কথা মনে করতেই ঢোক গিলো।তাড়াহুড়ো করে পিছনে পা ফেলতে হোচঁট খেয়ে পড়তে নিলেই অর্পণ,পুতুলের ডান হাতটা ধরে ফেলে।

চোখের সামনেই কি ঘটে গেলো?পুতুল ভয় পাচ্ছে।আবার নিজের ওপর রাগ হচ্ছে।এই প্রথমবার কোনো পুরুষ তার হাতটা স ইচ্ছা ধরেছে।আর সে অপর হাতটা না সরিয়ে সেই হাতটাকে নিজের অজান্তেই আঁকড়ে ধরলো।
পুতুল হাতটা ছুটিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ির পথে হাঁটতে লাগে।

পুতুলের এমন করায় অর্পণ রাগ করেনি।বরং মুচকি হেসে তার পিছু পিছু হাঁটতে শুরু করে।

আই এম সরি।আসলে আমার সেইদিন অন্য একটা বিষয় নিয়ে একটু রাগ ছিলো।সেই রাগটা তোমার ওপর দেখিয়ে ফেলেছি।যা আমার করা একদম উচিত হয়নি।আই এম রিয়েলি সরি।প্লিজ সরি একসেপ্ট কর।দেখ তুমি যদি আমার সরি একসেপ্ট না কর।তাহলে আমি খুব কষ্ট পাব।আমি মানছি।আমার ওই রকম রিয়াকশন দেওয়টা ভুল জায়গায় ছিল।তার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী।

অর্পণ এত করে সরি বলাতেই পুতুল চোখ ঝাপটিয়ে বলল,

ইস ওকে।সে পুতুলের ভাষাটা হয়তো ততক্ষণে বুঝে নিয়েছে।

এইদিকে চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলের সাথে পুতুলকে দেখতে পায় সবুর মিয়া।

ওহ তাইলে গ্রামে এসব কাহিনি চলে।এরজন্যই কি স্বাধীন প্রস্তাব মেনে নেয়নি।বড়োলোক বাড়ির পিছনে মেয়েকে লেলিয়ে দিয়ে স্বাধীনের এখন সাধু সাজা হচ্ছে।দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা।

বাহ,বাহ,কি অপরুপ দৃশ্য?দেখলেই মনে হবে গ্রামের মধ্যে প্রেমলিলা চলছে।মেম্বার আপনি চুপ থাকলেও গ্রামের মানুষ কিন্তু চুপ থাকবে না।তারা কিন্তু এসব মানবে না।এটা একটা বিহিত করেন।

রমিজ মেম্বার চেয়ারে বসে বলল,জমি চাইলাম দিলো না।জমিটা টাকা দিয়া কিনতে চাইলাম।তা ওহ মানলো না।চুপচাপ মেনে নিলাম।দাতঁ কামড়ে সয্য করলাম।আবার ভাতিজার জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিলাম মানলো না।কিন্তু এখন তোও এসব ফষ্টিনষ্টি মেনে নিবো না।সবুর গ্রামের লোকের কানে একটু কথাটা তুলো।আর হ্যা অবশ্যই ঘি টা যেন বেশি পরে।আজ রাতই হবে ওদের শেষ রাত।আমি ওদের এই এলাকা ছাড়া করব।তারপর সুযোগ বুঝে রাতের শেষ প্রহরের মেরে গুম করে দিব।সকাল হওয়ার আগেই রাজীব হকের বাড়ির সব লোক নিরবংশ হবে।

মেম্বার রমিজের কথায় পুতুলের গায়ে মিথ্যে কলঙ্ক দাগ লাগিয়েছে।পুরো গ্রামে ছড়িয়ে দিয়েছে।চেয়ারম্যান ছেলের সাথে স্বাধীনের ভাগ্নীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে।গ্রামের লোক ছি,ছি, ছি করতে লাগল।স্বাধীনদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথেই মহিলারা থু, থু মারছে।মহিলাদের ব্যাবহারে পুতুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে সবটা দেখেই এগিয়ে আসে।

দেখ মায়ের মতো নষ্টামি করে সাধু সাজছে।যেনো ভাজা মাছটা ওহ উল্টে খেতে জানে।অথচ পুরো মাছটাই খেয়ে বসে আছে।নষ্টা মেয়ে কোথাকার।

স্বাধীন ঘর থেকে বের হয়ে এমন কটুবাক্য শুনে চিতকার করে।

আপনাদের এত বড় সাহস।আমার বাড়িতে দাঁড়িয়ে আমার মেয়েকে মিথ্যে দোষারোপ করেন।আমার মেয়ে আপনাদেরটা খায় না-কি পড়ে।যে বাড়ি বয়ে এসে কোথা শুনাচ্ছেন।কোন অধিকারের এসেছেন আমার মেয়েকে কথা শুনাতে?আমি আপনাদের সেই অধিকার দেয়নি।আর একবার আমার মেয়েকে নিয়ে যে কু কথা বলবে।তার জিহ্বা আমি কেটে আমার বাড়ির সীমানায় ঝুলিয়ে রাখব।যান এখান থেকে।

ওহ মা এ দেখি অন্যায় করে গলা বাজি করছে।এই শিক্ষায় শিক্ষিত করছো মেয়েকে।বড়লোক বাড়ির ছেলের পেছনে বোবা মেয়ে লাগিয়ে আবার বড় বড় কথা বলছো।লজ্জা তোমাদের নেই।কিন্তু আমাদের আছে।আমরা আর এই নষ্টা মেয়েকে আমাদের গ্রামে রাখব না।এই মেয়েকে আজই গ্রাম থেকে বের করব।মেম্বার সাহেবকে খবর দিচ্ছি।তিনি যা করার করবেন।কথায় আছে না জোরের মায়ের বড় গলা।অন্যায় করে আবার উচ্চস্বরে কথা বলা বের করছি।

মহিলাদের কথা শেষ হতে দেড়ি।রমিজ মেম্বার গ্রামের ছেলেপেলে এমনকি গ্রামের কিছু লোক নিয়ে স্বাধীনদের বাড়িতে হাজির।তার সাথে গুন্ডা টাইপের লোক নিয়ে এসেছে এদের প্রত্যেকের হাতে বাশঁ,দা,ছুরি।বাড়িতে এত হৈচৈ শুনে মিলন,সাজু,রেনু একটু আগেই ঘর ছেড়ে বের হয়ে আসে।পুতুলকে নিয়ে এমন জগন্য অপবাদ শুনে রেনু মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল,

আমাদের পুতুল কিছু করেনি।আপনারা তাকে ভুল বুঝছেন।
পুতুল তুই চুপ করে আছিস কেন?ওরা যা বলছে সেসব সত্যি নয়।তুই বল,চেয়ারম্যানের ছেলের সাথে তোর কোনো সম্পর্ক নেই।ওরা শুধু শুধু তোকে দোষ দিচ্ছে।আমি জানি তোও।আমাদের পুতুল কিছুই করেনি।

পুতুল দুই চোখের পানি ফেলে মামার দিকে ছুটে গেলো।হাত নাড়িয়ে বলছে,

গ্রামের লোকেরা তাঁকে ভুল বুঝেছে। চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।সে লোভী নয়।টাকার জন্য সে কাউকে ফাসায় নিই।

স্বাধীন মেয়ের চোখের পানিটুকু মুছে দেওয়ার আগেই পুতুলকে ধাক্কা দিয়ে গ্রামের কিছু মহিলাদের হাতে তুলে দেয়।স্বাধীন ধরতে গেলে তাঁকে গ্রামের পুরুষরা আটকে ধরে রাখে।মেম্বারের ভাড়া করা গুন্ডাগুলো বাঁশ দিয়ে স্বাধীনকে পিটিয়ে যাচ্ছে।মামার চিতকারের পুতুল ছটপট করতে লাগল।সবার কাছে হাত তুলে আকুতি বিনুতি করলো তাকে ছেড়ে দিতে।কিন্তু তাকে ছাড়া হলো না।রেনুকে ঘরে আটক রেখেছে।আর সাজু,মিলনকে খুঁজে পাওয়া যায় নিই।

এই মেয়ের চুল কেটে নেড়া করুন।মুখে চুলকানি মাখিয়ে দশ গ্রাম হাঁটিয়ে এলাকার বাহিরে ছুড়ে মারুন।রাজিয়া তার নাগরের লগে ভাইগা এই খা*নকিরে জম্ম দিয়েছে।মায়ের মতো নটি*মা* একটা।আজকে ওরে এমন শিক্ষা দিমু।গ্রামের মধ্যে এসব কু*র্কাম করা সাহস দ্বিতীয়বার করার কথা কেউ ভাববে না।

মেম্বার কথায় স্বাধীন চিতকার করে।পুতুলকে ছেড়ে দিতে বলে।রেনু দরজা ধাক্কায় খুলে দেওয়ার জন্য।কিন্তু তাদের কথা কেউ শুনে না।মেম্বারের কথা মতো।তারা পুতুলের চুল কেটে নেড়া করার সিদ্ধান্ত নেয়।পুতুল তাদের সামনেই নিশ্চুপ।একটা শক্ত পাথর।তার কানে আসছে মায়ের নামক করা উপরোক্ত কথাগুলো।মামাকে মারার দৃশ্য।রমিজ মেম্বার ইশারা দিতেই।একজন পুরুষ পুতুলের মাথায় পেচানো ওড়না টান মেরে খুলতে গেলেই পুতুল ঘুরে লাথি বসায়।পুতুল একজন পুরুষকে আঘাত করতেই আরেকজন পিছন থেকে বাশঁ দিয়ে পুতুলের পিঠের মধ্যে ঠাসস করে বারি মারে।পুতুল মাটিতে পরে যায়।চোখ দিয়ে পানি পরে।মেয়েটা ব্যাথা কুকিয়ে উঠে।কিন্তু তার কষ্ট দেখা’র জন্য কেউ বসে নেই।সবাই আজ তাকে মেরে ফেলতে এসেছে।

পুতুলের গায়ের ওড়না টান দিয়ে নিতেই পুতুল দৌড়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজা বন্ধ করে।মাটিতে কপাল ঠুকে।কেন তার বেলায় এত কষ্ট?এত মরণ জন্তনা কেন?মনে মনে আল্লাহ কাছে নিজের মৃত্যু কামনা করে বসে।সে আর পারছে না।আজ তার জন্যই তার মামার পরিবারে অশান্তি।গ্রামের লোকেরা তাদের আগেই এক ঘর করেছে।তার অপয়ার জন্য আজ এই ভয়ংকর অবস্থা হয়েছে।সেই দায়ী।পুতুলের ভাবনার মাঝেই নিজের ঘরের মধ্যে কেরাসিন তেলের গন্ধ পেয়ে চমকে উঠে।বাহিরে থেকে গ্রামের লোকেদের শব্দ আসছে।তারা তাঁকে পুড়িয়ে মারবে।পুতুল কান্না মাঝে-ও হেঁসে দেয়।সেই ভালো হবে।
তার জন্য এই সুন্দর পৃথিবী নয়।সে ভুল করেছে।জম্মের সাথে সাথে মরে গেলেই ভালো হতো।বাবা,দাদী তাকে দেখতে পারেনি।আজ যাদের জন্য সে হেঁসেছে,খেলেছে।স্বপ্ন দেখেছে।সেই তাদের কে কত বড় শাস্তি দিলো?আমাকে মাফ করে দিও মামা।আমি পারলাম না নিজের লড়াই একা লড়তে।আমি হেরে গেলাম।আমাকে মাফ করে দিও।আর আসবো না তোমাদের এই সুন্দর পৃথিবীতে।এই পৃথিবীতে আমার মতো বোবা মেয়েটিকে মানায় না।এখানে আমি বড্ড বেমানান।আমি চলে যাচ্ছি মামা।তোমাদের কারো ওপর কোনো রাগ অভিমান রইলো না।শুধু আপসোস থেকে যাবে।আমি
হেরে গেলাম।পুতুল,ইউ আর লু’সার।

দাউদাউ করে আগুনের লেলিহান দাবালনের শিখায় শেষ হয়ে যাচ্ছে একটি বোবা মেয়ে।তার কষ্ট,তার আত্মনাত তার না বলা কথাগুলো আর বলা হবে না।তার স্বপ্ন সেটা অসম্পূর্ণ পরিত্যাক্ত হয়ে গেলো।

এইদিকে অর্পণের বাড়ির সামনে এসেছে সাজু,মিলন।দারোয়ান কিছুতেই ঢুকতে দিচ্ছে না।তার একটাই কথা বড় সাহেব অনুমতি ছাড়া সে কাউকে বাড়ির মধ্যে ঢুকতে দিতে পারবে না।সাজু,মিলন খুব আকুতি করছে।বাহিরে চিতকার চেচামেচি শুনে অসীম তালুকদার বাড়ির বাগান সাইড থেকে বের হয়ে আসেন।দুইজন স্বল্পবয়সী বালকে দেখে এগিয়ে আসেন।

ওদের কে আসতে দেও।দারোয়ান গেইট খুলতেই মিলন,সাজু ছুটে আসে।

অ..র্প..ণ ভাই কোথায়?

তোমরা কে?আর অর্পণকে খুঁজছো কেন?

প্লিজ তার কাছে যেতে দিন।আমার আপুর খুব বিপদ।

অসীম তালুকদার কিছুই বুঝতে পারছেন না।
এই দিকে মিলন,সাজু তাকে বুঝানোর সময় নেই।তারা বাড়িতে ঢুকেই অর্পণকে খুঁজে।অর্পণ দুই ভাইয়ের পাশে বসে ল্যাপটপে ভিডিও কলে পার্টির লোকের সাথে ডিসকাস্ড করছিল।এমন সময় তারই সামনে মিলন,সাজুকে দেখে চমকে উঠে।কিছু বলা আগেই মিলন,সাজু একসাথে ব’লে ওঠে আমার আপুকে বাঁচান।ওরা আপুকে মেরে ফেলবে।অর্পণ কাজ ফেলে ছুটে আসে।

কারা মেরে ফেলবে?

ওরা।মিলন,সাজু বাড়িতে হওয়া ঘটনা বলতে দেড়ি অর্পণের বাড়ি থেকে বের হতে দেড়ি হয়নি।নিজের বাইক নিয়ে ছুটে।অপরদিকে ছেলেকে এলেমেলো দেখে ঠিক লাগলো না।অসীম তালুকদার জিহান,রিহান,এবং মিলন,সাজুকে নিয়ে গাড়িতে উঠেন।উদ্দেশ্য রোহিতপুর গ্রাম।

চোখের সামনেই সব শেষ হয়ে গেছে।বাড়িটা আর বাড়ি নেই।পুতুলের ঘরটা চোখের সামনেই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।অর্পণ পাগলের মতো পুতুলকে ডাকতে লাগল।কিন্তু পুতুল তার ডাকে সাড়া দিচ্ছে না।স্বাধীন মেয়ের মৃত্যুটা চোখের সামনে মেনে নিতে পারেনি।বাড়ির উঠোনেই জ্ঞান হারিয়েছে।রেনু এখনো দরজা খুলে দিতে ব’লছে।আগে চিতকার করায় গলা বসে গেছে।তার গলা দিয়ে জোরে শব্দ করতে পারছে না।বাহিরে এতখন শোরগোল থাকলেও এখন সব নিস্তব্ধ।এ যেন এক মৃতুপুরী।

অসীম তালুকদার পৌঁছে যান। মিলন দের বাড়ি দেখে বুঝতে পারলেন।খারাপ কিছু হয়েছে।কিন্তু নিজ ছেলেকে এমন হন্য হয়ে কিছু খুঁজতে দেখে ডাক দেন।কিন্তু অর্পণ তার ডাকে কথা বলছে না।অর্পণ পাগলের মতো বিহেভিয়ার করতেই হতবাক হন।এইদিকে বাড়ির অবস্থা দেখে মিলন,সাজু চিতকার করে কান্না করছে।

আপু,আপু করে পুতুলকে ডাকছে।

অর্পণ আগুনে পোড়া ঘরটাতে যেতে চায়।সেখান থেকে এখন ধোয়া উড়ছে।অসীম তালুকদার ছেলের পাগলামি দেখে জিহান,রিহানকে ধরতে বলে।তারা ভাইকে পেচিয়ে ধরে।

কিন্তু অর্পণ কাঁদছে।

বাবা আমাকে যেতে দেও।ওই ঘরে আমার পুতুল রয়েছে।ওর খুব কষ্ট হচ্ছে বাবা।আমি না গেলে ওহ আসবে না।আমাকে যেতে দেও।ছাড় আমায়।তোরা আমাকে ছেড়ে দে।আমি পুতুলের কাছে যাব।পুতুল,পুতুল তুমি ভয় পেয়ে ওহ না।তোমার কাছে আমি আসছি।আমি আসছি পুতুল।

আ.ল্লা.হ!তুমি এটা কি করলা?আমার কাছ থেকেই আমার প্রাণটাই কেড়ে নিলা।আমি বাঁচব কি নিয়ে?আমি মরে যাব।আমি মরে যাব তোমায় ছাড়া।

বাবা ওহ বাবা।আমি তোমার দুইটি পায়ে পড়ছি।তুমি আমার পুতুলকে এনে দেও।আমি কথা দিচ্ছি।আমি আমার পুতুলকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাব।আর কোনোদিন তোমাদের এই গ্রামে ফিরব না।আমার তাকে এখনো বলা হলো না।আমি ভালোবাসি।আমি আমার পুতুলকে খুব ভালোবাসি।পুতুল,আমি তোমাকে ভালবাসি।
অসীম তালুকদার ছেলের পাগলামি দেখে মর্মাহত হন।পুতুলের নামের কোনো মেয়েকে ভালোবাসত।এটা আরো আগে কেনো জানলেন না।আজ যখন জানলো তখন সব শেষ।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here