#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-50(বোনাস) (রহস্যের মায়াজাল)
#Jannatul_ferdosi_rimi
ইশান তাচ্ছিল্যের হাঁসি দিলো। অয়ন এইবার ইশানের কলার চেপে ধরে বলে উঠে–রিমিপরী কোথায় ইশান? ইশান বলে উঠে–যদি না বলি??
অয়ন রক্তচক্ষ নিয়ে তাঁকিয়ে বলে–তুই জানিস রিমিপরীর জন্য আমি সবকিছুই করতে পারি.।তোকে খুন ও করতে আমার হাত কাঁপবেনা।পায়েল
বলে উঠে–অয়ন কি করছো??
ইশান কে ছেড়ে দাও বলছি।
🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿
ইশানঃ সম্পর্কে তোর ভাই হই। সেটাও কি ভুলে গেলি? অয়ন। এখন কি ভাই কেও মেরে ফেলবি?
অয়নঃ তুই নিজের আপন ভাইকে মারতে মারিস।
আমি পারিনা???
ভালোই ভালোই বলে দে ইশান রিমিপরী কোথায়??
ইশানঃ নিজেই খুঁজে নে তোর রিমিপরীকে।
দেখ বেঁচে আছে কিনা।
এই কথা শুনেই অয়ন জোড়ে ঘুসে দেয় ইশানের পেটে।
তারপর পেটে লাত্থি দেয়।
এতে ইশানের মুখ থেকে রক্ত বেড়িয়ে পড়ে।
পায়েল দ্রুত ইশানের কাছে গিয়ে বলে উঠে–
ইশান তুমি ঠিক আছো তো??
অয়ন এইভাবে মারছো কেন???
অয়নঃ এইটা শুধু ট্রেইলার ছিলো।
আমার রিমিপরীকে নিয়ে আরেকটা বাজে কথা বললে জ্যান্ত পুতে দিবো।
এই বলে অয়ন উপরের দিকে চলে যায়।
।
।
সানা কখন ধরে রিশকার জন্য অপেক্ষা করছে
কিন্ত পাচ্ছেনা। বাড়ির গাড়ি সে ব্যবহার করতে পছন্দ করেনা।
এম্নিতেই আজকাল অই বাড়িতে তার থাকতেও ইচ্ছেকরেনা।
একমাত্র মিসেস কলির কথা ভেবে সে রয়ে গেছে।
।।।।এদিকে আমার প্রায় জান যায় যায় অবস্হা আর সহ্য হচ্ছেনা।
তখনি কেউ দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেজ্ঞে ফেলে।
তাকে দেখে আমি যেনো আবারও বাঁচার আশা পাই।
এতো আমার অয়ন।
অয়ন একেবারে হতভম্ভ হয়ে গেছে।
তার চোখ থেকে আপনা আপনি জল গড়িয়েই
পড়ছে।
তার রিমিপরীকে এই অবস্হায় সে আশা করেনি
কি অবস্হা হয়েছে।
আর কিছু না ভেবে অয়ন ছুটে গেলো
🍀🍀🍀🍀
রিমির বাঁধন খুলে দিলো।
অয়নঃ রিমিপরী!!
আমি বলে উঠলাম–
আমি জানতাম আপনি আসবেন।
অয়ন আমার কপাল থেকে রক্ত পড়তে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
— রিমিপরী তোমার কপাল থেকে তো রক্ত পড়ছে।
বেশি ব্যাথা করছে জান??
কতটা লাগছে??
এই দেখো আমি এসে গিয়েছি।
তোমাকে আর কস্ট সহ্য করতে হবেনা।
( রিমির গালে হাত রেখে)
আমি বলে উঠলাম–
আমি ঠিক আছি।
অয়ন খেয়াল করে দেখে রিমির পা থেকেও রক্ত গড়িয়ে পড়ছে
অয়নঃ একি?? রক্ত কোথা থেকে আসলো??
তোমার তো পায়ে কাঁচ ঢুকে গেছে রিমিপরী!!
(উত্তেজিত হয়ে)
অয়ন চারপাশে চোখবোলালো।
এক্টা ড্রায়ারে এক্টা মেডিসিনের বক্স ছিলো।
অয়ন দ্রুত গিয়ে সেই বক্স টা এনে রিমির কপালে ড্রেসিং করে দিলো মাথায় ব্যান্ডিজ করে দিলো।
(অয়নের চোখ জল রিমির পায়ে গড়িয়ে পড়লো)
(রিমির ব্যাথা তার সহ্য হয়না)
পায়ে খুব সযত্নে কাঁচ তুলে নিলো।
আমি আহ করে উঠলাম।
অয়নঃ রিমিপরী খুব ব্যাথা করছে তাইনা?
(ছলছলে চোখে)
আমি অবাক হয়ে যাই। উনার চোখে জল। এতো শক্ত মানুষের চোখেও জল?? মনে হচ্ছে ব্যাথা টা আমার না উনার লেগেছে
কতটা ভালোবাসলে মানুষ এইরকম করতে পারে।
জানি না আমি।
পরক্ষনেই অয়নের কপালের রগ ফুলে উঠে।
তার নাক রাগে একেবারে লাল হয়ে গেছে।
হাত দুটো মুষ্টিবদ্ব করে নেয় সে।
অয়নঃ অই ইশান তোমার এই অবস্হা করেছে তাই না রিমিপরী।
উনাকে দেখে আমার ভয় করছে। উনাকে ভিষন ভয়ংকর লাগছে।
অয়নঃ ইশান তোকে আমি জেন্ত মাটিতে পুতে মেরে ফেলবো
(চিৎকার করে)
অয়নের চিৎকারে পুরো বাড়ি কেঁপে উঠে।
অয়ন নিজের পিস্তল বের করে নেয়।
।
আমি বলে উঠলাম–
অয়ন আপনার হাতে??এইসব কি??
(ভয় পেয়ে)
অয়ন আমার কপালে হাত রেখে বলে উঠে–
তোমার প্রত্যেকটা রক্তের দাম দিতে হবে
ওদের রিমিপরী!!
সব শেষ করে দিবো আমি দিবো সব
ছাড়খাড় করে।
।।।।🌿🌿🍂🍂🍂🍂
মিসেস কলি ও রুশান গাড়িতে বসে আছে।
উদ্দেশ্য ডক্টরের কাছে যাওয়া।
মিসেস কলি খেয়াল করে
এইটা হসপিটালের রাস্তা নাহ।
কলিঃ রুশান এইটা তো হসপিটালের রাস্তা নাহ।
রুশান শয়তানি হাঁসি দিয়ে বলে উঠে–
ঠিক ধরেছো এইটা হসপিটালের রাস্তা নাহ
কলিঃ মানে কি এইসব এর???
গাড়িটা একটা ছোট্র বাড়ির কাছে থামে
রুশানঃ নামো??(গম্ভির কন্ঠে)
কলিঃ এইসব কি রুশান??
তুমি আমাকে এখানে এনেছো কেন??
রুশান হিরহির করে টানতে টানতে
কলিকে ঘরটায় নিয়ে যায়।
কলিঃ আমাকে এখানে কেন এনেছো??
(অবাক হয়ে)
রুশানঃ খুব সিম্পাল একটা কাজ।
এই নাও (একটা কাগল এগিয়ে)
এইখানে সাইন করে দাও
কলিঃ কিসের পেপার।
রুশানঃ সম্পত্তির। চৌধুরীদের সবকিছু এখন আমার নামে করে দিবে
কলিঃ কখনো নাহ। আমি কেন দিবো।
আমার স্বামীর সমপত্তি।
রুশানঃ হা হা হা কলি এতো তাড়াতাড়ি ৷ সব ভুলে গেলে।
তুমি আর রাফসান(অয়নের বাবা)
ঠিক কি কি করেছো।
কলিঃ আমি সাইন করবো নাহ।
মরে গেলোও নাহ
রুশান এইবার কলিকে ঠাসস করে চর বসিয়ে দেয়।
রুশানঃ কি বললে?করবিনা এই সম্পত্তির জন্য
আমি এতোবছর চৌধুরী বাড়িতে থেকেছে।
শুধুমাত্র তোমার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।
অয়নকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলাম। আর তুমি বলছো সাইন করবেনা???
কলিঃ ছিহ রুশান। এতোদিন আমার আশ্রয় থাকলে আর আমার থালাই ছিদ্র করছো??
তুমি আমার ছেলের মৃত্যুর পিছনে দায়ী।
(কাঁদতে কাঁদতে)
রুশানঃ আর তুমি কি করেছো??
তুমি আর রাফসান মিলে আমার বাবার সম্পত্তি নিজেদের নামে করেছিলে। আমার বোনের থেকে তার ভালোবাসা রাফসান কে কেড়ে নিয়েছিলে।
মনে আছে???? সেই অতীত।
কলিঃ তুমি সমুদ্র আংকেলের ছেলে???
(অবাক হয়ে)
রুশানঃ কেন আশা করোনি বুঝি???
অনেক কিছুর হিসাব বাকি আছে।
রাফসান আমি সেই কবেই মেরে দিয়েছি এইবার তোমার পালা তোমাকে মারবো।
এতে আমার বাবার আত্ত্বা শান্তি পাবে।
কলিঃ রাফসানকেও তুমি মেরেছো???
তার মানে রাফসান এক্সিডেন্ট করে মারা যায়নি
তুমি মেরেছো ওকে (স্তব্ধ হয়ে)
রুশানঃ এইবার তোমাকেও মারবো।
তার আগে তুমি ভালোমতো সাইন করে দাও।
সুমুর ইন্টারভিউ বেশ ভালোই হয়েছে। এইবার চাকরিটা মনে হয় পেয়েই যাবে।
তখনি তার গাড়ি থেমে যায়।
সুমুঃ কি হয়েছে কাকা?
—মনে হয় গাড়িটা নস্ট হয়ে গেছে একটু দেখতে হবে।
সুমুঃ এখুনি নস্ট হতে হলো??
আমার ছেলেটা মনে হয় কাঁদছে।
এই বলে সুমু গাড়ি থেকে নেমে যায়।
কাকা গাড়ি ঠিক করতে থাকে।
সুমু খেয়াল করে দূরে একটা বাড়ি থেকে কারো চিৎকার ভেসে আসছে।
এদিকে৷,,,,,
ফারহানঃ মাহ সুমু এখনো আসিনি??
শিলাঃ নাহ রে এখনো আসেনি
ফারহানঃ এতো দেরি তো হওয়ার কথা নাহ
দাঁড়াও আমি ফোন করে দেখি।
শিলাঃ কাব্যটাকে অনেক কস্টে ঘুম পাড়িয়েছি।
ফারহানঃ ফোনও তো ধরছেনা।
শিলাঃ ওমা কি হলো আবার।
রুশান ঃ তাড়াতাড়ি সাইন করে দাও
(কলির মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়ে)
কলিঃ কখনো নাহ
তখনি কিছু পড়ার শব্দ পায়
রুশান।
তাঁকিয়ে দেখে সুমাইয়া (সুমু)।
রুশানঃ তুমি???(অবাক হয়ে)
সুৃমুঃ রুশান আংকেল এইসব এর পিছনে আছে।
আমাকে সবাইকে জানাতেই হবে।
সুমু আর কিছু না ভেবে দৌড়ানো শুরু করে দেয়।
রুশান তার লোকদের বলে –তাড়াতাড়ি ধর ওকে।
নাহলে সব প্লেন শেষ হয়ে যাবে।
রুশানের কথামতো তার লোকেরা সুমাইয়ার পিছনে যায়
কলিঃ আল্লাহ মেয়েটাকে বাঁচাও(মনে মনে)
সুমু দৌড়াচ্ছে তার পিছনে রুশান ও তার লোকেরা।
সুমু ঃ আমাকে আগে ফারহান কে জানাতে হবে
এই বলে সুমু দৌড়াতে দৌড়াতে ফারহান কে কল দেয়।
ফারহানঃ সুমু কোথায় তুমি??
সুমু ঃ ফারহান জানো এইসব এর পিছনে
তখনি গুলির শব্দ আসে।
রুশান গুলি চালিয়েছে।
সারা রাস্তায় তাজা রক্ত ছড়িয়ে পড়লো।
রাস্তায় যেনো রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
ফারহানঃ সুমু( চিৎকার করে)
ঘুমের মধ্যে কাব্য জোড়ে শব্দ করে কেঁদে দেয়।
।
।#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি??