তোমার_খোঁজে_এই_শহরে #পর্বঃ২০ #নবনী_নীলা

0
207

#তোমার_খোঁজে_এই_শহরে
#পর্বঃ২০
#নবনী_নীলা

” কি করছিলেন আপনি ঐ মেয়ের সাথে?”, গম্ভীর গলায় প্রশ্ন করলো টয়া

” আচ্ছা তারমানে এটা জানতে এখানে এসেছো?”, এক হাত পকেটে ভরে প্রশ্ন করলো ইয়াদ।

টয়া কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। সত্যি তো এটাই জানতে সে এসেছিলো এখানে এসেছিলো কিন্তু এটা বললে তো গন্ডগোল হয়ে যাবে।

টয়া ইয়াদের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো কি বলবে? ইয়াদ একটা ভ্রু তুলে বললো ” এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?”

” আপনি আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন। কি করছিলেন আপনারা?”, আবার প্রশ্ন করে বসলো টয়া।
ইয়াদের কেনো জানি মনে হচ্ছে টয়া জেলাস। নাহলে এতো রাতে তার ঘরেই বা কেনো আসবে?

ইয়াদ স্বাভাবিক ভাবে বললো,” কিন্তু তার আগে তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর দাও। তোমার এতো রাতে এইখানে আসার কারণ কি শুধু এটাই? যে আমরা কি করছিলাম?”

টয়া না সূচক মাথা নেড়ে বললো,”প্রশ্নটা আগে আমি করেছিলাম তাই উত্তরটা আপনি আগে দিবেন।”

ইয়াদ এবার ভালোভাবেই বুঝতে পারছে টয়া জেলাস সুতরাং টয়াকে একটু রাগিয়ে দিলে মন্দ হয় না।

” তোমার প্রশ্নের উত্তর দিতে কি আমি বাধ্য?”, ইয়াদ টয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো। ইয়াদের এমন কথা শুনে টয়ার রাগ বেড়ে গেলো।

বাধ্য না মানে? এইগুলো কি কথা!টয়ার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়েছে।

ইয়াদ এতটুকু বলে নিজের রুমের দিকে চলে গেলো। সে ভালো করেই জানে যে টয়া নাছরবান্দা। কি হয়েছে সেটা না জানতে পারলে টয়ার রাতের ঘুমই হবে না। তাই টয়া যে তার পিছু পিছু তার রূমে আসবে সেটা সে নিশ্চিত।

টয়া ইয়াদের পিছু পিছু তার রূমে এসে বললো,” বাধ্য না মানে অবশ্যই আপনি বাধ্য। আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কোথায় যাচ্ছেন।”

ইয়াদ শার্টের বোতাম খুলতে যাবে কিন্তু এ কথা শুনে সে টয়ার দিকে এগিয়ে এসে বললো,” আমি তখনই বাধ্য যখন তুমি আমাকে মানতে বাধ্য হবে। তুমি কি আমাকে হাসব্যান্ড হিসাবে মানো?”

টয়া কটাক্ষ করে বললো,” অবশ্যই না।”

” তাহলে আমি তোমায় বলতেও বাধ্য নই।”, হাসি মুখে কথাটা বললেই আবার নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ল ইয়াদ।

টয়ার আর সহ্য হচ্ছে না। তার আসল কথা জানতেই হবে কে মেয়ে? কি এমন করেছে যে লোকটার পেট থেকে কথাই বের হচ্ছে না। টয়া আমতা আমতা করে বলল,” আমি না মানলে কি হবে আইনত তো আমরা …… হাজব্যান্ড…. ওয়াইফ।”
বলতে বলতে থেমে গেলো। এইসব কি বলছে সে? মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে নাকি তার?

ইয়াদ অবাক হয়ে টয়ার দিকে তাকালো। টয়া কথাটা বলে ভীষণ অসস্থির মধ্যে পড়েছে। ইয়াদ আড় চোখে তাকিয়ে বললো,” মেয়েটা কে সেটা দিয়ে তুমি কি করবে?”

টয়া এবার ভীষণ রেগে গিয়ে গর গর বলল,” আমার জানা লাগবে। আপনি বলুন। আপনাকে আমি সহজ একটা প্রশ্ন করেছি সহজ ভাবে সেটার উত্তর দিতে পারছেন না?তখন থেকে জিলেপির মতন পেচিয়ে যাচ্ছেন। বলতে কি খুব অসুবিধা নাকি?একটা প্রশ্নের উত্তরই তো জানতে চেয়েছি।”,

ইয়াদ অবাক হয়ে টয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা এতো কথা কি করে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর না জানতে পারলে মনে হয় আজকে টয়া ইয়াদের মাথা খেয়ে ফেলবে।

ইয়াদ টয়াকে থামিয়ে বললো,” আচ্ছা আচ্ছা হয়েছে। কি জানতে চাও মেয়েটা কেনো এসেছে? মেয়েটা আমার একজন সিনিয়র ডক্টর এর মেয়ে। তার বাবা একটু অসুস্থ সে বিষয়ে কোথা বলতে এসেছিলো।”

টয়া সন্দেহের চোখে তাকিয়ে বলল,” তাই? শেষে যে কত কি বলে গেলো?”

ইয়াদ বির বির করে বললো,” কি কান রে বাবা!”

” কি বির বির করেছেন? যা বলার জোড়ে বলুন।”, ইয়াদকে বির বির করতে দেখে চেঁচিয়ে বললো টয়া।

” আস্তে!”, বলে ইয়াদ দুই আঙ্গুল দিয়ে নিজের ভ্রুয়ের উপরের অংশ ঘষে বলল,” এমন করছো কেনো? শান্ত হও।আমি ওনাকে স্যার বলি। অনেক শ্রদ্ধাও করি লোকটাকে। ওনার অবস্থা যতটুকু শুনলাম ভালো না। দেশের বাইরে যাওয়া প্রয়োজন ট্রিমেন্টের জন্য। কিন্তু তিনি বিদেশে গিয়ে ট্রিটমেন্ট নিতে চাইছেন না। বাড়ির কারো কথায় তিনি রাজি হচ্ছেন না তাই আমাকে যেহেতু তিনি স্নেহ করেন তাই আমাকে একবার চেষ্টা করে দেখতে অনুরোধ করে গেলো।”,কথাগুলো বলে ইয়াদ যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো।

টয়া সব কথা শুনে ও আচ্ছা বলে মাথা নাড়ল।

ইয়াদ নিজের গায়ের শার্টটা খুলে রাখতে যাবে। হটাৎ টয়া বলে উঠলো,” আপনি সবসময় এমন শার্ট খুলে ফেলেন কেনো? আজব!” ইয়াদ শার্টটা একপাশে রেখে টয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো সে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে।

ইয়াদ পকেটে থেকে ফোন, ওয়ালেট সব বের করে টেবিলে রাখতে রাখতে বললো,”আমি বাহির থেকে এসে ফ্রেশ হবো তাই না? তোমার যদি এতো সমস্যা হয় তাহলে উল্টো দিকে তাকিয়ে থাকো।”

আজব! সামনে একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে সেটা মাথায় নেই। এই ছেলের আবার বলছে তাকেই উল্টো দিকে তাকিয়ে থাকতে। তারই ভুল হয়েছে এখানে আসাটা।

টয়া রেগে বললো,” উল্টো দিকে তাকিয়ে থাকার কি আছে আমি চলে যাচ্ছি।” বলেই বেরিয়ে যাবে তখন আবার থেমে গিয়ে বললো,” দাড়ান একটা প্রশ্ন।”

ইয়াদ দুই হাত বুকের কাছে গুঁজে বললো,” আবার প্রশ্ন! হুম বলো মনের সব প্রশ্ন বলো। আজকে সারারাত তোমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাই আমি।”

টয়া বুঝতে পারছে সে বেশি কথা বলছে কিন্তু কিছু করার নেই এই প্রশ্নগুলো তাকে করতেই হবে। টয়া একটু কেশে গলা পরিষ্কার করে নিয়ে বললো,” আচ্ছা মেয়েটা কি বিবাহিত না অবিবাহিত?”

এ প্রশ্ন শুনে ইয়াদ হটাৎ করে টয়ার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। টয়া পিছাতে পিছাতে একদম দেয়াল ঘেঁষে দাড়িয়ে পড়ল। ইয়াদ একদম কাছে চলে আসায় টয়ার বুকের ভিতরটা ধুক ধুক করছে।

ইয়াদ দেওয়ালের এক পাশে হাত রেখে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে বললো,” কি জানি জানতে চাচ্ছো? মেয়েটা বিবাহিত না অবিবাহিত? কেনো তুমি কি মহিলা ঘটক হওয়ার উদ্বেগ নিয়েছো? এটা জেনে করবেটা কি? মাথা পুরো নষ্ট হয়ে গেছে তোমার? তখন থেকে আজে বাজে বলেই চলেছো।”

ইয়াদ একদম কাছে চলে আসায় টয়া অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। কোনো কথা না বলে চলে যেতে নিলো টয়া কিন্তু ইয়াদ আরেক পাশে হাত দিয়ে টয়াকে আটকে দিলো।

টয়া কোনরকম টিপ টিপ চোখে ইয়াদের দিকে তাকিয়ে বললো,” রাগ করেছেন কেনো? আমি তো এমনেই…. “, বাকিটা শেষে করবার আগেই ইয়াদ টয়ার দিকে ঝুঁকে গিয়ে বললো,” এসব প্রশ্ন করতে এখানে এসেছো?”

টয়া না সূচক মাথা নেড়ে বললো,” কই না তো।আমি তো আন্টির কথা মত দেখতে এলাম আপনি কেমন আছেন। ব্যাস এইটুকুই “,বলে একটা ঢোক গিললো।

ইয়াদ টয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। টয়া ইয়াদকে আবারও আশ্বস্ত করে বললো,” সত্যি বলছি। এবার আমি যাই।” বলে ইয়াদের হাতের নিচে দিয়ে বের হবে।

ঠিক এমন সময় ইয়াদ টয়ার হাত ধরে ফেললো তারপর বললো,” এখানে এসেছো কার ইচ্ছায়? নিজের ইচ্ছায় তাই না কিন্তু যেতে তো আমার ইচ্ছাই প্রাধান্য পাবে যেহেতু ঘর আমার। তুমি আমার খেয়াল রাখতে এসেছিলে না?” বলেই টয়াকে নিজের কাছে নিয়ে আসতেই টয়া চোখ বড় বড় করে তাকালো।

ইয়াদ একটু হেসে বললো,” আমার জন্য রান্না করতে হবে তবেই যেতে পারবে।”

এ কথা শুনে টয়া বিস্ময় নিয়ে ইয়াদের দিকে তাকিয়ে বললো,” রান্না করবো মানে? আপনারা খেয়ে আসেন নি?”

ইয়াদ ভ্রু কুচকে বললো,” আপনারা ! মানে ?”

” মানে ঐযে প্রভা আপনারা ডিনার করে আসেন নি?”, টয়ার এমন কথা বার্তা আর প্রশ্ন শুনে শুনে ইয়াদের মাথা ধরে গেলো।

ইয়াদ আচমকা টয়াকে ছেড়ে দিয়ে বললো,” যেটা করতে বলেছি সেটা করো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি আমি। আর তোমার এই ইউজলেস কোয়েশ্চন এর আনসার আমি দিচ্ছি না।”বলে ইয়াদ ওয়াশরুম এ ঢুকলো।

টয়া মুখ বাঁকিয়ে বললো,” ইস কতো শখ আমাকে দিয়ে রান্না করাবে? আমি এখানে থাকলেই না!এক্ষুনি বেরিয়ে যাবো।”

__________________

টয়া অনেকক্ষণ হলো ইয়াদের দরজার সামনে কোমরে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। ইয়াদের দরজায় পাসওয়ার্ড লক দেওয়া। টয়া হাবি জাবি কত কিছু বলে দরজা খুলার চেষ্টা করছে কিছুতেই খুলছে না। এই বাসায় কি এমন আছে যে এমন পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখতে হবে? কি একটা ঝামেলা হলো।

যে যেমন হয় তার আশেপাশের সব কিছু তার মতন হয়। হিটলারটার দরজাও হিটলারের মতোন। ইয়াদ ইচ্ছে করে এসব করছে। অসহ্য লাগছে। কতক্ষন দাড়িয়ে থাকবে এইভাবে?

ঐ মেয়েকে সাথে করে নিয়ে এলো তো ঐ মেয়েকেই বলে রান্না করিয়ে নিতো তাকে কেনো বলছে?। লোকটার জন্য রান্না না করলে হয়তো আজ রাতে এইখানেই থাকতে হবে তাকে। অসম্ভব। ভেবেই টয়ার গলা শুকিয়ে গেছে। টয়া চট জলদি কিচেনে গেলো। ফ্রিজ খুলে সে কিছুই পেলো না। আরো জায়গা খুঁজলো কথাও রান্না করবার মতন কিছুই পেলো না। শেষে কিচেনের উপরের ড্রয়ার খুলতেই একগাদা নুডুলস এর প্যাকেট তার মাথায় টপ টপ করে পরতে লাগলো। টয়া এতো নুডুলস দেখে থ মেরে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইলো। পুরো নুডুলসের ফ্যাক্টরি তুলে রেখেছে।

তখনই ইয়াদের মায়ের একটা কথা মনে পড়লো টয়ার। তিনি একবার বলেছিলেন ইয়াদ হাসপাতাল থেকে ফিরে টায়ার্ড হয়ে যায় তাই নাকি সে শুধু নুডুলস খেয়েই কাজ সারে।

টয়ার আরো রাগ হলো! সব সময় এইগুলো খেয়ে থাকলে কিভবে হবে? শরীরের ক্ষতি হবে জনাব ডক্টর কি সেটা জানে না? ধুরো এই নুডুলস আমি রান্না করবো না। টয়া আরো কিছুক্ষন খুঁজতে লাগলো কিছু পাস্তা আর সুপের প্যাকেট পাওয়া গেছে আপাদত এইগুলোই করতে হবে।

টয়া নিজের মতো সবটা করছিলো। ইয়াদ শাওয়ার শেষে মাথা মুছতে মুছতে রুম থেকে বেরিয়ে টয়াকে কিচেনে দেখে। টয়াকে এভাবে দেখে কেনো জানি এমনিতেই মুখে একটা হাসি চলে এলো ইয়াদের। ইয়াদ একপাশে দাড়িয়ে আনমনে টয়াকে দেখছে।

টয়া চুলগুলোর জন্যে একটু বিপাকে পড়েছে কিছুক্ষণ পর পর মুখের সামনে চুলগুলো চলে আসছে। সাথে রাবারব্যান্ড নেই যে বেধে রাখবে আর খোঁপা করলেও খুলে যাচ্ছে।

টয়ার তাকিয়ে থাকতে গিয়ে একটা ছোট্ট ঘটনা মনে পড়লো। অনেক আগে টয়া একবার তাকে তার চুল বেঁধে দিতে বলেছিলো। ঘটনাটা মনে পড়ায় ইয়াদ নিজের রূমে গিয়ে কিছু একটা নিয়ে বেরিয়ে এলো তারপর কিচেনে টয়ার পিছনে গিয়ে দাঁড়ালো। টয়ার চুলে হাত দিতেই টয়া লাফিয়ে ওঠে চামচ হাতে পিছে ফিরলো। ইয়াদের হটাৎ এভাবে পিছনে এসে দাঁড়ানোয় টয়া ভয় পেয়ে যায়।

” তোমাকে দেখছি একটু ছোঁয়াওর যায় না কাপাকাপি, লাফালাফি শুরু করে দাও।”, বিরক্তি নিয়ে বললো ইয়াদ।

” আপনি ভুতের মতো পিছনে এসে দাঁড়িয়ে থাকলে আমি বুঝবো কিভাবে? আমার কি মাথার পিছে চোখ আছে যে আমি দেখতে পাবো আপনি দাড়িয়ে আছেন?”, হাতে থাকা চামটা ইয়াদের সামনে নাড়িয়ে নাড়িয়ে বললো টয়া।

চামচ যেনো ইয়াদের গায়ে না লাগে তাই সে সরে এসে বললো,” হয়েছে বুঝেছি, এবার সামনে ঘুরো।”

” কেনো?”, আবার প্রশ্ন করলো টয়া।

” এতো কথা বলো কেনো?” বলেই ইয়াদ টয়াকে ঘুড়িয়ে দাড় করিয়ে দিলো তারপর নিজের হাতে টয়ার চুল গুলো বেধে দিতে লাগলো। টয়া হতবাক হয়ে দাড়িয়ে আছে। যখনই কেউ টয়ার চুল বেধে দেয় তার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু ইয়াদ বেধে দেওয়ায় যে ভালো লাগা কাজ করছে সেটা অন্যরকম একদম আলাদা।

হটাৎ টয়ার মনে একটা প্রশ্ন জাগলো ইয়াদ রাবার ব্যান্ড কথায় পাবে কোথায়? ইয়াদ নিশ্চয় ঘরে রাবার ব্যান্ড রাখবে না এইটা তার কোনো কাজের নয়। তাহলে কি অন্য কোনো মেয়ের? মনে প্রশ্ন জাগতেই টয়া বড়ো বড়ো চোখ করে একবার ইয়াদের দিকে তাকালো। ইয়াদ টয়ার এমন আচরনের কারণ বুঝতে পারছে না। মেয়েটা কখন কি ভাবে কে জানে?
________________

টয়া খাবার গুলো টেবিলে ইয়াদের সামনে রাখলো। তারপর ঝাঁঝালো গলায় বললো,” এবার পাসওয়ার্ড টা বলুন।”

ইয়াদ প্লেট নিজের দিকে টেনে নিয়ে বললো,” বসো বলছি।”

” আবার বসা লাগবে কেনো? আমি আর বসতে পারবো না।আপনি বলুন তারাতারি।”, টয়া অস্থির হয়ে বললো।

ইয়াদ টয়ার হাত ধরে টেনে নিজের পাশে বসিয়ে বললো,” তুমি এখানেই বসবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমার খাওয়া শেষ হচ্ছে। খাবার সময় কেউ পাশে বসে থাকলে আমার ভালো লাগে।”

” মানে!”, তেজী গলায় বললো টয়া। বাকিটা বলার আগেই ইয়াদ টয়ার গালে পাস্তা দিয়ে দিলো। হটাৎ করে ইয়াদের এই কাজে টয়া হতবাক হয়ে গেলো।

[ চলবে ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here