প্রেমময়নেশা The story of a psycho lover) #Jannatul_ferdosi_rimi #পর্ব 57 last part

0
772

#প্রেমময়নেশা The story of a psycho lover)
#Jannatul_ferdosi_rimi
#পর্ব 57 last part

আরে কি করছেন,,,,,

অয়ন বলে উঠে–
আজকের এই দিনে আমার রিমিপরীকে আমি নিজের মতো করে নিজের হাতে সাঁজাবো।
যেখানে থাকবে না কোনো ম্যাকাপের প্রলেপ।

অয়ন আমাকে একটি আয়নার সামনে বসিয়ে দেয়।

পাশেই রয়েছে সাদা কাঠগোলাপের সব সুন্দর সুন্দর গহনা।

উনি আমাকে নিজের হাতে সব পড়িয়ে দিচ্ছেন।

উনার প্রতিটায় স্পর্শে বার বার কেঁপে উঠছে।

সাঁজানো শেষ হলে উনি আমার গাড়ে নিজের থুতনি রেখে বলে উঠে–

দেখো তো আমার রিমিপরী মায়াবতী লাগছে নাকি?
কত সুন্দর নাহ আমার মায়াবতী?

আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলি।

উনি আমাকে দিকে তাঁকিয়ে গেঁয়ে উঠেন–

💙তুই হাঁসলি যখন
তোর ই হলো এ মন 💙

আমিও গেঁয়ে উঠলাম—

💙তুই ছুলি যখন
তোরই হলো এই মন 💙

উনি আমাকে আবারও কোলে তুলে নেয়।

আমি কিছু বলবো তার আগেই উনি বলে উঠেন–
হুসসস রিমিপরী!!

উনি আমাকে বারান্দায় নিয়ে যায়।
আমি তো পুরোই অবাক!

বারান্দায় চারিদিকে জোনাকি পোকা উড়ে বেড়াচ্ছে তাদের আলোয় চারদিকে আলোকিত হয়ে আছে চারদিকে অন্ধকার। শুধুই জোনাকি পোকার আলো।

বারান্দা টা বেশ বড়। বারান্দার এক পাশে ছোট্ট একটি ফুলের বেড।

চারদিকে মৃুদ্যু বাতাশ বইছে। অনেক সুন্দর।

অয়ন বলে উঠে–
রিমিপরী তোমার পছন্দ হয়েছে??

আমি বলে উঠলাম–
অনেক ইনেক পছন্দ হয়েছে খুশিতে আত্বহারা হয়ে।

অয়নঃ আজকের দিন টা শুধু তোমার আর আমার।এই দুই বছর অনেক কস্ট সহ্য করে আমরা এক হয়েছি। আজকে থেকে শুরু হবে আমাদের এক নতুন অধ্যায়। আল্লাহ ছাড়া এই পৃথিবীতে আমাদের আর কেউ আলাদা করতে পারবেনা।

আমি বলে উঠলাম– হ্যা আমাদের ছোট্ট একটি সংসার!

অয়ন এইবার নেশাক্ত দৃস্টিতে আমার দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠে–

রিমিপরী!

আমি বলে উঠলাম– হুম

অয়নঃ আজকে কি তোমাকে আপন করে নিতে পারি?
তোমার #প্রেমময়নেশায় ডুব দিতে পারি??

আমি উনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি।

অয়ন তার উত্তর পেয়ে
যায়। সে রিমির কপালে ভালোবাসার পরশ একেঁ দেয়।

অয়নঃ ভালোবাসি!

রিমি ঃ আমি ভালোবাসি। নিজের থেকেও বেশি।

উনি আমাকে কোলে করে বিছানায় শুয়িয়ে দিলেন।

কিছুক্ষন আমার দিকে নেশাক্ত দৃস্টিতে তাঁকিয়ে গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলেন।

আমায় আমি লজ্জায় অন্যদিকে ঘুড়ে যাই।

অয়ন আমার দিকে তাঁকিয়ে মুচকি হেঁসে

আমার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠে–

মিসেস এখন তো আমার #প্রেমময়নেশার সমুদ্রে কেবল পা রেখেছো এখনো তো সাঁতার কাটা বাকি।

হোক নাহ আজ রাত টা নেশাময় দোষ কি তাতে।

🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿
এদিকে আমান ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে আজ সে আমেরিকা চলে যাবে।
অয়ন বা রিমি জানেনা। আজ রাতে তার ফ্লাইট

ছোয়াঃ ভাইয়া তুই পালিয়ে যাচ্ছিস?

আমানঃ নাহ রে পাগলি আসলে
আমারও কিছু সময় প্রয়োজন। এইখানে থাকলে শুধু কস্টই বাড়বে।

রিমিপাখি আর অয়ন সুখে থাকুক। আমি নিজেকে ঠিক করে আবারও দেশে ফিরবো দেখিস।

ছোয়ার বড্ড অভিমান হচ্ছে।

আমান মুচকি হাঁসে।

তখুনি টকোপি দৌড়ে চলে আসে।

আমানঃ টকোপি এখানে?।

ছোয়াঃ৷ তুই চলে যাচ্ছিস।
তাই আমিই নিয়ে এসেছি ওকে এখানে নিয়ে এসেছি।
শেষবারের মতো ওর সাথে একটু দেখা করে যাহ।

আমান টকোপিকে কোলে নিয়ে বলে উঠে–

এইযে আমার টকোপি রিমিপাখির খেয়াল রাখবি।

তুইও নিজের খেয়াল রাখবি।

টকোপি কি বুঝলো কে জানে সে মাথা নাড়ালো।

ছোয়া কেঁদে দেয়।

🌿🌿🌿🌿
আমান প্লেনের সিটে বসে
রিমির সাথে কাটানো মুহুর্ত মনে করছে সত্যি
এই মুহুর্ত সে কোনোদিন ভুলবেনা।

তখুনি একটা মেয়েলি কন্ঠ বলে উঠে–
হেই মিঃ!

আমান তাঁকিয়ে দেখে

একটা মেয়ে।

মেয়েটা বেশ হাঁসিখুশি।

আমানঃ জ্বী বলুন!

মেয়েটি ঃ আপনার পাশের সিটটি আমার।
সো

আমান সাইড দেয় মেয়েটি বসে পড়ে।

মেয়েটি বলে উঠলো-হ্যালো আমি মেঘলা রাহমান।
আপনজনেরা মেঘ বলেই ডাকে।

আমানঃ আমি ডক্টর আমান শিকদার!

মেঘঃ ওহ আমান!

আমানঃ সরি?

মেঘঃ নাহ মানে আপনি অনেক হ্যান্ডসাম আই লাইক ইট।

আমান বিষম খেলো মেয়েটা দেখি গাঁয়ে পড়া।

মেঘঃ জানেন আমার বাপির ডক্টর ছেলে বেশ পছন্দ।
আপনি চাইলে আমার হাজবেন্ড হতে পারেন।

আমানঃ ওয়াট???(চিল্লিয়ে)

মেঘঃ দেখুন আমি সোজা কথা সোজা বলতেই পছন্দ করি।
প্রথম দেখাতেই
আপ্নাকে আমার পছন্দ হয়েছে
আরে বাবা আমেরিকায় আমার বাবার বিরাট ব্যবসা আছে।

আমানঃ আপনার মাথায় প্রব্লেম আছে।

(রেগে)

মেঘঃ আরে দেখুন না আমি কত্ত কিউট হি হি হি।

আমান মেঘ এর হাঁসি দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়।
মেয়েটার হাঁসি
একেবারে রিমির মতো।
মেয়েটার চোখ ও একেবারে রিমির মতো মায়াবী।

এইটা কী করে সম্ভব?

মেঘঃ কি মিস্টার আমি সুন্দর নাহ?

আমান মুচকি হেঁসে অন্য দিকে ঘুড়ে যায় মেয়েটার মাথায় সত্যি প্রব্লেম আছে।

কিন্তু মেয়েটার হাঁসি ও চোখ একেবারে রিমির কপি।

মেঘঃ এই মেঘ এর যখন এই ছেলেকে পছন্দ হয়েছে একেই বিয়ে করবে হি হি হি( মনে মনে)

।।।।।।🌿🌿🌿🌿
কিছুদিন পরে,,,,

আমি টকোপিকে কোলে নিয়ে মুখ ঘুমড়া করে বসে আছি।

অয়ন আমাকে এইভাবে দেখে বলে উঠে–

আমার রিমিপরীর আজ হঠাৎ মন খারাপ?
(ভ্রু কুচকে)

রিমিঃ কিছুনা
শুনলাম আমান স্যার নাকি
আমেরিকায় চলে গেছে।

অয়নঃ হ্যা অইখানে গিয়ে ও আরো কিছু শিখতে পারবে তাই।

রিমিঃ যাই বলুন আমান স্যার আমাকে যেভাবে সবকাজে সাপোর্ট করেছে আমি উনাকে কখনো ভুলবো নাহ।

অয়নঃ আমানের প্রতি আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। আমার উপস্হিতিতে ও তোমাকে যেভাবে খেয়াল রেখেছে! সত্যি আমি অনেক গ্রেটফুল।

আমি ছোট্ট করে হুম বললাম।

অয়নঃ আচ্ছা রিমিপরী তোমার কি হয়েছে বলোতো?

অয়ন আমার থেকে টকোপিকে কোলে নিয়ে আদর করতে থাকে।

আমি বলে উঠলাম–
লন্ডন থেকে পায়েল আপু ফোন করেছিলো।
আপু প্রেগনেন্ট!

অয়ন খুশি হয়ে বলে উঠে–
এতো অনেক খুশির খবর তাহলে মন খারাপ কেন??

রিমিঃ আচ্ছা আমরাও তো বেবি নিতে পারিনা?
ভালো মা কত্ত খুশি হবে তাইনা।

অয়ন মুচকি হেঁসে বলে উঠলো–
হুম কিন্তু এখন নাহ

রিমিঃ কেন? (মন খারাপ করে)

অয়ন ঃ তুমি এখন ছোট রিমিপরী!

রিমিঃ ইসস আমার ২১ বছর তাও ছোট?

উনি আমাকে আয়নার সামনে দাড় করিয়ে
ডক্টর এর এপ্রোন টা আমার গাঁয়ে জড়িয়ে বলে উঠে–

আমি চাই আমার রিমিপরী একদিন আমার থেকেও
একজন বড় ডক্টর হোক! তাই এখন তোমাকে বেশি বেশি পড়তে হবে এইসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো। সামনে পরীক্ষা!

আমি বলে উঠলাম–
আমি তো পড়বো আর একজন বড় ডক্টর ও হবো আপনার মতো কিন্তু কাব্যের জন্য তো একটা খেলার সাথি দরকার তাইনা??

অয়ন বলে উঠে–
কাব্যের জন্য তোমাকে চিন্তা করতে হবে ঠিকসময় আমাদের ঘরে ঠিকই একটা প্রিন্স বা প্রিন্সেস চলে আসবে আল্লাহ চাইলে।

আমি মুখ ঘুমড়া করে ফেললাম।

রিমিঃ কথা বলবো নাহ যান।

অয়নঃ ঠিক আছে নাহয় সুন্দরী ডক্টরদের সাথে কথা বলবো

রিমিঃ কিহ

অয়নঃ কিহ নয় জ্বী!

রিমিঃ দুর

উনি হেঁসে আমাকে নিজের কোলের মধ্যে নিয়ে বলে উঠে–

আমার সাথে চালাকি করে লাভ নেই৷ রিমিপরী তোমারই লস।
ভুলে যেওনা তুমি যে মেডিকালের স্টুডেন্ট আমি সেই মেডিকালের প্রফেসর।

রিমিঃ হুম আমার সাইকো প্রফেসর।

টকোপি ও আমাদের সাথে মাথা নাড়ালো ।

আমরা দুজনেই হেঁসে দিলাম।

এইভাবেই ভালো থাকুক সাইকো আর তার রিমিপরীর ভালোবাসা। সুখে শান্তিতে কাটুক তাদের ছোট্ট সংসার।





।।।।।।। সমাপ্ত।।।।।। 💙

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here