#প্রিয়াঙ্গন
#পার্ট_৬
জাওয়াদ জামী জামী
পরীক্ষার আর মাত্র দশদিন বাকি। কুহু মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করছে। ওর বড় ফুপু নিজের মেয়েকে নিয়ে কুহুদের বাড়িতে আছেন। কুহুর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এখানেই থাকবেন। শাকিলা সুলতানা মন থেকেই তার ভাইদের ভালোবাসেন। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন কুহুর পরিবারকে। কুহু, সৃজন তার কাছে নিজের সন্তানদের মতই।
এইচএসসি পাশ করার পর তার বিয়ের সম্মন্ধ আসে। ছেলে উচ্চশিক্ষিত, ভালো চাকরি করে, ভালো পরিবার দেখে আর অমত করেনি তার বাবা আর বড় ভাই। বিয়ের পর তিন বছর সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু কোন এক কারনে চাকরিচ্যুত হয় শাকিলার স্বামী আসাদ আলম। এরপর থেকে শুরু হয় তার উচ্ছনে যাওয়া। নেশা করা শুরু করে দেয়, শুরু করে জুয়া খেলা। একে একে বাপের সম্পত্তি বিক্রি করে নিজের চাহিদা পূরন করেছে। স্ত্রী-সন্তানদের দিকে তাকানোর সময় তার নেই। বাবার বাড়িতে এসব কথা জানাজানি হওয়ার পর কুহুর বাবা তালুকদার কায়সার ইনাম বোনের সকল দ্বায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। আইরিন পারভিন স্বামীকে কোন বাঁধা দেননি। বরং তিনি উৎসাহ জুগিয়েছেন। শাকিলা সুলতানার ছেলে মেয়ের পড়াশোনার সকল খরচ কুহুর বাবা দিতেন। শাকিলা সুলতানার ছেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। আর মেয়ে আগামীবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। তার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি বেশ কিছুদিন আগেই মা রা গেছে। তাই তিনি ভাইয়ের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে নিশ্চিতভাবে থাকতে পারছেন। তার স্বামী কখন কোথায় থাকে তার কোনও ঠিক নেই। এমনকি তিনি নিজেও স্বামীর ওপর বিরক্ত হয়ে গেছেন। এক কথায় স্বামীকে কোনরূপ পরোয়াই করেননা তিনি। যে বাবা তার সন্তানদের প্রতি দ্বায়িত্ব পালনে উদাসীন এমন মানুষকে তিনি ঘৃ’ণা’ই করেন বলা যায়।
বড় ফুপু আসার পর কুহুকে কোন কাজই করতে হচ্ছেনা। ও শুধু পড়াশোনা করছে আর কয়েকটা ছেলেমেয়েকে পড়িয়ে দিন পার করছে।
সে রাতে শাকিলা সুলতানা পুঁটি মাছের ঝোল আর পুঁইশাক চচ্চড়ি করেছেন। প্রতিবেশি এক চাচা মাছগুলো দিয়ে গেছে। সবাই একসাথে বসে রাতের খাবার খেয়ে যে যার ঘরে চলে যায়।
কুহু আর সৃজন ওর মায়ের কাছেই ঘুমায়। বাবা মা রা যাওয়ার পর কুহু ওর মা’কে একা ঘুমাতে দেয়না। আর সৃজন আগে থেকেই কুহুর কাছে ঘুমাত। তাই বাবা মা রা যাওয়ার পর দুই ভাইবোনই মায়ের কাছেই ঘুমায়।
কুহু পড়ার টেবিলে বসে মনোযোগ দিয়ে পড়ছে। সৃজন মা’য়ের কাছে শুয়ে আছে।
আইরিন পারভিন মন দিয়ে কিছু একটা ভাবছেন। আজকাল রাতে তিনি ঘুমাত পারেননা।
শরীর সব সময়ই অবসন্ন থাকে। থেকে থেকেই মাথায় চক্কর দেয়। তিনি কিছুতেই স্বস্তি পাননা। মনটা সব সময়ই ক্যু ডাকে।
” কুহু, এদিকে একবার আয় দেখি। ”
মায়ের ডাক শুনে কুহু বিছানার দিকে এগিয়ে যায়।
” তোমার শরীর খারাপ লাগছে, মা? কোথায় খারাপ লাগছে, আমাকে বল। ” কুহু উদগ্রীব হয়ে জানতে চায়।
” আমি ভালো আছি। তোকে এত অস্থির হতে হবেনা। তোদের দুই ভাইবোনকে কয়েকটা কথা বলব। ”
কুহু কোন কথা না বলে মা’য়ের দিকে প্রশ্নবোধক চোখে চেয়ে থাকে।
” কুহু মা , আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোন। জীবন এখন আমাদের সাথে কঠিন খেলা খেলছে। কতদিন এভাবে আমাদের চলতে হবে তার কোনও ঠিক নেই। তবে পরিস্থিতি যা-ই হোকনা কেন তুই কখনো ভেঙে পড়বিনা। ছোট ভাইকে লেখাপড়া শেখাস। সব সময়ই ভাইয়ের পাশে ছায়া হয়ে থাকিস। ওকে আগলে রাখিস। মনে রাখবি তোর ভালো তোকেই বুঝতে হবে। এই কঠিন বিপদে যখন তোদের পাশে কেউই ছিলনা, হয়তো ভবিষ্যতেও কেউ থাকবেনা। তাই বলে ভেঙে পরবিনা, নিরাশ হবিনা। ধৈর্য্য ধরবি। মনে রাখবি সকল প্রাপ্তির মূলেই রয়েছে ধৈর্য্য। মানুষকে শ্রদ্ধা করবি। হোকনা সে অচেনা কিংবা শত্রু। যদি কখনো কোন বিপদ আসে চাচাদের সাথে যোগাযোগ করবি। মনে কোন হিংসা না রেখে তাদেরকে সব খুলে বলবি। আর যাই হয়ে যাকনা কেন, তারা তোদের ফেলে দেবেনা। কখনো অহংকার করবিনা। সবচেয়ে বড় শত্রুকেও ক্ষমা করে দিবি। মানুষকে ভালোবাসবি। দেখবি অন্যরাও তোকে ভালোবাসা দেবে। ”
মায়ের এমন এলোমেলো কথা শুনে কুহুর বুক ধক করে উঠল। মা হঠাৎই এসব কথা বলছে কেন, তা কুহু ভেবে পাচ্ছেনা।
” মা, তুমি এসব কি বলছ! কেনইবা বলছ? তুমি চুপচাপ শুয়ে পর, আর কথা বলোনা। ”
” আমাকে কথা বলতে দে, মা। সৃজন বাপ, তুমি তোমার আপুর কথা মেনে চলবে। তুমি এখন ছোট আছ, তাই নিজের ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতা তোমার হয়নি। তাই সব সময় আপুর পাশেই থাকবে। মন দিয়ে পড়াশোনা করবে। তোমার দুই চাচার থেকেও বড় চাকরি করবে। মানুষের মত মানুষ হয়ে সমাজকে দেখিয়ে দেবে। চাচা, ফুপুদের কখনোই অসম্মান করবেনা। জীবনে অনেক বড় হতে হবে। কিন্তু তাই বলে তোমরা কেউই অসৎ উপায় অবলম্বন করবেনা। বুঝতে পেরেছ, বাপ? ”
ছোট্ট সৃজন মায়ের কথার মর্মার্থ না বুঝেই মাথা নাড়ায়। আইরিন পারভিন ছেলেকে বুকে জরিয়ে নিয়ে চুমু দেয় ওর কপালে, চোখে, নাকে।
কুহু মা’য়ের দিকে অশ্রুসজল চোখে তাকিয়ে আছে। আজকে মা’য়ের আচরণ ওর কাছে অসংলগ্ন লাগছে। মা’য়ের চোখমুখও কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। কুহু মা’য়ের দিকে একটু এগিয়ে গিয়ে তার মুখে হাত রাখল। ছুঁয়ে দিল মায়ের সমস্ত মুখ। তিনটা বছর থেকে ওর মা’য়ের দিন-রাত যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গেছে। বাবার চিকিৎসা করাতে করাতে নিঃশেষ হয়ে গেল। তবুও হাল ছাড়েনি কিংবা ধৈর্য্যহারা হয়নি। মায়ের চোখের নিচে কালি জমেছে। ফর্সা শরীরে যেন কেউ আঁধার লেপে দিয়েছে। আজ হঠাৎই কুহু আবিষ্কার করল, ওর মা যেন অনেক দূরের কেউ। মা’য়ের চোখেমুখে শুধুই উৎকন্ঠা ভেসে বেড়াচ্ছে।
” মা, তুমি এভাবে বলোনা। আমি পড়াশোনা শেষ করে একটা চাকরি করব। তখন আমরা অনেক ভালো থাকব, তুমি দেখে নিও। আর সৃজনকে তো আমি দেশের বাহিরে থেকে পড়াশোনা করাবো। বাবার স্বপ্ন ছিল, সৃজনকে অক্সফোর্ড কিংবা কেমব্রিজে পড়াবে। আমি বাবার স্বপ্ন যেকোন উপায়ে পূরণ করব, তুমি দেখে নিও। আজকে যেমন আমরা অভাবের সাথে যুদ্ধ করছি, একদিন দেশের অন্য অভাবীদের আমরা সাহায্য করব। ”
আইরিন পারভিন মেয়েকেও জড়িয়ে নিলেন বুকের ভেতর।
” শোন মা, ব্যাংকে আমার এ্যাকাউন্টে বোধহয় পঞ্চাশ হাজার টাকা আছে। প্রয়োজন পরলে ছোট চাচাকে বলে টাকাগুলো তুলে নিস। কালকে একবার তোর মামাদের কাছে ফোন দেব। আব্বার সম্পত্তির ভাগ আমিও পাই। এতদিন আমার সেগুলোর প্রয়োজন ছিলনা। কিন্তু এখন প্রয়োজন। আমার ভাগ আমি তাদের থেকে বুঝে নিব। এতে আমাদের অনেক উপকার হবে। ”
” মামারা বাবা মা রা যাওয়ার পর থেকে আমাদের কোন খোঁজ নেয়নি, মা। তাদের কাছ থেকে সম্পত্তির ভাগ চাওয়া কি ঠিক হবে? ”
” ঐ সম্পত্তিতে আমারও হক আছে। জমিজমা অল্প কিছু হলে আমি ছেড়ে দিতাম। কিন্তু আমি প্রায় বিশ বিঘার মত জমি পাব। এতগুলো জমির ভাগ ছেড়ে দেব, তুই বল? জমি বিক্রি করে টাকা পেলে তোদের পড়াশোনা ঠিকমত করাতে পারতাম। আর অভাবও থাকতোনা। কাল সকালে উঠেই তোর বড় মামার সাথে কথা বলব। এরপর আর দুইজনের সাথেও কথা বলব। ”
” তুমি যেটা ভালো মনে কর সেটাই করো, মা। ”
” আমার কাছে একটু শুবি, মা? তোরা দুই ভাইবোন আমার দুই পাশে শুয়ে থাক। আমি তোদের প্রানভরে দেখি। আজ রাতের পড়া কাল সকালে পড়িস। ”
কুহু মা’য়ের কথা রাখতে মা’য়ের পাশে শুয়ে পরল। ছেলেমেয়েকে দুইপাশে নিয়ে শুয়ে রইলেন আইরিন পারভিন। তিনি সৃজনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এক সময় সৃজন ঘুমিয়ে পরল। কুহু তখনও জেগে আছে। ও এক দৃষ্টিতে মা’য়ের দিকে তাকিয়ে আছে। থেকে থেকেই ওর বুকের ভেতর আনচান করে উঠছে। কেন এমনটা হচ্ছে ও বুঝতে পারছেনা।
” কুহু, তোর জীবনে যতই ঝড় আসুকনা কেন পড়াশোনা ছাড়বিনা, মা। সৃজনকেও পড়াবি। মনে রাখিস, অভাব-অনটন ঘুচাতে , সামাজিক মর্যাদা পেতে, মানুষের কাছে সম্মান পেতে হলে পড়াশোনার বিকল্প নেই। তোর বাবার স্বপ্ন পূরণ করিস। নামাজ ছাড়বিনা কখনো। বাবার জন্য দোয়া করবি। ”
কুহু মাথা নেড়ে মা’য়ের কথায় সায় দেয়। এরপর তারাও ঘুমিয়ে পরে।
ফজরের আযান কানে আসতেই কুহুর ঘুম ভেঙে যায়। ও আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসল। পাশে তাকালেই আপনাআপনিই কপাল কুঁচকে আসে। ওর মা এখনো ঘুমাচ্ছে। অথচ কুহু গত তিন বছরে ওর মা’কে এই সময় ঘুমাতে দেখেনি। তাহাজ্জুদ নামাজের পর থেকেই সে জায়নামাজে বসে থেকেছে। কখনো দোয়া-দরুদ পাঠ করেছে, আবার কখনোবা কুরআন তিলাওয়াত করেছে। আজকের বিষয়টা কুহুর কাছে আশ্চর্যজনক মনে হয়। ও মৃদু গলায় মা’কে কয়েকবার ডাকল। কিন্তু আইরিন পারভিন কোন সাড়া দেয়না। বাধ্য হয়ে কুহু মা’য়ের শরীরে হাত দিয়ে পুনরায় ডাকতে থাকে। কিন্তু এবারও কোন সাড়া পায়না। কুহু এবার লক্ষ্য করল ওর মা’য়ের শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে, আর সেই সাথে শক্তও হয়ে গেছে। কুহু ভয় পেয়ে যায়। সাথে সাথে মনে হয় বাবার কথা। বাবার মৃ’ত্যু’র পরও তো তার শরীর এমন ঠান্ডা আর শক্ত হয়ে গিয়েছিল! কুহু আর কিছুই ভাবতে পারছেনা। হাঁচড়েপাঁচড়ে বিছানা থেকে নেমে দৌড়ে দরজার কাছে আসে। দরজা খুলেই চিৎকার করে ফুপুকে ডাকতে থাকে।
কুহুর চিৎকার শুনে সৃজনের ঘুম ভেঙে গেছে। ও মা’কে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছিল। কুহুর চিৎকার শুনে ও মা’য়ের শরীর থেকে নিজের হাত সরিয়ে নিয়ে উঠে বসল।
শাকিলা সুলতানা কুহুর চিৎকার শুনে প্রায় দৌড়েই এদিকে আসলেন। তিনি দেখতে পেলেন কুহু ওর মা’কে জোড়ে জোড়ে ঝাঁকিয়ে ডাকছে। কিন্তু কুহুর সকল আকুতি উপেক্ষা করে নিশ্চুপ থাকলেন আইরিন পারভিন।
শাকিলা সুলতানা স্তব্ধ হয়ে বসে আছেন। তিনি ভাবতেই পারছেননা, তার ভাবি আর দুনিয়ায় নেই। তার চোখের তারায় বারেবার ভেসে উঠছে ভাবির হাস্যজ্জ্বল মুখ। কুহু মা’য়ের বুকের ওপর কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে গেছে। সৃজনও মা’কে জড়িয়ে কাঁদছে।
শাকিলা সুলতানার মেয়ে আতিয়া হন্তদন্ত হয়ে ছুটে যায় সাইদ আহমেদের বাড়িতে।
সাইদ আহমেদ আতিয়ার মুখে আইরিন পারভিনের মৃ’ত্যু’র খবর শুনে ছুটে আসে সেখানে। সে-ও শাকিলা সুলতানার ন্যায় হতভম্ব হয়ে গেছে। এক সময় এই কষ্ট সইতে না পেরে মাথা ঘুরে পরে যায়।
শিরিন আক্তারও সবার মতই বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে। সে-ও মানতে পারছেনা তার বড় জায়ের এমন অপ্রত্যাশিত মৃ’ত্যু।
আতিয়া ওর মেজো মামার কাছে ফোন দিয়ে সবটা জানালে, রায়হান আহমেদও ঝিম মেরে কিছুক্ষণ বসে থাকে। এরপর হঠাৎই আর্তনাদ করে কাঁদতে থাকে।
রায়হান আহমেদের কান্নার শব্দ শুনে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসল নায়লা আঞ্জুম।
সে তার এত বছরের বিবাহিত জীবনে তার স্বামীকে কাঁদতে দেখেনি।
রায়হান আহমেদের কান্নার শব্দ শুনে বাসার সব মেইড এসে দাঁড়িয়েছে তাদের দরজার সামনে।
শনিবার হওয়ায় সেদিন তাহমিদ রাজশাহীতেই ছিল। সে সচরাচর ফজরের নামাজ আদায় করে আবার ঘুমায়। গতরাতে ঘুমাতে দেরি হওয়ায় ভোরে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। ঘুম ভাঙ্গলে সোজা ওয়াশরুমে যায়। অজু করে বেরিয়ে আসতেই নিচ থেকে চেঁচামেচির আওয়াজ পায়। এই ভোরে কার কি হয়েছে, সেটা দেখতেই পায়ে পায়ে এগিয়ে যায়।
রায়হানকে কাঁদতে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রয় তাহমিদ। নায়লা আঞ্জুম কিছুতেই তার স্বামীকে শান্ত করতে পারছেনা। রায়হান আহমেদের ছেলেমেয়েও বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে অসহায় চোখে বাবার কান্না দেখছে।
তাহমিদ রুমের ভেতর গিয়ে রায়হান আহমেদের পাশে বসে। হাত রাখে তার কাঁধে। তাহমিদকে দেখেই ওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে রায়হান আহমেদ।
রাজশাহী থেকে গ্রামে আসতে দেড় ঘন্টা সময় লাগল রায়হান আহমেদের। সে পুরো রাস্তা কাঁদতে কাঁদতে এসেছে। পুরো রাস্তাই তাহমিদ তাকে ধরে রেখেছে।
নায়লা আঞ্জুমও বিরক্তি নিয়ে তার স্বামীর কান্না দেখছে। সে ভেবে পাচ্ছেনা রায়হান ভাবির জন্য কেন এত কাঁদছে!
কায়সার ইনামের বাড়ির সামনে গাড়ি এসে দাঁড়ালে, তাহমিদ রায়হান আহমেদকে নিয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করল।
চলবে….