#সে_আমার_চিত্তমহলের_প্রেয়সী
#সাবিকুন্নাহার_সুমী
#রাজনীতি +রোমান্টিক
#পর্ব:২
(দয়া করে কেউ কপি করবেন না। কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ)
–জাবির ক্যাফেটেরিয়াতে চারটা চেয়ার দখল করে বসে আছে,অনার্স তৃতীয়বর্ষের সাইকো*লজি ডিপার্টমেন্ট এর আইমান,মাহাদ,মীরা,অহনা বন্ধুমহলের একাংশ। তাদের টেবিলে প্রত্যেকের সামনে ধোঁ*য়া উঠা গর*ম গর*ম সিঙ্গারা।পরপর দুইটা লেকচার এ এটেন্ড করার পর হালকা-পাতলা খাওয়াই তাদের এখন মুখ্য কাজ।তবে বর্তমানে কেউই মুখে এক টুকরো খাবার ও প্রবেশ করায়নি।কারণ একটাই মীরা উদা*সীন হয়ে একহাত থুত*নিতে রেখে টেবিলে ভ*র দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। তার যে মন খারা*প আশেপাশের লোককে সেটা বোঝাতে হবে না।আর সেটা যদি হয় তার প্রাণপ্রিয় বন্ধুমহল তাহলে -তো কথায় নাই। আর তাকেই পাশ থেকে খুঁটিয়ে দেখছে মাহাদ।না এই দৃ*ষ্টিতে কোন কামু**কতা নেই।এই দৃ*ষ্টি এক নারীকে ভালো বেসে পবিত্র দৃ*ষ্টিতে দেখা।
পাশ থেকে আয়মান গ*লা খাঁকা*রি দিয়ে মীরার উদ্দেশ্য বলল,
~চেহারা*টাকে রাশিয়ার মানচিত্র বানিয়ে রেখেছিস কেন?
মীরা সোজা হয়ে বসল মলি*ন মুখে বলল,
~আমার ক্রা*শ, আমার হ্যান্ড*সাম, আমার ভালোবাসা সুয়ারেজ সিকদার এর পরা*জয় মেনে নিতে ক*ষ্ট হচ্ছে-রে দোস্ত।
নিজের প্রিয়*তমার মুখে অন্য পুরু*ষের নাম শুনে, একজনের নিঃশ্বা*স যে আটকে আসে মীরা কি তা জানে?হোক না একতরফা ভালোবাসা।মাহাদ এর চো*য়াল শ*ক্ত হল। চো*খ বন্ধ করে নিজেকে স্বাভাবিক করল।অহনা পাশ থেকে চোখে*র ইশারা দিয়ে বুঝাল মন খা*রাপ করিস না,একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।
আয়মান বির*ক্ত হয়ে মীরাকে বলল,
~ঐ বিলাই*চোখা পোল্ট্রি*মোরগের জন্য রাজনী*তি না।যার সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা রিলস ভিডিও না করলে হয়না।তাকে রাজনীতিতে নয় এফডিসিতে মানায়। সুয়ারেজ সিকদার এর সবকিছুই সো অফ।অথচ, নাদমান সাইক তালুকদার এর সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা।শুধু এতটুকুই জানি সে একজন এমপি। তার ধ্যান জ্ঞান সবই সাধারণ জনগণের সেবায় নিয়োজিত।সো অফ বলতে কিছুই নেই।তাই জনগণ যাকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করেছে ঐ নাদমান সাইক তালুকদার ঐ আমাদের নিকট যোগ্য এমপি। তাই এসব মন খা*রাপের ভং বাদ দে।
আয়মান এর কথায় মীরা মু*খ ভেং*চি দিয়ে বলল,
~একদম বিলাই*চোখা বলবি না,জানিস তার চো*খ কত সুন্দর!
আয়মান আর মীরার সাথে ত**র্কে লিপ্ত না হয়ে, অহনার কথায় মনোযোগ দিল।
অহনা পাশ থেকে হাসি হাসি মুখে বলে উঠল।
~তবে এটা মানতে হবে, সুয়ারেজ সিকদার এর বাপ সাবেক এমপি সাইফুদ্দিন সিকদার একজন তু*খোড় রাজনী*তিবিদ ছিলেন।
মাহাদ অহনার কথাকে সমর্থন দিয়ে বলল,
~এটা ঠিক মানতে হবে,সে একজন দ*ক্ষ রাজনীতি*বিদ ছিলেন।সাভারের মানুষের জন্যে তিনি অনেক করেছেন।আশা করি নাদমান সাইক তালুকদার ও আমাদের হতাশ করবেন না।রাজ*নীতি নিয়ে বন্ধুমহলের আলাপচারিতা জমে উঠেছে।তাদের আ*ড্ডার মাঝেই চেয়ার টেনে ধ*প করে বসে পড়ল আনজারা।
চারজনেই কৌতূহলের দৃ*ষ্টিতে আনজারার দিকে তাকাল।
অহনা প্রশ্ন করল,
~আজও কি সুয়ারেজ সিকদার হা*তে, পা*য়ে ধরে তোকে সিকদার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিল?
মীরা,মাহাদ,আয়মান ও কৌতূহল এর দৃষ্টি*তে আনজারার দিকে তাকাল।
আনজারা ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে। বোতলের ক্যাপ খুলে অতি যত্নসহকারে ঢকঢক করে পানি খেল।
বোতলটা টেবিলে রেখে উত্তর দিল,
~না, আজ তার বেতনভুক্ত চা*মচা এসেছিল।
মীরা উৎক*ন্ঠা নিয়ে বলল,
~এমন কেয়া*রিং একটা মামাতো ভাই থাকলে। দশবছর-তো দূরে থাক দোস্ত দশদিন না গেলেই নিঃ*শ্বাস আটকে ম*রে যেতাম।
আনজারা বির*ক্তমুখশ্রীতে মীরার দিকে তাকিয়ে বলল,
থাপ্প*ড় চিনিস?এক থাপ্প**ড়ে মস্তি*ষ্ক থেকে ঐ সুয়ারেজ সিকদার এর নাম ভুলি*য়ে দিব।
আনজারার কথায় মাহাদ,আয়মান, অহনা সকলেই উচ্চস্বরে হেসে উঠল। তবে সবাই কি আর মন থেকে হাসে?এই-যে মাহাদের মুখ হাসিতে জ্বলজ্বল করছে,
অথচ অন্তর পু*ড়ছে মীরার প্রতিনিয়ত অব*হেলার কারণে।গত একবছর বহুবার প্রপো*জ করেছে মাহাদ, মীরাকে কিন্তু মীরা বারবার প্রত্যা*খান করেছে তার ভালোবাসা।তার কথা একটাই সে বন্ধুকে, স্বা**মী
হিসেবে মানতে পারবে না।
*****
মসজিদে জামায়াতে যোহরের নামাজ আদায় করে পার্টি অফিসের কাঠের চেয়ারটাই বসে আছে নাদমান। যদিও চেয়াটা ফোমের ছিল।নাদমান-ই লোক দ্বারা চেয়ারটা সরিয়ে দিয়েছে।চারদিকে সাধারণ জনগণ যেখানে একবেলার খাবার খাওয়ার জন্যে মাথা*র ঘা*ম পায়ে ফেলে পরি*শ্রম করে। সেখানে সারাদিন আরামদায়ক চেয়ারে বসে থাকার কোন মানে দেখে না নাদমান। ক্লা*ন্ত দেহ*টা টে*নে হিঁচ*ড়ে সোজা করে বসিয়ে রেখেছে সে।
তখনই নাদমানের বি*শ্বস্ত সহ*যোগী তামিম ভেতরে আসল।
নাদমানকে উদ্দেশ্য করে বলল,
~স্যার সুয়ারেজ সিকদার আর রাফাইন্না আসছে আপনার সাথে দেখা করার জন্যে।
নাদমান শীতল দৃষ্টিতে তামিমের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল,
~তামিম তুই দুইদিন আগে আমাকে কি বলে স*ম্বোধন করতি?
তামিম সাবলীল ভাবে উত্তর দিল,
~কেন স্যার? ভাই বলে।
নাদমান দুই হাত টেবিল রাখল,তামিমের দিকে তাকিয়ে বলল,
~তাহলে এখন স্যার বলে সম্বোধন করছিস কেন?
তামিম আম*তা আম*তা করে বলল,
~এখনতো আপনি এমপি তাই।
গম্ভী*র মুখে নাদমান বলল,
~নেক্সট এ ভাই ছাড়া আর কিছু সম্বোধন করলে আমি তোর বেতন কে,*টে নিব।
তামিম হাসি হাসি মুখে বলল,
~ভাই আর হবে না।
উনাদের ভেতরে আসতে বলি।
নাদমান অনুমতি দিল।
সুয়ারেজ সিকদার ফুলের মালা,ফুলের বুকে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করল।
নিজ হাতে ফুলের মালা নাদমানের গ*লায় পড়িয়ে দিয়ে চেয়ার টেনে বসল।
~কংগ্রাচুলেসন্স এমপি সাহেব।
নাদমান হাসল,
~পাঁচদিন পর কংগ্রাচুলেশন্স বলতে এসেছেন সুয়ারেজ সাহেব! হাউ স্ট্রেঞ্জ!
সুয়ারেজ হাসি হাসি মুখে বলল,
~আপনি ব্যস্ত মানুষ। তাই আর আপনাকে বিরক্ত করলাম না এমপি সাহেব।
সুয়ারেজ রসিকতার সাথে বলল,
~আজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম। আপনি ফ্রী তাইতো রো*দে ঝ*লসে আপনার সাথে দেখা করতে আসলাম।আপনি গণ্য*মান্য ব্যাক্তি বলে কথা।
আপনাকে কি আর হুটহাট এসে বির*ক্ত করলে চলবে।অথচ আপনার কোন দয়া*মায়া নেই এমপি সাহেব এসিটা অন করলেন না।
গর*মে ম*রে যাচ্ছি আর আপনি এসি অফ করে রেখেছেন!
নাদমান তী*ক্ষ্ম চো*খে সুয়ারেজ সিকদার এর দিকে তাকাল।অতি*রিক্ত গর*মে বেচা*রার সাদা চা*মড়া জায়গায়- জায়গায় লাল হয়ে গিয়েছে।
নাদমান চেয়ারে হেলান দিয়ে বলল,
~দেশের অসংখ্যা মানুষ এই গর*মে রিকশা চালাই।তাদের ও গর*ম লাগে।তাদের এসির বাতাস কেন, ফ্যানের বাতাস ও জো*টেনা।তাই রুমে গদিতে বসে কারে*ন্ট খর*চ করে এসির বাতাস গা*য়ে লাগিয়ে শরীরে চ*র্বি জমা*নোর কোন কারণ দেখছিনা সুয়ারেজ সিকদার।আর আপনি দারুণ অভি*নয় করেন মানতে হবে। এখন অভিনয় করতে হবে না।কারণ, তুই বন্ধ দরজার চারদেয়ালে।এখানে তোর প্রেস,মিডিয়া, জনগণ কোনটাই নেই তাই অভিনয় বন্ধ করে বল কেন এসেছিস?
সুয়ারেজ সিকদার বু**কে হাত দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বা*স নিয়ে বলল, ভাগ্যিস অভিনয় করছি বুঝতে পারলি।আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম। আমি তোর সামনে চার দেয়ালের ভিতরে আছি।
নাদমান চেয়ারে বেশ আরাম করে নড়েচড়ে হেলান দিয়ে বসল,
~তা কিসের জন্য এসেছিস?
সুয়ারেজ ক*ন্ঠে রসি*কতা নিয়ে বলল,
~তেমন কিছু না শুধু সা*বধান করতে এসেছি।দিনকাল ভালো না। এমপি হয়েছিস তোর -তো শ*ত্রুর অভাব নাই। তোর ফ্যামিলির সদস্য গুলোকে একটু গুণে গুণে রাখিস।
নাদমান হাসল,
~তা তুই কি রোদে ঝল*সে আমার সাথে র*সিকতা করতে এসেছিস?
সুয়ারেজ হাসল, নাদমানের দিকে তাকিয়ে বলল,
~তোর সাথে আমার সম্পর্কটাই তেমন।
***
নাদমান আর সুয়ারেজ যখন বন্ধ দরজার আড়া*লে তাদের কথোপকথন এ ব্যস্ত।তখন ওয়েটিং রুমে দু*রুত্ব বজায় রেখে মুখোমুখি বসে আছে তামিম আর রাফান।নাদমান সাইক তালুকদার আর সুয়ারেজ সিকদার এর সম্পর্কটা জনসম্মুখে মধুর মতো হলেও বন্ধ দরজার আড়ালে তাদের সম্পর্কটা কেমন তা আজও ধোঁ**য়াশা সাধারণ জনগণের নিকট।কিন্তু তাদের দুজনের বি*শ্বস্ত সহ*যোগী রাফান আর তামিম এর যে, সা**প, নেউ*লের সম্পর্ক তা সাভারের অধিকাংশ মানুষই অবগত। তবে,তামিম আজ মনে মনে দৃঢ়প্র*তিজ্ঞা করেছে আজ সে কোনভাবেই রাফানের সাথে ঝা**মেলা করবেনা।
এতদিন যা করেছিল, করেছিল।এখন সে এমপি নাদমান সাইক তালুকদার এর পিএ। তার কি আর যে-সে লোকের সাথে মারা**মারি করলে চলবে?
তাই তামিম মুখ ঘুরিয়ে চুপচাপ বসে আছে।অপরপক্ষের,রাফান কি তাকে আর চুপচাপ বসে থাকতে দিতে পারে?তাই সে বিভিন্নভাবে তামীমকে টি*জ করছে।একা- একাই স্লোগা*ন তুলে বলছে,
~যার মুখে গ*ন্ধ তার মুখ বন্ধ।
যার পেস্ট এ নাই লবণ। তার দাঁতে হলুদ আবরণ।
আমার দাঁতে আছে লবণ। মেয়েরা শুধু বলে কাছে আস কাছে আস।
রাফান এর স্লো*গান শোনে দলের অনেক ছেলেপুলে তার দিকে অবাক দৃষ্টি*তে তাকিয়ে আছে। তামিম নিজের রা*গ ক*ন্ট্রোল করল।কিন্তু, রাফান বারবার স্লো*গান তুলছে।তামিম আ*চমকা চেয়ার থেকে উঠে রাফানের মুখ ধরে তার ডান গা*লের খস*খসে চাম*ড়ায় নিজের সর্বশ*ক্তি দিয়ে দুইপাটি দাঁ*ত বসিয়ে দিল।
রোগা*পাতলা ছেলেটার গগন*বিদারী চিৎ*কারে, অফিস রুম থেকে দৌড়ে বের হল নাদমান আর সুয়ারেজ। সুয়ারেজ দৌড়ে টেনে*হিঁচড়ে তামিমকে, রাফানের নিকট থেকে সরালো।রাফানের খস*খসে গা*লে তামিমের কয়েকটি দাঁতে*র কা*মড়ে র*ক্ত গলগলিয়ে পড়ল।সুয়ারেজ এর আগমনে রাফান আহ্লাদে আরও ফেঁটে পড়ল।২৬ বছরের টগবগে যুবকটি গালে হাত দিয়ে ফুঁপি*য়ে ফুঁপি*য়ে কাঁ*দছে। নাদমান, তামীমকে দুইটা ধ*মক দিল।নাদমানের ধম*কে তামিম সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলল।নাদমান আর সুয়ারেজ এর বুঝতে অসুবিধা হলোনা,এখানে দুইপক্ষই অপ*রাধী।
কিন্তু, মিডিয়ার কি সেটা যা*চাই করার সময় আছে।কয়েকঘন্টার মধ্যে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা এসে উপস্থিত হল সংসদ সদস্য নাদমান সাইক তালুকদার এর পার্টি অফিসের সামনে। আগামী কয়েকদিন এই সামান্য ঘটনাকে মুখরোচক করে সাধারণ জনগণের নিকট তারা সংবাদ পেশ করতে পারবে।আর তা যদি হয় রাজ*নৈতিক বিষয়ে তাহলে তো কথায় নাই।সাংবাদিকদের মুখে একটিই কথা।এমপি নাদমান সাইক তালুকদারকে বিপ*ক্ষ দলের নেতা সুয়ারেজ সিকদার শুভেচ্ছা জানানোর জন্য এসেছিলেন তারই পার্টি অফিসে।এসেই সুয়ারেজ সিকদার এর বি*শস্ত সহযোগী মি.রাফানকে
এমপি নাদমান সাইক তালুকদার এর স*হযোগী তামিম কাম*ড়িয়ে আঘা*ত করেছেন।
সম্ভবত পূর্বের কোন শ*ত্রুতার জে*র ধরে মি.তামিম মি.রাফানকে প্ল্যান*মাফিক আ*হত করেছেন। পরবর্তী সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের পাশেই থাকুন।
একের পর এক সাংবাদিকদের মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ইন্টারভিউ দিচ্ছে রাফান।নিজেকে তার সুপারস্টার মনে হচ্ছে। তামিম দাঁ**ত কট*মট করে বারবার রাফানের দিকে আড়*চোখে তাকিয়ে মু*খ ভেং*চি দিচ্ছে।
বেচা*রা নাদমান আর সুয়ারেজ চেয়ারে বসে সাংবাদিকদের কা*ন্ড দেখছে।
*****
মধ্যরাত ছাদের রেলিং এ দুই হাতের ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নাদমান। পরনে ঢিলেঢালা টিশার্ট আর টাউজার সুঠাম দেহের শ্যামবর্ণের পুরুষটিকে ল্যাম্পপোস্টের আলোতে আক*র্ষণীয় লাগছে।উদা*সীন হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে সে। কোন এক নারী*র শূন্য*তা প্রতিমুহূর্তে তার চি*ত্তের দহ*ন বাড়িয়ে দিচ্ছে। অথচ,সে নারী নাদমান সাইক তালুকদার এর চিত্তমহলের প্রেয়সী।ভাবনার মাঝেই গুরুগম্ভীর পুরুষটির ঠোঁটের*কোণে কিঞ্চিৎ হাসির রেখা ফুটে উঠলো।
~বাবাই।
আধো*আধো ক*ন্ঠে বাবাই ডাক শোনে,নাদমান পেছনে তাকিয়ে দেখল।তারই জমজ সহোদর নাবহান তালুকদার এর কোলে স্বর্ণভা দুই হাত বাড়িয়ে আছে নাদমানের দিকে।নাদমান এগিয়ে গিয়ে মেয়েকে কোলে তোলে নিল।ঘুমু*ঘুমু চোখে নাদমানের গালে অজস্র চুমু খেল স্বর্ণভা।
নাদমান,,, স্বর্ণভার কপালে চু*মু দিয়ে বলল,
~এই কি মামনি তুমি ঘুম থেকে উঠে গিয়েছ কেন?
স্বর্নভাকে প্রশ্ন করার পর স**ন্দেহজনক দৃ,*ষ্টিতে নাদমান, নাবহানের দিকে তাকাল।
নাবহান এদিক সেদিক তাকিয়ে বলল,
~এভাবে তাকাচ্ছিস কেন?আমি কিছু করেনি।
~মি*থ্যা বলবিনা নাবহান।এই মধ্যরাতে স্বর্ণভা ঘুম থেকে কখনোই জাগার কথা না।
স*ত্যি করে বল কেন ঘুম থেকে জাগি*য়েছিস মামনিকে?
নাবহান মাথা চুল*কিয়ে অসহা**য় দৃষ্টি*তে নাদমানের দিকে তাকিয়ে বলল,
~একা একা কার্টুন দেখতে বো*রিং লাগছিল তাই স্বর্ণভাকে জাগি*য়েছি।কিন্তু ঘুম থেকে উঠেই ভ্যাঁ ভ্যাঁ শুরু করে দিয়েছে।
চলবে—–
(আজকের পর্বে প্রকাশিত নতুন চরিত্রগুলো:মীরা,মাহাদ,অহনা,আয়মান,তামীম,নাবহান তালুকদার।
আজকের পর্ব কেমন হয়েছে মন্তব্য করবেন। আর বেশি বেশি শেয়ার করে পাশে থাকবেন।দয়া করে ভুলত্রুটি কমেন্ট করে বলবেন)