#অন্যরকম_তুমিময়_হৃদয়াঙ্গণ
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_২৮ (চমক)
“আফরাজ আমারো স্বামী। আমি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। কানে যায় না আপনাদের? এই আমাকে সম্মানের সহিতে গ্রহণ করা আপনাদের দায়িত্ব। নাহলে আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।”
নাজীবার কান ঝালাপালা করে উঠল। তার স্বামীজান এর দ্বিতীয় স্ত্রী তাবাসসুম! কথাটা যেনো সে মোটেও হজম করতে পারছে না। আফরাজ বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। আকবর, কুসুমা,জনাব ইসমাইল আর মিসেস ফেরদৌসী বিস্ময় চেহারায় আফরাজ এর দিকে তাকায়। মিসেস ফেরদৌসীর বিশ্বাস হচ্ছে না তার ছেলে কেমনে এই বে’শ্যা’ মেয়ে-কে বিয়ে করল? সকলের দৃষ্টি জোড়া দেখেও কোনো পরোয়া না করে নিজস্ব অর্ধাঙ্গিণীর দিকে তাকায়। তার চোখ-মুখে অসহায়ত্ব, বিশ্বাসের অভাব ফুটে উঠায় বুক কেঁপে উঠল আফরাজ এর। তার মন বলছে, বিবিজান তাকে অবিশ্বাস করবে না। তবুও নিজেকে যথাসাধ্য শান্ত রেখে তাবাসসুম এর দিকে তাকিয়ে বলে,
“দেখো তাবাসসুম ফাজলামি করা বন্ধ করো। যেখান থেকে এসেছো সেখানেই ফিরে যাও। তোমার এখন নিজের মায়ের পাশে থাকা খুব জরুরী। শুধু শুধু আমার বিবিজান এর অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের সিনক্রিয়েট করো না। নাহলে আমি বাধ্য হবো তোমাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে। নাউ গেট আউট ফম হেয়ার।”
“না না যাবো না। আমি তোমাকে ভালোবাসি আফরাজ। এই মেয়েটা যখন থেকে তোমার জীবনে এসেছে তখন থেকেই নানান সমস্যা তোমার জীবনে। এই মেয়ে একটা আপদ বুঝতেছো না কেনো? না জানে আর কত কিছু লুকিয়ে রেখেছে শরীরের মধ্যে। এই মেয়ের কারণেই তো আমার নানাভাই আমার বাবার মৃত্যু হলো। ছিঃ বলতেও লজ্জা লাগছে মেয়েটা কিনা আমার নানাভাই কে বশ করেছিল।”
শেষের কথায় ‘ঠাসস’ করে চ’ড় বসিয়ে দেয় আফরাজ। চ’ড় এর প্রতিক্রিয়ায় টাইলার্সের উপর পড়ে যায়। আফরাজ এর রা’গে মাথা ফেটে যাচ্ছে। নাজীবা সকলের সামনে মাথা নুইয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আজকের দিনটাও কি তবে ব্যর্থতায় কাটবে? একটুখানি প্রশ্নের ঘুরপাক গেল যেনো। মিসেস ফেরদৌসী তার বউমা-র উপর বলা অপবাদ সহ্য করতে পারলেন না। রান্নাঘরে গিয়ে কালো গুঁড়ার বালি পানিতে গুলিয়ে নেন। বাটির মধ্যে ঢেলে তৎক্ষণাৎ তাবাসসুম এর কাছে চলে আসেন। কথাহীন তার মাথার উপর ঢেলে দেন। ক্ষোভে তাবাসসুম যেনো উম্মাদ হয়ে উঠল। মিসেস ফেরদৌসীর হাত থেকে বাটি নিয়ে ছুঁড়ে মা’রল। বাটি ভেঙ্গে কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল। সকলে উম্মাদী এক মেয়ের কান্ড দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েছে। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)তাবাসসুম সবার দিকে তাকিয়ে মুখের কালো পানি হাত দিয়ে সরিয়ে বলে,
“আফরাজ আমার স্বামী। বুঝছেন আপনারা? এতদিন আমি এই কথা বলিনি নিজের স্বার্থের জন্যে। আজ এই মুহূর্তে আমি বলছি আমি আফরাজ এর দ্বিতীয় স্ত্রী। এই কথা আপনারা মানতে না চাইলেও আমার কিছু যায় আসে না। এই বাসায় এই বাসার আঙ্গিনায় আমারও হক-ধারী আছে।”
বিরক্ত হয়ে আফরাজ তার গার্ডস কে ইশারা করল। তারা তাবাসসুম কে ধরতে নিলে সে কৌশলে গার্ডের পকেট থেকে পি’স্তল বের করে স্বয়ং আফরাজ এর দিকে ট্যাগ করে বলে,
“ভালোবাসি তোমাকে। তাই এক কথা কান দিয়ে শুনে নাও। বউ হয় তোমার। যত অন্যায় করি না কেনো? সবগুলোর ঊর্ধ্বে একটাই সত্য আমি তোমার স্ত্রী। আর তোমাকে অবশ্যই আমাকে স্বীকৃতি দিতে হবে।”
“ওও যাস্ট সেট আপ ননসেন্স। কি প্রুভ আছে আমি তোমার স্বামী? আমার যতদূর মনে পড়ছে! একসময় আমি তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও তুমি তা অস্বীকার করেছিলে। তারপর আমার বিয়ে আমার বিবিজান এর সাথে হয়ে যায়। তোমার সাথে কানেক্টেড হওয়ার কোনো রাস্তাই নেই বুঝলে? যাও দরজা ঐদিকে নিজের রাস্তা মাপো।”
তাবাসসুম পৈশাচিক ভাবে হেসে উঠল। তার একেক ব্যবহারে নাজীবার মনপ্রান্তে উথাল পাতাল ঢেউ বয়েছে। আফরাজ এর শার্টের হাতা চেপে ধরে মাথা নুইয়ে রেখেছে সে। তার মন চাইছে না পুনরায় চোখ তুলে এই ক’ল’ঙ্কীনির চেহারা দেখতে। তন্মধ্যে ক্ষোভের অগ্নিকাণ্ড তার মস্তিষ্কে দাউ দাউ করে জ্বলছে। আফরাজ আড়চোখে বিবিজানের আগলানো দেখে মনেমন প্রশান্তির হাসল। নচেৎ ভয়ে সে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতো না। বিবিজানের বিশ্বাস আছে দেখে তার মনের সন্দেহ দূরীভূত হয়ে গেল। কর্কশ গলায় বলে,
“দেখো তোমার মুখে কালো পানি মেখে থাকার স্বত্তেও এখনো সম্মান দিয়ে কথা বলছি। নাহলে তুই-তোকারি করে ঘাড় ধাক্কিয়ে তোমার যোগ্যতা বুঝিয়ে দিতাম। সো গেট লস্ট ফম হেয়ার।”
তাবাসসুম শান্ত ভাবে তার হ্যান্ডব্যাগ থেকে কিছু পেপার্স নিয়ে নাজীবার সামনে গেলো। আফরাজ ভীরু দৃষ্টিতে চেয়ে রইল। তাবাসসুম নম্র গলায় বলে,
“এই দেখো ম্যারেজ সার্টিফিকেট এ তোমার স্বামীর সিগনেচার। তিনি অস্বীকার করলেও তুমি তো এখন বুঝদার। ভালোই বুঝো কোনটা নকল , কোনটা আসল? সো ফয়সালা তোমার হাতে।” কথাটা বলে তাবাসসুম নোংরা মুখে নাজীবার কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলে,
‘ভালো করে দেখেশুনে ফয়সালা নিবে। নাহয় কারো না কারো জীবন যাবে। এখন তোমার হাতে পরিবারের জীবন সঁপে দিলাম।’
কথাটুকু বলে দূরে সরে গেল তাবাসসুম। নাজীবা স্তদ্ধ দৃষ্টিতে পেপার্স ঘেঁটেঘুটে দেখল। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)কোনো ভাবেও দেখতে নকল মনে হচ্ছে না! ঢোক গিলে আফরাজ এর দিকে এগিয়ে দেয়। সে পেপার্স নিয়ে পুরো পেপার্স ঘেঁটে দেখে। তার সাইন এ পেপার্সে কেমনে আসল? তার মাথা হ্যাং হওয়ার মত অবস্থা। নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে আফরাজ তাবাসসুম কে তাচ্ছিল্যে করে বলে,
“তোমার কি মনে হয়? অন্যকাউকে দিয়ে আমার সাইন কপি করিয়ে ম্যারেজ সার্টিফিকেট এ লাগিয়ে দিবে আর আমরা তোমার বোকামি ধরতে পারবো না ভাবছিলে?”
কথার ইতি টেনে আফরাজ তাবাসসুমের চোখের সামনে পেপার্স ছিঁড়ে ফেলল। টুকরো করে পাশে থাকা ডাস্টবিনে ফেলে দিল। তাবাসসুম এর সামনে গিয়ে হাত ঝাড়া দিয়ে বলে,
“দেখো তোমার প্ল্যান তো ফ্লপ করে দিলাম। এখন কি করবে?”
দাঁতে দাঁত চেপে তাবাসসুম বলে,
“তোমার কি মনে আমি তোমাকে আসল পেপার্স দিয়েছি? না কখনো দেবো না। যা ছিঁড়েছো তা হচ্ছে একদমই ফটোকপি করা পেপার্স। আসল পেপার্স খুঁজে পাবে না। এত কষ্টের ফল সহজে তো নষ্ট হতে দিতে পারি না। তাইত, তোমার পিএ হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফাইল সিগনেচার করানোর নামে কৌশলে ম্যারেজ সার্টিফিকেটেও সিগনেচার করিয়ে নিলাম। তুমি আমার আইনগত স্বামী এটা মানতে বাধ্য তুমি। কিছুক্ষণ পর আমার কথা সত্য হবে। ওয়েট করুন।”
তাবাসসুম এর কথা শেষ না হতেই পেছন থেকে কেউ একজন বলে উঠে,
“ওয়েট করতে হবে না মিসেস তাবাসসুম। আপনার কথা সত্য।”
একজন লয়ার-কে দেখে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখে সকলের নজর তার উপর গিয়ে পড়ে। লয়ারের সঙ্গে হিংস্র চাহনি নিয়ে ফাহিম মহলের ভেতর প্রবেশ করলেন হিয়া দেয়ান। চোখের দৃষ্টি পুরো মহলের দিকে বুলিয়ে নিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির খাতিরে চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক রেখে সামনে এগিয়ে গেলেন। লয়ার জনাব ইসমাইল এর সামনে গিয়ে বলে,
“এই পেপার্স হাজারো চেকিং করিয়েও লাভ হবে না মিস্টার ইসমাইল। কারণ আপনার ছেলেকে হতবুদ্ধির মধ্যে ফেলে এই মেয়ে সিগনেচার করিয়ে নিয়েছে। আইনত তাদের বিয়ের সময় চলছে মাত্র তিনমাস। আফরাজ ব্যাটা চাইলে ডিভোর্স এর এপ্লাই করতে পারবে। কিন্তু তা কার্যকর হবে তিন মাস পর। না চাইতেও আপনাদের থেকে তাবাসসুম কে গ্রহণ করতে হবে। উক্ত ছয়মাস পূর্ণ না হওয়া অব্দি তাকে ডিভোর্স দেওয়া সম্ভব নয়।”
জনাব ইসমাইল এই লয়ার-কে চিনেন। জানা-পরিচিত মুখ। বিধেয় অসহায় চোখে ছেলের দিকে তাকান। সকলে কথাগুলো শুনেছে। বাহিরের মানুষগুলো তো কানাঘুষা করা শুরু করে দিয়েছে। কেউ কেউ ছেলে-কে খারাপ বলছে তো কেউ কেউ নাজীবা-র চরিত্র নিয়ে কথা তুলছে। আফরাজ তাদের কথায় ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাবাসসুমের গলা চেপে ধরল। নাজীবা হতবাক হয়ে গেল। আফরাজ এর হাত ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করল। কিন্তু সে যে শক্ত করে চেপে ধরেছে। ছাড়ার নাম অব্দি নিচ্ছে না। নাজীবা না পারতে জোরেসরে তাকে ধাক্কা মা’র’ল। আফরাজ ফোঁস ফোঁস করে বিবিজান এর দিকে অগ্নি দৃষ্টি দিয়ে রুমের দিকে চলে গেল।
তাবাসসুম কাঁশতে লাগল। নাজীবা শান্ত দৃষ্টিতে পানি এগিয়ে দেয়। সে পানি খেয়ে বলে,’ধন্যবাদ’। নিজেকে স্বাভাবিক করে পুনরায় বলে,
“ছাড়ো এসব। যাও গিয়ে আমার ভরণের জন্য ভরণঢালার ব্যবস্থা করো। আফটার অল আইম হিজ সেকেন্ড ওয়াইফ।”
“ইয়েস আপনাকে স্বাগতম জানানোর জন্য আমি আছি না!”
নাজীবার কথায় উপস্থিত সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। আফরাজ রুমে পায়চারী করছিল। পুনরায় বাহিরে এসে কান্ড ঘটাতে চেয়ে বেরিয়ে এলো। কিন্তু বিবিজান এর কথা শুনে বোধশূন্য চোখে তাকিয়ে রইল। নাজীবা বাঁকা হেসে তাবাসসুমের হাত ধরে বলে,
“আপনার কোনো চিন্তে করতে হবে না। এই ঘরে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।”
কথাটা বলে নাজীবা বাসায় উপস্থিত অতিথিগণের দিকে তাকিয়ে বলে,
“আপনারা খাবার খেয়ে যেতে পারেন। যা হয়েছে ভুলে যান। কয়েকদিনের মধ্যেই সত্যের সন্ধান পাবেন। আজকের জন্য এটুকু ড্রামা যথেষ্ট।”
অতিথিগণ নিজেদের মাঝে ফসুরফাসুর করে খাবার খেতে চলে যায়। একঘণ্টা পর অতিথিগণ চলে যায়। তাবাসসুম কে হিয়া দেয়ান সুন্দর করে সাজিয়ে দেন। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)মিসেস ফেরদৌসী কাপড় দিয়ে চলে গিয়ে ছিলেন। নাজীবা শ্বাশুড়ির কাছে গেলে তিনি মুখ ফিরিয়ে ছেলের কাছে চলে যান। সবার গম্ভীর অভিমানি চেহারা লক্ষ করে মুচকি হাসল। কিন্তু সে যে বুদ্ধি এঁটেছে। তা সকলের ধারণাতীত। তাবাসসুম আয়নার সামনে নিজেকে পরোখ করছে। নাজীবার স্বাভাবিক আচরণ দেখে হিয়া দেয়ান এর মনে খটকা কাজ করছে। তিনি মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলেন,
“এতো কষ্ট করে তোর ঐ খু’নীর বউ হওয়ার দরকার ছিল না। তাদের কেকের মধ্যেই বিষ মিশিয়ে কাজটা সম্পন্ন করে ফেলতে পারতাম। তোর জেদের কারণে এই ঘৃণ্য পরিবারের কাছে হাজির হওয়া।”
“উফ মম তাহলে কোথায় থাকতে? ঐ বস্তির জীবনে টিকে থাকতে পারতে? ঐ নোংরা পরিবেশে কয়েকদিনেই জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেল। সেখানে তুমি বলছো এতো জলদি আফরাজ কে হাতছাড়া করতে? নো নো মম। আফরাজ সোনার ডিম পাড়া হাঁস। তাকে ত্যাগ করা মানে আলিশান মহলের আরাম বিসর্জন দেওয়া। আমি চাই এই মহলে বংশোদ্ভূত করতে। ভাবো মা ছেলে জম্ম দিতে পারলে এই মহলে আমারই রাজ চলবে।”
“হাহ্ বললেই হলো ঐ কুসুমা মেয়েটা প্রেগন্যান্ট। তার উপর নাজীবার প্রেগন্যান্ট হওয়ার ক্ষমতা আছে। আমি তো বুঝতেছি না তুই আসলে চাসটা কি?”
“আহ্ মম তুমি কি আমাকে কাঁচা খেলোয়াড় ভাবো? আমি তো আর প্ল্যান ছাড়া এই গেমে নামিনি। প্ল্যান রেডি বলেই নিজের দাপট নিয়ে বলছি আমার গর্ভে আফরাজ এর পুত্র শীঘ্রই আসবে। আর দু’জন মেয়ের কাছ থেকে গর্ভবতী হওয়ার ক্ষমতা একে বারে ছিনিয়ে নেবো।”
মেয়ের কথা শুনে তিনি যুক্তিযুক্ত মনে করলেন। তিনি মুচকি হেসে বলেন,
“তুইও তোর বাপের র’ক্ত পেয়েছিস। শ’য়’তান শ’য়’তানকে ভালোই বংশপরম্পরার অস্ত্র দিয়ে থাকে বলে না? সেই অস্ত্রের মধ্যে তোকে দিয়ে গেল শ’য়’তানি বুদ্ধি। ভালোই হলো আমিও রাজি।”
“আপনারা রেডি তো?”
নাজীবার কণ্ঠে দু’জন চমকে ঘাবড়ে যায়। তাবাসসুম আমতা আমতা করে বলে,
“হ্যা আমরা রেডি!”
“কি হলো আপু আপনি এমনে তুতলাচ্ছেন কেনো? আমি কি ভুল সময়ে চলে এসেছি? আসলে তাড়াহুড়ো চলছে নিচে। তাই আপনাদের নিতে ছুটে আসলাম।”
দু’জনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় নাজীবার পাশ কেটে বেরিয়ে যায়। শ’য়’তানি হাসি দিয়ে নাজীবা বুকের উপর হাত গুঁজে মনেমন বলে,
“তোরা যদি চলিস বুদ্ধি নিয়ে তাহলে আমি চলি বুদ্ধির বাপ-মাকে নিয়ে হাহ্।”
নাজীবা এটিটিউড নিয়ে যেতে নিলে একজোড়া পুরুষেলী হাত তাকে টেনে বেডরুমে নিয়ে গেল। দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে জোরপূর্বক ওষ্ঠজোড়া মিলিয়ে দেয়। ব্যথার চটে নাজীবা গুঙ্গিয়ে উঠে। কারণ তার স্বামীজান হুট করে এসেই ক্ষোভের বশে তার ওষ্ঠের উপর ক্ষোভ ঝাড়ছে। কষ্টে ব্যথাটা হজম করতে লাগল সে। কয়েক মুহূর্ত পরে আফরাজ বিবিজান-কে ছেড়ে কোলে উঠিয়ে বিছানার উপর শুয়ে দেয়। তার শরীরের উপর নিজের ভার ছেড়ে কম্বল মোড়ে নিল আফরাজ। গম্ভীর গলায় বলে,
“আর যদি বের হয়েছো। তাহলে ঠ্যাং ভেঙ্গে হাতে ধরিয়ে দেবো।”
“আরে তা কেমনে হবে? আমি যে প্ল্যান করেছি তা না করলে আমার উত্তেজনা শেষ হবে না।”
“দেখো তোমার ফাজলামির চটে এতদিনের জমানো আদর ধরে রাখতে পারব না। আই নিড ইউ এন্ড রাইট নাও। তোমার প্ল্যান আকবর আর ভাবী মিলে করে দেবে। আর কাজিনপক্ষ ভিডিও করে রাখবে। নাও কিস মি!”
লজ্জার সহিতে নাজীবা চোখ বুজে নিলো। আফরাজ বিবিজান এর কাছ থেকে পাওনার অপেক্ষা করল না। সে নিজেই ডুবে গেল তার বিবিজান এর সঙ্গে সুখের সাগরে।
চলবে….