#সুখ_পাখি
#Ayrah_Rahman
#part_03
_________________
পরদিন ফ্রাইডে তাই কলেজ অফ,
দুপুরের খাবার খেয়ে আমি বসে বসে টিভি দেখছি, দেখছি বললে ভুল হবে শু’ধু শু’ধু চ্যা’নেল পরিবর্তন করছি, মানে টিভি বর্তমানে আমার কিছু ই ভালো লাগছে না, হ’ঠাৎ একটা চ্যা’নেলে আমার চোখ আটকে যায়, সেখানে একটা লোক খবর পড়ছে, যেখানে বলা হ’চ্ছে,
* শহরে নতুন করে নারী পা*চা*র ও মা*দ*ক ব্যবসার সাথে স’ম্পর্কিত একটা দ’ল ধ’রা পড়েছে, যারা আর স’প্তাহ খানেকের মাঝে ১০০+ জন মেয়ে পা*চা*র করতো। তার সাথে আরো পাওয়া গেছে ই*য়া*বা র মতো আরো অনেক মা*দ*ক দ্র’ব্য,, কিন্তু এই না’রী*পা’চা’র দল টাকে পু’লিশ অনেক দিন ধরে খুঁ’জ করছিলো কিন্তু কোন ভাবেই ধরা যা’চ্ছিল না, তবে হ’ঠাৎ কি এমন হলো তা’রা নি’জেরাই এসে পুলিশের কাছে আত্ম*স’ম’র্পণ করলো। বি’স্তারিত সংবাদ জানতে সাথে থাকুন এস. আর.টিভির, প’রবর্তী সংবাদে আরও বি’স্তারিত জানার আ*স’ঙ্কা করা যা’চ্ছে।
এই টুকু দেখেই আমার কপালে চি’ন্তা র ভাজ পড়লো,
মনে মনে ভাবতে লাগলাম, ব্যা’পার টা কি? নারী পা*চা*র আবার কোথা থেকে উ’দয় হলো, আবার আত্ম*স’মর্পনই বা করলো কেন,কে আছে এর পে’ছনে?
হঠাৎ ড্রয়িং রুমে তরু এসে দেখে, আমি চিন্তিত অ’বস্থায় বসে আছি,
” কিরে,আরু কি হয়েছে? কি নিয়ে ভাবছিস এতো?”
“আরে আর বলিস না, শহরে যে কি উ*দ্ভ’ট কা’ন্ড শু’রু হয়েছে তা বোঝা মুশকিল”
তরু খানিকটা ভ্রু কুঁচকে বলল,
” কি হয়েছে বলবি তো?”
আমি দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললাম,
” নারী পা*চা*র কারীর দল ধরা পড়েছে, ধ’রা পড়েছে বললে ভুল হবে তারা নি’জেরাই আ*ত্ম*সমর্পণ করেছে, কি’ন্তু কেন বলতো? কেউ কি তাদের বা’ধ্য করছে? তাহলে কে সে?”
“দু’র বা’দ দে তো, যার ই*চ্ছে সে থাকবে, তুই এতো চি’ন্তা করিস কেন”
” আচ্ছা যা বাদ দিলাম,,এই শুন না ”
পুনরায় তরুকে ডাকতেই তরু ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো,
” হুম বল”
” কাল না একটা ছেলের সাথে দেখা হয়ে’ছিল, জা’নিস,:কেমন জানি অ*দ্ভুত র’কমের, আমার দিকে কেমন করে জা’নি তাকিয়ে ছিলো?”
তরু চোখ ছোট ছোট করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
” তার পর?”
আমি দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললাম,
” আমার না মনে হয়েছিল ছেলে টাকে আমি চিনি, কি’ন্তু কোন কিছুই না মনে করতে পারছি না, আ’চ্ছা আপুই আমার জীবনে কি এমন কিছু আছে যে’টা আমি জা’নি না কিং*বা ভুলে গেছি?”
তরু চমকে তাকালো আমার দিকে, আমতাআমতা করে বলল,
” আবব.. আ আরু কি সব বলছিস, কি ভুলে যাবি? সব তোর আ’জা’ইরা চি’ন্তা, বাদ দে তো,,চল বাইরে থেকে ঘুরে আসি, অনেক দিন কোথাও যা’ওয়া হয় না”
” আ’চ্ছা চল, দাড়া রেডি হয়ে আসি”
” আরু শাড়ি পরবি?”
আমি কিছু একটা ভেবে বসা থেকে উঠতে উঠতে বললাম,
শাড়ি? আ’চ্ছা পড়বো, তাহলে তো আ’ম্মু র কাছ থেকে শাড়ি নিতে হবে, দাড়া আমি নিয়ে আসি ”
” আচ্ছা যা, আমার টা ও সুন্দর দেখে নিয়ে আসিস ”
” আচ্ছা ”
বলেই মায়ের রুমে গেলাম,
মায়ের রু’মে গিয়ে দেখি তার মা বই পড়ছে,,
আরু হ’ঠা’ৎ করে তার মায়ের কো’লে সু’য়ে পড়’লাম,
হঠাৎ মেয়ের কান্ডে হকচকিয়ে উঠলেন আয়েশা রাহমান। পরক্ষণেই আবার মনোযোগ দিলেন বই পড়ায়। মেয়েটা তার এমন ই হুটহাট এমন করে।
“আ’ম্মু ওই আম্মু ”
” হুম বল, শুনছি”
” তোমার আ’লমারি থেকে দুইটা সাড়ি দাও না!”
” শাড়ি দিয়ে কি করবি”
“পড়বো তো,আমি আর আপু একটু বাইরে যাবো”
“নিয়ে যা,”
“তুমি পরিয়ে দিবা?”
” নিয়ে আয়, শাড়ি”
আরু আ’লমারি খুলে,নিজের জন্য একটা লা’ল পা’ড়ের সাদা সাড়ি আর তরুর জন্য সবুজ সাড়ি বের করে মায়ের হাতে দিলাম,
” নাও পরিয়ে দাও ”
” তরুকে ডাক দিয়ে আ’ন”
বলতে বলতেই তরু হাজির,
“আর ডা’কতে হবে না, আমি’ও এসে গেছি,”
আয়েশা রাহমান খুব সু’ন্দর করে দুই মেয়েকেই শাড়ি প’ড়িয়ে দিলো, সা’জিয়ে ও দিলো, আসলে আয়েশা রাহমান খুবই সৌ’খিন স্ব’ভাবের মানুষ, সবকিছু তেই তার প’রিপূর্ণ হতে হয়
“মাশাআল্লাহ, আমার মা দুটো কে অনেক সু’ন্দর লাগছে,কারো ন’জর না লা’গুক,”
আমি মুচকি হেসে বললাম,
” আমাকে নয় আপুকে হে’ব্বি লাগছে”
তরু খানিকটা মজা করে বলল,
” তোকে বি’ধবা লাগছে, হি হি হি”
আমি কাঁদো কাঁদো মুখ করে আম্মু কে বললাম,
” আম্মুওও দেখো তোমার মেয়ে কি বলে”
আমার কথায় পাত্তা না দিয়ে আম্মু আামাদের তাড়া দিয়ে বললেন,
” ওকে যাও যাও পরে দেরি হয়ে যাবে,, আর তা’ড়া’তা’ড়ি বাড়ি ফিরো, তোমাদের বাবা এসে তার মেয়েদের না দেখলে বাড়ি মাথায় তু’লবে”
আম্মুর কথায় তরু সায় জানিয়ে বলল,
” আ’চ্ছা আম্মু, আসি,”
আমরা বের হয়ে প্রায় ১০ মিনিট যাবত অ’পে’ক্ষা করছি কি’ন্তু একটা রি’ক্সা’র ও দেখা নেই,,
“- আপুওও চল হাঁটি, আজ রি’ক্সা’র ভাটা পড়ছে”
তরু মন খারাপ করে বলে কি আর করবো, চল!
দু বোন রা’স্তা দিয়ে কথা বলছে আর হাটছে হ’ঠাৎ তরুর ফোনে ক’ল আ’সায় সে একটু সা’ইডে চলে আসে, এরই মাঝে আমি নি’জে নি’জে কথা বলতে বলতে কখন যে রা’স্তা’র মা’ঝে এসে পড়েছি তার কোন খবর ই নেই আমার, তরু কথা বলে ফি’রে এসে দেখে আ’রু নেই একটু দুরে তাকিয়ে দেখে আরু রা*স্তা’র মাঝে আর অপজিট দিয়ে একটা ট্রা*ক আসছে,আরুর তখন ও খেয়াল নেয়,আরুর খেয়াল হয় তরুর চি*ৎ*কা*রে তত’ক্ষণে বেশ দেরি হয়ে যায়,,আরু সামনে তাকিয়ে দেখে ট্রা*ক তার কাছাকাছি প্রায়,,আরু চোখ বন্ধ করে ফেললো,হঠাৎ আরু তার হাতে টান অনুভব করলো এবং কিছু বুজে উঠার আগেই কেউ একজন আরুকে তার বাহুডোরে আগলে নিলো,
আরু বুঝতে পারছে লোকটির বুকে অজানা আ*ত*ঙ্কে ডিপ ডিপ করছে আর কাঁপন অনুভব করছে,
দীর্ঘ’সময় পর আরু লোকটির বুক থেকে মাথা তুলে দেখে, সকালে ঝ*গড়া হওয়া সেই লোকটি
“- এই যে মি’স্টার প্লি’জ ছাড়েন, সবাই দেখছে,”
আমার কথায় শুভ্রের ঘোর কাটে।
আমি আর কিছু বলার আগেই আমার গালে ঠা*স করে একটা থা*প্প*ড় পড়লো,
” এই মেয়ে তুমি কি সু*স্থ ভাবে রা’স্তায় চলতে পারো না, যখন তখন ই রা’স্তার মাঝ’খানে চলে আসো, এখন যদি আমি না আসতাম তাহলে কি হতো ভাবতে পারছো? নন*সে*ন্স কোথাকার”
তখনই তরু সেখানে উপ*স্থিত হয়,
” ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনাকে কি বলে ধঅ( এটুকু বলেই তরুর গলার স্ব*র আটকে গেলো কারন এতক্ষণে সে শুভ্রের মুখ দেখতে পেলো)
” ধন্যবাদ দেয়ার কোন দরকার নেয় মিস তরুওও।আজ বরং আসি, ভাগ্যে থাকলে আরও বহুবার যে দেখা হবে, ধন্য*বাদ টা নাহয় তোলা থাকলো, আর বোন কে একটু দেখে শুনে রাখবে তো,বলা তো যায় না কবে জানি কে তু’লে নিয়ে চ’লে যায়,
বলেই শুভ্র চলে যায় আর এদিকে তরুর মুখে পড়ে চি’ন্তার এক বি’রাট ছাপ,
আমি তখন কার থা”প্পরের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে আপুকে জিজ্ঞেস করলাম,
” কিরে আপু ওই লোকটা তোকে চিনে কিভাবে?”
তরু আমতাআমতা করে বলল,
“ওওওও কিছু না, একবার ব’ব”বা’সে হে বাসে দেখা হয়েছিল আর কি,চল বাসায় চল”
“হুম,, চল”
______________
রাতে….
তরুর নিজের ঘরে সুয়ে সুয়ে ভাবছে আবার এই শুভ্র, কেন আবার এসেছে আমার বোনের জীবন টা ন*ষ্ট করতে, কি চায় কি শুভ্র, আর শুভ্রের জানে জি’গার বন্ধু ওই শা*লা অভ্রটা ই বা কোথায়, যাকে ছাড়া শুভ্র নিজের জীবন টাও ক’ল্পনা করতে পারতো না,যার জন্য নিজের ভালোবাসা কে অ’প’মান করতে দু বার ভাবলো না, কোথায় সে ,দুর এসব কি ভাবছি, অতীত তো অতীত ই, যা চলে গেছে সেটা আর রি’পিট করতে চাই না, ভালোই ভালোই আরুর এইচএসসি টা শেষ হোক, ওকে দুরে কোথাও পাঠিয়ে দেবো, যেখানে অতীত ওকে কখনোই ছুতে পারবে না, এসব ভাবতে ভাবতে তরু ঘুমিয়ে গেছে,
এদিকে আমি সেই কবেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছি ,,কি’ন্তু ঘুমের মাঝেই মনে হ’চ্ছে কেউ যেন আমাকে গভীর ভাবে প’র্যবেক্ষণ করছে,কখনো গা*ল, কখনো বা ঠোঁ*ট, আমি বুঝতে পারছি কি’ন্তু ঘুমে এতটাই কাতর চোখ খুলার সা’ধ্য আমার নেই,এই দেখে অ’জানা লোকটি মুচকি হাসছে,নআরুর গালে হাত দিয়ে বলতে লাগলো,,
হায় পা’গলি রে আমার, এখনো ছোট বা’চ্চায় রয়ে গেলে,জানো তো চ’ড়ুই আমার না পুরানো সেই নে*শা টা আবার মা’থা চারা দিয়ে উঠেছে,দুই দুটো বছর তোমাকে পাগলের মতো খুঁ’জেছি, দিনে পাগলের মতো খুঁজেছি আর রাতে তোমার ছবি বুকে নিয়ে কল্পনা সাজিয়েছি, নাহ, আমি কোন এ’ল’কোহলের নে*শা করিনি,,আমার তো একটাই নে*শা,সেটা কি জানো?, উহুম জানো না,জানলে আমাকে একা ফেলে কখনোই আসতে না,,একবার ও কি আমার কথা ভাবলে না?তুমি ছাড়া আমার কি হবে,বলতে বলতে সেই লোকটির চো’খ দিয়ে দু ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো হ’ঠাৎ ই উ’ঠে দাড়িয়ে বলতে লাগলো,সব কিছুর হিসাব নেবো,কিন্তু শা*স্তি টা যে এভাবে নয় ঐভাবে হবে,মাই ডিয়ার চড়ুই পাখি ,বলেই আরুর কপালে ঠোঁ*ট ছোঁ’য়া’লো,,উ*ষ্ণ ঠোঁ*টের স্প*র্শে আরুর ঘুম পুরোপুরি ছুটে গেল,, কিন্তু সামনে কাউকে দেখতে না পেয়ে স্ব*প্ন ভেবে ফের ঘুমিয়ে পড়লো,আর অচেনা লোকটি যেদিক দিয়ে এসেছিলো ঠিক সেদিক দিয়েই চলে গেলো,
পরদিন সকালে,
আজ কেন জানি সকাল সকাল আমার ঘুম ভে’ঙ্গে গেল। আর কাল রাতের কথা ভাবতে লাগলাম,
কাল কে এসেছিল আমার রু’মে নাকি আমি স্ব’প্ন দেখেছি, বুঝতে পারছি না, দুর ভাল্লাগে না, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি মোটে সকাল ৬ বাজে,
আমি বসে বসে ভাবতে লাগলাম, ধুররর এতো সকালে কেউ উঠে ,যাক উঠে যখন পড়েছি,,ছাদে থেকে ঘুরে আসি, এই বলে বিছানা থেকে নামতে গিয়ে দেখে মেঝেতে আংটির মতো কিছু একটা পরে আছে, আরু সেটা নিয়ে কিছুক্ষন থম মেরে বসে রইলো আংটি টা দেখতে খুব সুন্দর এবং এর মাঝে খুদায় করে খুব সূক্ষ্ম ভাবে কিছু একটা লেখা, আরু খুব ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করে লেখা টি পড়ে সেখানে খুব সুন্দর করে লেখা ” সুখ_পাখি”
ভাবতে লাগলাম এই আংটি টা কার হতে পারে এটা তো আমার না ,তরু আপুর হবার কথা না, আব্বু – আম্মু তো এসব আংটি পড়ে না, তাহলে কার? তারমানে কেউ কি সত্যি এসেছিল,যদিও আসে কে সে? ,দুরররর এত এত চিন্তা কিভাবে করমু?নআরু আংটি টাকে আলমারিতে রেখে ফ্রেস হতে গেছে,
ফ্রেস হয়ে এসে দেখে সকাল সাত টা বাজতে আর ১৫ মিনিট বাকি,
আরু আর কিছু চিন্তা না করেই বাইরে বের হলো, রান্নাঘরে মা কাজ করছে, বাবা জগিং করতে গেছে ,আমি সোজা তরুর রুমে ঢুকে দেখি তরু সাতসকালে বসে বসে গান শুনছে,
বুঝতে পারলাম আমার আপুর মন ভালো না কারণ তরু যখন ই মন খারাপ থাকে তখন ই সে গান শুনে তবে তরু শুধু একজনের গান ই শুনে ,সে কে তরু আজও নাম ও জানে না, মানে সে সিক্রেট সিংগার, তবে তার গান মানে কন্ঠ টা তরুর খুব ভালো লাগে,কন্ঠ টা ঠিক তার ভিষণ কাছের কারো যদিও এখন সে তরুর থেকে অনেক দুর, কোথায় আছে তরু তা জানে না আর না জানতে চাই, কিন্তু কথায় আছে না শরীর কে মানানো গেলেও মন কে মানানো যায় না,না চাইতেও বারবার সেই মানুষ টার কথায় তরুর মনে হয়,
আরু হঠাৎ গিয়ে তরুর পাশে বসে গান অফ করে দেয়,গান অফ হবার সাথে সাথে তরু চোখ খুলে সামনে তাকিয়ে দেখে আরু বসা,
“কিরে বনু কখন আসলি?আর এত সকালে? ”
“হুম ঘুম ভেঙ্গে গেল তাই উঠে পরলাম” ,,
” ওহহ,”
” আপুনি?”
আমার ডাকে তরু চমকে ওঠে, সেদিকে পাত্তা না দিয়ে তরু বলে,
“হুম বল, কিছু বলবি?”
” কি হয়েছে তোর,মন খারাপ নাকি কোন বিষয় নিয়ে চিন্তা করছিস?”
তরু মুচকি হেসে বলল,
“- আরে না কি চিন্তা করবো, আজব,এমনি ভালো লাগছে না তাই গান শুনছি,”
আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম আপুকে কি ওই আংটি টার বিষয়ে বলবো? না থাক এমনিতেই কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত আর চিন্তা বাড়ানো লাগবে না, আমি ই বিষয় টা ভেবে দেখবো নে
আমাকে অন্য মনস্ক দেখে তরু বলে উঠলো, কিরে তুই কি ভাবছিস?
আরু আমতাআমতা করে বলল,
“আরে কিছু না, আবব আপু ওই আজকে না আমাদের কলেজে মেডিকেলের স্টুডেন্ট আসবে,,আমাদের নিয়ে নাকি কিসের সংগঠন করবে,”
তরু ভ্রু কুঁচকে বলল,
” তোদের নিয়ে? ”
” হ্যা,, সেটাই তে বলল,আজ তাদের লিডার আসবে, আমাদের সবকিছু বুঝিয়ে দিতে,আশা করা যায় সপ্তাহ খানেকের মাঝে কাজ শুরু হবে।”
” ওহ,সাবধানে থাকবি,”
আরু বিছানা ছেড়ে উঠতে উঠতে বলল,
“- হ্যা হ্যা থাকবো থাকবো”
বলেই তরুর রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম , এদিকে তরু বসে বসে চিন্তা করছে,,শুভ্র আবার কেন আসলো? আর কাল সে কি বলে গেলো? আরুর কি কেন ক্ষতি করবে? কাল থেকে এসব চিন্তায় তরুর ঘুম হারাম হয়ে গেছে,,
___________________
কলেজ ক্যাম্পাসে…
চলবে?..
[ কেমন লাগে গল্প টা? ]