#_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি ।
#_পর্ব = ২৮
” কিন্তু স্যার আপনি তো বলেছিলেন যে আসল খুনি আস্তে আস্তে ধরা পরবে । তাহলে আমাকে আবার কেন হাজতে যেতে হবে ? আমার মতো নির্দোষ মানুষ কি সবসময় সাজা পাবে ? ”
” উকিল সাহেব বললো , আরে ধুর তুমি কি হাজতে ঢোকার জন্য আসবে নাকি ? তোমার কেস ফাইল ক্লোজ করা হবে তাই তোমাকে এসে সবকিছু সই সাক্ষর করতে হবে ৷ অবশ্য তার আগে কোর্টে শুনানি হবে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে । আদালত থেকে তোমাকে বেকসুর খালাস করে দেবে আর অপরাধী শাস্তি পাবে । ”
” সত্যি বলছেন স্যার ? ”
” হ্যাঁ , আর বাকি পলাতক আসামি ধরা পরেছে । ”
” সত্যি বলছেন স্যার ? ”
” হ্যাঁ তুমি খুলনা চলে আসো তাহলে বাকি সকল কথা হবে , আর খোকন তোমার সাথে দেখা করতে চায় । তোমার নাম্বারে সেও কল দিচ্ছে কিন্তু কল দিয়ে পাচ্ছে না তোমাকে । ”
” ঠিক আছে স্যার আমি এখনই বাসায় গিয়ে বের হয়ে পরবো , পথে কোন সমস্যা না হলে আগামীকাল সকালের মধ্যে আমি খুলনা থাকবো ৷ ”
” ঠিক আছে আর আমি তোমাকে খোকনের নাম্বার মেসেজ করে দিচ্ছি তুমি তার সাথে কল দিয়ে কথা বলবে বুঝতে পারছো ? ”
” জ্বি স্যার বুঝতে পারছি । ”
” ওকে ভালো থেকো তাহলে , আগামীকাল সকালে দেখা হবে । ”
” ইনশা আল্লাহ । ”
★★
সজীব আগের সেই কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে আবারও খুলনা শহরে চলে গেল । সারারাত ভ্রমণ করে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে খুলনা শহরে পৌঁছে ৷ খোকনের সাথে কথা হয়েছে এবং সে বলেছে যে বাস থেকে নেমে সরাসরি তার বাসায় যেন যায় ৷ তাই সজীব সোনাডাঙা বাস স্টেশন থেকে সরাসরি খোকনের বাসায় চলে গেল । খোকনের মা সজীব এর আগমনের বার্তা আগে থেকে জানতেন । তিনি সজীব কে দেখে অনেক খুশি হলেন আর সজীব এর রক্ত দানের জন্য তিনি বেঁচে আছেন এমন কথা বলে দু একটা দোয়াও করলেন । সজীব লজ্জা পেয়ে বললো , ” বাঁচা মরা সবকিছু আল্লাহর হাতে আন্টি । ”
সকাল বেলা গরুর মাংস দিয়ে গরম ভাত খেয়ে সজীব কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে সকাল দশটার দিকে খোকনের সাথে বাসা থেকে বেরিয়ে গেল । দুজনের যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে উকিল সাহেবের সাথে দেখা করতে হবে ৷ তার সাথে দেখা করে সবকিছু জানার ইচ্ছে করছে প্রবল , তাছাড়া খোকন হয়তো কিছু কিছু জানে কিন্তু তাকে জিজ্ঞেস করতে সজীব এর সাহস হচ্ছে না ।
খোকন আপাতত সপ্তাহ খানিক ছুটিতে আছে কারণ এখন কোন চালান নেই তাই কাজও নেই । সজীব আর খোকন প্রথমে তারা উকিল সাহেব এর সাথে দেখা করলো তার চেম্বারে ৷ উকিল সাহেব ঘটনার যে বর্ননা করলো সেটা হচ্ছে এমনঃ-
আয়কর অফিসে চাকরি করা সেই মাজহারুল সাহেব উকিল সাহেবের কাছে এসেছিলেন যেন তিনি এই কেসটা থেকে সরে যায় । তখন উকিল সাহেব বিষয়টা খোকনকে জানায় এবং খোকন একটা পরিকল্পনা করে তার সাথে দেখা করে । মাজহারুল সাহেবের একমাত্র ছেলে বাদল খুনের সাথে জড়িত তাই তিনি বাধ্য হয়ে খোকনের সাথে দেখা করেন । খোকনের সাথে তিনি টাকা পয়সা নিয়ে একটা সমতা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু খোকন সেই সময় সকল আলোচনা রেকর্ড করে । মাজহারুল সাহেবের কাছে জানতে পারা যায় যে তার ছেলে বাদল এখন গাজীপুর পালিয়ে আছে । পুলিশের মাধ্যমে সেই গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে বাদলকে গ্রেফতার করা হয়েছে । হাসপাতালে তুলিকে হত্যার পিছনে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা ছিল মাজহারুল সাহেবের । তাই তাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং তারও কঠিন শাস্তি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে । বাদলকে প্রথম জিজ্ঞেস করাতেই সে সবকিছু স্বীকার করেছে ৷ মনে হয় ভেবেছে যেখানে তার নিজের বাবা জেলে আছে সেখানে শুধু শুধু মিথ্যা বলে লাভ কি ?
” সজীব বললো , দুটো মেয়ে ধর্ষন করে হত্যা করেছে ঠিকই কিন্তু এত সহজ সহজ প্রমাণ রেখে দিয়েছে । সত্যি সত্যি অবাক হলাম কারণ তাদের আরেকটু সাবধান হওয়া দরকার ছিল । ”
” উকিল বললো , এরা তো আর পেশাদার খুনি বা সন্ত্রাসী না তাই ততটা ভাবতে পারে নাই । তাছাড়া এখন বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে অপরাধ করে সহজে কেউ বাঁচতে পারে না । তবে সবকিছু প্রমাণ করে লাভ হয়না কারণ বাংলাদেশে ক্ষমতার জোরে এখন আর বিচার হয়না । ”
” সজীব বললো , যাক তাহলে ভালোই হলো আমার মামলাটা সমাধান হয়ে গেছে । আর এ জন্য আমি খোকন ভাই আর স্যার আপনার প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ । ”
” তবুও তোমার মতো একটা নির্দোষ মানুষকে সাত মাস জেলে থাকতে হয়েছে । ”
” জ্বি স্যার সেটা ভাবতে খারাপ লাগে অনেক তবে ভাগ্যকে সহজে মেনে নিয়েছি । এখন আর সেই আগের মতো কষ্ট লাগে না তবুও দিনশেষে হাহাকার থেকে মনের মনিকোঠায় । ”
” আগামী পরশু খোকন এর সাথে তুমি আদালতে হাজির হবে কারণ ওইদিন মামলার শুনানি দিন ধার্য করা হয়েছে । যদি কোন রকম সমস্যার সৃষ্টি না হয় তাহলে সেদিনই তুমি মামলা থেকে মুক্তি পাবে । ”
” খোকন বললো , সমস্যা নেই সজীব আমার সাথে আমাদের বাসায় থাকবে । উকিল সাহেব আপনি শুধু লক্ষ্য রাখুন যে নতুন করে তারা উকিল দিয়ে ঘটনা ঘুরানোর চেষ্টা করে কিনা ! ”
” উকিল বললো , সে নিয়ে তোমার চিন্তা নেই খোকন সাহেব , ওটা আমার কাছে মোটামুটি জানা আছে কি করতে হবে ? ”
” খোকন বললো , ঠিক আছে আপনি আপনার কাজ করেন আমরা তাহলে উঠি , আবার দেখা হবে ইনশা আল্লাহ । ”
” ঠিক আছে ভালো থেকো । ”
★★
★★
রকির কাছে গতকাল বিকেলেই সজীব কল দিয়ে বলেছিল যে সজীব খুলনা যাচ্ছে কারণ তার মামলা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে । তাই বাসায় গিয়ে রকিকে আর কিছু জিজ্ঞেস করতে হয় নাই । তবে রকির ধারণা ছিল বৃষ্টি হয়তো তার সাথে সজীব এর কথা জিজ্ঞেস করতে পারে । কিন্তু রকির ধারণা ভুল কারণ বৃষ্টি কিছুই জিজ্ঞেস করলো না বরং কোন কলই দিল না ।
|
সজীব উকিলের কাছ থেকে বেরিয়ে খোকনকে বললো ” ভাই কলেজ থেকে বিনা অপরাধের জন্য আমাকে বের করে দিয়েছে । আমি এখন একটু কলেজে গিয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের সাথে কথা বলে দেখতে চাই ৷ আমার মামলা যেহেতু শেষ হবে তাই সে যদি আমাকে পরের বছর ফরম পুরনের সুযোগ করে দেয় তাহলে ডিপ্লোমা কমপ্লিট হয়ে যাবে । ”
খোকন বললো সে নিজেও তাহলে যাবে , তাই তারা দুজনেই সিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর দিকে রওনা দিল ।
” সজীব আর খোকন এখন প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে তার সামনে বসে আছে । সজীব বললো , কেমন আছেন স্যার ? চিনতে পারছেন আমাকে ? ”
” স্যার বললো , হ্যাঁ তোমার নাম সজীব । ”
” জ্বি স্যার , আসলে স্যার ভাগ্যের কিছু নির্মম বাস্তব ঘটনার সম্মুখীন হতে গিয়ে আমরা জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলি । যেমন আমি অপরাধী না হয়েও সাত মাস জেল খাটলাম । জীবন থেকে অনেক সময় হারিয়ে গেছে আবার নিজের সম্মান চলে গেছে , আপনার কলেজ থেকে আমাকে বের করে দেয়া হয়েছে । ”
” তোমার মামলার কি হইছে ? ”
” আসল খুনি সবাই ধরা পরেছে , আগামী পরশু আদালতে হাজির করা হবে তাদের । হয়তো সেদিনই আমাকে জাজ সাহেব মামলা থেকে অব্যাহতি দেবেন ইনশা আল্লাহ । ”
” ওহহ আচ্ছা এটা তো আনন্দের অনুভূতি , আমি খুবই লজ্জিত আসলে যখন তোমার ওই ঘটনা নিয়ে জানাজানি হলো তখন মিডিয়া প্রচুর চাপ দিল । আর যেহেতু আমাদের প্রাইভেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তাই এব শহরের অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো আমাদের মান ক্ষুন্ন করার জন্য বিভিন্ন ভাবে সুযোগ নিচ্ছিল । তাই তখন বাধ্য হয়ে তোমাকে বহিষ্কার করতে হয়েছে । ”
” খোকন বললো , আপনার একটা ছাত্র বিপদে পরলো আর আপনি তার পাশে থেকে সাহায্য না করে তাকে বিতাড়িত করে দিলেন ? ”
” স্যার বললো , দেখো বাবা একটা প্রতিষ্ঠান চালাতে কতটা কষ্ট করতে হয় সেটা দায়িত্ব না পেলে বোঝা যায় না । আমার যায়গাতে তুমি থাকলেও কিন্তু এমনটাই করতে । ”
” খোকন বললো , তাহলে এখন কি করা যায় ? ”
” এক বছর যেহেতু লস হয়ে গেছে সেহেতু সেটা মনে করে আফসোস করার দরকার নেই । সজীব এর পিছনের মানে ২০১৩ সেশনের যারা আছে তাদের সাথে সজীব পরীক্ষা দিতে পারবে । আমি তখন সেই ব্যাচে তার ফরম পুরোনের ব্যবস্থা করে দেবো । ”
” ঠিক আছে মেলা মেলা ধন্যবাদ আপনাকে । ”
” স্যার বললো , চা দিতে বলি ? ”
” সজীব বললো , না স্যার সমস্যা নেই । ”
” আরে তুমি তোমার গার্ডিয়ান নিয়ে এসেছো তিনি আমাদের মেহমান । ”
” খোকন বললো , সমস্যা নেই স্যার আরেকদিন এসে নাহয় খেয়ে যাবো ভালো থাকবেন সবসময় । ”
” স্যার বললো , ঠিক আছে আর সজীব তুমি তোমার ডিপার্টমেন্টের হেডের সাথে যোগাযোগ রেখো সর্বদা সবসময়ই । ”
” ঠিক আছে স্যার । ”
★★
দুই দিন পরঃ–
মামলায় অভিযুক্ত একজন আসামী এখনো পলাতক তাই প্রাথমিক সকল সাক্ষ্য গ্রহণ করা শেষ । জজ সাহেব পলাতক আসামিকে অতি শীগ্রই ধরার জন্য পুলিশকে জোর নির্দেশ দিলেন । আর চারদিন পরে পবিত্র শব-ই-বরাত আর তার ১৫ দিন পরে রমজান মাসেন শুরু । সবকিছু বিবেচনা করে আদালত পরবর্তী শুনানি ঈদের পরে দিন ধার্য করলো । সজীব এর জানা ছিল না যে আর চারদিন পরে শবেবরাত কিন্তু এখন জেনে ভালোই হলো । কারণ বৃষ্টির জন্য তৈরি করতে দেয়া নুপুর জোড়া সে বৃষ্টিকে ঈদের উপলক্ষে উপহার দিতে পারবে ।
কোর্ট থেকে বেরিয়ে সজীব এর সাথে দেখা হয়ে গেল মেসে রান্না করা খালার সঙ্গে । সজীব তার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাে ” কেমন আছেন খালা ? ”
” খালা সজীবকে দেখে নিজের সন্তানের মতো করে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে ওঠলো । তারপর আস্তে আস্তে বললো , আমাকে মাফ করে দিস বাবা । আমার জন্য তোর জীবন টা এলোমেলো হয়ে গেল । যদি পারো তাহলে নিজের আপন ভেবে মাফ করে দিস বাবা । ”
” সজীব বললো , আপনার কোন দোষ নেই খালা কারণ আপনার সন্তান হারানোর বেদনা আরো বেশি ভয়ংকর ৷ আমি হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য কষ্ট করেছি কিন্তু তুলি আর আপনার ভাইজি ওরা দুজন তো সারাজীবনের জন্য হারিয়ে গেছে । পৃথিবীতে মরনে ক্ষতি নেই খালা কারণ জন্ম নিলে তাকে তো মরতেই হবে । কিন্তু মরার আগে যদি পৃথিবীর কিছু নৃসংশতা সহ্য করতে হয় । মৃত্যুর সময় যদি সে জগতের মানুষের প্রতি ঘৃণা হতাশা নিয়ে আফসোস করতে করতে মারা যায় । তাহলে যে জনম জনম ধরে সেই মৃত্যুর বেদনা ছায়া হয়ে যায় । সে হয়তো মৃত্যুর পরে আল্লাহর দরবারে জানতে চাইবে কি দোষ ছিল তার ? কেন তাকে এমন নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে পৃথিবী থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে ? জনিনা আল্লাহ ওদের জন্য কি সাজিয়ে রেখেছে ? ”
” ওদের জন্য দোয়া করিস সবসময় , আল্লাহ যেন তাদের ছোট্ট জীবনের পাপগুলো ক্ষমা করে দেয় । ”
” ওদের মাটি দিয়েছেন কোথায় ? ”
” গোয়ালখালি কবরস্থানে , যাবি তুই ? ”
” হ্যাঁ যাওয়া উচিত । ”
” চল না তাহলে আমার সাথে , দুপুরে রান্না করবো তারপর খেয়ে আসবি । ”
” আমি আজকে চট্টগ্রামে চলে যাবো খালা ! ”
” সেখানে কেন ? ”
” রকি চট্টগ্রামে আপনি তো জানেন , আমার সেই বৃষ্টিও চট্টগ্রামে আছে । আমি সেখানে আছি তবে গার্মেন্টসে চাকরিও করছি । আর খুলনা শহরে আমি আবার আসবো খালা কারণ রকি আর শফিক এর সাথে পরীক্ষা দিতে পারিনি । তাই এক বছর পরে আবার সেই সুযোগ পাবো মনে হয় , তখন এসে আপনার হাতের রান্না খাবো আবার । ততদিন ভালো থাকবেন সবসময় সর্বক্ষণের জন্য । ”
★★
দুপুরের খাবার খেয়ে সজীব বাসা থেকে বেরিয়ে গেল উদ্দেশ্য সোনাডাঙা বাস স্টেশন । সেখান থেকে চট্টগ্রামের টিকিট কেটে সোজা চট্টগ্রামে । বাড়িতে কল দিয়ে মামলার নিষ্পত্তির বিষয় জানানো হলো , সজীব এর মা-বাবা বোন সবাই খুব খুশী । খালার কাছে কল দিয়েছিল কিন্তু রিসিভ করে নাই মনে হয় কাজের চাপ বেশি ।
খুলনা থেকে বাস ছাড়লো সন্ধ্যা বেলা । মাওয়া ঘাটে জ্যামের মুখোমুখি হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে সকাল হয়ে গেল ৷ ফ্রি পোর্ট মোড়ে এসে গাড়ি জ্যামে পরে গেল । ঘড়িতে সকাল সাতটা কুড়ি মিনিট , এটা হচ্ছে অফিসে যাবার সময় তাই প্রচুর মানুষের চাপ । সজীব অনেকক্ষণ বাসের ভিতরে বসে থেকে বিরক্ত হয়ে নেমে হাঁটা শুরু করলো ।
হাঁটতে হাঁটতে ইপিজেড মোড়ে এসে নিউমুরিং এর ভিতরে যাবার গলির সামনে দাঁড়িয়ে গেল । কারণ তার সামনে এই মাত্র রিক্সা থেকে নামলো তার চিরপরিচিত মুখ বৃষ্টি । আর বৃষ্টি সাথে রিক্সার মধ্যে আরেকজন মানুষ আছে তাকেও সজীব চেনে , যার নাম মামুন ৷ বৃষ্টি আর মামুনকে একসাথে রিক্সা থেকে নামতে দেখে সজীব দাঁড়িয়ে গেল । বৃষ্টিকে দেখে বোঝা যাচ্ছে সে অফিসে যাচ্ছে কিন্তু মামুনের সাথে রিক্সায় চড়াও হচ্ছে সেটা সজীব জানতো না ।
সজীব ঠিক যেভাবে বৃষ্টিকে মামুনের সাথে দেখে অবাক হয়েছে , বৃষ্টিও রিক্সা থেকে নেমে সজীব কে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে অবাক হয়ে গেল ।
চলবে….
বিঃদ্রঃ– গল্প টা কেমন হয়েছে ? সবাই গঠনমূলক কমেন্ট করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন । আপনাদের একটা অনুপ্রেরণার মন্তব্য এগিয়ে নেবে আমার লেখনী শক্তি ।
ভালবাসা অবিরাম অন্তহীন ।
লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)