#সুখ_পাখি
#Ayrah_Rahman
#part:– 35[last part]
সেই দিনের পর থেকে পার হয়ে গেছে বেশ কয়েক মাস। সবকিছু ই স্বাভাবিক হয়ে গেছে,,ওইদিন ই অনিল হায়দার কে পুলিশের হাতে সমস্ত প্রমান সহ ধরিয়ে দেয়া হয়েছিলো। অভ্র ও নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে,, তরুর সাথে সম্পর্ক টা এতদিনে আরো ভালো হয়ে উঠেছে। শুভ্র নিজের নিজের পড়াশোনা আর তাদের ব্যবসা সবকিছু একা হাতেই সামাল দিচ্ছে,, আরুও নিজের পড়াশোনা ই ব্যস্ত সময় পার করছে।
তেমনি এক বিকেলে আরু নিজের রুমে বসে বসে রবিঠাকুরের গল্পগুচ্ছ বইটা পড়ছিলো,,
বর্তমানে বই পড়তে তার একটুও ইচ্ছে করছে না,,তাই বই রেখে মোবাইল টা হাতে নিয়ে নেট অন করার সাথে সাথে ই কতগুলো নোটিফিকেশন এসে জমা হলো,,
ভ্রু কুচকে নোটিফিকেশন গুলো ওপেন করতে ই আরু বিরক্তি তে চচ উচ্চারণ করলো কারণ নোটিফিকেশন গুলো একটাও কাজের না,,বিভিন্ন পেজ থেকে টপ ফেন বেজ পাঠাইছে,,অথচ পেজের নাম দেখে মনে হচ্ছে না কোন সময় এই পেজের নাম টাও দেখছে বলে। মানুষের আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই তো তাই আজাইরা কাজ করে,,বলেই নোটিফিকেশন চেক করতে করতেই হেঁটে হেটে ড্রয়িং রুমে যায়,,ড্রয়িং রুমের সোফা গুলো আরুর রুমের দিকের উল্টো,, তাই সোফায় কে বসে আছে বোঝা যাচ্ছে না,আরু ভাবলো এই সময়ে তো তরুই বাসায় থাকে আর সোফায় বসে মোবাইল ঘাটে,তাই আরুফোন টিপতে টিপতে সোফায় উপরে দু পা তুলে বসে,,বলতে লাগলো,,
–ওই শাঁকচুন্নি,, কাজের বেটি সখিনা যা তো আমার জন্য এক কাপ কফি করে আন,,আর মাথা টা ধরছে একটু টিপে দে তো,,,
বলেই আবার ফোন টিপতে লাগলো,,,
বেশ খানিক্ষন কারো কোন নরচর না দেখে আরু বিরক্ত হয়ে আবার বলল,,
— কি হলো,,যাচ্ছিস না কেন,,যা না বাবা,,
এরপর ও কোন নরচর না দেখে আরু মুখ তুলে সামনে তাকিয়ে ই ঠাস করে বসা থেকে উঠে গেলো,,
হাত দিয়ে দুটো চোখ ডলে আবার ভালো করে তাকিয়ে দেখলো,,না হ চোখ তো ঠিক ই আছে তাহলে এই দিনে দুপুরে এসব স্বপ্ন দেখছে কেন,,,
— নাহ্ আমার চোখ তো ঠিক ই আছে তাহলে আমি কি স্বপ্ন দেখছি!এই উগাণ্ডার প্রজা এখানে কেন,,
আরু আশেপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই ওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,
হঠাৎ করে সবাই ঘর কাঁপিয়ে হাসতে শুরু করলো,,
আরু তাকিয়ে দেখে সেখানে মিস্টার আর মিসেস খান অর্থাৎ শুভ্র র বাবা মা বোন সবাই আছে,,তার মা বাবা আর তরুও দাড়িয়ে,, আরু বেশ খানিকটা লজ্জা পেলো,,সে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে তার পড়ানো শুধু টিশার্ট আর প্লাজু,,গলাই ওরনা ঝুলানো,,ভাগ্যিস আজ ওরনা ছিলো,,কোনওসময় তো এটাও থাকে না,,
আরু সবার দিকে তাকিয়ে জোর পূর্বক একটা হাসি দিয়ে নিজের ঘরে চলে আসে,,দরজাটা চাপিয়ে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে।
আরু চোখ বন্ধ করে একটু আগে ঘটনা র কথা মনে করতেই,,পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে আরু তার পাশে তাকালো,,
দেখে শুভ্র তার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে,,
আরুও খানিক টা লজ্জা পেলো।
— আপনি,, আপনি এখানে কেন? আর আপনার মা বাবা?
— এমনি এসেছে,, তাদের বৌ মা দের দেখতে,,
— মানে?
আরুর কথা শুনে শুভ্র খানিকটা হাসলো,, এক হাতে আরু কোমর জরিয়ে ধরে তার কাছে নিয়ে আসলো,,কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলল,,
— তাদের তো বয়স কম হয়নি আরু পাখি,,তাই তাদের নাতি নাতনির মায়েদের দেখতে এসেছে,,
শুভ্রের কথা শুনে আরু বরফের মতো শক্ত হয়ে বসে আছে,,শুভ্রের এহেন কথার মানে বুঝতে আরুর বেশি বেগ পেতে হয় নি। আরুর মনে র গহীনে কোথাও অতল সাগরে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে শুভ্রের এহেন কথায়,, সেটা কি শুভ্র টের পাচ্ছে,,
শুভ্রর দিকে তাকিয়ে আরু কথা গুলো ভাবতেই শুভ্র আরুর মুখে ফু দেই,,
হঠাৎ ফু দেওয়ায় আরু ঘোর থেকে বের হয়।
শুভ্র আরুর আলমারি র সামনে গিয়ে আলমারি থেকে একটা সাদা হলুদ সংমিশ্রণের একটা শাড়ি বের করে এনে আরুর হাতে দেই,,
আরু প্রশ্ন বিদ্ধ দৃষ্টিতে তাকাতেই শুভ্র হাসে–
— এই শাড়ি টা পরে বাইরে আসো,,আমি অপেক্ষা করছি আমার বাবা মা ও তার ভাবি পুত্র বধুকে দেখে যাক,,তাড়াতাড়ি আসো,,,
— আমি শাড়ি পড়তে পারি না,,আমি পড়ব না,,
— আবাদত তরুকে পাঠাচ্ছি,,
শুভ্র তরুর কানের কাছে এসে বলল,,
— বিয়ের পর তুমি শাড়ি পড়বে আর আমি তোমাকে পড়িয়ে দেবো,, ডোন্ট ওয়য়ারি বেবস,,বলেই আরুর দিকে তাকিয়ে এক চোখ মেরে মুচকি হেসে চলে যায়,,
আরু শুভ্রের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলতে লাগলো,,
— অসভ্য ছেলে,,লুই’চ্চা বেডা,,খাটাশ কোথাকার,,
________________
বাহ্ আমার মা টা কে তো বেশ লাগছে,,
প্রায় মিনিট পাচেক আগে তরু আরুকে শাড়ি পড়িয়ে ড্রয়িং রুমে নিয়ে আসে। তরু নিজেও শাড়ি পরেছে।
শুভ্রের বাবার কথা শুনে আরু মুচকি হাসলো,
— তা বেয়াই সাহেব দিন কাল কখন ঠিক করবেন?
— আপনারাই ঠিক করেন,,
সবার কথা শেষে ঠিক হলো,,
মাসের শেষ শুক্রবার বিয়ে আর বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ হবে,,আর মাত্র ৭ দিন বাকি,
_________
গায়ে হলুদের দিন…..
এই সাতদিনে তরু,আরু, অভ্র,শুভ্র চারজনে বিয়ের বাজার সহ যাবতীয় কাজ শেষ করে,,
আরুর বিয়ের শাড়ি,, হলুদের শাড়ি সবকিছু ই শুভ্র সিলেক্ট করে দিয়েছে,, আর তরু সিলেক্ট করেছে ওদের বিয়ের জিনিস, কারণ তরু জানে অভ্রের পছন্দ জঘন্য,,
তরু হলুদ সাজে বসে আছে রুমে,গায়ে গাঢ় হলুদ আর সবুজের কম্বিনেশনের পুঁথি বসানো লেহেঙ্গা,, মুখে ভারি মেক আপ।চুল গুলো কার্ল করে পিঠে ছড়ানো,,এক কথায় কোন রুপকথার রাজকন্যা র মতো লাগছে।
হঠাৎ ওয়াসরুমের দরজা খুলার শব্দে তরু পিছনে তাকিয়ে দেখে আরু বের হচ্ছে। পড়ানো রেড টিশার্ট আর প্লাজু,,
আরুকে দেখে তরু বিরক্ত ই হলো,,
বাড়ে সব মেহমান রেডি হয়ে গেছে অথচ যার বিয়ে তার খবর নাই,,
তরুর দিকে তাকিয়ে আরু কেবলা কান্তের মতোন দাঁত কেলিয়ে নিজের ব্লাউজ আর পেটিকোট নিয়ে ওয়াসরুমে দৌড় দেই। গত ২ ঘন্টা যাবত আরুকে তাড়া দিচ্ছে তরু কিন্তু কে শুনে কার কথা,, পার্লারের মেয়েরা সেই কখন থেকে বসে আছে,,,
আরু ওয়াসরুমে থেকে বের হয়ে সাড়ি নিয়ে পার্লারের মেয়েদের কাছে যায়,,,
ওরা আরুকে শাড়ি পড়িয়ে সাজিয়ে দেই,, শুভ্র বারবার মানা করেছে যাতে ভারি মেক আপ না দেই তাই আরু ভারী মেক আপ করেনি,,,
কাঁচা হলুদ আর সবুজের কম্বিনেশন শাড়ি,,কাঁচা ফুলের গহনা আর হালকা মেক আপ,,তাতেই যেন মনে হচ্ছে কোন পুতুল কে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে,, যদিও আরুর কাছে নিজেকে পুতুল বইকি কিছু ই মনে হচ্ছে না।
আরু খাটের এক কোনায় বসে আছে,,তরু বাইরে গেছে ফোনে কথা বলতে,,,,
হঠাৎ দরজা লাগানো র শব্দে আরু সামনে তাকালো,,
— আপনি?
— হুম আমি,,আমার বিয়ে আমার বউ আর আমি আসবো না!তা কি করে হয়,,
— আপনি এখানে আসলেন কিভাবে কেউ দেখে নি?
আরুর কথার মাঝখানে ই কমড়ে ঠান্ডা কিছু র স্পর্শ পেতেই আরু কেঁপে উঠে,, আরুর দিকে তাকিয়ে শুভ্র ঠোঁট কামড়ে হাসে,,
কানের কাছে এসে লো ভয়েসে বলে…
— এখনই এতো কাঁপা-কাঁপি শুরু হলে কাল কি করবে সুন্দরী,, বি রেডি ফোর ডেস ডেস ডেস……
বলেই শুভ্র চলে যেতে নিলে আরু ঠাস করে শুভ্রের হাত আটকে দেই,,
শুভ্র পিছনে প্রশ্ন বিদ্ধ দৃষ্টিতে তাকাতেই আরু হাসি দিয়ে শুভ্রের কাছাকাছি এসে,, এক হাত নিজের কমড়ে ছুঁইয়ে কিছুটা হলুদ এনে নিজের পা দুটো শুভ্রের পায়ের উপর রেখে উঁচু হয়ে শুভ্রে গালে আর কপালে হলুদের হাত ছুইয়ে,,কানে কানে বলতে লাগলো,,
— মিস্টার অভদ্র,, আপনি আরু কে যতটা ভীতু ভেবেছেন আরু কিন্তু এতোটাও ভীতু নই,,আর যার কাছে এই আমি এতটা নিরাপদ তাকে ভয় পাবার কোন প্রশ্নই আসে না,,সো এক্সট্রা চিন্তা অফ করেন,,আর কালকের টা না হয় কালকেই দেখতে পারবেন,,আমি কিন্তু যতটা ভালো তত টাই ডেস ডেস ডেস,,বলেই আরু ডেভিল মার্কা হাসি দিলো,,
আরু সরে আসতেই শুভ্র আরুকে আটকে দিয়ে বলল,,
— পৃথিবীতে সব মেয়েরাই আমার কাছে ১০০% নিরাপদ থাকলেও তুমি কিন্তু আমার কাছে ১০০% নিরাপদ নও,,মিসেস শুভ্র খান,,
— সেটাতো দেখাই যাবে,,,
বলেই আরু শুভ্র র থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেই,, শুভ্র ও আর দেরি না করে আরুর কপালে একটা চুমু দিয়ে বেরিয়ে যায়,,
কিছুক্ষন পর আরু আর তরুকে স্টেজে নিয়ে যাওয়া হয়,,
বিভিন্ন নাচ গান আনন্দ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে গায়ে হলুদ শেষ হয়।
পরদিন,,
— ওই আরুর বাচ্চা আরু ঘুম থেকে উঠ,,কাল রাতে এতো তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েও মহারানী এখনো উঠার খবর নাই,,
দিশার এমন চিল্লানিতে আরু বিরক্তি তে কপাল কুঁচকে যায়,,
— ওই কুত্তি যা তুই আমি ঘুমাবো
— তো আজনা আপনার বিয়ে,, আপনার বিয়ে কে করবে শুনি,,
— আবাদত তুই কর,, ঘুম থেকে উঠে আমি নিয়ে নেবো নে,,
আরুর এমন গাঁজাখুরি কথায় দিশা বিরক্ত হয়ে গেছে,,
দিশা জানে আরু ঘুমালে কি বলে না বলে কিছু মনে থাকো না তাই সে আর উপায় না পেয়ে এক মগ পানি এনে আরুর মাথায় ঢেলে দেই,,আরু লাফ দিয়ে উঠে দেখে দিশা মুখে হাত দিয়ে হাসছে,,,
আরু রেগে দিশার দিকে বালিশ ছুড়ে মেরে ফোস ফোস করতে করতে ফ্রেস হতে যায়,,
_______________
আরু আর তরুকে সাজানো হয়েছে,,
বাইরে সাজ সাজ কলরব,,
হঠাৎ বর এসেছে এসেছে কলরবে চারদিকে মুখরিত হলো,,
আরুর বুক দুরুদুরু করছে,,বুকে চিনচিন ব্যথা করছে আবার কোথাও আবার এক উচ্ছ্বাস আনন্দ ও হচ্ছে,,
কিছুক্ষণ পর এসে দু’জন কে স্টেজে নিয়ে যাওয়া হলো,,
কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করেছে,,
প্রথমে অভ্র আর তরুর বিয়ে সম্পন্ন হলো,,কাজি অভ্র কে কবুল বলতে বলল,,অভ্রও কবুল বলে দিলো,,তরু যদিও কিছু টা সময় নিয়ে বলল,,
এবার বিয়ে শুরু হলো শুভ্র আর আরুর,,
শুভ্র কে কাজি কবুল বলতে বলার আগেই শুভ্র কবুল বলে দিলো,, আরুকে বলতে বললে,আরু ও বেশ খানিক ক্ষন পর বলল এভাবে তাদের বিবাহের পর্ব শেষ হলো,,
যাবার সময় তরু তার মা বাবা কে ধরে অনেক ক্ষন কান্না করার পর গাড়িতে উঠিয়ে দেই,,কিন্তু আরু একটুও কান্না করেনি,,আরুর বাবা মা ভিষণ কান্না করে,, আরুর বাবা শুভ্রের হাত ধরে বলে,,
— বাবা আমার মেয়ে টাকে দেখে রেখো,,,ও একটু বাচ্চা তবে মন টা খুব ভালো,,,
— চিন্তা করবেন না বাবা,, আপনার মেয়ে আমার কাছে রানি হয়ে থাকবে,,আজ আসি,,
বলেই শুভ্র গাড়ি তে উঠে পরে,,তরুদের গাড়ি আগেই ছেড়ে দিসে,,
শুভ্র গাড়ি তে উঠে আরুর দিকে তাকালো,,
আরু মোবাইল দেখছে,,,
— আমি তো ভিষণ অবাক আরু জানো গো,
— কেন?
— তুমি কাঁদলে না কেন? আমি কোথায় আরু ভাবলাম তুমি কাদবে আর আমি তোমাকে বুকে জরিয়ে ধরব,,তা তো হলোই না
— ওমা গো এতো টাকা দিয়ে সাজছি কি কান্না করে পেতনি হবার জন্য? ভালো করে ছনি তুলে নেই,,তারপর ফ্রেস হয়ে স্বস্থিরে কাঁদব,,
–আল্লাহ এ তুমি আমার কপালে কি চিজ রাখছ বলেই শুভ্র কপালে হাত দিলো,,,
আরু মুচকি মুচকি হাসছে,,
______________
প্রায় বেশ খানিকক্ষণ সময় ধরে তরু অভ্রর খাটে বসে আছে কিন্তু অভ্রের কোন নাম নাই,,,
তার উপর ঘুমও পাইছে,,তাই তরু আর কিছু না ভেবে খাটে ঠেস দিয়ে ঘুমিয়ে পরে,,অভ্র ঘরে এসে দেখে তরু ঘুমিয়ে আছে সারা মুখে ক্লান্তি র ছাপ স্পষ্ট,,
অভ্র মুচকি হেসে তরুর গা থেকে ভারী গহনা খুলে, আস্তে আস্তে পিন খুলে সুন্দর করে সুইয়ে দেই,,নিজেও তরুর পাশে ওকে জরিয়ে ধরে শান্তির ঘুম দেই,,
অপরদিকে,,আরুর চোখে মুখে ঘুমের ছিটে ফোটাও নাই,,
শুভ্র এসেছে প্রায় অনেক ক্ষন,, এই যে ওয়াসরুমে গোছে আর বের হয় না,,আরু আস্তে আস্তে গহনা,, শাড়ির পিন খুলে,, লাগেজ থেকে একটা সুতি শাড়ি নিয়ে সারা ঘরে পাইচারি করতে থাকে,,
অবশেষে শুভ্র ওয়াসরুম থেকে বের হয়,,
আরু আর কিছু না বলে ওয়াসরুমে ঢুকে পরপ,,ফ্রেস হয়ে কাপড় চেঞ্জ করে বের হয়,,
আরু সারা ঘরে শুভ্র কে দেখতে না পোয়ে বেলকনিতে যায়,দেখে শুভ্র দোলনায় বসে আছে,,
আরুও শুভ্র র পাশে গিয়ে বসে,,
— আপনার কি মন খারাপ?
— জানো আরু পাখি আমার না এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না তুমি এখন পুরোপুরি আমার আর কারো না,,তুমি আমার অর্ধাঙ্গিনী,,
বলেই শুভ্র আরুর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পরে,,
আরু ও মুচকি হেসে শুভ্রের মাথায় হাত বুলিয়ে দেই,,
— আপনি না খুব ভালো গান করেন,,আমাকে এখন একটা শুনাবেন প্লিজ,,
— আমার আরু পাখি আমাকে কিছু বললে আমি কি না করতে পারি বলো,,
অবাক চাঁদের আলোয় দেখো.
ভেসে যায় আমাদের পৃথিবী
আড়াল হতে দেখেছি তোমার নিষ্পাপ মুখখানি…
ডুবেছি আমি তোমার চোখের অনন্ত মায়ায়
বুঝিনি কভু সেই মায়া তো আমার তরে নয়
ডুবেছি আমি তোমার চোখের অনন্ত মায়ায়
বুঝিনি কভু সেই মায়া তো আমার তরে নয়
ভুল গুলো জমিয়ে রেখে মণিকোঠায়
মনের আড়াল থেকে ভালোবাসবো তোমায়
হা..আ…ভালোবাসবো তোমায়
হা……আ…..
তোমার চির চেনা পথের ঐ সিমানা ছাড়িয়ে
এই প্রেম বুকে ধরে হয়তো আমি যাবো হারিয়ে
চোখের গভিরে যতো মিছে ইচ্ছে জমিয়ে
একবার শুধু একটি বার হাতটা দাও বাড়িয়ে
ডাকবেনা তুমি আমায় জানি কোন দিন
তবু প্রাথনা তোমার জন্য হবেনা মলিন
ইন..হবেনা মলিন….
ইন….
ডুবেছি আমি তোমার চোখের অনন্ত মায়ায়
বুঝিনি কভু সেই মায়া তো আমার তরে নয়
ডুবেছি আমি তোমার চোখের অনন্ত মায়ায়
বুঝিনি কভু সেই মায়া তো আমার তরে নয়
ভুল গুলো জমিয়ে রেখে মণিকোঠায়
মনের আড়াল থেকে ভালোবাসবো তোমায়
হা..আ…ভালোবাসবো তোমায়
হা……আ…..
হাজার বছর এমনি করে আকাশের চাদ আলো দেবে
আমার পাশে ক্লান্ত ছায়ায়
আজীবন রয়ে যাবে…
ডুবেছি আমি তোমার চোখের অনন্ত মায়ায়
বুঝিনি কভু সেই মায়া তো আমার তরে নয়
ডুবেছি আমি তোমার চোখের অনন্ত মায়ায়
বুঝিনি কভু সেই মায়া তো আমার তরে নয়
ভুল গুলো জমিয়ে রেখে মণিকোঠায়
মনের আড়াল থেকে ভালোবাসবো তোমায়
হা..আ…ভালোবাসবো তোমায়
আরু মুগ্ধ হয়ে গান টা শুনলো,,
– আপনি খুব ভালো গান করেন,,
— তাই?
— হুুম তো,,
— মিস্টার ঝগড়ুটে…
— হুম?
— ভালোবাসি,,,
–ভালোবাসি আমিও,,
আজ দু’জনের নেই কোন কষ্ট আর না কোন অভিযোগ,, না অভিমান,,সব কিছু শেষে আজ দুজন দুজনার,,সুখি হোক তাদের আগামী পথ চলা।।।
“”সমাপ্ত “”
,,