প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover) #পর্ব-47( অনুভবের অন্তরালে) #Jannatul_ferdosi_rimi

0
449

#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-47( অনুভবের অন্তরালে)
#Jannatul_ferdosi_rimi

অয়ন মুগ্ধ হয়ে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে। অয়ন আমার আরো কাছে এসে বলে উঠে–প্রতিদিন তোমার নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছি রিমিপরী। তোমার
#প্রেমময়নেশায়।
আমি বলে উঠেলাম–
আমার প্রেমময়নেশায় আশক্ত হয়ে আপনাকে আমার কাছে ধরা দিতে হলো।

🍁🍁🍁🍁🍁
প্রতিউত্তরে অয়ন মুচকি হাঁসি দেয়।
কিন্তু মুহুর্তেই তার চোখ লাল হয়ে যায়।
সে আমাকে দেয়ালের সাথে চেপে বলে উঠে–
আমি কিন্তু সেই তোমার আগের সাইকোই আছি।
তোমার দিকে কেউ বাজে দৃস্টি কিংবা তোমাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে আজোও সে আমার ক্রোধের আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
যেমন ওদের আমি মেরে

অয়ন কিছু একটা বলত গিয়ে থেমে যায়।

🌸🌸🌸🌸
আমি বলে উঠলাম–
কি বললেন।

অয়ন কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বলে উঠে–
মানে বলতে চাইছিলাম
তাদের রক্ষা থাকবেনা

অয়নঃ আমি এইসব কি বলতে যাচ্ছিলাম।
রিমিপরী যদি শুনে আমি খুন করেছি তাহলে
আগের মতো আমাকে ঘৃনা করবে যা আমি চাইনা।
এমনিতেই আমরা এতো বছর দূরে ছিলাম।
আমি চাই না আমাদের মধ্যে আবার সেই দূরত্ব সৃষ্টি হোক(মনে মনে)

উনি আমার দিকে ঝুকে বলে উঠলেন–
কিন্তু রিমিপরী আমান যখন তোমাকে স্পর্শ
করছিলো
তখনি বিশ্বাস করো তখন ইচ্ছে করছিলো আমান কে শেষ করে দেই। কিন্তু পারিনা
আমি কী করে ভুলে যেতে পারি? আমান আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।

🌿🌿

আমি খানিক্টা ভয় পেয়ে বলে উঠলাম–
এইসব আপনি কি বলছেন??
আমান স্যার এর কোনো প্রকার খারাপ
এন্টেনশন নেই।
আমি তো একেবারব দগ্ধে মরে যাচ্ছিলাম।
আমি যখন বলতাম আপনি বেঁচে আছেন।
তখন সবাই আমাকে অবিশ্বাস করছিলো। আমাকে নিয়ে হাঁসাহাঁসি করতো।
আমি একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। তখন একমাত্র আমান স্যার আমার পাশে থেকেছে। আমাকে বিশ্বাস করেছে। আমার ভালোবাসাকে সম্মান করেছে।
এমনকি আমার প্রতিটা পদক্ষেপে আমাকে সাহায্য করেছে।
এখনো নিঃশ্বার্থভাবে আমাকে সাহায্য করে যাচ্ছে।
আর আপনি উনার ক্ষতি করার চেস্টা করছেন???
এইটা আপনাকে দিয়ে আশা করিনি।

আমার কথায় উনার মুখে আমি অনুতাপের ছায়া দেখতে পারছি আমি!!

উনি আমার হাত দুটো নিজের হাতে পুরে নেয়।

🌿🌿🌿
অয়নঃ রিমিপরী!!
আমি সবই জানি!! আমি লন্ডনে থেকেও বাংলাদেশের সব খবর নিতাম। আমার রিমিপরীর চিন্তা আমার সবসময় হতো। আমি দূরে থেকেও তোমার ছায়া হয়ে থেকেছি। তুমি কখন কী করো সব
খবর আমি লন্ডনে থেকেও পেয়ে যেতাম।
এইটাও জানি আমান তোমাকে কতটা প্রটেক্ট করেছে।
কিন্তু তাও যে নিজেকে সামলাতে পারিনা।
আমি জানি আমান কতটা ভালো ছেলে।
ওর উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।

অয়ন কিছুটা থেমে আবারও বলে উঠে—

তুমি তো জানো তোমার অই পায়ের নুপুরও অন্য কেউ দেখলে
তার রক্ষে থাকেনা।
আমি চাইনা তোমাকে আমি ছাড়া অন্য কেউ স্পর্শ করুক।

আমি বলে উঠলাম—

আমার উপর আপনার ভরসা নেই।

(লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

অয়নঃ তোমার উপর ভরসা না করে কি থাকা যায়??
তুমি কিন্তু চাইলেই এই ২ বছরে নিজের জীবন শুরু করতে পারতে। কিন্তু তুমি তা করো নি। বরং আমাদের ভালোবাসার উপর তোমার এতো বিশ্বাস ছিলো যে সবার বিরুদ্ধে গিয়েও তুমি আমার পথ পানে চেয়ে রয়েছো।

আমি চুপ হয়ে রইলাম।

অয়নঃ কিন্তু মন টা বড্ড অবাধ্য। আমি যে তোমার পাশে কাউকে সহ্য করতে পারিনা। নিজের ছায়াকেও নাহ।

মনে শুধু বলে রিমিপরীর প্রতি শুধু এই অয়নের অধিকার।

বড্ড ভালোবাসি। তুমি যদি বলো এইটা পাগলামি।
তাহলে পাগলামিই বটে। কিন্তু আমার পাগলামি ভালোবাসায় কোনো খুদ নেই রিমিপরী।

এই ২ বছর তুমি যেমন কস্টে থেকেছো রিমিপরী।
আমিও কম কস্ট পাইনি? যেখানে এক রাত তোমাকে ছাড়া তোমার সাইকো থাকতে পারতো নাহ।
সেখানে দুই দুটো বছর কীভাবে গিয়েছি তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো নাহ রিমিপরী।

প্রতিটা দিন তোমাকে এক্টিবার দেখার জন্য উতলা হয়ে যেতাম।

তারপর যখন তোমাকে পেতাম নাহ তখন নেশা করতাম। সেই নেশাও কাজে দেইনি। কেননা
তোমার নেশা যে আমাকে খুব করে গ্রাস করে ফেলেছে।

কেননা তুমি যে
আমার #প্রেমময়নেশা!!

বলতেই বলতেই অয়নের চোখ থেকে নোনা জল গড়িয়ে পড়ে।

তখনি অয়ন তার বুকে কারো উপস্হিতি টের পায়।
সে নিঃশব্দে চোখজোড়া বন্ধ করে ফেলে।

কতদিন পর সে তার রিমিপরীকে কাছে পেয়েছে।

এদিকে আমার চোখের অবাধ্য পানি যেনো বাঁধ মানছেনা। জল গড়িয়েই পড়ছে।
কী ভাবছেন কস্টের??
উহু সুখের কান্না। উনার বুকে কতদিন পরে ঠাই পেলাম।

আমার ভাগ্যেও কি এতো সুখ ছিলো?? উনাকে আমি আরো জোড়ে আকড়ে ধরলাম।

মনে হচ্ছে ছেড়ে দিলেই উনি পালিয়ে যাবেন। তা আমি কিছুতেই হতে দিবো নাহ।

আমি আর কিছু ভাবতে পারছিনা মুহুর্তটা ফিল করতে চাইছি।

অয়ন বলে উঠেন–
রিমিপরী!!

আমি বুকে মাথা রেখে বলে উঠলাম–
হুম!!

অয়নঃ এখন তো আমাকে যেতে হবে।

রিমিঃ উহু আমি যেতে দিবো নাহ হুহ!!
একবার পেয়েছি আর ছাড়ছিনা এই আমি বলে দিলাম।।

অয়নঃ আমাকে যে এখন যেতেই হবে রিমিপরী!
আমি যে কাজে এতো বছর ধরে এখানে রয়েছি।
সেই কাজে আমাকে সফল হতেই হবে।
তাই আমাকে আবার পুনরায় আয়ুশ হয়ে যেতে হবে।

আমি উনাকে আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলাম–

নাহ আপনি আয়ুশ হয়ে গেলে। আবার অই ইশা শাকচুন্নি আপনাকে আমার থেকে কেড়ে নিবে।

উনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠে–
রিমিপরী!!
তুমি বাচ্ছা ই রয়ে গেলে। আমার বোকা রিমিপরী!!

আমি বলে উঠলাম–
বোকা বলেন আর যাই বলন আমি আমার সাইকোকে ছাড়ছি নাহ!!

অয়ন রিমিকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে রিমিকে সোজা দাঁড় করিয়ে বলে উঠে—
লিসেন রিমিপরী! আমাদের আসল অপরাধিকে ধরতে হবেনা???

আমি বলে উঠলাম— হুম!!

অয়নঃ এখন যদি তুমি আমাকে যেতে না দাও।
তাহলে আসল অপরাধিদের কীভাবে ধরবো।??
আর বাকি রইলো। ইশার কথা। তোমার সাইকো তোমার আছে এবং তোমারই থাকবে।

আমি বলে উঠলাম–হুম!!

অয়নঃ এখন একটু হাঁসো।

আমি জোড়পুর্বক হাঁসি দিলাম। উনি বোধহয় আমার মিথ্যে হাঁসি ধরতে পেরেছে।

অয়ন বলে উঠে–চলো।

রিমিঃ কোথায়??

অয়ন আমার হাত ধরে বেলকলোনিতে নিয়ে আসলো।

এখান থেকে পুরো রাতের লন্ডন দেখা যাচ্ছে।

অয়ন একটা দোলনায় বসে পড়ে।
আমার হাত ধরে আমাকে তার কোলে বসায়।

আমি খানিক্টা
হচকিয়ে গেলাম।৷

অয়নঃ আমার রিমিপরী মন খারাপ করো নাহ।
ভেবে দেখো আমরা কতদিন পর আবার
এক হোলাম।

তাছাড়া এখন আমাদের এক মাত্র লক্ষ। শত্রুদের খুঁজে বের করার।

রিমিঃ হুম তা ঠিক!!

অয়নঃ রিমিপরী এখন তুমি কাউকে আমার সম্পর্কে বলো নাহ!!

রিমিঃ ভালো মা কেও না??

মিসেস কলির কথা শুনে অয়ন চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়লো।

কতদিন সে তার মা কে দেখেনা।
মায়ের সেই আদরমাখা স্নেহ পায়না। আজকাল মাকে নিয়েও তার বেশ চিন্তা হয়। মায়ের সেফিটির জন্যও সে আলাদা গার্ড বাংলাদেশে রেখেছে।

অয়নঃ আপতত মাকেও বলিওনাহ।
সব শ্রুত্রুদের শাস্তি দিয়ে তোমার হাত ধরে বাংলাদেশে গিয়ে মাকে চমকে দিবো।

রিমি ঃ আপনি কি কিছু প্রমান কালেক্ট করতে পেরেছেন???

অয়ন বাঁকা হেঁসে বলে উঠে–।আপনার সাইকো সব পারে ম্যাডাম!!

রিমিঃ মানে??

অয়ন ঃ মানে এর পিছনে কার হাত আছে সেটা একটু হলেও জানতে পেরেছি।
সামনে এর পিছনে কে কে আছে সেই ইনফরমেশন ও জোগাড় করে ফেলবো।

রিমি ঃ আজকে আমরা সেই হসপিটালে গিয়েছিলাম।

যেখানে আপনার অপারেশন হয়েছিলো।

কিন্তু যখনি যেই ক্লু পাই সেই ক্লুই হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।

অয়নঃ আমি জানি।
বিপক্ষ শত্রু সবকিছু রেডি করেই মাঠে নেমেছে।

অয়ন আবারো বলে উঠে–
বাংলাদেশ এ আমাদের বিয়ের দিন কোনো সিরিয়াস ওটি ছিলো নাহ। অইটা একটা ফলস নিউজ ছিলো।

রিমিঃ ওয়াট?

অয়নঃ হুম!! আমাদের হসপিটালের কিছু ডক্টররা এইসব এর পিছনে যুক্ত।

রিমিঃ আমাদের বিপরিতে যারা আছে তারা
একটা বড় ষড়যন্র করেছে।
আমাদের আলাদা করার।

অয়ন ঃ অনেকেই আছে
হয়তো আমাদের কাছের কেউ।

রিমিঃ আপনার কাকে সংদেহ হয়??

অয়ন ঃ সংদেহ না আমি সিউর!!

রিমিঃ কারা??

অয়নঃ এখন আমি বলতে পারবো নাহ রিমিপরী।
আগে আমার আরেক্টু কিছু প্রমাণ কালেক্ট করতে হবে.।

আমান টকোপিকে কিছু বিস্কিট খাওয়াচ্ছে।

আমানঃ কিরে টকোপি খুব বেশি খিদে পেয়েছে না রে।

টকোপি মাথা নাড়ালো যার মানে হ্যা

#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি?

48 part
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122122572278106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here