#সুখ_পাখি
#Ayrah_Rahman
#part:-20
তরু বসে বসে কাল রাতের কথা গুলো ভাবছে….
অভ্রের এসব পাগলামি র কোন মানেই সে খুঁজে পাচ্ছে না,,
অভ্র এমন কেন করছে?
সত্যি ই কি অভ্র আজও তাকে ভালোবাসে নাকি আবার ও……..
নাহ আর কিছু ই ভাবতে পারছেনা,,
যেই না তরু পাশে তাকালো,, সে দেখলো আরু গালে হাত দিয়ে তার দিকেই ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে,,
তরুঃ– কি ব্যপার, আমার দিকে তাকিয়ে আছিস কেন?
আরুঃ- কি হয়েছে বল তো তোর,,কাল রাতে বৃষ্টির মধ্যে কোথায় গিয়েছিলি? ছেলেটা কে?
তরুঃ– ককোন ছেলেটা? কার কথা বলছিস তুই?
আরুঃ- দেখ তরু আপু,,কথা কাটানোর চেষ্টা করবি না,,আমি সবটাই দেখেছি,, রাত ১ টাই তুই ছাতা নিয়ে বাইরে বের হলি তারপর একটা ছেলে এলো
তারপর কি হয়েছে তুই সেটা জানিস,,এবার বল ছেলেটা কে?
তরুঃ– আরু তুই আমাকে ভুলো বুঝছিস,,
আরুঃ- হি হি হি,,বনু তোর মুখ টা কিন্তু দেখার মতো হয়েছিল,, ( হাসতে হাসতে) আমি জানি আমাার বোন কখনো কোন ভুল করতে পারে না,,
Always right,
, আরে কাল রাতে পানি পিপাসা লাগছিলো ঘরেও পানি নেই তাই নিতে এসে ছিলাম,তখন দেখি তুই ছাতা নিয়ে বের হচ্ছিলি,,তাই তোর পিছু পিছু গিয়ে দেখি একটা ছেলে,, যদিও তার মুখ স্পষ্ট ছিলো না বৃষ্টির কারনে,,তবুও মনে হলো জিজু কিন্তু দেখতে বেশ,, কবে থেকে চলছে এসব?হুম হুম?
তরুঃ– তেমন কিছু ই না,, অভ্র শুধুই আমার ফ্রন্ড আর কিছু না,,
আরুঃ- ওমা তাই!আমি তো তোর চোখে অন্য কিছু দেখছি,,দেখ আপু আমি তো বাচ্চা নই,,কয়েকদিন পরে মেডিকেল এডমিশন নিবো,,সো বল কে উনি যাকে তুই এতো ভালোবাসিস?
তরুঃ– বললাম তো ভালোবাসি না,,( রেগে)
আরুঃ- তুই যে জিজুকে ভালোবাসিস সেটা আমিও জানি তুই ও জানিস,,আর জিজু ও তোকে ভালোবাসে,,যদি ভালোই না বাসতো তবে এতো রাতে এই বৃষ্টি তে ঘন্টার পর ঘন্টা তোর জন্য দাড়িয়ে থাকতো না,,আর তুই যদি ভালো না বাসতি,,তাহলে সে বৃষ্টি তে ভেজছে বলে ছাতা নিয়ে বাইরে যেতি না,,
তাই তুই তোর মনকে প্রশ্ন কর তোর কি করা উচিত,, অভিমান থাকলে ভেঙে ফেল নয় তো পরে হারিয়ে ফেলবি,,
বলেই আরু চলে গেলো,,,
তরু বসে বসে আরুর কথা গুলোই ভাবতে লাগলো,,
আরু একটা কথাও কিন্তু খারাপ বলে নি,,যা বলেছে সব সত্যি ই তো,,
তরু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে অভ্রকে ক্ষমা করবে বাট আরু কিছু দিন অপেক্ষা করিয়ে তারপর,,,
______________________
এর মধ্যে ই চলে গেছে বেশ কিছু মাস,,
দেখতে দেখতে আরুর মেডিকেল এক্সাম ও শেষ,, আজ রেসাল্ট পাবলিস্ট হবে,,
আরুর তো টেনশনে হাত তো ঠান্ডা হবার জোগাড়,,
বেলা তখন ১১ টা ৪৫ মিনিট,, রেজাল্ট দিবে ১২ টাই…
বেচারি চোখ বন্ধ করে বসে বসে নখ কামড়াচ্ছে..
পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে আরু পাশে তাকালো,,দেখে তরু বসে আছে..
তরুঃ– কিরে এত টেনশনের কি আছে? দেখবি রেজাল্ট ভালো হবে এবং তুই মেডিকেল এ চান্স পাবি,,
আরুঃ- হবে না হবে না,,সত্যি বলছি হবে না,,
তরুঃ– দুর পরীক্ষা তো ভালো দিয়েছিস,,হবে না কেন,,ভরসা রাখ,, চান্স পাবি,,
আরুঃ- তুই দেখে নিস,,চান্স পাবো না উল্টো ফেইল করমু( কাতর কন্ঠে)
তরুঃ– বাজে বকবি না আরু,,দাড়া আমি দেখি,,১২ টা তো বেজে গেলো,,
আরুঃ- তুই দেখ,,আমি দেখলে সিউর হার্ট অ্যাটাক করুম,,
তরুঃ– ওকে তুই বস আমি লেপটপ নিয়ে আসি..
তরু লেপটপ আনতে চলে গেলো,,,
______________________
তরু বসে বসে অনলাইনে আরুর রেসাল্ট দেখার ট্রায় করছে,,বেচারি আরু তো পারে না কেঁদে দেয়,,
হঠাৎ করে ই তরু লেপটপ অফ করে দিলো,,,
তা দেখে আরু বলে..
আরুঃ- কি আপু,,রেসাল্ট দেখছো?
তরুঃ– হুম দেখেছি( গম্ভীর কন্ঠে)
আরুঃ- কি হয়েছে আপু,,আমি চান্স পাইনি?ফেল করেছি?আমি জানতাম আমার ধারা কিছু হবে না( কেঁদে দেয়)
তরুঃ– আম্মু আম্মু……
তরুর ডাকে মিসেস আয়েশা রান্না ঘর থেকে আসে..
আয়েশাঃ– কি হয়েছে? রেসাল্ট পাবলিস্ট হয়েছে?
তরুঃ– হুম,, তোমার মেয়ে ১৪৫ তম হয়েছে,, ( গম্ভীর কন্ঠে)
আয়েশাঃ– আলহামদুলিল্লাহ,, তা তুই এভাবে কথা বলছিস কেন?
তরুঃ– কি বলব বলো,,তোমার মেয়ে এত ভালো পরীক্ষা দিয়েছে তাও বলে আমি ফেইল করবো( ব্যঙ্গ করে)
বেচারা আরু তো শকের উপর আছে,,যদিও সে জানে চান্স পাবে তবে এত ভালো করবে সেটা সে জানতো না,,
আয়েশাঃ– তোর বাবাকে ফোন দিয়ে বল মিস্টি নিয়ে আসতে,,তার মেয়ে ডিএমসি তে চান্স পায়ছে,,এবার তো তার মাটিতে পা ই পরবে না( হেসে হেসে)
বলেই সোফায় বসে আরুকে জরিয়ে ধরে কপালে চুমু খাই,,,
আরুর ফোনের রিংটোনে আরু তার ফোনের দিকে তাকায়,, ফোন টা তার পাশেই সোফার উপর পরে ছিল,,
ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে দিশার ফোন,,,
আরুঃ- আসসালামু আলাইকুম দিশু বেপি,,কি অবস্থা?
দিশাঃ- ওয়ালাইকুম সালাম,আলহামদুলিল্লাহ,, তোর?
আরুঃ- আলহামদুলিল্লাহ,, দোস্ত আমি তো ডিএমসি তে চান্স পাইছি,তুই কোনটাই পাইছোস?
দিশাঃ- বুঝলি আরু,,একটা শাঁকচুন্নি আছে তো,,সেই কলেজ লাইফ থেকে যে আমার পিছে পরে আছে,,আমার ঘাড়ের উপর,, আর নামেই না( মজা করে)
আরুঃ- দিশুর বাচ্চা টিসু,,তুই আমারে শাঁকচুন্নি
কইলি,,( রেগে) তুই একটা ডাউনি,,বুড়ী,,
দিশাঃ- তুই শাঁকচুন্নি,,,
আরুঃ- এই এক মিনিট,, তার মানে তুই ও ডিএমসি তে চান্স পাইছিস( খুশি হয়ে) ইয়েএএএএ,,আসো বেপি তোমার
আরু উঠে নাচা শুরু করলো,,,
______________________
এডমিশনের দিন….
–আরুর বাচ্চা আরু হয়ছে তোর? তুই কি বিয়া বাড়িতে যাবি,,যে এমনে মান্জা মারতাছোস,,বোইন আমার দরজা খুল দেখি কিতা করস?
দিশার এমন গরুর মতো চিৎকারে আরুর কপালে বিরক্তির রেস দেখা গেলো,,
আরু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সবে মাত্র ৮টা ৩০ বাজে,,তাদের এডমিশনের কাজ মুলত শুরু হবে ১০ টাই,,
বেচারি মাত্র ই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হ য়ে
মুখ মুছতে মুছতে বের হয়ছে,,,
আরু গিয়ে দরজা খুলে বেচারি কোমায় যাওয়ার দশা…..
চলবে…
[📌প্লিজ কেউ “n”” next ” বলবেন না,,গঠন গত মন্তব্য করবেন,, আমি কিন্তু প্রফেসনাল লেখিকা নই,,শুধুমাত্র শখের বসেই লিখছি,,প্লিজ কেউ নেগেটিভ মন্তব্য করবেন না ]