তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল #নুসাইবা_ইসলাম_হুর #পর্বঃ৩১

0
487

#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ৩১

শাফিন বসে আছে পারফির কেবিনে। পারফি ওর দিকে দাঁত কটমট করে তাকাতে শাফিন এক নিঃশ্বাস বলে উঠলো,

দেখ ভাই আমার কোনো দোষ নেই। আমি সকাল সকাল অফিসে আসছিলাম কিন্তু তোর খাডাইশ (খাটাশ) বোন এর জন্য দেরি হয়ে গেছে।
আজ কতো কষ্ট করে একদম টাইম মতো ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে আসছিলাম তখন তোর খাডাইশ বোন আমাকে ভিজিয়ে দিয়েছে যার জন্য দেরি হয়ে গিয়েছে। আমার কোনো দোষ নেই, আমি আজ ওই বাঁদরের সাথে ঝগড়াও লাগাই নাই। ওই বাঁদর ইচ্ছে করে আমাকে ভিজিয়ে দিয়েছে যাতে অফিসে আসতে লেট করে তোর থেকে বকা খাই।

শাফিনের কথায় পারফি হাতের ঘড়ির দিকে তাকালো তারপর ফের শাফিনের দিকে তাকিয়ে হাতটা শাফিনের দিকে ঘুরিয়ে ঘড়ি দেখাতে দেখাতে বললো কয়টা বাজে?

এতোগুলো কথার পৃষ্ঠে পারফির এই কথা শুনে শাফিন বেকুব বনে গেলো। পারফির দেখানো হাতের দিকে তাকাতে তাকাতে বললো,

এমা তুই ঘড়ির টাইম বুঝিস না? ছিঃ ছিঃ ছিঃ এই বয়সে এগুলো দেখা লাগলো? এখনো ঘড়ির টাইম বুঝিস না আর কিনা সেই ঘড়ি হাতে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিস ছিহ্ ছিহ্।

শাফিনের কথায় পারফি দাঁতে দাঁত চেপে বললো,

তোকে এতো পক পক করতে বলি নাই টাইম বলতে বলেছি।

পারফির কথায় শাফিন এবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললো ১০,৫৬

তোকে অফিসে আসতে বলেছিলাম কয়টা বাজে?

পারফির এবারের কথায় শাফিন শুকনো ঢোক গিলে বললো ৮ টায়।

বাসা থেকে বের হয়েছিলি কয়টায়?

৯ ট.. এই না না ৭:৩০ সে। সত্যি কথা মুখ ফস্কে বলে দিতে নিয়েও তারাতাড়ি কথা ঘুড়িয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলে দিলো শাফিন।

শাফিনের কথায় পারফি এবার বললো যেহেতু ৭:৩০ সে বেড়িয়েছিস তাহলে নিশ্চিয়ই ৭:৩০ কি ৩৫ সের দিকে তোকে প্রীতি ভিজিয়ে দিয়েছে রাইট?

শাফিন ঢোক গিলে বললে হ..হ্যা।

৭:৩০ সে তোকে প্রীতি ভিজিয়ে দিয়েছে আর এখন বাজে ১০:৫৬ তাহলে ৩ ঘন্টা ২৪ মিনিট লেট। তোকে ৭:৩০ সে ভিজালে তোর ফের চেঞ্জ করতে হায়েষ্ট ৩০ মিনিট এই লাগলো? তাহলে চেঞ্জ করে ৮ টা বাজে তুই বাসা থেকে বের হলি বাকি রইলো ৩ ঘন্টা। আমার জানা মতে অফিসে পৌঁছাতে ৩০ মিনিট এই এনাফ। তাহলে বাকি ২:৩০ মিনিট কোথায় গেলো? এখন নিশ্চয়ই বলবি না হেঁটে এসেছিস তাই লেট হয়েছে। তাহলে বলবো বাসা থেকে অফিসে হেঁটে আসলেও ১ ঘন্টার ভিতরে পৌঁছে যাওয়া যায় তাহলে বাকি ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট কোথায় গেলো?

পারফির কথায় শাফিনের মাথা ঘুরে উঠলো। এমন কাঠ কাঠ টাইম সেট করে বলাতে শুকনো ঢোক গিললো। মিথ্যে কথা বলেও রক্ষা হলো না ধূর্ত শিয়ালের কাছে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েই গেলো। এতক্ষণ মাথায় এই ছিলো না কার কাছে মিথ্যে বলছে। ধূর্ত শিয়ালের সাথে আদো পাঙ্গা লড়া যায়? এখন কি বলে এখান থেকে পার পাবে ভাবতেই শুকনো ঢোক গিলতে লাগলো শাফিন।

পারফি শাফিনের দিকে তাকিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বললো,

যা হয়েছে সব নিজ থেকে বলবি নাকি অন্য পথ অবলম্বন করতে হবে?

শাফিন আর কোনো উপায় না পেয়ে মুখ গোমড়া করে সকাল থেকে ঘটে যাওয়া সব কিছু খুলে বললো।

সব শুনে পারফি বললো এবার নিজেই বলে দে তোকে কি শাস্তি দিবো।

পারফির কথায় শাফিন ঢোক গিলে বললো,

তুই না আমার জানের দোস্ত আমর ভাই। এবারের মতো ছেড়ে দে প্রমিজ আর জীবনেও লেট করবো না। দরকার হলে বিয়ে করে ঘরে বউ নিয়ে আসবো যাতে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠিয়ে দেও তবুও আর দেরি করবো না।

শাফিনের শেষ কথায় পারফি কি রিয়াকশন দিবে ঠিক বুঝে উঠলো না। এই বাঁচাল ছেলের কথায় হাসবে না কাঁদবে বুঝে উঠতে পারলো না। সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার জন্য নাকি বিয়ে করে ঘরে বউ আনবে এটাও কি মানা যায়?
পারফি নিজেকে সামলে বললো শালা জীবনেও তুই সোজা হবি না।

শাফিন ৩২ টা দাঁত বের করে বোকা হেঁসে বললো আজকালকার যুগে সোজা মানুষের ভাত নেই।

শাফিনের কথায় পারফি হতাশ শ্বাস ফেললো। এতো আজগুবি কথা ও কোথায় খুঁজে পায় তাই বুঝে না।
পারফি চোখ রাঙিয়ে শাফিনের দিকে তাকিয়ে বললো

গাধার মতো না হেসে এবার মুখ বন্ধ কর। তোর মুখ বন্ধ করলে কাজের কথায় আসতে পারি।

শাফিন ঠোঁট উল্টে বললো

ভালো করে ওতো কথাটা বলতি পারতি। শেষে কিনা গাধা বানিয়ে দিলি? জীবনেও বউ পাবি না তুই শালা আমি অভিশাপ দিলাম।

শাফিনের কথায় পারফি এবার দাঁতে দাঁত চেপে বললো,

তোর ননস্টপ বকবক বন্ধ করবি নাকি লেট করে আসার শাস্তির ব্যবস্থা করবো?

শাফিন ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বললো এই যে একদম চুপ, আর একটা কথাও বলবো না।

গুড এবার শোন সেই ৫ জনের লিডার ১ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে।

শাফিন এবার সিরিয়াস হয়ে বললো কি বলিস? কোথায় খুঁজে পাওয়া গেছে আর কেথায় আছে এখন?

ঢাকার বাহিরে ঘাপটি মেরে ছিলো এতদিন এখন আমাদের আস্তানায় আছে।

মুখ থেকে কথা বের করেছে নাকি যাবো মুখ খুলতে?

তার প্রয়োজন নেই অলরেডি মুখ খুলে দিয়েছে।

কি বলিস? কার কথায় এমন করছে? ওই শালার নাম শুধু একবার বল এই মুহূর্তে যেয়ে তুলে আনবো।

পারফি এবার শাফিনের দিকে তাকিয়ে বললো এনামুল খান।

ওহ্ আচ্ছা এখনি তুলে আনছি শালাকে এ বলে উঠে যেতে নিবে তখন চোখ কপালে উঠিয়ে বললো কি? এনামুল খান? আমাদের বিজনেস পার্টনার? ওর সাথে আমাদের কিসের শত্রুতা?

সেটাই ভাবছি ওর সাথে আমাদের কিসের শত্রুতা। এবার ওর ব্যপারে খোঁজ লাগা। আমি আজকের ভিতরে ওর ব্যপারে সব ডিটেইলস চাই।

কাজ হয়ে যাবে, ওই শালাকে তো আমি দেখে নিবো। তাহলে আমি যাই কাজে লেগে পড়ি, এ দিকটা তুই সামলা এ বলে শাফিন চলে গেলো।
————————
বদ্ধ রুমের ভিতরে হাত-পা বাঁধা অবস্থা পড়ে আছে এনামুল খান।
তখন সেখানে প্রবেশ করলো পারফি আর শাফিন। সেদিনের পর কেটে গিয়েছিলো দুদিন। এই দুই দিনে এনামুল খানের সব তথ্য কালেক্ট করা হয়ে গেলো।
সব তথ্য হাতে পেতেই এনামুল খানকে এখানে আনা।

পারফি আর শাফিন রুমে প্রবেশ করতেই এনামুখ খান ওদের দেখে চমলে গেলো। চমকে বলে উঠলো,

তোমরা? ত..তোমরা আমাকে এভাবে তুলে এনেছো? কিন্তু কেনো?

তোকে একটু স্পেশাল ভাবে আদর যত্ন করার জন্য এনেছি বাঁকা হেসে বলে উঠলো শাফিন।

শাফিনের কথায় এনামুল খান কিছুটা রেগে উঠে বললো,

মজা করছো আমার সাথে? এগুলোর মানে কি? ভুলে যেও না আমি তোমাদের বিজনেস পার্টনার হই। এসব কোন ধরনের ব্যবহার? তুইতোকারি করছো কেনে? আমাকে ছাড়ো বলছি।

পারফি এনামুল খানের সামনে একটা চেয়ারে বসতে বসতে বললো,

মাত্র দু ঘন্টা এভাবে বাঁধা অবস্থায় থেকে বিরক্ত হয়ে গেলি? কয়েকমাস আগে আমিও ছিলাম এভাবে বাঁধা অবস্থায় তাও তোর মতো মাত্র দুই ঘন্টা না দুই দিন ছিলাম।

পারফির কথায় এনামুল খান চমকে উঠলো। আমতা আমতা করে বলে উঠলো,

ম…মানে? আর এসব কথা আমাকেই বা বলছো কেনো?

শাফিন বলে উঠলো আরে মিস্টার এনামুল খান আর কতো নাটক করবি? তোর সব লুকোচুরি এবার ফাঁস হতে চলেছে। কি ভেবেছিস আমরা কিছুই জানবো না? এবার অন্তত সব শিকার কর।

এনামুল খান এবার কিছুটা ঘাবড়ে যেয়ে বলল,

কি সব বলছো তোমরা? কি শিকার করবো আমি?

পারফি এবার একটা অডিও ক্লিপ ছাড়লো এনামুল খানের সামনে যেখানে তার স্পষ্ট কথোপকথন ভেসে উঠছে সেদিনের যেদিন পারফি আর ইয়ানাকে কিডন্যাপ করিয়েছিলো।

অডিও ক্লিপটা শুনে এনামুল খানের কপালে চিকচিক ঘাম জড়ো হতে লাগলো। এগুলো ওদের হাতে গেলো কিভাবে ভাবতে শিউরে উঠলো।

পারফি এবার এনামুল খানের দিকে তাকিয়ে বললো,

এবার বলে ফেল আমার সাথে তোর কি শত্রুতা? কেনো সেদিন আমাকে আর ইয়ানাকে কিডন্যাপ করেছিলি? কি উদ্দেশ্য ছিলো তোর?

এনামুল খান কিছুটা সময় নিয়ে আমতা আমতা করে বললো আ..আসলে আমার মেয়ে তোমাকে পছন্দ করে, ও তোমাকে পাওয়ার জন্য পাগলামো করছিলো। তাই আমার উদ্দেশ্য ছিলো ওই মেয়েকে ভয় দেখিয়ে তোমার থেকে দূরে সরিয়ে আমার মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে দেওয়া। এইটুকুই উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বাস করো আর কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না।

এনামুল খানের কথায় পারফি চোখ ছোট ছোট করে বললো,

তাই নাকি? তাহলে সেদিন কে যেনো বলেছিলো পুরোনো শত্রু বলে কথা এখনো অনেক হিসেব নেওয়া বাকি কথাটা হয়তো আমি ভুল শুনেছি তাইনা?

পারফির কথায় এনামুল খান আরো ঘামতে লাগলো। এই কথার পৃষ্ঠে কি জবাব দিবে খুঁজে পেলো না। কিছু বলার জন্য আমতা আমতা করে কিছু বলতে যাবে তখন পারফি বলে উঠলো,

কি ভেবেছিলি আমরা বোকা? তুই আমাদের কিডন্যাপ করবি আর তা খুঁজে বের করতে পারবো না? তুই আমাদের কিডন্যাপ করে ভালোই করেছিস। কারণ আর নাহলে তোর এতো এতো কুকর্মের কথা জানতেই পারতম না।

এনামুল খান ঘাবড়ে যেয়ে বললো ম..মানে?

এনামুল খানের ঘাবড়ানো মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে পারফি শাফিনের কাছে কিছু একটা চাইলো। শাফিন একটা ল্যাপটপ আর একটা পেনড্রাইভ পারফির হাতে দিলো। পেনড্রাইভ টা পারফি ল্যাপটপে ঢুকিয়ে ল্যাপটপ অপেন করে এনামুল খানের দিকে ঘুরালো যেখানে এনামুল খানের এতো বছরের কুকর্মের সব প্রমান ভেসে উঠতে লাগলো। কালোবাজারি বিজনেস, মানুষ পাচার, খুন খারাবি আরো যতো নোংরা কাজ আছে তা ভেসে উঠলো।

এসব দেখে এনামুল খান চমকো গেলো। থমকে গেলো কিছু সময়। কিছুক্ষণ পর পারফিদের উদ্দেশ্যে রেগে বললো এতো কিছু তোরা জানলি কিভাবে?

শাফিন এবার এনামুল খানের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে বললো,

এইতো নিজের আসল রুপে অবশেষে ফিরলি। এতক্ষণ কি অভিনয়টাই না করলি। কি ভেবেছিলি তোর কুকর্মের কথা কখনো জানতে পারবো না? আরে তোরাতো কাপুরুষ তাই লুকিয়ে লুকিয়ে এসব কাজ করে বেরাস। তোর ভাই রফিক খান কাপুরুষের মতো বিদেশে লুকিয়ে আছে কেনো? সাহস থাকলে আমাদের সামনে আসতে বল। ঠিকি বলেছিলি পুরোনো শত্রু, তোর বাবা ছিলো একটা জা* আর তোরাও হয়েছিস তাই।

এনামুল খান আরো রেগে যেয়ে বললো আমাকে তোরা চিনিস না। ধ্বংস করে দিবো তোদের পুরো ফ্যামিলি তাই ভালোই ভালোই বলছি আমাকে ছেড়ে দিয়ে ওই পেনড্রাইভ আমার হাতে তুলে দে।

এনামুল খানের কাথায় ঘর কাঁপিয়ে হেসে উঠলো শাফিন আর পারফি। শাফিন ফের বললো তাই নাকি?এতো তারা? আগেতো এখান থেকে জীবন নিয়ে ফিরে দেখা তারপর নাহয় আমাদের ফ্যামিলি ধ্বংস করিস।

এনামুল খান আস্তে আস্তে ঘাবড়ে যেতে লাগলো। এতক্ষণ রেগে থাকা এনামুল খান শান্ত হয়ে যেয়ে কিছুটা সময় নিয়ে বললো,

আমার কিছু হলে কখনো নিজের বোনের খোঁজ পাবি না। সারাজীবন খুঁজেই যেতে পারবি কিন্তু খোঁজ আর পাবি না তাই বলছি নিজের বোনের পরিচয় জানতে চাইলে পেনড্রাইভ আমার হাতে দিয়ে আমাকে এখন থেকে যেতে দে।

এনামুল খানের এবারের কথা শুনে পারফি শাফিন দুজনেই থমকে গেলো। এনামুল খানের কথা বুঝে উঠতে শাফিন ছুটে যেয়ে এনামুল খানকে এলোপাতাড়ি মারতে মারতে বলে উঠলো,

তার মানে তুই আমার বোনকে আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিস? আজতো তোকে আমি জানে মে/রে ফেলবো এ বলে কোনো দিকে না তাকিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে লাতলো।

মার খেতে খেতে এনামুল খানের চোখমুখের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে রক্ত ঝড়তে লাগলো এবার পারফি শাফিনকে এনামুল খানের থেকে জোর করে ছাড়িয়ে এনে বললো,

রিলাক্স মারার জন্য অনেক টাইম পাবি আগে ওর মুখ থেকে কথা বের করতে হবে।

শাফিন থামলো কিন্তু চোখ দিয়ে আগুন ঝড়ছে যেনো। পারলে এই চোখ দিয়ে ভস্ম করে দিতো এনামুল খানকে।

পারফি এনামুল খানের কাছে যেয়ে চোয়াল শক্ত করে বললো,

ওর বোন কোথায়? কোথায় নিয়ে রেখেছিস? যদি জানের মায়া থাকে তাহলে ভালোয় ভালোয় সব শিকার কর।

এনামুল খান ক্লান্ত চোখে পারফির দিকে তাকিয়ে বললো,

আমাকে এখান থেকে যেতে দিয়ে সাথে সব প্রমাণ আমার হাতে তুলে দে তাহলেই আমি ওর বোনের পরিচয় দিবো। আর নাহলে যদি আমাকে মেরেও ফেলিস তবুও আমার মুখ দিয়ে কথা বের হবে না।

পারাফি এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে এনামুল খানের নাক বারবার ঘুষি মেরে দিয়ে বললো,

কিভাবে মুখ থেকে কথা বের করতে হয় তা আমার খুব ভালো করেই জানা আছে এ বলে হুংকার দিয়ে একজন গার্ডকে ডাক দিলো। পারফির হুংকারে গার্ডটা ছুটে এলো হাতে কিছু একটা নিয়ে।

পারফি গার্ড হাত থেকে ফোন নিয়ে সেটা এনামুল খানের দিকে ঘুরালো যেখানে ভেসে উঠলো এলিজার মুখশ্রী। তারি মতো বাঁধা অবস্থায় একটা রুমে পড়ে আছে। মুখের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতর চিন্হ তা দেখে তর বুক কেঁপে উঠলো।

কাঁপা কাঁপা কন্ঠে এনামুল খান বলে উঠলো আমার মেয়ের এই অবস্থা কেনো? কি করেছিস আমার কলিজার সাথে তোরা?

এনামুল খানের দিকে তাকিয়ে পারফি বাঁকা হেসে বললো, এখন ওতো কিছুুই করি নি বাট এবার করবো। এ বলে গার্ডেদের ইশারা করতে এলিজার মাথায় রিভলবার ধরলো। তা দেখে এনামুল খান চিৎকার করে বলে উঠলো ছেড়ে দে আমার মেয়েকে।

পারফি এবার বলে উঠলো,

আমি তিন পর্যন্ত বলবো এর ভিতরে তুই সত্যিটা শিকার করবি আর নাহলে নিজের চোখে নিজের মেয়ের মৃত্যু দেখবি। এবার কোনটা করবি সেটা তুই জানিস বলতে বলতে পারফি এক দুই গুনতে লাগলো। যেই তিন বলতে যাবে অমনি এনামুল খান ভয় পেয়ে বলে উঠলো বলছি বলছি আমি সব বলছি।

এনামুল খানের কথায় পারফি কল কেটে দিয়ে গার্ডের হাতে ফোনটা ধরিয়ে দিয়ে ইশারা করলো চলে যেতে। গার্ড যেতে পারফি আর শাফিন এনামুল খানের সামনে বসে বললো এবার শুরু কর বলা।

#চলবে?

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….

ভেবেছিলাম এই পর্বে ইয়ানার পরিচয় সামনে আনবো বাট এক পর্বে সব ক্লিয়ার করা সম্ভব না। নেক্সট পার্ট এ সব ক্লিয়ার হবে ইন শা আল্লাহ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here