#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-24
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
(প্রথমে কিছু কথা বলে নেই।আপ্নারা সবাই নিয়মিত পাঠক পাঠিকা তাই আপ্নারা সবাই জানেন একজন লেখিকা যখন গল্প লেখে তখন সব কিছু আগে থেকে ভেবে তারপর একটি গল্প লেখে। পর্ব ২৩ পড়ার পর থেকে আমাকে নানানজন নানান কথা বলছেন কেউ বলছে বিয়ে দেওয়ার পরে করতেন।পায়েলকে কেন গল্পে আনলেন?আবার অয়নের কিছু হলে গল্পই পড়বো নাহ। আপনাদের কমেন্টে আমি অনেক হতাশ হয়েছি আপনাদের কাছ থেকে এইটা আশা করিনি। আপনাদের কথা অনুযায়ী আমি যদি আমার প্লট চেঞ্জ করি আমার গল্প তো ছন্নছাড়া হয়ে যাবে। আর এখুনি আপনার এতো হতাশ হচ্ছেন কেন? গল্পের কিছুই শুরু হয়নি এখনো মাত্র প্রথম অধ্যায় চলছে এখনো দ্বিতীয় অধ্যায় বাকি আছে। তাই আশা করি সবাই গল্পটির শেষ পর্যন্ত থাকবেন। গল্পেতে কিছু টা হলেও ভিন্নতা পাবেন)
রিমি অয়নের পথ পানে চেয়ে আছে এখনো। রিমির মা রিমির কাছে এসে বলে উঠে- তোর উচিৎ ছিলো ছেলেটাকে আটকানো। আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম- একজন মানুষের থেকে বিয়ে আগেনা
মা বলে উঠলো- আরো অনেক ডক্টর আছে তো।
আমি বলে উঠলাম- উনি তো বললেন অনেক ক্রিটিকাল পেশেন্ট। উনি ছাড়া ওটি টা কেউ পারবেনা। মা বলে উঠলো-বুঝিনা তোদের ব্যাপার বাপু। মিসেস কলিকে সবটায় ফোনে বলছে সানা। মিসেস কলি বলে উঠেন- তোরা ওকে আটকাবি নাহ। সানা বলে উঠলো- বাবা। আশরাফ আংকেল সবাই যেতে মানা করেছিলো ভাইয়াই চলে গেলো।
মিসেস কলি ঃ রিমি কি করছে? সানা বলে উঠলো- জুনিয়ার ভাবির কথা আর নাই বা বললাম। ভাবিই উল্টো আটকানোর বদলে ভাইয়াকে যেতে বলেছে। মিসেস কলি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন সত্যি যেমন ছেলে তেমন ছেলের বউ। মিসেস কলি বলে উঠলো- আচ্ছা আমি অয়নকে ফোন করে নিচ্ছি দেখি কোথায় আছে। এইভাবে বিয়ের আসর থেকে যাওয়ার কোনো মানেই হয়না। সানা তাড়াতাড়ি ফোনটা রেখে চলল স্টেজ এর দিকে।
সুমুর বসে ছিলো ফারহান এসে বলে উঠলো-
চিন্তা করোনা অয়ন ঠিক চলে আসবে। ফারহানকে দেখে সুমু নরেচরে উঠলো।
ফারহান সুমাইয়া হাত শক্ত করে ধরে বলে উঠলো-
কালকে রাতে আমি তোমাকে ফোন করেছিলাম তুমি জানতে না।
সুমাইয়া চুপ হয়ে রইলো।
ফারহানঃ নিরবতা সম্মতির লক্ষন।
তাহলে না কেটে ধরে রেখেছিলো।
সুমাইয়া ঃ জানিনা
প্রতিউত্তরে ফারহান হেঁসে দিলো।
ফারহানঃ আমাকে কি প্লিয একবার সুযোগ দাওনা
ফারহান আবারও বলে উঠলো-
যেদিন আমি থাকবো নাহ সেদিন আফসোস করবে।
সুমাইয়া ছলছলে চোখে ফারহান এর দিকে তাঁকিয়ে আছে।
ফারহান চলে যায়।
অয়ন কোনোরকম ফাস্ট ড্রাইভ করে হসপিটালের গেটে পৌছায়। হসপিটাল এর দাড়োয়ান অয়নকে বিয়ের সাজে দেখে বেশ অবাক হয়। তার ধারণামতে অয়নের এখন বিয়ের আসরে থাকা কথা। অয়নকে আসতে দেখে তিনি তাড়াতাড়ি অয়নের কাছে ছুটে যান। তিনি বলে উঠেন-
অয়ন স্যার আপনি এখানে এমন সময়ে?
অয়ন বলে উঠে-
হসপিটালে নাকি অনেক ক্রিটিকাল পেশেন্ট এডমিট হয়েছে তাই
দাড়োয়ান অবাকের সুরে বলে উঠে-
পেশেন্ট ভর্তি হয়েছে মানে কি?
আজ তো তেমন কোনো পেশেন্ট ভর্তি হয়নি
অয়নঃ ওয়াট(চিল্লিয়ে) কিসব যাতা বলছেন?
অয়ন তাড়াতাড়ি হসপিটালের গেটে ঢুকে সব নার্স ডক্টরদের ডাকতে থাকে।
সবাই অয়নকে এই অবস্হায় দেখে অনেক টায় অবাক হয়ে যায়
তারা অয়নের কাছে এসে বলে উঠে-ডক্টর অয়ন আপনি এই অবস্হায় কেন?
অয়ন বলে উঠে- আমাকে হসপিটাল থেকে ইনফোর্ম করা হয়েছে। একজন ক্রিটিকাল পেশেন্ট এডমিট হয়েছেন।
সবাই অয়নের কথা বেশ অবাক হয়েছে তা তাদের মুখেই স্পস্ট।
ডক্টর সৈকত বলে উঠে-
এইরকম কোনো পেশেন্ট আসেনি ডক্টর অয়ন।
অয়নঃ মানে কি এইসব এর আমাকে এই হসপিটাল থেকেই ইনফোরমেশন দেওয়া হয়েছে।
সৈকতঃ আচ্ছা তুমি নাম্বার টায় আরেকবার কল করে দেখো।
আমাদের মধ্যে তো এমন কেউ ই করে নাই।
অয়ন তাই করলো। ফোন হাতে নিয়ে নাম্বার টায় কল করে দেখলো এখন তা বন্ধ।
অয়ন ঃ নাম্বার টা তো অফ।
সৈকতঃ এইগুলো কেউ মজা করে করেনি তো?
ডক্টর ইসান বলে উঠে-
আজকে অয়নের বিয়ে তার বিয়ের দিনে এইরকম বাজে মজা কে করবে?
অয়ন হাত-মুসঠিবদ্ধ করে বলে উঠে-
আমি তো তাকে খুজেই বের করবো। আপতত আমার যাওয়ার দরকার।
ডক্টর সৈকতঃ আজকে তোমার বিয়ের দিন আসা ঠিক হয়নি অয়ন।
অয়নঃ আমারো তাই মনে হয়
ডক্টর ইসানঃ বেস্ট অফ লাক মাই বয়। তুমি এখন তাড়াতাড়ি যাও।
অয়নঃ ধন্যবাদ!
অয়ন তাড়াতাড়ি বেড়িয়া যায়।
অয়ন বেড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই আড়ালে একজন ছেলে ডক্টর কাউকে কল করে!
—-হ্যালো স্যার!
——-+++
—–জ্বী স্যার আপনার কথা মতো অয়ন চৌধুরীকে আনিয়েছি।
——-++++
হ্যা স্যার এখন অয়ন চৌধুরী গাড়িতে উঠবে
——–++++
—///আপনার প্ল্যান মাফিক সব হচ্ছে। এখন আমার টাকা টা
——-
—আমি আজই বাংলাদেশ এর বাইরে চলে যাচ্ছি নাহলে আমি পরে ধরা পড়ে যেতে পারি। আমার ডক্টরের লাইসেন্স ও চলে যেতে পারে।
——++++
—-ঠিক আছে। আমি আজই বেড়িয়ে পড়বো।
এই বলে সে ফোনটি কেটে দেয়।
এদিকে। আমি পাইচারি করে যাচ্ছি।চারদিকে
রুশান আংকেল আমার কাছে এসে বলে উঠে-
অয়ন মনে হয় আর কিচ্ছুক্ষন এর মধ্যেই চলে আসবে।
আমি বলে উঠলাম- আমারো তাই মনে হয়।
মুখে আমি যাই বলিনা কেন আমারোও এখন প্রচন্ড টেনশন হচ্ছে। কেমন যেনো ঠিক লাগছেনা। উনি কখন আসবেন।।
তখনি বাবা বলে উঠে- কাজি সাহেব চলে এসেছেন।
অয়ন কোথায়?
রুশানঃ আমি ফোন দিচ্ছি আমার মনে হয় এখুনি চলে আসবে।
এই বলে অয়নকে রুশান ফোন দিতে থাকে।
কাজি সাহেব এসে বলে উঠেন-
বিয়ের কণে কোথায়?
মা আমাকে নিয়ে স্টেজে বসিয়ে দেয়।
কাজি সাহেবঃ মেয়ে তো এসেছে কিন্তু বর কোথায়?
সবাই কি উত্তর দিবে বুঝতে পারছেনা
রুশান বলে উঠে-
বর হসপিটলের একটি ওটি টে আছে।
কিছুক্ষন এর মধ্যেই চলে আসবে।
কাজি সাহেবঃ আরে তাড়াতাড়ি করুন আমার আরো জায়গায় বিয়ে পড়াতে যেতে হবে।
আশরাফ সাহেবঃ জ্বী আমরা দেখছি।
এদিকে,,
একজন গাড়ি হাই স্প্রিডে চালিয়ে যাচ্ছে। তখনি সে খেয়াল করে তার গাড়ির ব্রেক ফেল হয়েছে আউট অফ কন্ট্রোল। বাংলাদেশে এসে এইরকম পরিস্হিতি তে পড়তে হবে সে ভাবেনি। খালামনির সাথে আজ দেখা করতে এসেছে সে কিন্তু একি এইটা কি হচ্ছে।।
সে যথাসম্ভব নিজেকে কন্ট্রেোল করার চেস্টা করছে।
কিন্তু পারছেনা
——
রুশান এসে বলে উঠে-
আমি ফোন করে যাচ্ছি কিন্তু অয়নকে ফোনে পাচ্ছিনা। আমি বসা থেকে উঠে দাঁড়াই।
আমি বলে উঠলাম- পাচ্ছেন না মানে কি?
রুশানঃ অনেক বার ট্রাই করলাম কিন্তু পাইনি আমি।
আশরাফ সাহেবঃ আমার মনে হয় হসপিটালে একবার খোঁজ নেওয়া দরকার আমি বরং ফোন দিয়ে দেখি
আশরাফ সাহেব ফোন দিতে যাবে তাএ আগেই রুশান বলে উঠে-
আমি দিচ্ছি। আপনার দেওয়ার লাগবেনা
আশরাফ সাহেবঃ ঠিক আছে।
সুমু এসে আমার পাশে দাঁড়ায়। সবার মুখেই চিন্তার ভাজ।
ফারহানঃ অয়নের ফোন অফ অয়ন তো এইরকম করার ছেলেনা
আমার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো।
সুমুঃ এইরে তুই কা্ঁদছিস কেন ভাইয়া ঠিক ফিরবে।
এদিকে অয়ন ও নিজের গাড়ির প্রতি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছে।
অয়নঃ আমার গাড়ির ব্রেক ফেইল হয়েছে ওহ মা গড!
নাহ আজকে আমাদের বিয়ে আমার রিমিপরী আমার পথ চেয়ে বসে আছে আমাকে গাড়ি থেকে বের হতেই হবে।
অয়ন নিজের সবোর্চ্চ চেস্টা করছে কিন্তু সে ব্যর্থ।
হঠাৎ অয়নের গাড়ির সামনে একটি গাড়ি চলে আসে। অয়ন তার চোখ বন্ধ করে ফেলে তখনি রিমির মুখ ভেসে উঠে অজান্তেই অয়নের চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।
অয়ন অফুস্টস্বরে বলে উঠে-
অনেক অনেক ভালোবাসি আমার রিমিপরী!
তোমার সাইকো তোমাকে বড্ড ভালোবাসে। ভালো থেকো! তোমাকে দেওয়া কথা বোধহয় রাখতে পারলাম নাহ।
চলবে