#নিশীভাতি
#৭ম_পর্ব
“আপনি তো জানেন আমি এখানে কেন এসেছি। আমার স্বার্থ সিদ্ধি হয়েছে। ফাইজানের জন্য একেবারে উপযুক্ত মেয়ে পেয়েছি আমি”
শরীফার কথা শুনতেই দেলওয়ার ভ্রুকুটি কাটলো। অবাক স্বরে বললো,
“কে?”
“আপনাদের গ্রামের ই মেয়ে। নাম হুমায়রা”
হুমায়রা নামটি শুনতেই কপালের ভাজ প্রগাঢ় হলো। পানটা হাতে নিলেন। মুখে পুড়ে চিবাতে চিবাতে বললেন,
“হুমায়রা?”
“হ্যা, দারুণ মেয়ে। দেখতে যেমন সুন্দর, আচার, ব্যবহারও দারুণ”
“শুধু মেয়ের সম্পর্কেই জেনেছো নাকি পরিবারও?”
“শুনেছি, তারা দু ভাইবোন। বাবা-মা নেই। ভাইয়ের নাম রাশাদ। বাজারে ইলেক্ট্রিক জিনিসপত্রের দোকান আছে”
“ভুল জানো, ওর বাবা মা আছে। শরীফা তোমার মানুষ চেনার গুণটা আজও হলো না। একটু মিষ্টি কথা বললেই তুমি তাদের বিশ্বাস করে ফেলো। একবার ভুল করলে মানুষের আক্কেল হওয়া উচিত। ফাইজানের আব্বাকে বিয়ে করে কি মজা টের পাও নি। আর হুমায়রাকে কি করে তুমি ফাইজানের যোগ্য ভাবছো? হ্যা, হুমায়রা দেখতে সুন্দর। কিন্তু সৌন্দর্য কি সব? তাহলে তো আমি আমানের সাথেই ওকে বিয়ে দিতাম। দেই নি কেনো? শোনো, শরীফা ঘরের বউয়ের উপর তোমার পরিবার নির্ভরশীল। এমন মেয়ে যে তোমার বংশের প্রদীপের গর্ভধারিনী হওয়ার যোগ্যতা রাখে। আমার মনে হয় না হুমায়রা সেটার যোগ্য। রাশাদ ছেলেটা ভালো, কিন্তু ওর বাবা-মা অমানুষ থেকেও খারাপ। কাওছার অর্থ আর নেশা ছাড়া কিচ্ছু বুঝে না। ওর কথা ছাড়ো, জুবাইদা তো নিজের মেয়ের বিয়ের ভোরে অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে গেছে। যে মেয়ের মায়ের চরিত্রের ঠিক নেই সেই মেয়ের চরিত্র কত ভালো হবে। আমার মতে ফাইজান স্মার্ট ছেলে, ওর জন্য তেমন শহুরে, শিক্ষিত একটা মেয়ে খুঁজো। মানুষ চিনতে তুমি এখনো কাঁচা শরীফা”
শরীফা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো। ভাইছার কথাগুলো শুনলো মনোযোগ দিয়ে। তারপর বললো,
“আমি মানুষ চেনায় কাঁচা এটা আপনার ভুল ধারণা ভাইছা। আজ অবধি আমি মানুষকে বিশ্বাস করে ঠকি নি। এমন কি ফাইজানের আব্বাকে বিয়ে করেও আমি ঠকি নি। আর গাছ যেমন ফল তেমন হবে, কথাটা সবসময় খাটে না কিন্তু। এই যে রাশাদ ছেলেটা সে কি তার বাবার মত?”
“সেটা না, কিন্তু”
“আমার বিশ্বাস হুমায়রাও তেমন হবে না। আপনি ব্যাপারটি দেখুন ভাইছা। আমি হুমায়রাকে আমার পুত্রবধু রুপে চাই”
দেলওয়ার বিরক্ত হলো। পিক ফেলে কাঠ কাঠ কন্ঠে বললো,
“তুমি যে এত বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছো, যার বিয়ে তাকে কি জিজ্ঞেস করেছো?”
“ফাইজান আমার কথার অমান্য করবে না”
“আগুন নিয়ে খেলো না শরীফা, হাত তোমার ই জ্বলবে। ফাইজানের জেদ মারাত্মক, এমন কিছু করো না যাতে তোমাদের মা-ছেলের সম্পর্ক নষ্ট হয়। গতবার যা হলো আমার মনে হয় ফাইজান রাজী হবে”
দেলওয়ারের সতর্কবানী এক কান দিয়ে ঢুকালো আর আরেককান দিয়ে বের করে দিলো শরীফা। সে দৃঢ় সংকল্প নিয়েছে, হুমায়রাই হবে তার ঘরের বউ।
******
সূর্যের তেজস্বী রশ্নির তাপে গলে পড়লে কুয়াশার চাঁদর। নরম কচি ঘাসে শিশির বিন্দু। তা পদদলিত হচ্ছে হুমায়রার। তাড়া অনেক। প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখার সময় নেই তার। কিশোরীর চুল দুই বেনীতে আবদ্ধ, গায়ে পরিষ্কার কাপড়। আজ বিশেষ অনুষ্ঠান আছে কলেজে। ভালো ছাত্রী খুব বড় মাপের কেউ আসবেন কলেজে। তাকে ফুলের তোড়া দিবে হুমায়রা। রাস্তায় বাধলো বিপদ। জুতোটা ছিড়ে গেলো তড়িঘড়িতে। কলেজের আশেপাশে কোনো মুচিও নেই। বাংলা স্যার কড়া স্বরে বলে দিয়েছেন,
“হুমায়রা ভালো পোশাক পড়ে আসবে। যাতে একটা ইজ্জত থাকে। আমরা চাই না প্রধান অতিথির সামনে নাক কাটা যাক”
অথচ প্রধান অতিথির নামও জানে না হুমায়রা। কি অদ্ভুত। ছেড়া জুতোটা নিয়ে ক্লাসরুমে গেলো সে। প্রিয় সখী রুবিনাকে বললো,
“দোস্ত কাম সারছে”
“কি হইছে?”
“আমার জুতা”
রুবিনা তখন ঝালমুড়ি খাচ্ছিলো। নাক মুখ লাল হয়ে আছে ঝালে। নাক টেনে বললো,
“এখন কি করবি? স্যার তোরে ডেকে গেছে। এসে যদি দেখে তোর জুতো ছিড়া রক্ষা থাকবে নানে”
“সেটা কি আমি বুঝি না, কিন্তু করবো টা কি বুদ্ধি দে”
“সুপার গ্লু আছে?”
“থাকলে কি তোরে কতাম?”
“দাঁড়া ভাবতে দে”
রুবিনা ভাবতে শুরুই করবে তখন ই বাংলা স্যার রীতিমত ধমকের সুরে ডাকলে হুমায়রাকে। এখন ই যেতে হবে তাকে। রুবিনা তড়িঘড়ি করে নিজের জুতো খুলে দিলো। যদিও জুতোটা দু সাইজ বড় কিন্তু ছেড়া জুতো থেকে বড় জুতো হওয়া ভালো। বান্ধবীকে অগণিত ধন্যবাদ দিয়ে হুমায়রা ছুটলো প্রধান ফটকের দিকে। প্রধান অতিথির সম্মাননায় কলেজের সাজসজ্জাই আলাদা। বিরাট কালো গাড়ি এসে দাঁড়ালো মেইন গেটে। সময় দিয়ে বডি গার্ড বের হলো। খুলে দিলো গাড়ির দরজা। গাড়ি থেকে নামলেন প্রধান অতিথি যাকে দেখেই আক্কেলগুড়ুম হুমায়রার। যে মানুষটির দশ মাইলেও থাকা অপছন্দ তার সাথেই দেখা হচ্ছে বারেবার। এই নিয়ে তৃতীয় মোলাকাত ফাইজান নামক মানুষটির সাথে। স্যারের ইশারায় এগিয়ে গেলো হুমায়রা। এগিয়ে দিলো হাতে থাকা ফুলের তোড়া। ফাইজান নির্বিকার। ফাইজান হাসি মুখে লেপ্টে ফুলটা নিলো। দিয়ে দিলো বডিগার্ডের হাতে। তারপর স্যারেরা তাকে ঘিরে ধরলো। প্রিন্সিপাল সাহেব বেশ বড়াই করে বললেন,
“এই মেয়েটা খুব ভালো ছাত্রী। সব সময় ভালো করে। ইনশাআল্লাহ এবারের রেজাল্টও ভালো করবে। আমাদের কলেজের গর্ব”
ফাইজানের মুখে স্মিত হাসি। হাসিটি মোটেই প্রকৃত নয়। কারণ প্রকৃত হাসিতে চোখ হাসে। এটা মেকি হাসি। যা নেতাগোতা লোক হেসেই থাকে। ফাইজান এবার চশমার ভেতর থেকেই তীক্ষ্ণ চোখে একনজর আপাদ মস্তক দেখলো হুমায়রাকে । পায়ের দিকটা তাকাতে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে রইলো। হুমায়রা পা গুটিয়ে নিলো। ফাইজান খানিকটা বিচিত্র হাসলো। হুমায়রা বুঝলো সেই হাসির অর্থ। এর পরেই সে প্রিন্সিপালকে বললো,
“স্যার চলুন ক্লাসরুম গুলো দেখি”
প্রিন্সিপাল গদগদ স্বরে বললো,
“চলুন, চলুন”
হুমায়রা সরে দাঁড়ালো। লোকটি সব সময় তাকে এভাবে কেনো দেখে? কস্মিনকালের শত্রুতা আছে কি? রুবিনা খোড়াতে খোড়াতে এসে বললো,
“জুতা দে”
হুমায়রা জুতো ফেরত দিলো। কোন এক খালার কাছে থেকে একটা স্পঞ্জের জুতোর ব্যাবস্থা হলো। রুবিনা থেকেই জানতে পেলো আজকের এই বিশেষ আয়োজনের হেতু। আসলে, এই কলেজের পাশেই ফাইজানের মায়ের অনেকখানি সম্পত্তি আছে। প্রথমে গ্রামের কলেজ করার ইচ্ছে ছিলো। পড়ে সিদ্ধান্ত নিলো সেটা কলেজকে দান করবে। এই প্রস্তাবে প্রিন্সিপাল সাহেব তো বেশ খুশী। তাই এতো আড়ম্বড়তা। এর মাঝেই ডাক পড়লো হুমায়রার। হুমায়রাকে প্রিন্সিপালের রুমে ডাকা হয়েছে। পিয়ন ডাকতেই ছুটলো সে। ভুলেই গেলো তার পায়ে স্পঞ্জের জুতো। প্রিন্সিপালের রুমে তার জন্য বিশেষ চমক অপেক্ষা করছিলো। যা জানতে পেরেই বিস্ময় আকাশ ছুলো। প্রিন্সিপালের ঘরে ফাইজান বসে ছিলো। যখন হুমায়রা দরজায় কড়া নেড়ে বললো,
“স্যার আসবো?”
“এসো হুমায়রা”
হুমায়রা ঘরে প্রবেশ করলো। বেশ দূরত্বেই দাঁড়ালো সে। ফাইজান এবার তার দিকে তাকালো সরাসরি। গম্ভীর স্বরে শুধালো,
“তোমার এইম ইন লাইফ কি?”
ফাইজানের কথায় তাজ্জব হলো হুমায়রা। ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে রইলো অনেকটা সময়। ফাইজান আবার শুধালো। এবার কণ্ঠ আরোও গম্ভীর হলো। হুমায়রা থতমত স্বরে বললো,
“আমি শিক্ষিকা হতে চাই”
“কেন?”
“কারণ শিক্ষক জাতির পথ প্রদর্শক। আর পেশাটি খুব সম্মানীয়”
তার উত্তরে প্রিন্সিপাল স্যার গদগদ স্বরে বললেন,
“বলেছিলাম না স্যার, ব্রাইট গার্ল”
“বুঝেছি। বেশ এই ব্রাইট গার্লের পড়াশোনার খরচ এখন থেকে আমি দিব”
ফাইজানের এমন প্রস্তাবে আকাশ থেকে পড়লো হুমায়রা। কৌতুহল, বিস্ময় তাকে মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ করে দিলো। প্রিন্সিপাল স্যার হ্যা তে হ্যা বললেন। ফাইজান অপেক্ষা করলো না, উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“তাহলে এই কথাই রইলো স্যার। আজ উঠছি”
মানুষটির মুখে এখনো স্মিত মেকি হাসি। প্রিন্সিপাল স্যার হ্যান্ডসেক করলেন। হুমায়রা এখনো বিমূঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। মস্তিষ্ক এখনো অবস্থায় নিজে খাপ খাইয়ে নিতে পারে নি। যখন সম্বিৎ ফিরলো তখন ছুটে গেলো সে। ফাইজানের মুখোমুখি হলো। সরাসরি শুধালো,
“আমার উপর দয়া করছেন কেনো আপনি?”
ফাইজানের গাড়ি তখন কলেজ থেকে বেরিয়ে পড়েছিলো। হঠাৎ করে হুমায়রা গাড়ির সামনে এসে পরলে বডিগার্ড ফরিদ গাড়ি থামায়। ধমকায়ো। কিন্তু হুমায়রা গায়ে নেয় না কিছু। সে তো ফাইজানের কাছে উত্তর চায়। হুমায়রার প্রশ্নে ভ্রু কুচকায় ফাইজান। কঠিন স্বরে বলে,
“দয়া মানে?”
“আমার পড়াশোনার খরচ আপনি কেনো নিবেন?”
ফাইজান কিছু সময় তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো। তারপর দূর্বোধ্য হাসি হেসে বললো,
“সেদিন আমার ড্রাইভারের জন্য আপনার প্রাণ যায় যায় হাল হয়েছিলো। সেই ঋণ পরিশোধ করছি। যদি আমার ড্রাইভারের দোষ ছিলো না। তবুও দায়িত্ব বলে একটা কথা আছে”
“ভুল, মোটেই দায়িত্বের জন্য আপনি এটা করছেন না। আপনি নিজের ক্ষমতা এবং অর্থের জাহির করার জন্য এই কাজটি করছেন। কারণ সেদিনের আমার চিকিৎসার টাকাটা ভাইজান ই দিয়েছিলো।“
“আপনি আসলেই তো ব্রাইট গার্ল। যাক গে, এখন অন্তত জুতো কেনার টাকা থাকবে। আপনার ভাইজানকে বলবেন, আপনাকে একজোড়া জুতো কিনে দিতে”
হুমায়রা বিতৃষ্ণার সাথে তাকালো ফাইজানের দিকে। লোকটিকে কি ঘৃণা করছে সে! হয়তো তাই। ফাইজান গাড়িতে উঠে পড়লো। হুমায়রার পাশ কাটিয়ে ফরিদ গাড়ি চালালো। গাড়ি চালাতে চালাতেই সে ফাইজানকে শুধালো,
“মিথ্যে বললে কেনো ফাইজান ভাই?”
“সত্যি বললে কি এভারেস্ট জয় হয়ে যাবে। মেয়েটির সাথে আমার আর দেখাও হবে না”
ফাইজানের উত্তরে দীর্ঘশ্বাস ফেললো ফরিদ। মানুষটির নিচে এই নিয়ে সাত বছর কাজ করছে অথচ এখনো বুঝে উঠতে পারে না তাকে।
****
বিকালের পড়ন্ত আলো নিভার সাথে সাথেই বাড়ি পৌছালো হুমায়রা। দাদা বাড়ি ফিরেছেন তিনদিন হয়েছে। আতিয়া খাতুন তার সেবায় মগ্ন। কিন্তু আজ বাড়ি গমগমে। ভেতর থেকে বেশ হাসির কলরব কানে আসছে। হুমায়রা ভাবলো হয়তো পাশের চাচীরা আসছে। হাতমুখ ধুয়ে খাবার জন্য রান্নাঘরে যেতেই আতিয়া খাতুন প্রায় ছুটেই এলেন। হুমায়রাকে দেখেই বললেন,
“ভালা একটা ওড়না মাথায় পিন্দো, মেহমান আইছে”
“কে আসছে?”
“তোমারে দেখতে আইছে”
হুমায়রা নিজেকে সামলাতেও পারলো না তার আগেই তাকে বগলদাবা করে ঘরে নিয়ে গেলেন আতিয়া খাতুন। ঘরে যেতেই দেখলো চেয়ারে চেয়ারম্যান পত্নী সালমা এবং শরীফা বসে আছে। শরীফা তাকে দেখেই বললো,
“আমার তো মেয়ে পছন্দই চাচী। এখন আমার পুত্রবধুকে ঘরে তোলার অপেক্ষা”……………
চলবে
[মুসলিম পাড়ার দুটি বাড়ি, নাম শান্তিকানন এবং সুখনীড়। কিন্তু সেখানে অশান্তির বাস আর সুখের ছিটেফুটেও নেই। আছে শুধু ঝগড়া কলহ, বিদ্বেষ। বড়রা তো বড়রা, ছোটরাও এই কোন্দলে ঝাঝড়া। সকালবেলায় বল এসে ভেঙ্গে ফেললো আয়াতের শখের চুড়ি। ক্রোধ বর্ষণ হলো এই পাশ থেকে। কিন্তু ওপাশের সৌম্য পুরুষ, সাফওয়ান কেবল ই হাসলো। ফলে আরেকদফা ঝগড়া লাগলোই। আর দর্শক হলো মুসলিম পাড়া। এই বিদ্বেষ, কলহের বাতাসে প্রেমপুষ্প ফোটাবার দুঃসাহস পোষন করেছে এক জোড়া কপোত-কপোতী, প্রভা-ইশতিয়াক। আঠারো বছর ধরে সঞ্চিত প্রণয় পরিণয়ে পৌছাবে তো? নাকি তার পূর্বেই দু-বাড়ির কোন্দল পিষিয়ে দিবে প্রেম? সাফওয়ান-আয়াতের ঝগড়া কি কখনো শেষ হবে? নাকি চাঁদ কখনো বলবে হাতটি ধরতে?
ই-বই : চাঁদ বলে হাতটি ধরো (অংশ বিশেষ)
পুরো গল্পটা পাবেন শুধুমাত্র বইটই এপে। দাম মাত্র ৬০ টাকা!বইটি পড়তে হলে অবশ্যই গুগল প্লে স্টোর থেকে বইটই এপ ডাউনলোড করে নিজের একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে]
মুশফিকা রহমান মৈথি