আররররুওও ওই আরুর বা*চ্চা গ’রু!
আমার নোট টা দিয়া যা, পিলিজ দোস্ত দিয়া যা!
তোর সাথে দৌড়ে আমি কি জীবনে পারছি,বল?
“নো বেবস, তোমাকে তো নোট দেয়া যাবে না।
তুমি আগে বলো আমার নামে যে বিচার টা গেছে ওইটা কে করছে?”
” দোস্ত বিশ্বাস কর আমি কিছু করি নাই, সব দোষ আ’হা’ই’ন্নার, তুই ওরে ধ’র”
“আমারে কি বল’দা মনে হয় তোর তুই বলবি আর আমি বলদের মতো বিশ্বাস করমু আর আহান উনি এসব আজাইরা কাজে থাকে না!
তাই না চা*ন্দু? ” ( আহানের দিকে তাকিয়ে)
আহান লজ্জা পাবার ভান করে হাত দুটো মুখের ওপর রেখে বলল,
” আরে কি যে বলস না দোস্ত , হে হে হে ”
আমি এক ভ্রু উঁচু করে বললাম,
” ওরে আব্বা’স ময়না তুমি সরম পাও কি*ল্লায়,
এতো সরম কই’ত্তে আহে তোমার?”
দিশা অনেক টা আকুতির স্বরে বলল,
” দোস্ত তোর পায়ে পড়ি আমার নোট টা দিয়া দে, আজকা ওই টা*কলা স্যার সবার নোট দেখবো যদি আমার টা না পায় সত্যি কইতাছি আমারে একেবারে কাঁ’চা ভর্তা করে দিবো ”
” ওরে বাবা রে এতো ডরাও! আচ্ছা যা এবারের মতো মাফ করলাম ফের যদি আম্মু রে আমার নামে বিচার দিছিস তোর কি অব’স্থা করি তুই নিজেই চি’ন্তা কর”
(কি হলো? কিছুই বুঝতে পারলেন না তো? আ’চ্ছা আসেন পরিচয় করিয়ে দেয়।
এত’ক্ষণ যাদের সাথে কথা হলো তারা হলো একই কলেজে অধ্যায়নরত ৩ ব’ন্ধু।
শু’ধু তারা নয় এদের সাথে আরও আছে, এখন ই বলছি না গ’ল্পের মধ্যেই যেনে নেবেন তাদের পা*গ’লামি স’ম্পর্কে)
গল্পের মেইম ফিমেইল ক্যারেক্টার আরু পুরো নাম আইরাহ রাহমান।
মাহমুদ রাহমানের ছোট মেয়ে,
যেমন সুন্দর তেমন ই ঘা*ড় ত্যারা, তবে মি’শুক ও বটে। দিশা তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, ওরা এবার ইন্টার ২য় বর্ষের।
এতক্ষণ যা নিয়ে তর্ক হলো,
কাল ক্লাস শেষে তাদের পদার্থ বি’জ্ঞান এর টাকলা স্যার ওয়াসরুমে যাবার পর আরু ওয়াসরুমের দরজা বাইরে দিয়ে ব’ন্ধ করে দিয়েছিলো আর সবাই কে বলে বেরিয়েছে স্যার নাকি ক্লা’স না করিয়ে ঘুরতে গেছে।
আরুর এই কাজে দিশা মানা করলেও আরু শুনেনি তাই দিশা আরুর মায়ের কাছে বিচার দিয়েছে তাই আরুর সব রাগ দিশার উপর দিয়ে গেছে বাট আরুর অভ্যাস মতো সে বেশি’ক্ষন রেগে থাকতে পারে না।
এবার গল্পে ফেরা যাক,
১ম পিরিয়ড শেষে ২ বান্ধবী ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বাইরে ঘুরছে কারন ক্লাস বা*ঙ্ক দিবে।
” ওই দিশা , আমার খিদা লাগছে?”
দিশা ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
” আ’ব্বে কিতা কস, এখন না একটা বার্গার খাইয়া শেষ করলি আবার এতো খিদা কেমনে লাগে তোর?”
” খিদা লাগছে মানে লাগছে এখন ফুসকা খামু, কত দিন ফুসকা খাইনা, ইয়া’ম্মি! ”
” কতদিন মানে কি বল কত ঘ’ন্টা , ঘন্টা ও না বল কত মিনিট কারন কলেজে ঢুকার আগেই ৩ প্লেট খাইছোস”
” ওই তুই কি কস! চোখ লা’গাস কেন?”
” মা’ফ চাই ভা’ই, চল ”
“ভাই? ওই তোর ভাই কেডা?”
” মাফ কর মেরি মা ,চল!”
আমি রাগী দৃষ্টি তে তাকিয়ে বললাম,
” আবার তুই আমারে তোর টাকলা বাপের বউ বানাস?”
” সরি সরি বইন মাফ কর,চল,নাকি রা’স্তায় দাড়িয়ে থাকবি?”
” ওকে চল, রা’স্তা পার হমু, ধর দো’স্ত আমি ডরাই!”
” ভিতুর ডিম একটা,তোর জামাই এর কপালে ঢের দুঃখ আছে,বেচারার জন্য আমি সত্যি ই দুঃখীত”
আমি রাগী রাগী দৃষ্টি তে দিশার দিকে তাকিয়ে বললাম,
” তুই কি আইবি?”
দিশা বলে উঠলো,
” সাবধানে ,একদম দৌড় দিবি না। ”
আমি ভ্রু কুঁচকে তাকালাম ওর দিকে,
” আমি কি বাচ্চা? ”
” না রে বইন, আরু একটু দাড়া আমি আহানের কাছ থেকে নোট টা নিয়ে আসি, শা*লা আমার নোট রাখছিল, চুপচাপ দাঁড়া, একা একা মাতব্বরি করে রাস্তা পার হতে যাবি না! ”
” ওকে মাই জা’নু, যা তুই, এই আমি দাড়ালাম, কোথাও যাবো না ”
” ওকে ”
বলেই দিশা চলে গেলো।
এদিকে ১০ মিনিট হয়ে গেছে দিশার আসার কোন খবর নাই,
” ধুর ছাতা,ফ*কি*ন্নি গেছে আর আসার কোন খবর নাই।
আমি একাই গিয়ে খাইয়া আসি,
আল্লাহ তুমি বাঁচাইও,রাস্তা টা পার কইরা দাও আল্লাহ। ”
আরু রা’স্তা পার হওয়া শুরু করে মা’ঝ রা’স্তায় আসার পর হঠাৎ দেখে একটা প্রাইভেট কার খুব দ্রু*ত আসছে এটা দেখে আরুর পা থেমে গেছে,
চোখ ব’ন্ধ।
” আল্লাহ গো আজ আমি শেষ,
আমি মনে হয় আর বাঁচবো না,
আমার বিয়ে ও হবে না,নাতিও হবে না,
,আ’চ্ছা! আমার জামাই কি চির কুমার থাকবে?
নাকি আরেকটা স’তিন আনবে?
আজ না আমি ফ্রি’জে কত’গুলো চকলেট রাখছি সব কি আপু খেয়ে ফেলবে?
,আল্লাহ গো চকলেট গুলা শেষ করার জন্য হলেও এবারের মতো বাঁচাই দাও!”
এক মিনিট আমি ব্যা’থা পাই নাই কেন আমি কি মরে গেছি?
হঠাৎ আরু চোখ খুলে সামনে একটা লোককে দেখে চমকে ওঠে,
“আপনি কি ফেরেস্তা ?”
” হুয়াট ননসেন্স? কি বলেন আবোলতাবোল,
আর রা’স্তা র মাঝ’খানে দাঁড়িয়ে কি ট্রাফিক পুলিশের দা’য়িত্ব পালন করছেন?”
” আমি কি মরি নাই!একটা চি’মটি কাটেন তো।”
” কিহ,আপনি কি পাগল? এসব পাগল যে কে রা’স্তায় ছেড়ে দেই ”
” ওয়েট! ( লোকটার হাতে চিমটি কেটে) ইয়েস,আমি মরি নাই,
,আমার জামাইও বিধবা হয় নায়! ”
” এই আপনি কি? যান সরেন তো, রা’স্তা ছাড়েন,
পা*গলের পা’ল্লায় পরলে যা হয় আর কি”
” ওই মিয়া ওই পা*গল কে?
হুম? আমি পা*গল?
কখন থেকে দেখছি যা নয় তাই বলছেন,
যান তো আপনাদের কে বলে গাড়ি চালাতে যা পারেন না তা করেন কেন,
আজব!”
“হুয়াট,,আমি গাড়ি চালাতে পারি না?”
“যাক নিজেই স্বীকার করলেন, ভালো খুওওব ভালো! আসলে এই যুগে এমন মানুষ পাওয়া ই যায় না। দেখে খুশি হলাম ”
” হু’য়াট, আল্লাহ আজকে কার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠছিলাম, যান সরেন তো , কলেজে যাবো,কাজ আছে এসব আজাইরা প্যাঁচাল পারার সময় নেই।”
আমি বেশ নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে বললাম,
“তো যান আমি কি ধরে রাখছি নাকি,আজব ”
“তোমাকে তো পরে দেখে নেবো”
“আরে যান যান। দেখার সময় দেখিয়েন!
(এই হলো শুভ্র খান ,আহনাফ খানের বড় ছেলে, আর শুভা খান তার ছোট মেয়ে এবার এসএসসি প’রীক্ষা দিয়েছে)
” কিরে আরু কি হয়েছে রে, ওই লোকটা ই বা কে ছিলো”
“জানিনা, সর তো পুরা মুড টাই খারাপ করে দিলো,ফুসকা খাবো না বাড়িতে যামু”
“আচ্ছা চল”
এদিকে___
কেউ একজন আড়াল থেকে বের হয়ে মুচকি হাসলো, সে এতোক্ষণ আড়ালেই দাঁড়িয়ে ছিলো,
“ডিয়ার চড়ুই পাখি, ফিরে এসেছি আবারও, খুব বার বেড়েছেন, আপনার ডানা কেঁটে আমার হৃদয়ের পি*ন্জি*রাই ব*ন্দী করব।
Please wait and see….
পরের দিন….
চলবে…
#সুখ_পাখি
#Ayrah_Rahman
#part_01
[ এখানে অনেক কিছু ই চেঞ্জ করেছি আর করবো ও, আমার প্রথম লিখা তো একটু বাচ্চা বাচ্চা টাইপ হয়েছে, যাদের ভালো লাগে পড়বেন আর যাদের ভালো লাগবে না পড়বেন না]