#অন্যরকম_তুমিময়_হৃদয়াঙ্গণ
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#বোনাস_পর্ব
আফরাজ এর রুমের দরজা খোলা দেখে তাবাসসুম উঁকি দিল। আফরাজ ঘুমিয়ে আছে। আশপাশে নাজীবা-কে দেখা যাচ্ছে না। সুবর্ণ সুযোগ হাতে পেল তাবাসসুম। চটজলদি ভেতরে প্রবেশ করতে নিলে কারো পায়ের শব্দে তাবাসসুম এগালো না। উত্তেজনাধায়ক সিরিঞ্জটা শাড়ির আঁচলে লুকিয়ে দরজা থেকে খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে গেল সে। শোপিচের পেছনে নিজেকে আড়াল করে নেয় তাবাসসুম। নাজীবা গুনগুন করে দরজার সামনে এসে থেমে যায়। ঘুমন্ত আফরাজ কে একপলক দেখে দরজাটা লক করে চাবিটা শাড়ির আঁচলে বেঁধে নেয়। পুনরায় গুনগুন করে রান্নাঘরের দিকে চলে যায়। আজ আফরাজ-দের অফিস নেই। উইন্টার হলিডে হিসেবে অফ দেওয়া হয়েছে তাদের। নাজীবার ভার্সিটি আছে কিন্তু ক্লাস শুধু একটা। যেটা জরুরি তার জন্য। সময় এগারোটা। এখনো নয়টার সময় চলছে। নাজীবার যাওয়া দেখে ক্ষোভে নিজের রুমে চলে গেল তাবাসসুম। আফরাজ এর রুমে যাওয়ার পথ স্বয়ং নাজীবা বন্ধ করে দিয়েছে। হিয়া দেয়ান মেয়ে-কে পায়চারী করতে দেখে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন।
“কি হলো? তুই রেগে আছিস কেন?”
“এই নাজীবা-কে মে’রে ফেললেই আমার রাস্তা ক্লিয়ার হবে মম। নাহলে আমি কখনো আফরাজ এর বউয়ের অধিকার পাবো না। আজকে সুযোগ বুঝে আফরাজ কে নিজের হাতের মুঠোয় নেওয়ার জন্য সিরিঞ্জটা জোগাড় করে ছিলাম। ঐ নাজীবার জন্য সব ওয়েস্ট হয়ে গেল।”
হিয়া দেয়ান মেয়ে-কে শান্ত হতে বলেন,
“শোন এখনো তুই তারই বউ। তোর পরিপূর্ণ অধিকার আছে। নাজীবা লক করেছে তুই নিজে গিয়ে চাবি কেড়ে নেহ্। তোর বরের রুম তোর যাওয়ার হক আছে।”
তাবাসসুম মাথা নাড়ল। তৎক্ষণাৎ রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেল। নাজীবার ফোনে কল এলো। আফরাজ কল দিয়েছে দেখে মুখ টিপে হাসল। কল রিসিভ করে রোমান্টিক কণ্ঠে,’ইয়েস হাজবেন্ড’ বলল। শুনে শোয়ারত আফরাজ বুকের উপর হাতের চা’প’ড় দিয়ে বলে,’হায় হায় বিবিজান এভাবে ডেকে উঠো না। বুকের তোলপাড় সৃষ্টি হলে তোমাকেও সর্বনাশ করে দেবো।’
‘হিহি পারবেন না আপনি রুমের ভেতর লকড হয়ে আছেন।’
‘তাইত বিবিজান এর কাছে অসহায়ের মত দরজা খোলার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
‘আপনি আজ সারাদিন রুমের মধ্যে বন্দি অবস্থায় থাকবেন।’
‘বিবিজান এটা কিন্তু ঠিক নয়। আমাকে বেঁধে রেখে নিজে ঘুরে বেড়াবে। তা আমি হতে দেবো না। বেঁধে রাখতে হলে দু’জনে একসঙ্গে বিছানার মধ্যে কম্বলের ভেতর আবদ্ধ হয়ে থাকব। কি বলো হবে নাকি আরেক রাউন্ড?’
ঠোঁট কামড়ে আফরাজ জিজ্ঞেস করল। নাজীবার গাল লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে। কাজের মহিলাগুলো বড় বউয়ের লাজুক চেহারা লক্ষ করল। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)তারাও মিটমিটে হাসি ছাড়ল। নাজীবা না পারতে তাদেরকে নাস্তা প্রস্তুত করতে বলে ছুটে রুমের দিকে পালাল। মিসেস ফেরদৌসীর সাথে আকস্মিক ধাক্কা লাগায় ধ্যান ফিরল নাজীবার। তিনি হকচকিয়ে বউ-মাকে বলেন,
“তুমি এভাবে ছুটে যাচ্ছো কেনো মা? কিছু কি হয়েছে?”
“না না আসলে আম্মা রুমের দিকে যাচ্ছি।”
আমতা আমতা করে শ্বাশুড়ির পাশে কেটে রুমের দিকে চলে যায়। তিনিও মৃদু হেসে রান্নাঘরে নাস্তার প্রস্তুতি পর্ব কতদূর পর্যবেক্ষণ করতে গেলেন। আফরাজ গোসল সেরে এসে বালিশের নিচ থেকে ফোন বের করে দেখল রাফির কল। সে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে। ম্যাসেজ পড়ে তার যা বোঝার বুঝে গেল। সন্তপর্ণে ট্রাউজার, শার্ট,কোট পরে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে রেডি হয়ে গেল। তখনি তার নজর পড়ল নাজীবার বালিশের নিচে থাকা ফাইলের দিকে। ফাইলটি দেখে তড়িঘড়ি গিয়ে হাতে নিল। ফাইল ঘেঁটেঘুটে তাবাসসুম এর সিগনেচার দেখে তৃপ্তির হাসি ছাড়ল আফরাজ। লেপটপের ব্যাগে ভরে রাখল যেনো উকিলের কাছে জমা দিয়ে কোর্টে পাঠানোর হয়। তখনি দরজা খোলার শব্দ হলো। খরগোশের মত নাজীবা ভেতরের দিকে উঁকি দিলো। বিছানা টানটান করা দেখে ভ্রু কুঁচকে ওয়াশরুমের দিকে দৃষ্টিপাত দেয়। কোনো ছায়া অব্দি না দেখে ভ্রু বাঁকিয়ে রুমের ভেতর পা রাখল নাজীবা। ওমনি তাকে হেঁচকা টানে দরজা বন্ধ করে দেওয়ালের সঙ্গে মিশিয়ে নেয় আফরাজ। নাজীবা প্রথমে ভয় পেলেও পরক্ষণে রেগে আফরাজ এর বুকে এলোথেরাপি মা’র বসাল। বিবিজান এর বাচ্চার মত পিটুনিতে তার সুঠাম দেহের কোনো ব্যথাও লাগল না। বিধেয় সে ফট করে বিবিজান এর গালে ওষ্ঠের ছোঁয়া লাগিয়ে কোমর সরিয়ে নেয়। নাজীবা ঘোরে যেতে গিয়েও ফুড়ৎ করে ঘোর ভেঙ্গে গেল দেখে মুখ ফুলাল। অভিমানী গলায় বলে,
“আদর করতে না চাইলে বললেই পারতেন। আমি কি স্বেচ্ছায় এসে ছিলাম? হুহ্ অসভ্য জামাই।”
কথাটা বলে মুখ ঝামটা মে’রে বিছানার কাছে গেল। বালিশের নিচে খালি দেখে বুক কেঁপে উঠল তার। কাঁপা কণ্ঠে স্বামীকে জিজ্ঞেস করল।
‘এখানে পেপার্স রাখছিলাম গত রাতে কই সেগুলো?’
বিবিজান এর হঠাৎ কাঁপা কণ্ঠে চিন্তিত নয়নে তাকে জড়িয়ে ধরে আফরাজ। তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, ‘হুশ আমার কাছে আছে। আমি আজ কোর্টে জমা দেওয়ার জন্য উকিলের কাছে যাবো।’
নাজীবা তৃপ্ত শ্বাস ফেলে স্বামীর বুকে মিলিয়ে রইল। তখনি ফোনের শব্দে হলো। আফরাজ এর ফোনে কল এসেছে। নাম আননোন দেখাচ্ছে। ছোট পিটপিটিয়ে চাইল নাজীবা। আফরাজ সেভাবে বিবিজান কে আঁকড়ে রেখে কল’টি রিসিভ করল। নাজীবা ছু মে’রে ফোন হাতে নিয়ে স্পিকারে দিলো।
‘হ্যালো স্যার গুড মর্নিং। স্যার রাফি ভাই বলেছেন আপনাকে আর আকবর স্যার-কে বিশেষ অনুরোধে সভাপতির আসনে নেওয়ায় জনাব নাকিব মুনসিফ স্যার তাদের রিসোর্টে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কালকে। আপনি বললে আমি কি আমন্ত্রণ গ্রহণ করব নাকি বারণ করে দেবো?’
মেয়েলী কণ্ঠে নাজীবা দাঁতে দাঁত চেপে তার শ্যামব্যাডার বুকের লোম শক্ত করে টেনে ছিঁড়ে দিল। ‘আউচচ’ করে উঠল আফরাজ। ফোনের ওপারে থাকা মেয়েটি স্যারের এহেন কণ্ঠে ঢোক গিলে বলে,’ইটস ওকে স্যার আমি আমন্ত্রণ গ্রহণ করছি আপনি ইনজয় করুন নও প্রবলেম।’ ফোনটা বিছানার উপর ছুঁড়ে মে’রে স্বামীর ব্যথাপ্রাপ্ত স্থানে ওষ্ঠজোড়া চেপে ধরল। মৃদু হাসল আফরাজ। বিবিজান এর কানের কাছে ওষ্ঠ এগিয়ে নিয়ে বলে,
“উই উইল গো ইন দ্যা রিসোর্ট টুমোরো। গেট রেডি টু সিলেব্রেট এ পার্টি।”
নাজীবা বাচ্চাদের মত খিলখিলিয়ে উঠে। তৎক্ষণাৎ আলমারি খুলে কোন কাপড় নিবে যাচাই বাছাই করার জন্য লেগে পড়ে। অন্যথায় দরজার বাহিরে আড়াল থেকে নীরবে সবটা শোনছিল তাবাসসুম। সে চাবি নিতে গিয়ে নাজীবা কে রান্নাঘরে না পেয়ে বেডরুমের দিকে চলে এসে ছিল। রুমের দরজা বন্ধ ছিল। কিন্তু সে শব্দহীন খোলে চোখের দৃষ্টি দেয়।দরজা ভিড়িয়ে তার চোখের মধ্যে আফরাজ আর নাজীবার মুহূর্তগুলো ধরা পড়ল। তাবাসসুম পারছে না এই মেয়ে-কে এখনই খু’ন করে ফেলতে। ফলে সে ধারণা করে রাখল খাওয়ার টেবিলে সেও একদিনের জন্য কালকে বাহিরে থাকবে বলে জানিয়ে দেবে। কেউ আসার পূর্বেই সে সরে গেল। মিসেস ফেরদৌসী স্বামীর সঙ্গে গার্ডেনে হাঁটতে বেরিয়েছেন। হিয়া দেয়ান তাদের দিকে একপলক চেয়ে তাদের বেডরুমের দিকে পা বাড়ালেন। দরজা খোলা দেখে অবাক হলেন। পরক্ষণে সিসি-ক্যামেরার কথা মনে পড়তেই তিনি আশপাশে চোখ বুলিয়ে সিসি-ক্যামেরা দেখতে পেলেন। মাথা চুলকানোর ভান ধরে তিনি ডাইনিং রুমের টেবিলের কাছে গেলেন। এক গ্লাস ভর্তি পানি নিয়ে জনাব ইসমাইল এর রুমের পাশ দিয়ে কেটে যান। কিন্তু যাওয়ার পথে তিনি হাত থেকে আচমকা গ্লাসটি ফেলে দিলেন। দেখে মনে হবে তিনি ভুলকৃত ফেলে দিয়েছে।লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)কাজের মেইডস এলো। তিনি তদারকি করে মোছার তাগিদ দিলেন। এতে ঠোঁট কামড়ে তিনি রুমের ভেতর ঢুকে মিসেস ফেরদৌসীর আর জনাব ইসমাইল এর গ্যাস্ট্রিক এর ওষুধের পেকেট পরিবর্তন করে দিলেন। একই পেকেটজাত অন্য ওষুধ রাখলেন। যা খেলে আজীবনের জন্য প্যারালাইজড হয়ে যাবে মানুষ। তিনি চান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পদের ভোগ মেটানোর। তৎক্ষণাৎ রুম থেকে বেরিয়ে যান। ক্যামেরা সেটা ক্যাপচর করতে পারল না।
তিনি চালাকি করে কুসুমার প্রেগন্যান্সির জন্য যে ওষুধ খেতে বলেছে ডাক্তারে সেটাও তিনি চেঞ্জ করে দিলেন। নিজের রুমে এসে শ’য়’তানি হেসে বলতে লাগলেন।
“মেয়ে নাহয় বাহিরের দিক সামলিয়ে নিক। আমি ভেতরের দিক পুরো সাফসুতরো করে নেয়। তাতে একবিন্দু প্রমাণ রইবে না।”
_____
নাজীবা-কে ক্লাস করতে পাঠানোর জন্য আফরাজ তৈরি হয়ে গাড়ির কাছে গেল। তাবাসসুম সময় দেখছিল কখন আফরাজ বাহিরে আসে! নাজীবা বোরকায় পিনআপ করছিল। তাবাসসুম গিয়ে অসহায়ের মুখ নিয়ে বলে,
“আমাকে একটু ভার্সিটি ছেড়ে দিলে হেল্পফুল হতো।”
আফরাজ শ’য়’তান মেয়েটার চেহারা অব্দি দেখতে চাই না। সেখানে হেল্পের কথা শুনে তাচ্ছিল্যের হাসি ছুড়ল। মনেমন তাবাসসুম দাঁতে দাঁত চাপল। বিরবিরিয়ে বলে,’তুই আমার নাহলে তোর মৃত্যু নিশ্চিত।’
নাজীবা এসে পরনারী কে স্বামীর কাছে দেখে তেঁতে উঠল। গাড়ির কাছে গিয়ে চুপচাপ গাড়ির দরজা খুলে বসতে নিলে তখনি পুনরায় তাবাসসুম এই এক কথা বলে। নাজীবা কিছু একটা ভেবে স্বামীর হাতের হাতা চেপে চোখের ইশারায় আশ্বস্ত করল। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান) আফরাজ অবাক হলো। তবুও বিবিজান এর ইশারা দেখে মাথা নেড়ে হেঁটে ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে পড়ে। তার পাশেই ফট করে বসে পড়ল নাজীবা। তাবাসসুম মুখ ভেটকিয়ে পেছনের সিটে বসে পড়ে। একঘণ্টা পর,
গাড়ি মাঝরাস্তায় এসে থামিয়ে দেয় আফরাজ। নাজীবা নীরব রইল। তাবাসসুম গাড়ি থামার কারণ জিজ্ঞাসা করে। আফরাজ আফসোসের গলায় আওড়ায়।
“সরি টু সে গাড়ির গ্যাস শেষ। অত-দূর এখন যাওয়া পসেবল না।”
নাজীবা মন খারাপের ভান ধরে গাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো। আফরাজ ও পিছু পিছু বেরোলো। তাবাসসুম না পারতে থা’বা মে’রে ব্যাগ হাতে নিয়ে বেরিয়ে রিক্সা ধরল। তাদের ঢং দেখার সময় তার হাতে নেই । সে রিক্সা করে যেতেই নাজীবা ভাব নিয়ে বলে,
“দেখলে মিয়া-বিবির মাঝের কাটা কিভাবে তুললাম? আমাদের ঢং একেবারে সেরা ঢং।”
পাত্তা-হীন আফরাজ বিবিজান এর হাত টেনে গাড়িতে বসালো। ভার্সিটির কাছে এসে গাড়ি থামিয়ে দেয়। ভার্সিটির অন্য বিভাগের ছেলে-মেয়েরা ভিআইপি গাড়ির মধ্যে থেকে আফরাজ আর নাজীবা-কে বের হতে দেখে বড়জোর চমক পেলো। রিক্সা থেকে শাড়ি টেনেটুনে তাবাসসুম নেমে পড়ে। রিক্সার টায়ারে তার শাড়ির আঁচল লেগে বারংবার আটকে পড়ছিল। রিক্সা থেকে নামতে পেরেই শান্তি অনুভব করে।
কিন্তু আফরাজ আর নাজীবা-কে কাপল বেশে দেখে হাত মুঠোবদ্ধ করে তাকিয়ে রইল। জুনিয়র মেয়েরা তো বেশিরভাগ নাজীবার কপালকে সাবাসী দিচ্ছিল। সিনিয়ররা পারলে এখনই গিয়ে আফরাজ এর সাথে কথাবার্তা চালিয়ে দিবে। কিন্তু নাজীবার চোখ রাঙানো থেকে তা অসম্ভব বুঝতে পেরেছে। ইচ্ছেকৃত তাবাসসুম সকলের সামনে গিয়ে আফরাজ কে জড়িয়ে ধরল। তর্কহীন আফরাজ এর হাত ধরে হাতের উলটো পিঠে ঠোঁট চেপে ধরে। ভার্সিটির সকলের চোখ ছানাবড়া আর নাজীবার তো চোখ-মুখ রাগে লাল হয়ে গেলো। আফরাজ নিজেও হতভম্ব সে খেয়ালও করেনি কখন তাবাসসুম এলো আর এ কান্ড করে বসলো? তড়িঘড়ি হাত সরিয়ে নেয়। তাবাসসুম এ দেখে মন খারাপ করল না। বরং বাঁকা হেসে নাজীবার সামনে ঠোঁটের কোণায় লেগে থাকা আফরাজ এর স্পর্শতা ছুঁয়ে দেখালো। নাজীবার নিশ্চুপতাই ঝড়ের পূর্বাভাস। সেও কম কিসে! পাবলিক প্লেসে মেয়েটার বেহায়াপনার সুযোগ হাতড়ে নিজের হাত সাফসুতরো করার উদ্দেশ্যে পরপর তিনটে চ’ড় লাগাল। তাবাসসুমও ধাক্কা দিতে নিলে নাজীবা পথ থেকে সরে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে যায় তাবাসসুম মুখ থুবড়ে বড় ডাস্টবিনের মুখের ভেতর পড়ে। সকলে হাসতে লাগে। তাবাসসুম ভার্সিটির টিচার। তার উচিৎ হয়নি নিষেধাজ্ঞার বিরোধ হওয়া। এজন্য আফরাজ মনেমন ভেবে নাজীবা-কে ক্লাসে পাঠিয়ে হেড-স্যার এর রুমের দিকে চলে যায়। তাবাসসুম এর গালের একপাশে কলার খোসা,চুলে চুইংগাম, গালের অন্যপাশে কারো কফ,হাতে পলিথিন মোড়ে গেছে। নোংরা অবস্থা হয়ে যাওয়ায় একাকী চিৎকার দিল। কেউ তার শব্দ শোনার মত নেই। সকলের ক্লাস পিরিয়ড স্টার্ট হওয়ায় যে তার মত ক্লাসে চলে যায়।
চলবে……
(ক্ষমা করবেন সবাই অসুস্থ শরীর তাও ভার্সিটি করতে হচ্ছে আর সাথে গল্পও লিখা। তাই দিনে ভার্সিটির থেকে এসে এখন মাত্র গল্প লিখলাম আর দিলাম। আল্লাহ হাফেজ।)