স্মৃতির_শেষ_অধ্যায়ে_তুমি #পর্ব_৩৮(দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ) #লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

0
324

#স্মৃতির_শেষ_অধ্যায়ে_তুমি
#পর্ব_৩৮(দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ)
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

আজকে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি গাড়ির কাছে যেতে হবে। স্মৃতি খুব তাড়াহুড়ো করে তৈরি হয়ে দরজার কাছে আসতেই আরাভ স্মৃতির হাত ধরে ফেলল। স্মৃতি শান্ত দৃষ্টিতে আরাভের দিকে দৃষ্টিপাত করল। আরাভ কোনো কথা না বলে স্মৃতিকে আলিঙ্গন করল। স্মৃতির সমস্ত শরীর অবশ হয়ে আসতে শুরু করল। ধীরে ধীরে শরীরের শক্তি নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। ভিষণ কষ্ট হচ্ছে প্রিয়জনদের ছেড়ে দূরে চলে যেতে। আরাভ স্মৃতির ললাটে অধর স্পর্শ করে স্মৃতির হাত ধরে বাহিরে নিয়ে চলে গেল।

৬ মাস পর……

আজকে স্মৃতিকে বাসায় নিয়ে আসা হবে। মেয়েটা একদম সুস্থ হয়ে গিয়েছে। আর আগের মতো পাগলামি করে না। রিহাবে প্রথমে থাকতে তার খুব কষ্ট হয়েছে। কত-শত পাগলামি করেছে। স্মৃতির যখন পাগলামি করতো। তখন তাকে ঔষধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে রাখা হতো। আজ আকাশটা মেঘলা বহুদিন পরে প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা হবে। ভাবতেই মনটা ফুরফুরে হয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে ঘন কালো মেঘের দোলা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই অসময়ে মেঘলা আকাশ হওয়ার কারনটা খুঁজে পেল না আরাভ। স্মৃতির সাথে বাড়ি ছেড়ে ছিল সে। আজ স্মৃতির সাথে বাড়িতে প্রবেশ করতে চায়। কথা গুলো ভাবছিল আর গাড়ির জানালা দিয়ে বাহিরের সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছিল। বাসায় আসতে আসতে প্রায় বিকেল হয়ে আসছে। আকাশে ঘন কালো মেঘ থাকায় মনে হচ্ছে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। স্মৃতি আগে গাড়ি থেকে নেমেছে। স্মৃতির বাবা গাড়ি ভাড়া দিচ্ছে। তখনই আরাভ এসে নামে স্মৃতি একটি বারের জন্য আরাভের দিকে তাকায়নি। আরাভ অসহায় দৃষ্টিতে স্মৃতির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। আরাভ বাসার দিকে অগ্রসর হতেই দেখল। তার বাবা মা পরিবারের সবাই দাঁড়িয়ে আছে। এর মাঝেই ঝুম বৃষ্টি শুর হলো। এমনিতেই মাঝ রাস্তায় এসে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। আরাভ কাক ভেজা হয়ে গিয়েছিল। জামাকাপড়ের পানি টান ধরেছে। মুহুর্তের মধ্যে আবার কাক ভেজা হয়ে গেল। আরাভকে দেখে কেউ অবাক হলো না। আরাভের মা আরাভকে উদ্দেশ্য করে বলল,

–তোর খালা ভিষণ অসুস্থ আমাকে দেখতে চেয়েছে। আমরা সবাই মিলে তোর খালাকে দেখতে যাচ্ছি। তুই আমাদের সাথে যাবি?

–আমি অনেক দূর থেকে এসেছি আম্মু। তোমরা যাও আমি বাসায় থাকব। কথা গুলো বলেই বাসার চাবি নিয়ে বাসার মধ্যে চলে গেল।

রাতে প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টি শুরু হলো চারদিকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। প্রতিটি গাছপালা হেলেদুলে পড়ছে। আরাভ খেয়ে বিছানায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল। সে বেশ টের পাচ্ছে গায়ে প্রচন্ড জ্বর আসছে। সে বৃষ্টিতে ভিজলেই তার শরীরে জ্বর এসে বাসা বাঁধে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে জ্বরের মাত্রা দিগুন হয়ে যাচ্ছে। আরাভের শরীর থরথর করে কাঁপছে। অভ্র আরভকে ফোন করেই যাচ্ছে। কিন্তু আরাভ ফোন তুলছে না। আরাভের ফোন না তোলার কারন সবাইকে চিন্তিত করে তুলছে। অভ্র একবার তার শাশুড়ীকে কল দিয়ে বলতে চাইলে স্রুতি অভ্রকে থামিয়ে দিয়ে বলল,

–তুমি মাকে ফোন দিও না। আমি স্মৃতিকে ফোন দিয়ে আরাভের কাছে যেতে বলছি।

–স্মৃতি আসবে তো আরাভের কাছে?

–আরে আসবে আসবে নিজের প্রিয় মানুষ অসুস্থ থাকলে কেউ ঘরে বসে থাকতে পারে না। কথা গুলো বলেই স্মৃতিকে ফোন দিল। স্মৃতি খাওয়াদাওয়া করে সবে মাত্র মায়ের সাথে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছিল। তখনই স্রুতির ফোন আসে স্মৃতি কোনো প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ফোন রিসিভ করে,

–স্মৃতি আরাভ তোকে একটু দেখার জন্য আটশো কিলোমিটার দূর থেকে বৃষ্টিতে ভিজে আসছে। তুই জানিস না আরাভ বৃষ্টিতে ভিজলেই তার শরীরে জ্বর এসে বাসা বাঁধে। ছেলেটা ফোন তুলছে না। তুই একটু আমাদের বাসায় গিয়ে দেখবি আরাভ কি করছে। আসলে ভিষণ চিন্তা হচ্ছে তো তুই যেতে না পারলে মাকে বল একটু দেখে আসতে।

–মাকে বলতে হবে না। আমি দেখে আসছি উনি কি করছে।

–তুই যেতে পারবি। তুই আজই একটা জায়গা থেকে আসলি।

–সেটা তোমার ভাবতে হবে না। কথা গুলো বলেই কল কেটে দিল স্মৃতি। তখনই মুনিয়া বেগম স্মৃতিকে উদ্দেশ্য করে বলল,

–কি রে মা কে ফোন দিয়েছিল?

–স্রুতি আপু।

–কি বলছে?

–উনি নাকি অনেক দূর থেকে এসেছেন। বৃষ্টিতে ভিজলে তার শরীরে জ্বর আসে। তাকে ফোন দিয়ে অভ্র ভাইয়ারা পাচ্ছে না। তাই আমাকে গিয়ে দেখতে বলল সে কি করছে।

–আমি যাব তোর সাথে এই বৃষ্টির মধ্যে যেতে পারবি। আমার কাছে তোদের বাসার চাবি আছে। যাওয়ার সময় স্রুতি দিয়ে গিয়েছে।

–সারাদিন তোমাদের শরীরে অনেক পরিশ্রম গিয়েছে। তুমি ঘুমাও আমি গিয়ে দেখে আসছি। বেশি সমস্যা হলে তোমাকে ফোন দিবনি। তুমি ফোনের কাছে থেকো। মুনিয়া বেগম আর কিছু বলল না। মেয়েটাকে একা যেতে দেওয়াটাই কেন জানি সে শ্রেয় মনে করল। স্মৃতি চাবি নিয়ে এক হাতে ছাতা ধরে রাস্তা পার হয়ে আরাভদের বাসার মধ্যে চলে গেল। পুরো বাসা অন্ধকার হয়ে আছে। প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টির কারনে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে। কতদিন পরে এই বাড়িটাতে সে প্রবেশ করল। ভাবতেই একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসলো। স্মৃতি ফোনের আলো জ্বালিয়ে আরাভের রুমে গেল। টেবিলে খাবার পড়ে আছে। মানুষটা থরথর করে কাঁপছে। ঘুমের মধ্যে ভুলভাল বকছে। স্মৃতি কপালে হাত দিয়ে দেখল পুরো শরীর আগুন হয়ে আছে। স্মৃতি ওয়াশরুম গিয়ে একটা বালটিতে করে পানি নিয়ে আসলো। বেশ কিছুক্ষণ আরাভের মাথায় পানি ঢেলে দিল। খাবার নিয়ে এসে সামান্য কিছু খাবার খাইয়ে দিয়ে ঔষধ খাইয়ে দিল। জ্বর কিছুটা নেমেছে শরীরে কাঁপুনির মাত্রা কমে এসেছে। স্মৃতি বিছানায় উঠে গিয়ে আরাভের পাশে বসে আছে। ঘুমে তার চোখ জড়িয়ে আসছে। সে সাত-পাঁচ না ভেবে আরাভের পাশে শুয়ে পড়লো। কিছুক্ষণ পরে স্মৃতি অনুভব করল এক জোড়া হাত আদুরে বিড়ালের মতো তাকে জড়িয়ে নিল। স্মৃতি কিছু বলল না আরাভের হাতের ওপরে হাত রেখে আঁখি জোড়া বন্ধ করল। তখনই কর্ণকুহরে কিছু বাক্য পৌঁছে এলো,

–আমাকে ভালোবাসো না তাহলে আমার অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে আসলে কেন?

–আপনি জাগা আছেন?

–হুম।

–তাহলে এতক্ষণ ঘুমের অভিনয় করে ছিলেন।

–না।

–তাহলে?

–একটু আগে সজাগ হয়েছি।

–আপনি সুস্থ হয়েই গিয়েছেন। তাহলে এখানে থাকার কোন প্রয়োজন নেই। আমি বাসায় চলে গেলাম।

–কখনো দেখছ মুরগী শেয়ালের কাছে গিয়েছে। আর শেয়াল মুরগীটাকে আবার আদর করে বাসায় রেখে গিয়েছে। তুমি নিজের ইচ্ছাস এসেছ। কিন্তু যাবে আমার ইচ্ছায়। যতক্ষণ না আমি চাইব ততক্ষণে তুমি কোথাও যেতে পারবে না। এতদিন বউ রেখে বহু কষ্টে দূর ছিলাম। আর এক সেকেন্ড বউ রেখে দূরে থাকতে পারব না।

–আপনি এত খারাপ আগে কখনো জানতাম না। জানলে কখনোই আসতাম না।

–সেজন্য তোমায় ভাবিকে দিয়ে নিয়ে আসছি। স্মৃতি রাগ দেখিয়ে উঠতে চাইলে আরাভ স্মৃতিকে শক্তি করে জড়িয়ে ধরলো। না মানুষটার সাথে পেরে ওঠা কখনোই সম্ভব না। স্মৃতি রাগান্বিত হয়ে বলল,

–আপনার সমস্যা কি এমন করছেন কেন?

–তোমায় দেখার জন্য এতদূর থেকে আসলাম। তুমি আমার দিকে ফিরেও তাকাওনি এটা আমার শাস্তি। স্মৃতি অনুভব করল আরাভের কথা জড়িয়ে আসছে। মানুষটা ঠিকমতো কথা বলতে পারছে না। অথচ তার রাগ ভাঙানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। যে রাগ ভাঙাতে জানে, রাগ তার সাথেই করা যায়। স্মৃতি অভিমানের দেওয়াল ভেঙে দিয়ে আরাভের দিকে ঘুরে আরাভকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। নিজের প্রেয়সীর থেকে গভীর আলিঙ্গন পেয়ে আরাভের সব কষ্ট বৃথা মনে হচ্ছে। ঠিক এমন একটি দিনের আশায় সে কত শত দিন কষ্ট উপভোগ করেছে। একে অন্যকে পাবার জন্য কত-শত প্রহর আকুল হয়ে আছে দু’টি হৃদয়। বাহিরের ঝড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ভেতরের ঝড় দিগুণ হয়ে উঠেছে। ঝড়বৃষ্টি যেমন প্রকৃতিকে আলিঙ্গন করে সব রাগ, অভিমান, যন্ত্রনা ধুয়েমুছে দিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তেমনই ভাবে দু’টি তৃষ্ণার্থ হৃদয় গভীর থেকে গভীর আলিঙ্গনে তলিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতি সহ চার দেওয়ালের আবদ্ধ কক্ষ সাক্ষী হয়ে রইল দুই মানব-মানবীর প্রেমের পূর্ণতার।

প্রভাতের আলো ফুটতেই স্মৃতি ফ্রেশ হয়ে বাবার বাসায় চলে গেল। সাতসকালে মেয়েকে দেখে মুনিয়া বেগম বিস্ময় নয়নে মেয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছেন। তিনি কিছুটা চিন্তিত হয়ে বলল,

–আরাভ কেমন আছে?

–ভালো আছে মা ঘুমোচ্ছে। আমার নিজের রুম ছাড়া ঘুম হয় না। তাই বাসায় চলে আসছি। উনি উঠলে তুমি আমাদের বাসায় খেতে ডেকে নিয়ে আসবে।

–তা না হয় নিয়ে আসবনি। কিন্তু এই সাত সকাল বেলা মাথায় কাপড় দিয়ে আছিস কেন? মায়ের কথায় ভিষণ লজ্জা পেল। মুনিয়া বেগম স্পষ্ট মেয়ের মুখশ্রীতে লজ্জা দেখতে পেল। সে আর কিছু বলল না। স্মৃতি কোনোরকমে বলল,

–মাথায় শীত লাগছে তাই দিয়েছি। তোমার কোনো সমস্যা বাসার মধ্যে যেতে দিবে। নাকি রাস্তা গিয়ে শুয়ে পড়বো। কথা গুলো বলে স্মৃতি মুনিয়া বেগমকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। মুনিয়া বেগম মুচকি হাসলো। আজকে তার ভিষণ করে অতীতে কথা মনে পড়ছে৷ স্মৃতির বাবা খবরের কাগজ পড়ছিল। তখনই মুনিয়া বেগম লজ্জা মাখা মুখশ্রী নিয়ে বলল,

–তোমার মনে আছে তোমার আর আমার যখন প্রথম বিয়ে হয়েছিল। তখন একদিন সকালে তুমি আমাকে বলেছিলে, আমি কেন মাথায় কাপড় দিয়েছি। তোমায় আমি বলেছিলাম আমার মাথায় শীত লাগছে। অর্ধাঙ্গিনীর কথায় গম্ভীর দৃষ্টিতে আবিদ রহমান অর্ধাঙ্গিনীর দিকে দৃষ্টিপাত করলেন,

–সাত সকাল বেলা মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।

–আরে রেগে যাচ্ছ কেন? আমি তোমার সাথে মজা করছিলাম। তোমাকে চা দেব খাবে?

–এতগুলো বছর ধরে সংসার করার পরে যদি এসব বলে দিতে হয়। বাদ দাও তোমার কথা কাজ করার দরকার নেই। যাও গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। মুনিয়া বেগম আর কোনো কথা বলল না। নিঃশব্দে রান্না ঘরের দিকে চলে গেল।

আরাভের নয়টার দিকে ঘুম ভাঙলো পাশে তাকিয়ে দেখলো স্মৃতি নেই। আড়মোড়া ভেঙে সে উঠে বসলো। শরীরটা ভিষণ ব্যাথা করছে। এতদূর জার্নি করেছে তার ওপরে জ্বর শরীরটা একদমই নেতিয়ে গিয়েছে। উঠে ফ্রেশ হয়ে নিজের রুমে আসলো। জামাকাপড় পড়ে ফোন হাতে নিতেই দেখল তার শাশুড়ী কল দিয়েছিল। সে বিলম্ব করল না বাসায় তালা লাগিয়ে স্মৃতিদের বাসার উদ্দেশ্য বের হয়ে গেল। আরাভকে দেখে স্মৃতির আম্মু দু’চারটা কথা বলে খেতে দিল। আরাভ খেয়ে স্মৃতির আব্বু আম্মুর সাথে কিছুক্ষণ গল্প করল। আবিদ রহমান বাজারে চলে গেল। মুনিয়া বেগম রান্না ঘরে চলে গেল। যাওয়ার আগে আরাভকে স্মৃতির কক্ষে গিয়ে বিশ্রাম করতে বলছে। মুনিয়া বেগম আরাভের কপালে হাত দিয়ে দেখছে জ্বর এখনো ভালোভাবে ছুটেনি। আরাভ কোনো কথা না বলে স্মৃতির কক্ষে চলে গেল। স্মৃতি ঘুমিয়েছিল খাওয়ার জন্য উঠে ফ্রেশ হয়েছে। তখনই আরাভকে দেখে পায় দৌড়ে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো।

চলবে…..

(আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন। আমি কথা দিয়েও কথা রাখতে পারছি না। স্মৃতির শেষ অধ্যায়ে তুমি আর সাইকো লাভার যখন সাইকো হাসবেন্ড গল্প দুটো আমার জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখনই শুরু করতে যাই তখনই পৃথিবীর সমস্ত মানসিক চাপ, চিন্তা, সময় খারাপ, ভেঙল পড়া চলে আসে। মাথায় কোনো শব্দ আসতে চায় না। এই গল্প টা লিখতে গিয়ে যতটা কষ্ট পেয়েছি। তা কোনো গল্প লিখে পাইনি। চেয়েও গল্পটা নিয়মিত দিতে পারি না। এতে পাঠক মহল নিরাশ হয়। আমি যে নিরুপায়। বাসায় আপু এসেছে ফোন হাতে দেয় না। নয়টা প্র্যাকটিক্যাল শুরু হয়েছে। খাতা সাইন নিয়ে দৌড়াদোড়ি শেষ না হতেই আবার টানা পরীক্ষা ছুটি নেই। চার তারিখে শেষ হবে। চাইলেও গল্পটা মনের মতো করে শেষ করতে পারব না। গল্পটা নিয়ে অনেক কিছু ভাবা ছিল। আর বোধহয় লিখা হবে না। আর দুই পর্ব লিখে সমাপ্ত করে দিব। জীবনে প্রথম কোনো গল্প এত সময় নিয়ে লিখলাম। আর নিরাশ করব না। আর একটু ধৈর্য ধরুন খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে দিব ইনশাআল্লাহ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here