তোমার_খোঁজে_এই_শহরে #পর্বঃ২২ #নবনী_নীলা

0
467

#তোমার_খোঁজে_এই_শহরে
#পর্বঃ২২
#নবনী_নীলা

টয়া কয়েকবার কলিং বেল বাজালো এই রিতু মরার মতো ঘুমিয়ে আছে। দরজা খোলার কোনো নাম নেই। টয়া অনেকক্ষন দাড়িয়ে থাকার পর চোখ ডলতে ডলতে দরজা খুলে দাড়ালো রিতু। ঘুমে তার চোখ জড়িয়ে এসেছিলো তবে টয়াকে দেখে সে ঘুম চলে গেছে। কাল রাতে ইয়াদের বাসায় গিয়ে ফিরেছে আজ সকালে!

করেছে টা কি সারারাত। রিতুর চাহিনি টয়াকে আরো বিব্রত করছে। এই মেয়ে আবার বেশি বুঝে সব কাজে। টয়া কোনো কিছু না বলে বড় বড় পা ফেলে নিজের রূমে গিয়ে শুয়ে পড়বে কারন কিছু বলতে গেলেই এই মেয়ে হাজারটা প্রশ্ন করবে। এতো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার শক্তি বা ইচ্ছে কোনোটাই তার নেই। যেই ভাবা সেই কাজ টয়া বড় বড় পা করে নিজের রুমের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল। রিতুর কাছে টয়ার হাব ভাব ভালো লাগছে না।টয়া এতক্ষন বাহিরে দাড়িয়ে ছিলো অথচ চেঁচামেচি করলো না? টয়া তো এমন মেয়ে না!

নিশ্চই ভয়ংকর কিছু হয়েছে। রিতু পিছু পিছু গিয়ে টয়াকে প্রশ্ন করলো,” গেছিলি কাল রাতে আর ফিরলি আজ সকালে! কাহিনী কি? ”

টয়া এড়িয়ে যেতেও পারবেনা কারন তানা হলে রিতুর মনে সন্দেহ জাগবে আর সেটা হতে দেয়া যাবে না। টয়া শুকনো গলায় বললো,” কই কিছু না তো। আসলে কথা বলতে বলতে দেরী হয়ে গেছিলো।”

রিতুর সন্দেহ আরো বেড়ে গেলো কারন সে কাল রাতে ঐ মেয়েকে কিছুক্ষণ পরেই সে বেরিয়ে যেতে দেখেছে। তাহলে কি টয়া সারারাত ইয়াদের সাথে কথা বলেছে?

রিতু টয়ার মাথার চুল টেনে বললো,” তুই সারা রাত ইয়াদের সাথে কথা বলেছিস। ওই মেয়েকে দেখলাম কতো আগে বের হয়ে গেলো।”

টয়ার মাথা পুরো হ্যাং হয়ে আছে কি বলবে সে নিজেই বুঝছে না। টয়া বিচলিত হয়ে বললো,” আমার ঘুম পাচ্ছে আমি এখন ঘুমাবো, সবটা পরে তোকে বলবো।”

এই কথা শুনে রিতুর সন্দেহ আরো বেড়ে গেলো। সারা রাত কি করেছে যে এখন ঘুমাতে হবে?

রিতু টয়ার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। টয়া আরো অপ্রস্তুত হয়ে তাকালো। এই রিতুর বাচ্চা এমন করছে কেন? অসহ্য লাগছে।

টয়া গলা ঝেড়ে বললো,” কি করছিস? এভাবে আমার চারপাশে ঘুরছিস কেনো?”

” তোদের মধ্যে কাল রাতে কি কিছু হয়েছে ? একসাথে ছিলি কিছু তো নিশ্চই হয়েছে।”, একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বললো রিতু।

টয়া বুকের ভিতরটা ধক করে উঠলো। টয়া একটা রাগ দেখিয়ে বললো,” কিসব বলছিস?”

” কিছু না হলে বার বার ঠোঁট কামড়াচ্ছি কেনো? এক মেয়ে অর এক ছেলে একসাথে সারারাত ছিলো আর কিছু হয় নি বিশ্বাস করি কিভাবে?” রিতুর কথায় লজ্জায় টয়া লাল হয়ে গেল।

” এতো বেশী বুঝিস কেনো?”, একটা ঝাড়ি মেরে রিতুকে চুপ করানোর চেষ্টা করে টয়া।

” কি করছে রে? ঝাড়িটাও দেখি ঠিক মতন দিতে পারছিস না!”, টয়া হুড়মুড়িয়ে নিজের রূমে ঢুকে সজোড়ে দরজা লাগিয়ে ফেললো।

যতক্ষন রিতু বাসায় আছে টয়া রুম থেকেই বের হবে না ভেবেই অনেক্ষন নিজের রুমে বসে ছিলো। তবে শেষমেশ বাধ্য হয়েই রুম থেকে বেরিয়ে আসতে হলো। খিদে লেগেছিল তার, আজ ভার্সিটিতে যাওয়া হয়নি তার। বেরিয়ে রিতুকে না দেখে খুব শান্তি লাগছে তার। রিতু নিশ্চয় ভার্সিটিতে চলে গেছে। টয়ার কয়েকটা পাউরুটি টোস্ট করে খেয়ে নিলো। রান্না করে খেতে ইচ্ছে করছে না তার।

ফোন হাতে নিয়ে দেখলো নিরবের অনেকগুলো মিসড কল এসেছে। ফোন হাতে থাকার সাথে সাথে আবার নিরবের কল এলো। টয়া ফোন রিসিভ করে কানে দিতেই নিরব চিন্তিত গলায় বলল,” কি হয়েছে তোর? ফোন দিলে ফোন ধরিস না। কেনো? ঠিক আছিস?”

” আরে না তেমন কিছু হয় নি। একটু ব্যাস্ত ছিলাম। তোর কি অবস্থা বল।”

” আমার সাথে এখন দেখা করতে পারবি? দরকার আছে।”

” হুম, পারবো তবে আমাকে ট্রিট দিতে হবে।”

” হ্যা সেতো তুই আমাকে ফকির বানিয়ে ছাড়বি আমি জানি।”

” ভালো হবে দুজনে একসাথে বসে ভিক্ষা করবো। এখন ফোন রাখ। আমি রেডি হয়ে বের হচ্ছি।”

টয়া ফোন রেখে রেডি হয়ে বের হয়ে গেলো।

টয়া নিজের সব প্রিয় খাবার আজকে অর্ডার দিলো। নিরব বেটা ফকির হয়ে গেলেও সে ভাববে না আজকে। চোখের সামনে খাবার গুলো দেখে যেনো মনটাই ভালো হয়ে গেলো তার। নিরব পায়ের উপর পা তুলে বসে টয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। টয়া খাওয়া থামাচ্ছে না।

নীরব ভ্রু কুঁচকে বললো,” এতো খায় কোনো মানুষ! আজ পর্যন্ত আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড দুসপ্তাহেও এতো খায় নাই।”

” প্রেম করিস তো সব শুঁটকি মাছের সাথে। একেকটাকে ফু দিলে উড়ে যাবে। সবগুলো তো ফিগারের চিন্তায় খায় না।”, কটাক্ষ করে বললো টয়া।

” তুই মনে হয় খুব শক্তিশালী।”, আড় চোখে তাকিয়ে বলল নিরব।

” তোর শুঁটকি মাছগুলোর থেকে বেটার। তা মিস্টার নিরব আপনার এ দশা কেনো? কি জন্য আমাকে ডাকলেন?”, জুসের গ্লাসটা নিজের দিকে নিয়ে বললো টয়া।

” ওদের কথা বলিস না। আর প্রেমটেম করবো না। এরপর সোজা বিয়ে।”, এক হাত টেবিলেরেখে সিরিয়াস হয়ে বললো নিরব।

বিয়ের নাম শুনেই টয়ার নিজের আর ইয়াদের বিয়ের কথা মনে পড়লো। মনে পড়তেই সে বিষম খেলো তারপর স্বাভাবিক হয়ে বললো,” তোকে কে বিয়ে করতে যাবে? সেধে সেধে কার নিজের গলায় ফাসিঁ দিতে ইচ্ছে হবে?”, উপহাস করে বললো টয়া।

” কেউ না করলে তুই তো আছিস।”, একটু হেসে বললো নিরব।

নীরবের মুখে বিয়ের কথা শুনেই টয়ার মুখটা কেমন যেন হয়ে গেলো।

” আরে চিল। মজা করছিলাম তোকে বিয়ে করলে হয়েছে আমার মাথা খারাপ করে দিবি তুই। এই রিস্ক আমি নিতে রাজি না।”, তুরি বাজিয়ে বললো নিরব।

শব্দে টয়ার হুশ ফিরল টয়া নড়ে চড়ে বললো,” কি জন্যে আসতে বললি সেটা বল।”

নীরব দুই হাত টেবিলের সামনে রেখে বললো,” তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড তাই বলছি এক ঘটনা শুন,”টয়া ভালোমত শুনতে মাথা আরো এগিয়ে আনলো।

” সেদিন আমি বাইক নিয়ে বের হয়েছি। রাস্তায় প্রচুর কাদা ছিলো বৃষ্টির কারণে। তাই ভুল বসতো বাইক কাদা উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে এক মেয়ের গায়ে কাদার ছিটকে যায়। আমিও খেয়াল করিনি তেমন।”, এতটুকু শুনে টয়া ভ্রু কুঁচকে বললো,” বেয়াদব কোথাকার! চোখ বন্ধ করে গাড়ী চালাস নাকি।”

” চুপ কর! পরে কি হলো শুন। আমি ভদ্রতার জন্য বাইক থামিয়ে মেয়েটিকে সরি বলতে এগিয়ে গেলাম। মেয়েটির জামায় কিন্তু বেশি কাদা লাগে নি। অল্প একটু ছিটকে পড়েছিলো। কিন্তু এদিক মেয়েটা পুরা ধানি লঙ্কা তা তো আমার জানা নেই। তারপর কি কি যে কোথা শুনালো বিশ্বাস করবি না কতো মানুষ যে জড়ো হয়ে গেছিলো। শেষমেশ কোনো ভাবে কেটে পড়েছিলাম।” একটু থেকে নিরব আবার বললো,” মেয়েটা সরি শুনার পর বললো জানিস?,” আপনার সরি দিয়ে আমি কি করবো? আপনার সরি দিয়ে কি আমার কাপড় কাচা হবে নাকি জামার দাগ উঠে দৌড় দিবে? আপনার সরি আপনি বাসায় নিয়ে গিয়ে তেলে ফ্রাই করে খাবেন।”

বিশ্বাস করবি না এমন মেয়ে বাপের জন্মে দেখি নাই। আমি জামার দাম দিয়ে দিতে চাইলাম বলে কিনা দাম দেওয়া লাগবে না জামাটা ধুয়ে দিলেই হবে। ভাব আমাকে বলছে কিনা তার জামা ধুয়ে দিতে?”, নিরবের এই কাহিনি শুনে টয়া পেট ধরে হাসতে লাগলো।

নিরব টয়ার হাসি দেখে বললো,” হাসি থামা। ওই মেয়েটাকে তুই খুজে বের করবি, এই জন্যেই তোকে ডেকেছি।”,

টয়া অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বললো,” ওই মেয়েকে দিয়ে তুই কি করবি? আর আমি কই থেকে ঐ মেয়েকে খুজবো। ”

” পারবি মেয়েটার গলায় তোদের ভার্সিটির আইডি কার্ড ছিলো। নাম রোল দেখে নিলে ভালো হতো কিন্তু তুই যে ভাবেই হোক খুজে বের কর। তুই এই কাজ করতে পারবি আমি জানি।”, নিশ্চিত হয়ে বললো নিরব।

“তাতে আমার কি লাভ?”, একটা ভ্রু তুলে বললো টয়া।

” তোদের এনজিও তে আমি ডোনেট করবো। আর তোর একবছরের নেটফ্লিক্স এর বিল আমি পে করবো।”

” বাহ্ । মেয়েটা দেখছি তোর মনে একেবারে বসে গেছে। ok Then deal done।”, বলেই টয়া একটু চিন্তা করতে লাগল কিভাবে মেয়েটাকে খুজে বের করবে।

টয়া আর নিরব কথা বার্তা শেষে এনজিও তে গিয়ে কিছু কাজ সেরে নিলো, সেগুলো করতে করতে রাত হয়ে গেলো। টয়া ফ্ল্যাটে ফিরলো রাত ৯টায়।

ইয়াদ আজ আগেই কাজ শেষে ফ্ল্যাটে ফিরেছে। রাতে একবার প্রভাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা আছে স্যারের অবস্থা নাকি যত সময় যাচ্ছে ততই খারাপ হচ্ছে। একবার গিয়ে দেখে আসাও দরকার। ইয়াদ সে কারণেই বের হচ্ছিল ইয়াদ লিফটের দিকে যাবে এমন সময় টয়া আর নিরব লিফট থেকে একসাথে বের হলো। ইয়াদ ব্যাপারটা খেয়াল করলো না সে নিজের রুমের কার্ডটা মানিব্যাগ এ ভরতে গিয়ে ভুল করে আইডি কার্ড সহ কিছু কার্ড ফেলে দেয় আর ইয়াদ সেগুলো তুলতেই সে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।

টয়া ইয়াদকে দেখেই পালাই পালাই করছে ইয়াদ ব্যাস্ত থাকায় সে এ সুযোগে কেটে পরতে চাইলো। কিন্তু এই নিরব নামক আপদ ইয়াদের কার্ডগুলো তুলতে সাহায্য করতে গেলো। টয়া ইয়াদের পিছনে গিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে পড়লো যাতে ইয়াদ তাকে না দেখে। এদিকে তাড়া দুজনই কার্ডগুলো তুলে উঠে দাড়ালো। ইয়াদ উঠে দাঁড়িয়ে নিরবকে দেখে চোখ মুখ শক্ত করে ফেললো।

নিরব ইচ্ছে করেই ইয়াদের হেল্প করতে গেলো কারন এর আগে গালফ্রেন্ডে বলার কারণে টয়া অনেক রাগ করেছিলো নীরবের উপর। তাই এসুযোগে সবটা মিটিয়ে নেওয়া যাবে। এদিকে পিছে টয়ার ইচ্ছে করছে নিরবের কান ধরে টেনে নিয়ে আসে। আজ খুব মানবদরদী হয়ে উঠেছে বেয়াদপটা।

ইয়াদ নিরবকে দেখে মোটেও খুশী হয় নি। সে চোখ মুখ শক্ত করে তাকিয়ে আছে। নিরব এসেছে তার মানে এতক্ষন টয়া নিরবের সাথে ছিলো ভেবেই ইয়াদের রাগের পরিমাণটা আরো বেড়ে গেলো। ইয়াদ আসে পাশে তাকিয়ে টয়াকে খুঁজতে লাগলো। টয়া সাথে সাথে দেওয়ালের ওপাশের মিশে দাড়ালো। কাউকে না দেখে ইয়াদ নিরবের কাছ থেকে নিজের আইডি কার্ডটা নিতে যাবে তখনই ইয়াদের আইডি কার্ড দিকে তাকাতেই নিরবের চোখ মুখ কুচকে গেলো। ইয়াদ আরফিন নামটা পরেই নিরব টয়ার দিকে তাকালো। টয়া লুকিয়ে লুকিয়ে তাদেরই দেখছিলো দুর থেকে।

নিরব এভাবে তাকিয়ে আছে কেনো টয়া বুঝতে পারছেনা।
তাড়াতাড়ি কার্ড দিয়ে চলে এলেই পারে। নিরব এভাবে কি দেখছে ভাবতেই ইয়াদ পিছে ফিরে তাকাতেই টয়া পড়ে গেলো মহা বিপদে। টয়াকে ইয়াদ দেখে ফেলে। টয়া এখানে আছে তারমানে এরা দুজনেই এক সাথে ছিলো। ইয়াদ রাগটা সামলাচ্ছে কোনো ভাবে।

” ইয়াদ আফরান “, হিংস্রতার সাথে নিরব বলে উঠলো।

ইয়াদ একটু অবাক হয়েই নিরবের দিকে তাকালো। সাহস হচ্ছে কিভাবে এই ছেলের এভাবে আমার নাম ধরে ডাকার। নিরবের মুখে নামটা শুনে টয়ার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। নিরব তাহলে চিনে ফেলেছে! কিছু হওয়ার আগেই তাকে যেতে হবে। নয়তো বড় কোনো বিপদ হয়ে যাবে এইখানে। টয়া দৌড়ে নিরবের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। তারপর নিরব কিছু বলে উঠার আগেই টয়া নিরবের হাত থেকে কার্ডটা নিয়ে ইয়াদের দিকে এগিয়ে দিলো। ইয়াদ কার্ডটা হাতে নিয়েই নিরবের দিকে তাকালো।

টয়ার যে করেই হোক নিরবকে ইয়াদের সামনে থেকে সরিয়ে নিতে হবে। নিরব সেদিনের পুরো ঘটনাটা জানে সেদিনের পর টয়া ভীষণ ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে তার জন্যে নিরবের ইয়াদের প্রতি অনেক ক্ষোভ জমে আছে। সেদিন যা হয়েছিলো তারপর টয়ার যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্যে একমাত্র দায়ী ইয়াদ। অবশেষে ইয়াদের মুখোমুখি হলো নিরব। নিরব নিজের রাগ দমিয়ে রাখতে পারছে না।

নিরব ঝাঁঝালো গলায় বলল,” আপনি সেই… বাকিটা বলার আগেই টয়া নিরবের হাত ধরে থামলো তারপর বলল,” দেরী হয়ে যাচ্ছে চল।” টয়া নিরবকে টেনে নিয়ে আসতে লাগলো। টয়া সামনে ছিল তাই নিরব নিজের রাগ সামলে নিলো। টয়া কেনো তাকে থামলো সেটার উত্তর টয়াকে দিতেই হবে।

ইয়াদের মাথায় যেনো রক্ত উঠে গেলো। টয়া তার সামনে কিভাবে অন্য ছেলের হাত ধরে তাকে টেনে নিয়ে গেলো। এই বিষয়টার একটা হেস্ত নেস্ত হতেই হবে। ইয়াদ এই ব্যাপারটা আর নিতে পারছে না।

টয়া নিরবকে রুমের ভিতরে নিয়ে এলো। ভিতরে এসে নিরব টয়ার হাত ছাড়িয়ে শাসিয়ে বললো,” থামালি কেন আমায়? অপমান কাকে বলে আমিও দেখিয়ে দিতাম। এই ছেলের সাথে তুই পাশাপাশি ফ্ল্যাট আছিস। তুই এইখানে আছিস কিভাবে? সবটা জেনে তোর কি উচিৎ ছিল না আমাকে জানানো।”

টয়া হাত উঠিয়ে নিরবকে থামিয়ে বললো,” তুই খুব ভালো করেই জানিস যা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আমি সেইসব নিয়ে ভাবতেও চাই না। সেটা আমার জীবনের অন্ধকার একটা অধ্যায়, সে অধ্যায়ের পাতা উল্টে আমাকে কষ্ট দিস না।”

” এই লোকটাকে আমি ছেড়ে দিবো তুই এইটাই বলতে চাইছিস?”, দাতে দাত চেপে বললো নিরব।

“যাকে আমি ধরে রাখিনি। তাকে তুই ছাড়তে পারবি না কেনো?। আমি নিজের দুর্বলতাটা আর অন্য কাউকে দেখাতে চাই না।”, শুকনো গলায় বলল টয়া। বাকিটা বলার আগেই কলিং বেল বেজে উঠলো হটাৎ।

টয়া নিরবকে ঠাণ্ডা হতে বললো। এই বিষয়টা সে নিজেই সামলে নিতে চায়। পালিয়ে সে আর কয়দিন বাঁচবে? একদিন না একদিন মুখোমুখি হওয়ারই ছিলো। তারপর নিরবকে রুমে বসিয়ে বাহিরে এলো।

দরজা খুলে ইয়াদকে দেখে ভয়টা বেড়ে গেলো টয়ার। টয়া উপায় না পেয়ে দরজা লাগিয়ে দিতে নিলো তখনি ইয়াদ টয়ার কোমড় জড়িয়ে ধরে ওকে কাধে তুলে নিলো। টয়া চিৎকার করতে গিয়েও থেমে গেলো। চিৎকার করলেই নিরব ভিতর থেকে এসে পড়বে তারপর যা হবে সেটা টয়া ভাবতেও পারছে না। টয়া ইয়াদের পিঠে মুষ্টি বন্ধ হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে আঘাত করতে লাগলো।

[ চলবে ]

# পরীক্ষার কারণে এই কয়দিন গল্পটা দিতে পারিনি। আমি সত্যি দুঃখিত। ভার্সিটির পরীক্ষা গুলো অন্য সব পরীক্ষা থেকে একটু ভিন্ন এতো পড়ার মাঝে সময়ই হয় নি। গতকাল আমার একটা ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা ছিলো। তাই এই কয়দিন সেই পড়াশুনো নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম। আশা করি সবাই একটু ক্ষমাসূচক দৃষ্টিতে দেখবেন🤧। এখন থেকে প্রতিদিন গল্প দিবো ইনশাল্লাহ।🥺🌻

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here