#প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover)
#পর্ব 1
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
আমাকে ভার্সিটি থেকে টানতে টানতে একটি রুমে ধাক্কা দিয়ে ফেলো দিলো অয়ন ভয়ে আমার কলিজায় পানি চলে আসছে কেননা একটু পর কতটা নির্মম অত্যাচার আমার উপর করবে তা আমি খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারছি দরজা খুলার আওয়াজে আমার ধ্যান ফিরে। অয়ন রুমে প্রবেশ করে হাতে তার লোহার গরম শিক মুখে তার বাঁকা হাঁসি সে আমার বিছানার চারপাশে লোহার শিক টা নিয়ে ঘুরছে এবং বলছে
রিমিপরী আমার রিমিপরী এতো ভয় পাচ্ছো কেন জান? আমি কি বাঘ না ভাল্লুক
সে আমার কাছে এসে আমার কপালে স্লাইড করতে করতে বলল–
ইসসস কি অবস্হা করেছো নিজের এতো ভয় কেউ পায়?ভয়ে তোমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝড়ছে তোমাকে যা লাগছে না নিজেকে কন্ট্রোল করা বড় দায় হয়ে পড়েছে জান!!
লোকটার কথায় এইবার আরো ভয় লাগা শুরু করছে আমার!!
সে এবার চোখমুখ শক্ত করে আমার গাল চেপে ধরে বলে উঠে–
এতো ভয় পাও আমাকে তাই না? তাহলে যখন ভার্সিটির অনুসঠানে নিজের ফর্সা পায়ের নুপুর দেখিয়ে বেড়াচ্ছিলে সেইটা যখন অন্য ছেলেরা বলছিলো তোমার পায়ে নুপুর খুব মানায় তখন আমার কেমন লাগছিলো বলতে পারো?তখন ভয় লাগেনি একটুও লাগেনি তাইনা এর পরিমান কতটা ভয়াবহ হতে পারে!!
উনি এতো শক্ত করে আমার গাল চেপে ধরেছে ব্যাথায় আমার চোখ থেকে পানি ঝড়ছে তাও যেন তার দয়া হচ্ছেনা
—কি হলো উত্তর দিচ্ছো না কেন
আমি কোনোরকম কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলে উঠলাম–
বিশ্বাস করুন অয়ন আমি জাস্ট একটু শখের বসেই পড়েছিলাম অন্য ছেলেদের দেখানোর কোনো ইন্টেনশন আমার ছিলোনা
অয়ন চোখ লাল করে বলে উঠে–
যতবারই অন্য ছেলেদের চোখ তোমার অই পায়ে গিয়েছে ততবারই আমার মনে হয়েছে কেউ আমার অধিকার এ হস্তক্ষেপ করেছে আর এই অয়ন চৌধুরী নিজের অধিকার একটুও ছাড়তে শিখেনি যেহুতু আমার অধিকারে তুমি আঘাত এনেছো এর শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে
এই বলে অয়ন শিক টা রিমির পায়ে চেপে ধরে
পা টা খুব জ্বলছে চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে মানুষ এতোটা নির্মম কীভাবে হতে পারে?তাও বলে উঠলাম
আমাকে আপনি কি মনে করেন নিজের প্রপার্টি আমি একজন মানুষ জীবিত মানুষ সামান্য একটু পায়ে নুপুর পড়েছি বলে কেন শাস্তি পেতে হবে আমাকে তো আপনি বন্দি করে রেখেছেন সামান্য নুপুর পড়াতেও সমস্যা কি মনে করেন কি নিজেকে??
সাইকো আপনি একজন ডক্টর হয়ে আপনি বুঝেন না আপনার অসুখ আপনার ট্রিটমেন্ট এর প্রয়োজন!!
এমনিই অয়ন অনেক রেগে ছিলো তারপরে এইসব কথা শুনে যেনো তার চোখ রাগে লাল হয়ে৷ যাচ্ছে
সে শিক টা আরো চেপে ধরে বলে উঠে–
আমি সাইকো না?আমার ভালোবাসাকে পাগলামু বলতে পারলে তুমি!! ওকে দেখো এই সাইকোর পাগলামি!! এই বলে অয়ন৷ শিক দিয়ে আমার পায়ে আঘাত করলে লাগলো আর আমি ব্যাথায় চিৎকার করতে লাগলাম আর মনে পড়ে গেলো ভার্সিটির ঘটনা!!
আজ ভার্সিটিতে একটি অনুসঠান ছিলো ভালো মা অনেক কস্টে সাইকোটাকে বুঝিয়ে আমাকে ভার্সিটিতে৷ যাওয়ার পারমিশন দিয়েছে কিন্তু খুব ভয়ে ভয়ে আছি আজ একটু শখের বসে শাড়ি পড়িছি পায়ে আমার বাপির দেওয়া এক জোড়া নুপুর যা পায়ে চকচক করছে তখনি আমার ক্লাসমেট ইহসান এসে বলল–
রিমি তুমি তো অনেকদিন পরে ভার্সিটি আসলে এতোদিন কই ছিলে
ইহসান এর প্রশ্নে খানিকটা ব্রিবতবোধ করলাম ওকে তো আর সাইকোটার কথা বলা যাবেনা তাই বলে উঠলাম–
অই একটু পার্সোনাল কাজ ছিলো
ইহসানঃ ওহ বাই দ্যা ওয়ে তোমার পায়ে নুপুরটা কিন্তু খুব মানিয়েছে মনে হচ্ছে তোমার পায়ের জন্যই এই নুপুর তৈরি হয়েছে।।
ইহসান এর কথা শুনে খানিকটা মুচকি হাঁসলাম ছেলেটা বেশ ভালো কথা বলতে পারে!! আর বিপত্তি তখনি ঘটে গেলো যখন সাইকোটা ভার্সিটি ঢুকলো আর সেই দৃশ্য তার চোখে পড়লো অন্য কেউ আমার প্রশংসা করছে তাও আমি আবার সে ছেলেটার সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছি ব্যাস আর কি লাগে সাইকোটা রেগে আগুন কোনো কিছু না বলে আমাকে টানতে টানতে ভার্সিটি থেকে নিয়ে আসলো তারপরের ঘটনা আপ্নারা জানেনই!!
এতো ব্যাথা আর সহ্য না করতে পেরে আমি অজ্ঞান হয়ে অয়নের বুকে ঢুলে পড়লাম
মাত্র অয়নের হুশ এলে সে কি করছিলো
তার রিমিপরী অজ্ঞান হয়ে গেলো
সে রিমির মাথা ঝাকাতে লাগলো
অয়নঃ রিমিপরী কি হয়েছে তোমার!! এই শুনো না আমি সরি আর করবোনা কিন্তু কি করবো জান আমার যে সহ্য হয়না
অয়ন খেয়াল করে দেখে রিমির পা পুড়ে একেবারে কালচে হয়ে গিয়েছে অতিরিক্ত ব্যাথা সহ্য করতে না পেরেই রিমি জ্ঞান হারিয়েছে তা অয়ন৷ ঠিকই বুঝেছে
অয়নের চোখ থেকে অটোমেটিক নোনো জল গড়িয়ে পড়ে
অয়ন যেহুতু ডক্টর তাই সে খুব৷ সযত্নে রিমির পায়ে৷ ড্রেসিং করে দেয় আর ইঞ্জেকশন ও পুশ করে দেয় যাতে ক্ষত জায়গায় ইনফেকশন না হয়ে যায়
অয়নঃ ভালোবাসি অনেক রিমিপরী তোমাকে যেমন ভালোবাসবো তেমন শাস্তি ও দিবো তুমি আমার কথা কেন শুনো না?
রিমির অবস্হা দেখে অয়নের প্রচুর কস্ট হচ্ছে
অয়ন রিমিকে ঘুমের মেডিসিন ও পুশ করে দেয় যাতে রিমির ভালো ঘুম হয়
অয়ন কাউকে ফোন করে
–হ্যালো বস
অয়নঃ ইহসান ছেলেটার কি অবস্হা?
–স্যার আপনার কথা মতো ওকে মারতে মারতে অবস্হা খারাপ করে দিয়েছে
অয়নঃ ওকে হসপিটালে এডমিট করে আয় এন্ড চিকিৎসার সব খরচ আমার (বাঁকা হেঁসে)
–ওকে বস
অয়নঃ ওকে
টুট।।টুট
অয়নের কথা শুনে অয়নের গার্ড বলে উঠে-
স্যার এর কথা কিছু বুঝিনা নিজেই অবস্হা খারাপ করে আবার নিজেই চিকিৎসা করায়!!
তার প্রায় ২টা,,
বিছানার এক কোনে অজ্ঞান অবস্হায় পড়ে আছে রিমি শাড়ি তার অগোছালো।এদিকে রিমির দিকে নেশাক্ত দৃস্টিতে তাকিয়ে আছে অয়ন। অয়ন তার হাত দিয়ে রিমির গালে স্লাইড করে যাচ্ছে এবং অপর হাতে ড্রিংক করে যাচ্ছে অয়ন খানিকটা রিমির দিকে ঝুকে পড়ে
অয়নঃ সাইকো? আমি সাইকো?
আমার ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন বললেনা রিমিপরী আমার ট্রিটমেন্ট তো তুমি রিমিপরী বুঝোনা তুমি? বুঝার দরকার নেই তোমার জন্য বার বার আমি সাইকো হতে রাজি বুঝেছে আমার রিমিপরী!!এক সেকেন্ড ও তোমাকে ছাড়া ভাবতে পারিনা কিন্তু তুমি আমাকে একটুও বুঝোনা সবসময় পালাই পালাই করো আমার কথার অবাধ্য হও তাই তো আমার রাগ কে কন্ট্রোল করতে পারিনা
অয়ন খেয়াল করে দেখে রিমির ফর্সা পায়ে পুড়ে একেবারে কালচে আকার ধারন করেছে
অয়ন চোখ ছলছল করে উঠে–
অয়নঃ আমি খুব হিংস্র তাই না?
কিন্তু কি করবো জান?
তোমার জন্য আমি একশোবার
হিংস্র হতে রাজি
তোমাকে আমিই আঘাত করবো
আবার আমিই ভালোবাসবো
তোমার সামান্য পায়ের নুপুর দেখার অধিকার ও কাউকে দিবোনা আমি!! প্রয়োজন পড়লে তার চোখ উপড়ে ফেলবো আমি!! তোমাকেও আঘাত করতে পিছপা হবোনা আমি।
অয়ন রিমির পায়ে শব্দ করে চুমু খায়!!
অয়নঃ তুমি আমার এক অন্যতম নেশা!! যা আমাকে বার বার সাইকো হতে বাধ্য করে রিমিপরী!তুমি আমার প্রেমময়নেশা
#চলবে কি?
2 part
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122122479050106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz