#শব্দহীন_প্রণয়কাব্য(দশ)
#Mst.Shah Mira Rahman
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আঠারো থেকে উনিশ বছরের মেয়েদের নিখোঁজ হওয়ার কেস উঠে আসছে সামনে।বছর কয়েক আগেও এরকম কেস প্রায় কতগুলো এসেছিলো।ওই সময়ে কয়েকজন কে আটক করার পর মেয়ে নিখোঁজ হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ভেবে নেয় কেস সলভড। কিন্তু এত বছর পর আবার একই ধরনের কেস আসা শুরু হয়েছে।এবার কেস সিবিআই কে হস্তান্তর করা হয়েছে।ইনভেস্টিগেশন চলছে এখনো।
____
আজ সকালের এক্সিবিশন আছে।ঢাকায় যেতে হবে।হাতে মাঝারি সাইজের ক্যানভাসটা কাগজে মোড়ানো।খুব সাবধানে ওটা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো সকাল।বাড়ির কাউকে সাথে নেয় নি।একটা রিকশা ডেকে উঠে পরল তাতে। এলাকার বাইরে রিকশা আসতেই সামনে একটা গাড়ি নজরে পরল।সকাল রিকশা থামালো। সিদ্ধান্ত এগিয়ে এলো তার দিকে। রিকশার ভাড়া মিটিয়ে সকালের হাত থেকে ক্যানভাসটা এক হাতে নিল।অন্য হাতে সকালকে রিকশা থেকে নামতে সাহায্য করল।তারপর তার হাত ধরে এগিয়ে গেল গাড়ির দিকে।গাড়ির পেছনের দরজা খুলে ক্যানভাসটা রাখল।সকাল ওপরপাশে গিয়ে গাড়ির ফ্রন্ট সিটে বসল। সিদ্ধান্ত ও ড্রাইভিং সিটে এসে বসলো।গাড়ি চলতে শুরু করল।আজ সকালের এক্সিবিশন আছে জেনে তিনদিন আগে থেকে নিজের কাজ গুছিয়ে রেখেছে সে।আজকে নিয়ণের হাতে সব ধরিয়ে সে ছুটে এসেছে সকালের কাছে।তার সাথে সময় কাটানো যাবে এমন একটা সুযোগ ও ছাড়তে নারাজ সে।আজ সারাদিন একসাথে থাকবে ভাবতেই সিদ্ধান্তর মনে ঝড় বইছে।সিদ্ধান্ত তাকালো সকালের দিকে চোখাচোখি হতেই মৃদু হাসল দুজনে। সিদ্ধান্ত এক হাতে সকালের হাত মুঠো করে চুমু খেল। সকাল লজ্জায় অন্যদিকে মুখ ফেরালো।সেদিনের পর আজ আবার তারা দেখা করল।ওই দিন অশান্ত সকাল কে বুকে জড়িয়ে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করেছিল সিদ্ধান্ত।সকাল ওভাবেই সিদ্ধান্তর বুকে ঘুমিয়ে পড়ে। সারারাত সিদ্ধান্তর সাথে মিশে তার বুকে ঘুমানোর কথাটা যতবার সকাল কল্পনা করে ততবারই সে লজ্জায় মিলিয়ে যায়।এত কেন লজ্জা তার?
সিদ্ধান্ত দেখল সকালের লজ্জা।মনে মনে হাসল।এবার সময় এসে গেছে সকালের সকল লজ্জা ভেঙে দেয়ার।আর অপেক্ষা নয়। অপেক্ষা জিনিস অন্তত তার জন্য আর নয়। ওইদিন সকাল কে এত কাছ থেকে দেখে এত কাছে পেয়েও তাকে ছুঁতে না পারাটা যেন তার এতদিনের অপেক্ষাকে নিমেষেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।ভেতরে ভেতরে ছটফটানি দিন দিন বাড়ছে।এসব আর সহ্য করার নয়।সিদ্ধান্ত গাড়ি চালাতে চালাতে আবার সকালের দিকে তাকালো।ভ্রু কুঁচকে এলো তার। সকাল জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে।আজব সিদ্ধান্ত এখানে বসে আছে তো সে বাইরে তাকিয়ে কি দেখছে?তার দিকে তাকালে কি চোখ দুটো ক্ষয় যাবে?
____
দুপুরের দিকে মীরার ফোনে একটা মেসেজ আসে।মীরা তখন রোগী দেখছিল। মেসেজ টোনে ফোন হাতে নিতেই চোখে পড়ে কিছু লেখা,
“বাইরে এসো,আমি অপেক্ষা করছি। একসাথে লাঞ্চ করবো।”
মীরার ঠোঁটে হাসি ফুটলো।সময় দেখল সে।লান্ঞ্চের সময় পার হয়ে গেছে।রোগী দেখতে গিয়ে তার এদিকে খেয়াল ই ছিল না।হাতের পেশেন্টকে দেখে মীরা নিজের কেবিন থেকে বেরোতেই মিনহাজের সাথে দেখা হলো। মিনহাজ তাকে দেখেও চুপচাপ পাশ কাটিয়ে চলে গেল।মীরা দেখল তার যাওয়া।মনে পরল সেদিনের ঘটনা।যেদিন মিনহাজ তাকে তার ফ্লাট অবধি ছেড়ে দিয়েছিল।তার পরের দিন সে দেরি করে এলো হসপিটালে।এসেই মীরার কেবিনে গেল।মীরা দেখল মিনহাজ কে। মিনহাজ সরাসরি জিজ্ঞেস করে বসল,
“কাল যেই গাড়িটা আমাদের পিছু নিচ্ছিল ওটার মালিক আপনার কে হয়?”
হুট করে এমন একটা প্রশ্নে মীরা বেশ অবাক হয়। জিজ্ঞেস করে,
“কেন?”
“আমি আজ হসপিটালে দেরি এসেছি।”
“তো!”
“হসপিটালে আসার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিতে গেলে দেখি গাড়ির চারটা চাকাই পাংচার।”
মীরা অবাক হলো। পাংচার হলে একটা দুটো চাকা হবে।তাই বলে চারটাই একসাথে!কীভাবে সম্ভব?তাকে প্রশ্ন করতে হলো না মিনহাজ নিজ থেকেই বলল,
“আর আমি সকালে জগিং করতে গিয়ে আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় কালকের সেই গাড়িটাকে দেখেছি।”
মীরা চমকে উঠল।সুলেমান?উনি এসব করেছে?
“আপনার স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড যাই হোক না কেন উনাকে বলে দেবেন আমি ছোট বাচ্চা নই যে গাড়ির টায়ার পাংচার করে আমাকে ভয় দেখাচ্ছে।আমাকে সরাসরি বলে দিলেই হয় আপনার অন্য কোথাও রিলেশন আছে তাহলেই তো আর আপনার পিছু পিছু ঘুরছি না আমি।আমি ওতটাও চিপ নই।”
নিজে নিজে কথা বলেই মিনহাজ চলে গেল। মীরার ঠোঁটে হাসি ফুটলো। সুলেমান তাকে নিয়ে পজেসিভ জানে তাই বলে এমন বাচ্চামো কে করে?
সেদিনের কথা মনে করে আজও হাসল মীরা।সময় নেই দেখে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এলো হসপিটাল থেকে। সুলেমান গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ফোনে কারো সাথে কথা বলছে।পড়নে অফিস ড্রেস।চোখে সানগ্লাস হাতে ঘড়ি।মীরা মুগ্ধ হলো।এই লোকটা এতো সুদর্শন কেন বুঝে পায় না সে।লোকটা কি জানে না পুরুষ দের এত সুদর্শন হতে নেই।মীরাকে এগিয়ে আসতে দেখে হাতের ফোন রাখল সুলেমান।মৃদু হেসে গাড়ির দরজা খুলে দিল।মীরা বসল।সুলেমান ও ড্রাইভিং সিটে বসে মীরার সিটবেল্ট বেঁধে নিজের সিটবেল্ট বাঁধল। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলতে শুরু করল।মীরা অন্যদিকে তাকিয়ে হাসল।লোকটার এই ছোট্ট ছোট্ট যত্নগুলোও তার ভালো লাগে।হৃদয় কাঁপিয়ে দেয়।
কাছাকাছি একটা রেস্টুরেন্টে এসেছে তাঁরা।অর্ডার আসতেই সুলেমান খাওয়া শুরু করল।মীরা খাবার নাড়াচাড়া করছে।তা দেখে সুলেমানের ভ্রু কুঁচকে গেল।
“কি হলো মীরা?খাচ্ছো না কেনো?”
“আমি বাড়ি যেতে চাই।”
সুলেমান চুপ করে গেল। তাকিয়ে রইল মীরার দিকে।তারপর আবার রয়ে সয়ে বলল,
“এখন নয় সময় হলে আমি নিয়ে যাবো।”
“কবে নিয়ে যাবেন? এতদিন নাহয় আমি রাগ করে যাইনি।তবে এখন যখন সব ঠিক হচ্ছে তাহলে গেলে ক্ষতি কি? কতদিন দেখিনা বাবা মা কে। পরিবারের কারো সাথে দেখা হয়না আমার।মা কি আমার ওপর রেগে আছে?আর বাবা? সালমান ভাই সকাল কেউ একবার দেখা করতে এলো না আমার সাথে।আমি কি অনেক বড় অন্যায় করেছি যে এখন ও সবাই আমার ওপর রেগে আছে?যার কারণে আমি যেতে পারবো না আমার বাড়িতে।”
মীরার চোখ ছলছল করছে।সুলেমান দেখল সেই চোখ। বুকের ভেতরটা কেমন এলোমেলো হয়ে গেল।এদিক ওদিক তাকিয়ে নিজেকে শান্ত করে ধীর গলায় বলল,
“মীরা পাবলিক প্লেস এটা কান্নাকাটি বন্ধ করো।”
মীরা তাকালো চারিদিকে। মানুষের আনাগোনা বুঝে নিজেকে সামলালো।চুপচাপ খাওয়ায় মন দিল। সুলেমানের আর খাওয়া হলো না।একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল মীরার দিকে। রেস্টুরেন্ট থেকে ফেরার সময় গাড়িতেও মীরা কোনো কথা বলল না। সুলেমান হসপিটালের সামনে গাড়ি থামালো।মীরা নেমে যেতে চাইলে হাত ধরে আটকালো তাকে।নিজের কাছে টেনে আনলো।গালে হাত রেখে বলল,
“মীরা,বলেছি তো।সময় হলে আমি নিজেই নিয়ে যাবো।তাহলে এতো মন খারাপ কেন?একটু হাসো মীরা।”
সুলেমানের উদ্ধিগ্নতা দেখে মীরা হেসে দিল। নিষ্পাপ,নির্মল।সুলেমান চেয়ে দেখল সেই হাসি।হৃদয়স্থল শীতলতায় ছেয়ে গেল।মীরার কপালে চুমু দিয়ে শান্ত গলায় বলল,
“অপেক্ষা করো আমার জন্য আমি আসবো রাতে।”
মীরার চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে উঠলো। মুহূর্তেই মন খারাপ সব হুড়হুড় করে পালালো। উৎফুল্ল মনে বলে উঠলো,
“সত্যি!”
“হুম।”
মীরা চট করে সুলেমানের গালে একটা চুমু দিয়ে গাড়ি থেকে নামতে নামতে বলল,
“তাড়াতাড়ি আসবেন।আমি অপেক্ষা করবো আপনার জন্য।”
সুলেমান চেয়ে রইল মীরার যাওয়ার দিকে।মীরা হসপিটালের ভেতর ঢোকার আগে আরো একবার ফিরে তাকালো সুলেমানের দিকে। সুলেমান হাসল। ঠোঁটের কোণে হাসি বজায় রেখেই গাড়ি স্টার্ট দিল।
_____
রাতে প্রায় দশটা।সালমান ঘরে ঢুকে দেখল টেবিলের ওপর বই খুলে চেয়ারে বসে হায়াত আরাম করে ফোন টিপছে। সালমান এগিয়ে গেল সেদিকে।হায়াতের চুল টেনে দিল।হায়াত ব্যথাসূচক শব্দ করে লাফিয়ে উঠল।মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে অগ্নিচোখে সালমানের দিকে চাইল। সালমান চেয়ারে আরাম করে বসে বলল,
“পড়ালেখা ছেড়ে মোবাইল চালানো হচ্ছে। দাঁড়া তোর মোবাইল নেওয়ার ব্যবস্থা করছি আমি।”
“তুমি কে আমার মোবাইল নেওয়ার?”
“আমিই তো সব।”
হায়াত দমে গেল। সালমান হায়াতের দুই হাত টেনে নিজের ঘাড়ে রাখল।চেয়ারে মাথা এলিয়ে মৃদু কণ্ঠে বলল,
“টিপে দে তো।একটু আরাম করি।”
হায়াত হাত সরিয়ে নিল।
“পারবো না।”
সালমান আবার তার হাত টেনে ঘাড়ে রেখে বলল,
“তুই পারবি না তোর ঘাড় পারবে। মোবাইলের মায়া থাকলে হাত চালা তাড়াতাড়ি।”
হায়াত ফুঁসে উঠলো। কিন্তু কিছু বলল না।ধীরে ধীরে ঘাড় ম্যাসাজ করতে করতে বিড়বিড়ালো,
“শা*লার বা*ন*চো*দ জামাই খালি হুমকি দেয়।”
চট করে চোখ মেলে তাকালো সালমান।মাথা এলিয়ে দেওয়া অবস্থাতেই তাকালো হায়াতের দিকে।
“কি বললি?”
হায়াত চমকে উঠল।চোখে মুখে ভয় দেখা গেল।
“কই কি বলেছি?”
সালমান সোজা হয়ে বসে আবার তাকালো হায়াতের দিকে।
“আমি শুনেছি কি বলেছিস তুই।”
হায়াতের আত্মা শুকিয়ে গেল।দুই পা পিছিয়ে না না করে উঠল,
“না না আমি কিছু বলিনি তোমার কান ভুল শুনেছে।আমি কি কখনো গালি দিতে পারি তুমিই বলো।”
সালমান চোয়াল শক্ত করে উঠে দাঁড়ালো। হায়াত দৌড়ে বেডের ওপর উপর ওঠে অন্যপাশে গিয়ে দাঁড়ালো।
“এবারের মতো মাফ করে দাও সালমান ভাই।আর জিবনেও এমন কথা বলব না।কসম করে বলছি জিবনে আর গালি দিব না তোমায়।”
সালমান বেডের পাশে এসে দাঁড়াল,
“হায়াত নেমে আয় নয়তো খুব খারাপ হয়ে যাবে বলছি।”
“তোমার বউ আমি তোমার কাছেই তো শিখেছি এসব।তুমি বলো তাই আমারো মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।আমার কি দোষ?”
হায়াতের মুখে “তোমার বউ” শব্দটা শুনে সালমানের রাগ গায়েব হয়ে গেল।বুকের ভেতরটা শীতলতায় ভরে গেল।তবু মিথ্যে গম্ভিরতা ধরে রেখে বলল,
“হায়াত নেমে আয়।”
“না নামবো না।তুমি মারবে আমায়।”
হায়াতের সহজ স্বীকারোক্তিতে সালমানের হাসি পেল।তবে হাসল না।নিজেও উঠে এলো বেডের ওপর। হায়াত আঁতকে উঠে বেড থেকে নামার আগে তার হাত ধরে ফেলল। নিজের কাছে টেনে কোমড় জড়িয়ে ধরল।
“কে বলেছে মারবো?বউকে মারতে হয়না আদর করলেই সোজা হয়ে যায়।”
হায়াতের পুরো শরীর শিরশির করে উঠলো। গতরাতের দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠলো। সালমানের আগ্রাসী স্পর্শ হৃদয় কাঁপিয়ে দিল তার।হাত দিয়ে সরানোর চেষ্টা করল সালমান কে সালমান সরল না। হায়াত কে নিজের মাঝে জড়িয়ে নিয়ে তার ঠোঁটের পাশে চুমু খেল।হায়াত কেঁপে উঠলো।সাথে সাথে সালমান হায়াত কে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে তার ঠোঁটের চুম্বন গাঢ় করল।চুষে নিল প্রিয় নারী ঠোঁটের অমৃত সুধা।এমন আক্রমণাত্মক স্পর্শে হায়াত বেকাবু হলো।হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলো সালমানের গলা।ঠিক তখনই দরজায় টোকা পড়ল।শুনলো তবু ছাড়লো না সালমান। আবার টোকা পড়ল সাথে ভেসে এলো আয়াতের ডাক।
“সালমান ভাই!”
বিরক্ত হলো সালমান।ঠোঁট ছেড়ে কপালে কপাল ঠেকালো।ঘন শ্বাস আছড়ে পড়ল একে ওপরের ওপর।কিছুক্ষণ পর আবার টোকা পড়তেই সালমান চেঁচিয়ে উঠলো,
“সমস্যা কি বিরক্ত করছিস কেন?”
“বড় আব্বু ডাকছে তোমায় তাড়াতাড়ি যেতে বলল।”
কথাটা বলেই কেটে পরল আয়াত।সালমান তাকালো হায়াতের দিকে।চোখ বন্ধ করে আছে এখনো।
“তোর শশুর আমার রোমান্সের একমাত্র শত্রু হায়াত।”
হায়াত চোখ মেলে তাকালো।চোখে চোখ পরল। সালমান তার কপালে ঠোঁট বুলিয়ে ধীর স্বরে বলল,
“আমার জন্য অপেক্ষা করবি।আমি যাবো আর আসবো।এসে যেন তোকে ঘরে পাই।”
বলেই বেড থেকে নেমে ঘরের বাইরে বেরিয়ে গেলো।হায়াত চুপচাপ হাটু মুড়ে বেডের ওপর বসেই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নিল।আচ্ছা,সে কি লজ্জা পাচ্ছে?
পার্টি অফিসে ঝামেলা লাগায় বাড়ি ফিরেই আবার বেরিয়ে গেলেন শাহিন মির্জা।তার সাথে সালমান ও গেল।ফিরল প্রায় একটার দিকে। পার্টির ছেলে পেলেরা ঝামেলা করেছে। হাতাহাতি মারামারি ও হয়েছে।সেই ঝামেলা মিটিয়ে আহত ছেলেদের হসপিটালে ভর্তি করিয়ে পরে বাড়ি ফিরেছে সালমান।ক্লান্ত শরীরটা নিয়ে ঘরে ঢুকতেই গা হিম হয়ে গেল তার।হায়াত ঘুমিয়ে পড়েছে।শোয়ার ধরন এলোমেলো।গায়ে ওড়না নেই।সালোয়ার পায়ের অনেকটা উপরে ওঠা।সালমান দৃষ্টি সরিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকল।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এগিয়ে গেল হায়াতের দিকে।আলগোছে তুলে তাকে ভালো ভাবে শুইয়ে দিল।তারপর বাতি নিভিয়ে নিজে শুয়ে পরল হায়াতের পাশে।পাশ থেকেই দুই হাতে জড়িয়ে ধরল তাকে।হায়াত ঘুমের মাঝেই তার দিকে ফিরে মিশে গেল তার বুকে।সালমানের বুক ধ্বক করে উঠলো।মনে মনে আওড়ালো,
“সত্যিই মেরে ফেলবি নাকি?”
চলবে🌺
কালকের পর্বে শুধু অতীত থাকবে।কালকেই শেষ করে দেব অতীতের চ্যাপ্টার।আর আজকের পর্ব কেমন হয়েছে জানাবেন নিশ্চয়ই🙃