নীলফড়িং #ফারহানা_হাওলাদার_প্রকৃতি #পর্ব ৪

0
218

#নীলফড়িং
#ফারহানা_হাওলাদার_প্রকৃতি
#পর্ব ৪
.
.
এভাবেই দিন গুলো চলতে লাগল, দিন যায় রাত যায়, আজকাল আর রাবীত নামক অমানুষকে দেখতে হয় না। খুব ভালো করেই জীবন এগোতে লাগল। আজ আমার জন্মদিন ছিল। যেই থেকে বুঝতে শুরু করেছি সেই থেকে কখনো বার্থডে উৎযাপন করি নি। জন্মদিনের দিন, নিজের হাতে রান্না করে বাচ্চাদের খাওয়াতে বেশ লাগে আমার কাছে। এই কয়েক বছর যাবত আমি নিজের হাতে রান্না করে এতিম বাচ্চাদের বাড়িতে এনে খাওয়াই। আব্বু মা দুজনেই আমাকে এই বিষয়ে প্রচুর Help করেন। আজও তার ব্যাতিক্রম কিছু হলো না। আগের দিন আব্বু মাদ্রাসায় দাওয়াত দিয়ে আসল। আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে আমি মায়ের সাথে মিলে সব গোছাতে লাগলাম।

সব গুছানো শেষ করে রান্না চড়ালাম। রোস্ট, পোলাও, গরুর মাংস, একটা কেক। কেক তো আগেই বানিয়ে রেখে দিয়ে ছিলাম শুধু ডেকোরেশন বাকি। তাই বাকি রান্না গুলো এক এক করে সেরে নিলাম। মা প্রচুর সাহায্য করল।

আমি রান্না শেষ করে ১২:৩০ মিনিট এর দিকে ফ্রেশ হয়ে কেক ডেকোরেশন নিয়ে বসে পড়লাম।

কেক ডেকোরেশন শেষ করতে করতে বাচ্চারা সব এসে পড়ল। আব্বু ওদের ড্রইং রুমে শীতল পাটির উপর সুন্দর করে বিছানা বিছিয়ে সেখানে বসিয়ে দিলেন। আব্বু আর দারোয়ান আঙ্কেল দুজনে মিলে খাবার সার্ফ করল। সাথে একজন হুজুরও এসেছেন, যেহেতু বাচ্চা গুলো খুব ছোট ছোট তাই ওদের একা ছাড়ে না মাদ্রাসা থেকে।

ওরা খাবার শেষ করে বসলো। আমি কেক কেটে পিস পিস করে প্লেটে তুলে দিলাম। আব্বু এসে নিয়ে গেল। খুব ভালো লাগছে পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম মা আর আমি। মনের মাঝে প্রচুর ভালো লাগা কাজ করছে। মাঝে মাঝেই এমন কিছু আমি করে ফেলি, কখনো শুক্রবার রান্নাঘরে যাই, নিজেদের জন্য রান্না করতে গিয়ে একটু বেশি করেই রান্না করে ফেলি। পড়ে বক্স ভরে নিয়ে চলে যাই, পথের পাশে অসহায় বাচ্চাদের, বা বুড়ো মানুষদের হাতে তুলে দেই সে খাবার। ইচ্ছে তো করে রোজই করি এমন কিছু না কিছু, কিন্তু কী করব? সব সময় সামর্থ থাকে না যে। কিন্তু যখনই মনে হয় কিছু করে ফেলি।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে হসপিটালে চলে এলাম। সন্ধ্যার দিকে বসে ছিলাম কিছু কাজ করছিলাম। ঠিক তখনই একজন লোক এসে বলে উঠলেন।

…….পুস্পিতা কে?

…..জ্বি আমি।

…….আপনাকে ফাইয়াজ স্যার তার ক্যাবিনে ডেকেছেন।

…….জ্বি আপনি যান আমি আসছি।

সে চলে গেল, আমি উঠে ফোনটা হাতে নিয়ে এগিয়ে গেলাম। ফাইয়াজ স্যারের ক্যাবিনের সামনে এসে দেখলাম অনেক পেশেন্ট বসে রয়েছে, কেউ আবার দাঁড়িয়ে আছে। আমি ক্যাবিনের সামনে গিয়ে স্যারের এসিস্ট্যান্ট কে জিজ্ঞেস করলাম।

……স্যার কী ফ্রী আছে এখন? আমাকে ডেকেছিল।

……এক মিনিট আমি জিজ্ঞেস করে দেখছি।

সে দরজা ঠেলে জিজ্ঞেস করল। এরপর এসে বলে উঠল।

……আপনাকে একটু অপেক্ষা করতে বলেছেন স্যার।

……ওকে।

আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখছিলাম বারবার। এর মধ্যে এসিস্ট্যান্ট এগিয়ে এসে বলল।

…….স্যার আপনাকে ভেতরে ডেকেছেন।

আমি দরজা ঠেলে ভেতরে যেতে নিয়ে বলে উঠলাম।

……আসবো স্যার?

……হ্যা এসো।

আমি ভেতরে যেতেই স্যার বলে উঠলেন।

……..তুমি প্রচুর কিপ্টে।

…….এই কথা কেনো বলছেন স্যার?

……বসো। আমি সেই কবে তোমার কাছে এক কাপ কফি খেতে চেয়েছিলাম, বাট আজ পর্যন্ত তুমি মুখ ফুটে একদিন জিজ্ঞেস করেও দেখলে না।

…….ক্ষমা করবেন স্যার।

…….ক্ষমা চেয়ে আর কী হবে? এখন যদি আমি অফার করি যাবে তো?

…….বাট স্যার অনেক পেশেন্ট রয়েছে সিরিয়ালে।

…….হ্যা পেশেন্ট তো রোজই থাকে, তাই বলে কী কফি খাওয়া নিষেধ নাকি?

……না তা কেনো হবে? বাট এখন গেলে সবাই কী ভাববে? তার থেকে বরং কাল, কাল তো আমার ডিউটি সকালে পড়েছে, বাসায় ফেরার পথে।

…….হুম বুঝতে পারছি ইগনোর করছ?

…….নো স্যার বাট…….?

…….ওকে তবে (একটা চকলেট বক্স বের করে সামনে দিয়ে) আমি জানতাম তুমি যাবে না, তাই এটা তোমার জন্য। and happy birthday. আর এটা তো নিতেই পারো তাই-না?

…….জ্বি স্যার ধন্যবাদ।

…….আর ধন্যবাদ দিয়ে কী হবে? আচ্ছা তবে যাও।

……Sorry স্যার।

……আরে Sorry বলতে হবে না, আমি জাস্ট ফান করছিলাম। এখন বাহিরে যাওয়াটা আমার জন্যেও সহজ নয়। কারণ সত্যি অনেক পেশেন্ট রয়েছে।

…….ওকে স্যার এখন আসছি?

…….হুম যাও।

আমি স্যারের ক্যাবিন থেকে বের হয়ে চলে এলাম।

ডিউটি শেষ করে যখন বাড়ি ফিরবো হসপিটালের সামনে এসে দাঁড়াতেই দেখলাম আব্বু দাঁড়িয়ে আছেন আমার জন্য, আমাকে দেখে হাসি মুখে এগিয়ে এলেন। আব্বুর সাথে গাড়ীতে উঠে বাড়িতে চলে এলাম।

বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে গিয়ে বসে পড়লাম, খাবার খেতে খেতে মা বলে উঠলেন।

……তোর নামে সন্ধ্যায় একটা পার্সেল এসেছে।

…….তাই? কে পাঠিয়েছে?

……কী জানি নাম যা লেখা ছিল মনে হচ্ছে না। তোর রুমে রাখা আছে দেখে নিস।

……ওকে।

রুমে গিয়ে দেখলাম একটা লাল গোলাপ ফুলের তোরা রাখা তার সাথে একটা বক্স আমি এগিয়ে গিয়ে ফুলের মাঝ থেকে একটা খাম বের করে ছিড়ে দেখলাম, সেখানে লেখা রয়েছে।

……শুভ হোক আপনার জন্মদিন। ভালো কাটুক আগামীর পথ চলা। সব দুঃখ হারিয়ে যাক, ভালোবাসা গুলো চির স্থায়ী হোক। এই শুভ কামনাই রইলো, আপনার প্রতিটি দিন গুলোতে।

ইতি
আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী

খুব ভালো লাগছে এমন একটা শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়ে। বাট তারপরও যে প্রচুর ভয় কাজ করছে মনে, আবার যদি কোনো ভুল কিছুকে ভালো মনে করে আপন ভেবে নেই তাই। বক্সটা হাতে নিয়ে খুলে দেখলাম, সেখানে এক জোরা নুপুর রাখা আছে খুব সুন্দর ছিল নুপুর দুটো। বিছানায় শুয়ে নুপুর জোরা দেখতে দেখতেই এক সময় ঘুমিয়ে পড়লাম।

পরদিন ডিউটি শেষ করে বের হতেই দেখলাম স্যার গাড়ীতে উঠতে নিয়ে যখন চোখ পড়ল আমার দিকে থেমে গেল। আমি তার সামনে গিয়ে থেমে যেতেই সে বলে উঠলেন।

…….কী ম্যাডাম আজ কী বলবেন?

……কফি চলবে?

স্যার হেঁসে দিয়ে মাথা নাড়াল। আমি গাড়ীতে উঠে বসে পড়লাম। ভাবছি স্যার এত করে বলছেন না গেলে খারাপ দেখা যায় তাই বললাম।

……আজ তবে আমার উপর দয়াটা হয়েই গেল?

……না ওই আসলে।

……ঠিক আছে সমস্যা নেই। বলেছ যে এটাই অনেক।

একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে দুজনে কফি অর্ডার করে বসে পড়লাম।

…….তা তোমার সামনে কী প্লান রয়েছে?

……আমার তেমন কোনো প্লান নেই তবে হ্যা ভাবছি বাহিরে গিয়ে পড়াশোনা কমপ্লিট করব। আমি চাই কয়েক জন নয় আমাকে লক্ষাধিক মানুষ চিনবে। তাই খুব বড় না হতে পারি ভালো একজন ডক্টর যাতে হতে পারি এই স্বপ্ন নিয়েই আমার বাকিটা পথ চলা।

…….খুব ভালো আমিও চাই যাতে তুমি তোমার স্বপ্ন গুলো কে পূরণ করতে পারো। আমার পক্ষ থেকে প্রচুর শুভকামনা রইল তোমার জন্য।

…….ধন্যবাদ স্যার।

কফি চলে এলো। দুজনে কফি শেষ করে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসলাম।

এভাবেই দিন গুলো চলতে শুরু করল। সময় যে কীভাবে যাচ্ছে তা বোঝার ক্ষমতা আমাদের অন্তত পক্ষে নেই। ধীরে ধীরে অনেকটা সময় পারি দিয়ে এলাম, আস্তে আস্তে কেটে গেল দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর। বাহিরে যাবার সময়’টাও খুব কাছে ঘনিয়ে এলো। সব রেডি হয়ে গেছে দু-দিন পরেই আমি রহণা দেবো। তাই আত্মীয়স্বজনরা এসে দেখা করে যাচ্ছে, আবার আমিও গিয়ে অনেকের সাথে দেখা করে আসছি।

দুপুর দিকে খাবার খেয়ে না ঘুমিয়ে ছাদের এক পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। কান্না পাচ্ছে সবাইকে ছেড়ে চলে যাবো এতদিনের জন্য? মা আব্বু কে একা রেখে পারি জমাব অচিন দেশের মাটিতে? ভয় হয় তবুও তো যেতে হবে। এমন সময় কেউ পেছন থেকে বলে উঠল।

…….চলে যাচ্ছ সবাইকে ফেলে?

আমি চোখ মুছে পেছনে তাকিয়ে দেখলাম স্যার দাঁড়িয়ে আছে, তাকে দেখে কিছুই বলতে পারছিলাম না, সে আবারও প্রশ্ন করল।

…….কী হলো কথাও বলার ইচ্ছে নেই নাকি?

……(আমি অপর দিকে ঘুরে গিয়ে) আপনিও তো গিয়েছিলেন।

……হুম গিয়েছিলাম। আমি কী বারণ করেছি তোমাকে যেতে? শুধু জিজ্ঞেস করছি। আমি কিন্তু এতটাও খারাপ নই যে তোমাকে যেতে বারণ করব। তুমি যাও আর কেউ চায় বা না চায় আমি চাই তুমি সফল হয়ে আসো। তুমি একজন ভালো ডক্টর হয়ে ফিরে আসো। তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আমার পক্ষ থেকে। তোমার যেকোনো সমস্যায় আমাকে একটু স্বরণ করলেই হবে, ইন’শা’আল্লাহ আমি চেষ্টা করব তোমার পাশে থাকতে। এটা মনে রাখবে সব সময় আমি কিন্তু সেইম দেশেই ছিলাম, ওখানের অনেক কিছু সম্পর্কে আমার ধারণা রয়েছে। তাই তোমার যখন ইচ্ছে তুমি আমাকে জানাতে পারবে, আমি তোমার যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করব ইন’শা’আল্লাহ।

…….ধন্যবাদ স্যার, অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সাহস বাড়ানোর জন্য। আসলে আমি নিজের উদ্দেশ্য থেকে নড়ে যাচ্ছি, আপনার কথায় কিছুটা হলেও সাহস পাচ্ছি। আর সব থেকে বড় কথা মা, আব্বু কে দেখার জন্য তো আমি ছাড়া কেউ নেই। তাদের একা রেখে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

…….আচ্ছা আমি কী তোমার সেই ভরসার হাত হতে পারি?

…….জ্বি স্যার?

…….আমি যদি তোমার অ-বর্তমানে আন্টি আঙ্কেলের খেয়াল রাখি তবে কী কিছুটা হলেও তোমার কষ্ট কম হবে?

…….একটু না স্যার অনেক কম হবে। বাট আপনি এত ব্যস্ত মানুষ, তার মধ্যে আমার জন্য এত কেনো করবেন?

…….প্রথমত আমাকে একজন বন্ধু ভাবতে পারো। দ্বিতীয়ত আঙ্কেল আমাকে খুব স্নেহ করে। তাই হয়ত আমি তোমাদের জন্য এতটুকু করতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করব। আর যেহেতু আমরা একি এলাকার বাসিন্দা তাই এতটুকু তো করাই যায় একজন অন্য জনার জন্য।

আমি চোখের পানি মুছে একটু হাঁসলাম।

…….তবে ওখানে গিয়ে আবার আমাদের ভুলে যেওনা কিন্তু।

……ইন’শা’আল্লাহ স্যার আপনি আমার জন্য অনেক করেছেন, এবং করছেন, আপনাকে ভুলে যাওয়া কী আর এতটা সহজ হবে?

স্যার তার পকেট থেকে একটা ছোট বক্স বের করে আমার সামনে ধরল।

…….এটা তোমার জন্য, এটা তোমাকে সব সময় সাহস যোগাবে। যখনই তুমি নিজেকে একা মনে করবে, এটা চোখের সামনে ধরবে, দেখবে নিজেকে আর একা মনে হবে না।

…….ধন্যবাদ স্যার।

আমি স্যারের থেকে গিফট নিলাম। স্যার কে উদ্দেশ্য করে বললাম।

…….স্যার একটু অপেক্ষা করবেন, আমি এখনি আসছি।

…….ওকে আছি আমি।

আমি ছুটে গিয়ে রুম থেকে একটা শপিং ব্যাগ নিয়ে আবার ছুটে আসলাম। এসে দেখলাম স্যার এখনো দাঁড়িয়ে আছেন। আমি স্যারের সামনে ব্যাগটা ধরে বলে উঠলাম।

…….স্যার এটা আপনার জন্য আমি নিয়ে ছিলাম বাট দিতে সাহস পাচ্ছিলাম না, যদি আপনি না নেন তাই। প্লিজ স্যার।

…… নেবো না কেনো? তুমি খুশি হয়ে আমাকে একটা গিফট দিচ্ছ আর আমি তা নেবো না এটা কেমন হয় বলো? নিশ্চয়ই নেবো।

…….ধন্যবাদ স্যার।

আরও কিছুক্ষণ কথা বলে স্যার চলে গেলেন। আমিও নিচে এসে আমার রুমে গিয়ে স্যারের দেওয়া গিফট ব্যাগে রেখে দিলাম না দেখেই। কারণ ওখানে বসে যখন মন খারাপ হবে তখন দেখব এটা এই ভেবে।

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম, আজ আমি মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে ছিলাম। কারণ আর যদি এই সময় গুলো ফিরে না পাই? কখনো যদি হারিয়ে যায় এই সময় গুলো আমার হাত থেকে, তখন এই স্মৃতি গুলো মনে করে একটু তো শান্তি পাবো।

ব্রেকফাস্ট করে ড্রইং রুমে গিয়ে বসলাম, হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠল। আমি গিয়ে দরজা খুলে দেখলাম একজন লোক পার্সেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

…….জ্বি?

…….পুস্পিতা কে?

……জ্বি আমি। কিন্তু কেনো?

……আপনার জন্য পার্সেল আছে। এখানে একটা সিগনেচার করেন।

আমি সিগনেচার করে দিতেই সে আমার হাতে একটা পার্সেল ধরিয়ে দিল। সে চলে গেল। আমি দরজা আঁটকে ভেতরে এসে ছোপায় বসে পার্সেলটা খুলতে শুরু করলাম।

পার্সেলটা খুলে আমি অবাক কারণ পার্সেল-টা সেই শুভাকাঙ্ক্ষী পাঠিয়েছেন। আমি বের করে দেখলাম, বেশি কিছু নয় শুধু একটা লাল গোলাপ, সাথে একটা ডায়েরি ছিল। ডায়েরির সাথে কসটেপ দিয়ে গোলাপ ফুলটা লাগানো ছিল। ডায়েরির প্রথম পৃষ্ঠা উল্টাতেই একটা গান বেজে উঠল। গানটা ছিল।

♪ ♬ ♩ ♪ ♬ বিদেশ গিয়া বন্ধু তুমি আমায় ভুইলো না চিঠি দিও পত্র দিও জানাই ও ঠিকানা। ♩ ♪ ♬ ♩ ♪ ♬

দ্বিতীয় পৃষ্ঠা উল্টাতেই দেখলাম লেখা রয়েছে।

ভুলনা আমায়।

ইতি
তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী

একটু হাঁসলাম। মাঝে মধ্যে মনে হয় স্যারের কথাই ঠিক আমি একটু কিপটে, কারণ হাসির মাঝেও আমি সব সময় কিপ্টেমি করে ফেলি।



চলবে………..।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here