_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি । #_পর্ব = ৩৯

0
220

#_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি ।
#_পর্ব = ৩৯

যেহেতু মাগরিবের এখনো অনেক সময় বাকি সেহেতু কোন রেস্টুরেন্টে যাওয়া যায় না। আর রাস্তার মধ্যে অসংখ্য মানুষের আনাগোনা থাকার জন্য দাঁড়িয়ে বেশিক্ষণ কথা বলার সুযোগ নেই। বৃষ্টি চারিদিকে তাকিয়ে সজীব এর মুখের পানে তাকায়। অনেক বড় বড় দাড়ি গজিয়ে উঠেছে, দুটি চোখ এত পরিমাণ ভিতরে ঢুকে গেছে যে তার চোখের মধ্যে দুই কেজি চাল অনায়সে রাখা যায়। চোখের চারিদিকে কালি জমে বিশ্রী অবস্থা হয়ে গেছে, চুল গুলো লম্বা তবে এলোমেলো। মনে হয় যেন অনেক দিন তেলের মুখ দেখে না।

নীরবতা ভঙ্গ করে সজীব বললোঃ-

” কেমন আছো বৃষ্টি? ”

” এই তো ভালো, তুমি কেমন আছো? ”

” হুম ভালো, আজকে এত সুন্দর লাগছে কেন? ”

” তুমি কিছু একটা বলার জন্য ডেকেছিলে। ”

” হ্যাঁ ”

” তাড়াতাড়ি বলো, বাসায় গিয়ে আমার কিছু কাজ আছে, আর শাড়ি পরার অভ্যাস নেই বলে অসহ্য লাগছে খুব। ”

” ঠিক আছে বেশি সময় নেবো না, তাহলে চলো হাঁটতে হাঁটতে তোমার বাসার দিকে যাই। ”

” তার কোন দরকার নেই, তুমি কি বলবে সেটা যদি তাড়াতাড়ি বলো তাহলে আমি চলে যাবো। ”

” কেউ অপেক্ষা করে আছে নাকি? ”

” মানে? ”

” কিছু না। ”

” বুঝতে পারছি তোমার গুরুত্বপূর্ণ কোন কথা নেই বরং এমনি এমনি আমাকে দেখা করতে বলছো। ঠিক আছে সমস্যা নেই দেখা হয়ে গেছে তাই আমি এখন আসি। ”

” নাহহ শোনো। ”

” বলো। ”

” সজীব তার পকেট থেকে নুপুর জোড়া বের করে বৃষ্টির দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো, তোমার জন্য এই নুপুর জোড়া বানিয়েছি। আলতা রাঙা ওই সুন্দর পায়ে নুপুর নেই সেটা বড্ড বেমানান তাই আমার পক্ষ থেকে এই উপহার। তোমার অস্বস্তি দেখে মনে হচ্ছে তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে খুবই বিরক্ত হচ্ছো। একটা কথা পরিষ্কার, এ জীবনে আর তোমার সামনে আসার ইচ্ছে নেই। আজকে রাতে অথবা আগামীকাল সকালে ঢাকা চলে যাবো, ভালো থেকো সবসময়। ”

” বৃষ্টি বললো, আমি এটা নিতে পারবো না। ”

” কেন? ”

” কোন কারণ নেই তবে নিতে পারবো না সেটাই আসল কথা। ”

” তোমাদের অফিসের ২৮ দিনের ডিউটি করা সেই বেতনের টাকা দিয়ে বানিয়েছি। ”

” তোমার কাছে রেখে দাও তাহলে কাজে লাগবে। ”

” আমার মনে হয় না এটা আর কোনদিন আমার কাজে লাগবে কারণ দেবার মতো আর কেউ নাই এবং ভবিষ্যতে হবে না। ”

” বিপদ আপদে বিক্রি করতে পারবে। ”

” তুমি কি সত্যি সত্যি গ্রহণ করবে না? ”

” হ্যাঁ সত্যি সত্যি আমি নিতে পারবো না। ”

” ওহ আচ্ছা, আসলে আমার বোঝা উচিত ছিল, যে মানুষটাকে তুমি গ্রহণ করতে পারো নাই আজ সেই মানুষের দেয়া সামান্য নুপুর কেন নিবে? সরি বৃষ্টি, তোমার সময় নষ্ট করে এতক্ষণ ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য সরি। ”

” আমিও সরি কারণ তোমার এত যত্নের ভালবাসার উপহার নিতে পারছি না। তবে তোমার কাছে যত্ন করে রেখে দিও কারণ হঠাৎ করে একদিন আমি চেয়ে বসবো। ”

” অপেক্ষায় থাকবো। ”

” আল্লাহ হাফেজ। ”

সজীব পিছনে ফিরে হাঁটা শুরু করে অসংখ্য মানুষ এর মাঝে হারিয়ে গেল। বৃষ্টি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আস্তে আস্তে ওভার ব্রিজ পার হয়ে একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলো। রিক্সা নিয়ে আসার কারণ আছে দুটি, প্রথমত শাড়ি পরে হাঁটতে খুবই অস্বস্তি বোধ করছে আর দ্বিতীয়ত রাস্তা দিয়ে কে কেমন করে তাকাবে সেটা লজ্জার কারণ আছে।

রুমের মধ্যে মিষ্টি কান্নাকাটি করছে, তার দাবি তাকে নতুন কাপড় কিনে দিতে হবে। বৃষ্টির মা বারবার মেয়ের দিকে রাগান্বিত হয়ে তাকিয়ে আছেন কিন্তু সে সেই রাগের পরোয়া করে না। একটু পর পর সুর করে কান্না করতে লাগলো, বিরক্ত হয়ে বৃষ্টির মা পাশের রুমে গিয়ে বসে রইলো।

বৃষ্টির বাবা বিছানায় শুয়ে শুয়ে আফসোস করে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে চুপ করে আছেন। তার ভাবনা হচ্ছে তিনি আজকে যদি অসুস্থ না হতেন তাহলে এতটা অভাবে হয়তো পরতে হতো না। নিজে আয় করতে পারে না বরং উল্টো তার ঔষধের খরচ বহন করতে গিয়ে সমস্ত টাকা শেষ হয়ে যায়। বৃষ্টির বাবা ভাবলো, তার প্রতি যে টাকা খরচ হয় সেই টাকা দিয়ে তাদের সংসার খুব ভালো করে কেটে যেত।

” বৃষ্টি রুমে প্রবেশ করে দেখে মিষ্টি কান্নাকাটি করছে তাই পাশে বসে জিজ্ঞেস করলাে, কি হইছে তোর? ”

” আমার ঈদের নতুন কাপড় কোই? মা বলে এবার নাকি কাপড় কিনে দেবে না, সেই কতদিন আগে দুটো জামা বানিয়েছি। এখন ঈদের জন্য কি আমি নতুন কাপড় পাবো না? ”

” আমি কিনে দেবো তোকে চিন্তা করিস না, কান্না বন্ধ করে আস্তে আস্তে আমার শাড়ি চুড়ি গুলো খুলে দে তো! ”

” মিষ্টি তখন বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরে বললো, তুমি আমার লক্ষি আপু। ”

” ছাড় তাড়াতাড়ি গরম লাগে খুব, দম বন্ধ হয়ে গেছে আমার। ”

★★

বৃষ্টি আর মিষ্টি দুজন মিলে ইফতারের ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত হয়ে গেছে, রাতের খাবার রান্না করা এখনো শুরু করতে পারে নাই। আগামীকাল থেকে আট দিন অফিস বন্ধ তাই রাতের খাবার দেরি হয়ে গেলেও আর সমস্যা নেই।

” আপা সজীব ভাইয়ের সাথে তোমার কথা হয়? ”

” আজকে দেখা হয়েছিল। ”

” ঈদের কি উপহার দিল? ”

” একজোড়া নুপুর এনেছিল কিন্তু আমি সেটা গ্রহণ করিনি! ”

” কেন? ”

” আমার ইচ্ছে করে নাই তাই। ”

” তোমাদের বিয়ে হবে না? ”

” না ”

” কেন? সজীব ভাই তোমাকে বিয়ে করবে না? ”

” সজীব করবে কিন্তু আমি তাকে বিয়ে করতে চাই না তাই বিয়ে হবে না। ”

” তুমি কেন বিয়ে করতে চাও না? ”

” কারন তাকে আমার পছন্দ না। ”

” তাহলে তার জন্য রাতে না ঘুমিয়ে বসে বসে কান্না করো কেন? বিছানায় শুয়ে বালিশে মুখ লুকিয়ে চাপা কান্নার শব্দ আসে কেন? ”

” তুই কি না ঘুমিয়ে আমাকে পাহারা দিস? ”

” নাহহ, কিন্তু তুমি তো জানো তোমাকে জড়িয়ে না ধরে আমি ঘুমাতে পারি না। তাই রাতের আধারে যখন তুমি কান্না করো তখন আমি জেগে উঠি। ”

” আজ থেকে তুই আমার সাথে ঘুমাতে পারবি না, আলাদা আলাদা বিছানা করে ঘুমাবে। ”

” প্লিজ আপু নাহহ, সেটা করবে না তাহলে কিন্তু আমিও রাতে কান্না করবো। ”

” তুই বড় হয়ে গেছো তাই তোর সাথে ঘুমানো যাবে না, কবে হঠাৎ করে দেখবো ঘুমের মধ্যে রাজকুমার স্বপ্ন দেখে আমাকে টিপে ধরবি। ”

” যাহহ শয়তান আপু। ”

” ওরেহহ আবার লজ্জাও পায় নাকি? ”

|
|

বৃষ্টির মা রুমে আসলেন ইফতারের কিছুক্ষণ আগে, তার মুখ কালো হয়ে আছে কারণ রুম ভাড়ার জন্য বিল্ডিংয়ের ইনচার্জ অনেক কিছু বলেছে। তিনি রুমের মধ্যে এসে বৃষ্টিকে বললেনঃ-

” বৃষ্টি তোর কাছে কত টাকা আছে? ”

” কেন মা? ”

” রুম ভাড়ার জন্য ইনচার্জ অনেক কিছু বলেছে আমার কাছে, তুই মাগরিবের পরে একটু দেখা করে আয় তার সাথে। ”

” ঠিক আছে ইফতার করে যাবো আমি, তুমি চিন্তা করো না মা। এ মাসের ভাড়াও হয়তো দিতে পারবো না তাই বুঝিয়ে বলতে হবে। ”

” আমার মনে হয় তিনি সেটা মানতে রাজি হবে না তাই টাকা সাথে করে নিয়ে যাওয়া ভালো হবে। ”

” সেটা তুমি আমার উপর ছেড়ে দাও। ”

” আচ্ছা ঠিক আছে। ”

বিল্ডিংয়ের নিচতলায় সিঁড়ির পাশে ছোট্ট একটা রুম আছে সেখানে ইনচার্জ বসে থাকে। মোটামুটি সকল ভাড়াটিয়ার ভাড়ার হিসাব পত্র সবকিছু খাতা জমা আছে এখানে। ইনচার্জ ইফতার করে নামাজ পড়ে মাত্র এসে রুমে বসেছেন। তার গ্রামের বাড়ি হচ্ছে বরিশালের পটুয়াখালী জেলার মধ্যে, তবে বিগত বিশ বছর ধরে চট্টগ্রামে আছেন। বয়স মোটামুটি চল্লিশ এর কাছাকাছি, একদিন পর পর সেভ করে বলে দাড়ি পেকে গেছে। বৃষ্টি তখন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললোঃ-

” ভাইয়া আসবো? ”

” ইনচার্জ সামনে তাকিয়ে মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিল, মুখের মধ্যে অণূবিক্ষন যন্ত্র দিয়েও এক ফোঁটা হাসি খুঁজে পাওয়া যায় না। ”

” কেমন আছেন ভাইয়া? ”

” তোমাদের যন্ত্রণায় ভালো থাকার আর উপায় আছে নাকি? গত মাসে হাতে পায়ে ধরে বললে ঈদের সময় সব শোধ করে দেবে। কিন্তু এখন যদি ঈদের বোনাস বেতন পেয়েও টাকা না দাও তাহলে ভালো কীভাবে থাকবো? ”

” আমি খুবই লজ্জিত, আসলে গতমাসে বাবা বেশি অসুস্থ হয়ে গেল তখন অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আর এ মাসে ঔষধ কিনতে গিয়ে টাকা গেল, তবে ভেবেছিলাম আপনাকে এক মাসের ভাড়া দেবো। আর বাকি টাকা দিয়ে ঈদের পরে বেতন পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাজার করবো। কিন্তু আজকে বাসায় এসে দেখি ছোট বোনটা কান্না করছে, জিজ্ঞেস করে জানলাম তার নাকি নতুন জামা দরকার। আসলে ছোট মানুষ তো তাই ঈদের সময় নতুন কাপড়ের বায়না ধরেছে। ”

” আহারে এমন করে বলছো যেন তোমাদেরই শুধু ঈদ আছে আর আমাদের কারো নেই? তোমরা টাকা না দিলে আমাদের ঈদের আনন্দ কোই যাবে? ”

” সামনের মাসে সত্যি সত্যি দিয়ে দেবো ভাই। ”

” তোমার সেই নাগর কোথায়? তাকে বলো যে বাড়ি ভাড়া দিতে হবে। ”

” কার কথা বলছেন? ”

” এখন এমন ভাব করো মনে হয় যেন কিছুই জানেনা আরে একটা ছেলে যে মাঝে মাঝে প্রায়ই আসে সেটা কি আমি জানিনা? ”

” তার সাথে আমার এমন কোন সম্পর্ক নেই যে তার থেকে টাকা চাইবো। ”

” এত সাধু সন্ন্যাসী দাবি করো কেন? মনে করো আমি কিছু বুঝি না? চেহারা সুন্দর আছে মাঝে মাঝে ঘুরতে গিয়ে কিছু হতেই পারে সমস্যা কি? ”

” ভাই এটা আমার পারসোনাল বিষয় মনে হয়। ”

” সবসময় স্মার্ট ছেলেরসাথে না গিয়ে আমার সাথেও দু একটা শুক্রবারে ঘুরতে যেতে পারো তাহলে তো আর রাগ আসে না। ঘুরতে গিয়ে তোমারও মনটা ভালো লাগবে আর আমিও খুশি হলাম। ”

মাফ করবেন প্লিজ, আর আপনার টাকা আমি এখনই নিয়ে আসবো। এ কথা বলে বৃষ্টি রুম থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল। নিজের বেতন এর টাকা থেকে নয় হাজার আটশো টাকা বের করে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিল।

ছাঁদে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু টলটল করে গাল বেয়ে পরতে লাগলো। এত নোংরা কথা হজম করার মতো ক্ষমতা তার নেই বলে সে একা একা কান্না করতে লাগলো। গরীব হয়ে পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া কতটা অপরাধ সেটা আজকে ভালো করে বুঝতে পারছে। মিষ্টির কথা মনে পরে গেল, বেচারি নতুন পোশাকের জন্য আশা করে বসে আছে কিন্তু টাকা সব শেষ। এখন কি দিয়ে কাপড় কিনবে আর কি দিয়ে সামনে বাজর করবে সেটাই বুঝতে পারছে না।

হঠাৎ করে সজীব এর কথা মনে পরে গেল। বিপদের এই মুহূর্তে সজীব এর মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠেছে ভাবতেই তার চোখ দিয়ে আবারও পানি বেরিয়ে গেল। মরিয়ম এর কাছে টাকা ধার চাওয়া ঠিক হবে না কারণ ঈদের সময় বাড়িতে টাকা বেশি করে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন বাদবাকি যা আছে সেই টাকা দিয়ে নিজে কিছু কেনাকাটা করবে।

রুমের মধ্যে গিয়ে মোবাইল এনে সজীব এর নাম্বারে কল দিল, সজীব কল কেটে দিয়ে কলব্যাক করলো।

” বৃষ্টি বললো, কি করো? ”

” রুমের মধ্যে বসে আছি, তুমি কি করো? ”

” ছাঁদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছি। ”

” মন খারাপ কেন? মনে হচ্ছে কান্না করো! ”

” একটা বিপদে পরে তোমার কাছে কল দিয়েছি, তোমার থেকে দুরে সরে যাবো সেটা ঠিক কিন্তু বিপদ আপদে তোমাকে স্মরণ করবো সেটা সত্য। ”

” কি হইছে? বলো আমাকে। ”

” আমার জন্য যে নুপুর জোড়া বানিয়েছ সেটা কি আমাকে কাল সকালে দিতে পারবে? ”

” তোমার জন্যই তো বানিয়েছি তাহলে তোমাকে দিতে পারবো না কেন? ”

” আমি কিন্তু ওটা এখন ব্যবহার করতে পারবো না। ”

” যখন ইচ্ছে তখন ব্যবহার করো সমস্যা নেই কিন্তু তুমি শুধু গ্রহণ করলেই আমি অনেক খুশি। ”

” আমি নুপুর জোড়া বিক্রি করবো। ”

” মানে? ”

” ঠিকই বলছি, তুমি তো ওটা আমার জন্য কিনেছো তাই ওটা সম্পুর্ণ আমার। এখন আমার একটা কাজে নুপুর জোড়া বিক্রি করতে হবে, তাতে কি তোমার আপত্তি আছে? যদি থাকে তাহলে বলে দাও। ”

” আমার কোন আপত্তি নেই কিন্তু তোমার কি টাকার খুবই দরকার? ”

” হ্যাঁ দরকার, তবে ওটা যেহেতু আমার জন্য তৈরি করা হয়েছে তাই ওটা গ্রহণ করা যায়। কিন্তু তাছাড়া আর কিছু নিতে পারবো না। ”

” ঠিক আছে তোমার যা ভালো লাগে তাই করতে পারো, আমি আগামীকাল সকালে নুপুর জোড়া দিয়ে দেবো তোমাকে। কিন্তু তার আগে আমার একটা কথা আছে। ”

” কি কথা? ”

#চলবে….

#লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here