#এলোকেশী_সে
#মাহমুদা_লিজা
পর্বঃ৪
সকালের মৃদু আলোটা চোখের উপর আসতেই ঘুম ভাঙল তোড়ার। শ্যাম্পু করা চুলগুলো এলোমেলো হয়ে নাকে মুখে লেপ্টে রয়েছে। ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকাতেই ঘুম তার চোখ থেকে পালিয়ে মনে হয় বৃন্দাবন পৌঁছে গেছে। সে আটটা অবধি ঘুমাচ্ছে! নামাজটাও আদায় করল না, কেউ ডাকলোও না।
ওড়নাটা গায়ে জড়িয়ে হুড়মুড় করে ওয়াশরুমে ঢুকল। মিনিট পাঁচেক পর দ্বিগুণ ব্যস্ততার ভঙ্গিমায় ঘর ছেড়ে বাইরে আসতেই দেখল বাড়িময় ব্যস্ততা। বাড়ির বউরা সব ব্যস্ত ঘর গোছানো, রান্নাবান্না আর ঘর পরিষ্কারের কাজে। মাকে দেখতে না পেয়ে দাদীর ঘরে উঁকি দিতেই মা আর দাদীকে একসাথে দেখতে পেয়ে এগিয়ে গিয়ে তাদের সামনে বসল। ভণিতা ছাড়াই জিজ্ঞেস করল, “কিসের আয়োজন চলছে?”
হাতে থাকা ক্রসের কাঁটাটা রেখে রুবাবা বললেন, “তোকে দেখতে আসবে, তাদের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে। মজুমদার বাড়ির মেয়ের জন্য সম্বন্ধ আসবে, আয়োজনে ত্রুটি থাকলে চলে?”
তোড়া কথা বাড়ালো না। নিজের ঘরে গিয়ে ফোনটা হাতে নিয়েই অনু নামটায় ডায়াল করল। দু’বার রিং হওয়ার পরই রিসিভ হলো ওপাশ থেকে, “কিরে ননদী, এত সকাল সকাল ফোন কেন করলি? আমার বরটা কেমন আছে রে?”
অনুর কথা শুনে তোড়ার বেশ হাসি পেল। অয়নের মত কাঠখোট্টা মানুষটা নাকি এই বাঁচাল মেয়েটার সাথে লুকিয়ে প্রেম করে। অবশ্য তোড়ার মাধ্যমেই বেশিরভাগ কথাবার্তা আদান প্রদান হয়। অয়ন রাগ করলে অনুতো তোড়ার ফোন দিয়েই প্রেমিকের অভিমান কমায়।
তোড়া ফিসফিস করে বলল, “শোন, তোর বাসায় আসছি। আজ ওখানেই থাকব।”
অনু চমকে জবাব দিল, “আরে শা-লা আগে বলবি না। তার আগে আমার বরটাকে দে, বেডায় আমার ফোন ধরে না ক্যান?”
তোড়া খিলখিল করে হাসতে হাসতে বলল, “বেডা যে বদমেজাজি তা জেনে প্রেম করছিস না? এখন একদম আমার ভাই নিয়ে অভিযোগ করবি না। কি দরকার ছিল বান্ধবীর ভাইয়ের সাথে প্রেম করার? ওয়েট কর, ভাইয়াকে দিচ্ছি। ”
ওপাশ থেকে কতশত অদৃশ্য চুমু যে তোড়ার গালে পড়ল তার হিসেব নেই। এই মেয়েটা না থাকলে কবে যে অয়নের সাথে মারামারি বাঁধিয়ে দিত কে জানে! চঞ্চল, দূরন্ত মেয়েটা অমন গম্ভীর ছেলেটার কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছে সেটা ভাবলেই কেমন পুলকিত হয় মনটা।
দরজায় খটখট শব্দ শুনে অয়ন জোর গলায় বলল, “দরজা খোলা আছে।”
দরজা ঠেলে ভেতরে আসতেই অহনকে অয়নের পাশে দেখতে পেয়ে ফোনটা হাতে নিয়েই মূর্তির মত দাঁড়িয়ে গেছে তোড়া। অয়নকে এখন ফোনটা দেয়া ঠিক হবে কিনা তা ভেবেই কেমন মাথা এদিক সেদিক ঘুরছে। ওপাশ থেকে অনু চেচিয়েই যাচ্ছে, “ঐ মহিলা, আমার জামাইরে ফোনটা দে। আহারে আমার জামাইটার কন্ঠ গতরাত থেকে শুনছি না। শা/লা বেহুদা রাগ দেখাইছে।”
তোড়ার থমকে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে অয়ন প্রশ্ন করল, “কিছু বলবি?”
নিজের হাতের ফোনটা অয়নের হাতে দিবে কি দিবে না তা নিয়ে দোটানায় পড়ে গেল। অহন তো জানে না অনু আর অয়নের সম্পর্কের কথা। এখন ফোনটা অয়নের হাতে দেয়া মানেই অহন জেনে যাওয়া। ফোনটা কানে লাগিয়ে বেকুবের মত দাঁড়িয়েই থাকল মেয়েটা। অয়ন বুঝতে পারল হয়ত, হাত বাড়িয়ে বলল, “ফোনটা দে।”
তোড়া যেন দম ফিরে পেল। ঝটপট ফোনটা বাড়িয়ে ধরল অয়নের দিকে। অয়ন ফোনটা টেনে নিয়ে কানের সাথে লাগিয়ে এক নজর বড় ভাইয়ের দিকে তাকাল। অহন আড়চোখে পুরো ঘটনাটা আঁচ করার চেষ্টা করল। ততক্ষণে কানে এলো অয়নের কথা – “আমি এমনই, এমনটা জেনেই তো নাচতে নাচতে প্রেম করছো নাকি!”
ওপাশের মানুষটার কথা শুনে পাল্টা জবাব দিল, “এখন তোমার বাবাকে মানাতে গেলে বড় ভাইয়ার আগে আমাকে বিয়ে করা লাগবে। ঐ অপদার্থটা নিজেও বিয়ে করছে না, আমার রাস্তাটাও ক্লিয়ার করছে না। তার উপর পাশে বসে বসে ছোট ভাইয়ের প্রেমালাপ শুনছে। উজবুক কোথাকার!”
এতক্ষণে পুরো ব্যাপারটা আঁচ করতে পেরে ধুম করে এক কিল বসিয়ে দিল অয়নের পিঠে। আঁড়চোখে তোড়ার দিকে তাকিয়ে দেখল মেয়েটা যেন আসমান থেকে পড়ছে অয়নের কথা শুনে। তার কান দিয়ে যেন গরম বাতাস বের হচ্ছে।
অহন তোড়াকে ছোট্ট করে জিজ্ঞেস করল, “তুই সব জানতি?”
তোড়া অপরাধীর মতন মাথা নুইয়ে উপরে নিচে মাথা দুলিয়ে বলল, “ফোনের ওপাশে অনু আছে।”
শীতল স্বরে অহনের ফিরতি প্রশ্ন, “তোর বান্ধবীটা?”
তোড়া মাথা নুইয়েই রাখল। মুখ নিচু করেই উত্তর দিল ছোট্ট করে, “হু।”
মুহূর্তেই মনটা বিষাদে ভরে উঠল অহনের। অন্যের প্রেমের ডাকপিয়ন সে কিন্তু তার জন্য উতলা পুরুষের মনে ডাকপাখিটা কি কখনো পাঠাবে! হোক না একটু মন দেয়া নেয়া, একবার ভরসা করে দেখুক না। হাতটা একবার ধরেই দেখুক, ঐ হাতের বন্ধনটায় কতটা কঠিন করে সে আগলে রাখে সেটাই দেখুক একবার।
কিছু না বলে তোড়াকে পাশ কাটিয়ে অয়নের ঘর ত্যাগ করলো অহন। যাওয়ার আগে আরেকবার পিছনে ঘুরে দেখে নিল এলোকেশীকে। অয়নের খাটের পাশে থাকা ড্রেসিং টেবিলের আয়নাটায় ঘুরে দাঁড়ানো অহনের অবয়ব স্পষ্ট দেখেছে তোড়া। তার চোখের শীতল চাহনি বারংবার তার হৃদয়কে বিদ্ধ করে। লুকোচুরির শীতল অনলে শুধু অহন নয়, নিজেও যে জ্বলছে তা বোঝানোর সাধ্য বা সাধ কোনোটাই নেই তার।
__________
সদর দরজায় পা রাখার আগেই গম্ভীর রাশভারি কন্ঠে তোড়াকে স্পষ্ট জানানো হলো আজ কোথাও যাওয়া হবে না।
তোড়ার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ থাকার কথা কিন্তু সে আদলে বিরাজ করছে কিঞ্চিৎ রহস্য। গম্ভীর কন্ঠটা উপেক্ষা করে ডান পা’টা সদর দরজার বাইরে রাখতেই শক্ত পুরুষালি হাতটা তোড়ার বা’হাতটা ধরল। এবার পেছনে ঘুরল মেয়েটা। শীতল চাহনি নিয়ে বেশ ধীরে সুস্থে বলল, “যে হাত আমায় দাঁড়াতে শেখায়নি, যে হাত আঁকড়ে ধরে পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়নি সেই হাতটা দিয়ে আমার হাত স্পর্শ করার অধিকার কি সত্যি আপনি রাখেন?”
মেয়ের মুখের বিষবাক্য শুনেও নির্বিকার নিজাম মজুমদার। আদেশের সহিত পুনরায় মেয়েকে ঘরে ঢোকার জন্য বললেন।
জড়বস্তুর মত তখনও দাঁড়িয়ে তোড়া। নিজাম মজুমদার এবার নিজের মায়ের ডাক দিলেন, “মা, এদিকে আসেন।”
ছেলের স্বর শুনে কাঁপা কাঁপা শরীরে লাঠিতে ভর দিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলো। ছেলের হাতে নাতনীর হাতখানা দেখে তিনি ভয়ে তটস্থ হলেন। উদ্বিগ্ন স্বরে জানতে চাইলেন তোড়াকে ধরে রেখেছে কেন।
মায়ের উদ্দেশ্যে নিজাম মজুমদার বেশ কড়া স্বরে বললেন – “আপনার নাতনীকে ঘরে যেতে বলুন, আজ ওকে দেখতে আসবে। আমি আর কোন চিত্রায়ণ উপস্থাপন হতে দেখতে চাইনা। নিজেকে তৈরী করতে বলুন।”
মেহেরজান এগিয়ে এসে তোড়ার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন। ছোট্ট মেয়েটার আধভাঙা মনটা এবার ষোলকলা পূর্ণ করে ভাঙল। মেরুদণ্ড সোজা করা মানে যে বয়স্কদের সাথে ঔদ্ধত্য দেখানো যাবে না তা আবার প্রমাণ করল তোড়া। বাবা আর দাদীর আহ্বান অগ্রাহ্য করতে পারল না সে। পরিকল্পনা বদলে নিয়েছে চটপট। বাড়ির বাইরে না গিয়েও বিয়েটা আটকানোর মত নিপুণ পরিকল্পনাটাও মুহূর্তেই সেরে নিয়েছে। হাতটা ছাড়িয়ে ঘরের দিকে পা বাড়াল। আড়াল থেকে রুবাবা পুনরায় নাখোশ হলো তোড়ার প্রতি। মেয়েটা বাঁধা উপেক্ষা কেন করলো না এই আফসোসটা আবার জেঁকে বসেছে মাথায়। সবাই জানে রুবা হাল ছেড়ে দিয়েছে। বস্তুতঃ ব্যাপারট ঠিক তা নয়। ঐ লোকটার মুখোমুখি হওয়ার মত অভিপ্রায় কিংবা রুচি কোনোটাই তার নেই। শুধু প্রতিশোধের নেশাই পেয়ে বসেছে আপাতত।
ক্যানভাসে আটকানো বেগুনি জমিনের শাড়িটা হাতে নিল তোড়া। জানালার পাশে ক্যানভাসটা রেখে ড্রয়ার খুলে রং তুলি বের করে জানালার পাশের টেবিলটায় রাখল। একটা তুলি উঠিয়ে চুল পেচিয়ে আঁটকে নিল সেটা দিয়ে। কাঠগোলাপের নিখুঁত প্রতিচ্ছবি বেগুনি জমিনে ফুটিয়ে তুলছে রঙ আর তুলির ছোঁয়ায়। একবার এদিক একবার সেদিক মাথা হেলিয়ে চিত্রায়ণের নিগূঢ়তা যাচাই করছে সে। মুঠোফোনটা হাতে নিয়ে তার রং করা শাড়ির ছোট্ট অংশটুকুর স্থিরচিত্র ধারণ করল তাতে। পুরো শাড়িটার এক তৃতীয়াংশ রং করেছে সবে। ডিভাইসটায় কাঠগোলাপের চিত্রায়ণ নিখুঁত ও জীবন্ত লাগছে বেশ। কাঠগোলাপের গায়ে বিন্দু বিন্দু জলকণার উপস্থিতি রঙের ছোঁয়ায় বেগুনি জমিনে আনতে মোটেও ভুল করল না মেয়েটা।
তার খুব ইচ্ছে স্বাবলম্বী হওয়ার, মাকে একটা স্বপ্নময় জীবন উপহার দেয়া বাকি। মাকে এই নরকতুল্য যন্ত্রণা থেকে উদ্ধার করা বাকি। চাপা দীর্ঘশ্বাসটা বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে এলো যেন। আবারও মানসপটে ভেসে এলো সেই সুতনু পুরুষটার অবয়ব। শ্যাম বর্ণের পুরুষটার স্নিগ্ধ, কোমলপ্রাণ চাহনি, সময় পেলেই একটু পাশে থাকার কি অদম্য প্রয়াস, সুযোগ পেলেই এক পলকের জন্য দেখে যাওয়া, ক্ষণে ক্ষণে প্রতিকূলতার ছোবল থেকে আগলে নেয়া, মন খারাপের দিনে ঠোঁটের কোণে হাসি টেনে আনানোর মত মানুষটাকে প্রতিটি ক্ষণে মনে পড়ে। কিন্তু মনপাড়ার দরজায় শিকল টেনে রাখতে হয়। অনুভূতির জন্ম দেয়া বারণ। কারণে অকারণে স্বপ্ন দেখা বারণ।
চোখের কোণের অবাধ নোনা জলকণা মুছে নিল সন্তর্পণে। পুরুষদের প্রতি তীব্র ক্ষোভটা কেন যেন এই পুরুষটার বেলায় কাজ করে না। নিজের বেহায়া মন কেন বারবার ছুটে যায় নিষিদ্ধ অনুভূতির পানে!
________
মাঝ রাস্তায় বাঁধা পেয়ে গাড়ি থামাল জাকারিয়া। গাড়ির সামনে কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অশ্রাব্য কথাটা শুনিয়ে বেরিয়ে এলো গাড়ি থেকে। পাত্রী দেখতে যাওয়ার পথে অযাচিত বাঁধা পেয়ে মেজাজ তুঙ্গে চড়ে বসলো। এদিকে নিজাম মজুমদার ঘন ঘন কল দিয়ে যাচ্ছে মুঠোফোনে। জাকারিয়া বেরিয়ে এসেই সামনে থাকা ছেলেটাকে বলল – “রাস্ত আটকলি কেন?”
এতক্ষণে চারপাশ থেকে আরো জন ছয়েক ছেলে বেরিয়ে এলো। মাস্কের আড়ালে চশমাওয়ালা ছেলেটা মাথা চুলকে জিজ্ঞেস করল, “কই যাও সোনা?”
ততক্ষণে তার গাড়ির ভেতরের মানুষদের কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে কেউ বের না হয়।
জাকারিয়া সামনের মানুষটার বুকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে বলল, “তুই কে রে, তোকে বলতে হবে নাকি?”
ধাক্কার তোড়ে মানুষটা দু’পা পেছালো ঠিকই, আবারও এগিয়ে এসে চুলগুলো পেছনে ঠেলে দিয়ে বলল – “রাগ করেনা জান, তোড়ামণির জন্য আমি আছি। তোমার ওখানে যেয়ে কাজ নেই। তারচেয়ে বরং ভদ্রলোকের মত ফিরে যাও, আমাদের বিয়েতে নিমন্ত্রণ করব। দুটো রোস্ট এক্সট্রা দেব খেতে, কাচ্চির আনলিমিটেড অফার থাকবে। যাও টাকলু বাচ্চা, ঘরে যাও।”
কথাটা বলতে বলতে মুখোশ পরিহিত মানুষটা জাকারিয়ার কলারের দু’প্রান্ত আরেকটু গলার দিকে টেনে দিয়ে তার বাহুতে আলতো করে দুটো চাপড় দিয়ে তাড়া দিল ফিরে যাওয়ার জন্য। তখনই ঘটল বিপত্তি। আচমকা সজোর এক ঘুষি এসে পড়ল অচেনা মানুষটার গালে। তাতেই ক্ষান্ত হলোনা জাকারিয়া। দ্বিতীয় ঘুষিটা দেয়ার জন্য আবার হাত উঠালো সে, তার আগেই সামনের মানুষটা তার হাতটা পেছনে মুচড়ে ধরল। খানিকক্ষণ বাদে হাত ছেড়ে ঘুষিটার জবাব ফিরিয়ে দিল ষোলআনা। গালে হাত দিয়ে জাকারিয়া বুঝতে পারল ঠোঁট কেটে র:ক্ত পড়ছে। দ্বিতীয় ঘুষিটা পড়ল নাক বরাবর। কয়েকটা লাথি এসে পড়ল পেট আর পায়ে। ধূলোয় লুটিয়ে পড়া জাকারিয়াকে ধরতে গাড়ি থেকে বের হয়ে এলো তার মা। বয়স্ক মানুষটাকে সম্মানের সাথে, সৌজন্যের সাথে আগত পুরুষটা বলল – “ছেলেকে নিয়ে ফিরে যান আন্টি, তোড়ার বিয়ে আমার সাথে হবে। তখন নিমন্ত্রণ পাবেন আশা করি। এরপরও যদি আপনার ছেলে বাড়াবাড়ি করে তাহলে হাড়গোড় গুটিয়ে দেব।”
জেরিন রহমান ছেলেকে উঠিয়ে আশেপাশে তাকালেন। সবাই তামাশা দেখায় ব্যস্ত। কেউ এগিয়ে এলেনা তাদের আটকাতে। সবার বিবেককে বার কয়েক ধিক্কার দিয়ে ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে উঠলেন। ড্রাইভারকে বললেন গাড়ি কাছেপিঠের কোন হাসপাতালে নিতে।
গাড়ি ঘুরে গেল হাসপাতালের দিকে। এতক্ষণে হয়ত মজুমদার বাড়িতে খবর পৌঁছে গেছে জাকারিয়া রহমানের বিয়ে করার খায়েশ নেই। মার খেয়ে বিয়ের খায়েশ মিটে গেছে।
মাস্কটা খুলে নিজের গালে হাত বুলিয়ে নিল মানুষটা। পাশে থাকা বন্ধুদের বলল -” শা/লা আমার গালের দাঁত নাড়িয়ে দিয়েছে। টাকলুর হাতে দারুণ এনার্জি। তাতে আমার কি? তোড়ামণি আমার, কোন শা/লা আসবে আবার, মেরে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেবো।”
চলবে…….