#সুখ_পাখি
#Ayrah_Rahman
#part_08
_______________
সকালে…..
তীব্র রোদের আলোতে আরুর ঘুম ভে’ঙ্গে যায়,
আড়মোড়া ভে’ঙে বিছানায় উঠে বসে সে।
হঠাৎ করেই তার মনে পড়ে যায় কাল রাতের সেই মেসেজ এর কথা,
মেসেজ এ লেখা ছিলো…
” এত দুরে তুমি তবু কেন এত নিকটে মনে হয়!
দুরত্ব গুছিয়ে তুমি দুর কে করেছ মধুময় ”
এসব ভাবতে ভাবতেই তার চোখ যায় ঘড়িতে,
ঘড়িতে সবে মাত্র ৭ টা বাজে,
,আর ঘুম হবে না ভেবে সে ধীর পায়ে ওয়াসরুমে চলে যায়,
ওয়াসরুমের আয়নাই নিজেকে দেখে আরু বি’ব্রত হাসি দেই,
মনে মনে ভাবে,
সে কেমন ছিলো আর কেমন হলো,
এসব চি’ন্তা করতে করতে সে গোসল সেরে দেন বের হয়,
রুমে এসে ড্রে’স চে’ঞ্জ করে নিচে চলে যায়,
,নিচে গিয়ে দেখে আয়েশা রাহমান ডাইনিং টেবিলে বসে কাজ করছে,,
আরু গিয়ে তার মায়ের পাশে বসে,,
এত সকালে মেয়েকে দেখে আয়েশা বেশ খানিকটা অবাক ই হলো,
“কি মেম! আজ এত সকালে?”
আরু মুচকি হেসে বলল,
“এমনি, ঘুম ভে’ঙ্গে গেল তাই উঠে পরলাম,”
” বেশ, তা এখন সবার জন্য একটু চা বানাও, তোমার চা তো তোমার বাবার খুব প’ছন্দ”
আরু অনেক টা অলস ভ’ঙ্গিতে বলে উঠলো,
” আমি? নো,, আমি করমু না ”
আরু স্বভাব গতই অনেক টা অলস,তবে সব কাজে না। শুধু ঘরের কাজে,,ফাঁকি দেওয়ার ধা’ন্দা
আয়েশা রহমান খানিকটা রাগী স্বরে বলল,
“যাও বলছি, না হলে আজ কিন্তু খবর আছে,”
আরু মুখ বেকিয়ে রান্না ঘরে যেতে যেতে বলল,
“যা’চ্ছি তো, এভাবে বলার কি আছ আজঅঅবব”
বলেই সে রান্না ঘরে চলে যায়,
আর আয়েশা রাহমান মেয়ের দিকে তাকিয়ে কিছু টা হাসে,
কারণ তিনি জানেন আরুকে কোন কাজ দিলে প্রথমে না করবে পরে সে যাবে
আরু চা তৈরি করে তার মা আর তার জন্য নিয়ে যায়,বাকিরা এখনো উঠে নাই
চা খেতে খেতে মা মেয়ে কিছু ক্ষ’ন গ’ল্প করে আরু উপরে চলে যায় রেডি হতে।
আরু রেডি হয়ে নিচে নেমে দেখে ডাইনিং এ সব রেডি,
আরু খেয়ে বের হয়ে যায় কারণ আজ মেডিক্যাল এর কাজ শুরু হবে,
বের হয়ে দেখে দিশা এই দিকেই আসছে।
” আরররে লেট লতিফা, আজ এত তাড়াতাড়ি? ”
আরু ভ্রু বাকিয়ে বলল,
“তো? ”
” তো! তো কিছু না, চল না হলে দেরি হয়ে যাবে”
” হুম,চল আর শোন এক মাঘে শীত যায় না কিন্তু ”
বলেই আরু হাটা শুরু করলো,
দিশা ও আরু পিছনে পিছনে দৌড়,
সামনে রি’ক্সা পেয়ে তাতে উঠে দুই জনই কলেজে চলে যায়।
_____________________
কলেজে…
বি’জ্ঞান বিভাগের সকল শিক্ষার্থী দের একত্রিত করা হয়েছে,
টিম লিডার রা তাদের দলের ৫ জন কে আলাদা করেছে এবং কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছে,
তাদের মধ্যে শুভ্র র টিমে পরেছে আরু,টিনা, সাবিহা, রিদম আর তারেক।
তাদের সাথে আরুর এতটাও ভালো বন্ডিং নেই,
,শুভ্র আরু বাদে বাকি ৪ জনের কাজ বুঝিয়ে দিয়েছে এবং একেকজন কে একেকটা করে এসাইনমেন্ট দিয়েছে।
তারা নিজেদের কাজে যায়, তাদের বিদায় করে শুভ্র আরুর দিকে তাকায়,আর এমন ভাব করে যেন কিছু একটা মনে করার চে’ষ্টা করছে,
শুভ্রর এমন ভাব দেখে আরু খানিকটা ভ্রু কুঁচকায়,
” আই থিংক তোমাকে আমি কোথাও দেখেছি,, কোথায় দেখেছি মনে করতে পারছি না”
আরু মনে মনে ঠিক এই ভয়টাই পাচ্ছিলো,
কথা কাটানোর জন্য আরু বলে
” আরে না, আপনি আমাকে কোথায় দেখবেন বলুন তো, কি সব আজেবাজে কথা বলছেন!”
শুভ্র ভাবুক ভঙ্গিতে বলে উঠলো,
” উহুম তোমাকে আমি দেখেছি, ওহ হে মনে পরেছে, তুমিই তো রা’স্তার সেই পা*গল মেয়েটা, এম আই রাইট মিস পা*গলি!”
আরু চোখ বড়ো বড়ো করে বলল,
” কিহ! আমি পা*গল? আপনি পা*গল, আপনার বউ পা*গল আপনার ছেলে পা*গল,আপনার ভবিষ্যত প্রজন্ম ও পা*গল হবে,দেইখেন!”
শুভ্র হাসতে হাসতে বলল,
“ওমা তাই নাকি?ওকে আপনার অভিশাপ আমি মাথা পেতে নিলাম মিস ঝগড়ুটে”
বলেই সে চেয়ার থেকে উঠে আরুর দিকে এগুতে লাগলো, শুভ্রর এগুনো দেখে আরু খানিকটা ভরকে গেল, সেও পিছাতে শুরু করলো
” কি হলো আপনি এ’গুচ্ছেন কেন ”
অনেকটা তোতলানো গলায় কথাটা বলল আরু।
শুভ্র নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে এগুতে এগুতে বলল
“- তুমি পিছুচ্ছো কেন? তুমি পিছুচ্ছো তাই আমি এগুচ্ছি”
আরু পিছুতে পিছুতে বলল,
” এগুবেন না বলে দিলাম”
বলতে বলতে আরু একদম দেয়ালের সাথে মিশে গেলো, শুভ্রও আরুর ঠিক সামনে তার এক হাত আরুর কাঁধের উপর দিয়ে দেয়ালে রাখা আরেক হাত দিয়ে আচমকাই আরুর কোমড় চেপে ধরে,
আরুর মনে হলো শুভ্রর ছোয়া পাওয়ার সাথে সাথে তার শরীর শিরশির করে উঠলো ,আরু খানিকটা কাঁপতে লাগলো
শুভ্রর দৃষ্টি আরুতেই নিবদ্ধ, শুভ্র ঘোর লাগা দৃষ্টিতে আরুর দিকে কিছু ক্ষন তাকিয়ে খানিকটা ঝুঁকে আরুর আরুর কপালে পড়ে থাকা চুলো গুলো আলতো হাতে সরিয়ে দিয়ে,
আরুর কপালে খানিকটা শব্দ যোগেই চু*মু খাই,
আরু খানিকটা চমকে উঠে,
শুভ্র নিজেও জানেনা সে কি করছে, যখন তার হুস আসে সে ছিটকে দুরে সরে যায়,
শুভ্র আরুর দিকে তাকিয়ে দেখে সে চোখ ব’ন্ধ করে কাঁপছে,
আরু সামনে কারো উপস্থিতি টের না পেয়ে তাকিয়ে দেখে শুভ্র তার থেকে বেশ খানিকটা দুরে টেবিলে বসে কাজ করছে সে আশে পাশে তাকিয়ে দেখে নেই কেউ আছে কি না, অতপর সে অডিটোরিয়াম থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসে,
আরু যাওয়ার পরেই শুভ্র তার সামনে থাকা চেয়ারে স্ব জোরে লাথি মারে,
রাগ তার নিজের প্রতি, সে আরুর সাথে কি করতে চাইছিলো, ভেবেই তার গলা শুকিয়ে আসছে, আর কিছু না ভেবে সেও অডিটোরিয়াম থেকে বেরিয়ে বাইরে এসে চারপাশে তাকিয়ে আরুকে খুঁজতে থাকে কোথাও দেখতে না পেয়ে চিন্তা য় পরে যায়,
এদিকে আরু কলেজ থেকে বের হয়ে সোজা গাড়িতে করে বাসায় চলে যায়।
বাসায় এসে ভাবতে থাকে শুভ্র আজ তার সাথে কি করছে,,
অবাক করা বিষয় হলো আরুর কেন যেন মনে হলো এই ছো’য়া সে আগেও পেয়েছে কিন্তু কখন! তার তা মনে পরছে না
কেন এমন মনে হচ্ছে?
___________________
বিকেলে…..
চলবে?…
[ কেমন লাগলো? ]