দৃষ্টির_আলাপন #পর্বঃ২২ #আদওয়া_ইবশার

0
189

#দৃষ্টির_আলাপন
#পর্বঃ২২
#আদওয়া_ইবশার

কুয়াশাচ্ছন্ন নতুন আরও একটা সকাল। ভোরের দিকে শীত শীত ভাবটা একটু বেশি অনুভব হওয়াই আরামের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে দৃষ্টির। গায়ের উপর মোটা এক কম্বল সাথে একটা কাঁথা। দুইয়ে মিলেও শীত নিবারণ করতে পারছেনা। সে তো রাতে রক্তিমের থেকে বাঁচতে কাঁথা, কম্বল সব দখল করে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রক্তিম! সে কোথায়? মানুষটা কি আজকেও এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বাইরে ছিল। ভাবতেই শীতের ভয় দূরে ফেলে ধরফরিয়ে ওঠে বসে দৃষ্টি। তখনই চোখ আটকে যায় তার পাশেই পাতলা এক চাদর গায়ে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা রক্তিমের দিকে। তৎক্ষণাৎ থমকে যায় দৃষ্টি। এই শীতে মানুষটা সারারাত পাতলা একটা চাদর গায়ে কাটিয়েছে! অন্তঃকরণে ব্যথারা এসে হানা দেয় দৃষ্টির। চোখ দুটো জ্বালা করে। ঝটপট একটা হাত বাড়িয়ে দাড়ি ভর্তি গালের একটা পাশ ছুঁয়ে দেয় আলতো স্পর্শে। সাথে সাথেই কেঁপে ওঠে শরীরের অত্যধিক শীতলতায়। আর একটুও দেরী না করে নিজের গায়ের কাঁথা, কম্বল দুটোই অতি সাবধানে জড়িয়ে দেয় রক্তিমের গায়ে। অপলক দৃষ্টিতে রক্তিমের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবে, লোকটা এতো অদ্ভূত কেন? এই তীব্র শীতের মাঝে এমন ভাবে শুয়ে থেকে ঠান্ডায় ভোগার কোনো মানে হয়? কি এমন পাপ হয়ে যেতো দৃষ্টির গায়ে থাকা কম্বলের একটা অংশ নিজের গায়ের উপর মেলে দিলে? কত নিষ্পাপ দেখাচ্ছে ঘুমন্ত মুখটা! অথচ জেগে ওঠলেই জল্লাদের মুখোশ পরে সুন্দর এই মুখটা ঢেকে ফেলবে হিংস্রতার আড়ালে। মানুষ প্রেমে পরে বিপরীত লিঙ্গের কোমল হৃদয় দেখে, ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটা মনের সন্ধান পেয়ে। আর সে কপাল পুড়ি আজীবন ক্রোধের অনলে পুড়তে প্রেমে পরল এক গুন্ডা, মাস্তানের হিংস্র রূপ দেখে।খাল কেটে কুমির আনা বোধহয় একেই বলে।

টিনের চালায় টুপটাপ ছন্দ তুলে বৃষ্টির ফোটার মতো ঝরে পরছে শিশির বিন্দু। মন্দ লাগছেনা শুনতে। বরং এতো এতো দুঃখের মাঝেও অন্যরকম একটা সুখ সুখ অনুভূতি জাগাচ্ছে মনে। সাথে ইচ্ছে জাগছে প্রিয় মানুষটাকে সঙ্গে নিয়ে এই কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালে খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসের উপর কিছু পথ হেঁটে আসতে। কিন্তু এই সিংহ মানবকে ঘিরে সৃষ্টি হওয়া ইচ্ছে গুলো কি আর পূর্ণতা পাবার হয়! সে তো মন জমিনে উকি দেয় শুধু আফসোস নামক শব্দটাকে ভারী করতে। না পাওয়ার ঝুলিটাকে পূর্ণতা দিতে। সাত সকালে ঘুম থেকেই ওঠেই সুন্দর, পবিত্র একটা ইচ্ছেকে মাটি চাপা দিতে হয় দৃষ্টির। বিছানা ছেড়ে দখিনের জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। ভারী কাঠের পাল্লা দুটো খুলে দিতেই এক দফা ঠান্ডা বাতাস এসে ছুঁয়ে দেয়। কনকনে শীতের তীব্রতায় ক্ষণেক্ষণে কেঁপে ওঠে দেহ। বাইরে যতদূর দৃষ্টি যাচ্ছে সবটুকু অন্ধকার। এক হাত দূরের কিছুও স্পষ্ট ন। হঠাৎ ঘরের লাইট জ্বলে ওঠায় জানালার বাইরে থেকে নজর সরিয়ে পিছন ফিরে তাকায় দৃষ্টি। দেখতে পায় রক্তিম থমথমে মুখে আলনা থেকে হুডি নিয়ে গায়ে জড়াচ্ছে। কাজটা সম্পূর্ণ করে একবারও দৃষ্টির দিকে না তাকিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়। সেদিকে তাকিয়ে হতাশামিশ্রিত একটা নিঃশ্বাস ছাড়ে দৃষ্টি। ভাবে এইযে বেরিয়েছে এবার হয়তো একেবারে রাতের সেই বারোটা, একটা বাজে ফিরবে। কিন্তু দৃষ্টিকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত করে ঘন্টা খানেক এর মাথায় ফিরে আসে রক্তিম। হাতে খাবারের প্যাকেট। কোনোকিছু না বলে থমথমে মুখেই বিছানায় বসে থাকা দৃষ্টির দিকে ছুড়ে মারে প্যাকেটটা। পাষাণতুল্য পুরুষটা হুট করে দৃষ্টির জন্য খাবার নিয়ে এসেছে! চোখের দেখাটাও যেন বিশ্বাস হয়না দৃষ্টির। অবাক, বিস্ময়ে কতক্ষণ রক্তিমের দিকে তাকিয়ে থেকে কোলের কাছে পরে থাকা প্যাকেটটা হাতে নেয়। খুলতে খুলতে সন্দিহাত কন্ঠে বলে,

“বাব্বাহ্! এতো দর‍দ দেখিয়ে খাবার আনলেন। তাও কি না আমার জন্য! সূর্য আজকে কোন দিক দিয়ে ওঠল?”

কথাটা রক্তিমের কর্ণকোহরে পৌঁছালেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়না রক্তিম। গোসল করার জন্য চুপচাপ নিজের কাপড় খোঁজে নিতে ব্যস্ত সে। তার এমন নিরবতা যেন দৃষ্টির সহ্য হয়না। খ্যাঁপা বাঘকে একটু খ্যাঁপানোর আশায় ফের বলে ওঠে,

“এই! আপনি আবার খাবারে বিষটিষ মিশিয়ে আনেন নি তো! না বাবা! সাত দিন না খেয়ে থাকলেও আমি এই খাবার মুখে তুলবনা। আপনাকে বিশ্বাস নেই। আমাকে মারতে খাবারে বিষ মিশাতেও আপনার হাত কাঁপবেনা। দেখা গেল এই খাবার খেয়ে আজকে মরে গেলাম। আর কাল সকালেই স্যোসাল মিডিয়া সহ সকল সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরবে,”স্বামীর হাতে খাবার খেয়ে নববধূর মৃত্যু।” তখন আবার পুলিশ এসে আপনাকে জেলে ভরবে। স্ত্রি হয়ে আমি কিভাবে স্বামীকে জেলে পাঠানোর মতো কাজ করতে পারি!”

কাধে কাপড় নিয়ে দরজা পযর্ন্ত গিয়েও দৃষ্টির কথায় থমকে যায় রক্তিম। ঘাড় ঘুরিয়ে কটমট চোখে দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে,

“তোর মতো একটা পোনা মাছকে মারার জন্য আমার খাবারে বিষ মিশিয়ে ছলনার আশ্রয় নিতে হবেনা। মারলে বীর পুরুষের মতো সামনে থেকেই মারব। কাপুরুষের মতো আড়াল থেকে না। অমানুষ হতে গিয়েও এখনো পুরোপুরি অমানুষ হতে পারিনি। তার জন্যই চোখের সামনে জেনে-শুনে কাওকে অভুক্ত রাখতে মন সাই দিচ্ছিলনা। যতদিন কিঞ্চিৎ মনুষ্যত্ব বেঁচে থাকবে এই রক্তিমের মনে। ততদিন তুই’ও বাঁচতে পারবি। যেদিন একেবারে অমানুষে পরিণত হব সেদিনই হবে তোর শেষ দিন।”

তুই-তুকারি শুনে এবারও নারাজ হয় দৃষ্টি। তবে তা নিয়ে কিছু বলেনা। বর্তমান প্রসঙ্গটাকেই গুরুত্ব দিয়ে বলে,

“সেই সুযোগ দিলে তো! যেদিন,যে মুহুর্তে অনিচ্ছা স্বত্বেও আমাকে কবুল করেছেন। ঠিক সেই মুহুর্তেই পুরোপুরি অমানুষ হবার সুযোগ হারিয়েছেন।আপনার মনের ঐ কিঞ্চিৎ মনুষ্যত্বের খোঁজ পেয়েই তো এসেছি,ঐটুকু পুঁজি করে পুরো আপনিটাকে বদলে দিয়ে একজন সু-পুরুষে পরিণত করার জন্য। যে সু-পুরুষের হৃদয় থাকবে মায়া দিয়ে পরিপূর্ণ।”

কথাটা বলেই রক্তিমের থেকে নজর ফিরিয়ে খাওয়ায় মন দেয় দৃষ্টি। শান্ত চোখে কতক্ষণ দৃষ্টিকে দেখে নিয়ে কলপাড়ে চলে যায় রক্তিম। তাকে এভাবে কোনো প্রতিত্তোর না করে চলে যেতে দেখে মিটিমিটি হাসে দৃষ্টি। মনে মনে ভাবে, পাষাণ শিকদার সবে অল্প অল্প কথা হারানো শুরু করেছে। এর মানে আগুনের দিন খুব শিগ্রই শেষ হতে যাচ্ছে। শীতের পর যে বসন্ত ঋতু আসবে। সে ঋতুই হয়তো প্রকৃতির সাথে সাথে দৃষ্টির সংসারেও সুখের হাওয়া বইয়ে দিবে।
প্যাকেটে থাকা খাবার অর্ধেক রক্তিমের জন্য রেখে বাকী অর্ধেক খেয়ে টেবিলে থাকা জগটা নিয়ে করপাড়ে যায়। রক্তিম এখনো কল চেপে বালতিতে পানি ভরছে গোসলের জন্য। হাতে থাকা জগটা এগিয়ে দেয় দৃষ্টি রক্তিমের দিকে। মুখটা গম্ভীর করার যথাসাদ্ধ চেষ্টা করে বলে,

“দ্রুত পানি দিন। খাবার আটকে গেছে গলায়।”

কল চাপা বন্ধ করে কতক্ষণ গরম চোখে দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকে রক্তিম। পরক্ষনে দৃষ্টির মুখের হাবভাব দেখে ভাবে হয়তো সত্যিই খাবার আটকেছে গলায়। এক প্রকার ছু মেরে জগটা হাত থেকে নিয়ে পূর্ণ করে দেয় পানি দিয়ে। বিনিময়ে মুখ ভরে হাসে দৃষ্টি। বাচ্চাদের “থ্যাংকিউ” বলে ঝটপট ঘরে চলে যায়।

****
গোসল ছেড়ে রক্তিম ঘরে আসতেই দৃষ্টি মুখটা সিরিয়াস করে বলে,

“খাবারটা খেয়ে দ্রুত রেডি হয়ে নিন। বাইরে যাব। আমার কিছু কেনাকাটা করতে হবে।”

ভ্রু কুঁচকে দৃষ্টির দিকে তাকায় রক্তিম। চুল মুছতে ব্যস্ত থাকা হাতটা থামিয়ে শীতল কন্ঠে বলে,

“কিসের জন্য?”

“বাজার করতে হবে। হাড়ি-পাতিল কিনতে হবে। টুকটাক ঘরের কিছু জিনিস কিনতে হবে। আমার কয়েকটা ড্রেস কিনতে হবে। এভাবে কতদিন বাইরের খাবার খেয়ে এক পোশাকে থাকব? অনিচ্ছা স্বত্বেও তো বিয়েটা করেছেন। এবার স্বামীর দায়িত্বটুকুও যথাযথ ভাবে পালন করুন।”

এতোক্ষনের সামলে রাখা মেজাজটা এবার লাগামছাড়া হয় রক্তিমের। তেড়ে আসে দৃষ্টির দিকে। হাত উচিয়ে চড় দেবার ভঙ্গিতে এগিয়ে নিয়ে বলে,

“একদম বউগিরি ফলাতে আসবিনা বলে দিলাম। গলা কে টে বস্তায় ভরে ডাস্টবিনে ফেলে রাখতে খুব বেশি সময় লাগবেনা। যেভাবে আছিস সেভাবে থাকতে পারলে থাক না হয় নিজের রাস্তা মাপ।”

রক্তিমের এমন আক্রমণাত্মক মনোভাবে ভয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে পিছিয়ে যায় দৃষ্টি। পরমুহূর্তে নিজেকে সামলে মনে সাহস জুগিয়ে সমান তেজে বলে,

“একটা সোজা কথার সোজা উত্তর দিতে জানেন না? সবসময় এমন হম্বিতম্বি করেন কেন? যাবেন কি যাবেন না সেটা বলুন।”

“যাবনা। কি করবি তুই?”

“যাবেন না!”

হাত দুটো ভাজ করে শান্ত চোখে তাকিয়ে জানতে চায় দৃষ্টি। নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থেকে শক্ত কন্ঠে আবারও না বলে রক্তিম। সাথে সাথেই দৃষ্টি ফোন হাতে নিয়ে আজীজ শিকদারের নাম্বারে ডায়াল করে। ফোন রিসিভ হতেই দৃষ্টি কন্ঠে অসহায়ত্ব ঢেলে বলে,

“শশুর বাবা! আজ দুইদিন হয়ে গেছে আপনার ছেলের সংসারে আছি আমি। দুটো দিনে পেটে একটা দানাও পরেনি আমার। বাপের ঘর থেকে যে পোশাকে বেরিয়েছিলাম সেই পোশাকেই এখনো আছি। একটা সুতা পযর্ন্ত কিনে দেয়নি আপনার ছেলে। না দিয়েছে খাবার জন্য এক ফোটা বিষ। আজকে বলেছি আমাকে নিয়ে একটু বাজারে যেতে। বলতেই আমার গায়ে হাত তুলেছে। আপনিই বলুন, আমি কি কোনো অন্যায় আবদার করেছি? কোন স্ত্রী তার স্বামীর কাছে নিজের প্রয়োজনের কথা বলেনা! সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার কথা বললে স্বামী বউয়ের গায় হাত তুলবে কেন? আপনি একজন সম্মানিত এমপি। আপনার কাছে আমি বিচার চাইছি। হয় আপনার ছেলেকে বলুন আমাকে বাজারে নিয়ে যেতে না হয় আপনার ছেলের বিচার করুন।”

একদমে কথা গুলো বলে থামে দৃষ্টি। ছেলের এমন আচরণের কথা শুনে আজীজ শিকদারের শান্ত মেজাজ অশান্ত হয়। গম্ভীর কন্ঠে বলেন,

“কোথায় অপদার্থটা? ফোনটা দাও তুমি ওর কাছে।”

সাথে সাথে ফোন লাউডে রেখে রক্তিমের দিকে এগিয়ে ধরে দৃষ্টি। রক্তিমের কানে ভাসে বাবার শান্ত কন্ঠের হুমকি,

“আমি এই মুহূর্তে মেহেদীর বাসায় আছি। বিশ্বাস না হলে তোমার গুণধর বন্ধুকে ফোন দিয়ে জেনে নিতে পারো। বিয়ের কথাবার্তাও প্রায় এগিয়ে গেছে। এখন যদি তুমি চাও তো সব ক্যান্সেল করে দেই! আর সেটা যদি না চাও তবে দশ মিনিটের ভিতর বউমাকে নিয়ে মার্কেটে যাবে। বউমা যা যা চায় সব কিনে দিবে। টাকা না থাকলে আমি পাঠাচ্ছি। তবুও যে বউমা’র একটা আবদার’ও অপূর্ণ না থাকে। কথাটা মাথায় রেখো।”

পাষাণ হৃদয়ের রক্তিম শিকদারকে নাকানি-চুবানি খাওয়ানোর খুব ভালো এক পন্থা খোঁজে নিয়েছে আজীজ শিকদার। সে খুব ভালো করেই জানে, ছেলে তার যেকোন কিছুর বিনিময়ে হলেও প্রাণপ্রিয় বন্ধ আর বোনের ভালোবাসার পূর্ণতা চায়। প্রাণের থেকেও প্রিয় এই মানুষ দুটোর জন্য রক্তিম শিকদার শুধু বাবা আর বউ নামক বিনা নোটিশে ঘাড়ে চাপা মেয়েটার আবদার গুলোই না। নিজের জীবনটাও দিয়ে দিতে প্রস্তুত। রক্তিম খুব ভালো করেই জানে তার বাবা কেমন মানুষ। মানুষটাকে সবাই যতটা শান্ত আর সরল ভাবে চিনে। তার থেকেও ভিন্ন ভাবে জানে রক্তিম। সে খুব ভালো করেই জানে আজীজ শিকদার মুখে একবার যা বলে তা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করবেই। এমন শান্ত স্বভাবের মানুষ গুলোর জেদ নামক জিনিসটা অত্যন্ত প্রখর হয়। এরা হুটহাট না রাগলেও শান্ত মস্তিষ্কে একবার রাগ চাপলে নিজের ক্ষতি করতেও দ্বিধা করেনা।

জলন্ত দৃষ্টিতে কতক্ষণ দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থেকে নিরুপায় রক্তিম রেডি হয়ে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। রক্তিমের নিরব প্রস্থানে দৃষ্টি হতাশ হয়ে ভাবে শশুরের হুমকি হয়তো কাজে দেয়নি। ঠিক তখনই বাইরে থেকে লাগাতার বাইকের হর্ন ভেসে আসে। দৃষ্টি বুঝে যায় রক্তিম তাকে যাবার জন্যই নিরবে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। সাথে সাথেই মনে অফুরন্ত আনন্দ নিয়ে যেভাবে ছিল সেভাবেই ওড়নাটা মাথায় পেঁচিয়ে বেরিয়ে যায়।

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here