প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover) #পর্ব-19( চৌধুরী বাড়িতে বিয়ে) #Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

0
588

#প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover)
#পর্ব-19( চৌধুরী বাড়িতে বিয়ে)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

পায়েল রাগে গজগজ করতে লাগলো। তার কাছে আপতত সবই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে অই রিমি ইচ্ছে করে তাকে ঝাল খায়্যিছে।পায়েল এর রিমিকে খুন করতে ইচ্ছে করছে।
পায়েলঃ অই মেয়েটার এতো বড় সাহস কী করে হলো? এই পায়েল এর পিছনে লাগা? না নাহ আমি আর সহ্য করতে পারছিনা। আচ্ছা অই মেয়েটা কিছু বুঝে গেলো না তো?
পায়েল ধপ করে বসে পড়ে,,,সে কাউকে কল করে!!।
পায়েলঃ হ্যালো অনেক জরুরি কথা আছে তোমার সাথে।
পায়েল তাকে সব কিছু খুলে বলে
অপাশ থেকে পুরুষকন্ঠে কেউ কিছু বলে উঠে–
—-++++—
পায়েলঃ আমার মনে হচ্ছে রিমি কিছু একটা জেনে গেছে নাহলে এমনটা আমার সাথে করতো নাহ।

————–
পায়েলঃ তুমি যতোটা ব্যাপারটাকে ছোট করে দেখছো ততোটাও ছোট নাহ! রিমি মেয়েটা অনেল সিয়ানা আছে। আমার ভয় হচ্ছে রিমি আমাদের প্লেন সম্পর্কে কিছি যেনে যাইনি তো।।

—————–

পায়েলঃ হ্যা প্লিয তুমি একটু ব্যাপারটা দেখো আমার কিচ্ছু ভালো লাগছেনা।

।।।।।।।
সানা আপু আর আমি মিলে বই পড়ছি!! উনি হসপিটালে গিয়েছে।

আমি কিছু একটা ভেবে বলে উঠলাম
সানা আপু ভালোমা কোথায়?
সানাঃ আমিও সেইটা জানিনা।
বলল একটা দরকারী কাজে গিয়েছে!!

আমি ছোট্ট করে ওহ বলে উঠলাম!!

তখনি হন্তদন্ত হয়ে অয়ন প্রবেশ করলো! বিকালের এই সময় অয়নকে দেখে আমরা দুজনেই অবাক হলাম! কেননা অয়ন রাতেই ফিরে হসপিটাল থেকে।

রিমিঃ আপনি? এই সময়ে?

অয়নঃ তোমার জন্য রিমিপরী!

রিমিঃ মানে?

অয়নঃ মানে বুঝোনা রোমান্স করতে!

ছিহ এই লোকটাও না প্লেস দেখেনা সানা আপুর সামনে এইসব কি বলছে খেয়াল করে দেখলাম সানা আপু মিটিমিটি করে হাঁসছে। আমি তাড়াতাড়ি বসা থেকে দাঁড়িয়ে বলে উঠলাম-
এইসব কি হ্যা সানা আপুর সামনে

সানাঃ আমি কিচ্ছু দেখিনাই জুনিয়ার ভাবি( মিটিমিটি হেঁসে)
আমার লজ্জায় যেনো মরে যেতে ইচ্ছে করছে
আচ্ছা লোকটা এমন কেন? পুরাই বেহায়া

অয়নঃ আমি আবার কি করলাম( ইনোসেন্ট ফেস করে)

অয়নের ইনোসেন্ট ফেস দেখে আমরা ফিক করে হেঁসে উঠলাম
উনাকে সত্যি অনেক কিউট লাগছিলো! অয়ন হেঁসে বলে উঠে-
আম জাস্ট কিডিং ওকে?
মা আমাকে বলল কিছু নাকি দরকারী কথা আছে তাই যেনো আমি এক্ষুনি বাড়িতে আসি।

সানা আপু ভ্রু কুচকে বলে উঠলো-
কি দরকারী ভাইয়া?

অয়নঃ সেইটা তো আমিও জানিনা!

তখনি রুশনি এসে বলে উঠলো-
আপু তো অফিসেও নেই রুশান আমাকে বলেছে আজ আপু অনেক আগেই অফিস থেকে বেড়িয়ে গেছে।

অয়নঃ তাহলে মা গেলো কোথায়?
আর কি এমন আর্জেন্ট কথা?

রিমি ঃ আমার মনে হয় ভালোমা একটা কল করে দেওয়ায় ভালো।

অয়নঃ হুম!!

অয়ন ফোন করতে যাবে তার আগেই মিসেস কলি হন্তদন্ত হয়ে প্রবেশ করলো আর বলে উঠলো-
কাউকে কোথাও যেতে হবেনা
আমরা চলে এসেছি!!

মিসেস কলির সাথে রিমির বাবা-মাও এসেছে নিজের বাবা-মা দেখে রিমি তাড়াতাড়ি তাদের কাছে ছুটে যায়!

রিমিঃ বাবা-মা তোমরা?(খুশি হয়ে)

রিমির মাঃ কেন আমরা আসতে পারিনি বুঝি?

রিমির বাবাঃ অয়ন বাবা তার বাসায় এতোদিন আমাদের ডাকেনি তাই এতোদিন আসতেও পারিনি

অয়নঃ আসলে আংকেল

রিমির বাবাঃ আরে ইয়াং মেন এতো ব্যতিব্যস্ত হওয়ার কিছুই নেই ভাবি আমাদের আসতে বললো তাই আমরা চলে এলাম

রুশনি মুখ টা কালা করে বলে উঠলো-

তাহলে কি এখন মেয়ের সাথে আপ্নারাও থাকবেন নাকি?

রিমির বাবা-মার কথাটা যেনো পছন্দ হলোনা

অয়নঃ খালামনি এইসব কি?

মিসেস কলিঃ যেটা জানিস না সেইটা নিয়ে কথা বলতে আসবিনা( ধমক দিয়ে)

রুশনি মুখ ভেংচি দিলো!!

মিসেস কলিঃ রিমিমা বাবা-মা কে ভেতরে নিয়ে আয় তাদের কি বাইরেই দাঁড় করিয়ে রাখবি??

রিমিঃ নাহ! বাবা-মা এসো ভিতরে আসো

রিমির বাবা-মা ভিতরে গেলেন!

অয়নঃ তোমরা একসাথে কোথা থেকে আসছো।মা?
আর আমাকেও এতো তাড়াতাড়ি আসতে বললে।

মিসেস কলিঃ একটা কারণ তো নিশ্চই আছে তাই ডেকেছি।বাড়ির সবাইকেই আমি আজ ডেকেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার আছে।

ততক্ষনে রুশান ও চলে আসে।

রুশানঃ কিন্তু কি কথা? কলি আপু?

কলিঃ বলবো বলবো সবই বলবো!
আমি এবং আশরাফ ভাই ও ভাবি মিলে ঠিক করেছি সাম্নের সপ্তাহে শুক্রবার রিমি আর অয়নের চারহাত মিলিয়ে দিবো।
আমরা আগে থেকেই সব ঠিক করে ভেবেছিলাম তোমাদের সারপ্রাইজ দিবো।
রুশানঃ এইটা তো খুবই ভালো খবর
রুশনিঃ একটু বেশিই তাড়াহুড়া করছো না তো।
মিসেস কলিঃ সব ঠিকই হচ্ছে রিমির ১৮ বছর পুড়ন হয়েছে এখন বিয়ের কাজ টা শুধু শুধু ফেলে রাখার দরকার কি?
রিমি আর অয়ন এতে যেনো সব থেকে বেশি খুশি হয়েছে।অয়নের তো খুশিতে নাঁচতে ইচ্ছে করছে। সে যেইটা চাইছোলো সেটাই হবে ভাবতেই আনন্দ লাগছে।তার রিমিপরী শুধুই তার হবে। অয়ন তো তার মা কে প্রস্তাব টা দিতে চেয়েছিলো কিন্তু তার আগেই মিসেস কলি সব কিছুর আয়োজন করে ফেলেছে। অয়ন টেডি স্মাইল দিয়ে রিমির দিকে তাঁকায়। এদিকে আমারা সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছে। আমার আর উনার বিয়ে। আমার ভালোবাসা এক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হবে।
সানা ও খুব খুশি। রুশনির কাছে সব কিছুই বিরক্ত লাগছে। উপর থেকে সব কিছুই পায়েল শুনছে।রাগে-দুঃখে তার কান্না চলে আসছে। অয়ন আর রিমির বিয়ে নাহ নাহ সে কিচ্ছু ভাবতে পারছেনা এই বিয়ে কিছুতেই হতে পারেনা। একদিকে রিমি ভাবছে সে তার সাইকো কে পাবে অন্যদিকে অয়ন ভাবছে সে তার রিমিপরী কে পাবে।
আশরাফ সাহেবঃ তো এখন বিয়ের আগে রিমি আমাদের সাথেই থাকুক।
রিমির মাঃ বিয়ের পর তো এই বাড়ির বউ ই হয়ে যাবে।
কথা শুনেই আমার মুখ মলিন হয়ে যায়! কেননা উনাকে ছাড়া আমার থাকতে অনেক কষ্ট হবে।অয়ন ছলছল ও চোখে মিসেস কলির দিকে তাঁকায়। যার মানে সে কিছুতেই তার রিমিপরীকে ছাড়বেনা ২ দিনের জন্য হলেও। মিসেস কলি দুজনের অব্সহা বুঝতে পেরে বলে উঠলো-
আশরাফ ভাই আমাদের তো ঠিকই করা আছে মেহেংদির অনুষ্ঠান চৌধুরী বাড়িতে হবে বিয়ে আপনাদের বাড়িতে। মেহেংদির অনুষ্ঠান শেষে না হয় রিমি অই বাড়িতে যাবে। তার পরের দিন আমার ছেলে বিয়ে করে আমার রিমি মাকে চৌধুরী বাড়িতে নিয়ে আসবে।
অয়নঃ কিন্তু মা
মিসেস কলিঃ আর কিন্তু নয়। অন্তত একদিন তো রিমিকে অই বাড়িতে থাকতে দেওয়া উচিৎ।
আশরাফ সাহেবঃ ঠিক আছদ ভাবি আমাদের সমস্যা নেই!

অয়ন আমার দিকে তাঁকিয়ে চোখ টিপ দিলো। আমি চোখ লাল করতেই সবার অগোচরে আমার দিকে ফ্লাইং কিস ছুড়ে দিলো। সত্যি উনিও পারেন।
এদিকে পায়েল এর গা মনে হয় জ্বলে যাচ্ছে সে তাড়াতাড়ি নিজের ঘরে গিয়ে কাউকে কল করে।

চৌধুরী বাড়িতে আজ অনেক কাজ। ডেকোশন এর লোকেরা বাড়িটিকে সাজানোর কাজে লেগে পড়েছে এক সপ্তাহ আগে থেকেই।চৌধুরী বাড়ির একমাত্র ছেলের বিয়ে বলে কথা। আমরা সবাই শপিং যাবো। পায়েল আপু অসুস্হ তাই তাকে নেওয়া হবেনা। অয়ন এসে বলে উঠলো-
রিমিপরী চলো!
–হুম চলুন
তখনি পায়েল বলে উঠলো-
অয়ন আমার নাহ শরীরটা বেশ খারাপ লাগছে

রিমিঃ আইসা পড়লো শাকচুন্নি একটা। শুভ কাজে কী করে বাঁধা দিতে হয় এই শাকচুন্নি টাকে না দেখলে বুঝা যাবেনা

অয়নঃ পায়েল আমি তোমার আয়াকে সব বুঝিয়ে দিয়েছি এই সময় এমন একটু হয়।তুমি রেষ্ট নাও ঠিক হয়ে যাবে।
পায়েল কে আর কিছু বলতে না দিয়ে অয়ন রিমিকে নিয়ে চলে গেলো।

রিমিঃ বেশ হয়েছে আমার সাইকোটা এই জুন আন্টি ওরফে পায়েল শাকচুন্নিকে পাত্তা দেয়নি

পায়েলঃ উফফ এতো আচ্ছা জ্বামেলায় পড়লাম।আমাকে একটু গরুত্বও দিলো নাহ।।

পায়েল রাগে উপরে চলে আসলো।

পায়েলঃ আমার এতো রাগ উঠছে আমি বলে বুঝাতে পারবো নাহ।

পায়েল এই বলে তার টাওয়াল টা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে লাগলো।
পায়েল নিজেকে আয়নায়তে দেখে চিৎকার করে উঠলো। তার সারা মুখে কয়লা।।তাকে সত্যি পুরো পেত্নির মতো লাগছে🤣

এদিকে আমি গাড়িতে মিটিমিটি হাঁসছে পেত্নিটাকে একেবারে পেত্নি করার ব্যাব্সহা করে এসেছি।

আসলে যখন পায়েল বাইরে গিয়েছিলো তখন রিমি তার ঘরে গিয়ে ইচ্ছেমতো টাওয়ালে কয়লা মিশায়। আর সেই টাওয়াল দিয়ে পায়েল নিজের মুখ পরিষ্কার করে 😂

বাকিটা আগামী পর্বে
চলবে কি?

20 part
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122122553942106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here