#_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি ।
#_পর্ব = ৪২
” আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছো মা? ”
” আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি তুই কেমন আছো বাবা? ”
” আমিও ভালো আছি, কি করো? আব্বু কেমন আছে? ”
” তোর বাবাও ভালো আছে, কি করো বাবা? ”
” নামাজ পড়তে যাই, খালাম্মার বাসায় গেছিলাম, সেখান থেকে নাস্তা করে এখন মসজিদের দিকে রওনা দিলাম। ”
” বাড়িতে আসলে কত ভালো হতো তাই না? তোর জন্য তোর খালাও বাড়িতে এলো না। তুই কোথায় কোথায় থাকবি তাই তোর চিন্তা করে তোর খালাও বাড়িতে এলো না। ”
” যাওয়া উচিত ছিল তার, আমার জন্য যদি সামান্য চিন্তা টুকুন থাকতো তাহলে বৃষ্টির বিষয় নিয়ে এতটা ঘোলাটে না করলেও পারতো। ”
” তুই তোর খালার সাথে অনেক রেগে আছো তাই না সজীব? ”
” রাগ করে তো সমস্যার সমাধান হবে না, ভাগ্য মেনে নিয়ে সামনে চলতে হবে এটাই বিশ্বাস করি। ”
” রাগ করিসনে বাবা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখো সবকিছু আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। ”
” দোয়া করো মা। ”
” তোর জন্য সবসময় দোয়া করি। ”
” রাখলাম তাহলে? মসজিদের কাছে এসে গেছি। ”
” আচ্ছা ঠিক আছে। ”
★★
আমার এই গল্পটা (Nill Abir) নামে এক ব্যক্তি কপি করে নিজের নামে পোস্ট করে। তিনি আমার এই গল্পের নামটাও পরিবর্তন করে দিয়েছেন। আমি গল্পের নাম দিয়েছি “ল্যাম্পপোস্টের ঘোলাটে বাতি” আর তিনি দিয়েছেন “নীল শাড়ি পরা মেয়েটি”। চিন্তা করুন কতটা খারাপ হলে মানুষ এমনটা করতে পারে? আমি এই কথাগুলো পর্বের মাঝে লেখার কারণ হচ্ছে, তিনি যদি না পড়েই শুধু কপি করে পোস্ট করেন তাহলে তার পাঠক পাঠিকারা এই লেখাটা পড়ে সত্যিটা জানতে পারবে। আর যদি সে গল্পটা পরে থাকে তাহলে তার উদ্দেশ্যে বলছিঃ- ভাই তুমি আমার কষ্ট করে লেখা গল্প নিজের নামে পোস্ট করো। যখন বিয়ে করবা তখন তোমার কষ্ট করে নিজের বাচ্চা জন্ম দেবার দরকার নেই। আমাক বলিও আমি তোমাকে তখন সাহায্য করবো।
★★
নামাজ পড়ে হাঁটতে হাঁটতে বৃষ্টিদের বাসায় রওনা দিল সজীব, চারিদিকে একটা আনন্দের ঝিলিক বয়ে যাচ্ছে আহহ চমৎকার। ছোট ছোট বাচ্চাদের দল নতুন জামা কাপড় পরে হাতে মেহেদি দিয়ে রঙিন করে কাঁচের চুড়ি পরেছে। আজকের দিনে তাদের আনন্দ অনেক বেশি, ছোটবেলায় এই বয়সে সজীব ও অনেক আনন্দ করতাে। আজ অনেক দিন পরে সেই ছোটবেলার স্মৃতি তার মনে পরে গেল, ঈদ ঠিকই এসেছে কিন্তু বড় হয়ে গেছে বলে আনন্দ আগের মতো নেই।
রাস্তা দিয়ে হাঁটছে, পকেটে মোবাইল ভন ভন করে কেঁপে উঠল। নামাজের সময় মোবাইল ভাইব্রেশন করে রেখেছে তারপর আর খোলা হয়নি। মোবাইল বের করে দেখে মিতুর নাম্বার থেকে কল এসেছে। এই মুহূর্তে মিতুর সাথে সজীব এর কথা বলতে ইচ্ছে করে না কিন্তু যেহেতু ঈদের দিন তাই কল রিসিভ না করে কারো মন খারাপ করে দেয়া ঠিক না। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সজীব রিসিভ করলো।
” হ্যালো মিতু? কেমন আছো? ঈদ মোবারক। ”
” ঈদ মোবারক, আমি ভালো আছি তুমি কেমন আছো? ”
” আলহামদুলিল্লাহ ভালো, কি করো? ”
” হাতে মেহেদি দিয়ে বসে আছি, তুমি? ”
” রাস্তা দিয়ে হাঁটছি, বৃষ্টিদের বাসায় যাচ্ছি। ”
” ওহহ আচ্ছা, আমি নিজের হাতে নাস্তা তৈরি করে রেখেছি, আসবে না? ”
” আগে বৃষ্টির কাছে যাই তারপর বৃষ্টিকে নিয়ে চেষ্টা করবো তোমার বাসায় যেতে। ”
” আগের সবকিছু ঝামেলা শেষ হয়ে গেছে? ”
” হ্যাঁ ”
” আমি গোসল করে শাড়ি পরবো। লাল, বেগুনি ও মিষ্টি কালারের শাড়ি আছে আমার, তোমার কোনটা পছন্দ? তুমি যেটা বলবে সেটাই পরবো। ”
” শাড়ির মধ্যে নীল শাড়ি আমার ভিষণ পছন্দ, কিন্তু তোমার কাছে তো নীল শাড়ি নেই। কপাল। ”
” যদি থাকতো তাহলে কি নীল শাড়ি পরতে বলতে?”
” হ্যাঁ অবশ্যই! ”
” বৃষ্টিকে নিয়ে আসবে তো? ”
” বললাম তো চেষ্টা করবো আমি। ”
” আমি কিন্তু অপেক্ষা করবো। ”
” আচ্ছা ঠিক আছে। ”
” সাবধানে যেও। ”
মিতুর সাথে কথা শেষ করে সজীব বৃষ্টির নাম্বারে কল দিয়ে বললো সে যাচ্ছে। বৃষ্টি বললো ঠিক আছে আমি তাহলে মেহেদী পরা শুরু করি হিহিহি।
গলির মধ্যে এসে মামুনের সাথে দেখা হয়ে গেল, সে মনে হয় গলি ছাড়া কোথাও যায় না। নাহলে সকাল সন্ধ্যা রাত যখনই সজীব আসে তখনই তার সাথে গলির মধ্যে দেখা হয়ে যায়। সজীব আবারও বিরক্ত হয়ে গেল, যদিও বিরক্ত হবার মতো কোন কথা মামুন বলে না কিন্তু তবুও বিরক্ত লাগে। সজীব মামুনের পাশে যেতেই মামুন হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললোঃ-
” আসসালামু আলাইকুম সজীব সাহেব। ”
” ওয়া আলাইকুম আসসালাম, কেমন আছেন মামুন ভাই? ”
” ঈদের দিন, নিশ্চয়ই অনেক ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? ”
” জ্বি আলহামদুলিল্লাহ ভালো। ”
” তা তো থাকবেনই কারণ একসাথে দুটো মেয়ের সাথে প্রেম করে বেড়াচ্ছেন তাই ভালো তো থাকতেই হবে তাই না? ”
” ঠিক বুঝতে পারলাম না। ”
” আপনার দ্বিতীয় প্রেমিকা মিতু কেমন আছে? ”
” সে ভালো আছে তবে সে আমার প্রেমিকা নয়। ”
” হাহাহা তাই নাকি? তাহলে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক কিসের জন্য জানতে পারি? ”
” কতটুকু অন্তরঙ্গ দেখেছেন আপনি? ”
” যতটুকু অন্তরঙ্গ দেখলে যথেষ্ট ততটুকু! ”
” আপনার দেখার মাঝে ভুল আছে। ”
” যেহেতু আমি মানুষ তাই ভুল হতেই পারে কিন্তু যে বিষয় কথা হচ্ছে সেটা তো ভুল না। ”
” অবশ্যই ভুল, আপনি চাইলে মিতুর সাথে বা বৃষ্টির কাছে জিজ্ঞেস করে নিবেন। ”
” কারো কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে না আমি নিজে যতটুকু দেখতে পাচ্ছি সেটাই অনেক। আশা করি অন্য শহর থেকে আমাদের শহরে এসে এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাকে শহর ছাড়তে হয়। কারণ আপনারা হচ্ছেন আমাদের শহরের মেহমান তাই আমরা চাই আপনারা আদর যত্নে থাকুন। ”
” জ্বি ধন্যবাদ চেষ্টা করবো। ”
” যান তাহলে। ”
|
|
সজীব বাসায় এসে দেখে সত্যি সত্যি বৃষ্টি হাতে মেহেদি লাগাচ্ছে। বৃষ্টির বাবা রুমের মধ্যে নেই তিনি আজকে সকাল সকাল গোসল করে গত বছরের পাঞ্জাবি পরে বৃষ্টি আর তার মায়ের সাহায্যে ছাঁদে গিয়ে চেয়ারে বসেছেন। বৃষ্টির মা স্বামীর পাশে ছোট একটা টুলের উপর বসে আছে। দুজনেই ছাঁদের প্রায় কিনারে বসে আছে তাই এদিক সেদিক তাকিয়ে বিভিন্ন কথা হচ্ছে। মিষ্টি গতকাল রাতেই মেহেদী পরেছে, সকাল বেলা গোসল করে নতুন কাপড় পরে নিচে গিয়ে রাস্তা থেকে তিন চারবার ঘুরে আসা হয়ে গেছে তার।
সজীব প্রথমে ছাঁদে গিয়ে স্যারের সাথে কথা বলে নিল, বৃষ্টির মা ও মুখে হাসি হাসি ভাব রেখে কথা বলেছেন। আজকের দিনটা চমৎকার ভাবে শুরু হয়েছে মনে হয় সারাটাদিন এভাবেই পার হবে। স্যার এর সাথে কথা বলে সজীব রুমের মধ্যে আসলো। বৃষ্টি খাটের উপর বসে খুব ভক্তি শ্রদ্ধা করে মেহেদী লাগাচ্ছে, সজীবকে দেখে মুখের সবগুলো দাঁত বের করে বললোঃ-
” সত্যি সত্যি মেহেদী লাগাচ্ছি। ”
” সজীব বললো, আমিও খুশি হয়েছি। ”
” খালার বাসায় গেছিলে? ”
” হ্যাঁ ”
” আমার মেহেদী পরা শেষ, ওই যে নুপুর জোড়া রাখা আছে, বের করে আমাকে পরিয়ে দাও আমি তাড়াতাড়ি গোসল করে আসি। ”
” এখনো গোসল করো নি? তাহলে আমরা ঘুরতে যাবো কখন? ”
” আহারে বাবুটা, মনে হয় যেন তার দেরি আর সয়না একদম। কুল বাবু কুল, একটু দাঁতে দাঁত চেপে বসো আমি ১০ মিনিটের মধ্যে গোসল করে আসি। অবশ্য কাল রাতেই গোসল করা উচিত ছিল কিন্তু তখন করতে লজ্জা করছিল তাই করিনি। ”
” মানে কি? ”
” সত্যি বলছি গো, কাল রাতে তোমাকে তিনটার দিকে কল দিতে চেয়েছিলাম। ”
” কেন? ”
” আমাদের রুমের তিনটা রুমের পরের রুমে একটা ভাবি থাকে, তার সেলাই মেশিন আছে। মিষ্টি থ্রি পিছ সেখানে বানিয়ে এনেছি তখন ভাবির সাথে কত কি যে লজ্জার কথা গো। ভাবি এমন এমন করে বললো যে শুনে আমার শরীরে ১০০° বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে।”
” তারপর? ”
” তারপর আর কি? ভাবির তো স্বামী আছে তাই সে আমি চলে আসার পরে তার স্বামীকে দিয়ে শরীরে তাপমাত্রা শিথিল করেছে। কিন্তু আমার তো আর স্বামী নেই তাই কোলবালিশ খামচে ধরেছি। ”
” আহারে। ”
” একদম ভেঙ্গাবে না বলে দিলাম, যদি পারো কিছু একটা করার চেষ্টা করো। ”
” আচ্ছা ঠিক আছে। ”
” তুমি বসে টিভি দেখো আমি গোসল করে এসে তোমার সাহায্য নিয়ে শাড়ি পরবো। নীল শাড়িটার কুঁচি ঠিক করে ধরতে হবে, আমার মেলা দিনের সখ স্বামীর হাতে শাড়ির কুঁচি ধরাবো। ”
” আচ্ছা। ”
” তারপর একসাথে নাস্তা খাবো। ”
” হুম। ”
বৃষ্টি দশ মিনিটের মধ্যে গোসল করে বের হতে পারে নাই বরং আরো পনেরো মিনিট বেশি লেগেছে। রুমে প্রবেশ করে বৃষ্টি বললো,
” দুই মিনিট আগে বেরিয়ে পরলাম তোমার কষ্ট হবে তাই। ”
” সজীব বললো, আর তিন মিনিট হলে আধা ঘণ্টা পুরন হয়ে যেতো। ”
” হিহিহি সময় হিসাব করে রেখেছো। ”
” হুম ”
” বৃষ্টি পিছনে গিয়ে দরজা বন্ধ করতে করতে বললো, এখন তাড়াতাড়ি শাড়ি পরতে হবে। ”
” সজীব বললো, দরজা বন্ধ করলে কেন? ”
” বারেহহ শাড়ি পরবো না? ”
” তাই বলে দরজা বন্ধ করতে হবে? আন্টি বা অন্য কেউ যদি এখন আসে তাহলে কি ভাববে? ”
” কিছু ভাববে না, চুপ করো। ”
” আমার সমস্যা নেই, উল্টাপাল্টা কিছু ভাবলে ধরে বিয়ে দিয়ে দিতে বলবো। ”
” উল্টাপাল্টা ভাববে কেন? ”
” তুমি তো এখন প্রায় সবকিছু খুলেই শাড়ি পরতে শুরু করবে, ঠিক সেই মুহূর্তে যদি কেউ আসে তখন তারা কি ভাববে? ”
” কি ভাববে? ”
” আমার মাথা! ”
” তোমার মাথা কেন? ”
” উঁহু ”
” ব্যথা পেয়েছো? ”
” ব্যথা কেন পাবো? ”
” তাহলে উঁহু বললে কেন? ”
” তুমি শাড়ি পরা শুরু করো আর কোন যায়গা ধরতে হবে বলো আমাকে। ”
” গুড বয়। ”
বৃষ্টি শাড়ির কুঁচি ভাজ করে করে সজীব এর হাতে দিচ্ছে আর সজীব ধরে বসে আছে। বৃষ্টি বলছে, খুব সাবধানে ধরবে যদি ছুটে যায় তাহলে কিন্তু ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেবো। মনে করো এটা তোমার একটা পরীক্ষা, বিয়ের পরে আমাকে শাড়ি পরতে সাহায্য করতে পারবে কিনা সেটা বোঝা যাবে।
সজীব এই মুহূর্তে একটা আকস্মিক ঘটনা ঘটিয়ে ফেললো। শাড়ির কুঁচি ছেড়ে দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। বৃষ্টি কি যেন বলার জন্য মুখ হা করেছে অমনি সজীব তার দুই কানের নিচে গলার কাছে হাত দিয়ে ধরে নিজের দিকে টেনে এনে বৃষ্টির ঠোঁটের ভেতর নিজের ঠোঁট ঢুকিয়ে দিল। ভাগ্যিস বৃষ্টি এখানে লিপস্টিক লাগায় নাই নাহলে লিপস্টিক মাখামাখি হয়ে যেতে। বৃষ্টি তার দুহাত দিয়ে সজীব এর পিছন থেকে হাত ঢুকিয়ে উপরে বাহুর কাছে খামচে ধরলো। দুজনেই দুজনের ঠোঁট চুষে নিচ্ছে, ঈদের দিন সবাই মিষ্টি জাতীয় নাস্তা করে আর তারা দুজন ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে…!
মিনিট খানিক পার হয়ে গেল তবুও ছাড়ার নাম নেই, বৃষ্টির নিশ্বাস ভারি হয়ে গেল। সজীব বৃষ্টিকে ছেড়ে দিয়ে নাকের সাথে নাক লাগিয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো।
” তারপর বললো, আরেকবার? ”
” বৃষ্টি বললো, আরেকবার এমন করলে কিন্তু আমি ভুলে যাবো আমাদের এখনো বিয়ে হয়নি। ”
” ধুর কি বলো? ”
” ঠিকই বলছি, যে আগুন এখন নেভাতে পারবে না সেই আগুন কেন জ্বালাচ্ছো? ”
” আমি আগুন জ্বালানোর জন্য কিছু করিনি শুধু জ্বালানোর জন্য প্রস্তুত করে রাখছি। ”
” শয়তান একটা। ”
★★★
শাড়ি পরে বৃষ্টি সজীব এর সামনে নাস্তা বের করে সাজিয়ে দিল, বাকি সাজগোছ পরে করবে কারণ বেচারা সজীব এর ক্ষুধা লেগেছে মনে হয়। মিষ্টি এসে রুমের মধ্যে ঢুকলো, সে এর আগে একবার এসেছিল কিন্তু রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ তাই ডাকাডাকি না করে নিঃশব্দে ছাঁদে গিয়ে দাড়িয়ে রইল।
” মিষ্টির মা বললো, তোর আপা কি করে? ”
” মিষ্টি তখন সত্যটা না বলে বললো, সজীব ভাইকে নাস্তা দিয়ে নিজেও নাস্তা খাচ্ছে। ”
” বৃষ্টির মা চুপ করে রইলেন। ”
মিষ্টি রুমের মধ্যে এসে সেও সজীব এর সাথে নুডলস খাওয়া শুরু করলো। বৃষ্টি তাড়াতাড়ি করে তৈরি হয়ে নিজে কুছুটা নাস্তা করে নিল। তারপর একটা টিফিন বক্স বাটিতে করে সবগুলো নাস্তা একটু একটু করে সাজিয়ে নিল। বেলা পৌনে এগারোটার দিকে তারা বাসা থেকে বেরিয়ে গেল।
কালো জিন্স প্যান্ট আর কফি কালারের পাঞ্জাবি পরিহিত সজীব। নীল শাড়ি, নীল চুড়ি, লাল ব্লাউজ, আঙুলে আংটি, কানের দুল ইত্যাদি পরে সজীব পাশাপাশি বৃষ্টি। আহা যেন কত সুন্দর ঝুটি। তারা দুজন একসাথে ছাঁদে গিয়ে বৃষ্টির মা-বাবার সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে পরলাে।
” রাস্তায় নেমে সজীব জিজ্ঞেস করলাে, টিফিন বক্সে নাস্তা কার জন্য? ”
” বৃষ্টি বললো, খালার জন্য। ”
” মানে? ”
” মানে হচ্ছে এখন আমরা দুজন খালার বাসায় যাবো তারপর খালার সকল রাগ অভিমান ভেঙ্গে আমরা ঘুরতে বের হবো। ”
” খালা যদি অপমান করে? ”
” করলে করবে, আমি কিছু মনে করবো না তোমার চিন্তা করতে হবে না। খালা যদি আমার গায়ে হাত তোলে তবুও আমি কিছু বলবো না। আসলে সেদিন মা-বাবার সামনে বসে এতকিছু বলে ফেলেছি কারণ আমার জন্য তাদের অপমান সহ্য হচ্ছিল না। কিন্তু আজকে তো আমি একাকী থাকবো তাই ক্ষমা না করা পর্যন্ত তার পা ছাড়বো। ”
” আমিও তোমার সাথে আছি। ”
” জ্বি না, তোমাকে বাহিরে রেখে দরজা বন্ধ করে রাখবো হিহিহি। ”
★★
সজীব আর বৃষ্টি রিক্সা নিয়ে সরাসরি খালার বাসার সামনে গিয়ে নামলো। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে দুজন দরজার সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো।
” সজীব বললো, বৃষ্টি যদি কি বলে? ”
” কিছু হবে না তুমি দরজা টোকা দাও। ”
” সত্যি তো? ”
” হুম সত্যি। ”
সজীব দরজা টোকা দিল, পরক্ষণেই সজীব এর খালা দরজা খুলে বৃষ্টি আর সজীবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকিয়ে রইলো। সজীব তার খালার দিকে না তাকিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
|
এখন সজীব আর বৃষ্টির সাথে কি হবে সেটা আমি লেখক নিজেও জানিনা। সত্যি সত্যি কি তারা সারাদিন ঘুরতে পারবে? নাকি অপমানিত হয়ে কান্না করতে করতে বৃষ্টিকে বাসায় যেতে হবে? জানতে হলে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
#চলবে…. (পরবর্তী পর্ব আগামীকাল)
লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)