#নিশীভাতি
#২৭তম_পর্ব
ফাইজান মুখখানা লুকালো হুমায়রার বুকে। আহত স্বরে গোঙ্গালো,
“আমি কিছু করি নি, আমি সত্যি ই কিছু করি নি”
ফাইজানের কন্ঠ বেদনাতুর। উত্তাপ অনুভব হলো হুমায়রার ত্বকে। প্রচন্ড শীতেও ফাইজানের দেহ ঘামছে অস্বাভাবিকরুপে। হুমায়রা বিচলিত হলো। কপালে হাত রাখলো। উত্তপ্ত কপাল যেন জ্বলন্ত কয়লা। দুশ্চিন্তা প্রখর হলো হুমায়রার। মানুষটির জ্বর এসেছে। কিন্তু উঠার সুযোগ নেই। আষ্টেপৃষ্টে তাকে জড়িয়ে রেখেছে ফাইজান। বারংবার এক বিলাপ। হুমায়রা উঠতে চাইলে ফাইজানের বাধন দৃঢ় হলো। ফলে উপায় না পেয়ে তাকে শান্ত করার চেষ্টাই করলো। মাথায় হাত বুলিয়ে মৃদু স্বরে বললো,
“আমি জানি আপনি কিছু করেন নি। শান্ত হন”
বেশ কিছুক্ষণ বাদে ফাইজান ক্ষান্ত হলো। নিঃশ্বাস ভারী হলো। হুমায়রা বুঝলো মানুষটি ঘুমিয়ে গেছে। হুমায়রার হাত এখনো ফাইজানের ভেজা চুলের ভেতর। নিলীন চোখ দেখছে ফাইজানের শান্ত মুখ। মানুষটির কপালে এখনো ভাঁজ। হয়তো জ্বরের ঘোর নয়তো বাজে দুঃস্বপ্ন। তাই তো এমন বিলাপ বইছে। সকাল অবধি জ্বরটা সেরে গেলেই হয়। অবশ্য জ্বরের কি দোষ! মানুষটি কি কম বেখেয়াল। কয়েকদিন যাবৎ তার দর্শন পাওয়াটাও কঠিন হয়েছিলো। মিটিং আর মিটিং। রাজনীতিবিদরা বুঝি এতোটাই ব্যস্ত থাকে! সাতপুরুষে কখনো কেউ রাজনীতি করে নি। তাই হুমায়রাও জানে না। স্বামীর জন্য-ই যা একটু জানা। সামনের মাসে ভোট। কিছুদিন পর প্রচারের কাজ শুরু হবে। তাই তো পরশুদিন তাদের বৌভাত অনুষ্ঠিত হবে। কারণ ফাইজান তখন বাড়ি আসবে না। বেশিরভাগ সময় তাকে পার্টির অফিসেই থাকতে হবে। এখন ই মানুষটির শরীরের এই অবস্থা না জানি এর পরে কি হয়! ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো হুমায়রা। ফাইজানের দেহের উত্তাপ তাকে পুড়িয়ে দিচ্ছে কিন্তু নড়ার সুযোগ নেই। কারণ মানুষটি এখন গভীর ঘুমে। হুমায়রার শরীরটা ক্লান্ত লাগছে খুব। ফলে কখন চোখ বুজে ফেললো নিজেও টের পায় নি।
****
শীতের শিশিরভেজা প্রভাত। সূর্যের কিরণ তখন ও চিরতে পারে নি কুয়াশার পরদ। চারিদিকে তখনও আঁধার। বাগানের পাতাহীন বরই গাছে বসে কালো কাকটাও অলস ভঙ্গিতে ডাকছে। সেই সাথে স্নিগ্ধ আযানের সুর ইলহার ঘুম ভাঙ্গলো সেই সুর। পিটপিট করে চোখ খুলতেই নিজেকে আবিষ্কার করলো রাশাদের শক্ত বাধনে। মানুষটি ঘুমাচ্ছে এখনো। ইলহার গালজোড়া ধারণ করলো অব্যক্ত লজ্জা। খুব সতর্কতার সাথে নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করলো। কিন্তু পারলো না তার পূর্বেই তন্দ্রাতুর ভারী স্বরে মানুষটি বলে উঠলো,
“কোথায় যাচ্ছেন?”
ঘুমঘোর চোখে তাকালো রাশাদ। আরোও শক্ত করে স্ত্রীকে কাছে টেনে নিলো সে। নিস্তব্ধ ঘরটায় তখন শীতর সমীরের আনাগোনা। কম্বলের ভেতরও টের পাওয়া যাচ্ছে হিম। সেই হিমের ভেতর উষ্ণ উদাম বুকের সাথে লেপ্টে আছে ইলহা। মানুষটির ঘোরলাগানো চাহনীর দিকে তাকাতেও লজ্জা লাগছে। গতরাতের সুখময় অনুভূতি এখনো প্রগাঢ় স্মৃতিতে। ইলহার নতদৃষ্টিতে মৃদু হাসলো রাশাদ। ধীর স্বরে বললো,
“আজ একত্রেই নামায পড়বো”
বলেই স্ত্রীর নত নেত্রপল্লবে চুমু আঁকলো। এরপর উঠে পড়লো রাশাদ। ইলহা জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে রইল। হৃদয়ে দামামা বাজছে। স্পন্দন বাড়লো মুহূর্তেই। খুব করে বুঝতে পারলো মানুষটির মোহ তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে গেছে।
ভেজা চুলে গামছা পেঁচিয়ে গোসল সেরে বের হলো ইলহা। মুখে লেপ্টে আছে বর্ণহীন জলকনা। ঘরে এসেই দেখলো মানুষটি জায়নামাজ বিছিয়ে আছে। অপেক্ষা করছে তার স্ত্রীর জন্য। ইলহা আর কিছু শুধালো না। নামাযে দাঁড়ালো স্বামীর পাশে। মোনাজাতে হাত উঁচিয়ে একটা দোয়াই করলো,
“আল্লাহ এই মানুষটির পাশে শুধু ইহকাল নয়, পরকাল অবধি থাকতে চাই। সেই তাওফিক দিও”
*****
চায়ের দুধ উতলে যাচ্ছে। চুলার আঁচ বাড়ানো। চামেলী ছুটে এসে আগুনের তাপ কমালো। হুমায়রা তখনও অন্যমনস্ক। ফলে সে চিন্তিত স্বরে শুধালো,
“ভাবীসাব কিছু হইছে নি?”
হুমায়রার স্বম্বিত ফিরলো। নিজেকে সামলে মাথা নাড়ালো। তার চিন্তা তো সেই ফাইজানেই আটকে আছে। ঘুম ভাঙ্গতেই পাশের স্থানটি ফাঁকা দেখলো। বিছানা শীতল। প্রথম যা মনে এল, “মানুষটির জ্বর কি কমেছে?”
কিন্তু শুধানো হলো না। কারণ মানুষটিকে পায় নি। নামায পড়েও দুবার খোঁজ নিয়েছে। এমন কি নাস্তার সময়ও সে ছিলো না। পরে জানতে পারলো সে ফরিদ ভাইয়ের সাথে বেরিয়েছে। মানুষটির জন্য এখনো চিন্তা কাটে নি। এই জ্বরের ভেতর বের হওয়া কি সত্যি দরকার ছিলো!
আজ নাস্তা বানানোর দায়িত্ব ইলহা নিজ ইচ্ছাতেই নিয়েছে। হুমায়রা এবং চামেলী কেবল সহায়তা করেছে। ভুনা খিঁচুরি আর মাংস ভুনা। নাস্তার টেবিলে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। শামসু মিঞা তৃপ্তি করে খেলেন। খাওয়া শেষে ইলহাকে ডাকলেন, তৃপ্ত স্বরে বললেন,
“বুবু, তোমার সাথে বরকত আছে। মেলা তৃপ্তি পাইছি”
বলেই একটা রুপার দুল হাতে দিলেন। ইলহা নিতে চাইলো না। কিন্তু রাশাদের সম্মতিতে নিলো। এই দুলটা শামসু মিঞার মায়ের বিয়ের দুল। রাশাদের বউ এর মুখ দেখে নিয়ত ছিলো আজ সেই নিয়ত পূর্ণ হলো। এর মাঝে হুমায়রার বউভাতের কথা উঠলো। শরীফা তখন প্রস্তাব দিয়ে বসলো,
“আপনারা আগামীকাল অনুষ্ঠানের পর ই চলে যাবেন কেনো? কয়টা দিন মেয়ের কাছে থেকে গেলে হতো না?”
শরীফার প্রস্তাব আতিয়া খাতুনের মনে ধরলেও রাশাদ বাধ সাধলো। বিনয়ী স্বরে বললো,
“না চাচী, তা হয় না। বোনের শ্বশুরবাড়ি এতোদিন থাকা, ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু। একেই আমার বিয়েটা হুট করেই হয়েছে এখানে। যদিও সেটা পরিস্থিতির কারণে। কিন্তু তাই বলে বৌভাতের পরও এখানে থাকাটা বেমানান। কথা যখন উঠলোই, তাহলে আমার কথাটাও বলি।আমার একটা অনুরোধ, হুমায়রার বৌভাতের পর আমরা আমাদের সাথে হুমায়রাকে নিয়ে যাবো।”
“যে কি কথা? নাইওরিতে মেয়ে যায়, কিন্তু ফাইজানের তো সময় হবে বলে মনে হয় না”
“সেটা তো জানি, ফাইজান সাহেব ব্যস্ত মানুষ। সামনের প্রচারের ওয়ার্ক। তাকে বিরক্ত করবো না বলেই আমরাই হুমায়রাকে নিয়ে যেতে চাই”
শরীফার মন খারাপ হয়ে গেলো। হুমায়রার সাথে তার সম্পর্কটা শ্বাশুড়ী বউ কম বন্ধুত্বের বেশি। তার বাচালতাকে মেয়েটি খুব সুন্দরভাবে মানিয়ে নিয়েছে। তার পাগলামীগুলোতেই সে সায় দেয়। সারাদিন তার সাথে থাকলে একাকীত্ব অনুভূত হয় না শরীফার। কিন্তু এখন মেয়েটিকে তারা নিয়ে যেতে চাইছে। সে নাও করতে পারছে না। কারণ তাদের অধিকারও আছে। শরীফা নিভু স্বরে বললো,
“ওর তো পরীক্ষা জুনে, ততদিন না হয় আমাদের এখানেই থাকলো। আমি ভেবেছি ওকে ভালো কোচিংএও ভর্তি করিয়ে দিবো”
“সে তো অনেক দেরি। এখন কিছুদিন যদি ঘুরে আসতো তাহলে কি খুব মন্দ হবে?”
“বলি ভোটটা হলেই তো কলেজ খুলে যাবে। তখন না হয় একেবারেই ফাইজান ওকে দিয়ে আসবে”
এর মাঝে শামসু মিঞা বলে উঠলেন,
“ভোট তো অনেক দূর মা, এক সপ্তাহ খানেক মেয়েটা আমাদের কাছে থেকে আসুক”
বৃদ্ধের কথায় যুক্তি তুললো না শরীফা। অবশেষে সে রাজি হতে বাধ্য হলো। ঠিক হলো বৌভাতের পর ই সে রাশাদদের সাথে যাচ্ছে।
****
মধ্যাহ্নের প্রথম ভাগ। তপ্ত প্রখর রোদ্দুরে ভিজে লেপ্টে আছে শার্ট। ঘরে এসেই জোরে ফ্যান ছেড়ে দিলো ফাইজান। শীতের হিম আজ কম। সোয়েটার পরাটা ভুল হয়েছে। তিনটে মিটিং করে আসলো সে। তার মাঝে দুটো প্রাতিষ্ঠানিক আর একটি গোপনীয়। প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদকের বাসায়। তৌফিক সাহেবের দমনের ব্যাপারটায় পার্টি অফিসে বেশ হৈ-হল্লা। দল দু ভাগে বিভক্ত হয়েছে যেনো। বৃদ্ধ প্রবীন সমাজ, নবীনদের এই আগমণটা মানতে পারছে না। তৌফিক সাহেবের আসনের প্রার্থী জেলা যুব সংগঠনের প্রাক্তন সেক্রেটারি। এতো প্রবীন নেতাকে সরিয়ে একটা ছোকরাকে সেই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ব্যাপারটি কেউ ই নিতে পারছে না। তৌফিক সাহেব তো রাগের বশে বলেই দিয়েছেন, “তাকে পারিবারিক রোষে ফাইজান ফাসিয়েছে”— যদিও ব্যাপারটিতে কেউ সমর্থন দেয় নি। কিন্তু কখন পাশা পালটে যাবে হিসেব নেই। সিগারেটের শেষ টানটি দিতে দিতে মস্তিষ্কে ছক কষছিলোই তখনই ঘরে প্রবেশ করলো হুমায়রা। চোখাচোখি হলো তাদের। হুমায়রার হাতে খাবারের প্লেট। ফাইজান একটু নড়েচড়ে উঠলো। হাতের সিগারেটটি পিষে দিলো দানীতে। মেয়েটিকে দেখেই সকালের স্মৃতি হানা দিলো ফাইজানের মস্তিষ্কে। নিলীন চোখে চেয়ে রইলো সে অষ্টাদশীর দিকে। সকালের সেই নিশ্চুপ, শান্ত মুখশ্রী ঘামে লেপ্টে আছে। হুমায়রা খাবারের প্লেট এগিয়ে দিতে দিতে মৃদু স্বরে বললো,
“অসুখের মধ্যে খালি পেটে এগুলো খাওয়া উচিত নয়। আরোও শরীর খারাপ হবে”
“মুখটা তেতো হয়ে আছে। তাই খাবারে অরুচি লাগছে”
“ধোঁয়া খাবার সময় মুখ তেতো লাগে না?”
হুমায়রা নিষ্পাপ স্বগোতক্তিতে হেসে ফেললো ফাইজান। তর্কে গেলো না। প্লেটটি নিয়ে খেতে বসলো। খুব জোর করে পাঁচ ছয় লোকমা খেয়েই উঠে পড়লো। জ্বরের ঘোরে কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। হুমায়রার ইচ্ছে হলো শুধাতে,
“কি খেতে ইচ্ছে করছে বলুন, আমি বানিয়ে দিচ্ছি”
কিন্তু শুধানো হলো না। তার পূর্বেই ফরিদ চলে এলো। একবার অফিসে যেতে হবে। ওয়ার্কার সাথে কথা বলতে হবে। ফাইজানও আর অপেক্ষা করলো না। তাড়াতাড়ি গোসলে চলে গেলো। চিপচিপে শরীরে এখন যাওয়াটা ঠিক হবে না। ফলে হুমায়রা ফরিদকে শুধু একবার বললো,
“উনার দিকে খেয়াল রাখবেন ভাই, শরীরটা ভালো নয়”
****
বউভাতের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো ফাইজানদের বাড়িতেই। বড় হাড়িতে রাধা হচ্ছে খাসির বিরিয়ানি। আলোকসজ্জায় নববধুরুপে সেজেছে ঘর। বড় বড় নেতাগোতা থেকে শুরু করে মানুষের ঢল পড়লো। সেচ্ছাসেবক সংঘঠনের সাধারণ সম্পাদক আনভীর ফাইজানের খুব ভালো বন্ধু। একত্রে তারা রাজনীতিতে হাতেখড়ি দিয়েছে। কলেজের ছাত্র রাজনীতি থেকে এই পথচলা। বন্ধুর বিয়েতে বন্ধুর পা টান দেওয়া সকল বন্ধুর অধিকার। সেই সুবাদে সেও ছাড়লো না ফাইজানকে। মজা করে বললো,
“না জানিয়ে তলে তলে ঠিক বিয়ে করে নিলি?”
“তলে তলে মানে?”
“বাহ রে! একটিবার ও ঘুণাক্ষরেও টের পাই নি আর বলছিস তলে তলে মানে!”
ফাইজান নিঃশব্দে হাসলো। তারপর বিদ্রুপের স্বরে বললো,
“তুমি তো দেখছি পত্রিকা পড়া ছেড়ে দিয়েছো। পড়লে জানতে আমি কিছুই তলে তলে করি না। বিয়ে আমার হেডলাইনেও এসেছে”
এর মাঝেই স্টেজে এনে বসানো হলো হুমায়রাকে। গোলাপি রঙ্গের সিল্কের শাড়ি, মাথায় সাদা ওড়ণা। সদ্য ফুটন্ত গোলাপের ন্যায় স্নিগ্ধ কিশোরীর দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো ফাইজান। শুভ্রমুখখানির মায়ার অলীকতায় সে যেনো বুদ হয়ে আছে। ক্যামেরাম্যান ছবি তোলার জন্য আগ্রহ জানাতেই তার ধ্যান ভাঙ্গলো। ছবি তোলার মাঝেও তার অবাধ্য দৃষ্টি হুমায়রাতেই নিবদ্ধ। হুমায়রার অস্বস্তি লাগলো, ইলহাকে বলেছিলো, এতো সাজবে না। কিন্তু ইলহা অনেকটা জোর করেই তাকে সাজিয়েছে। এখন বেমানান লাগছে কি না! ব্যাপারটি তাকে ভাবাচ্ছে। ফলে আর না পেরে শুধিয়েই বসলো,
“কি দেখছেন”
“আমার সর্বনাশ”
আনমনেই নিজমনে আওড়ালো ফাইজান। নিঃশব্দে হাসলো সে। তারপর কোমড়ে হাত রাখলো হুমায়রার। একটু কাছে টেনে নিলো। অতিথিদের একটাই কথা, “জুটি মানিয়েছে”
******
সকাল সকাল নাস্তা খেয়েই বেরিয়ে পড়লো রাশাদেরা। হুমায়রা তাদের সাথেই যাচ্ছে। ভেবেছিলো ফাইজান হয়তো আপত্তি জানাবে। কিন্তু তেমন কিছু হলো না। এমন কি যাবার সময়ও ফাইজানকে নজরে পড়লো না। সে বেরিয়ে গেছে। মহাব্যস্ত সে কাজে। তবে গতরাতেই তার ঔষধগুলো নিজ হাতেই গুছিয়ে দিয়েছে। কড়া করে বলেছে,
“বাড়িতে যাচ্ছেন বলে অনিয়ম করবেন না”
হুমায়রাও সাথে সাথে বললো,
“আপনিও বেশি ছাইপাশ খাবেন না। একেই জ্বরের শরীর”
ফাইজান নিঃশব্দে হাসলো। ছোট বউয়ের শাসন গুলো ভারী বিচিত্র কিন্তু মন্দ লাগছে না। সম্পর্কটা একেবারে স্বাভাবিক না হলেও খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। গতরাতের কথাগুলো ভাবতে ভাবতে কাঁচে মাথা এলিয়ে দিলো হুমায়রা। এর মাঝেই ইলহা শরীর খারাপ করতে লাগলো। গাড়ির ঝাকুনিতে বমি আসছে তার। তাই কিছুদূরের একটি দোকানের সামনে গাড়ি থামানো হলো। সবাই গাড়ি থেকে নামলো। টুকটাক খাওয়া দাওয়া শেষে গাড়িতে উঠতে যাবে ঠিক তখন ই কোথা থেকে একটি ভারী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আঘাত করলো গাড়িটিকে……
চলবে
(ভালো লাগলে রেসপন্স করবেন)
মুশফিকা রহমান মৈথি