প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover) #পর্ব- 15(ভালোবাসা) #Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

0
644

#প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover)
#পর্ব- 15(ভালোবাসা)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

অয়ন এখনো মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়ে রয়েছে।আমার হাত-পা এখনো রীতিমত কাঁপাকাঁপি করছে।আশরাফ সাহেব (রিমির বাবা) পড়েছেন মহা ঝামেলায়।এই ছেলেটা কি সত্যি পাগল নাকি অন্যকিছু?? পাড়ায় তার যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। পাড়ার লোক যদি দেখে ফেলে কিংবা শুনে ফেলে কেলেংকারি হবে। এদিকে অয়নও ছাড়ার পাত্র না যতক্ষন পর্যন্ত তার রিমিপরী না আসবে সে যাচ্ছেনা। গার্ডসরাও বিষন ভয় পেয়ে আছে কেননা অয়নকে তারা খুব ভালোভাবেই চিনে। সে যা বলে তাই করে। রিমির প্রতি তার পাগলামির কোনো শেষ নেই। এদিকে আমি আছি ভয়ে লোকটা সত্যি সাইকো নিজের ক্ষতি করতেও লোকটা একবার ভাব্বে নাহ। নাহ এইভাবে ঘরে বসে থাকতে পারবো নাহ আমাকে যেতেই হবে। এই বলে আমি বাইরে যেতে লাগলে বাবা খপ করে আমার হাত-ধরে ফেলে।আমি অসহায় কন্ঠে বলে উঠি–বাবা!!
বাবা ঃ তুই কোথায় যাচ্ছিস??
রিমিঃ বাবা দেখো উনি কি বলছে? আমি যদি না যাই উনি সত্যিই নিজের ক্ষতি করতে দুবার ভাব্বে নাহ।।
বাবাঃ তুই কী বলছিস এখন আমি অই গুন্ডা ছেলের কাছে তোকে পাঠাবো কখনো নাহ (রেগে)
মাঃ কিন্তু ছেলেটা যেরকম করছে আমার ভয় করছে যদি সত্যি নিজের ক্ষতি করে তখন??
বাবাঃ তুমি এখন কী বলছো আমি অই ছেলের কাছে আমার মেয়েকে দিবো??
তখনি মাইকের আওয়াজ পুনরায় শুনা যায়।
অয়ন বলে উঠে–
আমি শুধু আর একবার বলবো এখন যদি তুমি সত্যি না আসো আমি নিজেকে শুট করবোই!!
এইটা শুনে আমি কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাছে হাত-জোড় করে বলে উঠলাম–বাবাহ দয়া করো। তুমি আমাকে যেতে দাও।
অয়নের জন্য রিমি কান্না করছে দেখে সবাই অবাক।।
সুমু অবাক হয়ে বলে-
তুই অই ছেলেটার জন্য কাঁদছিস??
মাঃ কিন্তু কেন??
রিমিঃ আমি জানি না আমি কিচ্ছু জানিনা কিন্তু অই লোকটার ক্ষতি আমি সহ্য করতে পারিনা।ও বাবা আমাকে যেতে দাও না(কাঁদতে কাঁদতে)
রিমির আবেগি অনুরোধ শুনে যেনো পাষাণও গলে যাবে সেখানে মিঃ আশরাফ কী করতে পারে?? তিনি রিমির হাত ছেড়ে দিলেন। আমি জোড়ে দৌড়ে বাড়ির বাইরে চলে যেতে লাগলাম। মিঃ আশরাফ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠলেন-
আমাদের মেয়েটা বড় হয়ে গিয়েছে।
মাঃ হ্যা গো আমি তো ওর মা। আমি বুঝি মেয়ের মন মেয়েটা ছেলেটাকে বড্ড ভালোবাসে।
সুমুঃ শুধু সেইটা স্বীকার করার অপেক্ষা।
আমি দৌড়ে উনার রিভলবার ফেলে দিলাম।অয়ন অবাক।
অয়নঃ রিমিপরী তুমি এসেছো??
অয়নকে আরো অবাক করে দিয়ে আমি উনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম সকলের সামনে।। অয়ন হতবাগ এইসব কি সত্যি স্বপ্ন?
অয়নঃ রিমিপরী
রিমিঃ চুপ একদম চুপ।
আপনি বড্ড খারাপ লোক। এইভাবে কেউ কপালে রিভলবার ঠেকায়.??
অয়নঃ এই রিমিপরী তুমি কাঁদছো?(উত্তেজিত হয়ে)
রিমিঃ আমি কাঁদবো কেন?? হ্যা?
আমি কি আপনাকে ভালোবাসি? এক্টুও নাহ
অয়ন রিমিকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে তার থুতনি উচু করে বলে উঠলো- সত্যি ভালোবাসো নাহ কিন্তু আমি তো তোমাকে অনেক ভালোবাসি আমার রিমিপরী!!
আমি কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলাম– যদি ভালোই বাসেন তাহলে বুঝেন নি কেন??আমার অভিমান টা? অয়ন মুঁচকি হেঁসে বলে উঠলো-আমার রিমিপরীর অভিমান হয়েছিলো বুঝি?
রিমিঃ তা নয়তো কী?
অয়ন ঃ আমি শুনেছি অভিমান শুধুমাত্র আপনজন মানুষের সাথে হয় তাহলে আমিও কি তোমার আপনজন।
আমি মুখ ঘুড়িয়ে বলে উঠলাম- আপনি কিচ্ছু জানেন না সব ভুল জানেন।

অয়নঃ তার মানে আমি আপন নাহ?

রিমিঃ নাহ তো।

অয়নঃ আমি মরে গেলেও আমার রিমিপরীর কিচ্ছু হবেনা

আমি সাথে সাথেই উনাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেই। অয়নও আমাকে গভীরভাবে জড়িয়ে ধরে।

অয়নঃ আমি তো আপন নাহ। তাহলে আমার মরার কথা শুনে কান্নাকাটি কেন হচ্ছে??

আমি কাঁদতে কাঁদতেই বলে উঠলাম-
সব কথা কি বলতে হয়??বুঝেন না?? ভালোবাসি আপনাকে

অয়নের যেনো কথা বিশ্বাস-ই হচ্ছেনা খুশিতে তার সারা শরীর কেঁপে যাচ্ছে।
কী বলছে কি তার রিমিপরী? তার রিমিপরী তাকে ভালোবাসে। এ কেমন অনুভুতি অয়নের হচ্ছে?? এইরকম অনুভুতি তো বুঝানোও যায়না
অয়ন এতোটাই খুশি হয়েছে সব গার্ডসদের গিয়ে বলছে
এই তোরা শুনেছিস আমার রিমিপরী আমাকে ভালোবাসে ইয়াহু। অয়ন যেনো খুশিতে আত্বহারা হয়ে গিয়েছে। অয়নের খুশি দেখে আমিও হেঁসে ফেললাম। উপর থেকে সব টায় দেখছে সুমাইয়া, আশরাফ সাহেব ও তার স্ত্রী। আশরাফ সাহেব বলে উঠলেন- আমার আর কোনো চিন্তা নেই। ছেলেটা একটু গুন্ডা টাইপের কিন্তু আমাদের মেয়েটাকে বড্ড ভালোবাসে। মা ও বলে উঠলো-ঠিক বলেছো তাছাড়া ছেলেটা কত বড় ডক্টর।আমাদের মেয়ে সুখে থাকবে।সুমাইয়া ঃ সব থেকে বড় কথা আমার পাগলি বোন টাও অয়ন ভাইয়াকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে।
আশরাফ সাহেবঃ আমরা এখন নিশ্চিন্ত।।

এদিকে পায়েল একের পর এক ফোন দিয়ে যাচ্ছে অয়নকে কিন্তু
অয়নকে ফোনেই পাচ্ছেনা।
পায়েলঃ আচ্ছা অয়ন কোথায় গেলো?
অয়ন কি বুঝতে পারছেনা। আমার ওকে ছাড়া ভয় করে।
হঠাৎ ই পায়েল অজ্ঞান হয়ে যায়।
মিসেস কলি পায়েল এর ঘরের দিকে যাচ্ছিলো পায়েলকে এই অবস্হায় দেখে তিনি চিৎকার করে উঠেন।।

গাড়িতে,,,,
অয়ন গাড়ি ড্রাইভ করছে আর আমি উনাকে দেখছি।। লোকটার মুখে খুশির ঝলক। কত সুন্দর লাগছে উনাকে। ভালোবাসার মানুষের সব কিছুই সুন্দর।
অয়ন ঃ আমাকে দেখা শেষ হয়েছে রিমিপরী।
রিমিঃ ইসস আপনাকে কে দেখছিলো??
আমার অবাধ্য চুপ অয়নের মুখে বারবার এসে পড়ছে।

অয়ন মুচকি হেঁসে গাওয়া শুরু করে–
🍁Haar shaam mein aankkhom par🍁
Teraaa aanchal
Leharaaye 🍁
Haar raat yaadoki 🍁
Baaraat le ayee🥀
আমিও গেঁয়ে উঠলাম
🍁
mein saans lehti hu
Teri khusbho aati hai 🍁
Ek mahakaa mahakka saa
Paigaam laati hai 🍁
Mere dil ki dhakan bhi
Tere geet gaati hai🍁
🥀pal pal dil ke pass
Tum rahTaho ho

.

চলবে কি?

16 part
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122122547840106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here