#নিশীভাতি
#১০ম_পর্ব
ভিড় ঠেলে ভেতরে যেতেই চোখ বিস্ফারিত হলো হুমায়রার। মাটিতে অজ্ঞান, মূর্ছিত পড়ে রয়েছে শরীফা। শরীফাকে চিনতে সময় লাগলো না কিশোরীর। মানুষটির সাথে তার পরিচয়ের সময়টা ক্ষীণ হলেও, স্মৃতিগুলো মস্তিষ্কে ছেপে আছে। কিছু মানুষ আছে, তাদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো খুব স্বল্প থাকে, কিন্তু না চাইতেও বিশেষ একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়। শরীফার সাথে হুমায়রার সম্পর্কটাও তেমন। খোশমেজাজ মানুষটিকে এমন মূর্ছিত দেখে কোথাও না কোথাও ভীষণ খারাপ লাগলো হুমায়রার। আশেপাশের মানুষের কাছে অনুরোধ করলো সে।
মানুষ ধরাধরি করে শরীফাকে চেয়ারম্যান বাড়িতে আনা হলো। দেলওয়ার সাহেব বোনকে দেখে খানিকটা চিন্তিত হলেন। স্ত্রীর কাছ থেকে বোনের বিগত কিছুদিনের পাগলামী সম্পর্কে সে অবগত। ফাইজান এখন ঢাকায়। সেই উছিলায় বিগত দেড় দিন খাওয়া দাওয়া থেকে বিরতি দিয়েছেন তিনি। খেতে বললে অরুচি অরুচি করেন। মতি ডাক্তার প্রেসার মেপে বললো,
“এক্ষন সেলাইন খাওয়ান। উনার প্রেসার তো অনেক কম। ডিম খাওয়ান পারলে”
দেলওয়ার সাহেব শরীফার উপর ক্ষিপ্ত হলেন। কিন্তু বোনের জিদ সবসময় ই বেশি। নিজের জেদের বাহিরে নিজেকেও তোল্লাই করে না সে। তাই সব জেনেও কিছু বলতে পারছেন না। এদিকে হুমায়রা দাঁড়িয়ে আছে দরজার বাহিরে। কেনো যেনো মহিলার এমন অবস্থায় তাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না। পানির ঝাপটা দিলে জ্ঞান ফিরে শরীফার। কিন্তু শরীর প্রচুর দূর্বল। নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ। তার ডায়াবেটিস আছে, লো প্রেসারের সমস্যা আছে। কিন্তু সে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে অনশনে বসেছেন। সালমা ডিম সিদ্ধ করে এনেছে। কিন্তু নাছোড়বান্দা শরীফা খাবে না। সে তার জিদ অক্ষত রেখেছে। দেলওয়ার খুব রাগারাগি করলেন, কিন্তু কাজে দিল না। বাহিরে থেকে হুমায়রা সবটাই শুনলো। অহেতুক এখানে দাঁড়িয়ে থাকার মানে নেই। তবুও দাঁড়িয়ে আছে। সালমা হাল ছেড়ে বেরিয়ে এলো। দরজার বাহিরে জবুথুবু হয়ে দাঁড়ানো হুমায়রাকে দেখেই সে এগিয়ে এলো। তার হাতে ডিমটা ধরিয়ে বললো,
“একটু দেখো না যদি খাওয়াতে পারো”
“আমি?”
“তুমি বললে শরীফা মানা করতে পারবে না”
হুমায়রা বেশ বিপাকে পরলো। সে বুঝলো না তার কথা কেন মানবে! কিন্তু মানাও করতে পারলো না। অনুভব করলো সে শরীফার প্রতি ভালোই দূর্বল। হয়তো দূর্ঘটনার দিন তার আন্তরিক ব্যবহারের দিকে। মানুষটি বাঁচাল একটু পাগলাটে বটে কিন্তু খারাপ নন। তাই না চাইতেও তাকে খাওয়ানোর দায়িত্ব নিলো হুমায়রা।
হুমায়রা যখন ঘরের দরজায় আস্তে করে কড়া নাড়লো, শরীফা চোখ মেলে চাইলেন। হুমায়রাকে দেখেই তার নেত্রকোনে খুশির ঝলক দৃশ্যতঃ হলো। মেদুর মুখখানা উজ্জ্বল হলো। গদগদ স্বরে বলল,
“তুমি এখানে?”
“ওই তো তোমাকে নিয়ে এসেছে শরীফা”
সাফাই গাইলো সালমা। হুমায়রা তাকে অসুস্থ অবস্থায় এখানে নিয়ে এসেছে শুনে যেন প্রসন্নতা বাড়লো শরীফার। হাত নাড়িয়ে কাছে ডাকলো সে। হুমায়রা প্রশ্রয় পেয়ে এগিয়ে গেল। চেয়ার টেনে সামনে বসলো। খুব ধীর স্বরে শুধালো,
“আপনি এগুলো কেনো করছেন?”
“কোনগুলো?”
“এই যে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন”
শরীফা চুপ করে রইলো। হুমায়রা ডিমটা এগিয়ে দিয়ে বললো,
“আপনি জিদ ছেড়ে দিন চাচী, আপনাকে এমন দেখতে কারোর ভালো লাগছে না। সবাই চিন্তা করছে”
“তাহলে ওই লাট সাহেবের বা/চ্চাটাকে বলো তোমাকে বিয়ে করে নিতে। আমি খেয়ে নিবো। বলে কি না, আমি ভাউতাবাজী করি”
হুমায়রা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। ডিমটা এগিয়ে বললো,
“তা না খেয়ে ভিড়মি খেলে আপনার লাট সাহেবের বা/চ্চা রাজি হয়ে যাবে?”
“আলবত”
“বিয়েতে রাজী হয়ে কি লাভ হবে?”
“তুমি আমার ঘরে বউ হয়ে আসবে”
“কিন্তু আমি তো আপনার লাট সাহেবের বা/চ্চাকে বিয়ে করতে চাই না”
হুমায়রার কথায় চমকালো শরীফা। আহত গলায় বললো,
“আমার ছেলেকে বিয়ে করবে না তুমি?”
“ইচ্ছে নেই। আপনিই বলুন উনাকে বিয়ে করা যায়? আমার দাম্ভিক, বেয়াদব, বেরসিক, বদরাগী মানুষ অপছন্দ। আর সব গুণ মাশাআল্লাহ আপনার লাটসাহেবের বা/চ্চার মধ্যে আছে। কি করে বিয়ে করি বলুন!”
শরীফা কিছুটা কষ্ট পেলো। নিজের ছেলের সাফাই গেয়ে বললো,
“আমার ছেলেটা খুব ভালো। নিজের ছেলে বলে বলছি না। আসলে ওর যে পেশা ওকে এমন করে দিয়েছে। ও রাগী নয়, একটু চাপা স্বভাবের। নিজের মধ্যেই সবকিছু চেপে রাখে। কষ্ট হলেও বলে না কষ্ট হচ্ছে। ও সবসময় ই এমন চাপা স্বভাবের। ইংরেজীতে কি জানি বলে!”
“ইন্ট্রোভার্ট”
“হ্যা, ঐটা। হাফসা মা/রা যাবার পর আরোও নিজেকে আটকে ফেলেছে নিজের মাঝে। এখন যেন অনুভূতিশূন্য হয়ে গেছে। তোমাকে যখন প্রথম দেখেছিলাম, আমার মন বলেছিলো তুমি ফাইজানের জন্য একদম খাপে খাপ”
হুমায়রা মলিন স্বরে বললো,
“এই ভুল ধারণা হবার কারণ?”
“ভুল ধারণা বলছো?”
“যে মানুষটি আমাকে সহ্য করতে পারি না, তার জন্য আমি খাপে খাপ?”
“এটা তোমার এখন মনে হচ্ছে, বিয়েটা হোক দেখবে দুজন দুজনকে চোখে হারাবে”
শরীফার কথা শুনে সশব্দে হেসে উঠল হুমায়রা। মানুষটির চিন্তার পরিধি দেখে না হেসে পারছে না। তার মুখের কাছে ডিমটি নিয়ে বলল,
“আচ্ছা, এবার খেয়ে নিন”
“খাবো না, অনশন ভেঙ্গে যাবে”
“জিদ ভালো, কিন্তু নিজের উপর কিসের জেদ। এই যে আপনি খাওয়া দাওয়া, ঔষধ ছেড়ে জেদ দেখাচ্ছেন, এতে কিন্তু ক্ষতি আপনার ই। যদি আপনার ছেলে রাজীও হয়, আপনার জন্য কিন্তু বিয়েটা পিছাবে। কারণ আপনি তো ভিড়মি খেয়ে বিছানায় থাকবেন। জেদ করতে হলে অন্যভাবে করুন”
“অন্য কিভাবে করা যায়”
শরীফার চোখে ছলকাচ্ছে অকৃত্রিম কৌতুহল। হুমায়রা বলল,
“আপনি খেয়ে নিলেই আমি বলবো”
“ঢপ দিচ্ছো?”
“উহু, সত্যি কথা। আমি মিথ্যে বলি না”
শরীফা হাসলো। অবশেষে সে খেলো। খাওয়া দাওয়া শেষে হুমায়রা বলল,
“চাচী আমি এখন যাই?”
“আরও কিছুক্ষণ থাকো না। ভালো লাগছে তো”
“কাল আসবো ক্ষণ। আপনাকে নিয়ে মেলায়ও যাবো। পাশের গ্রামে হচ্ছে। যাবেন?”
“যাবো। মানে আলবত যাবো। কিন্তু বললে না তো খাওয়া বাদে কি করে আমার ছেলেকে জব্দ করা যায়”
“কালকে যখন আমরা বের হব। কাউকে বলবো না। আপনার ছেলে আপনাকে খুজতে খুজতে চুল ছিড়ে ফেলবে। টাক হয়ে যাবে, তখন তাকে ফোন করে জানাবো সে যদি কথা না শুনে তবে আপনি আর ফিরবেন না”
হুমায়রার বুদ্ধি পছন্দ হলো শরীফার। গদগদ কণ্ঠে বলল,
“বেশ বুদ্ধি তো। আগে মাথায় আসে নি কেন?”
“খাবার না খেলে বুদ্ধি পাথর হয়ে যায়”
হুমায়রার কথায় হেসে উঠে শরীফা। হুমায়রা তার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লো। ঘর থেকে বের হতেই মুখোমুখি হলো ফাইজানের। ফাইজান হন্তদন্তের মত হেটে আসছিলো। হুমায়রার সাথে প্রায় ধাক্কা লেগেই যাচ্ছিলো। হুমায়রাকে দেখেই দাঁড়িয়ে গেলো। চোখে মুখে বিস্ময়। অবাক স্বরে বললো,
“আপনি এখানে?”
“চাচী দীঘির ওখানে বেহুশ হয়ে গিয়েছিলেন। আমার চিন্তা হচ্ছিলো, তাই এসেছি”
ফাইজানের দৃষ্টি সরু হলো। ধার বাড়লো। বিস্ময় প্রকাশ না করলেও কিছুটা বিস্মিত হয়েছে বটে। এই মেয়েটা সবসময় তাকে অবাক করে। অবাক হয় তার উজ্জ্বল, তেজী দৃষ্টিতে, অবাক হয় তার ভনীতাহীন অঙ্গভঙ্গিতে। সে ভয় পায় না বললে ভুল হবে। কিন্তু সেই ভয় তাকে কাবু করে না। ফাইজানের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতেও সে কাবু হয় না। নিশ্চুপ কিছুসময় তাকিয়ে রইলো সে হুমায়রার দিকে। হুমায়রা কিছুটা অপ্রস্তুত হলো। পলকহীন দৃষ্টি তাকে বিব্রত করলো। ফাইজান ঘড়ির দিকে একদফা তাকিয়ে বললো,
“দেরি হয়ে যাচ্ছে, আপনি বাসায় যান”
হুমায়রা মাথা দোলালো, কিন্তু কিছু একটা ভেবে বললো,
“আপনাকে একটা কথা বললে, রাগ করবেন?”
সরু নজরে তাকালো ফাইজান, দৃষ্টিতে কৌতুহল। হুমায়রা সাহস করে বলল,
“যতই বিত্তশালী হন না কেন, মা নামক ছায়াটি না থাকলে পৃথিবীর সব প্রাচুর্য্য ই অপ্রচুল। তাই তাকে কষ্ট দিবেন না”
“মাকে কষ্ট না দিতে হলে তো আপনাকে বিয়ে করতে হবে। করবেন আমাকে বিয়ে? আমানের কাছ থেকে সব জানার পর সাহস হচ্ছে?”
ফাইজানের স্বাভাবিক স্বরে হুমায়রা তাজ্জব হলো। বিমূঢ় দৃষ্টিতে চাইলো। কিছুসময় ভাষাহীন রইলো ঠোঁটজোড়া। মনে মনে আওড়ালো,
“কি করে?”
ফাইজান হাসলো। বিচিত্র সেই হাসি। বিদ্রুপাত্মক কণ্ঠে বললো,
“আপনি আমার সম্পর্কে না জানলেও আমি আপনার সম্পর্কে প্রায় সব ই জানি। এটাও জানি আপনার দাদা আর ভাইজানের মাঝে বিয়ে নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। আমার কিন্তু আপনাকে বিয়ে করতে আপত্তি নেই। এই জেদ আমি আপনার জন্য ধরেছি। এখন বলুন করবেন বিয়ে আমাকে?”
হুমায়রার চোখ বিস্ফারিত হলো। ফাইজানের কথাগুলো বিশ্বাসযোগ্য হলো না। কিন্তু অবাক হলো এই ভেবে ফাইজান তার সম্পর্কে সব জানে, আসলেই কি সব জানে। মানুষটি সত্যি একটি প্রহেলিকা। হুমায়রা দাঁড়ালো না। হনহন করে বেড়িয়ে গেলো। ফাইজান কিছুসময় তাকিয়ে রইলো হুমায়রার যাবার পানে। মেয়েটির মায়িক দৃষ্টিতে আজ হরেক রকম অনুভূতি ধরা দিয়েছে। কিছুটা ভয়, কিছুটা কৌতুহল, কিছুটা বিস্ময়। ফাইজান নিঃশব্দে হাসলো। এর পর মায়ের ঘরে প্রবেশ করলো।
মা মুখ ফুলিয়ে আছে। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে মুখখানা মলিন হয়ে আছে। ফাইজান কথা বলতে চাইলেও সে বললো না। ফাইজান দুবার চেষ্টা করলো কিন্তু ব্যর্থ হলো। পাশের ছোট টেবিলে আধোয়া প্লেট খেয়ে নিশ্চিত হলো মা খেয়েছে। মায়ের ঘর থেকে বের হতেই মামীর সাথে দেখা হলো। ফাইজানকে দেখে তিনি গদগদ স্বরে বললেন,
“ফাইজান বাবা, তুমি হিরেকে পায়ে ঠেলো না।“
মামীর কথার মর্মার্থ প্রথমে না বুঝলেও যখন তিনি হুমায়রার গুনগাণ করতে লাগলেন তখন বুঝলো কাহিনী কোথায়! হুমায়রা মেয়েটি আরোও একবার তাকে অবাক করলো। মেয়েটির তাহলে গুণ ও আছে____
*******
সাদা খাতার উপর শুধুই কাটাকাটি করছে হুমায়রা। তার মস্তিষ্ক বিচলিত। ফাইজান নামক মানুষটি তার এলোমেলো মস্তিষ্কের জন্য দায়ী। বারবার লোকটার কথাগুলো মাথায় পর্যাবৃত্ত গতিতে ঘুরছে। “করবেন আমাকে বিয়ে?” কথাটা আলোড়ণ তৈরি করছে বারে বারে। মানুষটি তার সম্পর্কে সব জানে, নিশ্চয়ই এটাও জানে আমান তাকে পছন্দ করে তবুও তার বিয়েতে আপত্তি নেই। সে নাকি হুমায়রার জন্য বিয়েতে অমত করেছে। কিন্তু কেন? বিরক্তিতে চোখ মুখ কুচকে এলো। নিজের উপর বিরক্তিটা একটু বেশি। কেনো ভাবছে ঐ লোকটাকে নিয়ে সে? কেন?
********
সন্ধ্যের গন্ধ মিলিয়ে নিকষ কৃষ্ণ রাত ঢলে পড়েছে শহরে। কর্মব্যস্ত মানুষেরা পঙ্গপালের মত ছুটছে নিজের বাড়ি। বাসের জন্য অপেক্ষায় আছে রাশাদ। সদর থেকে গ্রামে ফিরবে। দাদার সাথে ঝামেলার জন্য এখানের কাজ অনেকটা আটকে ছিলো। না পেরে আজ আসতেই হলো। কাজ শেষ করতে করতে রাত হয়ে গিয়েছে। এখন বাস পেলেই নিষ্পত্তি। বাস পেলো নয়টা নাগাদ। বেশি যাত্রী নেই তাতে। রাশাদ যেয়ে বসলো একেবারে শেষের সিটে। প্রথমে খেয়াল না করলেও কিছুক্ষণ বাদে খেয়াল করলো একেবারে কোনার সিটে একজন যাত্রী রয়েছে। চাদর মুড়ি দিয়ে জানালায় মাথা ঠেকিয়ে হেলান দিয়ে বসে আছে সে। রাশাদ তার মনোযোগ সরালো। খুব একটা পাত্তা দিলো না, কিন্তু সময় পার হবার সাথে লক্ষ করলো মানুষটি কাঁপছে। ক্ষণে ক্ষণে কুহাচ্ছে। রাশাদের চিন্তা হলো। বাসের কন্ডাকটরকে ডাকলো। কিন্তু সে পাত্তা দিলো না। রাশাদ একটু সংকোচ করলেও মানুষটিকে শুধালো,
“আপনি ঠিক আছেন তো?”
ওপাশ থেকে সাড়া না পেয়ে চিন্তা বাড়লো। একটু কাছে গেলো রাশাদ। চাঁদরটা একটু সরালো। সাথে সাথে নড়লো পুরুষালি ঠোঁটজোড়া। অস্পষ্ট স্বরে আওড়ালো,
“ইলহা?”………………
চলবে
[মুসলিম পাড়ার দুটি বাড়ি, নাম শান্তিকানন এবং সুখনীড়। কিন্তু সেখানে অশান্তির বাস আর সুখের ছিটেফুটেও নেই। আছে শুধু ঝগড়া কলহ, বিদ্বেষ। বড়রা তো বড়রা, ছোটরাও এই কোন্দলে ঝাঝড়া। সকালবেলায় বল এসে ভেঙ্গে ফেললো আয়াতের শখের চুড়ি। ক্রোধ বর্ষণ হলো এই পাশ থেকে। কিন্তু ওপাশের সৌম্য পুরুষ, সাফওয়ান কেবল ই হাসলো। ফলে আরেকদফা ঝগড়া লাগলোই। আর দর্শক হলো মুসলিম পাড়া। এই বিদ্বেষ, কলহের বাতাসে প্রেমপুষ্প ফোটাবার দুঃসাহস পোষন করেছে এক জোড়া কপোত-কপোতী, প্রভা-ইশতিয়াক। আঠারো বছর ধরে সঞ্চিত প্রণয় পরিণয়ে পৌছাবে তো? নাকি তার পূর্বেই দু-বাড়ির কোন্দল পিষিয়ে দিবে প্রেম? সাফওয়ান-আয়াতের ঝগড়া কি কখনো শেষ হবে? নাকি চাঁদ কখনো বলবে হাতটি ধরতে?
ই-বই : চাঁদ বলে হাতটি ধরো (অংশ বিশেষ)
পুরো গল্পটা পাবেন শুধুমাত্র বইটই এপে। দাম মাত্র ৬০ টাকা!বইটি পড়তে হলে অবশ্যই গুগল প্লে স্টোর থেকে বইটই এপ ডাউনলোড করে নিজের একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে]
মুশফিকা রহমান মৈথি