#প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover) #পর্ব-4 #jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

0
718

#প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover)
#পর্ব-4
#jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

অয়ন রিমির কপালে গভীরভাবে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিলো!
অয়ন যেনো বারবার রিমির প্রেমে নতুন করে পড়ছে অয়ন পরম যত্নে টিশু দিয়ে মুছে দিলো এতে রিমি খানিক্টা নড়ে উঠলো তারপর আবারোও ঘুমিয়ে পড়লো অয়ন রিমিকে কোলে করে বেডে শুয়িয়ে দিলো!!
অয়ন নিজের রুমে গিয়ে খানিক্টা ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় বসে পড়লো!!

অয়নঃ দেখেছো পায়েল আমি পেরেছি তোমার মতো ধোঁকাবাজ কে ভুলে যেতে হ্যা আজ আমি বলতে পারি আমার রিমিপরীকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি হয়তো তোমার থেকেও বেশি!!

অয়নের মনে পড়ে যায় রিমির সাথে প্রথম দেখা হওয়ার দৃশ্য,,

অতীত,,

আজ আমার মন বড্ড খারাপ!! অয়ন চৌধুরীর সাথে দেখা টায় করতে পারলাম দুরর তাই মনের দুঃখে নদীর পাড়ে একা বসে আছে জায়গা টা বেশ নির্জন লোকজন আনাগোনা নেই!! তখনি খেয়াল করলাম কেউ নদীর আরেকপাশে বসে আছে মনমরা হয়ে এমা এইটা আমি কাকে দেখছি আমার ক্রাশ আমার আইডল অয়ন চৌধুরী তাড়াতাড়ি দৌড়ে আমি তার কাছে গেলাম!!

অয়নঃ( হঠাৎ একটা মেয়েকে দৌড়ে আসায় খানিক্টা অবাক হলাম এইসময় এই মেয়ে এইখানে কি করছে?)

রিমিঃ আপনি অয়ন চৌধুরী তাইনা?

অয়নঃ হুম কেন?

উনার কথা শুনে মনে লাড্ডু ফুটে উঠলো কি ভাগ্য আমার এইরকম জায়গায় নিজের ক্রাশ এর সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে দেখা হলে কিরকম রিয়েক্ট করার উচিৎ আমি বুঝতে পারছিনা কিন্তু এমা উনি তো রিয়েল লাইফ এ আরো কিউট একদম চকলেট বয় যাকে বলে

অয়নঃ( মেয়েটা এমনভাবে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে মনে হচ্ছে জীবনে ছেলে দেখেনি যত্তসব)

অয়নঃ কি হচ্ছে কি? আপনার কোনো সমস্যা?

রিমিঃ নাহ মানে আসলে আপনি আমার ক্রাশ

অয়ন প্রচন্ড বিরক্ত লাগছে মেয়েটার কথা শুনে এমনি মেয়েদের সে দেখতে পারেনা

অয়নঃ হয়েছে আপনার কথা শেষ

এই বলে অয়ন চলে যেতে নিলে
রিমি তাড়াতাড়ি তার পথ আটকায়

রিমিঃ আরে আরে কোথায় যাচ্ছেন?

অয়নঃ কেন আমার কি আপনার সাথে থাকার দরকার ছিলো(রেগে)

রিমিঃ দেখুন আমি অনেকদিন ধরে চেস্টা করছি আপনার সাথে দেখা করার বাট পারিনি কিন্তু এইরকম একটা জায়গায় আপনাকে দেখতে পারবো ভাবিনি

অয়নঃ দেখা শেষ?

রিমিঃ নাহ মানে হুম
আসলে,, আপনি আমার আইডলো বটে

অয়নঃ আপনি কী ভেবেছেন আপনার মতো মেয়েদের ধান্ধা আমি বুঝিনা বড়লোক ছেলে দেখলেই পটাতে ইচ্ছা করে
সব গুলাকে চেনা আছে আমার

উনার কথা শুনে রাগে আমার মাথা শেষ হয়ে গেলো কী বলে কি লোকটা?
আমি উনাকে পটাতে এসেছি
দাঁড়া ব্যাটা তোকে দেখাচ্ছি মজা!!
রিমিঃ এইযে মিঃ আপনি কি মনে করেন কি নিজেকে? হুহ শুধু একটু ক্রাশ খাইছি তাতেই ভাব!! হুহ

অয়নঃ What do u mean by this!

রিমিঃ আরে রাখেন তো আপনার ইংলিশ অ্যাহ আইছে ইংরেজি ডায়লোগ দিতে হুহ

অয়নঃ ইউ?😡

রিমিঃ আরে মিয়া রাখেন আপনার ইউ ইউ। আমার নাম রিমি শুনেন আপনি অনেক লাকি আপনি আমার ক্রাশ সো ভাব একটু কম নিন!!

অয়নের প্রচন্ড রাগ লাগছে এই মুহুর্তে
অয়নঃ আপনি যদি এখন আমার সাম্নের থেকে না সড়েন

আমি জানিনা আমি কি করবো so get lost from now!!

রিমি মুখ গোমড়া করে চলে যায় কেন জানো অয়নের সেদিন এর পর থেকে রিমির প্রতি এক অদ্ভুদ মায়া জন্ম নেয় কিন্তু রিমিও হাল ছাড়ার পাত্রি নয় রিমিকে অপমান করেছিলো তাই সে প্রতিদিন ই সেই নদীর পাড়ে যেতো এবং অয়নও সেখানে যেতো রিমি প্রতিদিন অয়নকে এই সেই বলে ডিস্টার্ব করতো আর অয়ন বিরক্ত হতো এইভাবে ৫ মাসে কেটে গেলো
অয়ন আস্তে আস্তে নিজের অজান্তেই রিমিকে ভালোবাসে ফেলে কিন্তু রিমির মনে অইসব ফিলিং আসেনি কেননা সে জানে সে মধ্যবিত্ত্য সে কোথায় আর অয়ন কোথায়।
একদিন অয়ন রিমিকে প্রপোজ করে কিন্তু রিমি অয়নকে রিজেক্ট করে দেয় কেননা তার বাবা তার বিয়ে অন্য কোথাও ঠিক করে রেখেছে। তাই অয়ন রিমিকে জোড় করে তুলে আনে আর রিমিকে বন্ধী করে রাখে যেহুতু অয়নের অনেক পাওয়্যার
তাই রিমির পরিবারও কিচ্ছু করতে পারেনা।



।।
।।
অয়ন নিজের গাঁয়ের চাঁদর খানিক্টা জড়িয়ে নেই!!


।।।

।সকালে,,
আজ আমি ভেবেছি যে করেই হোক অই সাইকোটার কাছ থেকে
আমার ভার্সিটিরতে ভর্তি হ ওয়ার পার্মিশন জোগাড় করবো এইভাবে আর কতদিন বন্ধী হয়ে থাকবো

আস্তে আস্তে কোনোরকম সাইকোটার দরজার সামনে এলাম
সাইকোটা নিজের টাই বাঁধছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে,,

আমি কিছু বলবো তার আগেই সাইকোটা বলে উঠে–

সুর্য আজ কোন দিক দিয়ে উঠলো?রিমিপরী আজ নিজে আমার ঘরে এসেছে

সাইকোটার কথা শুনে অনেকটায় অবাক হোলাম আমি এসেছি জানলো কীভাবে সাইকোটা তো উল্টো দিকে ঘুরে আছে

অয়নঃ কি এখন এইটাই ভাবছো তো আমি কীভাবে বুঝলাম এইটাকেই বলে ভালোবাসার টান(বাঁকা হেঁসে)

আমি মুখ ভেংচি কাটলাম হুহ আসছে ভালোবাসার টান দরদ উলতাইয়া পড়ে,,

অয়নঃ তা কি জন্য আসলে বললেনা

রিমিঃ আমি ভার্সিটিতে ভর্তি হতে চাই

অয়নঃ সেইটা এখন সম্ভব না!!

রিমিঃ মানে কি? আমি পড়াশোনা করবো নাহ?

অয়নঃ করবে কিন্তু বাসায় থেকে
আমি তোমার জন্য বেস্ট টিউটর রাখবো সে প্রব্লেম হবেনা

রিমিঃ আপনি আমাকে এইভাবে বন্ধী রাখতে চাইছেন!! (রেগে)
অয়নঃ রাখতে চাইনা অলরেডি রাখছি(যতদিন না আমাদের বিয়ে অন্তত ততদিন বন্ধী রাখতেই হবে)

সাইকোটার কথা শুনে মাথায় যেনো আগুন ধরে গেলো তাড়াতাড়ি করে নিজের ঘরে চলে এলাম!!

এইভাবে চলতে থাকা যায়না কিছু একটা করতেই হবে এই সাইকোটার বাড়াবাড়ি আর সহ্য করা যাচ্ছেনা

কিছু একটা ভাবতে হবে
অনেক্ষন ধরে ভেবেই চলছি কি করা যায় কিন্তু কিছুতেই কিছু বুঝতে পারছিনা। কি করবো??

হুম আইডিয়া আমি পালিয়ে যাবো হুম এইটাই করতে হবে কিন্তু কীভাবে সাইকোটা যেভাবে সব জায়গা গার্ড দিয়ে পাহাড়া দিয়ে রেখেছে!!

তখনি চট করে মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো হুম রান্নাঘরের পিছনে একটা দরজা আছে সেখান দিয়ে
পালানো যেতেই পারে!!
।যেই ভাবা সেই কাজ বাসার মানুষ এখন বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত এই সুযোগ পালানোর সব থেকে বড় কথা সাইকোটাই এখন যতটুকু জানি বাসায় নেই এর
থেকে বড় সুযোগ আর নেই!!

কিন্তু ভালোমার জন্য অনেক খারাপ লাগছে থাক পরে কোনোরকম ভালো মার সাথে যোগাযোগ করার ব্যাবস্হা করবো!!

কোনোরকম দরজার কাছে চলে এসেছি এমা দরজা টা তো খোলা আমার জন্য আরো ভলোই হলো

দরজা খুলে এক দৌড়
দিলাম। কিন্তু বেশিদুর যেতে পারলাম না। একজন আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তাকে দেখে আমার ভয়ে হাত-পা কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেলো

মুখ থেকে বেড়িয়ে এলো

অয়ন আপনি?

অয়নঃ কেন রিমিপরী আমাকে এইসময় এইখানে আশা করোনি বুঝি(বাঁকা হেঁসে)

কী হবে রিমির? 🤷‍♀️

চলবে কি?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here