#_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি ।
#_পর্ব = ২৬
” রকি বললো , সজীব একটু আগে নাকি তার ছোট খালার কাছে ফোন করেছে । তার কাছে বললো যে সজীব নাকি চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকা শহর চলে যাবে ৷ তুমি বলো এটা কি মানার মতো কোন কথা ? ”
” হয়তো প্রচুর অভিমান করে এমন কথা বলেছে রকি ভাই , আপনি একটু যেভাবেই হোক ওর সাথে দেখা করানোর ব্যবস্থা করুন প্লিজ । ”
” ঠিক আছে আমি চেষ্টা করছি তুমি চিন্তা করো না সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে । ”
” ঠিক আছে ভাই আপনি ছাড়া তো আর কেউ নাই যার মাধ্যমে আমি কিছু জানতে পারাবো । তাই আমি বাধ্য হয়ে নিজের মনকে বোঝাতে না পেরে হয়তো আপনাকে বারবার বিরক্ত করবো কিছু মনে করবেন না ভাই প্লিজ । ”
” আরে ধুর তা কেন ? কিছু মনে করবো না আমি সজীব আমার বন্ধু আর তোমার হচ্ছে স্বপ্ন তাই আমি যতটা ওকে চাই তারচেয়ে বেশি তুমি তাকে চাও । ”
” আচ্ছা ভাই ভালো থাকবেন , আল্লাহ হাফেজ । ”
” আচ্ছা ঠিক আছে । ”
★★
★★
সজীব এর খালা রকির কাছে সম্পুর্ণ সত্যি কথা বলে নাই কারণ সজীব নিষেধ করেছে । সত্য কথা হচ্ছে সজীব তার খালার বাসায় আছে এখন কিন্তু তার খালার মাধ্যমে সে রকির কাছে মিথ্যে বলতে বলেছে কারণ সজীব আপাতত বৃষ্টির সাথে দেখা করতে চায় না । তাই বেশি চিন্তা যেন না করে সেজন্য বলা হয়েছে যে সজীব ভালো আছে তবে ঢাকা শহর চলে যেতে পারে ।
দুটো লোকের সেই দৌড়ানি খেয়ে সজীব কোনরকমে রাস্তায় উঠেছিল তারপর আগ্রাবাদের দিক থেকে আসা ১০ নাম্বার বাসে উঠে বন্দরটির চলে এসেছে । রাস্তায় কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করছে কিন্তু মন খারাপ ছিল আর শরীর ক্লান্ত তাই খালার বাসায় আসলো তবে রকির কাছে যাওয়া দোষের কিছু না । কিন্তু সজীব এর ধারণা ছিল যে বৃষ্টি রকির বাসায় গিয়ে সন্ধান করতে পারে তাই এই লুকোচুরি । কিন্তু রকি তার খালার নাম্বার যোগাড় করে ফেলেছে সেটা কিভাবে হলো সজীব বুঝতে পারছে না ।
” এতো রাতে সজীব কে দরজার সামনে দেখে তার খালা অবাক হয়ে বললো , কিরে বাবা তুই কোথায় গেছিলি ? তোর বন্ধু না যেন কে দুই বার কল দিয়ে তোর কথা জিজ্ঞেস করলাে । ”
” সজীব বললো , রাস্তায় রাস্তায় হাঁটতে ছিলাম তাই হয়তো ও টেনশনে আছে কারণ আমার মোবাইল বন্ধ করে রেখেছি । অফিসের মধ্যে ছোট্ট একটা ঝামেলা হয়ে আমার চাকরি চলে গেছে । মাস এখনো শেষ হয়নি তবুও আমাকে ২৮ দিনের ডিউটির টাকা দিয়ে বিদায় করে দিল । ”
” কেন কি করছিলি তুই ? মারামারি করছো ? ”
” নাহহ , বৃষ্টি আর আমাকে নিয়ে সুপারভাইজার একটা ঝামেলা করেছে তাই বের হতে হয়েছে । তবে সমস্যা নেই কারণ বৃষ্টির পরিবার খুব অসহায় তাই চাকরি ও খুব দরকার । আমাকে বের করে দিয়েছে কিন্তু আমি একবারও স্যারকে অনুরোধ করে বলিনি যে আমি চাকরি করতে চাই বা আমার ভুল হয়ে গেছে । যদি বৃষ্টির চাকরি যেতো তাহলে হয়তো অনুরোধ করতাম । ”
” আচ্ছা ঠিক আছে চিন্তা করিস না আর বৃষ্টির সাথে রাগ করে মোবাইল বন্ধ রাখিস না । সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে , তুই আবার নতুন চাকরি নিতে পারবি সমস্যা নেই আমি সাহায্য করবো । ”
” ঠিক আছে । ”
” উকিলের সঙ্গে কথা হয়েছে আর ? ”
” নাহহ তবে আগামীকাল কল দেবো । ”
” সেই ভালো হবে কারণ সবসময় কল দিয়ে খবর রাখা উচিত নাহলে ভুলে যাবেন । তুই খেতে বস আমি খাবার দিচ্ছি তবে ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার কারণ আমি খাবার শেষ করে অবশিষ্টটা ফ্রিজে রাখি । সকাল বেলা ওটা খাবো আর নতুন রান্না করবো ।”
” আচ্ছা ঠিক আছে ঠান্ডা হলেও সমস্যা নেই । ”
” ঠিক আছে বস তুই ।
|
সজীবকে ঘুমাতে হলো ফ্লোরে শক্ত বিছানায় কারণ তার খালা আর আরেকটা মেয়ে একসাথে খাটের উপর ঘুমায় । তাই সজীব কে নিচে বিছানা করে ঘুমাতে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু সজীবের ক্লান্ত শরীর তবুও সে চোখের ঘুম সহজে আনতে পারছে না । অবশ্য না আসলেও সমস্যা নেই কারন আগামীকাল সকালে সজীব ঘুমাতে পারবে যেহেতু তার অফিসে যেতে হবে না ।
সকাল বেলা খুব ভোরে বৃষ্টির ঘুম ভাঙ্গলো তাই সে উঠে রান্না করতে গেল । বেশি কিছু না শুধু ভাত রান্না করতে হবে । রান্না করতে করতে সজীব এর নাম্বারে কল দিয়ে ট্রাই করলো কিন্তু সজীব তো মোবাইল অন করে নাই । তাই গোসল করে ফ্রেশ হয়ে সকালে খাবার খেয়ে বৃষ্টি সময়মত অফিসে চলে গেল । কিন্তু অফিসে যেতে গিয়ে বারবার পায়ের জোর কমে যাচ্ছে কারণ আজকে সজীব নেই । যদিও সজীবকে ছাড়া এর আগে অফিস করেছে কিন্তু তখন তো এতটা টান অনুভব করেনি । আর তাছাড়া সজীবের চাকরি যাবার পিছনে বৃষ্টি নিজেকে সম্পুর্ণ দায়ী মনে করে । তাই সজীব এর সাথে দেখা করে তাঁর সাথে কথা না বলে নিজেকে হালকা করা যাবে না ।
অফিসে গিয়ে বৃষ্টি কাজের আগেই এপিএম স্যারকে গিয়ে বললো , স্যার আমি এই লাইনে ডিউটি করতে পারবো না তাই আমাকে অন্য লাইনে দেন ।
” স্যার বললো , সমস্যা নেই তোমাকে কেউ কিছু বলবে না তাই তুমি নিশ্চিত হয়ে কাজ করো । যদি কেউ কিছু বলে তাহলে তুমি আমাকে বলবে আমি তার ব্যবস্থা করবো । ”
” স্যার তবুও অন্য লাইনে দিতে পারলে আমার জন্য ভালো হতো । ”
” দেখ বৃষ্টি , সব লাইনে কাজ চলে তাই এখন হুট করে একটা লাইনে দিয়ে লাভ কি ? আর তাছাড়া তুমি যে প্রসেসে কাজ করো সেটা তো এখন তোমার কাছে সহজ হয়ে গেছে । তাই সেখানে তোমার স্থানে আরেকজন বসালে সে প্রথম প্রথম তোমার মতো কাজ করতে পারবে না ৷ তুমি আপাতত কাজ করো পরে আমি নতুন লেআউট করার সবাই তোমাকে পরিবর্তন করে দেবো । ”
” ঠিক আছে স্যার অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ! ”
” যাও মনোযোগ দিয়ে কাজ করো । ”
বৃষ্টি এসে নিজের চেয়ারে বসে মেশিন ঝেরে ময়লা পরিষ্কার করছে ঠিক তখনই রকি আসলো । রকি বৃষ্টির কাছে এসে বললো ” কেমন আছো তুমি ? ”
” বৃষ্টি বললো , জ্বি ভাই আছি আগের মতো আপনি কেমন আছেন ? ”
” সারারাত টেনশনে ঘুমাতে পারিনি তাই এখনো চোখের মধ্যে জ্বালাপোড়া অনুভূতি হচ্ছে । সজীব এর নাম্বার এখনো বন্ধ তাই কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না । ”
” আমিও সকাল থেকে আবারও চেষ্টা করছি কিন্তু মোবাইল এখনো অন করেনি । ”
” আমি একটা বিষয় ভাবছি । ”
” কি বিষয় ? ”
” ভাবছি আপাতত তোমাদের এই মানঅভিমান কেটে গেলে তোমাদের বিয়ে দিয়ে দেবো । সবকিছু চট্টগ্রামেই সারতে হবে তাহলে আর সমস্যা থাকবে না বুঝতে পারছি । ”
” এত সহজে সেটা সম্ভব না রকি ভাই তাছাড়া আমি এখন সজীব কে বিয়ে করতে পারবো না । ”
” কেন ? আর বিয়ে যদি না করো তাহলে এত খবর নিয়ে লাভ কি ? বাঁচলো মরলো তাতে তো তেমন চিন্তা করার মতো কিছু নেই । ”
” সেটা আমার নিজের কাছে মন চায় বলে আমি ওর জন্য চিন্তা করে করে পাগল হচ্ছি । কিন্তু সত্য হচ্ছে এটাই যে আমি সজীবকে আপাতত বিয়ে করতে পারবো না রকি ভাই । আমাদের কিছু সমস্যা আছে সেটা সজীব সবকিছু জানে তবে আপনি চাইলে আমি আপনাকেও বলতে পারি । ”
” আমার শোনার ইচ্ছে নেই আর সজীব এর সন্ধান আমি পাই বা না পাই সেটা পরে দেখবো । সজীবকে যখন তোমার বিশেষ কোন প্রয়োজন নেই তাহলে তার খবর জানিয়ে কি করবো ? ”
” আপনি কি রাগ করছেন রকি ভাই ? আপনার এমন কথা শুনে আমার একটা সন্দেহ হচ্ছে । ”
” কি সন্দেহ ? ”
” সজীবের সাথে আপনার যোগাযোগ আছে এবং এই সুযোগে সজীব আপনার মাধ্যমে আমাকে বিয়ে করাতে রাজি করতে চায় । তাই না ? ”
” আশ্চর্য তো বৃষ্টি , সজীব আর আমি এমনটা করব তুমি ভাবলে কিভাবে ? ”
” ভাবনা গুলো এমনিতেই চলে আসে রকি ভাই । ”
” ঠিক আছে তুমি তোমার ভাবনা নিয়ে থাকো আমি চলে যাচ্ছি । ”
★★
সারাটা দিন সজীব ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছে । সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে উঠে চোখ ডলতে ডলতে গোসল করতে গেল । সারাদিন ঘুমিয়ে গালের অবস্থা ফুলে ফুলে চাকমাদের মতো হয়ে গেছে । চোখ দুটো ছোট্ট হয়ে গেছে । গোসল করে বেরিয়ে দুপুরের খাবার সন্ধ্যা বেলা খেল তারপর প্যান্ট গেঞ্জি পরে ছাঁদে চলে গেল । ছয় তলার ছাঁদ থেকে সজীব নিচে গলির দিকে তাকিয়ে আছে । অনেক অফিস ছুটি হয়ে গেছে তাই গলি দিয়ে মানুষের বাসায় ফেরার আয়োজন চলছে । মানুষ গুলো সারা সারি হয়ে হেটে যাচ্ছে দেখে সজীব এর গ্রামের বাড়ির কালো পিপড়া চলার কথা মনে পরে গেল । কালো পিপড়া যেমন করে হেঁটে যায় ঠিক তেমনি নিচে কালো বোরকা পরে বেশিরভাগ মেয়ে চলে যাচ্ছে । অবশ্য তাদের মধ্যে পুরুষ এবং রঙিন রঙিন পোশাক পড়া মেয়েও আছে অনেক ।
সজীব পকেট থেকে মোবাইল বের করে মোবাইল চালু করলো । বাসা থেকে বের হবার সময় মোবাইল পকেটে করে নিয়ে এসেছে । এই মুহূর্তে তার কিছু গান শুনতে ইচ্ছে করছে যেগুলো সে সচারাচর মাঝে মাঝে শোনে ।
মোবাইল বের করে আগেই সিম আরো করলো আর তারপরে একটা গান চালিয়ে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে রইলো । অনেকক্ষণ পরে হঠাৎ মিতুর কথা মনে পরলো সজীব এর । একবার ভাবলো কল দিয়ে যদি একটু খবর নেয় তাহলে কেমন হবে ? সজীব এর চাকরি চলে গেছে সেটা যদি মিতু জানে তাহলে সে বৃষ্টিকে কি মনে করবে ? সবকিছু ভেবে ভেবে আর কল দেওয়া হলো না তাই আগের মতো দাঁড়িয়ে রইলো কিছুক্ষণ । মাগরিবের পরেও সজীব ছাদেই দাঁড়িয়ে রইলো তবে তার বিশ্বাস এতক্ষণে তার খালা বাসায় এসেছে ৷ কিন্তু এই মুহূর্তে তার নিচে যেতে ইচ্ছে করছে না তাই সে আরো কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিলো । দিনের সূর্য চলে গেছে তাই এখন রাতের শহরকে বেশ লাগছে ।
” সজীব ভাবলো মিতুকে একটু কল দিয়ে কথা বলে দেখা যাক সে খুশী হবে কিনা । তাই মোবাইল দিয়ে নাম্বার বের করে কল দিলো , ” হ্যালো মিতু কেমন আছো তুমি ? ”
” জ্বি আলহামদুলিল্লাহ , আপনি হঠাৎ করে কল দিলেন যে ? আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না । ”
” আমি তো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী না যে কল দিলে বিশ্বাস করতে পারবে না । আমি সাধারণ মানুষ তাই কল তো দিতেই পারি তোমাকে তাই না ? ”
” হ্যাঁ ঠিক আছে ঠিক আছে , আপনি কেমন আছেন কি করেন ? ”
” ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছি , আর মোটামুটি ভালোই আছি আমি । তুমি কি করো ? ”
” অফিস থেকে বাসায় এসে গোসল করে বেরিয়ে চুল তোয়ালে দিয়ে বেঁধে বসে আছি । আপনার অফিস আর বৃষ্টি আপুর খবর কি ? কেমন আছে আপু । ”
” সে ভালো আছে , আমার চাকরি গতকাল চলে গেছে । ”
” মানে ? ”
” আমি বৃষ্টিকে বিরক্ত করি তাই জিএম স্যার বের করে দিয়েছে আমাকে । অবশ্য বৃষ্টি সাক্ষী দিয়েছে নাহলে হয়তো চাকরি যেতো না । ”
” বলেন কি ? আপু কেন এমন করলো ? ”
” পরিস্থিতিতে পরে করতে হয়েছে , আচ্ছা বাদ দাও এসব কথা । তুমি তোমার অফিসে আমার জন্য একটা যেকোন চাকরির ব্যবস্থা করতে পারো ? ধরো যে কোন ধরনের চাকরি হলে হবে । ”
” সত্যি সত্যি আমাদের অফিসে চাকরি করবেন আপনি ? ”
” যদি চাকরি পাই তাহলে অবশ্যই করবো । ”
” আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আমি আগামীকাল কথা বলে রাখবো অনেকের সাথে , যেকোনো একটা চাকরি ঠিকই হয়ে যাবে । ”
সজীব লক্ষ্য করলো যে মিতু এই কথা গুলো খুব আনন্দ আর আগ্রহের সাথে বলছে । মনে হয় সে সজীবকে তার অফিসে নিতে পারলে তার অনেক আনন্দ হবে । বৃষ্টির কাছ থেকে সজীবকে নিজের করে নেবার একটা সুযোগ মনে হচ্ছে । কারণ এখন বৃষ্টিদের অফিস থেকে বেরিয়ে সজীব যদি মিতুদের অফিসে চাকরি নেয় তাহলে তো সামনে আস্তে আস্তে বৃষ্টির কাছ থেকে মিতুর জীবনেও যেতে পারে ।
” সজীব বললো , তোমার বাড়িতে কি অবস্থা ?
” জ্বি সবাই ভালো আছে , আমাকে বাড়িতে ফিরে যেতে বলে । আমাকে নাকি বিয়ে দেবে । ”
” তাহলে তো ভালোই । ”
” কিন্তু আমি তো যাবো না । ”
” কেন ? ”
” জীবনের সাথে জড়ানোর জন্য আমি একটা বিশেষ কিছুর অপেক্ষা করছি । যদি পাওয়ার সম্ভবনা ৫% ও নেই তবুও অপেক্ষা করতে ভালো লাগে । বলা তো যায় না যদি ভাগ্যক্রমে কপালে লেখা থাকে তাহলে তো সারাজীবন আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা ।
” মিতুর এরূপ কথার অর্থ সজীব বুঝতে পারে কিন্তু মিতু যেই কথা সরাসরি না বলে আকার ইঙ্গিতে বলতে চায় সেটা সজীব নিজেও প্রকাশ করতে চায় না ৷ মানুষের সাথে কিছু কিছু কথা অপ্রকাশ্যে শুনতে ভালো লাগে ৷ ”
সজীব হঠাৎ করে কল কেটে দিল কারণ মিতুকে আর বেশি কিছু বলতে দেয়া যাবে না । সজীব এখন বৃষ্টির নাম্বার বের করে বৃষ্টির কাছে কল দিল কারণ মিতুর সাথে কথা বলে বৃষ্টির সাথে কথা বালাট তার কাছে বাধ্যগত মনে হচ্ছে ।
” প্রথম বার রিসিভ করলো না কিন্তু দ্বিতীয় বারের শেষ সময়ে রিসিভ করে বললো , আমি একটু বিজি আছি বাসায় গিয়ে তোমাকে কল দেবো । ”
” সজীব বললো , কিসের বিজি ? অফিসে এখনো ?
” বৃষ্টি বললো , না আমি আমাদের বাসার সামনে গলিতে দাঁড়িয়ে আছি । আমার সামনে মামুন ভাই দাঁড়িয়ে আছে তাই তার সাথে একটু কথা বলছি । ”
চলবে….
বিঃদ্রঃ– গল্প টা কেমন হয়েছে ? সবাই গঠনমূলক কমেন্ট করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন । আপনাদের একটা অনুপ্রেরণার মন্তব্য এগিয়ে নেবে আমার লেখনী শক্তি ।
ভালবাসা অবিরাম অন্তহীন ।
লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)