কাজল_কালো_ভ্রমর #পর্ব১১(বোনাস পার্ট) #Raiha_Zubair_Ripte

0
444

#কাজল_কালো_ভ্রমর
#পর্ব১১(বোনাস পার্ট)
#Raiha_Zubair_Ripte

সামনে থাকা টি-টেবিল টাতে সজোরে লাথি মারে সজিব। সে বিশ্বাস ই করতে পারছে না আরশিয়া তার কথার অবাধ্য হবে। মিহিকার উপর প্রতিশোধ নিবার জন্য আরশিয়ার হাতে হাত মিলিয়েছিলো।

আরশিয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড সজিব। তারা একই ভার্সিটি থেকে অনার্স কমপ্লিট করেছে। সজিব একটু উশৃংখল বখাটে ছেলে,বাপ মায়ের আদরের দুলাল।

একদিন কলেজে মিহিকাকে দেখে সজিব। সেখান থেকেই বিভিন্ন কৌশলে মিহিকাকে পটিয়ে বেড পার্টনার করতে চায়। এরজন্য একদিন মিহিকাকে বেড পার্টনারের কু প্রস্তাব দেয় সজিব।

মিহিকা সজিবের দেওয়া কুপ্রস্তাব শোনামাত্রই ঠাটিয়ে চড় লাগায় গালে। সেদিন ইচ্ছা মতো বকেছিলো সজিবকে সাথে পাবলিকের গণধোলাই ও খাইয়েছিলো।

সেদিন থেকেই সজিব বিভিন্ন টাইমে মিহিকার ক্ষতি করতে চায়।

সেদিন বিয়ের আসরে বিয়ের ঘন্টাখানেক আগে আরশিয়া সজিবকে ফোন করে শুধায়,,

_ হ্যালো সজিব,সাহিলের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, কিছু একটা করনা যেনো বিয়ে টা ভেঙে যায়।

_ হ্যাঁ বুজলাম বাট আমি কি করবো।

_ সাহিল আমার কাজিন মিহিকা কে বিয়ে করতে এসেছে,প্লিজ কিছু কর এই বিয়েটা যেনো না হয়।

_ কিহ! আগে বলবি না,আর ওয়েট ওয়েট আমায় একটু ভাবার সময় দে আমি কিছু একটা করছি।

কথাগুলো বলেই সজিব ফোন কেটে দেয়। বিছানায় আধশোয়া হয়ে ভাবতে থাকে কি করা যায়।

আরশিয়া কে ফোন করে সাহিলের ফোন নাম্বার নিয়ে সাহিল কে ফোন করে সজিব।

সাহিল অচেনা নাম্বার থেকে কল আসতে দেখে কল কেটে দেয়। কল কাটার সাথে সাথে আবরার একই ফোন নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোনটা তুলে কানে ধরে,ওপাশ থেকে ভেসে আসে,,

_ হ্যালো মিস্টার সাহিল,আজ নাকি আপনার বিয়ে।

_ হ্যাঁ আজ আমার বিয়ে,আপনি কে?

_ আমি যেই হই না কেনো সেটা বড় কথা না, বড় কথা হচ্ছে আমি যদি আপনায় টাকা অফার করি আর তার বিনিময়ে আপনি বিয়েটা ভেঙে আরশিয়া মানে মিহিকার ফুফাতো বোনকে বিয়ে করতে হবে আপনি কি রাজি হবেন।

_ আমি কেনো আপনার কথা শুনবো।

_ তাও ঠিক বাট একবার ভেবে দেখুন মিহিকা বিয়ে না করলে আপনি মোটা অংকের একটা চেক পাবেন,সাথে একটা ফ্লাট,টাকা গুলো দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে পারবেন। আপনার বাবার কাছে আর হাত পাততে হবে না।

_ আমাকে ভাবার টাইম দিন।

বলে ফোন কেটে দিলো সাহিল। আনমনে বসে ভাবতে লাগলো, আসমানীর তেড়া তেড়া কথার ধাঁচ,ছোট থেকে আসমানীর থেকে কখনো ভালোবাসা পায় নি,প্রতি মাসে শফিক সাহেবের কাছে টাকার জন্য ঘ্যানঘ্যান করতে হয়,আহিল, আহিয়া থেকে থেকে বুঝিয়ে দেয় তারা তার আপন ভাই নয়।

বেশ খানিকটা সময় নিয়ে ডিসিশন ফাইনাল করে সে মিহিকাকে বিয়ে করবে না সে আরশিয়াকেই বিয়ে করবে।

সজিব নিউস টা শোনা মাত্র পাশে থাকা ম’দের বোতলের মুখাটা খুলে ম’দ গ্লাসে ঢেলে সেটা মুখের সামনে নিয়ে এক ঢোক গিলে।

_ সো মিস মিহিকা এবার অপমানের জন্য প্রস্তুত হও,তোমার লাইফটা আমি হ্যাল করে দিবো। তোমার যেই না রূপ ঐ রূপের কোনো মেয়ে আমার লেভেলেই আসে না সেখানে যেচে তোমায় আমি এক রাতের জন্য অফার করেছিলাম কিন্তু তুমি আমায় পাবলিকের হাতে গণধোলাই খাওয়ালে।

আরশিয়া আজ ফোন করে বিয়ের কথা না জানালে তো জানতেই পারতাম না তোমার বিয়ে,আর বেচারা আরশিয়া তুই ও বুঝলি না তোকে ব্যাবহার করেই আমি আমার প্রতিশোধ নিবো।

আরশিয়া রান্নাঘরে এসে চাউল বের করে রান্না বসায়। আসমানী বেগম রান্নাঘরে এসে আরশিয়াকে শুধায়,,

_ কি ব্যাপার রান্না ঘরে কেনো তুমি, আমার রান্না ঘর একদম অগোছালো নোংরা করবে না।

_ তাহলে আপনি দাঁড়িয়ে থেকে আমায় গাইড করুন। তাহলেই আপনার রান্না ঘর নোংরা বা অগোছালো হবে না।

_ তোমায় আমি গাইড করবো কেনো, নিজ বাড়ি থেকে কি রান্না বান্না শিখতে পারো নি জানতে না শশুর বাড়িতে বাড়ির বউদের ই রান্না থেকে শুরু করে সব করতে হয়।

_ হাঁসালেন আন্টি যেখানে আমায় বাড়ির বউ হিসেবেই মানেন না সেখানে কিভাবে আশা রাখেন সেই মেয়ে আপনাদের কাজ কর্ম করে দিবে। তবু আমি তো করতে চেয়েছিলাম,আপনাদের নিজের পরিবার মনে করেই পায়ে পা লাগিয়ে মিলেমিশে থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনারা সবাই আমার সাথে কেমন ব্যাবহার করছেন। আমার মা বাবা আমার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না,আর আপনাদের বাড়ি এসে একটা মানুষের ও ভালো মুখ পাই নি।

আপনাদের কি উচিত ছিলো না আমাকে আপনাদের মতো করে গড়ে তোলা। আগুনে পুড়িয়ে লোহাকে যেই আকৃতি দিবে সেই আকৃতি তেই লোহা সেই রূপ নিবে, কিন্তু আপনারা তো একবারের জন্য ও আমার দিকে ফিরে তাকালেন না। আপনারা চাইলেই পারতেন আমায় ও সেই লোহার মতো আকৃতি দিতে।

আসমানী আর কোনো উত্তর দিতে পারলো না আরশিয়ার কথার। সে হয়তো একটু হলেও নিজেকে নিয়ে সংশয়ে আছে সে ঠিক করছে নাকি ভুল। আসমানী মাথা নিচু করে রান্না ঘর থেকে চলে গেলো।

আসমানীর যাওয়ার পানে তাকিয়ে আরশিয়া একটা তাচ্ছিল্য ভরা হাসি দিয়ে ইউটিউব দেখে রান্না করতে থাকে।

রান্না প্রায় শেষের দিকে তখন ফোন বেজে উঠায় ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে সজিব কল করছে।
আরশিয়া ফোনটা রিসিভ করে কানে নেয়,,

_ কি ব্যাপার কিসের জন্য ফোন দিছো তুমি।

_ তুমি কিন্তু বাড়াবাড়ি করছো আরশিয়া। তুমি ঐ বাড়িতে থেকে কি করবা সবাই তোমায় হেয়ো করে তার চেয়ে বরং তুমি ফ্লাটে গিয়ে থাকো আরামে।

_ এই তরে বলছি না আমার সংসারে তুই নাক গলাবি না,তুই কি ভাবছিস তোর চালাকি আমি ধরতে পারবো না,তুই খারাপ কিন্তু এতোটা খারাপ ভাবতে পারি নি।

_ মানে কিসব বলছো তুমি, আমি বুঝতে পারছি না কিছু। আমি সবসময় তোমার ভালোই চাই।

_ তুই কি কঁচি খোকা যে তুই জানিস না,তোর আর আমায় নিয়ে ভাবতে হবে না, ভাগ্যিস সেদিন রাহুল বললো,

_ মা মানে ক কি বলছে রাহুল।

খানিক টা তুতলিয়ে জবাব দেয় সজিব।

_ তুই কোন সাহসে আমার বোনকে খারাপ প্রস্তাব দিয়েছিলি,আমার ভাই জানতে পারলে তোর জিহ্বা টেনে ছিঁ’ড়ে রেখে দিতো। তুই টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে সাহিল কে আমায় বিয়ে করাইতে রাজি করছিলি। আগে যদি জানতাম তোর এই কুকীর্তির কথা তাহলে জীবনেও তোর কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়াতাম না।

_ তাহলে তুই সব জেনেই গেছিস,তোর বোনের সাহস হয় কিভাবে আমায় পাবলিকের হাত মার খাওয়ানের।

_ আমার বোন তো তোরে শুধু পাবলিকের মাইর খাওয়াইছে আমি থাকলে তোরে জুতা দিয়া পিটাইতাম, ফোন রাখ আর কোনোদিন যদি আমার জামাইরে উসকানি দেস তুই তাইলে তোর খবর আছে।

_ তুই কাজ টা ঠিক করলি না, আজকের ব্যাবহারের জন্য তোর জীবনেও কালবৈশাখীর ঝড় আসবে, কথাটা মনে রাখিস।

_ তুই যা পারার তাই করিস যা এখন ফোন রাখ।

কথাটা বলেই ফোন কেটে দেয় আরশিয়া। ধপাস করে ফ্লোরে বসে নিশ্চুপে কান্না করতে থাকে। এ কোন জীবনে নিজেকে জড়ালো,না আছে ভালোবাসা আর না আছে পারিবারিক সম্মান,আজ খুব বাবা,মা,ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে আরশিয়ার।

বেশ কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করে নিজেকে নিজেই শান্তনা দিয়ে খাবার বেরে বাড়ির সবাইকে ডাকে লাঞ্চ করার জন্য।

আরশিয়ার ডাক শুনে সবাই নিচে নেমে এসে দেখে আরশিয়া খাবার টেবিল সাজাচ্ছে।

সবাইকে টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আরশিয়া সবার উদ্দেশ্যে শুধায়,,

_ কি ব্যাপার আপনারা সবাই দাঁড়িয়ে আছেন কেনো বসে পড়ুন খাবার বেরেছি খেয়ে নিন।

_ আবার কি ঝাল খাইয়ে মার’তে চাও নাকি।

ফুস করে কথাটা বলে দেয় দাদি।

আরশিয়া দাদির দিকে চেয়ে হেঁসে বলে,,

_ চিন্তা করবেন না দাদি আমি নির্বোধ নই,আমার মস্তিষ্কে বুদ্ধি নামক জিনিস টা আছে। আমি তো আর চাইলেও পারবো না আপনাদের রেখে নিজে একা একা খেতে তোমাদের মতো। তাই কথা না বাড়িয়ে বসুন সবাই।

কেউ আর কথা না বাড়িয়ে টেবিলে বসে পড়ে।

সাহিলকে নিচে নামতে না দেখে উপরে যায় ডাকার জন্য।

আরশিয়া উপরে এসে দেখে সাহিল বেডে আধশোয়া হয়ে শুয়ে আছে। সহিলের পিঠে হাত দিয়ে,,

_ এই সাহিল উঠো খাবার খেয়ে তার পর যতো পারো ঘুমাও না করবো না।

আরশিয়ার হাতটা পিঠ থেকে জাটকা মে’রে সরিয়ে দেয়। কিঞ্চিৎ রেগে শুধায়,,

_ এই যাও তো তোমার রান্না তুমি খাও একদম ডিস্টার্ব করবা না,যত্তসব।

_ তুমি আমার সাথে এভাবে কথা বলতেছো ক্যান। আমি তো ভালো বুঝেই তোমায় ডাকলাম খাবারের জন্য।

_ এই চুপ থাকো তো এমনিতেই মাথা গরম আছে,তোমার এই সাধুগিরি অন্য জায়গায় দেখাও। আর শোনো তোমার সাথে সংসার করবো না আর আমি।

_ হোয়াট ডু ইউ মিন সাধুগিরি, আমি সাধুগিরির মতো কি করছি আর তুই কিসের সংসার না করার কথা বলছিস,এতোদিন ধরে তোর তামাশা দেখছি আমি,আজকের পর থেকে তুই কি করবি না করবি সব আমি ঠিক করে দিবো।

সাহিল আরশিয়ার কথা শুনে বিছানা থেকে উঠে,,

_ তোর এতো বড় সাহস তুই আমার সাথে গলা উঁচু করে কথা বলিস।

বলেই আরশিয়াকে মারার জন্য হাত উঁচু করলে সাথে সাথে আরশিয়া হাত টা ধরে ফেলে।

_ এই ভুলটা নেক্সট টাইম যেনো করতে না দেখে এবারের মতো ছেড়ে দিলাম পরের বার এমন ভুল করতে দেখলে হাত টা ভেঙে অন্য হাতে ধরিয়ে দিবো। আমি গেলাম ভদ্রলোকের মতো নিচে খেতে আয়,দ্বিতীয় বার যেন ডাকতে না হয়।

বলেই আরশিয়া নিচে নেমে আসে। সাহিল আকস্মিক আরশিয়ার এমন রূপ দেখে হতবাক। আর কথা না বাড়িয়ে সাহিল নিচে নেমে যায় খেতে।

সাহিল নিচে নামলে আরশিয়া সাহিল কে খাবার বেরে দিতে গেলে তার মধ্যে আহিল এসে উপস্থিত হয়। আহিল বাইরে থেকে এসে সোজা নিজের রুমে চলে যায়। ফ্রেশ হয়ে এসে সোফায় বসলে আরশিয়া এসে আহিলের সামনে দাঁড়ায়।

আহিল নিজের সামনে কারো উপস্থিত পেয়ে সামনে তাকিয়ে দেখে আরশিয়া। ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে কিছু বলবে নাকি।

আরশিয়া চোখ দুটো পানিতে টলমল করছে,কোনোরকমে নিজেকে সামলিয়ে বলে,,

_ ভাইয়া আসুন না খেতে আমি নিজের হাতে রান্না করেছি।

আহিল কাটকাট গলায় জবাব দেয়,,

_ না আমি খাবো না।

_ জানেন তো আহিল ভাই আপনার মতো আমার ও একটা বড় ভাই আছে,ভাই টা নাকি দেশে এসেছে প্রায় সাত বছর পর,একটি বারের জন্য ও তাকে দেখতে পারলাম না। আপনাকে দেখলে আয়ুশ ভাইয়ের কথা মনে পড়ে। আমি তো আপনার বোন আহিয়ার মতোই, আপনি যেমন আহিয়ার সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলেন তখন আপনার জায়গায় আয়ুশ ভাইকে কল্পনা করতে থাকি। আপনাকে আহিল ভাইয়ের মতোই নিজের ভাই মানি,আপনি কি পারতেন না আমার জায়গায় আপনার বোন আহিয়া হলে তাকে মাফ করে দিতে? অবশ্যই মাফ করে দিতেন। কিন্তু আমি তো আর আপনার নিজের বোন না তাই কি আমায় আপনারা ক্ষমা করতে পারছেন না।

_ এখানে তোমার কোনো দোষ নেই আরশিয়া আর আমি তোমার উপর রেগে নেই এখন আর প্রথম প্রথম রেগে ছিলাম কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম আমরা সবাই তোমার উপর অন্যায় করছি যা আমাদের করা উচিত হয় নি। ক্ষমা চাওয়ার হলে আমাদের চাওয়া উচিত সকলের তোমার কাছে।

_ না ভাইয়া এসব কি বলছেন, আপনারা বকবেন মার’বেন আবার বুকে টেনে নিবেন তাহলেই চলবে,এখন আসুন না খেয়ে দেখেন বোনের হাতের রান্নাটা।

আহিল মুচকি হাসি দিয়ে টেবিলের চেয়ার টেনে বসে পড়ে খেতে।

শিং মাছের ঝোল টা দিয়ে ভাত মেখে মুখে নিয়ে আরশিয়াকে জানায় রান্না মোটামুটি ভালোই হয়েছে।

আরশিয়া কথা টা শুনে তৃপ্তি মাখা একটি হাসি দেয়,তার শ্রম গুলো বিফলে যায় নি।

_____________

রাফিয়া ক্লাসে ঢুকেই মিহিকার মাথা খারাপ বানিয়ে ফেলছে,আয়ুশ কে হয়, কই থাকে,তার ফেসবুক একাউন্ট কোনটা, ব্লা ব্লা ব্লা………

মিহিকা আর না পেরে বলে আয়ুশের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তাই শুধু শুধু টাইম ওয়েস্ট করে লাভ নেই।

কথাটা শোনামাত্রই মুখটা কালো হয়ে যায় রাফিয়ার।

এ নিয়ে আর কোনো কথা হয়নি আর দুজনের মাঝে।

কলেজ শেষে গেটের বাহিরে আসতেই দেখতে পারে আয়ুশ গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে। মিহিকা আয়ুশের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

_ তুমি আবার আসতে গেলে কেনো,আমি তো চলেই যেতে পারতাম।

_ আমি যে কেনো এসেছি এ কথা তোর এই চোট মাথায় ঢুকবে না,চল বাড়ি গিয়ে দেখবি সামিরা কি কাহিনী শুরু করছে।

_ কেনো আপাই আবার কি শুরু করছে?

_ আগে গাড়িতে উঠ তারপর বলছি।

মিহিকা আয়ুশের মতো গাড়িতে উঠে বসে,আয়ুশ ও গাড়িতে উঠে গাড়ি চালাতে শুরু করে।

_ তা বলো না কি শুরু করছে সামিরা আপাই।

_ সামিরা এখনি বিয়ে করবে না,মামি কেনো তাকে না জানিয়ে আর পাত্র পক্ষ কে আসতে বললো,তার কয়দিন পর পরীক্ষা এসব নিয়ে।

_ চাচি কিন্তু কাজটা ঠিক করেনি, আপাই তো ঠিক কথাই বললো তার কি বিয়ের বয়স হয়েছে নাকি,আর সামনে এক্সাম আপাই বিয়েতে কনস্ট্রাকশন দিবে না কি এক্সামে।

_ হয়েছে তুই আর এ কথ বলিস না, তোর মনে হয় বিয়ের বয়স হয়েছিলো,নাক টিপলেই তো দুধ বের হয় সে আবার ঢ্যাং ঢ্যং করে বিয়ে করতে গিয়েছিলো। তোর আন্দাজে সামিরা অনেক বুদ্ধিমতী।

আয়ুশের কথা শুনে মন খারাপ হয়ে যায় মিহিকার।

মিহিকার মান খারাপ দেখে আয়ুশের ইচ্ছে করছে নিজেকে ঠাটিয়ে চড় লাগাতে কেনো বললো সে একথা, নিশ্চয়ই তার ভ্রমর তার কথা শুনে মনে কষ্ট পেয়েছে।

#চলবে

(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,আর আপনারা নায়ক নিয়ে কনফিউজড ছিলেন,আমি বলে দেই নায়ক আয়ুশই হবে,তাই অযথা আহিল কে নিয়ে এক্সপেকটেশন না রাখাই ভালো। কাল হয়তো গল্প দিতে পারবো না তাই আজ বোনাস পার্ট দিলাম,এই পর্ব নিয়ে নিজেদের মতামত বলে যাবেন,আর যাদের ভালো লাগবে না তারা এভয়ড করবেন,বাজে মন্তব্য করবেন না ভালো না লাগলে, হ্যাপি রিডিং)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here