#_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি ।
#_দ্বিতীয়_পর্ব ৷
মনে মনে ভাবলাম এখন আর কোন মেসেজ করবো না কারণ মেসেজ না করলে সে কিছুক্ষন আমার কথা ভাববে । আমি চাই তার মস্তিষ্কের মধ্যে ভাবনা শুরু করতে তাই আপাতত মেসেজ লক ডাউন । মোবাইল সাইলেন্ট করে চিরপরিচিত কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছি । ভাবছি ঘুম থেকে উঠে স্যারের বাসার সামনে গিয়ে একটা চক্কর দিয়ে আসব পরিবেশ টা কেমন আছে সেটা দেখার জন্য ।
দরজা খুলে মেসের রান্না করা খালা প্রবেশ করলো , শালার শফিককে বললাম দরজা বন্ধ করতে কিন্তু না করে সে পাশের রুমে তাস খেলতে গেছে ।
– খালা এসে বললো , ” মামা সন্ধ্যা বেলা আমাদের একটু যাবেন , আমার বড় মেয়ে ওর নানা বাড়ি থেকে বেড়াতে এসেছে সাথে আমার ভাইয়ের মেয়ে এসেছে দুটো । বিকেলে আমরা নানাধরণের পিঠা বানাবো , মেসের সবাইকে তো নেওয়া সম্ভব না তাই আপনি শফিক আর রকি যাবেন । আপনারা তিনজন খুব ভালো মনের মানুষ তাই আপনাদের কথা আমি মাঝে মাঝে বস্তিতে সবার সাথে বলি ।
– বললাম , ” তোমার ভাব তো সুবিধার মনে হচ্ছে না মেয়ের জামাই বানাবে নাকি খালা ? লাভ নেই , আমি তোমার বউমা পেয়ে গেছি । ”
– ধুর মামা কি যে কন আপনি ? এর আগে তো কত আপনারা আমাদের বাসায় গেছেন ।
– মজা করছি , আচ্ছা ঠিক আছে সন্ধ্যার পরে গিয়ে একটা চক্কর দিয়ে আসব ।
– তাহলে আমি গেলাম ?
– আচ্ছা যান তাহলে , আর শোনেন !
– জ্বি মামা ।
– বাসায় তো মেহমান এসেছে , খরচের টাকা পয়সা আছে তো ?
– আসলে মামা টাকা তো নেই , ভাবছিলাম আপনার কাছে চাইবো কিন্তু এ মাসের টাকা তো আগেই নেয়া শেষ । উল্টো ১২০০ টাকা বেশি নিয়েছি তাই সাহস করে বলতে পারছি না ।
– চার বছর ধরে তোমার হাতের রান্না খেয়ে আসছি , তুমিও আমাদের ভালো করে চেনো তারপরও সাহস পেলে না কেন ?
– তাহলে আর কথা পেচিয়ে লাভ কি ? ৫০০ টাকা দেন আমি যাই তাড়াতাড়ি ।
– আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে যান ।
– গেলাম আমি ?
– সাবধানে যেও খালা , আর বাসায় পৌঁছে একটা কল দিও ।
– কেন মামা ?
– হাহাহা কিছু না , এমনি ।
– আচ্ছা !
★★
খালার নাম পারুল , আমি যেদিন প্রথম এই মেস উঠেছি সেদিন থেকে তাকে দেখা আসছি । বিগত চার বছর তার হাতের রান্না খেয়ে পার করে দিলাম । কিছুদিন পরে ডিপ্লোমা শেষ হয়ে যাবে , বিএসসি কিংবা চাকরি করতে চলে যাব চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা শহরে । স্মৃতি হয়ে পরে রবে মেসের এই অবিস্মরণীয় স্মৃতি গুলো একেকটা সোনালী পাতায় । ব্যস্ত শহরের মাঝে হারিয়ে যাবো আমি , শফিক আর রকির সঙ্গে দেখা হবে মাঝে মাঝে । চাকরি করতে গিয়ে ভুলে যাবো এই ছাত্রজীবনের কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত । এখন যেমন হঠাৎ করে মাঝে মাঝে গ্রামের স্কুল জীবনের স্মৃতি মনে পরে । তখন হয়তো স্কুল কলেজ সব স্মৃতি গুলো মাঝে মাঝে মনকে স্তব্ধ করে দেবে ।
খালার তিনটা সন্তান , প্রথমে বড় মেয়ে তুলি, দ্বিতীয় ছেলে পারভেজ , ছোট মেয়ে মিম । তুলি তার নানা বাড়িতে থাকে সেখানে থাকে আর পড়াশোনা করে । মিমের বয়স ৬ বছর আর পারভেজ একটা ওয়ার্কশপে কাজ করে ।
,
,
আজানের শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো আমার , চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি রুমের মধ্যে আলো জ্বলছে । জানালা খোলা ছিল বাহিরে গোধূলির আলোমাখা আকাশপট দেখতে পাচ্ছি । তারমানে এটা মাগরিবের আজান । ব্যাচেলর জীবনের মধ্যে রাতের আধারের ঘুমটা ঠিক মতো কেউ করতে পারে না । গতকাল রাতে তিনটা বাজে ঘুমিয়েছি আবার সকালে সাতটা বাজে উঠে কলেজ গেছি তাই বিকেলে সুষুপ্ত জড়িয়ে ধরেছে । বিছানায় উঠে কিছুক্ষণ বসে রইলাম , বিকেলের ঘুমে শরীর দুর্বল হয় বেশি । চোখ,নাক,গাল ফুলে যায় অনেক , নিজেকে চাকমা চাকমা লাগে তবে নাকটা লম্বাই থাকে ।
– রুমের মধ্যে শফিক প্রবেশ করে বললো , ” সাজু ঘুম ভাঙ্গলো ? তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয় খালার বাসায় যাবো , ফোন করেছিল । ”
– বললাম , রকি কোথায় ?
– ও বাইরে বসে আছে , আমরা রেডি কিন্তু তুই ঘুমাচ্ছিস তাই ডাকিনী ।
– আচ্ছা বস তাহলে আমি আসছি, আসরের নামাজ তো পড়া হলনা , মাগরিবের নামাজ পড়ে তারপর বের হবো ।
★★
ফ্রেশ হয়ে তিন তারকা বেরিয়ে পরলাম , হাউজিং এর ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে রেললাইন ধরলাম । রেললাইনে গিয়ে হঠাৎ করে কিছুক্ষণ বসতে ইচ্ছে হলো তাই ওদের দুজনের অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমরা রেললাইনে বসলাম ।
মোবাইল বের করে ভাবলাম এখন আবার একটা মেসেজ করা যাক । নিস্তব্ধ রেললাইনে বসে কবি কবি ভাব নিয়ে বাহহ চমৎকার লাগবে ।
লিখলাম ;-
“” আকাশ ভর্তি অজস্র তাঁরা ,
মনটা হলো পাগল পারা ।
থাকতে যদি তুমি পাশে ,
হাতটা ধরে রইতে মিশে ।
চাঁদটা দেখে বলতে আমায় ,
থাকবে নাকি মনের পাড়ায় ?
বলতাম আমি জড়িয়ে ধরে ,
আজ যাবনা ঘরে ফিরে ।
তুমি হয়তো লজ্জা পেতে ,
রেললাইনের এই আধার রাতে ।
দুহাত দিয়ে ধরবো যে গাল ,
রাত পেরিয়ে হোকনা সকাল । “”
মেসেজ পাঠিয়ে দিয়ে মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে আছি , অনেকক্ষণ ধরে কোন মেসেজ আসছে না দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল । ভেবেছিলাম দুপুরের মতো হয়তো রিপ্লাই আসবে কিন্তু সেই আশা পূরণ হলো না । কপাল ।
হঠাৎ করে মেসেজ টোন বেজে ওঠলো , তাকিয়ে দেখি সেও আমার মতো ছন্দে মিলিয়ে মেসেজ করেছে । মনে হয় লিখতে গিয়ে দেরি হয়েছে নাহলে মোবাইলের কাছে ছিল না ।
তার মেসেজ ছিল ;-
“” স্বপ্ন এমন দেখেছিলাম ,
হয়নি পূরণ কষ্ট পেলাম ।
বুকটা এখন পাথরের মত ,
কষ্ট জমা শত শত ।
কে আপনি ? বলেন ভাই !
মনটা ব্যাকুল তাই চিনতে চাই ।
দয়া করে পরিচয় দেন ,
নাহলে আপনি বিদায় নেন । “”
লে হালুয়া , আমাকে ভাই বানিয়ে দিল ? রাগে গজগজ করতে করতে আমি আবার সাথে সাথে লিখলাম ;-
“”নামটা আমার বলবো না আজ ,
নই গো আমি কোন ধান্দাবাজ ।
পরিচয় দেবো কথা দিলাম ,
একটু নাহয় লুকিয়ে রইলাম ।
কাল বিকেলে দেখা হবে ,
তখন নাহয় জেনে নিবে ।
রাগ করোনা বলছি তোমায় ,
ভুল বুঝনা তুমি আমায় ।
অনেক খুঁজেছি তোমাকে আমি ,
পেয়েছি আজকে স্বপ্ন তুমি ।
হারাতে দেবনা আর কোনদিন ,
থাকবো পাশে বাঁচবো যতদিন । “”
এবার আমি মেসেজ সেন্ট করে অপেক্ষা করার মধ্যে শফিক হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে গেল । তাদের রেখে আমি মোবাইল নিয়ে পরে আছি নিয়ে গেল । আজকে আর হয়ত আপাতত পাওয়া যাবে না কারণ জোর করে লাভ নেই । শত্রুর মতো বন্ধু তাই আমি কিছু বলতে পারলাম না । তিনজনে উঠেই আবার হাটা শুরু করলাম আমরা , আমি বারবার চিলের মতো ছো মারার চেষ্টা করছি । কিন্তু বরাবরই ব্যর্থ ।
★★
খালার বাসা থেকে বের হতে রাত আটটার বেশি বেজে গেছে । তিনজনে কথা বলতে বলতে আমি বৃষ্টির কথা ভুল গেলাম । জংশন মোড়ে এসে শফিক বললো ও নাকি ওর এক বন্ধুর মেসে যাবে । আমাকে আর রিকিকে নিয়ে যেতে চাইলো কিন্তু পিঠা খেয়ে পেটের অবস্থা খারাপ তাই আমরা রাজি হলাম না । আমি আর রকি মেসে চলে আসলাম আর শফিক মহিলা পলিটেকনিকের পিছনে ওর বন্ধুর মেসের দিকে চলে গেছে ।
মেসের মধ্যে এসে প্যান্ট শার্ট পরিহিত অবস্থায় শুয়ে পরলাম । মেসের সামনে বাদল মামার দোকানে বক্সে গান বাজছে ” এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেওনা ” বৃষ্টি নামটা শুনে হঠাৎ করে বৃষ্টির কথা মনে পরলো । পকেটে হাত দিয়ে দেখি মোবাইল নেই , যাহহ শালা মোবাইল তো শফিকের কাছে । এখন কি হবে ? মনে মনে ভেবেছিলাম একটু রেস্ট নিয়ে স্যারের বাসার সামনে গিয়ে চক্কর দিয়ে আসব কিন্তু কপাল ।
রকির মোবাইল দিয়ে শফিককে কল দিলাম , ” সে বললো তার আসতে নাকি দেরি হবে।” আমি আমার মোবাইলের কথা বললাম , তখন বললো ,”ওর নাকি মনে ছিল কিন্তু আমরা ওর সঙ্গে যাইনি তাই ইচ্ছে করে নাকি মোবাইল দেয় নাই । ওরে বাটপার । ”
★★
শফিক মেসে আসলো রাত সাড়ে দশটার দিকে আমি মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি ওই নাম্বার থেকে দুটো মেসেজ আর দুটো মিসড কল ।
#প্রথম_মেসেজ ;- কারো কাছে আসতে পারা খুব সহজ , কিন্তু কারো মনে জায়গা করে নিতে পারাটা খুব কঠিন । সবাই কাছে আসতে পারে , কিন্তু সবাই মনের জমিনে অধিকার খাটাতে পারে না ! চাইলেই মানুষ ছেড়ে আসতে পারে না , যেতে পারে না সে হারিয়ে । স্মৃতি থেকে কোথাও না কোথাও একটু খানি রয়ে যায় ! সময় অতিবাহিত হয় ক্ষত শুকায় পুরাতন ব্যাথার জায়গায় নতুন ব্যাথা স্হান পায় ৷
#দ্বিতীয়_মেসেজ ;- ওহে বালক , মেসেজের রিপ্লাই আসলো না কেন ?
আমি সাথে সাথে আবার মেসেজ লেখা শুরু করলাম কিন্তু ছন্দ দিয়ে নয় কাব্যিক ভাবে । সে যেহেতু কাব্য ভাষায় লিখে দিয়েছে সেহেতু আমারও উচিত তেমন কিছু লিখে দেয়া ।
#লিখলাম ;- যতটুকু সময় আপনি বদলাতে দিবেন অন্যকে, ততটুকু সময় নিজেকে দিলে আপনি এতটাই বদলে যাবেন যে আপনার সাথে কেউ এডজাস্ট করতে নিজেকে বদলে নিবে । আমার অযোগ্যতাটুকু ধারন করে মনে, চিন্তায়, চেতনায় যে দুরত্ব বাড়িয়েছে । যে প্রকৃতির ছেড়ে যাবার সুযোগের অপেক্ষায় তার সে থেকে যাওয়ার মাঝে যোজন যোজনের দুরত্ব বুঝেও কেন ছেড়ে আসতে পারি না পিছনের স্মৃতি ? জোর করে কী কারও মন বেধে রাখা যায় ? জোর করে কি প্রকৃতির রূপ পরিবর্তন করা যায় ?
– একটু পরে সে রিপ্লাই করলো , ” কষ্ট যখন প্রকৃতি আমাকে উপহার দিয়েছে তখন সেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে পথ চলতে হবে সেটা জানি । ”
– আমি লিখলাম , ” সারা জীবন ভালো থাকা যায়না আবার সারা জীবন কারো কষ্টে পার হয়না । অনেক কষ্ট পেতে পেতে এক সময় কষ্ট গুলোও জীবনের কাছে হার মেনে যায় । আপনার সাঁজানো স্বপ্ন কেউ ভেঙে যাবে, আবার কেউ এসে তা কুঁড়িয়ে নেবে এটাই বাস্তবতা । এটা প্রকৃতির সৃষ্টি যেখানে আপনার আমার করার কিছুই নেই । ”
– সে লিখলো , রাত এগারোটা বেজে গেছে তাই শুভ রাত্রি । যদি বেঁচে থাকি তাহলে আগামীকাল কথা হবে আপনার সাথে ।
– লিখলাম , আপনার বাসার সামনের রাস্তায় নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকা “ল্যাম্পপোস্টের ঘোলাটে বাতির” মতো যদি কদম ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকি তাহলে কি করবেন ? কদম গ্রহণ করবেন ? নাকি অপরিচিত এক আগন্তুক ভেবে ফিরিয়ে দেবেন ?
– সে লিখলো , আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে , আমাদের বাসার সামনে ল্যাম্পপোস্টের বাতিটা ঝকঝকে পরিষ্কার আলো দেয় । কারণ কিছুদিন আগে সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে । আর কদম ফুলের জবাবটা আগামীকাল দেবো কারণ আমি এখন নিদ্রা যাবো দুচোখ বেয়ে সুষুপ্ত ঘিরে আসছে ।
– লিখলাম ;-
ব্যস্ত শহর ঘুমিয়ে গেছে
নিস্তব্ধ এই রাতে ,
জাগবে সবাই বলবে কথা
আগামীর প্রভাতে ।
তোমার চোখে ঘুম ধরেছে ,
তুমি ঘুমের যাত্রী ,
জোর করবো না থাকতে তোমায়
জানাই শুভ রাত্রি ।
★★
★★
★★
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠলাম বেলা এগারোটার পরে , সেলুনে গিয়ে চুল দাড়ি সব কাটিং দিয়ে আসলাম । যেহেতু বিকেলে দেখা করতে যাবো তাই একটু হিরু আলম সাজার দরকার আছে । বাসায় এসে গোসল করে জুম্মার নামাজ পড়তে গেলাম । বৃষ্টির নাম্বারে সারাদিনের মধ্যে আরো দুতিনবার মেসেজ দিলাম কিন্তু ডেলিভারি মেসেজ আসে না তাই কল দিলাম কিন্তু নাম্বার বন্ধ । নাম্বার বন্ধ তাই মেসেজ যাচ্ছে না , খাবার খেয়ে শুয়ে আছি কিন্তু আজকে ঘুমকে নিমন্ত্রণ করা যাবে না । শফিক আর রকিকে তৈরী থাকতে বলেছি । ভাবলাম সকাল থেকে বৃষ্টির নাম্বার বন্ধ কোন সমস্যা হলো না তো ? স্যার কে কল দেবো কিন্তু চিন্তা করছি কিন্তু সাহস করতে পারি নাই বলে দিলাম না । চার টার দিকে আমরা তিনজন বেরিয়ে পরলাম , পৌরসভার মোড় থেকে ব্যাটারি চালিত রিক্সা নিয়ে তিনজনে চেপে বসলাম । আলমনগর বাজার পার হলাম তখনই আমার মোবাইল বেজে ওঠলো । বের করে দেখি স্যার ফোন করেছে , রিসিভ করে একটা খুশির খবর পেলাম । বৃষ্টি আর তার ছোট বোন বাসা থেকে চরেরহাটের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরেছে ।
আমরা নদীর তীরে এসে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছি । এক পলকেই চিনতে পারবো কিনা জানিনা কিন্তু চোখ চাতক পাখির মতো চারিদিকে ঘুরচ্ছি ।
অনেকক্ষন পরে শফিক বললো , দোস্ত আগে চল চটপটি খাই তারপর নাহয় খুঁজবো । রকি তার সাথে সহমত পোষণ করলো তাই যেহেতু তারা দুজন রাজি তাই চটপটির দোকানে গেলাম ।
দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে চটপটি খাচ্ছি আর এদিক সেদিক তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি । হঠাৎ করে দুটো মেয়ে আসলো সেখানে , একজন বোরকা পরে মুখ হিজাব পরিধান করা তাই চোখ দেখা যাচ্ছে আর ছোট মেয়েটা ফোরক পরিহিত ।
বড় মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে বললো ,
ওহে বালক ,
বুদ্ধির চালক ।
চিনতে পারছো আমাকে ?
খাচ্ছো কেন আমায় রেখে ?
– বললাম , কে আপনি ?
– সে বললো , পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের কথা মনে আছে বালক ?
চলবে….
এতক্ষণ কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ , আপনাদের জন্য চা-নাস্তার ব্যবস্থা করতে পারলাম বলে আমি দুঃখিত । আগামীকাল আবার পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য দাওয়াত রইল । এখন সবাই নিজ নিজ টাইমলাইনে ফিরে যাও । আর হ্যাঁ , “” পৌঁছে গিয়ে একটা ফোন দিও ! ”
লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)