#শুধু_তোমায়_ভালোবেসে
#পর্ব_১২
#সাদিয়া_রহমান_হাফসা
_________________
মেয়েটি প্রাণপণে ছোটাছুটি করেও শেষমেশ তাদের হাত থেকে রেহাই পেলো না। বলিষ্ঠ হাতের বাধনে বাঁধা তার হাত জোড়া। চোখ দুইটিও কালো কাপড়ে শক্ত করে বাঁধা। দুইদিক থেকে দুইজন মোটাতাজা লোক শক্ত করে মেয়েটির দুই হাত ধরে রেখেছে। পেছন থেকে মুখও চেপে ধরে রেখেছে কেউ যাতে টু শব্দটি পর্যন্ত করতে না পারে। কোমল হাতে ধারালো সুচ বিদ্ধ করার পরেই পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে গেলো মেয়েটি। বিকৃত হেঁসে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ টা মাটিতে ফেলে অজ্ঞাত লোকটা বললো,
– গাড়িতে তোল।
•
•
চিন্তিত হয়ে হসপিটাল করিডোরে অপেক্ষা করছে পুরো সাখাওয়াত পরিবার। একপাশে গুটি-শুটি হয়ে বসে আছে তিতির আর কায়নাত। ঈশান একটা চাদর এগিয়ে দিয়ে তিতিরকে বললো,
– বাসায় যাবে তিতির? অনেক ঠান্ডা চলো তোমায় বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি?
এতক্ষণে হুঁশ ফিরলো আঁখি সাখাওয়াতের। নিজের মেয়ের চিন্তায় সে তো ভুলেই গিয়েছিল যে তিতির সন্তান সম্ভবা। সেও ঈশানের কথায় সায় দিয়ে বললো,
– হ্যাঁ তিতির, তুমি ঈশানের সাথে বাড়ি ফিরে যাও। তোমাকে এই সময়ে সাবধানে থাকতে হবে। একে তো শীত তারউপর রাতও তো কম হলো না! এই সময়ে তোমাকে প্রোপার রেস্টে থাকতে হবে। যাও ঈশান তিতিরকে সাবধানে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এসো।
ঈশান মাথা নাড়িয়ে সায় জানিয়ে বললো,
– ঠিক আছে আন্টি। তিতির চলো।
তিতির বিষন্ন হয়ে একবার আঁখি সাখাওয়াত আরেকবার ঈশানের দিকে তাকিয়ে বললো,
– হাসিখুশি-ই তো ছিলো। হঠাৎ রাই বুবুর কি হলো! আমি যাবো না। আগে ছোট ভাইয়া এসে বলুক রাই বুবু ভালো আছে তারপর আমি যাবো।
আঁখি কিছুটা রাগ দেখিয়ে বললো,
– জেদ করে না তিতির। এই অবস্থায় তোমার জেদ মানায় না। তুমি কিন্তু একা না, তোমার সঙ্গে তোমার অনাগত বাচ্চাও আছে। তার কথাও তো তোমাকে ভাবতে হবে নাকি! যাও বাসায় যাও!
তিতির আহ্লাদী স্বরে বললো,
– না আন্টি প্লিজ থাকি! বেবিও থাকতে চায়। আমি এখন কিছুতেই যাবো না।
– আচ্ছা ঠিক আছে থাকো। যাবো না তবুও উত্তেজিত হয়ো না চুপ করে বসে থাকো নইলে কিন্তু আমি তোমায় বাসায় রেখে আসবো! কোনো কথা শুনবো না।
তিতির ঈশানকে মুখ ভেঙচিয়ে অন্যদিকে ফিরে তাকালো। ওদিকে মীর বেচারার মুখ শুকিয়ে একটুখানি হয়ে গিয়েছে। নিজের থেকে গুনে গুনে সাত বছরের ছোট বাচ্চা মেয়ের প্রেমে পড়ে বেচারার অবস্থা নাজেহাল। এই চঞ্চল মেয়ের দুরন্তপনায় ভয় পেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে একপর্যায়ে নিজের ক্যারিয়ার মজবুত করার আগেই সতেরো বছরের রাইদাহ-কে বিয়ে করে বন্দী করে ফেলে নিজের ভালোবাসা নামক কারাগারে। কিন্তু সে গুড়ে বালি! যাদের বয়সের তফাৎ গুনে গুনে সাত তাদের কি আর মন মানষিকতা মেলে? একজন চায় মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে, অপরজন চায় পাখি কে পোষ মানিয়ে খাঁচায় পুরে রাখতে যাতে উড়তে উড়তে হারিয়ে না যায়। পাছে কোনো বাজপাখির নজরে না পড়ে যায়। সে চায় তার পাখি তার কাছেই থাকুক। খাঁচায় বন্দী প্রাণপাখি হয়ে থাকুক তার রাইদাহ।
•
টুপ করে দুই ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো চোখ বেয়ে। সেদিকে দৃষ্টিপাত করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো আদনান। মীরের কষ্ট টা সমানভাবে অনুভব করতে না পারলেও সে বোঝে মীরের এই অসহনীয় পীড়া। তার বোন যে মীরের দুর্বলতা আর শরীরের দুর্বল জায়গায় লাগা আঘাতটা যে অসহনীয়! বাবা-মা আর তারা দুই ভাইয়ের পর তার বোনকে যে ব্যক্তি সবচাইতে বেশি ভালোবাসে সে হলো মীর। যতই শাসন করুক না কেন রাইদাহ হলো মীরের ননীর হৃদয় টুকরো। মানে হৃদয়ের নরম অংশ যাকে বলে। সে নিজেও বোনকে কম ভালোবাসে না। একটামাত্র বোন তাদের দুই ভাইয়ের। অতি আদরের বোন তাদের, বাড়ির সকলের চোখের মনি। হসপিটালে আনার পথেও গাড়িতে দুই বার বমি করেছিল রাইদাহ। তখন বোনের এমন করুন অবস্থা দেখে আফসান পারলে কেঁদে দেয়। এতো কাছের পথটা কেও অনেক লম্বা ঠেকছিল আদনানের। তাই মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে অতি শীঘ্রি হসপিটাল নিয়ে আসে বোনকে।
রৌদ্র এগিয়ে এসে মীরকে ভরসা দিয়ে বললো,
– চিন্তা করিস না দোস্ত। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।
•
আরো কয়েক মুহুর্ত পরে একটা লেডি ডক্টরের সাথে বেরিয়ে এলো আফসান। মীর আর আদনান দ্রুত এগিয়ে এসে আদনান জিজ্ঞেস করলো
– কিরে? কি হয়েছে বনুর? কেমন আছে ও এখন? অল গুড?
আফসান নিশ্চুপ। এই নিরবতা বুক চিঁড়ে দিচ্ছে মীরের। শুকনো ঢোক গিলে মীর বললো,
– আফসান? আমার বউ কেমন আছে? ফুড পয়জনিং হয়েছে? সরি রে! আমি এদিকটায় নজর দিতে পারিনি। আমি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওর আরো বেশি বেশি টেককেয়ার করবো প্রমিজ। তুই আর রাগ করে থাকিস না কেমন! বল না ব্রো আমার বউ কেমন আছে?
আফসান মাথা নিচু করে মীরের সামনে এসে গম্ভীর গলায় বললো,
– মীর ভাই!
এই গম্ভীরতা মীরের ভয়ের মাত্রাকে আরো কয়েক ধাপ উপরে নিয়ে গেলো।
– কি হয়েছে আফসান?
– আরে দুলাভাই! তুমি তো বাচ্চার বাবা হতে যাচ্ছো! আর আমরা মামাআআআ! (উচ্চশব্দে)
থম মেরে গেলো মীর। কম্পিত কণ্ঠে বললো,
– আ..আমি বাবা! বা..বা..আমার বাচ্চা? আমার রাই মা হতে চলেছে! আমার রাই!
আর কোনো কথা বলতে পারলো না মীর৷ তাড়াতাড়ি আফসানকে সামনে থেকে সরিয়ে চেক-আপ রুমের ভেতরে যেখানে রাইদাহ আছে সেখানে চলে গেলো। আঁখি সাখাওয়াত খুশিতে আত্মহারা হয়ে বললো,
– আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! নানু মনি হবো আমি। তোদের বাবাকে এই খবরটা দিয়ে আসি দাঁড়া!
– ইয়াহু! আমি ফুপ্পি হবো!
নিশি খুশিতে এতটাই পাগলপারা হয়ে যায় যে সে হুঁশ হারিয়ে সবার সামনেই রৌদ্রকে জড়িয়ে ধরে। এক অজানা শিহরণ বয়ে গেলো রৌদ্রের সারা শরীর বেয়ে। নিশির এই হুটহাট ছুঁয়ে দেওয়াটা বড্ড পোড়াতো তাকে। আজ যেন সেই পুড়ে যাওয়া জায়গায় নিশির স্পর্শে পুরনো সুখ খুঁজে পেলো সে। নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে নিশি লজ্জা পেয়ে দ্রুত রৌদ্রের থেকে দূরে সরে গেলো।
কায়নাত, নিশি আর তিতির খুশিতে লাফিয়ে একপ্রকার নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে। তা দেখে ঈশান তড়িঘড়ি করে তিতিরকে ধরে ধমকে বললো,
– তিতির! বি কেয়ারফুল ইডিয়ট!
তিতির চোখ রাঙিয়ে বললো,
– এই কি বললা তুমি আমায়!?
– চুপ! একদম চুপ! একটা কথা বলবা না। নড়াচড়া করলেই ঠাস করে দিবো দুই তিনটা।
– কি দিবা?
– দেখ তিতির সবসময় তোর মনমরজী চলবে না। এভাবে ব্যাঙের মতো লাফিয়ে আল্লাহ না করুক যদি তোর আর আমার বাচ্চার কোনো ক্ষতি হয় না! কাঁচা চিবিয়ে খাবো তোকে আমি বুঝেছিস?
ভোলাভালা ঈশানের এমন ধুমধাড়াক্কা হুমকি শুনে চুপ হয়ে গেলো তিতির। যতই ভোলাভালা হোক না কেন একবার রেগে গেলে এই ঈশান আর সেই ঈশান থাকে না। স্কুল লাইফ থেকে দেখে আসছে ঈশানকে। যদিও সে তিতিরকে ভালোবাসে কিন্তু রেগে গেলে তার সব ভালোবাসা ছাঁদ ভেঙে পালায়। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় ঈশানের হাতের চড় থাপ্পড় খেতে চায় না তিতির তাই সে চুপ মেরে ঈশানের উপর অগ্নি ঝড়া দৃষ্টি ফেলে বিরবির করে বললো,
– ঈশাইন্না! আমি এতো কষ্ট করে তোর আর আমার বাচ্চা আমার এতটুকু পেটে নিয়ে ঘুরতেছি আর তুই কি না আমারে কাঁচা চিবিয়ে খাবি! আজকে থেকে আগামী সাতদিন বিছানায় তোর কোনো জায়গা নাই। আজকে থেকে তুই বিড়ালের সাথে কোলাকুলি করে সোফায় ঘুমাইবি। আমার বিছানায় তোর কোনো জায়গা নাই।
•
– মিস পুতুল থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ্!
– আরে আরে থ্যাঙ্ক ইউ কেন বলছেন স্যার?
– উহুম! ডোন্ট কল মি স্যার। কল মি আফসান।
– থ্যাঙ্ক ইউ কিসের জন্যে ডক্টর আফসান?
আফসান দৃঢ় কন্ঠে বললো
– ডক্টর আফসান নয় অনলি আফসান।
পুতুল মুচকি হেসে জবাব দিলো,
– ওকেই আফসান! এবার হ্যাপি?
– ইয়েস অফকোর্স!
– তো….থ্যাঙ্কস্ টা কিসের জন্যে ছিলো মিস্টার আফসান?
– এই যে এত সুন্দর মিষ্টি সুসংবাদ টা তো আপনার থেকেই প্রথম পেলাম। এর জন্যে একটা থ্যাঙ্কস্ তো আপনি ডিজার্ভ করেন!
পুতুল মুখ গোমরা করে বললো,
– শুধু থ্যাঙ্কসে কি মন ভরে? এটা কিন্তু কুঞ্জসি হয়ে যাচ্ছে মিস্টার আফসান। আমার ট্রিট চাই।
– আরে সেটা বলতে হয় নাকি! সবাইকে ট্রিট দেবো আর আপনাকে স্পেশাল ট্রিট!
– হাউ সুইট!
– আই নৌ আ’ম সুইট। আ’ম আ চকলেট বয় ইউ নৌ!
দুজনের এই মিষ্টি কথোপকথন করলার থেকেও তেঁতো লাগছে কানয়াতের কাছে। নিশির হাতটা খামচে ধরে আফসানকে শুনিয়ে শুনিয়ে উঁচু আওয়াজে কায়নাত বললো,
– আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে, পেটেও কিছু একটা গুতাগুতি করছে, মনে হচ্ছে একটু পরই মাথা ঘুরে পড়ে যাবো। কেউ কি আমায় একটু ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যাবে? (চেচিয়ে চেচিয়ে)
– হোয়াট দ্য ফাউ কথা কাউয়াঠুঁটি ! আমি তো এখনো কিছু করিনাই!
আফসানের এহেন লাগামহীন কথায় কানয়াত লজ্জায় প্লাস রাগে লাল-নীল বাতির মতো জ্বলতে শুরু করে। বাকি সবাই একে-অপরের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করে হাসিতে ফেটে পড়লো। আঁখি সাখাওয়াত ফোনে কথা শেষ করে এসে সবাইকে এভাবে হাসতে দেখে বললো,
– কি হচ্ছে কি! এটা হসপিটাল? আস্তে।
•
এতকিছুর ভীরে, টেনশনে আরাধনার কথা মনেই ছিলো না আদনানের। হুট করে কিভাবে যে এতকিছু হয়ে গেলো কখন যে আরাধনার হাতটা ছেড়ে দিয়েছে সেটা আদনান বুঝতেই পারেনি। মেয়েটা সহজ-সরল হলে কি হবে ভারী অভিমানী। আশেপাশে চোখ বুলিয়েও আরাধনা নজরে পড়লো না। অভিমানীর সাথে সাথে অনেক ঘুমকাতুরেও মেয়েটা। হয়তো আঁখি পাশের কোনো কেবিনে শুইয়ে রেখেছে। হাতঘড়িতে সময় দেখে আদনান বললো,
– মামনী আরাধনাকে কোন কেবিনে শুইয়ে দিয়েছো?
আঁখি সাখাওয়াত বিস্মিত হয়ে বললো,
– কেবিনে শুতে যাবে কেন? ও তো তোদের সাথে এখানেই..
এবার আঁখি সাখাওয়াতের খেয়াল হলো আরাধনা তাদের মাঝে অনুপস্থিত। আদনানের চেহারার ভাবভঙ্গি নিমিষেই চুপসে গেলো। রৌদ্র আশ্বাস দিয়ে বললো,
– আরে এখানেই আছে। তখন দেখলাম ফুল গাছের দিকে একধ্যানে চেয়ে থাকতে। কোনো ফুল গাছের কাছে আছে হয়তো দাঁড়া আমি নিয়ে আসছি।
আদনান দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না, সে নিজেও গেলো পিছুপিছু আর তার সাথে পুরো পরিবার। কয়েক মিনিট চলে যাওয়ার পর চিন্তা মিশ্রিত চেহারা নিয়ে ফিরে এসে রৌদ্র বললো,
– আদি! আরু নেই!
আদনান ভয়ার্ত চাহনিতে চেয়ে বললো,
– নেই মানে!
– সারা হসপিটাল খুঁজে দেখেছি আরু কোত্থাও নেই।
– কি যা তা বলছিস কোথায় যাবে ও!
এ কথা বলেই সেই জায়গা ছেড়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো আদনান। সবার হাসিখুশি মুখ চিন্তায় ছেয়ে গেলো। অসুস্থ মেয়েটা কোথায় গেলো! সারা হসপিটাল হন্যে হয়ে খুঁজছে আদনান। আফসান, কায়নাত, ঈশান, তিতির, নিশি, রৌদ্র, আঁখি সাখাওয়াত সবাই আরাধনাকে খুঁজে হয়রান। কিন্তু নেই! কোথাও নেই আরাধনা। পাগলের মতো ছুটে হসপিটালের বাইরে বেরিয়ে এলো আদনান। তাকে এভাবে ছুটতে দেখে গার্ড’স রাও বেরিয়ে আসে। গলা ফাটিয়ে আরাধনাকে ডেকে চলছে আদনান কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ নেই। ভয়ে আতংকে তার হৃদপিণ্ড অস্বাভাবিক ভাবে স্পন্দিত হচ্ছে। বুকের মাঝে তীব্র ব্যথায় ‘আহ্’ সূচক শব্দ করে ডুকরে ওঠে আদনান। বুকে হাত চেপে হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে চিৎকার করে উঠলো,
– আরাধনা! আরাধনা কোথায় তুমি? দেখো তোমার আদনানের কষ্ট হচ্ছে! আমার বুকের বাম পাশটায় অনেক যন্ত্রণা হচ্ছে। আরাধনা?
•
অন্ধকার মাঝরাত্তিরে বারবার আদনানের কথা ধ্বনি-প্রতিধ্বনিত হতে লাগলো। কিন্তু আরাধনার কোনো প্রতিত্তোর ফিরে এলো না। দৌড়ে এলো রৌদ্র আর ঈশান। দূর থেকে ভেসে আসছে শিয়ালের মরাকান্না। মুহুর্তেই হাসিখুশি পরিবেশটা বিষাদের চাদরে ঢেকে গেলো। ক্লান্ত হয়ে মাটিতে বসে আছে আদনান। আফসান ভাইয়ের পাশে বসে বললো,
– ভাই তোকে এভাবে ভেঙে পড়লে চলবে না। সিসিটিভি ফুটেজ রেডি আছে। এক্ষুনি ভাবিকে খুঁজে পেয়ে যাবো আমরা। তুই কোনো চিন্তা করিস না।
মাটির দিকে চেয়ে তপ্ত শ্বাস ছেড়ে দুর্বল চিত্তে আদনান বললো,
– কোথায় তুমি আরাধনা? একবার ডাকো আমায়! জাস্ট একবার ডাকো প্লিজ! যেখানেই আছো ভয় পেয়ো নাহ্। আমি তোমাকে শীঘ্রই আমার বুকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো আমার জান! আই প্রমিজ!
তারউপর আকাশের দিকে তীর্যক ভাবে চেয়ে বললো,
– আমার আরাধনাকে তোমার হেফাজতে রেখো আল্লাহ্। আমাকে আমার আরাধনার কাছে তাড়াতাড়ি পৌঁছে দাও প্লিজ! ওর কোনো ক্ষতি হতে দিও না!
•
•
•
চলবে…
(শব্দসংখ্যা~ ১৬৪০। আসসালামু আলাইকুম রিডার্স আমি জানি আপনাদের অনেক অভিযোগ। কিন্তু আমি নিরুপায় আগেও বলেছিলাম আমি অনেক অসুস্থ। প্রচন্ড মাথাব্যথা, মাইগ্রেনের প্রবলেম আছে তার সাথে জ্বর একারণে এতটা অনিয়মিত হচ্ছে। আমি চেষ্টা করবো নিয়মিত দিতে। কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না যেন! সাথে ভুলগুলিও ধরিয়ে দিবেন আমি সুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবো। বানান সংক্রান্ত ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। হ্যাপি রিডিং🤍🌼)