_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি । #_পর্ব = ২০

0
248

#_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি ।
#_পর্ব = ২০

বৃষ্টি পিছনে ফিরে হাঁটা শুরু করলো আর সজীব তার দিকে পিছন থেকে তাকিয়ে আছে । মনে আশা আছে বৃষ্টি একবার পিছনে ফিরে সজীব এর দিয়ে তাকিয়ে দেখবে । বৃষ্টি ফুট ওভার ব্রিজের ওপর দিয়ে রাস্তা পার হয়ে গেল সজীব এখনো দাঁড়িয়ে আছে । হঠাৎ করে সজীব এর মোবাইল বেজে উঠলো , বের করে দেখে বৃষ্টি কল করেছে ।

” হ্যাঁ বৃষ্টি বলো । ”

” এখোনো দাঁড়িয়ে আছো কেন ? ”

” জানি না আমি । ”

” তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে যা যা বলছি তাই তাই করো । মাথা সবসময় নিচের দিকে তাকিয়ে রাখবে , এমন করে চারিদিকে চোখ মেলে তাকিয়ে কি দেখো ? আমার ভিতর যা যা আছে আরো দশটা মেয়ের মধ্যে তাই তাই আছে । ”

” আমি তো তোমার দিকে তাকিয়ে ছিলাম এতক্ষণ।”

” গুড , ভেরি গুড । এখন লক্ষি ছেলের মতো আস্তে আস্তে বাসায় চলে যাও তাহলে । ”

” ঠিক আছে ভালো থেকো তুমি । ”

রকির কাছে ফোন করে সজীব বললো , সে এখন খালার বাসায় যাবে তাই সন্ধ্যা বেলা রকির ছুটি হলে তারপর একসাথে রকির রুমে যাবে । সজীব এর খালা সজীব এর জন্য রান্না করে রেখেছে কারণ এতটা পথ ভ্রমণ করে আসবে সজীব । তাই তিনি রান্না করে রেখে অফিসে গেছেন আর রুমের চাবি বিল্ডিংয়ের নিচের মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের দোকানদারের কাছে রেখে গেল । দোকানদার সজীব কে ভালো করে চিনে কারণ সজীব যখন চট্টগ্রামে আসে তখন সারাদিন প্রায় তার সাথেই দোকানে বসে থাকে । দোকানদারের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার ঝালকাঠি উপজেলায় । সজীব বন্দরটিলা গিয়ে সেই দোকান থেকে চাবি নিয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে খালার রুমে চলে গেল ।

★★
★★

মিতুকে দেখে মিতু যেই বাসায় থাকে তারা অবাক হয়ে গেছে কারণ মিতুর কমপক্ষে এক সপ্তাহ থাকার কথা ছিল । কিন্তু তিনদিনের মধ্যে আবার চট্টগ্রামে চলে এসেছে তাই তাদের একটু অবাক হবারই কথা ।
বাসায় এসে মিতুও ফ্রেশ হয়ে সামান্য কিছু খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পরলো । একবার ভাবলো সজীব এর কাছে কল দিয়ে একটু কথা বলবে কিন্তু তারপর আবার কি ভেবে যেন কল দিল না । সুতরাং সজীব এর সাথে কথা বলা আর হলো না তাই কিছু একটা বিষয় ভাবতে ভাবতে মিতু ঘুমিয়ে গেল ।

বৃষ্টি অফিসে এসে কার্ড পাঞ্চ করে দেখে এখনো সাত মিনিট বাকি আছে । মরিয়ম এর কাছে গিয়ে বললো, ” সজীব চট্টগ্রামে এসেছে আজকে একটু আগে । ”

” মরিয়ম অবাক হয়ে বললো , বলিস কি ? এরমধ্যে চলে এসেছে ? বাহহ ভালোই তো । ”

” হুম আমি চৌধুরী মার্কেটের সামনে দেখা করে আসলাম মাত্র , জার্নি করে একদম ভুতের মতো হয়ে গেছে নাহলে তাকে কল দিতাম । ”

” ছুটির সময় থাকতে বলিস তাহলে তো হবে ! ”

” আচ্ছা ঠিক আছে লান্স টাইমে কল দিয়ে ছুটির সময় থাকতে বলবো । ”

” আচ্ছা ঠিক আছে । ”

বৃষ্টি নিজের যায়গা এসে মোবাইল বের করে আবার সজীব কে কল দিল । প্রথম দুবার রিসিভ করলো না দেখে বৃষ্টির রাগ উঠে গেল কিন্তু তৃতীয়বার কল করার আগেই সজীব কল দিল ।

” বৃষ্টি বললো , কোই তুমি ? ”

” বাসায় । ”

” দুবার কল দিলাম । ”

” ওয়াশরুমে ছিলাম তাই ধরতে পারিনি , চোখের মধ্যে জ্বালা পোড়া করে তাই গোসল করবো । ”

” আচ্ছা ঠিক আছে , খেয়েছ ?

” নাহহ গোসল করে তারপর খাব ! ”

” সন্ধ্যা বেলা আমার সাথে দেখা করিও ! ”

” তুমি না বললেও সেটা করবো । ”

” আমি যদি না করতাম ? ”

” দুরে থেকে দেখে চলে আসবো , তবে বিরক্ত করবো না কখনো । ”

” আমার সময় শেষ , রাখলাম তাহলে বায় । ”

” আচ্ছা বায় । ”

★★

সারাদিন সজীব এর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কেটে গেল তাই দুপুরে বৃষ্টির সাথে কথা হয়েছে সামান্য দুই মিনিট । আসরের আজান শুনে ঘুম থেকে উঠে অনেকক্ষণ ধরে গোসল কররো সজীব । এরপর প্যান্ট শার্ট পরে বাসা থেকে বেরিয়ে গেল , ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সাড়ে পাঁচটা বাজে । রাস্তায় নেমে কিছুক্ষণ উদ্দ্যেশ্য হীন ভাবে হাটলো তারপর হাঁটতে হাঁটতে ইপিজেড মোড়ে গিয়ে বে-শপিং সেন্টার এর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো । যাদের পাঁচটা বা সাড়ে পাঁচটা বাজে ছুটি হয়েছে তারা সবাই দল বেঁধে বাসায় যাচ্ছে দ্রুত বরং অতিদ্রুত । বে-শপিং সেন্টার এর সামনে ছোট্ট একটু ফাঁকা যায়গা আছে সেখানে এক ঔষধ বিক্রেতা মাইক দিয়ে বিভিন্ন লেকচার দিয়ে ঔষধ বিক্রি করার চেষ্টা করছে ।

বিক্রেতার সাথে আরো দুটো ছেলে এবং একটা মেয়ে আছে , তারা মাইকে একটু পর পর গান বাজানো হয় আর সেই গানের সাথে নাচে । মেয়েটার পরিহিত পোশাক গুলো অশ্লীল মোটামুটি তাই উৎসুক জনতা ভির বেশি দেখা যাচ্ছে । বিক্রেতা একটু পর পর বলে যে মেয়েটা নাকি একটু পরে সেই নাচানাচি করবে আর সেই নাচ দেখার আশায় সবাই দাঁড়িয়ে আছে ।

মাইকে শাহরুখ খান অভিনীত ” চেন্নাই এক্সপ্রেস ” সিনেমার ” লুঙ্গী ড্যান্স ” গান চলছে আর সেই গানের সাথে তাল মিলিয়ে ছেলে দুটো নাচছে । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে লুঙ্গী ড্যান্স গানের মধ্যে লুঙ্গি না পরে প্যান্ট পরে ড্যান্স হচ্ছে ।

সাতটার পরে বৃষ্টি কল দিয়ে বললো , ইপিজেড মোড়ে থাকার জন্য । কিন্তু সজীব বললো যে সে আগে থেকে এসে ইপিজেড মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে । তাই বৃষ্টি বললো , ঠিক আছে তুমি থাকো আমি আর মরিয়ম আসতেছি ।

মিনিট পনের পরে বৃষ্টি আর মরিয়ম এসে সজীব এর সাথে দেখা করলো । হাঁটতে হাঁটতে তারা ফুট ওভার ব্রিজ পার হয়ে পূর্ব পাশে এসে সেদিনের সেই বনফুল মিষ্টির দোকানে এসে বসলো ।

” বৃষ্টি বললো , কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছো ? ”

” সজীব বললো , এই তো বাসা থেকে সাড়ে পাঁচটার দিকে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে এসেছি । চারিদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে সময় কখন পেরিয়ে গেছে বুঝতে পারিনি । ”

” মরিয়ম বললো , বাহিরে থাকলে সময় কিভাবে শেষ হয়ে যায় সত্যিই বোঝা যায় না । কিন্তু অফিসে চাকরি করতে গিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে চোখ ব্যথা করে তবুও সময় যায় না । ”

” আপনারা অফিসে বসে সময়ের মূল্যটা দিয়েছেন তাই সময় যাচ্ছে না । আপনি যদি সময়ের দিকে লক্ষ্য না করে কাজের দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন সময় ফুরিয়ে গেছে । কিন্তু কাজের দিকে লক্ষ্য না করে যদি সময়ের দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে তো হবে না । আপনি যদি আপনার কোন প্রিয় মানুষের সাথে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত কিংবা আগ্রাবাদ শিশু পার্কে চার ঘন্টা বসে থাকেন তাহলে দেখবেন মনে হবে যে মাত্র কিছুক্ষণ পার হয়েছে । কিন্তু একা একা সেই প্রিয় মানুষের জন্য একই স্থানে বসে অপেক্ষা করুন , দেখবেন প্রতিটি মুহূর্তকে যুগের সমান মনে হবে ৷ ”

” বৃষ্টি বললো , তুমি কি এখন তোমার অপেক্ষা করতে কষ্ট হয়েছে সেটা বোঝাতে চাইছো ? ”

” আরে ধুর তা কেন ? এমনি বললাম আমি । ”

” চিন্তা করবেন না ভাইয়া, আমাদের অফিসে চাকরি নিলে আপনাকে আর অপেক্ষা করতে হবে না । সেই সময় সারাক্ষণ ইচ্ছে মতো তাকিয়ে থাকবেন আর আপনাদের সময় যে কখন ফুরিয়ে যাবে দুজনের কেউ টের পাবেন না । আফসোস আজ আমার একটা সজীব নেই বলে সময়ও কাটেনা আর মিষ্টির দোকানেও নিয়ে যায় না । তাই বান্ধবীর সাথে কাবাব মে হাড্ডি হয়ে বসে আছি , জীবন টা বেদনা । ”

” তুই চুপ করবি মরিয়ম ? এত বেশি কথা বলিস কেন ? কি খাবি বল ? ” (বৃষ্টি)

” তোরা যা দিবি তাই খাবো , আর আমার দুলাভাইর সাথে আমি কেমন মজা করবো সেটা আমার ব্যাপার সুতরাং তুই মাঝখানে আসবি না । আর সজীব ভাই আপনাকে আগে থেকে একটা উপদেশ দিচ্ছি , সে মানে আপনার বউ কিন্তু প্রচুর রাগি তাই সবসময় সাবধানে পদার্পণ করবেন । ”

” তাহলে আমি চলে যাই ? ” (বৃষ্টি)

” এত সিরিয়াস হচ্ছিস কেন ? চিংড়ি মাছের মতো সবসময় ফটর ফটর করোস কেন ? ” (মরিয়ম)

” আচ্ছা বাদ দাও এসব কথা , কি খাবে বলো ? ”

” মরিয়ম বললো , আপনি কবে জয়েন করবেন সজীব ভাই ? ”

” জানিনা , দেখি যার সাথে কথা হয়েছে তিনি কি বলে তারপর সিদ্ধান্ত নেবাে । ”

” বৃষ্টি বললো , তিনি কি নিশ্চিত যে তোমার চাকরি হবে ? ”

” জানিনা তবে রকি তো বললো যে হয়ে যাবে । ”

” হলেই ভালো , আচ্ছা খাওয়া শুরু করো । ”

★★

মিষ্টির দোকান থেকে বেরিয়ে মরিয়ম ওদের কাছ থেকে আলাদা হয়ে বাসায় চলে গেল । বৃষ্টি আর সজীব আস্তে আস্তে নিউমুরিং এর গলির ভিতর হাঁটতে শুরু করলো । রাস্তায় অনেক মানুষের ভীড় সবাই বাসায় ফিরতে ব্যাস্ত তবুও তাদের মাঝে বৃষ্টি আর সজীব দুজনে আস্তে আস্তে হাঁটছে তাদের মনে হয় ইচ্ছে এ পথ যেন না ফুরায় । হঠাৎ করে একটা রিক্সা এসে বৃষ্টির সাথে প্রায় ধাক্কা লেগে যাচ্ছিল । ঠিক তখনই সজীব বৃষ্টির বাম হাতটা ধরে একটা টান দিয়ে নিজের দিকে নিয়ে আসলো আর রিক্সা তাদের পাশ কাটিয়ে হুস করে বেরিয়ে গেল । বৃষ্টি সজীব এর শরীরের সাথে মিশে গেছে দুজনেই দুজনের স্পর্শ অনুভব করতে পেরেছে কিন্তু দুজনের অনুভূতি কেউ কাউকে প্রকাশ করলো না । তাই তাদের মনের মধ্যে সেই অনুভূতি আমিও পাঠক পাঠিকার কাছে প্রকাশ করলাম না ।

” বৃষ্টি ? ”

” হুম বলো । ”

” ভালবাসি । ”

” জানি আমি । ”

” গ্রহণ করবে না ? ”

” না । ”

” কেন ? ”

” আগেও অসংখ্য বার বলেছি । ”

” আমি তো তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না । ”

” অভ্যাস করতে হবে , কারণ যেকোনো সময় মনে হয় আমার বিয়ে হয়ে যাবে । ”

” কেন শুধু শুধু ভয় দেখাচ্ছো ? এমনিতেই কষ্ট লাগে খুব । ”

” আমি যেটা সত্যি সেটা বললাম , পরিস্থিতি দেখে আমার মনে হয়েছে যে আমার বিয়ে হতে পারে । তাই তোমাকে বললাম , আচ্ছা বলো তো আমি কি তোমার সাথে কখনো ফাজলামো করেছি ? ”

” হ্যাঁ । ”

” কখন ? ”

” ঠাপ দিয়ে ডাব গাছের মাথায় তুলে দেবো , এটা বলে একদিন ফাজলামো করেছো । ”

” ওটা আমি রাগ করে বলেছিলাম , ফাজলামো করে বলিনি আমি । ”

” ওহহ আচ্ছা ।”

” মিতুর বিষয় কিছু প্রশ্ন করবো ? ”

” করো । ”

” মিতুকে তোমার কেমন মনে হয় ? তার কারো সাথে রিলেশন আছে ? তাদের বাড়ির অবস্থা কেমন ? ”

” হঠাৎ এমন প্রশ্ন ? ”

” উল্টো প্রশ্ন না করে জবাব দাও । ”

” চেহারা দেখতে অনেক সুন্দর , কারো সাথে মনে হয় রিলেশন নেই তবে নিশ্চিত না , বাড়ির অবস্থা অনেক ভালো । ”

” তোমার সাথে সামান্য পরিচয়ে তোমার কি মনে হয় যে সে তোমাকে পছন্দ করে ? ”

” মানে ? ”

” তোমাকে সে মানুষ হিসেবে পছন্দ করে নাকি চোখ নাক কপাল কুঁচকে যায় ? ”

” যদি খারাপ মনে করতো তাহলে তো আর বাড়িতে নিয়ে যেত না । আর বন্ধুর মতো ব্যবহার করেছে আমার সাথে , তাই বোঝা যাচ্ছে যে আমি তার কাছে বেশি বিরক্তিকর না । ”

” মিতুর সাথে আমাকে দেখা করিয়ে দেবে কবে ? ”

” তুমি দেখা করবে ? ”

” হ্যাঁ করবো , তোমার কোন সমস্যা ? ”

” নাহহ সমস্যা নেই কিন্তু কেন দেখা করবে ? ”

” তোমাকে সে তার জীবন সঙ্গী করতে পারবে কিনা জিজ্ঞেস করে দেখবো , অবশ্য যদি না করে তাহলে সমস্যা নেই । তোমার খালার বাসায় গিয়ে তার সাথে দেখা করে এ বিষয় আলোচনা করবো । ”

” মানে কি ? তোমাকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করবো এটা তুমি ভাবতে পারো ? ”

” আমি বললে অবশ্যই করবে , কারণ আমি জানি আমার কথা তুমি ফেলতে পারবে না । আমি অন্য কারো সাথে সংসার নামক বেড়াজালে আবদ্ধ হবার আগে তোমাকে বেঁধে দেবো । কারণ পরবর্তীতে যেন দেবদাস-এর মতো গভীর রজনীতে চন্দ্রমুখীর কাছে না যাও ! ”

” যদি ভালবাসতে না পারো তাহলে ভালবাসার কোন দরকার নেই , কোনদিন জোর করবো না আর কোন অভিযোগ দেবো না । যদি ভালো না লাগে তাহলে বলে দিও , কখনো চোখের সামনে আসবো না । কিন্তু তাই বলে অন্য কারো সাথে জীবন কাটানোর মতো অনুরোধ করার দরকার নেই । আমার মনে হয় আমি তোমাকে অনেক বিরক্তি করছি তাই হয়তো পথ থেকে সরাতে চাইছো । ঠিক আছে নিজেই সরে যাচ্ছি , জানি একদিন কারনে অকারনে বিরক্ত করা মানুষটার কথা একসময় তোমার মনে পড়বে ।
যখন তাকে মনে পড়বে হয়তো মানুষটা তোমার যোগাযোগের মধ্যে থাকবে নাহ । অামি যখন তোমাকে না পাওয়ার যন্ত্রনা গুলো তোমার কাছে প্রকাশ করতাম অবহেলা দিতে দিতে এই অামিটাকে তখন তুমি অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছো এটা ভেবে আফসোস করবে । একদিন তোমার মনে হবে, অামি তার সাথে এতটা নির্দয় না হলেও পারতাম , অামি জানি একদিন তোমার অারো মনে হবে , যে মানুষটা কথায় কথায় এত অাঘাত করেছি , এত অবহেলা করেছি , যন্ত্রনা দিয়েছি বিনা কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি ৷ এতকিছুর পরেও মানুষটা অামায় ভালবেসে গিয়েছিলো ৷ শুধু একটিবার নিজে-ই নিজের মন-কে প্রশ্ন করে দেখিও তোমার জন্য যে মানুষটা এত কিছু করেছে তুমি তাকে কি দিতে পেরেছো ? ভালোবাসা নাকী অবহেলা ৷
ভালো থেকো। ”

এ কথা বলেই সজীব পিছনে ফিরে হাঁটা শুরু করলো আর বৃষ্টি পিছনে তাকিয়ে একটা অভিমানী মানুষের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো ।

চলবে….

লেখাঃ- মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here