#সুখ_পাখি
#Ayrah_Rahman
#part:–30
“জান পাখি সাবধানে থাকবে কেমন?আর বেশি লাফালাফি করবে না,,বাসা থেকে সোজা মেডিক্যাল যাবে এবং মেডিক্যাল থেকে সোজা বাসায়,,কেউ কিচ্ছু দিলে খাবে না,,দিশার সাথে সাথে থাকবে কেমন? আর ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে তাড়াতাড়ি নাস্তা করে নিবে””
ভালোবাসি প্রানপাখি,,ভিষণ ভালোবাসি আমি আমার আরু পাখি কে..””
সক্কাল সক্কাল এমন আজগুবি মেসেজ দেখে আরুর ভ্রু খানিকটা কুচকে গেলো,, পরবর্তী তে মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠলো..
মাত্র ই ঘুম থেকে উঠে বসে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে মেসেজ,, মেসেজ ওপেন করে বেচারি ছোটখাটো শক খেয়েছে,, আরুর আর বুঝতে বাকি নেই যে মেসেজ টা কার,,
“” শয়তান বেডা কাজে গেছোস তো কাজ কর আমাকে জালানোর কোন মানে হয় ”
মনে মনে কথাটা বলেই আরু ফ্রেস হতে চলে যায়,,
ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে মেডিকেল এর জন্য বের হয়,,
কিছু দুর যাবার পরেই আরু সামনে তাকিয়ে দেখে দিশা আসছে তাই আরু রিকসা দেখে,,মেডিকেল পৌঁছে দিশাকে ভেতরে যেতে বলে আরু মেডিকেল এর বাইরে একটা ফ্যাক্সিলোড এর দোকানে যায়,,
মোবাইলে টাকা লোড করে যেই না রোড পার হতে যাবে,,অমনি আরুর সামনে একটা কালো মাইক্রো এসে দাড়ায়,, আরু মাইক্রো দেখে খানিকটা সামনে এগুই,,আরুর সামনে এগুনো দেখে মাইক্রো টাও আরুর সামনে আসে,,এদিকে গাড়ির জন্য রোড ক্রস করা যাচ্ছে না,,বিরক্তি তে আরুর কপাল কুঁচকে যায়,, আরু বেশ খানিকক্ষণ সময় ধরে লক্ষ্য করছে মাইক্রো টাকে,,আরুর কেন জানি মনে হচ্ছে মাইক্রো টা তাকেই ফলো করছে,,
আরু মনে মনে নিয়ত করে এখন মাইক্রোর ভেতরের মানুষ গুলোকে কিছু কথা শুনাবে,, কখন থেকে এমন শুরু করছে,,তার উদ্দেশ্যে ই আরু মাইক্রো টার কাছে গিয়ে কাচের মধ্যে টোকা দেই,,এমন সময় মনে হলো কেউ একজন তার পিছন থেকে এসে মুখে রুমাল চাপ দিয়ে ধরে,, আরু কিছুক্ষন ছটফট করে শান্ত হয়ে যায়,,শরীরে নূন্যতম শক্তি ও নেই,,তারপর কি হলো আরুর মনে নেই,,
আরুর যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আরু আবছা আবছা চোখ খুলে দেখে চারপাশে সব ঝাপসা দেখা যাচ্ছে,, আরু ভালো করে খেয়াল করে দেখলো,, এটা একটা বদ্ধ অন্ধকার ঘর,,কেমন জানি স্যাতস্যতে পুরানো,,ভুতুড়ে, আরুর কেমন জানি ভয় ভয় লাগছে,,
— কেউ আছেন? কেউ কি আছেন নাকি? শুনতে পাচ্ছেন?
কিন্তু আশেপাশে কেউ নেই। আরু আর শক্তি ক্ষয় না করে আশেপাশে তাকিয়ে দেখে কিভাবে পালাতে পারবে,,এমন সময় দরজা খুলার শব্দে আরু সামনে তাকালো,,অন্ধকারে তেমন দেখা যাচ্ছে না,, শুধু মনে হচ্ছে কেউ একজন তার ই দিকে আসছে,,ধীরে ধীরে লোকটা আরুর কাছে আসছে আর ধীরে ধীরে লোকটার ঝাপসা মুখ স্পষ্ট হচ্ছে,,
লোকটাকে দেখে আরুর পায়ের নিচ মাটি সরে গেলো,,একটা মানুষ এতটা নিচে কিভাবে মানাবে। মানুষের মুখ দেখে কখনোই বুঝা যায় না যে মানুষ এতটা নিচে নামতে পারে,,
— রি… রিহান!
— হুম আমি
— আপনি এখানে?
রিহান কোন উত্তর না দিয়ে আরুর সামনে সোজা হয়ে বসে পরলো,,।।
–হে এখন বলো কি বলবা?
— আমি জিজ্ঞেস করছি,, আমি এখানে কেন?
— আসলে হয়েছে কি আরু,আমি না তোমাকে পছন্দ করি,, কিন্তু কি বলো তো,, তোমার ওই আশেকের জন্য তোমার সাথে কথা বলার সুযোগ পাইনা,, বলব কোথা থেকে যে উড়ে আসে সেই ভালো জানে…
কাল যখন তুমি আমার সাথে কথা বলতে এসেছিলে তখন কোথা থেকে এসে হাজির আর তোমাকে টান দিয়ে,, এবং নিয়ে চলে গেলো,,, ঠিক তখনই বুঝতে পারছি যে তুমি শুভ্র খানের প্রানপাখি,,অনেক দিন ধরে এই সুযোগটা অপেক্ষা য়ই ছিলাম,,
আরুঃ- মমমানে কি?
–মানে টা তো খুব সোজা আরু পাখি,,, শুভ্র খানের একমাত্র প্রান ভোমর তুমি,,তোমার কিছু হলে তো
শুভ্র খান এমনি ই ভেঙে পরবে,,আসলে যান তো আমার না যেটা পছন্দ হয় সেটা আমি আমার করে ই ছাড়ি,,এট এনি কোস্ট,,
— শুভ্রের সাথে আপনার কি শত্রুতা মিস্টার রিহান?
— আছে আছে,,অনেএএএক পুরানো শত্রুতা..
— কাল শুভ্র কে দেখে মনে হলো ও আপনাকে চেনে না, তাহলে?
— আরে রাখো তোমার চেনা আর না চেনা,, ওই শুভ্র আমাকে খুব ভালো করে চেনে,,
— তো শুভ্রকে আপনি চেনেন না? সে কেমন? আপনি নিশ্চয় জানেন শুভ্র যদি একবার জানতে পারে আমি কোথায়,,তাহলে কি হবে ভাবতে পারছেন?
— এই এই মেয়ে তুমি কি আমাকে ভয় দেখাচ্ছো? এই রিহান কখনো কাউকে ভয় পাই না,,
— আমি আবার কখন বললাম আপনি ভয় পাচ্ছেন? বা আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি?
— এই মেয়ে তুমি বেশি কথা বলো,,
এই ওর মুখ টা ভালো করে বেধে দে তো যাতে কোন আওয়াজ বাইরে না আসে,, আমি গেলাম,,দেখি আংকেলের আসার কতক্ষন লাগবে…( একটা ছেলেকে উদ্দেশ্য করে)
_________________________
এদিকে শুভ্রের পাগল প্রায় অবস্থা,,,
শুভ্র বুঝতে পারছে না কাজ টা কার,,আজ সকালেই অভ্রের দোওয়া খবর শুনে ঢাকায় আসে,,
শুভ্র যেহেতু গ্যাং লিডার তাই এসব বের করা তার কাছে কোন ব্যপার না,,কিন্তু শুভ্রের চিন্তা ওরা যদি আরুর কোন ক্ষতি করে দেই!!
শুভ্র আর কাল বিলম্ব না করে সোজা তার চিক্রেট রুমে প্রবেশ করে,,সেখানে প্রায় শতেক খানেক কম্পিউটার আর কিছু যন্ত্র পাতি,,,
— আমার আরুর গায়ে যে হাত লাগিয়ে ছে তার জন্য আফসোস হচ্ছে আমার,,সামনে তার জন্য যে কি অপেক্ষা করছে তা সে নিজেও জানে না,,,বলেই শুভ্র কম্পিউটার এর সামনে বসে পরে….
চলবে….
হ্যাপি রিডিং 🥰