অন্যরকম_প্রেমানূভুতি #অস্মিতা_রোদৌসি #part_______08 + বোনাস পার্ট

0
292

#অন্যরকম_প্রেমানূভুতি
#অস্মিতা_রোদৌসি
#part_______08 + বোনাস পার্ট
বাসর ঘরে শুয়ে নাক ডেকে ডেকে ঘুমানোর চেষ্টা করছি কিন্তু পারছিনা।ভয়+রাগ+কান্না সব মিলিয়ে আমাকে একটুও ঘুমতে দিচ্ছে নাহ।মন চাচ্ছে ছুটে নিজের বাসায় চলে যাই।তাও আবার ঔ অভ্রর মাথাটা ফাটিয়ে।ইচ্ছে করছে ওই হনুমানটারে ধরে উরাধুরা পিটনি দিতে।

বেটা খাটাশ,হনুমান,কানকাটা পাঙ্গাস মাছ,লেজকাটা টিকটিকি তুই বিধবা হবি দেখিস। এটুকু বলেই নিজের মুখ চেঁপে ধরলাম।নিজেই এখন নিজের উপর বিরক্ত হচ্ছি।ইচ্ছে করছে নিজের চুল নিজেই ছিরে ফেলি।কি সব আজগুবি কথাগুলাই না বলছি আমি।ওই বেটার বউ তো আমিই। মানি না নায়ি মানিই।আর আমি কি আমারই মৃত্যু কামনা করছি ভাবা যায়!!!!

এসব ভাবছি তখনি দরজাটা খট করে উঠলো।সাথে সাথে আমার বুকটা ধক করে উঠলো।নিশ্চয় ওই অভ্র হনুমানা আসছে।যদি জোর করে স্বামীর অধিকার ফলাতে আসে তবে??আর এমনিতেই লোকটা লুচু স্বাভাবের।এসব ভাবতেই একটা শুকনো ঢোক গিললাম আমি।

আমি চুপটি মেরে শুয়ে চোখ বুঝে ঘুমানোর নাটক করছি।দেখি লোকটা কি করে….

অভ্র রুমে ধুকেই দেখলো তার শুভ্রপরি ঘুমে কাত হয়ে পড়ে আছে তা দেখে মুচকি হাসলো সে।

বাসর রাতে নাকি বউ তার স্বামী সালাম করে,দুধ খাইয়ে দেয়,গল্পসল্প করে আর আমার বউ….আল্লাহ কি কপাল আমার।

এসব ভাবতে ভাবতেই কাবার্ড থেকে ট্রাউজার,আর টিশার্ট নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো অভ্র।

দরজা বন্ধের শব্দে চোখ খুলে মাথা ঘুরিয়ে পেছন ফিরে
তাকালাম আমি।ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ মানে লোকটা ওয়াশরুমে আছেন। হঠাৎ বুকটা মোচর দিয়ে উঠলো।চোখ দিয়ে কষ্টের নোনাজল ঝড়তে লাগলো।এই লোকটা আসলেই খুবখুব বাজে।জোর করে আজ আমাকে বিয়ে করেছে।মতের বিরুদ্ধে।যদিও বিয়ে আরো ১ মাস পরে হওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু এই বাজে লোকটা আজকেই আমাকে জোর করে বিয়ে করছে।ফোর্স করছে বিয়ের জন্য।শুধু বাবা মায়ের জন্য মুখ ফুটে কিছু বলতে পারিনি।লোকটা যে এতটা নিচু মনের মানুষ তা আমি আগে থেকেই জানতাম।বাট এতটা!!!

দরজা খোলার শব্দে চোখ মুছে তারাহুরা করে ওপাশ ঘুরে চোখ বুঝে রইলাম।

হঠাৎ কারো স্পর্শে কিছুটা কেঁপে উঠলাম।বুঝলাম ইনি অভ্র খাটাশ।ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে অজানা ভয়ে।
হঠাৎ তিনি আমাকে তার দিকে ঘুরিয়ে তার বুকের সাথে চেপে ধরলেন।আমি ভয়ে তাকে নিজের থেকে ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে ধপাস করে বিছানায় বসে তার দিকে বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে রইলাম।আমার সেই তাকানোতে ছিলো একরাশ রাগ +লজ্জা +ভয় + অসস্থি।

আপনার লজ্জা করেনা একটা মেয়েকে এভাবে টাচ করতে??লুচুর হদ্দ একটা।ক্যারেক্টারলেজ।একটা ঘুমিয়ে থাকা নিষ্পাপ মেয়ের উপর সুযোগ নিতে।আপনার ঘরে কি মা বোন নাই নাকি হ্যাঁ।রেগে গড়গড় করে মনের কথাগুলো বলে ফেললাম আমি।কোনো কিছু না ভেবেই।

এবার তিনি আমার হাতটেনে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে দুষ্ট হেসে বললে____ তুমি আমার কাছে পর নারী নাকি?? তুমি আমার বউ।তোমাকে যখন ইচ্ছা তখন স্পর্শ করতে পারি।তুমি আমার প্রোপাটি।এই অভ্রের পারসোনাল প্রোপাটি।এই দুনিয়াতে তোমার উপর শুধু আমার অধিকার আছে।কবুল বলার পর তুমি নিজের উপর নিজের অধিকার হারিয়েছো। আর কি যেনো বলছিলে আমি লুচু?? আমি তো এখনো সামান্যতম লুচু গিরিও করিনি।তবে তুমি চাইলে???

আমি হা হয়ে তার কথাশুনলাম।আর অবাক হলাম এই ভেবে যে আজ ওনি আমার কথায় রাগ করার বদলে হাসছে।আবার ওনার কথাগুলো আমার শরীরে আগুন
ধরিয়ে দিচ্ছে। রাগে আমার হাত-পা কাঁপতে লাগলো।

আমি কারো সম্পত্তি না মিস্টার অভ্র শেখ। আমি মানুষ আর মানুষ কোনো সম্পত্তি না। না কারো সম্পত্তি হতে পারে।আমি আমার মতো চলতে পছন্দ করি।কারো অডারে চলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।আর আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানিনা।আর স্ত্রীর অধিকার তো দূরে কথা।অভ্রর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করতে করতে বললাম আমি।

হঠাৎ অভ্র আমাকে তার বুকে আগের তুলনায় দ্বিগুণ জোরে চেপে ধরলেন।আবার তাকে নিজের কাছ থেকে
ছাড়ানোর চেষ্টা করছি হঠাৎ ঠোঁট কারো স্পর্শ পেয়ে চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে দেখলাম অভ্র আমার ঠোঁটে তার ঠোঁট মিলিয়ে দিয়েছে।আর রুডলি কিস করেই যাচ্ছে। আমি এবার আরো দ্বিগুন রেগে গেলাম।অভ্রের পিঠে কন্টিনিউসলি থাপ্পড়,ঘুসি, চিমটি দিচ্ছি কিন্তু তিনি আমায় ছাড়ছেন না।বরং আরো রুলি ভাবে কিস করছেন।

প্রায় ৫ মিনিট পড় ছাড়লো আমার ওই হনুমানটা।আমি থম মেরে বসে আছি। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।ঠোঁট অসম্ভব জ্বালাপোড়া করছে।এত খারাপ বাজে মানুষ কিভাবে আমার স্বামী হতে পারে??

এদিকে অভ্র মেঘার অবস্থা দেখে মিটিমিটি হাসছে।

____ বেইব বিয়ের পর প্রথম স্পর্শ এটা আমার তরফ থেকে।আমার কিন্তু তোমার ঠোঁট দুটো বেশ পছন্দ হয়েছে।ভিষন টেস্টি তোমার ঔই গোলাপি ঠোঁট দু’টো।এইরকম ঠোঁটের টেস্ট আমি প্রতিদিন চাই কিন্তু।
আর তোমাকে কিন্তু ভিষণ হট লাগছে ওড়না ছারা।বলেই মেঘার দিকে তাকিয়ে চোখ মারলো অভ্র!!!

(নীলা দের বাসায় এসেই শাড়িটা বদলে কামিজ পড়ে নিয়েছিলো মেঘা।)

অভ্রর কথায় নিজের দিকে তাকিয়ে ভিষম খেলাম আমি।ওড়না নেই গায়ে।তাই চট করে পাশ থেকে ওড়না নিয়ে গায়ে জড়িয়ে নিলাম।তা দেখে ওই লুচুটা শয়তানি হাসি দিলো।ইচ্ছে করছে বেডার সব দাঁতগুলো ইন্দুরে
দান করে দি।

অভ্র মিষ্টি হেসে খাট থেকে নেমে কাবার্ডের কাছে গেলো।কাবার্ড থেকে একটা বক্স বের করে খাটে গিয়ে মেঘার সামনে পুনরায় বসলো।
বক্স থেকে একটা শোনার সোনার চেন বের করলো।তারপর মেধাকে পরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলো।কিন্তু মেঘলা বাধা দিলো।

____ তুমি আমার কাজে যদি এবার বেগড়া দিসো।তো একটু আগে কি হয়েছিলো।এখম কিন্তু তার চেয়ে বেশি কিছু হয়ে যাবে। চুপচাপ পুতুলের মতো বসে থাকো।অভ্র কিছুটা রাগি রাগি কন্ঠে বললো।

এরপর অভ্র বিনা বাঁধায় সোনার চেনটা মেঘাকে পড়িয়ে দিলো।
তারপর হাতে একজোড়া সোনার চিকন চুড়ি পড়িয়ে দিলো।কানে একজোড়া ছোটছোট দুল পড়িয়ে দিলো।
তারপর কপালে ডিপকিস করলো।মেঘা কিছুটা নড়েচড়ে কেঁপে উঠলো।

অভ্র দুচোখ ভরে তার শুভ্রপরিকে দেখতে লাগলো।অন্যরকম লাগছে আজ মেঘাকে।কানে দুল গলায় চেন হাতে চুড়ি আংটি।সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।সদ্যবিবাহিত লাগছে তাকে।আর অভ্র তার সদ্যবিবাহিত বউয়ের সুন্দরর্য অনুভব করেছে।পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ নিজেকে মনে করছে অভ্র।

আমি চুপচাপ হয়ে সেই কতক্ষণ ধরে বসে আছি আর এই খাটাশটা আমাকে দেখেই চলেছে দেখেই চলেছে।
এবার আমার খুব ঘুম পাচ্ছে তাই হাই তুলতে তুলতে
গা এলিয়ে দিলাম বিছানায়।সামনে খাটাশ আমাকে দেখেই চলেছে বাট কিছু করার নেই।চোখ দুটো আর খুলে রাখতে পারছিনা।

অভ্র হেসে লাইট অফ করে শুয়ে তার শুভ্র পরিকে দেখতে লাগলো।ব্যালকানি থেকে আসা খানিকটা আলো এসে মেঘার মুখে পড়েছে।তাতে আর বেশি মায়াবি লাগছে মেঘাকে।অভ্র কিছুক্ষণ দেখে মেঘাকে বুকের সাথে জড়িয়ে চোখ বুঝ মনেমনে বলছে___

আজ আমি আমার অস্থিত্বতে নিজের করে পেয়েছি।আল্লাহ রহমতে!!!
আমার জিবনের আলোকে আমার কাছে পেয়েছি।
আমার শুভ্রপরি এখন শুধুই আমার।এতদিন তোমার দহনের পুরেছি আমি মিসেস শেখ।এবার তো তোমাকেও সেই দহনের পুড়তে হবে।রাতের ঘুম হারাম করেছিলো তোমার ওই টানা টানা হরিণী চোখ।কুঁচকে যাওয়া ভ্রু দুটো তোমার ঠোঁটের নড়াচড়া আমার বুকে
ঝড় তুলতে এক নিমিষেই।তোমাকে দেখলে নিজের মধ্যেই থাকতাম না তখন।নেশা না করেও কেমন মাতাল মাতাল লাগতো নিজেকে।কারণ তুমিই তো আমার নেশা। যে নেশা কাটবে না আজিবন ও।অনেক অপেক্ষা করছি কখন তোমাকে নিজের করে পাবো।অবশেষে আজ তোমাকে নিজের করে পেয়েছি।এর চেয়ে সুখের আর কিছুই হতে পারেনা।

______
আকাশে আজ থালার ন্যায় চাঁদ উঠেছে।সেই চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়ছে আশেপাশে।কিছুটা আলো গিরিল ভেদ করে মুখে এসে পড়ছে মিঠির।

এদিকে মিঠি ব্যালকানিতে দাড়িয়ে একমনে আকাশের দিকে চেয়ে আছে আর আর গাইছে তার প্রিয় গানটি…

কেনো মেঘ আসে হৃদয়ও আকাশে।
কেনো মেঘ আসে হৃদয়ও আকাশে।
তোমারে দেখিতে দেয়নাআআআ।

মোহ মেঘে তোমারে দেখিতে দেয়না।
মোহ মেঘে অন্ধকোরে রাখে তোমারে।
দেখিতে দেয় না♪♪♪♪

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাইনা।
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাইনা।

খনিকো আলোকে আঁখিরো পলকে
তোমায় যবে দেখিতে ♪♪♪♪
ওহে খনিকো আলোকে আঁখিরো পলকে
তোমায় যবে দেখিতে।

ওহে হারাই হারাই সদা হয় ভয়।
হারাই হারাই সদা হয় ভয়।
হারাইয়া ফেলি চকিতে

আশ না মিটিতে হারাইয়া
পলক না পড়িতে হারাইয়া
হৃদয়টা না জুড়াতে হারাইয়া ফেলি চকিতে।

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাইনা!
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাইনা!

👉( …পরের টুকু নিজ দায়িত্বে শুনে নেবেন…)👈

গানটা শেষ হতেই টুপ করে একফোঁটা জল চোখের কোণ বেয়ে পড়লো মিঠির।বুক চিড়ে বেড়িয়ে এলো তার দীর্ঘশ্বাস।

হৃদয় জুড়ে তার বিষাদের ছায়া।মুখজুড়ে আমাবশ্যার
রাতের মতো কালো অন্ধকার নেমে এসেছে।
কিছু একটা ভাবতেই ম্লান হাসলো মিঠি।

কাকে ভালোবাসে সে??? যে তার ভালোবাসার কানাকড়িও জানেনা।কাকে ভালোবাসে সে?যে তাকে কখনো সিরিয়াসলি নেয়নি।বোঝার চেষ্টা করেনি তার অনুভুতি,অনুভব,আকাঙ্খা, ইচ্ছে।তার সব অনুভূতি মজা করে হেঁসে উড়িয়ে দিয়েছে।যে কিনা তার অনুভূতি অন্যকারো জন্য জমিয়ে রেখেছে।!

যাইহোক তবুও তাকেই ভালোবাসে মিঠি ।তার স্বপ্নকুমারকে।তার ছোট্ট বেলার ভালোবাসা যে সে।

ক্লাস টেন থেকে তার মায়ায় পড়ে আছে মিঠি।মিঠি জানে তার স্বপ্নকুমার ভালোবাসে অন্যকাউকে কিন্তু তবুও মিঠি তার স্বপ্নকুমারকে আড়াই বছর ধরে একতরফা ভালোবেসে এসেছে।আর সারাজীবন ভালোবেসে যাবেও।

এসব একমনে ভাবছে মিঠি।আজ তার দু’চোখে পাতা এক হবেনা।র্নিরঘুম কাটবে আজকের রাত মিঠির।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>♥
<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<♥ আরেকদিকে মদে খেয়ে মাতাল হয়ে রুমের এক কোণায় পড়ে আছে রিদ।কোনো ক্রমে মেনে নিতে পারছেনা তার মেঘু এখন অন্যকারো বউ।তার মেঘু আর তার নেই।শুধু মাত্র তারই ভুলের জন্য।দুবছর প্রেমের নাটক করতে করতে কখন যে মেঘাকে ভালোবেসে তা সে নিজেও জানেনা।কিন্তু এখন জানতে পরেছে বুঝতে পেরেছে যে..সে মেঘাকে ভালোবাসে বড্ড ভালোবাসে।এত চেষ্টা করার পরেও মেঘাকে সে নিজের করতে পারলো না। মেঘা এখন অন্যকারো সাথে একসাথে...এক বিছানায় থাকবে।তার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবে।ভাবতেই রিদের হৃদয় জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। দুমরে মুচড়ে যাচ্ছে তার হৃদয় সহ তার সমস্ত দুনিয়া। মদ খেয়েও যেন মেঘাকে ভুলতে পারছেনা রিদ।বারবার মেঘার মায়াবি ফেসটা তার চোখে ভেসে উঠছে।আর মেঘার সাথে কাটানো মহূর্তো গুলো। মেঘা রিদ ছারা কিছুই বুঝতো না।সারাক্ষণ রিদ রিদ বলে বিরক্ত করতো তাকে।এতে খুব বিরক্ত হতো রিদ। আজ সেই বিরক্তগুলো ফিরে পেতে চাইছে রিদ।বাট পাচ্ছেনা বা পাবেনা।মেঘলা এখন তার ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। _____________________ আড়মোড়া ভেঙে ঘুম থেকে উঠতে নিলেই উঠতে পারিনা।দুটো শক্তহাত আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে।সে আর কেউ নয় অভ্র।বিরক্ত হয়ে হাতদুটো সরিয়ে বিছানা থেকে উঠে সোফার উপর রাখা লাগেজ থেকে একটা থ্রিপিস নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলাম। এই লোকটা আমাকে জ্বালিয়ে মারছে।লোকটার ব্যাবহারের জন্য আরো বেশি করে সয্য হচ্ছেনা তাকে আমার। সব দিক দিয়ে পারফেক্ট হলেও ক্যারেক্টারের দিক দিয়ে বড্ড লুজ। মনে মনে আরো অনেক রকমের কথা বলতে বলতে শাওয়ার নেয়া শেষ করলাম। ওয়াশরুম থেকে বেরোতেই চোখ গেলো অভ্রর দিকে।পায়ের উপর পা তুলে সোফায় বসে ফোন টিপছে। আমি তাকে উপেক্ষা করে আয়নার সামনে গিয়ে চুলগুলো আছড়াতে লাগলাম। আচমকা কারো উত্তপ্ত নিশ্বাস আড়ছে পড়ছে আমার ঘারে।কিন্তু পারফিউমের ঘ্রাণে বুঝতে পারলাম এ আর কেউ নয় অভ্র লুচু। দাড় হয়ে পেছন ঘুরে কোমড়ের হাত দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে তার দিকে তাকালাম। কি হয়েছে বিরক্ত করছেন কেনো?? কাল রাতে বিরক্ত করে মন ভরেনি তাই সাত সকালে আবার বিরক্ত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন হ্যাঁ???রেগে বললাম আমি। অভ্র মুচকি হাসলো মেঘনার কথায়।আজ প্রথম খোলা চুলে মেঘা কে দেখছে সে। চলবে.... [কাল গল্প পোস্ট করতে পারিনি।কারণ আইডিটে সমস্যা হয়েছিলো।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here