#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-36
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
আয়ুশের বেশ লজ্জা লাগছে।মেয়েটাকে যেকরম সরল-সোজা সে মনে করেছিলো তার উল্টো এই মেয়ে। অসভ্য যাকে বলে একেবারে অসভ্য। রিমির থেকে আয়ুশ চোখ সরিয়ে নিলো। এদিকে আমি মিটিমিটি হাঁসছি। যাহ বাবা সাইকোটা দেখি হেব্বি লজ্জা পেয়েছি। উফফ কি কিউট লাগছেনা উনাকে। মন চাচ্ছে উনার লাল গালে জোড়ে একটি চুমু দিয়ে দেই। আপতত মনের ইচ্ছাটাকে একটু দমানোই শ্রেয়। আমান কিছুই বুঝতে পারছেনা।
তাই আমান বলে উঠলো– রিমিপাখি এখানে আমরা কেন???
আমি বলে উঠলাম– খেলা দেখতে এসেছি সিম্পাল।
আমানঃ আয়ুশের খেলা দেখতে নাকি অয়নের??
আমি বলে উঠলাম–
আপনার কি মনে হয়??
🌸🌸🌸🌸
আমান কিছুক্ষন চুপ হয়ে বলে উঠলো–
আমি তোমার বিশ্বাসকে যথেষ্ট সম্মান করি।
চলো বসবে চলো।
এই বলে আমান বসে পড়ে। আমিও একটি সিটে বসে পড়ি।
এদিকে আদি বলে উঠে–
মেয়েটা কেরে?? দেখে তো মনে হচ্ছে বিডির
আয়ুশঃ হুম বিডি থেকে এসেছিলো কনফারেন্স এ।
আদিঃ কিন্তু তোকে কীভাবে চিনে আর এমনই বা করলো কেন??
আয়ুশঃ একটু পর ম্যাচ শুরু হবে। তাই পরে বলবো এখন ম্যাচ এ কন্সাট্রেন্ট কর।
এদিকে জনি রিমির দিমে বাজে দৃস্টিতে তাঁকিয়ে আছে।
বাজ্ঞালি মেয়েদের প্রতি জনি বরাবর ই দুর্বলতা।
রিমিকেই সে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে। আর মেয়েটার বয়সও কম।
সান বলে উঠলো–
কিরে জনি কি দেখছিস??
জনি বলে উঠলো–
চিজটা দেখেছিস( রিমিকে উদ্দেশ্য করে)
সান ও বাজেভাবে তাঁকিয়ে বলে–
পুরো পিউর বাজ্ঞালি।
জনি শয়তানি হাঁসি দিয়ে বলে উঠে–
বাজ্ঞালিদের প্রতি বরাবর ই আমার একটু টান বেশি।
সান বলে উঠলো–
বল তোর দুর্বলতা।
জনিঃ আজকে যখন আমরা জিতবো তখন একে নিয়েই আজকের ব্রেন্ড সেলিব্রেশন করবো।
সানা ও বলে উঠলো–
একদম।
এদিকে আয়ুশ
সবকিছুই শুনে যাচ্ছে। তার চোখ একেবারে লাল হয়ে যাচ্ছে। সে তার হাত মুষ্ঠিবদ্ব করে ফেলে।
রাগে একেবারে মাথা ফেটে যাচ্ছে।
সে জানেনা কেন এইরকম হচ্ছে তার মাথায় এক্টাই প্লান ঘুড়ছে।
আয়ুশকে এই অবস্হায় দেখে আদি বলে উঠে–
আয়ুশ তুই ঠিক আছিস.? তো??
তোর চোখমুখেত এই অবস্হা কেন?
আয়ুশ হাত দিয়ে ঘাড়টা বেকিয়ে বলে উঠে–
কিছুনা জাস্ট একটু মনোসংযোগ করছিলাম
আদি বলে উঠে-ওকে চল।
ভার্সিটির সব স্যার-ম্যাম রাও চলে এসেছেন
।।।
প্রথমে স্যার চিংকং কিছুক্ষন ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে স্পিচ দেন।
তারপর মিস কুটিসাস কিচ্ছুক্ষন বক্তব্য দেন।
আমি টকোপিকে কোলে নিয়ে বলে উঠলাম–
আর কতক্ষন?? হবে এই ইংলিশ বকবক।
খেলা কখন শুরু হবে?
আমান গভীর মনোযোগ দিয়ে স্পিচ শুনছিলো
রিমির দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠে–
কিছু বললে??
আমি বলে উঠলাম– কেন আপনি শুনেন নি??
কি করছিলেন( অবাক হয়ে)
আমান নিজের চশমাটা ঠিক করে পড়ে বলে উঠলো—
স্পিচ শুনছিলাম।
রিমিঃ আপনি এই বোরিং ইংলিশ বকবক শুনছেন
(ভ্যাবাচ্যাকে খেয়ে)
রিমির ফেস দেখে আমাম হেঁসে দেয়।
আমানঃ উনারা অনেক বড় বড় টিচার।
উনাদের লেকচার সহজে শুনা যায়না। আর উনারা অনেক ভালো লেকচার দিচ্ছেন। স্টুডেন্টস দের উৎসাহমুলক বার্তা।
আমি বলে উঠলাম–বাট এখন আমার এই লেকচার শুনার মুড নেই।
আমান হেঁসে সামনে দিকে লেকচার শুনাতে মনোযোগ।
দুই পক্ষের বাস্কেট কোর্চ অনেক্ষন লেকচার দেয়।
জনিদের কোর্চ বলে উঠে–
বেস্ট ওফ লাক বয়েস আম সিউর ইউ আর বয়েস উইল বি উইন।
জনি হেঁসে বলে উঠে–
সেটা আমরা জানিই।।
আমি আবারও বলে উঠলাম–আমি জানি আপনিই জিতবেন (উনাকে উদ্দেশ্য করে)
সবাই এইবার আমাকে গিলে খাচ্ছে।
আমান বলে উঠলো–
রিমিপাখি একটু শান্ত হোও!! আস্তে
আয়ুশ বাঁকা হেঁসে চুল্গুলো ফু দিয়ে স্টাইল করে
বলটা লাফাতে লাফাতে কোট এর দিকে নিয়ে গেলো।
সবাই আয়ুশ আয়ুশ করে যাচ্ছে।।
জনি ও বাঁকিরা আগে থেকেই প্রস্তুত।
প্রথমে আদিও রকি বাস্কেট টা নিয়ে যায়।
জনি ও বাকিরা তাদের আটকানোর চেস্টা করছে।
রকিকে আটকে রেখেছে বাকিরা।
আদি বাস্কেট টা নিয়ে যেতে নিলে
জনি আদিকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
আয়ুশ বলে উঠে– এটা তো চিটিং!!
জনিঃ ইয়ার আমি ইচ্ছে করে করেনি।
আয়ুশ রাগে ফুসে উঠছে।।
এইভাবে আয়ুশের টিমের সবাইকে আটকিয়ে দিচ্ছে।
আমি নখ খাচ্ছি
অনেক নার্ভাস লাগছে।
বিপক্ষ টিম দুইবার বাস্কেটে বল ফেলে দিচ্ছে।
আরেকবার ফেলে দিলেই
তারা জিতে যাবে।।
আমানঃ মনে তো হচ্ছে
অই টিম ই জিতবে( জনিদের উদ্দেশ্য করে)
আমি বলে উঠলাম– আমার সাইকোই জিতবে।
আমার সাইকোকে হারানো কি এতো সোজা।।
আমান কিছু বলল নাহ।।।
এদিকে ইশাও চলে এসেছে।
আয়ুশের খেলা অথচ সেই জানেনা
অদ্ভুদ!!
আয়ুশ এইবার
বলটা টা নিয়ে নিয়ে লাফাতে লাফাতে বাস্কেটের দিকে নিয়ে যায়।
মেয়েরা অনেক আশা নিয়ে বসে আছে।
জনি তাড়াতাড়ি আয়ুশের কাছে গুড়া টা স্প্রে করতে থাকে যাতে আয়ুশের এলার্জি হয়।
আয়ুশের কস্ট হচ্ছে।
সে কোনোরকম বলটা নিজের কাছে রাখে।
আমি উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলাম–
ওরা কিছু একটা স্প্রে করেছে আমি দেখেছি
আমান বলে উঠে–
এটা তো ঠিক নাহ আম্পিয়ার দেখেও না দেখার ভান করছে।
(আসলে জনি আগেই তাকে টাকা খায়িয়ে রেখেছে)।
আমি বলে উঠলাম–
উনার কস্ট হচ্ছে কেন??।অয়নের তো গুড়া মরিচে তে এলার্জি নেই।
তাহলে কি।।।
জনি ঃ এইবার আয়ুশ কিছুতেই পারবেনা।
আয়ুশ পড়ে যায়।
সবাই অনেকটা ভয় পেয়ে যায়।
আমি ভয় পেয়ে বলে উঠলাম–
আমাকে যেতে হবে উনার কাছে।
এই বলে আমি যেতে নিলে আমান বলে উঠে–
কিছুক্ষন অপেক্ষা করো!!
রিমিঃ মানে???
আমানঃ সামনে দেখো।
আমিও সামনে তাঁকালাম।
জনি বলটা নিয়ে যাবে তখনি আয়ুশ তাকে নিজের পা দিয়ে লাত্থি দিয়ে ফেলে দেয়।
ইসান ঃ এইটা কি হলো??
আয়ুশ ইনোসেন্ট ফেস করে বলে উঠলো–
সরি ইয়ার।আমি ইচ্ছে করে করিনি
এই বলে আয়ুশ উঠে গেলো
তারপর বলটা নিয়ে বাস্কেটে ফেলো দিলো।
সবাই জোড়ে হাতে তালি দিলো।
আমি জোড়ে বলে উঠলাম–
ওয়াও মেরা হিরো।।
ইশা রিমিকে দেখে
ফেলল–
এই মেয়েটা এখানে কি করছে?? ওর জন্যই আমাদের মাঝে এতো ঝামালা।
।।
।
।
।আয়ুশ বাঁকা হাঁসি দিলো।
জনি ঃ এইটা কী করে সম্ভব?? আয়ুশের তো এলার্জি ছিলো।।।(মনে মনে)
।।।।।।🌸🌸🌸
আয়ুশ একে একে দুবার বাস্কেটে বল ফেলে দিলো।
জনিরা অনেক চেস্টা করেও আটাকাতে পারলো নাহ।
।।।।।
অবশেষে আয়ুশ জিতে গেলো
আমি অনেক খুশি।
মেয়েরা তো আরোও খুশি।
সবাই আয়ুশদের কনগ্রেস করছে।
মেয়েরা আয়ুশের কাছে ছুটে যায়।
আয়ুশের সাথে সেল্ফি নিতে।
আয়ুশের চোখ বারবার রিমির দিকে যাচ্ছে।
রিমি হাত তালি দিচ্ছে।
মুখে তার মিস্টি হাঁসি।
মেয়েটার হাঁসি বেশ লাগছে ❤️!!!
।।।।।।। 🍂🍂
জনি রেগে বাইরের সাইডে চলে যায়।
আয়ুশ কোনোরকম সবাইকে বলে–
হেই গার্লস গিভ মি সাম টাইম নাও ওকে???
এই বলে আয়ুশ কোনোরকম
বাইরে চলে যায়।।।
জনি রাগে ফুসছে।
এইভাবে সে জিতে গেলো।
তখনি সে ধপ করে পড়ে সজোড়ে পড়ে গেলো।
সে কোনোরকম পিছনে তাঁকিয়ে দেখে আয়ুশ।
জনিঃ আয়ুশ তুই??(অবাক হয়ে)
আয়ুশের চোখ থেকে যেনো আগুন ঝড়ছে।
সে কিছু না বলে জনিকে মারতে থাকে।
জনি বারবার আটকানোর চেস্টা করছে কিন্তু পারছেনা।
মারতে মারতে একেবারে রক্তাক্ত করে ফেলেছে।
জনি কোনোরকম বলে উঠে–
আমাকে ছেড়ে দে প্লিয।
আয়ুশ এইবার জনির বুকে সজোড়ে লাত্থি মেরে বলে উঠে–
তোর সাহস কী করে হলো??
অই মেয়েটার দিকে কুনজর দেওয়ার( রিমিকে উদ্দশ্য করে)
জনি ঃ কেন কে ও তোর???
আয়ুশ আরো ইচ্ছামতো জনিকে মেরে ফেলতে থাকে সে একেবারে পাগলপ্রাই হয়ে গেছে।
আয়ুশ জানেনা সে কেন এমন করছে।
শুধু জানে অই মেয়েটার দিকে কেউ
নজর দিলে সে চোখ ও উপড়ে ফেলতে পারে আয়ুশ।জনির নাখ দিয়ে গড়গল করে রক্ত বেড়িয়ে পড়ছে।
চলবে