#নিশীভাতি
#২৫তম_পর্ব
চামেলীকে একটু সরিয়ে ভালো করে দেখতেই দেখতে পেলো লেলিহান শিখার মাঝে জ্বলছে সকালের সেই পাঞ্জাবীটি। চামেলীর দিকে তাকাতেই সেই ইনিয়ে বিনিয়ে বলল,
“ভাইজান দেসে, কইছে পুড়ায় লাইতে। কি দামী পাঞ্জাবী। বিয়ার দিন হাফসা আফায় নিজে কিনছিলো এই পাঞ্জাবীডা”
হাফসা, নামটির সাথে পরিচিত হুমায়রা। তবুও এই নামের সাথে মিশে আসে অনেক প্রশ্ন। সেই প্রশ্নগুলো মনের মাঝেই চেপে রেখেছিলো এতোটা দিন। কখনো প্রকাশ করার সুযোগ হয় নি। আমান ভাই অবশ্য বলেছিলো তার করুন পরিণতির কথা কিন্তু এ ব্যাতীত কখনো কিছুই জানা হয় নি কখনো। কত প্রশ্ন মনে উঁকি দেয়, কেনো তার পরিণতি এতোটা ভয়ংকর হলো? কেমন ছিলো তার সম্পর্ক ফাইজানের সাথে? তাদের সম্পর্কটি কি প্রেমের ছিলো? যদি প্রেমের হয়ে থাকে তাহলে তার প্রসঙ্গ উঠে না কেনো? আচ্ছা, এই পাঞ্জাবীটার সাথে কি এমন বিশ্রী অতীত যা পুড়িয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে নি ফাইজান? ফাইজান কি সত্যি এতোটাই কঠোর? আমান ভাই বলেছিলেন, এই মানুষটি তার হবু স্ত্রীর মৃত্যুতেও উদাসীন, বিকারহীন ছিলেন, তার কি একটুও মনে পড়ে না হাফসার কথা? প্রশ্ন অনেক কিন্তু উত্তর নেই। এদিকে শব্দ করে দীর্ঘশ্বাস ফেললো চামেলী। মলিন স্বরে বললেন,
“আহারে, হাফসা আফার কথা মনে পড়লেই কষ্ট লাগে। সেই লগে গায়ে কাঁটাও দেয়। কি জালিমভাবে মারিছিলো! এতো বেরহম মানুষ হয়। এমন মায়ার মানুষটারে কেমনে মারি লাইলো। মানুষটা কি ভালা ছিলো! দেখা হইলেই হাসি দিয়া জিগাইতো, “ভালা আছো চামেলী”। আমার জন্য ঈদে চান্দে জামা কিনতো নিজ হাতে।”
“তারা ধরা পরে নি?”
“পড়েছে! ভাইজান না ধরায়ে রাখছে নি? হগলে কয় ভাইজান অমানুষ। কিন্তু বিশ্বাস যান ভাবীসাব, উনি অমানুষ না। একটু কঠিন এই আর কি। তবে আমি জানি উনিও কান্দিছিলো। কাউরে দেখায় নি কিন্তু ঠিক কান্দিসে”
হুমায়রার কৌতুহল গাঢ় হলো। বিস্মিত স্বরে বললো,
“তোমার কেনো মনে হয় উনি কেঁদেছিলেন?”
“হাফসা আফার লগে কি আজকের সম্পর্ক নি? উনি তো এই বাড়ি ই মানুষ। এক লগেই বড় হইছেন দুনোজন। কি মিল মহাব্বত। আহা! ভাইজান উনার কথা কোনোদিন ফেলাইতো না।“
“একলগে বড় হয়েছেন মানে?”
“হাফসা আফা আর ফরিদ ভাই, এই ভাইবোন দুনোজন আম্মার কাছেই বড় হইছেন। ফরিদ ভাই যখন খুব ছুটো উনাদের আব্বা-আম্মা আর ভাইজানের আব্বা একটা একসিডেন্টে মইরা যায়। এর পর থেকে হাফসা আফা আর ফরিদ ভাই এই বাড়িতেই মানুষ হন। হাফসা আফারে আম্মায় ছুটোকাল দিয়া পছন্দ করিছিল। ভাইজানও তারে পছন্দ করতো। কিন্তু মানুষটা তো কঠিন কখন প্রক্কাশ করে নাই। তয় আপনি দেখলেই বুঝতেন। হাফসা আফার কথা সে কোনোদিন ফেলাইতো না। শুধু এককান কথি হুনে নি। তা হইলো এই রাজনীতি। ভাইজান কলেজের সময় থেইক্যা এই রাজনীতিতে ঢুকছিলো। হাফসা আফা মেলাবার মানা করিছে সে হুনে নাই। আহারে যদি হুনতো?”
চামেলী বলতে বলতেই থেমে গেলো। তার গলা ধরে এলো যেনো। হুমায়রা অধীর আগ্রহের সাথে শুধালো,
“যদি শুনতো?”
“তাইলে আর মরতে হইতো না হাফসা আফারে”
“এমন তো হতেই পারে হাফসা মৃত্যুটা অন্য কারণে হয়েছে”
“হুদাহুদি কেন একটা মানুষরে মারবো কেউ? তাও তাদের বিয়ার দিন?”
হুমায়রা নির্বাক রইলো। শুধু তাকিয়ে রইলো চামেলীর দিক। চামেলী জ্বলন্ত অগ্নিশিখার দিকে তাকিয়ে রইলো। তার চোখ ভেজা। অগ্নির উত্তপ্ত শিখা দপদপ করে জ্বলছে। সেই সাথে মস্তিষ্কে ভাসছে সেই বিশ্রী দিনের কথা। দিনটি ছিলো আষাঢ়ের বর্ষণমুখর একটি দিন। এমপি পদে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে ঘরের পরিবেশ উত্তপ্ত। শরীফা হাফসার সাথে বিয়ের তোড়জোড় করছে। কিন্তু বারবার তাতে আপত্তি জানাচ্ছে ফাইজান। ফাইজানের একটাই ভাষ্য,
“সামনে ভোট, এখন এসবের মধ্যে আমি নেই”
মা-ছেলের রেষারেষির মাঝে পিষছে হাফসা। ভেতরটা তোলপাড় হলেও কিছু বলতে পারছে না। কারণ ফাইজান তাকে বহুপূর্বেই জানিয়েছে,
“রাজনীতি আমার রক্তে মিশে আছে হাফসা। আমার নেশা বলো বা বদঅভ্যাস; আমি রাজনীতি ছাড়তে পারবো না”
“আমায় ছাড়তে পারবে?”
“জানা প্রশ্নের উত্তর বারবার কেনো জানতে চাও? আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি, আমার পেশা যদি তোমার কাছে বিরক্ত লাগে, অপছন্দ হয়, চক্ষুবিষ হয়; তোমাকে জোর করে নিজের সাথে জড়িয়ে রাখবো না, আমাকে ছেড়ে যেতে পারো। তুমি তো জানতে আমি কেমন, তাহলে এখন ন্যাকামি কেনো করছো। ইফ ইউ ওয়ান্ট টু গো, দেন গো। যতই হোক এটা তোমার জীবন, আমার জন্য তুমি তোমার জীবন কেনো নষ্ট করবে? কিন্তু আমাকে এমন রিডিকিউলাস অপশন দিবে না। কারণ তুমি আর রাজনীতি উভয় ই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা জিনিসের আলাদা স্থান রয়েছে আমার জীবনে। রাজনীতির জন্য যেমন তোমাকে আমি অবজ্ঞা করি নি, তেমন তোমার জন্যও রাজনীতি ছাড়তে পারবো না”
ফাইজানের বক্তব্য ছিলো স্পষ্ট। এর পর হাফসার বলার জায়গা ছিলো না। সিদ্ধান্তের চাবির গোছা ফাইজান তাকেই সপে দিয়েছে। তাই চাইলেও কিছু বলতে পারলো না। শরীফা যতবারই তাকে বলেন, সে মলিন হেসে বলে,
“ছেলে যখন চাইছে না বাদ দাও ফুপু”
শরীফার জেদ তাই আরোও বাড়ে। তাই আল্টিমেটাম দিলেন, যদি বিয়েতে আপত্তি জানায় তবে ঘর ছেড়ে চলে যাবেন। মায়ের জোরাজোরিতে অবশেষে ঘরোয়াভাবেই বিয়েতে রাজি হলো। শরীফা সাথে সাথেই বললেন,
“তাইলে আগামীকাল ই বিয়ে হবে”
“যা ইচ্ছে করো, কিন্তু মনে রেখো আগামী দু মাস আমি কিন্তু কিছুতেই থাকবো না”
বলেই ফাইজান হনহন করে হেটে চলে গেলো। শরীফা মিটিমিটি হাসলেন। হাফসা বেদনাদায়ক দীর্ঘশ্বাস ফেললো। তাদের কালকে বিয়ে অথচ মানুষটির কোনো গুরুত্ব নেই। ফাইজানের কাছে এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তার নির্বাচন। বিয়ের শপিং এও ফাইজানকে পাওয়া গেলো না। শুধু হাফসা আর শরীফাই শপিং করেছে। ফাইজানের জন্য খুব সুন্দর একটা সাদা পাঞ্জাবী কিনলো হাফসা, মানুষটির সাদা রঙ্গের প্রতি অসামান্য মোহ আছে। কিন্তু কিছু কারণে পাঞ্জাবীটায় খুঁত বের হলো। একটা কালো দাগ আছে পাঞ্জাবীটায়। দোকানীর কাছে এই পিস আর নেই। অথচ হাফসার এই পাঞ্জাবীটাই চাই। ফলে দোকানী আশ্বাস দিলো, আগামীকাল এই পাঞ্জাবীটি উনিয়ে আনিয়ে রাখবেন। তাই তো বিয়ের দিন শরীফার বারন সত্ত্বেও হাফসা পাঞ্জাবীটি কিনতে বেরিয়েছিলো। প্রকৃতি সেদিন দানব রুপ নিয়েছিলো যেনো। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছিলো শহর। শহরময় এক অশান্তি, বিরোধীদলের তীব্র আন্দোলনের রোষ প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণের মাঝেও অটুট। গুমোট, বৈরি আবহাওয়ার মাঝে প্রিয়তমের জন্য বের হলো হাফসা। দোকানে থাকতে ফাইজান একবার ফোন করলো,
“তুমি নাকি বেরিয়েছো?”
“নালিশ চলে গেছে”
“আজ পরিস্থিতি গম্ভীর। হরতালে কেনো বের হতে গেলে”
“এই রাখো তো এসব কথা, ভালো লাগছে না শুনতে। নিজের বরকে নিজের মতো দেখতে চাই আজ। তাই তো ছুটে আসা। শোন”
“বল”
“ রাতে কিন্তু তাড়াতাড়ি আসবে। আমি অপেক্ষা করবো”
ফাইজান দীর্ঘশ্বাস ফেললো। মেয়েটির জেদ তার মতই। তাই কথা বাড়ালো না সে, শুধু বললো,
“সাবধানে বাড়ি যেও, রিক্সা না পেলে ফোন দিও। আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিবো”
হাফসা নিঃশব্দে হাসলো। এটাই ছিলো তাদের শেষ কথা। এরপর থেকে হাফসার ফোন ছিলো অফ। সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকেল। তারপর সন্ধ্যে, তারপর রাত। হাফসা মেয়েটি যেনো উবে গেলো শহরতলীতে। আষাঢ়িয়া বৃষ্টির স্যাঁতসেতে গন্ধ্যে মিলিয়ে গেলো যেনো তার অস্তিত্ব। ফাইজান যখন জানতে পারলো হাফসার নিখোঁজের কথা সে তখন মিটিং এ ছিলো। সে শান্ত স্বরে মাকে বলেছিলো,
“কিছু হবে না মা, আমি দেখছি”
মিটিং শেষ হতেই বেরিয়ে পড়লো ফাইজান। পুলিশে খবর দেওয়া হলো। উথালপাতাল হলো শহর, পুলিশের তদন্ত কমিটি বের হলো। ফাইজান এর মাঝেও ছিলো শান্ত। ফরিদ উন্মাদের মতো বোনকে খুঁজতে ব্যস্ত। ফাইজানের মাঝে খুব একটা পরিবর্তন লক্ষিত না হলেও সে চুপ করে বসে ছিলো না। অবশেষে পরদিন তার বিভক্ত নিথর দেহ পাওয়া গেলো নর্দমায়। রক্তে ভেজা দেহ, পাশে রক্তস্নাত সেই সাদা পাঞ্জাবীর প্যাকেট। শরীফা যেনো পাগলপ্রায় হলেন। বোনের শোকে পাথর হলো ফরিদ। নিস্তেজ চোখজোড়া নিঃশব্দে অশ্রু ছাড়লো। অথচ সবচেয়ে কঠিন ফাইজান ইকবাল। না তার মুখ থেকে কোনো বেদনার আহাজারি বের হলো, না চোখ থেকে অশ্রু। পরদিন যথাসময়ে সমাবেশে গেলো। মনোনয়ন পেতেই নিজ নির্বাচনের ক্যাম্পেইন চালালো। ফরিদ তার এইরুপ কাজে ক্ষিপ্ত হলো, রোষ প্রকাশ করলো। কিন্তু সেই রোষ থেমে গেলো যখন খু’নী ধরা পড়লো। হাফসার খু’নের পেছনে ফাইজানের এক পুরোনো শত্রু জড়িত ছিলো। সে ফাইজানের সাথেই রাজনীতি করতো। কিন্তু ফাইজানের এতো দ্রুত উন্নতি যেনো সে মেনে নিতে পারে নি কখনো। সর্বদাই একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতো সে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা কখন হিংসে, ঘৃণার রুপ নিলো সে নিজেও হয়তো জানে না। তাই তো এতটা ঘৃণিত কাজ করতেও সে দ্বিধা করলো না। ফরিদ আর ক্ষোভ রাখলো না। কারণ যার পদে পদে শত্রু তার প্রতি ক্ষোভ রেখেও লাভ নেই। হ্যা, একটা আক্ষেপ সর্বদাই মনে রয়ে গেছে ফাইজানের সাথে না জড়ালে হয়তো তার বোনের এমন অবস্থা হতো না। তবে ফাইজানের হাত সে ছেড়ে দেয় নি। ফাইজান সেবার এমপি পদে বিপুল ভোটে জয়ীও হয়েছিলো। চামেলী ধরা গলায় বললো,
“ভাইজান এর পর আরোও পাত্থর হইয়া গেছে, এক্কেরে যেনো রোবট। হক্কলে কয়, সে পাত্থর, নিষ্ঠুর। কিন্তু আমার মনে কি হয় জানেন, ভাইজান ও পুড়ে। আমি নিজেই তারে কত রাত জাগতে দেখছি। সবাই যখন ঘুমায় থাকে, ভাইজান বাগানে হাটতো আর সিগারেট খাইতো। এই যে পাঞ্জাবীখান, এইডা উনি নিজেই ধুইয়া রাখছে। উনি নিজেরেই দোষায় এখনো।“
হুমায়রা খেয়াল করলো তার চোখ ভিজে এসেছে। যে মানুষটি তার সামান্য দূর্ঘটনায় ছুটে আসতে পারে পার্টি মিটিং ছেড়ে, সে কি করে হাফসার ক্ষেত্রে শান্ত ছিলো? এটাও কি সম্ভব। তার কি সত্যি হাফসাকে মনে পড়ে না? হুমায়রা আর দাঁড়িয়ে রইলো না। তার খারাপ লাগছে, না হাফসা এবং ফাইজানের প্রেমঘন সম্পর্কের জন্য নয়। তার খারাপ লাগছে হাফসার করুন পরিণতির জন্য। ফাইজান রাজনীতি ছেড়ে দিলেও কি হাফসার এই পরিণতিই হতো? ফাইজানের সাথে যদি হাফসা না জড়াতো তবুও কি তার একই পরিণতি হতো? মেয়েটি ভালোবাসার মানুষটির জন্যই সেদিন বেরিয়েছিলো। যদি না বের হতো তবে কি তার এই পরিনতি হতো? কে জানে, হুমায়রার প্রশ্নগুলো হীমশীতল সমীরে কোথাও মিলিয়ে গেলো যেন, উত্তর মিললো না।
*****
রাশাদদের জন্য একটি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। ফুলের গন্ধ মিশে আছে প্রতিটি কোনায়। বধু বেশে বসে রয়েছে ইলহা। অপেক্ষা রাশাদের। অপেক্ষার প্রহর গাঢ় হলো না। একটু বাদেই দরজায় কড়া নড়লো। ভারী স্বর কানে এলো,
“আসবো?”
ইলহা নিঃশব্দে হাসলো। মিহি লাজুক স্বরে বললো,
“আসুন”
রাশাদ প্রবেশ করলো। নতদৃষ্টি তার। খানিকটা জড়তা কাজ করছে যেনো তার মাঝে। ইলহা থেকে একটু দূরত্ব রেখে বসলো সে। ঘর নিস্তব্ধতা, পিনপতন নীরবতা যেন। বাতাসের শো শো শব্দ ও কানে আসছে। ইলহা হাটুতে থুতনি ঠেকিয়ে দেখছে তার বরকে। তার থেকে বেশি লজ্জা তার বরমশাই ই পাচ্ছে। তাই নীরবতা ভাঙলো সে,
“আমার দিকে তাকাবেন না নাতীসাহেব? এখন তো আমি পরনারী নই”
“জানি”
“তাহলে লজ্জা কেনো পাচ্ছেন?”
“লজ্জা ঠিক না, একটু অপ্রস্তুত। খানিকটা জড়তা কাজ করছে”
“অনুশোচনা হচ্ছে নাকি?”
ইলহা এমন প্রশ্নে চোখ তুললো রাশাদ। ভ্রু কুঞ্চিত হলো। ইলহার এমন প্রশ্নে কেনো যেনো তিক্ত হলো মন। মস্তিষ্ক জুড়ে একটা বিরক্তি ছড়ালো। ঈষৎ গম্ভীর স্বরে বললো,
“আপনার মনে হয় আমি অনুশোচনা করছি?”
“না আপনাকে বিয়ের পর থেকেই একটু অন্যরকম লাগছিলো। উপর থেকে নববধুর দিকে তাকাতেও ইতস্ততবোধ করছিলেন কি না। তাই আরকি”
এবার দূরত্ব গোছালো রাশাদ। ইলহার খুব সন্নিকটে এসে শুধালো,
“আমি তাহলে কি করলে আপনার এই ভুল ধারণা ভাঙবে?…………………
চলবে
(ভালো লাগলে রেসপন্স করবেন)
মুশফিকা রহমান মৈথি