শব্দহীন_প্রণয়কাব্য(সাত) #Mst.Shah Mira Rahman

0
488

#শব্দহীন_প্রণয়কাব্য(সাত)
#Mst.Shah Mira Rahman
আজকের পুরো দিন ঘোরাঘুরি করে কাটিয়ে দিল সিদ্ধান্ত রা।সাতাশ বছর বয়সী সকাল সিদ্ধান্তর সান্নিধ্য পেয়ে যেন ছোট বাচ্চায় পরিণত হলো। আবদার করলো এটা ওটা।সিদ্ধান্ত কখনো হাসি মুখে সেই আবদার পূরণ করলো তো কখনো কড়া শাসন করল।প্রিয় নারীটির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থেকে মনে মনে প্রার্থনা করলো আর যাই হোক সৃষ্টিকর্তা যেন এই মেয়েটাকে তার জীবন থেকে কেড়ে না নেয়।এভাবেই সারাজীবন সে আগলে রাখতে চায় সকালকে।
ঘোরাঘুরি শেষ করে যখন দুপুরের লাঞ্চ করতে তারা রেস্টুরেন্টে ঢুকলো তখন সকালের অবাক হওয়ার সীমা অতিক্রম হলো।আজ তাদের বিয়ের তিন বছর পূরণ হলো। সকালের মনে ছিল না এই দিনটির কথা।তার ধ্যানজ্ঞান শুধু সাদা ক্যানভাসে কোন রঙের ছড়াছড়িতে তা আরো বেশি আকর্ষণীয় হবে সেদিকে থাকে।পরিপার্শিক সব কিছু তার ধারনার বাইরে। সকালের চোখ জ্বলে উঠলো।সিদ্ধান্ত কখনোই ভোলেনা তাদের এনিভার্সারি।প্রত্যেকবার কিছু না কিছু করে চমকে দেবে তাকে।সকাল নিজের হাতের অনামিকা আঙ্গুলের দিকে তাকালো। কিছুক্ষণ আগেই এটা সিদ্ধান্ত পরিয়ে দিয়েছে তাকে। সকাল হু হু করে কেঁদে উঠলো। সিদ্ধান্ত ভড়কালো।জড়িয়ে নিল তাকে নিজের সাথে।
“কি হয়েছে কাঁদছো কেন?”
“আমি আপনাকে কিছুই দিতে পারলাম না।”
“আস্ত তুমিটাই তো আমাকে দিয়ে দিয়েছো।আর কি দেবে?”
____
প্রায় নয়টা নাগাদ তারা বাড়ি ফিরল।সিদ্ধান্ত সবাইকে জানিয়ে দিল আজ সকাল তাদের বাড়িতেই থাকবে। সিদ্ধান্ত র চাচা আনোয়ার বুশরা বেশ খুশি হলেন।স্ত্রীকে তাড়া দিলেন খাবারের ব্যবস্থা করতে। অন্যদিকে সকালের পেটে গুড়গুড় শুরু হয়ে।অনুভূতিরা প্রজাপতির ন্যায় উড়তে লাগলো।আজ প্রথম বার সে সিদ্ধান্তর বাড়ি থাকছে।সিদ্ধান্তর সাথে!এক দীর্ঘ রজনীর সাক্ষী হতে চলেছে একে ওপরের।সকাল‌ নিজের অনুভূতি গুলো কে দমালো।তবে মনে মনে সুখ সুখ ভয়টা যেন থেকেই গেল।সকালের ভয় টা আতংকে পরিণত হলো যখন তারা সিদ্ধান্তর রুমে ঢুকল।রুমের চারিদিকে গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো।মোমবাতি দিয়ে সাজানো রুমটা দেখে কিছুক্ষণের জন্য থমকালো সকাল।মনে মনে ভয় পেলেও আলাদা এক অনুভূতির সৃষ্টি হলো তার হৃদয়ে। সকাল তাকালো সিদ্ধান্তর দিকে।এই মানুষটার সাথে তার বিয়ে হয়েছে আজ তিন বছর।অথচ লোকটা কখনো তার কাছে কিছু চায় নি। অপেক্ষা করেছে তার জন্য। প্রয়োজনের চেয়েও বেশি সময় দিয়েছে তাকে।সেই মানুষটাই আজ যদি তার কাছে কিছু চায় তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। সকাল মনে মনে নিজেকে প্রস্তত করল।তবে সকাল নিজেকে প্রস্তুত করলেও অপ্রস্তুত হয়ে পরল সিদ্ধান্ত নিজেই।তার প্ল্যানে এমন কিছুই ছিল না।ভয় পেল সে।সকাল তাকে ভুল বুঝলো না তো। সিদ্ধান্ত আমতা আমতা করল। সিদ্ধান্ত কে ভয় পেতে দেখে বেশ হাসি পেল সকালের।নিজেকে সামলে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল,
“আমি কিছু মনে করিনি সিদ্ধান্ত। রুমের ডেকোরেশন ভালোই লেগেছে আমার।”
সিদ্ধান্ত হাফ ছাড়ল। শান্ত গলায় বলল,
“তুমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও আগে।আমি তোমার পরে যাবো।”
সকাল বিনা বাক্যব্যয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল।সকাল যেতেই সিদ্ধান্ত পকেট থেকে ফোন বের করে ডায়াল করল নিয়ণের নাম্বারে। ফোন রিসিভ হতেই রাগে ফেটে পড়ল সিদ্ধান্ত।
“নিয়ণের বাচ্চা আমি তোকে বলেছিলাম রুম ডেকোরেট করতে?তাহলে করলি কেন?”
ওপাশ থেকে হাসির শব্দ শোনা গেল। গলায় কৌতুক মিশিয়ে নিয়ণ বলল,
“ভাই যাই বলো না কেন,হিসেব অনুযায়ী কিন্তু আজ তোমাদের ফার্স্ট নাইট।আর ফার্স্ট নাইটে স্পেশাল কিছু নাহলে কি চলে বলো?”
সিদ্ধান্ত দমে গেল।নিয়ণ ঠিক বলেছে।তাদের বিয়ের তিন বছরে এই প্রথম তারা একসাথে থাকছে।কথাটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য।
নিয়ণ সিদ্ধান্তর চাচাতো ভাই।তাদের বিয়ের খবর টা সকালের পরিবারের কেউ না জানলেও সিদ্ধান্তের পরিবারের সবাই জানে।সেই প্রথম দিন থেকেই। সিদ্ধান্ত মৃদু গলায় বলল,
“এটা উচিত হয়নি নিয়ণ।আমি অপ্রস্তুত হয়ে পরেছি।”
সিদ্ধান্ত ফোন কাটলো।রুমের চারিদিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফোনটা ড্রেসিংটেবিলের উপর রাখলো।সাথে হাতের ঘড়িটাও।সকাল বের হলো বেশ কিছুক্ষণ পর।সে বের হতেই সিদ্ধান্ত ঢুকলো। সকাল ড্রেসিংটেবিলের সামনে এগিয়ে গেল।নিজেকে পরিপাটি করার এক মুহুর্তে সিদ্ধান্তর ফোন বেজে উঠল। সকাল তাকালো সেদিকে।
____
সিদ্ধান্ত ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে সকাল কে রুমের মধ্যে পেল না।ভ্রু কুঁচকে গেল তার।গেল কই মেয়েটা। ভাবনার মাঝেই বারান্দায় উঁকি দিল সে। সকাল দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ।সিদ্ধান্ত এগিয়ে গেল সেদিকে।পেছন থেকে জড়িয়ে ধরল সকালকে।সকাল চমকালো কিন্তু কিছু বলল না।সিদ্ধান্ত সকালের ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে শান্ত গলায় বলল,
“কি করছো এখানে?”
“কিছু না।”
সকালের সহজ স্বীকারোক্তি।সিদ্ধান্তর কেমন জানি ঠেকলো তার কণ্ঠ।মুখ তুলে তাকালো তার দিকে।
“কি হয়েছে তোমার?”
“ভাবি দেশে ফিরেছে?”
সিদ্ধান্ত অবাক হলো। সকাল কি করে জানলো কথাটা?নিজেকে সামলে জবাব দিলো,
“হুম।”
“আমায় জানান নি কেন?”
সিদ্ধান্ত বিরক্ত হলো এই সময় সকালের এসব কথা তোলায়।তিরিক্ষি গলায় বলল,
“প্রয়োজন বোধ করিনি।”
“প্রয়োজন বোধ করেন নি?আমাকে জানালে আমার ভাই ও জেনে যাবে তাই?”
সিদ্ধান্ত সহজ উত্তর দিল,
“হুম।”
সকাল নিজেকে ছাড়িয়ে সিদ্ধান্তের দিকে ফিরল।
“আপনি এমন কেন?আপনি কি চান না আপনার বোনের একটা সংসার হোক।”
“এখন এসব বাদ দাও সকাল।এ নিয়ে আমরা পরে কথা বলব।”
“আপনি আমার ভাইকে কেন এতটা অপছন্দ করেন।”
সিদ্ধান্তর রাগ বাড়লো। চোয়াল শক্ত করে বলল,
“তোমার ভাই করেছে ই এমন কাজ।”
সকাল রেগে গেল। চেঁচিয়ে উঠলো সে,
“কি করেছে সে।কেন বারবার তাকে দোষারোপ করছেন আপনারা সবাই?”
সিদ্ধান্ত দ্বিগুণ চেঁচিয়ে উঠলো,
“নিজের সন্তান কে হত্যা করেছে।খুনি সে।”
সকালের কি যেন হলো।রাগে কাঁপতে কাঁপতে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিল সিদ্ধান্তের গালে। সিদ্ধান্ত কিংকর্তব্যবিমূঢ়।কল্পনাও করেনি সকাল এমন কিছু করবে।গালে হাত রেখে শক্ত চোখে তাকালো সকালের দিকে। সকাল ভয় পেয়েছে।এমন কাজ করবে সে নিজেও ভাবেনি।মুখে হাত দিয়ে ভয়াতুর চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
“তোমার কাছে সব সময় তোমার বাপ ভাইরাই বেশি প্রায়োরিটি পেয়েছে সকাল।আমার কোনো আস্তিত্ব ই নেই তোমার জীবনে।আমি কেউ নই তোমার।আমার ইচ্ছে অনিচ্ছের কোনো মূল্য নেই তোমার কাছে।ঠিক আছে তুমি থাকো তোমার পরিবার নিয়ে।আর আমাকে আমার মতো থাকতে দাও।
“সিদ্ধান্ত!”
“বেরিয়ে যাও সকাল এক্ষুণি এই মুহূর্তে আমার রুম থেকে বেরিয়ে যাও।”
সকাল গেল না ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। সিদ্ধান্তর রাগ বাড়ল।
“আমি বলেছি বেরিয়ে যাও সকাল।এখান থেকে আমার জীবন থেকে।”
সকাল চমকালো।ভাবেনি সিদ্ধান্ত এত বড় একটা কথা তাকে বলতে পারে।হ্যা সে ভুল করেছে।অনেক ভুল করেছে।কিন্তু সিদ্ধান্ত সবসময় তার পাশে থেকে তাকে আগলে নিয়েছে।তবে এখন কেন এভাবে ছুড়ে ফেলল তাকে।অপরাধ টা কি সত্যি ই খুব বড় ছিল? সকাল টলমল চোখ নিয়ে সিদ্ধান্তর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। সিদ্ধান্তর টনক নড়ল।রাগের মাথায় সে কি বলেছে বুঝতে পারলো।সাথে সাথে পিছু নিল সকালের।
“সকাল দাঁড়াও।যাবে না তুমি।সকাল দাঁড়াতে বলেছি।”
সকাল দাঁড়ালো না।সোজা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এলো। সিদ্ধান্ত পেছন থেকে হাত টেনে ধরল।
“এত রাতে একা একা কোথায় যাচ্ছ?চলো ঘরে চলো।”
“না যাবো না।বাড়ি যাবো আমি।”
“সকাল বাচ্চাদের মতো জেদ করো না।ভেতরে চলো।”
“হাত ছাড়ুন আমার।আমি কোথাও যাবো না আপনার সাথে।”
সিদ্ধান্ত কথা বাড়ালো না। সকাল কে কোলে তুলে নিজের রুমে ঢুকল।বেডের ওপর বসিয়ে দিয়ে নিজেও বসল। সকাল হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো,
“কাঁদছো কেন?”
“আমি মেরেছি আপনাকে?”
“হুম।”
“ব্যাথা পেয়েছেন আপনি।বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছে করে মারিনি।কিভাবে যেন হয়ে গেল।পাপ করেছি আমি অনেক বড় পাপ করে ফেলেছি।”
সকাল পাগলের মতো করল। সিদ্ধান্ত ধরল তাকে। জড়িয়ে নিল নিজের সাথে।
“সকাল শান্ত হও!”
সকাল শুনলো তার কথা।নিজেকে ছাড়িয়ে দুই হাতে সিদ্ধান্তর গাল ধরে পুরো মুখে চুমুতে ভরিয়ে দিল।সিদ্ধান্ত থামাতে চাইল।
“সকাল থামো।সকাল….”
সকাল থামলো না।যেন সিদ্ধান্তের ব্যাথা সে নিজের মাঝে শুষে নিতে চায়।সিদ্ধান্ত হাত ধরে আটকালো তাকে। বেসামাল কণ্ঠে বলল,
“থামতে বলেছি সকাল।এরপর আমি শুরু করলে কিন্তু আর থামাতে পারবে না।”
____
মীরার বাবা হুমায়ূন বুশরা একজন রাজনীতিবিদ।কিছু বছর আগেই তাকে বিপুল ভোটে হারিয়ে শাহিন মির্জা এমপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।তার কয়েক বছর পর হুমায়ূন বুশরার নামে মামলা করা হয়।নারী পাচারের মামলায় ফেঁসে যান তিনি।আর সেই কেসের বিপক্ষ দলের উকিল ছিল সাবেক এমপির বড় ছেলে সুলেমান মির্জা।কেসটা শেষ হতে বেশিদিন লাগেনি।সমস্ত প্রমাণ হুমায়ূনের বিরুদ্ধে। শুনানিতে হুমায়ূনের পঁচিশ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হলো।মীরা তখন মেডিকেল স্টুডেন্ট। হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছে।মীরার ভাই এব্রোডে।পড়াশোনো শেষ করে ভালো কম্পানিতে চাকরি করছে।তাদের কাউকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়নি।মীরা যখন জানলো হুমায়ূনের শুনানি দেয়া শেষ।মীরা হুহু করে কেঁদেছিল বাবার সামনে।হুমায়ূন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় নি।শুধু একটা কথাই বলেছিল,তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তার পরেরদিন খবর এলো হুমায়ূন জেলের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক করেছেন এবং সাথে সাথে মৃত্যু বরন করেছেন।এই খবর শুনে মীরার মা মিসেস রুকসানা বুশরা পরপর দুইবার মাইন্ড স্ট্রোক করেন।মীরা একসাথে বাবা ও মা দুজনেই হারায়। ততদিনে মীরার ভাইকে খবর দেয়া হয়েছিল।সে এসে বাবা মার লাশ একসাথে পড়ে থাকতে দেখে।
____
অতীতটা বড্ড বিদঘুটে ছিল।সেই স্মৃতিচারণ করেই মীরা মন বিষিয়ে গেল।সামনেই ফাইল পত্র হাতে নিয়ে বসে থাকা সুলেমানের দিকে তাকালো। এগিয়ে গেল তার দিকে।
“আপনি আজও বাড়ি যাবেন না?”
“না বউ কে একা এখানে রেখে বাড়িতে আমার ঘুম আসেনা।”
সুলেমানের দৃষ্টি ফাইলের দিকেই।মীরা তাকালো সেদিকে।
“নতুন কেস?”
“না এক মাস আগের।”
“ওহ,আপনি জানেন আপনার আর আমার পেশায় পার্থক্য কোন জায়গায়?”
সুলেমান ভ্রু কুঁচকে তাকালো তার দিকে।মীরা আবার বলল,
“আমি মানুষের জীবন বাচাই।আর আপনি নিরপরাধ মানুষদের জীবন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেন….অন্যায় ভাবে।আসল অপরাধী তো আপনি।”
“মীরা রাত হয়েছে যাও ঘুমিয়ে পড়ো।”
“হুম যাচ্ছি। তবে দয়া করে আপনি আসবেন না আমার পাশে শুতে।ঘেন্না হয় আমার। বারবার মনে হয় আমার সন্তানের খুনি এখন আমার পাশে।”
মীরা চলে গেল নিজের রুমে।সুলেমান স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল মীরার যাওয়ার দিকে।অতঃপর দৃষ্টি নামিয়ে আবার ফাইলের ওপর রাখতেই টপ করে এক ফোঁটা জল কোথা হতে গড়িয়ে পরলো ফাইলের লেখা ভর্তি পৃষ্ঠার ওপর।
চলবে🌺
গল্পটা এতদূর এগিয়ে আসার পর ও অনেকে বলছে নায়িকা কে? আবার অনেকে বলছে হায়াত কে ভালো লাগে মীরা কে নয়। আবার অনেকে বলছে সুলেমান কে নায়ক ভালো লাগে না।সত্যি বলতে আমার খুব খারাপ লাগে।আমি কি চরিত্র গুলো কে ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারিনি?মীরা চরিত্র টা সত্যিই কারো পছন্দ হয়নি? মীরার প্রতি সুলেমানের অনুভূতি আর সুলেমানের প্রতি মীরার অনুভূতি টা কি আমি ঠিক ভাবে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারিনি?আর রইল এই গল্পের নায়ক নায়িকা কে। এখানে তিন চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।তিনটে জুটি কে নিয়েই লেখা হবে।আপনাদের যাকে বেশি ভালো লাগবে তারাই নাহয় গল্পের নায়ক নায়িকা হলো।এটা সম্পূর্ণ আপনাদের ওপর নির্ভর করবে। অবশেষে বলবো সবাই পাশে থাকবেন।এটাই কামনা করি🥰

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here