#হৃদয়_সায়রে_প্রণয়ের_ছন্দ|২৪|
#শার্লিন_হাসান
💞(বিয়ে স্পেশাল)💞
“এখন এমন ভাব দেখিয়ে ইগনোর করেন। যখন সত্যি অন্য কারোর হয়ে যাবো তখন নদীতে ঝাপ দিলে, ফ্লোরে শুয়ে গড়াগড়ি খেলে, দেওয়ালে মাথা ঠুকলেও কোন কাজ হবে না। ( ভদ্র মেয়ে দেখে গালিটা অপশনাল রাখলাম)।”
শুভ্র মুচকি হেসে অফলাইনে চলে আসে। এদিকটা সামলানোর কাজে ব্যস্ত সবাই। শুভ্রর এতো ব্যস্ততার ভীড়ে ভুলেই গেছে তার মায়ের ক’বর টা যিয়ারত করা হয়নি। শুভ্র তার মায়ের চেহারাটা মনে করে। বেলকনিতে আসে শুভ্র। তার মায়ের ক’বরটা দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট। আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে। মনে,মনে শুধায়, “আম্মু তোমার শুভ্র নতুন জীবনের সূচনা হতে যাচ্ছে। ওপার থেকে দেখছো তো সব? জানো তো মেয়েটা ভীষণ চঞ্চল। তার কাজকর্মে একদম আমার মন খারাপ হতে দিবে না। হ্যাঁ আম্মু তোমার শুভ্রকে মেয়েটা ভালোবাসে। পাগলামী করে। ইশশ তুমি থাকলে দেখতে কীভাবে তোমায় ও মাতিয়ে রাখতো। ভীষণ আদুরে মেয়েটা। বকা দিলে চুপসে গিয়ে স্বীকারোক্তি দেয়, ‘আর করবো না,বলবো না।’ মাফ করলে সেই আগের মতোই। মেয়েটার চঞ্চলতা সবসময় তার চোখে,মুখে ব্যক্তিত্বে লেগে থাকুক। এই চঞ্চলতায় কখনো গম্ভীরতায় রুপান্তরিত না হোক।”
আদ্রিতার ডাকে শুভ্র রুমে যায়। শুভ্রকে বলা হয়েছে রেডি হতো। একটু কেক কাটবে,পিকচার নিবে ব্যাস!
সেরিন শশীকে জিজ্ঞেস করছে তার বরের পিক তুলে আনেনি কেনো? শশী সুন্দর ভাবে বলে দিয়েছে বর শপিং করার জন্য কুমিল্লা গেছে। সেরিনের খটকা লাগে। কারণ তখন শুভ্র ও কুমিল্লায় গেছে শপিং করতে। তাও তার বিয়ের জন্য! আবার শুভ্রদের ও চৌধুরী পরিবার। দু’টো জিনিস মিল পেলেও বাকী কিছুই তো পাচ্ছে না। সেরিন জানে সে চালাক কিন্তু আজকাল চালাকি কাজে লাগছে না। এই তো চালাকী করে বলতো সে সিঙ্গেল, প্রেম ভালোবাসা,বফ এসব তার ভাগ্যে নেই। কিন্তু সেই একজনের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে একবারে তলিয়ে গেছে। শশীকেও বুঝতে দেয়নি সে যে শুভ্রর উপর ফিদা বা তাঁদের কথা হতো। তার মতে ভালোবাসা গোপনে সুন্দর। ভীষণ গোপনে। তবে চিঠি দেওয়ার ব্যপারটা অনেক ভেবে চিন্তে মাথায় আনে। এমনকি তার ফ্রেন্ড নিশাতকেও জানতে দেয়নি। সে যেদিন কলেজে পা রাখে সেদিন শুভ্রর এট্টিটিউড, রুলস,ব্যক্তিত্ব নিয়ে শুনেছে। কয়েকদিন যেতে সে উপলব্ধি করেছে। এই সেই শুভ্র যে চার তলায় বসে এক চিৎকার দিবে পুরো ক্যাম্পাস কাঁপানোর মতো। সে যা বলে তাই!পিটিতে দাঁড়িয়ে তার দেওয়া ভাষণ গুলো প্রথমে শোনলেও পরে বিরক্তি চলে আসে। কিন্তু এটা নিয়ে সিনিয়ররাও বিরক্ত। রোদের মধ্যে বসিয়ে ভাষণ দেওয়া। অনেক ভেবেচিন্তে সেরিন সিদ্ধান্ত নেয় চিঠি আদানপ্রদান করবে। প্রথম চিঠিটা লিখে ধরা খেলেও ঘাবড়ে যায়নি সেরিন। কারণ সেদিন স্বীকারোক্তি দিলে শুভ্র তাকে থা’প্পড় দিয়ে কালা বানিয়ে দিতো এটা শিওর। তাই তো দ্বিতীয় চিঠিটা একটু গড়মিল করে শুভ্রর সন্দেহে গড়মিল করে দেয়। নিজের ভাবনায় নিজে হাসে। কী লাভ হলো এতোকিছু করে? সেই তো পরিবারের পছন্দে কাকে না কাকে বিয়ে করতে হচ্ছে। তবে সেরিনের সন্দেহ হয় এটা শুভ্র হয়ত বা!
সন্ধ্যায় অক্ষর আসে। সেরিনের সাথে টুকটাক কথা বলে। বিয়েটা হুট করে হলেও সেরিন খুশি। অক্ষর আর তেমন কিছুই বলেনি।
সন্ধ্যা পেরিয়ে যায় মাহী,অক্ষর,রাফা মিলে ভেতরে মেহেদীতে বসার জন্য জায়গা ঠিক করে। ছোট্ট করে ফুল দিয়ে ডেকোরেশন করে। টাইলসের উপর বিছানার মতো করে নেয়। কুশন, ভাজের মধ্যে গোলাপ, বিভিন্ন রকমের ফুল, ঢালা ভর্তি মেহেদী,ফুল,কেক এসব দিয়ে সাজানো হয়।
সেরিন অফ হোয়াইট কালারের গাউন পড়েছে। বাকীরা গাঢ় (Moss) কালারের কুর্তি পড়েছে। সেরিনের আম্মু,কাকীমা আর ফুফি তারা গ্রীন কালারের শাড়ী। ছেলেরা মেরুন কালারের পাঞ্জাবি।
সেরিন নিশাতকে ভিডিও কল দেয়। আসার পর তাঁদের দেখা হয়নি তবে মাহীর থেকে জেনেছে নিশাত কুমিল্লায় নেই। সে ঢাকায় গিয়েছে আর এখন আসা পসিবল না। তবে যখন বিয়েতে বড় করে অনুষ্ঠান হবে তখন থাকবে। নিশাত সেরিনের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে। প্রায় নয়টা বেজে যায় তাঁদের মেহেদীতে বসতে,বসতে। প্রথমে পিক,ভিডিও করে তারপর কেক কাটে। এভাবে অনেক্ক্ষণ আড্ডা দিয়ে এগারোটার দিকে মেহেদী দিতে বসে তারা। শশী,রাফা,সাফা,মেহের তারা সবাই সুন্দর ব্রাইডাল মেহেদী দিয়ে দিতে পারে। শশী আর মেহের সেরিনকে মেহেদী দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। রাফা আর সাফা দু’জনে তুষি আর সাইয়ারাকে দিয়ে দেয় মেহেদী।
মাহী সাইডে এসে ভিডিও কল করে শুভ্রকে। তারাও ছোটখাটো ভাবে অনুষ্ঠান করেছে। যদিও শুভ্র মেহেদী পড়বে না। তার বোনেরা আর মায়েরা পড়বে। সে কেক টেক কেটে সোফায় বসে আছে। আর্থ সহ মাহীর সাথে কথা বলছে। একপর্যায়ে আর্থ বলে,
“ভাবীকে দেখাও তো। আমার ভাই লজ্জায় বলতে পারছে না। যতই হোক স্টুডেন্ট বলে কথা।”
“তোর আমাকে নিয়ে বাড়িয়ে এক লাইন না বললে হয়না? কিসের স্টুডেন্ট হ্যাঁ? ও আমার কলেজে পড়াশোনা করে না। এখন ও আমার উডবি। আর ওকে আমি দেখেছি। যেই মেয়ে খাবার খেতে লেট হতে পারে বাট ফেসবুকে পিক আপ দিতে লেট হবে না।”
শুভ্রর কথায় মাহী শুধায়,
“তোহ দিবে না? আগামীতে আমার বোন সেলিব্রিটি হবে।”
মাহী ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে সেরিনকে দেখায়। তাঁদের মেহেদী পড়ার কিছু ভিডিও নিয়ে শুভ্রকে দেয়। এছাড়া সেরিনের মেহেদী নাইটে তোলা পিকচার সবই এখন শুভ্রর কাছে আছে।
আর্থ শশীকে দেখছে। মেয়েটা সেজেছে। পিক দিয়েছে আর্থকে। আজকাল বোনের বিয়ের ব্যস্ততার জন্য আর্থকে চিনে না শশী। এই নিয়ে কিঞ্চিৎ অভিমান জমেছে। তবে এখন প্রকাশ করবে না সে। একটু ব্যস্ততা কমুক তারপর।
আদ্রিতা,অধরা, সুলতানা খানম এবং মিরা তারা মেহেদী লাগাচ্ছে। আর্থ ও তাঁদের পাশে বসে আছে। শুভ্র উপরে সোফায় বসা। আয়মান চৌধুরী ও আছে। জান্নাতুল ফেরদৌস রাতের খাবার নিয়ে তদারকি করছেন। সেদিনের মতো তিনি খাবার সাইড করে ঢেকে রাখেন।
হাতের কাজ শেষ করে তিনি নিজেও মেহেদী লাগানোর জন্য বসে পড়েন। আর্থ শুভ্রর দিকে তাকিয়ে বলে,
“ছক্কা তো তুমি মারছো ভাই। তোমার বিয়ে হওয়ার আশঙ্কা নেই। বিয়ে করবা না। শেষ! আকদ আগে আমার হলো আর বিয়েটা তুমি করে নিচ্ছো।”
“ছোটরা পরের ধাপে। আগে তোর বিয়েটা হলে মানুষ নিশ্চয়ই বলতো তোর তর সয় না। চৌধুরী বাড়ীর ছেলেরা একটু রয়ে-সয়ে বিয়ে করে বুঝলি।”
” হুম বুঝেছি। সেজন্য তোমারও উচিত ছিলো একটা বছর পর ভাবী যখন মাধ্যমিক পাশ করতো তখন বিয়েটা করার।”
শুভ্র আশেপাশে তাকিয়ে মাথা চুলকায়। আর্থ মানেই তার সন্মান শেষ। আরফিন চৌধুরী, আরাফ চৌধুরী, আয়মান চৌধুরী, আর্থ,শুভ্র তারা রাতের ডিনার করে নেয়। বাকীরা পরে খাবে তাঁদের মেহেদী লাগানো শেষ হলে।
সিহান পাটওয়ারী নিজে ভাত মাখিয়ে সেরিনকে খাইয়ে দিচ্ছেন। তার বড্ড আদরের মেয়ে। আগামী কালকে নতুন অধ্যায় শুরু করবে। শশী সেরিন দু’জনই বেশী আদরের। মাহিকে নিয়ে তাঁদের ওতো মাথা ব্যথা নেই তাঁদের পরিবারে মেয়েদের প্রায়োরিটি আগে।
বাবার হাতে আরাম করেই ভাত খাচ্ছে সেরিন। বড্ড মন খারাপ তার। এখন যেমন বিয়ে হলে কেমন পরপর লাগবে। যতই আগলে রাখুক তখন নতুন পরিচয় হয়ে যাবে। ছোট বেলা থেকে যেই ঠিকানায় বেড়ে উঠা, যেই বাড়ীটাকে নিজের বাড়ী বলে দাবি করতো সেটা এখন থেকে ‘বাবার বাড়ী’ বলে সম্মোধন করা হবে। আর বরের বাড়ীকে ‘শ্বশুর বাড়ী’। নিজের চেনাজানা রুমটাকে নিজের বলে দাবি করতেও ইতস্তবোধ হবে। আসলে মেয়েদের নিজেস্ব কোন বাড়ী হয়না। তবে তাদের ছাড়া বাড়ী পরিপূর্ণ ও হয়না। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। যতই আদরের রাজকন্যা হোক একদিন বিদায় নিয়ে পরের ঘরে যেতেই হবে।
বাবা মেয়ের কান্ড দেখছে বাকীরা। শশী খাবারের প্লেট এনে সিহান পাটওয়ারীকে ধরিয়ে দিয়ে বলে,
“বড় বাবা সেরিনের খাওয়া শেষ এখন আমায় খাইয়ে দাও।”
“হ্যাঁ অবশ্যই।”
সিহান পাটওয়ারী শশীকেও খাইয়ে দেন। তাদের আড্ডা খুনসুটিতে সময় কাটলেও বাকীরা একটু ব্যস্ত আগামী কালকের জন্য। সেরিন বসে,বসে আফসোস করছে ইশশ যদি তার বরের নাম্বার থাকতো তো আড্ডা দিতে পারতো।
***********
পরের দিন শুভ্র শুভ্র কালারের পাঞ্জাবি পড়ে,মাথায় টুপি দিয়ে রেডি হয়ে নেয়। নামাজ আদায় করে তার আম্মুর কব’র যিয়ারত করে নেয়। নির্দিষ্ট সময় তারা বেড়িয়ে পড়ে পাটওয়ারী বাড়ীর উদ্দেশ্য।
লিভিং রুমের এক কোণে সাদা বেলীফুলের মালা সাথে গোলাপ ফুল দিয়ে পর্দার মতো টানানো হয়। দুই পাশে দু’টো সোফা রাখা হয়। ফুলগুলো অনেকটা ঘন করে লাগানো হয় যাতে এই পাশ থেকে ওই পাশের ব্যক্তিকে তেমন একটা বোঝা না যায়।
সেরিনকে রেডি করানো হয়। বেবি পিংক কালারের কাতান শাড়ীতে সাজানো হয়। চুলগুলো খোঁপা করে তাতে গাজরা,গোলাপ ফুল লাগানো হয়। সিম্পলের মধ্যে একটা ডায়মন্ডের নেকলেস,টিকলি,কানে দুল। মেকআপ নাই বললে চলে। মেহেদী রাঙা হাতের মুঠো ভর্তি চুড়ি। দোপাট্টা বেঁধে দেওয়ায় হয়। সেরিন নিজের রুমেই পিকচার তুলে নেয়। আয়নায় নিজেকে দেখে। আজকে এতো সিম্পল লুকে তাকে অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু বেশীই সুন্দর লাগছে।
সেরিনকে রুমে বসিয়ে দিয়ে তার বোনেরা যায় মেইন দরজার সামনে। চৌধুরী পরিবার চলে এসেছে। সবাইকে ওয়েলকাম করা হচ্ছে তাদের হাতে ফুলের ছোট্টো তোড়া দিয়ে। তবে শুভ্রর জন্য বড় ফুলের তোড়া রাখা হয়। সবাই ভেতরে যেতে সবার লাস্টে শুভ্রর প্রবেশ সাথে আছে আর্থ, আদ্রিতা,অধরা। তার শালিকা মহল তাকে চেপে ধরেছে টাকার জন্য। শুভ্রও খোঁচাখুঁচি করে না। যা চেয়েছে তাই দিয়ে দিয়েছে। তবে সামনে আরো বেশী দিতে হবে এটা সে জানে। শুভ্রকে ভেতরে নিয়ে সোফায় বসিয়ে দেওয়া হয়। ওপর পাশে কনে বসবে আর হাতের ডান সাইডের সোফায় কাজী সাথে ছেলের বাবা বসবে।
সবাইকে কোল্ড ড্রিং দেওয়া হয়। শশী,মেহের তারা গিয়ে সেরিনকে নিয়ে আসে। সেরিন মাথা নিচু করেই আসে। সোফায় বসানো হলে তার পাশে শশী আর রাফা বসে। শুভ্র সামনে টানানো পর্দার ফাঁক দিয়ে সেরিনের অবয়ব দেখার চেষ্টা করছে। তখন আবার আর্থ তার পিঠে চাপড় মারে। শুভ্র নড়েও না চড়েও না একবারে ভদ্র ছেলে। কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করে। বিয়ে পড়ানোর সময় পিতা আরফিন চৌধুরী শুভ এবং মাতা তেহেজিব তটিনীর একমাত্র ছেলে আরজিন চৌধুরী শুভ্র’ সেরিনের বুঝতে বাকী নেই শুভ্র সাহেবের সাথেই সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছে। তবে বেশী এক্সপ্রেশন দিতে না পারলেও মনে,মনে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিয়েছে সেই সাথে শুকরিয়া আদায় করেছে সেরিন। কাজীর কবুল বলা তার মুখে লেগে থাকতে,থাকতে সেরিন তিনবার কবুল পড়ে নেয়। শুভ্র বুঝে না মেয়েটার ধৈর্য কম নাকী তাড়া বেশী? তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হতে সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠে। অতঃপর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দু’টো সোফা সামনে আনা হয়। ফুলের পর্দাটা আর্থ আর শশী দুইজনে সরিয়ে নেয়। শুভ্র সেরিনের ইয়া বড় দোপাট্টা সরিয়ে তার মুখখানা দেখে। মাশাল্লাহ বলতে ভুলেনি শুভ্র। সেরিনও পলক ফেলে শুভ্রকে দেখে মুচকি হাসে। সেরিনের বিশ্বাস হচ্ছে না মানুষটা তার! তাদের দেখাদেখি শেষ হতে শুভ্রকে সেরিনের বসে থাকা সোফায় বসানো হয়। আয়না দু’জনের হাতে দেওয়া হয়। তখন শশী সেরিনকে বলে,
“বনু আয়নায় কী দেখছো?”
“সুন্দর একটা পরী পাশে তার জ্বীনকে নিয়ে বসে আছে।”
বাকীরা সেরিনের কথায় হেঁসে দেয়। শুভ্র নিজেও হাসে। তার নামটাও না! আরজিন মানে জিন শব্দটার সংমিশ্রণ। তখন আর্থ বলে,
“ভাবী এবার সিরিয়াস ভাবে বলো তো? ”
সেরিন মুচকি হেঁসে বলে,
“কঠোর ব্যক্তিত্বের সুন্দর মনের মানুষটা।”
তখন শুভ্রকে মেহের বলে,
‘জিজু তুমি কী দেখো আয়নায়?”
তখন শুভ্র মুচকি হেসে আয়নায় সেরিনের দিকে তাকিয়ে বলে,
“আকাশ থেকে নেমে আসা চঞ্চল পরীটা আমার অর্ধাঙ্গিনী।”
#চলবে