সুখ_পাখি #Ayrah_Rahman #part_02

0
620

#সুখ_পাখি
#Ayrah_Rahman
#part_02

____________________

পরের দিন সকাল…..

” আরু এই আরু উঠনা বইন আমার দিশা কিন্তু এখন ই চলে আসবে পরে আর তাড়াহুড়ো করবি না। আমাকেও কিন্তু বলতে পারবি না আপুনি এইটা দাও, আপু ওইটা করো, আমি কিন্তু কিচ্ছু শুনবো না বলে দিলাম ”

” ওফফফ, আপুর বা*চ্চা আপু, সর তো, আমারে ঘুমাইতে দে, আমি ঘুমাবো ”

” হ্যা ঘুমা ঘুমা পরে যখন টা*ক*লা স্যার কানে ধরে ক্লাসের বাইরে দাড় করাই রাখবে তখন মজা লাগবে, মানুষ দেখবে আর হাসবে! ”

” হাসুক বেশি করে হাসুক, পারলে তুই গিয়ে লাফিং গ্যা*স দিয়ে আসিস, তাও এখন এখান থেকে যা তো, আমার ঘুম হয় নাই।”

আমার কথা শুনে আপু বেশ রেগে বলে উঠলো,

” আরু তুই উঠবি,নাকি পানি দিবো?”

আমি আপুর দিকে বিরক্তিকর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললাম,

” উঠতাসি উঠতাসি,তোরে যে কবে বিয়ে দিবো আর আমি শান্তি তে ঘুমাতে পারবো আল্লাহ ই জানে”

আমার কথা শুনে আপু করুন কন্ঠে বলল,

” আমি চলে গেলে সত্যি তুই খুশি হবি আরু ? ”

” দুর পা*গলি তোকে ছাড়া কি আমার চলে নাকি, তুই না থাকলে আমি আমার এত কথা কার কাছে বলবো, কার সাথে মা*রামা*রি করবো,কে আমাকে আম্মুর মা*রের হাত থেকে বাঁচাবে, তুই আমার ভাই তুই ই আমার বোন, মানে আমার আরেকটা পৃথিবী!”

আপু আমাকে এক হাতে জরিয়ে ধরে বলল,

“আমার সোনা বোন,,যা এবার ফ্রেস হো আমি নাস্তা রেডি করি গিয়ে ”

” ওকে আপুই ”

আপু চলে যেতেই আমি মনে মনে বললাম,

” তুই যদি না থাকতি আপু সত্যি আমি ম*রে যেতাম, আমার অ’তীত যে আজ ও আমার পিছু ছাড় না , কে ছিলো সে আজও মনে করতে পারি না,আবছা স্মৃতি তো আজও আমার পিছনে তা*ড়া করে! ”

দুর এসব পরে চিন্তা করবল নে এখন আগে ফ্রেস হই,

” গুড মর্নিং মা”

ফ্রেস হয়ে নিচে যেতেই কানে ভেসে আসলো অতি পরিচিত কন্ঠ, ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালাম ডাইনিং টেবিলের দিকে, ধীর পায়ে এগিয়ে গেলাম সেদিকে,

” গুড মর্নিং বা’ছাধ’ন ,কি অব’স্থা, ঔষধ খাও তো ঠিক মতো? ”

” জি আম্মা খাই, না খেয়ে কি আর উপায় আছে? আমার দুইটা আম্মা তো আছেই আমাকে দেখবার জন্য”

বাবার কথা শুনে আমি হাসলাম, আপুর দিকে ভ্রু কুঁচকে আড় চোখে তাকিয়ে বললাম,

” গুড ভেইরি গুড, এই যে কাজের বেটি সখিনা খাবার দাও, খিদে লেগেছে! ”

আমার কথায় আপু বেশ চটে গেলো, চোখ রাঙিয়ে বলল,

” আরু, কি বললি তুই, আমি কাজের বেটি সখিনা? ”

” আরে না কি যে বলিস না তুই, তুই কাজের বেটি হতে যাবি কোন সুখে সরি দুঃখে , কাজের বেটি তো আমি, হে হে! ”

আপু এক ভ্রু উঁচু করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,

” কিই”

আমি কাঁদো কাঁদো দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম,

” এরম করস কি’ল্লা’ই, আমার বুঝি ডর লাগে না!”

আপু একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল,

” তাড়াতাড়ি খাবার শেষ কর, দুই টা রুটি দিয়েছি একটু যদি থাকে তবে আজকে তোকে…. ”

আমি ভ্রু কুঁচকে আপুর দিকে তাকিয়ে বললাম,

” কি করবি? ”

আপু মুচকি হেসে বলল,

” তেমন কিছু না শুধু ঠান্ডা পানি দিয়া গোসল করাবো ”

আমি চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে বললাম,

” কিহ, জীবনেও না , এই শীতে আমি তো জীবনেও ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করবো না ”

” মাত্র তো নভেম্বর মাস, শীত তো এখনো আসলই না!”

“তাও করবো না”

” না করতে চাইলে সবটা শেষ কর, দিশা এখনি চলে আসবে, একটা দিনও তুই ঠিক সময়ে যেতে পারিস না, আর স্যারে ব’কা খাস সাথে দিশা কেউ খাওয়াস!”

” জানিস তো আমি ভীষণ দরদি মেয়ে, যা খাই সবাই কে নিয়েই খাই ”

” কথা না বলে, খাবার শেষ করেন, আমি রেডি হতে গেলাম, ভার্সিটিতে ক্লাস আছে!”

“আচ্ছা যা”
হঠাৎ কিছু একটা মনে হতেই আপুকে পিছনে থেকে ডেকে উঠলাম,

“এই শুননা ”

আপু ভ্রু কুঁচকে পিছনে ফিরে বলল,

” আবার কি? ”
আশেপাশে তাকিয়ে বললাম,

“আম্মু কইরে দেখি না তো ”

” আম্মু একটু বড় মামির বাড়িতে গেছে চলে আসবে বিকেলে ”

“ওহ, আচ্ছা যা ”

ইনি হলেন আমার বড়ো বোন তরু রাহমান।

_______________________________

খান ভবনে…

” আম্মু, আম্মু, এই আম্মু, একটু শুনে যাও না, আমার হোয়াইট শার্ট টা কোথায় রাখছো পাচ্ছি না তো”

রান্না ঘর থেকে ছেলের কন্ঠ শুনতে পেয়ে ভ্রু কুঁচকালো রাহেলা খান,

” পাচ্ছো না মানে কি,দেখো তোমার আলমারি তেই আছে, আমি চু’লোই তরকারি বসিয়েছি, আসতে পারবো না।”

” আসো না আম্মু,সত্যি ই পাচ্ছি না”

দীর্ঘ শ্বাস ফেলল রাহেলা খান। শুভ্র টা আজকাল বেশিই জ্বালাতন করছে তাকে। চুলার আঁচ টা কমিয়ে ছুটে এলেন ছেলের রুমে।

” ওফফ ছেলেটার য*ন্ত্রণাই আর ভাল্লাগে না। ”

” কোথায় দেখি, কি পাচ্ছো না ”

শুভ্র নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে বলল,

” আমার সাদা শার্ট ”

রাহেলা খান এগিয়ে গেলেন আলমারির দিকে,

” দেখি সরো আলমারি টা দেখি ”

” হুম ”

শুভ্র সরে গেলো।

রাহেলা খান আলমারি থেকে একটা সাদা রঙের শার্ট নিয়ে শুভ্রর হাতে দিতে দিতে বলল,

এই যে নাও তোমার শার্ট, কোথাও যাচ্ছো?”

শুভ্র শার্ট নিয়ে গায়ে জড়াতে জড়াতে বলল,

” হুম মেডিক্যাল এ যাবো, ছয় মাস পর ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল এক্সাম তো তাই, যেতে হবে, নোট কালেক্ট করতে হবে! ”

” আচ্ছা, সাবধানে যাও,আর শুনো? ”

শুভ্র মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,

” হুম বলো মা ”

রাহেলা খান আমতাআমতা করে বলল,

” চড়ুইয়ের কোন খোঁজ পেলে?”

শুভ্র স্বাভাবিক কন্ঠে বলল,

” হুম, কিন্তু ওর সাথে যে আমার অনেক হিসাব নিকাশ বাকি আছে মা, ও কেন এমন টা করলো, আর দুরেই বা চলে গেলো কেন? কাল দেখা হয়েছিল কিন্তু এমন ভাব করলো যেন আমায় চেনেই না। ”

শুভ্রের কথা শুনে রাহেলা খান বেশ উচ্ছাসের সঙ্গে বলল,

” তাই! কেমন দেখতে হয়েছে রে মেয়েটা, কত বছর দেখি না ”

” কেমন আর হবে! যেমন ই হোক আমাকে জ্বালানোর জন্য যথেষ্ট, আমার রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট! ”

রাহেলা খান মুচকি হাসলো,

“একবার নিয়ে আসিস তো, ওকে দেখার জন্য মন টা ভীষণ টানে ”

মায়ের কথা শুনে শুভ্র বিরবির করে বলল,

” আনবো আনবো,,একেবারেই নিয়ে আসবো,আগে ওর শা*স্তি টা দিয়ে তারপর
আনবো! ”


আচ্ছা মা আসি,দেরি হয়ে যাচ্ছে”

“খেয়ে যাবা না?”

“নাহ,বাইরে খেয়ে নেবো, সময় নেই”

“সাবধানে যেও”

শুভ্র মাথা ঝাকিয়ে বলল,

” আচ্ছা,, তুমিও সাবধানে থেকো”

“আল্লাহ, সব কিছু যেন ঠিক হয়, আমার ছেলের জীবনে আর কোন ঝ*ড় দেখতে চাইনা, সেই সময়ের কথা মনে হলে আজও শিউরে ওঠি, তুমি দেখো আল্লাহ!”

————————-

আমি সাওয়ার নিয়ে মাত্র বের হয়েছি ,এরই মাঝে হঠাৎ ক্রলিং বেল বেজে উঠলো,

আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না কে এসেছে, বিরবির করে বলতে লাগলাম,

” এই রে, টিসু পেপার মনে হয় আইসা পরছে, আল্লাহ বাঁচাইয়া দেও, আমি আর জীবনেও দেরিতে উঠুম না”

মাহমুদ রাহমান গিয়ে দরজা খুলে দেখে দিশা দাড়িয়ে আছে,

দিশা মাহমুদ রাহমান কে দেখে এক গাল হেসে বলল,

“আসসালামু আলাইকুম বাবাই,,,কেমন আছো?”

” আলহামদুলিল্লাহ আম্মু, তুমি কেমন আছো? বাইরে দাঁড়িয়ে কেন ভিতরে আসো”

দিশা ভেতরে আসতে আসতে এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে বলল,

” আমি ভালো, বাবাই আরু কোথায়? ”

কিছু একটা ভেবে মাথায় হাত দিয়ে বলল,

” আজও লেট! ”

দিশার কথা শুনে মাহমুদ রাহমান হাসলেন, খবরের কাগজ হাতে নিতে নিতে বললেন,

” দেখো গিয়ে তুমি,উপরেই আছে ”

” এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারা যায় না, ওফফ!”

দিশা বিরবির করতে করতে উপরে উঠে দেখে আরুর রুমের দরজা ব’ন্ধ

” আরু এই আরু দরজা খুল, আজও দেরি?”

দিশার কথা কানে যা-ওয়া মাত্র ই রুমের ভেতরে থেকে উত্তর এলো,

“দোস্ত তুই ৫ মিনিট নিচে বস আমি দশ মিনিটে আসছি ”

দিশা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল,

” ঠিক আছে, তাড়াতাড়ি কর ”

” ঠিক আছে ঠিক আছে ”

দিশা নিচে নেমে এলো,

আমাদে বাসা টা ডুপ্লেক্স, উপরের আমি আর আপু থাকি বাকি রুম গুলো ফাকা।

দিশা কে নিচে নামতে দেখে মাহমুদ রাহমান বলে উঠলো,

” কি! রেডি হয়নি? ”

” নাহ, ১০ মিনিট লাগবে বলল ”

প্রায় ২০ মিনিট পর আরু সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে করুন কন্ঠে বলল,

” দোস্ত সরি সরি, আর জীবনেও দেরি করব না, চল চল”

হঠাৎ এমন কথায় দিশা উপরে তাকিয়ে ফিক করে হেসে ফেললো।

আমি ভ্রু কুঁচকে দিশার দিকে তাকালাম।

দিশা এগিয়ে এসে আমার চুল এলোমেলো করে দিয়ে বলল,

” কিরে চুলে চিরুনি লাগাস নি?”

আমি জিভে কামড় দিয়ে বললাম,

” ওপস, সরি ভুলে গেছি, দাড়া আসতাছি”

“আর যেতে হবে না, আমি ঠিক করে দিচ্ছি ”

“ওকে”

আরুর চুল আচরানো শেষে, আমি আর দিশা বেরিয়ে গেলাম।

___________________

কলেজে,

পুরনো বট গাছের নিচে বসে প্রায় তিমজন বসে আড্ডা দিচ্ছিলো হঠাৎ আহান বলে উঠলো,

” কিরে রিয়া, ওই ফ*কি*ন্নি দুইটা কইরে? এখনো আসলো না যে! ”

রিয়া ভ্রু কুঁচকে তাকালো,

“এখনি আসবে নাকি? ক্লাস শুরু হোক তারপর”

” তাও কথা, এত তাড়াতাড়ি তো জীবনেও আসবে না”

তাদের কথার মাঝখানে হঠাৎ রাকিব বলে উঠলো,

” দোস্ত আজ মনে হয় সূর্য উত্তরে উঠছে! ”

আহান ভ্রু কুঁচকে রাকিবের দিকে তাকিয়ে বলল,

” কেন কি হয়েছে? ”

রাকিব সবাইকে আঙুল উচিয়ে ইশারা করে বলল,

“ওই যে গেইটে দেখ”

আহান গেইটের দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলল,

” রিয়ু বেবি আমাকে একটা চি*মটি দে তো, আমি কি ভুল দেখছি”

এরই মাঝে দিশা আর আমি এসে হাজির ওদের সামনে,
ওদের এমন অদ্ভুত দৃষ্টি লক্ষ্য করে বললাম,

” কিরে ফ*কির মিস*কিনরা এবা কইরা চাইয়া আছস কি’লিগ্গা, আইজ কি আমাগো হুর পরী লাগদাছেনি কিতা? ”

দিশা ও মুখ টিপে হেসে বলল,

” মনে তো হয়, আরু চল আমরা মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতাই নাম দিয়ে আসি ”

রিয়া অবাক হয়ে বলল,

” কিরে আজ এত তাড়াতাড়ি?”

আমি মুচকি হেসে বললাম,

” এমনি রে, আমি ঠিক করছি এখন থেকে নিয়মিত সময় মতো আসবে ”

আমার কথা শুনে চারজন ই চিৎকার করে উঠে বলল,

” কিহহ”

দিশা আমাকে পিঞ্চ মেরে বলল,

” তুই আর সময় মতো কাজ, ইম্পসিবল!”

দিশার কথা শুনে আহান বলে উঠলো,

“বাদ দে, চল ক্লাসে, পদার্থ কিছু পারি না, আজ দাড়ায় থাকতে হবে, নোট ও করি নাই ”

আমি কিছু একটা ভেবে বললাম,

” জানুরা একটা বুদ্ধি আছে, বলবো?”

” হুম বল”

” নোট আমার কাছে আছে, আমরা সবাই সিরিয়ালে বসে, মানে একজনের পর আরেক জন, পরে স্যার তো লাইন শেষ করে করে আসে, তো আমার টা পাস করলেই হবে, আর নোটে তো স্যার কখনোই সাইন করে না, সো চিল কর ”

আমার কথা শুনে দিশা বলে উঠলো,

” বাট আরু, এটা রি*স্ক হয়ে যাবে না”

” দুর বাদ দে, কিচ্ছু হবে না, ক্লাসে চল ”

_________________

ক্লাসে…..

ক্লাসের ঘন্টা পড়ায় স্যার ক্লাসে চলে এসেছে,

” সবাই কি পড়া কমপ্লিট করছো?”

“জি স্যার ”

” তো বের করো ,আর শুনো পড়া শুরু করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলবো, সবাই মনোযোগ দাও”

” জি স্যার”

” আজ আমাদের কলেজে নোটিশ এসেছে, যেহেতু ঢাকায় আমাদের কলেজ অন্যতম ভালো একটা কলেজ ,তাই মেডিকেলের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এই কলেজের ২য় বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী দের নিয়ে একটা সংগঠন করতে চায়, কাল ওদের লি*ডার আসবে এই বিষয়ে কথা বলতে আসা করি তোমরা সবাই উপস্থিত থাকবে”

” জি স্যার ”

” এবার তোমাদের নোট বের করো, দেখবো”

স্যার সবার একে একে দেখলো,প্রথমে আরু,পরে দিশা এভাবে একে একে ৫ বন্ধু একই নোট দেখালো কিন্তু স্যার বুজতে ও পারলো না। কিন্তু কেন বুঝলো না সেটা আমরাও বুঝলাম না।

ক্লাস শেষে,

আমি বেশ কনফিডেন্সের সাথে বললাম,

” দেখলি আমার কি বুদ্ধি! তোদের বাঁচাই দিলাম ”

দিশা আমার দিকে তাকালো,

” ধইন্যা পাতা”

আমি মুখ বেকিয়ে বললাম,

” খা’লি মুখে চিড়া ভিজবো না, ফুসকা খাওয়াবি ”

আহান বিরক্ত হয়ে বলল,

” তোর খালি খাই খাই, তোর জামাই দুই দিনে ফ*কির হয়ে যাবে”

” এই কথা তোরে চিন্তা করা লাগবো না, তুই খাওয়াবি, মানে মোট ৪ প্লেট”

রিয়া চোখ বড়ো বড়ো করে বলল,

“ওমা গো! খাইতে পারবি ৪ প্লেট?”

” এটা কোন ব্যা’পার হলো?”

সবাই মিলে ফুসকার দোকানে গেলো,

আমি মামাকে হাক ছেড়ে বললাম,

” মামা ৯ প্লেট ফুসকা দেন তো”

ফুসকা ওয়ালা মামা আমার দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে বলল,

“আইচ্ছা আম্মা ”

রিয়া আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,

“তুই!”

” এবা চাস কে!”

আমি পুরো ৪ প্লেট ফুসকা খেয়ে শেষ করলাম,

” ওফফ মামা জোশ ছিলো ”

দিশা আমাকে তাড়া দিয়ে বলল,

” আরু অনেক লেট হয়ে গেছে, চল বাসায় যায়”.

” চল ”

আরু আর দিশা একই পথে আর রাকিব, আহান,রিয়া উ’ল্টো পথে হাটা দিলো।

এবার আসেন পরিচয় দেই,,
আহান যার পুরো নাম আহান সরকার, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, যেমন ভদ্র তেমনি দু*ষ্ট, বাইরে থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই সে যে কেমন দু*ষ্ট, তবে আরু দিশা আর রিয়া কে আপন বোনের মতো আগলে রাখে, মা বাবার একমাত্র ছেলে।

রাকিব, যার নাম রাকিব পা’টোয়ারী।
বাবা ব্যবসায়িক, উচ্চ মধ্যবিত্তা যাকে বলে, ছোট একটা ভাই আছে, খুবই ভালো ছেলে, তবে মাঝে মাঝে সুযোগ পেলে ফ্লা*র্ট করতেও ছাড় দেয় না, বিশেষ করে বড় আপুদের।

রিয়া, পুরো নাম রিয়া চৌধুরী, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, কিছু টা অ’হং’কা’রী ও বটে,কিভাবে জানি আরুদের বন্ধু মহলে নাম লিখাইছে আল্লাহ ই ভালো জানে।

বিকেলে…..

চলবে….

[ আমি আগেই বলে রাখলাম এটা আমার প্রথম লেখা অনেক কিছু ই অবাস্তব কাল্পনিক, যার ভালো লাগে পড়বেন যার ভালো লাগবে না পড়বেন না ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here