#স্মৃতির_শেষ_অধ্যায়ে_তুমি
#পর্ব_৩১(প্রথম পরিচ্ছদের সমাপ্তি)
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
প্রভাতের আলো নিভে গিয়ে রজনীর আঁধার ঘনিয়ে এসেছে চারিদিকে। ঘড়ির কাঁটায় রাত আটটা ছুঁই ছুঁই। আকাশী বাসায় আসেনি। ড্রয়িং রুমে আরাভ সহ সবাই বসে আছে। ক্রোধে আরাভের শরীর থরথর করে কাঁপছে। সবার নীরবতা আরাভকে দিগুণ রাগান্বিত করে তুলল। আরাভ নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বলেই বসলো,
–আশ্চর্য! নিজের বাসার মেয়ে এতটা বেপরোয়া হয়ে গিয়েছে। তোমরা একটা বার খোঁজ নাও না। মেয়েটা কোথায় যায় কি করে? শাসন টা-ও ঠিকমতো করো না। কারো জন্য কারো জীবন থেকে থাকে না। জীবন আপন গতিতে ছুটে চলে। তাই বলে তোমরা নিজের মেয়েকে এভাবে ছেড়ে দিয়ে রাখবে? তোমরা জানো তোমাদের মেয়ে বিপথে চলে গিয়েছে। তোমাদের মেয়ের এমন কথা-ও আমি জানি। যেটা শুনলে… কথাটা শেষ হবার আগেই কলিং বেল বেজে উঠলো। আরাভের কথায় সবার দৃষ্টি নত হয়ে গেল। জীবনটা কেমন ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে। পাওয়ার আগে আর হারানোর পরে সবকিছুই মূল্যবান থাকে। ঠিক তেমনই আরাভকে হারিয়ে আরাভের মূল্যটা আরাভের পরিবার বুঝেছে। অভ্র দরজা খুলতে যেতে চাইলে আরাভ হাত দিয়ে থামিয়ে দেয়। আরাভ নিজে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিল। বহু বছর পরে আরাভকে দেখে কিছুটা অবাক হল আকাশী। ভাইয়ের রক্তিম চক্ষু জোড়ার দিকে দৃষ্টিপাত করে অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো। আকাশী কিছুটা গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
–বাহিরে থেকে এসেছি সামনে থেকে সরো। আরাভ রাগান্বিত কণ্ঠে বলল,
–এত রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলি? তোদের ভার্সিটি কি রাতে ও খোলা থাকে নাকি? আরাভের কথায় বিরক্ত প্রকাশ আকাশী আরাভকে বড় ভাই হিসেবে সন্মান দিতে সে নারাজ। বিরক্ত মাখা মুখশ্রী করে বলল,
–সেই কৈফিয়ত নিশ্চয়ই তোমাকে দিব না। এত গুলো বছর পরে আসছো ভাইয়ের অধিকার দেখাতে। তুমি তোমার অতীত ভুলে যেও না ভাইয়া। আমি যথেষ্ট বড় হয়েছি। আমার স্বাধীনতা বলতে কিছু একটা আছে। আমি নিজের ভালো খারাপ বুঝতে শিখেছি। এত দিন পরে এসে একদম ভাই গিরি দেখাবে না। আকাশীর কথা শেষ হবার সাথে সাথে আরাভ আকাশীর গালে ক’ষে দু’টো থা’প্প’ড় বসিয়ে দিল। বজ্রকণ্ঠে বলে উঠলো,
–আমাকে বাবা-মা পেয়েছিস। আমাকে অভ্রে পেয়েছিস নাকি স্রুতি ভাবি পেয়েছিস? তুই কার সাথে কথা বলছিস। এটা তোকে বলে দিতে হবে। এই বয়সে এসে তোকে ভদ্রতা শেখাতে হবে। বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় ভুলে গিয়েছিস। কিসের স্বাধীনতার কথা বলছিস। ন’ষ্টা’মি করা যদি স্বাধীনতা হয় তাহলে সেই স্বাধীনতা চাওয়া মেয়েকে বি’ষ দিয়ে মে’রে ফেলা উচিৎ। আব্বু আম্মু তোকে এই বাসায় রেখেছে এটাই তোর ভাগ্য। আব্বু আম্মু তোমরা কি দেখে এই কু’লা’ঙ্গা’র মেয়েকে এই বাড়িতে রাখছো। বি’ষ দিয়ে মে’রে ফেলো না হলে বাসা থেকে বের করে দাও। অন্তত তোমাদের সন্মান রক্ষা পাবে। আরাভের কথায় জ্বলে উঠলো আকাশী। সে রাগান্বিত হয়ে বলল,
–আব্বু আম্মু তোমাদের সামনে তোমাদের ছেলে আমাকে মারলো। তোমরা কিছু বলবে না। সে বলছে আমি নাকি বাহিরে ন’ষ্টা’মি করে বেড়াই। সে কি তার অতীত ভুলে গিয়েছে। কি কারনে শহর ছেড়ে পালিয়ে ছিল। আমাকে কি তাকে আবার সে-সব কথা মনে করিয়ে দিবে হবে। আকাশীর স্পর্ধা দেখে আরাভ অবাক হয়ে যাচ্ছে! আরাভ নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলল,
–আচ্ছা আমি কয়েক বছর আগে ন’ষ্টা’মি করেছি। সে কথা লোক জানাজানি হয়েছিল। তারপরে আমি শহর ছেড়ে পালিয়ে ছিলাম। এখন আমি যে ন’ষ্টা’মি করেছি। কোথায় কার সাথে করেছি। তার কয়টা প্রমাণ দেখা আমিও দেখতে চাই। প্রমাণ দেখাতে না পারলে, আজকে তুই আমার হাতে শেষ হয়ে যাবি আকাশী। আকাশী ও রাগান্বিত হয়ে বলল,
–আমি যে বাহিরে ন’ষ্টা’মি করে বেড়াই তার প্রমাণ তোমার কাছে আছে। আরাভ রেগে আকাশীর দুই গাল চেপে ধরলো। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
–তোর কত গুলো প্রমাণ লাগবে? কথা গুলো বলেই কিছু ছবি আর ভিডিও বের করে দেখালো। মুহুর্তের মধ্যে আকাশীর পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গেল। আঁখি জোড়া বেয়ে অশ্রুকনা গুলো গড়িয়ে পড়ছে। পুরো শরীর অবশ হয়ে আসছে। চিন্তায় হাত-পা শীতল হয়ে উঠছে। মস্তিষ্ক শূন্য হয়ে গিয়েছে। কোনো ভাবেই মস্তিষ্ক কাজ করছে না। আরাভ আর আকাশীর কথার মাঝে সবাই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। কেউ আরাভের কথার ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছে না। আকাশী ভয়ার্ত দৃষ্টিতে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আরাভ ধাক্কা দিয়ে আকাশীকে দূরে সরিয়ে দিল। অভ্র এক হাতে আকাশীকে আড়াল করে নিল। আরাভ উল্টো দিকে তাকিয়েই বলল,
–এই মেয়েকে আমার সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে যাও। আমার সামনে এই মেয়ে থাকলে, ওকে আমি খু’ন করে ফেলবো। আমার ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে এই মেয়েটা আমার বোন। তোমরা ওকে বি’ষ না দিয়ে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছো কেনো? আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া এমন কু’লা’ঙ্গা’র সন্তান যেন আমাকে না দেন। এই মেয়ের মুখে আবার বড় বড় কথা। আমরা যে তার ভালো চাই। তাই তার চোখে আমরা খারাপ। আর যে তাকে ধংস করে দিচ্ছে সে তার কাছে ভালো। মেয়েটা এতটা ধুরন্ধর হয়েছে। কে আপন কে পর এখন চিনছে না। নিজের হাতে জীবনটা নষ্ট করে দিল। ভাই হয়ে আমাকে এসব দেখতে হল! ছি। কথা টা বলেই বাসা থেকে বের হয়ে গেল। সবার দৃষ্টি আকাশীর দিকে বিদ্যমান। আকাশী দৌড়ে নিজের কক্ষে চলে গেল।
স্মৃতির বাবা-মায়ের সামনে বসে আছে আরাভ। বহু বছর পরে আরাভকে দেখে রাগ পুষে রাখেনি তারা। বেশ নম্র ভদ্র ভাবেই কথা বলেছে। আরাভ গম্ভীর কণ্ঠে চিন্তিত হয়ে বলল,
–মেয়ের সম্পর্কে কি কোনো খোঁজ খবর রাখেন? আরাভের কথায় আদিব রহমান বিস্ময় নয়নে আরাভের দিকে তাকিয়ে আছে। তার চিন্তিত মুখশ্রী বলছে। তিনি আরাভের কথার অর্থ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। আরাভ কিছুটা উচ্চ স্বরেই বলল,
–চার বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। আপনার মেয়ে নেশায় আসক্ত হয়েছে। আপনারা তার এত কাছে থেকেও তার পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারেননি। আরাভের কথায় আবিদ রহমান রাগান্বিত হয়ে বলল,
–তুমি আমার সাথে মজা করছো। আমার মেয়ে কখনো এসব করতে পারে না। আমি আমার মেয়েকে এমন শিক্ষা দেয়নি। আবিদ রহমানের রেগে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তাই আরাভ নরম কণ্ঠে আবিদ রহমানকে বোঝানোর চেষ্টা করল,
–আপনার মেয়ে আপনাদের অনেক ভালোবাসে। আপনারা কষ্ট পাবেন এমন কথা নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে এসে যেচে বলবে না। তবে মেয়ের দিকে নজর রাখা উচিৎ ছিল। আবিদ রহমান কিছুটা গম্ভীর হয়ে বলল,
–আমার মেয়েকে আমি ভালো করেই চিনি। যারা নেশায় আসক্ত হয়। তারা পড়াশোনা ছেড়ে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায়৷ বাসার সবার সাথে বাজে ব্যবহার করে। চেহারা নষ্ট হয়ে যায়। সহজে শরীর বাড়তে চায় না। অতিরিক্ত ঘুম হয়। আমার মেয়ের তো পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হয়নি। আমার মেয়ে দিব্বি ভালো রেজাল্ট করে উত্তীর্ণ হয়েছে। তোমার কাছে কি প্রমাণ আছে? আরাভ একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
–জীবনের লক্ষ্য ঠিক থাকলে সবকিছু করা যায় আংকেল। আপনি একটা দিক বললেন বাকি দিক গুলো বললেন না। আরাভের কথা শেষ হবার সাথে সাথে মুনিয়া বেগম বলল,
–আমার মেয়ের চেহারা আগের থেকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শরীর কিছুতেই বাড়ে না। আবার অতিরিক্ত ঘুমায় মাঝেমধ্যে হুটহাট রেগে যায়৷ একদিন আমি বাসায় ইনজেকশন পেয়েছিলাম। স্মৃতি বলল ওটা স্মৃতি আনেনি। স্মৃতি কখনো আমাদের মিথ্যা কথা বলে না। মুনিয়া বেগমের কথায় আরাভ স্মৃত হেসে বলল,
–তা আপনাদের মেয়ে কোথায়? ডাকুন তাকে। আরাভের কথায় মুনিয়া বেগম চিন্তিত হয়ে বলল,
–স্মৃতি তো বাসায় নেই। মেঘলার মা-বাবা বাসায় নেই। মেঘলা একা থাকতে ভয় পাচ্ছিল। আমাদের বাসায় এসে কান্না করে স্মৃতিকে নিয়ে গেল। মুনিয়া বেগমের কথায় আরাভ তাচ্ছিল্য করে বলল,
–জানি নিজের মেয়ের নামে কেউ বাজে কথা বললে রাগ হবে। আমি আপনাদের একটাও মিথ্যা কথা বলছি না। বিশ্বাস না হলে আমার সাথে চলুন। গিয়ে দেখুন আপনাদের মেয়ের কতটা অধঃপতন হয়েছে। আপনাদের সে ভালোবাসে। আপনাদের কখনোই কষ্ট দিবে না। তাই আপনাদের থেকে সবকিছু আড়াল করে গিয়েছে। মেয়ে বড় হয়েছে স্বাধীনতা দিয়েছেন। আড়াল থেকে খোঁজ নিবেন না মেয়ে কোথায় যায়। আরাভের কথায় মুনিয়া বেগম চিন্তিত হয়ে বলল,
–প্রতিদিন বিকেলে স্মৃতি কেমন জানি জোরে জোরে শ্বাস নেয়। কেমন অস্থির হয়ে উঠে হন্তদন্ত হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আবার সন্ধ্যার মধ্যে বাসায় চলে আসে। স্মৃতির আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট আছে। সেভাবে কখনো ভাবা হয়নি। আমিও কয়েকদিন সন্দেহ করে ছিলাম। কিন্তু পরে মনে হলো আমাদের মেয়ে এমন না। আমার মেয়ের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। মুনিয়া বেগমের কথায় আরাভ অনুরোধের স্বরে বলল,
–আমার কথা বিশ্বাস করতে হবে না। আপনারা শুধু আমার সাথে চলুন। আবিদ রহমান রাগান্বিত হয়ে বলল,
–আমার মেয়ের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। আমি কোথাও যাব না।
–আমার সাথে গিয়ে যদি আপনারা নিরাশ হন। তাহলে আপনারা আমাকে যে শাস্তি দিবেন। আমি সেই শাস্তি মাথা পেতে নিব। স্মৃতি আপনাদের ছাড়া কাউকে ভয় পায় না। ও কারো কথা শুনলে আপনাদের কথাই শুনবে। আরাভের কথায় আবিদ রহমান কিছুটা ভেবে যেতে রাজি হলো।
আজকে প্রথম নাইট ক্লাবে প্রথম প্রবেশ করল স্মৃতি। এতদিন বাসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বেশ ভালো ছিল। বাসার বাহিরে এসে স্মৃতির বেশ অস্বস্তি লাগছে। এখানে ছেলেমেয়েরা গানের তালে একসাথে নাচছে। কেউ বসে মদ্যপান করছে। মেঘলা স্মৃতির কানে কানে বলল,
–আজকে তোকে নতুন জগতে প্রবেশ করালাম। এখন থেকে তুই দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা ফুরফুরে মেজাজে থাকবি। স্মৃতি মলিন কণ্ঠে বলল,
–আমার আর শান্তি চাই না মেঘলা। আমি একটা সুস্থ জীবন যাপন করতে চাই। আমি কেনো ভুল পথে পা বাড়ালাম। এখন আমার ভিষন আপসোস হচ্ছে, প্লিজ তোরা আমাকে উপায় বলে দে। আমি কিভাবে এসবের থেকে মুক্তি পাব? স্মৃতির কথার গুরুত্ব না দিয়ে মেঘলা ম’দ’পা’ন করতে চলে গেল। একটু পরে এক গ্লাস নিয়ে এসে স্মৃতি সামনে ধরলো। স্মৃতি হাত বাড়িয়ে নেওয়ার আগেই কেউ গ্লাসটি ধরে ফেলল। আরাভ শুধু স্মৃতির বাবা-মাকে দেখানোর জন্য স্মৃতি শরীরে মিছে আঘাত করার চেষ্টা করল। আরাভ স্মৃতিকে থা’প্প’ড় দেওয়ার আগেই স্মৃতি আরাভের গালে ক’ষে থাপ্পড় বসিয়ে দিল। রাগান্বিত হয়ে আরাভের দিকে দৃষ্টিপাত করে রয়েছে। স্মৃতির এতটা এতটা অধঃপতন হয়েছে। তারা এতটা কাছে থেকে ধরতে পারল না। আবিদ রহমানের মনে হচ্ছে, তার বুকে কেউ তীর দিয়ে আঘাত করেছে। বুকটা ব্যাথায় চিনচিন করে উঠছে। মেয়েকে বেশি স্বাধীনতা দেওয়ার ফল হারে হারে টের পাচ্ছে। স্বাধীনতার পাশাপাশি যদি একটু শাসন করতো। তাহলে আজকে এই দিন দেখতে হতো না। আবিদ রহমান রক্তিম চোখে মেয়ে দিকে এগিয়ে গেল। আরাভকে সরিয়ে দিয়ে মেয়ের গালে থা’প্প’ড় বসিয়ে দিল।
চলবে…..
(সমাপ্ত)
(কি অবাক হয়েছেন। জানি হবেন না। চলবে লিখার পরেও সমাপ্ত লিখেছি। কারনটা আশা করি সবার জানা হবে। ১৭ তারিখ থেকে পরীক্ষা তিন দিন ধরে বিছানায় পড়ে আছি। আগেই ৭০০ শব্দ লিখা ছিল। ১৬০০+ করে পোস্ট করতে আসলাম। পরীক্ষা, অসুস্থতা, চিন্তা সবকিছু মিলিয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি। আমার পক্ষে আর সম্ভব হলো না। তাই গল্পের প্রথম পরিচ্ছদ শেষ করে দিলাম। আমার ওপরে কেউ রাগ করেন না প্লিজ বাধ্য হয়েছি শেষ করতে। আমি জানি গল্পের অনেক কিছু বাকি আছে। পরীক্ষা শেষ হলেই নিয়মিত গল্প দিব ইনশাআল্লাহ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারি আর পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারি। গল্পটার প্রথম পরিচ্ছেদ এখানেই শেষ। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে সুস্থ থাকলে আবার সবার সামনে গল্পের দ্বিতীয় পরিচ্ছদ নিয়ে হাজির হব। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। নিজের খেয়াল রাখবেন। আল্লাহ হাফেজ।)
যারা আমার গল্প পড়তে পারবেন বলে মন খারাপ করছেন। তারা চাইলে আমার ই-বুকটা কিনে পড়তে পারেন।
পড়ুন ই বই “দুঃখবিলাসী”
https://link.boitoi.com.bd/KWW4
যেভাবে বইটই থেকে ই-বুক ক্রয় করবেন:
যেভাবে বইটই থেকে প্রিয়জনকে বই গিফট করবেন:
অন্য দেশ থেকে কিভাবে বইটই অ্যাপে ই-বুক ক্রয় করবেন:
সবাই রেটিং ও রিভিউ দিবেন।